মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পিছু ভাতা পাবে স্কুল। এমনই সিদ্ধান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পিছু ১০ টাকা করে দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারে, তাই স্কুলগুলিকে এই ভাতা দেওয়া হবে। ২০২৪ সাল থেকেই এই নিয়ম চালু করতে চলেছে পর্ষদ।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মাথাপিছু ১০ টাকা করে মোট পরীক্ষার্থী যা থাকবে, সেটাই স্কুলের প্রাপ্ত অর্থ হবে। স্কুলের তহবিলে সেই টাকা দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর স্কুলের কাছে ওই টাকা এসে পৌঁছবে। ছাত্রছাত্রীদের স্কুল যাতে উৎসাহ দেয়, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।
বর্তমান বাজারে পড়ুয়া পিছু মাত্র ১০ টাকা দেওয়া হবে। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। তবে পড়ুয়া ও স্কুলগুলিকে উৎসাহ দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
তাঁদের জীবনের গল্পটা ঠিক অন্যদের মতন নয়, একজনের বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন, অন্যজন অ্যাসিড আক্রান্ত। দুজনেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দুজনের অবস্থান থেকেই হয়ত সিংহভাগই লড়াইটা ছেড়ে দিতেন। কিন্তু তা হয় নি। লড়েছে, শিখেছে, এবং জিতেছে আর আমাদের শিখিয়েছে বাস্তবেই 'ডর কে আগে জিত হ্যায়।'
মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার ফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে জয়জয়কার শুরু হয়েছে রাজ্যের জেলাগুলিতে। তবে সেই দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল কলকাতা (Kolkata)। মাধ্যমিকের প্রথম দশের মধ্যে নেই কলকাতার কোনও স্কুল। এবারের মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। মাধ্যমিকের এই ফল নিয়ে বরাবরই উচ্ছাস থাকে পড়ুয়া সহ অভিভাবকদের মধ্যে। এর পিছনে থাকে কমবেশি লড়াইও। কখনও কখনও ভীষণ ব্যতিক্রমী লড়াইও দেখেছে এ রাজ্য। ঠিক তেমনভাবেই এবারও দুটি ব্যতিক্রমী গল্পের নাম হল জগন্নাথ ও রাজলক্ষী।
বর্ধমানের নুদিপুর ভুপেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের ছাত্র জগন্নাথ মাণ্ডি। প্রতিবন্ধকতাকে সাইডে রেখে পায়ে লিখেই মাধ্যমিক জয় করল জগন্নাথ। মাধ্যমিকে ২৫৮ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয় সে। জানা গিয়েছে, বর্ধমানের মেমারীর সিমলা আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দা জগন্নাথ মাণ্ডি। সেই আদিবাসী পাড়া থেকে জগন্নাথই একমাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে এবছর। আর উত্তীর্ণও হয়েছে। তাই তার পরিবারের সদস্যরা সহ সিমলা আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দারাও এই জয়ে বেজায় খুশি। মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের পরে চরম খুশি জগন্নাথও। জানা গিয়েছে, শুধু প্রতিবন্ধকতায় নয় প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই প্রবল জেদ নিয়েই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় জগন্নাথ। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। ৯০ বছরের ঠাকুমার কাছে থেকে পড়াশুনা করত জগন্নাথ। দাদা এক জায়গায় কাজ সংসার খরচ দেয়। সেই খরচ দিয়েই কোনরকমে পড়াশুনা করেছে জগন্নাথ। পরীক্ষার এই ফলাফল দেখে পরবর্তীতে জগন্নাথের স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার। শিক্ষক হয়ে তার মত বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষদের পায়ে দাঁড়াতে চায় সে। জগন্নাথের এই ফলাফলে খুশি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।
পাশাপাশি কঠিন লড়াই করে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে বীরভূমের রাজলক্ষী দে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাস করেছে সে। জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই অ্যাসিড হামলার মুখে পড়েছিল রাজলক্ষী। তবে অসামান্য জেদের কারণেই রাজলক্ষী ওই অবস্থাতেই পরীক্ষা দিতে যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টারে। রাইটার নিয়ে সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। তবে সেই পরীক্ষার্থীর হাতেই এবার এল সাফল্যের শংসাপত্র। যদিও এই ধরনের ঘটনা না ঘটলে ৯০ শতাংশ নম্বর পাওয়া যেত বলে, জানিয়েছে পরীক্ষার্থী। আগামী দিন বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করতে চায় রাজলক্ষী।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার মাত্র ৭৫ দিনের মাথায় আজ অর্থাৎ শুক্রবার প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল। দুপুর ১২ টা থেকে এই ফল ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে। প্রথম দশে ১১৮ জন। মালদহ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক পড়ুয়া মেধাতালিকায় আছে। কিন্তু ১১৮ জনের তালিকায় কলকাতায় শূন্য। এবারের মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। ১৩.৩৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পেয়েছেন ৬০ শতাংশ বা তার বেশি।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এবারের মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন কাটোয়ার দূর্গাকাশি চৌধুরানি স্কুলের দেবদত্তা মাঝিঁ। দেবদত্তা ৬৯৭ পেয়েছে। মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছে রিফত হাসান সরকার এবং শুভম পাল। তারা পেয়েছে ৬৯১ নম্বর। সারভার ইমতিয়াজ, সৌম্যজিৎ মল্লিক, অর্ক মণ্ডল ৬৯০ পেয়ে একসঙ্গে তৃতীয় হয়েছে এবারের মাধ্যমিকে। তফসিলি জাতিভুক্ত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাশ করেছেন ৮৫ শতাংশের বেশি পড়ুয়া।
বিগত বছরগুলির মতো এবারও জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। এরপর তালিকায় আছে কালিম্পং। তৃতীয় স্থানে কলকাতা। পশ্চিম মেদিনীপুর চতুর্থ স্থানে।
পর্ষদ সভাপতি জানান, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ২১২ জন। তবে পরীক্ষা দিয়েছেন ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২১ জন। এবারে ছেলে পরীক্ষার্থীদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা ২২ শতাংশ বেশি ছিল।
মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ পর্ষদের। সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিবকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে পর্ষদ সভাপতি জানান, এবারের পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪২৮ জন পরীক্ষার্থী। এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী। গতবারের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ কম। প্রতিবারের মতো এবারও ছাত্রের তুলনায় পরীক্ষায় বসা ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল বেশি। এবারের পরীক্ষায় বসে মোট ২ লক্ষ ৯০ হাজার ১৭২ জন ছাত্র এবং ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ২১ জন। এ বছর মোট ২৮৬৭ পরীক্ষা কেন্দ্রে মাধ্যমিকের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট wbbse.wb.gov.in বা wbresults.nic.in-এ গিয়ে ‘West Bengal Board of Secondary Exam Results 2023’ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে পড়ুয়াদের। এরপর একটি নতুন পেজ খুল যাবে। সেখানে যথা স্থানে রোল নম্বর, জন্মতারিখ দিয়ে ‘সাবমিট’ করতে হবে। এরপরই মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ফুটে উঠবে স্ক্রিনে।
মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার (Exam) ফল নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসুর। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে জল্পনার অবসান! আর ৯ দিনের মধ্যেই জানা যাবে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। আজ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন-ক্ষণ টুইট করে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এই মে মাসটা এ রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ! কারণ, এই মাসেই মাধ্যমিক স্কুল বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা (Madhyamik Exam)। বিষয়ের প্রশ্নপত্রে উল্লেখ ছিল, প্রয়োজনে গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। কিন্তু পর্ষদের তরফে গ্রাফ পেপার (Graph paper Row) পাঠানো হয়নি পরীক্ষাকেন্দ্রে। এই পরিস্থিতি ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয় পরীক্ষার্থীদের মনে। যদিও পর্ষদের (WBBSE) দাবি, গত কয়েক বছরের মতো এ বছরেও গ্রাফ পেপার পাঠায়নি পর্ষদ। তাই বিভ্রান্তির প্রশ্নই নেই।
বরং বিভ্রান্তি দূর করতে পর্ষদের সাফাই, উত্তর পত্রে করতে হবে গ্রাফের কাজ। পরীক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর দিলে অবশ্যই নম্বর পাবে। এ নিয়ে পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারির জানান, গত তিন বছর ধরেই আলাদা করে গ্রাফ পেপার দেওয়া হয় না মাধ্যমিক পরীক্ষায়। উল্লেখ্য, মাধ্যমিকের অঙ্ক প্রশ্নপত্রের ১৫-এর ২ নম্বর প্রশ্নে স্পষ্ট লেখা ছিল, সমীকরণের সমাধানের জন্য গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। যদিও তা দেওয়া হয়নি। এতে ভয় পেয়ে যায় পরীক্ষার্থীরা। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ একটি চিঠি প্রকাশ করে। তাতে সই রয়েছে ডেপুটি সচিব (পরীক্ষা) মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য হাইকোর্টের। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, 'রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এনিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।'
আদালতের পর্যবেক্ষণ, '২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।' ইতিমধ্যে নবম-দশম শ্রেণিতে বিকৃত OMR শিটের জেরে চাকরি মামলার রায় দান স্থগিত রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ের দিকে তাকিয়ে এখন কমিশন।
শনিবার সকাল ১১.২০ নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে রাজা কাটরার কাছে টহল দিচ্ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেকটর শৌভিক চক্রবর্তী। নজরে পড়ে ক্রন্দনরতা স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক কিশোরী, সাহায্য চাইছে এর-তার কাছে। তাকে জিজ্ঞেস করে শৌভিক জানতে পারেন, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে মেয়েটি, পরীক্ষার সিট পড়েছে শ্যামবাজারের আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে। নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা সে, একাই পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে যেহেতু পরিবারের সকলে তার দাদুর শেষকৃত্য সারতে গেছেন। কিন্তু বড় দেরি হয়ে গিয়েছে বেরোতে, সময়মত পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব, তাই কাঁদতে কাঁদতে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছে সাহায্যের আশায়।
ব্যাপার বুঝে আর এক মিনিটও ব্যয় না করে মেয়েটিকে তাঁর গাড়িতে তুলে নেন শৌভিক, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়ে তৈরি করিয়ে নেন ‘গ্রিন করিডর’। রাস্তায় কোথাও না থেমে ঝড়ের গতিতে গাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে এগারোটায়, যখন সবে দরজা খুলছে স্কুলের। অভিভূত, কৃতজ্ঞ কিশোরীকে ‘বেস্ট অফ লাক’ জানিয়ে বেরিয়ে পড়েন শৌভিক। এই মানবিক কাজের জন্য সিএন পোর্টাল কলকাতা পুলিস এবং ওসি ইনস্পেক্টর শৌভিক চক্রবর্তীকে ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা- কলকাতা ট্রাফিক পুলিস এবং কলকাতা পুলিস
সৌজন্য: কলকাতা পুলিস ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
হাতির হানায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Student) মৃত্যু। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Incident) টাকিমারি এলাকার ঘটনায় স্পষ্টতই শোকের ছায়া। জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক শুরুর দিনেই এই মর্মান্তিক মৃত্যু। মৃত কিশোরের বাড়ি জলপাইগুড়ির টাকিমারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে জঙ্গলের পথ ধরে বাবার বাইকে চেপে বেলাকোবায় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে হাতির (Elephant Attack) সামনে পড়ে যান দু'জনে।
কোনওভাবে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন বাবা। কিন্তু 'মৃত্যুদূতের' সামনে পড়ে যায় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে হাতি। বন দফতর খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় বন দফতরের উদাসীনতার অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। প্রতিবছর হাতির হানায় মানুষের মৃত্যু হলেও বন দফতর কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না। শুধু চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলে কি পরিবারের সান্ত্বনা মেলে? এভাবেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
সবাই আতঙ্কে আছে কেন ইলেকট্রিক ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ কিশোরের স্কুল এবং বন্ধুরা। ঘটনা প্রসঙ্গে রেঞ্জ অফিসার জানান, 'সকাল ৯টা নাগাদ জঙ্গলের পাশের একটা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাবাকে একটা হাতি ধরে ফেলে। বাবা কোনওভাবে বেঁচে গেলেও, ছেলেকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। খবর পেয়েই আমরা যাই, জখম সেই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। আমরা জেনেছি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা। আমাদের সচেতনতা প্রচার চলছে। শর্টে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ওই রাস্তা ধরেছিল। তবে সকাল ৯টা নাগাদ বেড়িয়ে অন্য রাস্তা ধরে গেলেও সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন যেতো।'
শুরু চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023)। প্রশ্ন ফাঁস ও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ (WBBSE)। এবছর পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে অভিভাবকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ২০২৩-র মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫।
জানা গিয়েছে, ২৮৬৭ সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ৪০ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী সুষ্ঠু পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। ৯৯% বেশি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা। যে সমস্ত সেন্টারে বা বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে না তাকে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এবছর পাহাড়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০০০। সেখানে ৬০টি সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অ্যাডিনো ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে স্কুলগুলিতে করা হয়েছে সিক রুমের ব্যবস্থা। স্কুলগুলিতে থাকছে স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও। বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি পর্ষদের অফিসে বসে কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি। এমনকি পর্ষদের অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
অতিরিক্ত ভেনু সুপারভাইজার অ্যাপ মাধ্যমে চালাবেন নজরদারি। প্রত্যেক ভেনুতে থাকবে কড়া পুলিসি ব্যবস্থা। মোবাইল ইলেকট্রনিক্স গেজেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। ১১টার সময় প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে কন্ট্রোলরুমে। সাড়ে ১১ নাগাদ ক্লাসরুমে পৌঁছবে প্রশ্নপত্র। ১১:৪৫ মিনিটে প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের।
এদিকে, সম্প্রতি পর্ষদ সভাপতি পরীক্ষার্থীদের জানান, 'মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাত্র জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। কিন্তু শেষ পরীক্ষা নয়।' তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি মে মাসের শেষ সপ্তাহে ফল ঘোষণার সম্ভাবনা বলেও জানান পর্ষদ সভাপতি।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় যাতায়াতের সুবিধায় বিশেষ মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবা। ২৩ ফেব্রুয়ারি-৪ মার্চ এবং ১৪ মার্চ-২৭ মার্চ পরীক্ষার আগে এবং পরে ৫-৬ মিনিট অন্তর মিলবে মেট্রো পরিষেবা। জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে রাত ৮.১৮ মিনিট পর্যন্ত ৫-৬ মিনিটের ব্যবধানে এই বিশেষ পরিষেবা সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে পাওয়া যাবে। এতে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার (Madhyamik Exam 2023) সঙ্গে যুক্ত সবাই যানজট এড়িয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন। পাশাপাশি একইভাবে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষাগুলো চলাকালীন চারটি শনিবার (২৫/০২,০৪/০৩/,১৮/০৩/,২৫/০৩) আপ এবং ডাউন মিলিয়ে ৮টি বিশেষ ট্রেন পাওয়া যাবে। এই ৮টি বিশেষ ট্রেনের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুটি আপ এবং দুটি ডাউন ট্রেন চলবে। পাশাপাশি বিকেল ৩টে-৫টা পর্যন্ত দুটি আপ এবং ডাউন ট্রেন চলবে। এমনি সময়ে শনিবার আপ-ডাউন মিলিয়ে ২৩৪টি মেট্রো চলে। উল্লেখ করা ৪টি শনিবারে আরও ৮টি অতিরিক্ত ট্রেন চলবে।
এ বছর ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023) দেবে। মোট ২৮৬৭ কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। মঙ্গলবার জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (Secondary Board)। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা কিন্তু শেষ পরীক্ষা নয়। তাই পরীক্ষার্থীদের মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দিতে পরামর্শ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ফল ঘোষণার সম্ভাবনা এদিন জানান পর্ষদ সভাপতি। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ৪০ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পর্ষদ সভাপতি জানান, '২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড় বনধ দুর্ভাগ্যজনক। প্রায় ৯ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পাহাড়ে পরীক্ষা দেবে। প্রশাসনকে বলবো ব্যবস্থা নিতে যাতে সবাই পরীক্ষা দিতে পারে।' তিনি জানান, 'পাহাড়ে প্রায় ৬০টি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে। সব জেলা থেকে রিপোর্ট এসেছে। প্রায় ২৮০০ স্কুলে সিসিটিভি বসেছে। যারা এখনও বসায়নি, তাদের বসাতে বলেছি।'
জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছবে। সাড়ে ১০টা থেকে পরীক্ষার্থী ঢুকতে পারবে। সাড়ে ১১টা অবধি পরীক্ষকরা ঢুকতে পারবেন। আর ১১টা ৪৫ মিনিট পরীক্ষার্থীদের সামনেই প্রশ্নপত্র খোলা হবে।
২৩ তারিখ থেকে শুরু চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। ২৭ তারিখ সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন থাকায় সেদিনের পরীক্ষাসূচি বদলেছে। এবছর প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী (৬,৯৮,৬২৮ জন) পরীক্ষায় বসছে। টোকাটুকি এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে এবার কড়া পদক্ষেপ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Secondary Education Board)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানান পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতি পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিস থাকবে, বসবে সিসি ক্যামেরা। কমবেশি সব জেলায় পৌঁছেছে প্রশ্নপত্র। রাজ্যের ৩৭৩টি থানার কড়া পুলিসি নজরদারিতে থাকছে প্রশ্নপত্র।
জানা গিয়েছে, শুধু পরীক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকতে পারবে। অভিভাবকরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করছে পর্ষদ। এদিন জানান মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি। কোন পরীক্ষার্থীর কোথায় সিট পড়ছে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ঝোলানো থাকবে সেই তথ্য। গত বছরের তুলনায় অনেক কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। নাম নথিভুক্ত করেও পরীক্ষায় বসছেন না অনেক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে পর্ষদ সভাপতি করোনা অতিমারীকে দায়ী করেছেন।
করোনাকালে প্রস্তুতির অভাব, অফলাইন ক্লাসে পড়াশোনার সমস্যা এবং পঠনপাঠন বন্ধের মতো সমস্যাকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরছেন পর্ষদ সভাপতি। পাশাপাশি অনেকে টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করেনি, কেউ আবার ফর্ম ফিলআপ করেনি বলে জানান পর্ষদ সভাপতি। এবার রাজ্যব্যাপী প্রায় ২৯০০ পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪০ হাজার পরীক্ষক নিয়োগ করেছে পর্ষদ। সব পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি আর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া হবে অ্যাডমিট কার্ড। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান পর্ষদ সভাপতি।
নিজের পড়ার ঘর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Exam 2023) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) এই ঘটনায় পরীক্ষার্থীর নাম পল্লবী মণ্ডল। সোনারপুর পৌরসভার (Sonarpur Municipality) ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়াতে ভাড়ার বাড়িতে থাকতো পল্লবী এবং তার বাবা-মা। পল্লবীদের আদি বাড়ি ছিল জয়নগর থানার ঢোসা গ্রামে।
এ প্রসঙ্গে আগামী ২৩শে ফেব্রুয়ারি শুরু হবে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার ২০ দিন আগেই মধ্যে মোবাইল আসক্তি কেড়ে নিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জীবন। বৃহস্পতিবার বিকালে পড়াশোনা বন্ধ রেখে বসে বসে মোবাইল ঘাঁটছিল সে। তাকে একটু বকাঝকা করে কাজে বেড়িয়ে যান পল্লবীর মা দেবযানী মণ্ডল। বাবা বিভাস মণ্ডল কাজ থেকে তখনও ফেরেননি। রাতে বাবা-মা বাড়িতে ফিরে পল্লবীকে নাম ধরে ডেকে কোন সাড়া না পেয়ে তার পড়ার ঘরে যান।
সেখানেই তার ঝুলন্ত দেহ দেখে চিৎকার করে ওঠেন তারা। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। আকস্মিক এই ঘটনায় হতবাক পল্লবীর পরিবার। ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পল্লবীর নিথর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
শেখার আর শিক্ষার কোনও বয়স (Age) হয় না। ইচ্ছে থাকাটাই আসল। তা আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন ৬৭ বছরের আবুল কালাম আজাদ। মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik examination) বসেছিলেন তিনি। সফলভাবে উত্তীর্ণ হন তিনি। বাংলাদেশের (Bangladesh) শেরপুরের বাসিন্দা আবুল, নিজের এলাকায় অন্য একটি নাম বেশি জনপ্রিয়। আর তা হল ‘কবি কালাম’।
পরীক্ষায় পাশ করার পর বাংলাদেশের এক প্রথম শ্রেণির সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০২২ সালে চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন আবুল। সোমবার দুপুরে সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ভালো নম্বর পেয়েই পাশ করেছেন তিনি। এই বয়সে এসে ফের পরীক্ষায় বসবেন কিনা তা ভেবেছিলেন প্রথমে। তারপর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ২০২০ সাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য পড়াশুনো করতে শুরু করেন কবি কালাম। তারপর ২০২২ সালে পরীক্ষায় বসেন।
১৯৫৫ সালে লঙ্গরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবুল। পড়াশুনোর প্রতি বরাবরই টান ছিল আবুলের। কিন্তু হঠাৎ একদিন বাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে ডাকে চলে জিতে বাধ্য হন। এর ফলে তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্তই কেবল পড়াশোনা করতে পেরেছিলেন। ঢাকায় এসে সংসার চালানোর জন্য ডকইয়ার্ডে চাকরি করা শুরু করেন।
বিয়েও করেন তিনি। এরপর চাকরির উদ্দেশ্যে পারি দেন সৌদি আরবে। ২০১৩ সালে সৌদি আরব থেকে আবার গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক তখনও কমেনি। অপূর্ণ মনের বাসনা পূরণ করতেই আবার পড়াশোনা শুরু করার কথা ভাবেন। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। শেষমেশ বিজয়ী হয়েই ফেরেন তিনি।
আবুল বলেন, ‘‘পড়ালেখার প্রতি আমার ভীষণ দুর্বলতা। সব সময় সংবাদপত্র ও বই পড়ি। গান লিখি। কবিতা লিখি। কয়েকটি উপন্যাস এবং ছোট গল্প লিখেছি। এসবের পাণ্ডুলিপি যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করছি।’’ নারীদের শিক্ষাগ্রহণের বিষয়েও গুরুত্ব দেন তিনি। তাঁর মতে, পড়াশোনার ক্ষেত্রে বয়স কোনও বাধা নয়। ইচ্ছা থাকলেই সব কিছু করা যায়।
আদালতের নির্দেশে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। বুধবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল অযোগ্যদের চিহ্নিত করে চাকরি বাতিল করতে হবে। সেই শূন্যপদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত (Calcutta high Court)। এক সপ্তাহের মধ্যে তিন পক্ষ বৈঠক করে রিপোর্ট জমা করবে আদালতে। সেই নির্দেশের পরই এদিন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি (SSC) ও মামলাকারীদের আইনজীবীদের বৈঠক।
এদিকে, ২০১৬ SLST-র মাধ্যমে নবম-দশমে কতজন ভুয়ো নিয়োগ হয়েছেন? স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং সিবিআইয়ের থেকে বুধবার জানতে চাইলো হাইকোর্ট। অবিলম্বে সেই ভুয়ো নিয়োগ খুঁজে বের করে অযোগ্যদের চাকরি থেকে থেকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক ভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি এবং সিবিআই আদালতে রিপোর্ট জমা করবে। ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছে। বেআইনি নিয়োগের বিষয়ে এসএসসি আলাদা ভাবে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে। যারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে তাঁদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে। মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের সেই চাকরি দেওয়া হবে।
খুব দ্রুত এই বিষয়ে নিষ্পত্তি চেয়ে এসএসসি এবং সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে শুধু এসএসএসি নয় কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে পৃথক রিপোর্ট দেবে সিবিআইও। যদিও এসএসসি-র আইনজীবীর সওয়াল, 'এটা সংখ্যা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষে খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। সার্ভিস কমিশন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না। কাদের নিয়োগ আইনি আর কাদের নিয়োগ বেআইনি? জিজ্ঞাসাবাদ না করলে বোঝাও সম্ভব নয়। কিন্তু সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বের করতে পারবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন কীভাবে সেটা করবে?'