'এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার জন্য হাতে অনেক সময় রয়েছে।' নিজের অবসর (Retired) প্রসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। আইপিএল (IPL) শেষ হলেই কি ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের মনে এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। জল্পনার মাঝে অবসর নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
ধোনিকে নিয়ে ভক্তদের উচ্ছাস নেহাত কম নয়। এবারের আইপিএলে ভালো ফর্মেও আছেন তিনি, এখনও ক্রিকেটপ্রেমীরা চান না অবসর নিন ধোনি। ৪১ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে আইপিএলে যে ছন্দে দেখা যাচ্ছে, তাতে আরও দু’এক বছর তিনি খেলতে পারবেন বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু ধোনি নিজে কী ভাবছেন? আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি চেন্নাই সুপার কিংস সমর্থকদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করেছে বুধবার। সেখানে অবসর নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন চেন্নাই অধিনায়ক।
অবসর নিয়ে প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দেননি ধোনি। তিনি বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তটা (অবসর) নেওয়ার জন্য হাতে অনেকটা সময় রয়েছে। এখন আমরা প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। বেশ কয়েকটা ম্যাচ আমাদের এখনও খেলতে হবে। আমি এমন কোনও মন্তব্য করতে চাই না, যেটা কোচকে চাপে ফেলতে পারে। আমি কোচকে এক দমই চাপে রাখতে চাই না।’ তা হলে কি ক্রিকেটকে পাকাপাকি ভাবে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন? না হলে তাঁর কথায় কেন চাপে পড়বেন সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ?
২০০৮ সাল থেকে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল আইপিএল খেলছেন ধোনি। তাঁর নেতৃত্বে চার বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেন্নাই। প্রথম বার তাঁকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল সিএসকে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ধোনি। গত বছর আইপিএলের পর জানিয়েছিলেন, চেন্নাইয়ের মানুষের সামনে খেলার পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। গত বছর শুরুতে নেতৃত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই ধোনির অবসর নিয়ে তৈরি নানা জল্পনা।
ধোনি (MS Dhoni) যে লিভিং লেজেন্ড সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার গোয়ার (Goa) এক যুবক তাঁর পছন্দের মাহির জন্য নিজের পছন্দের বাইক (Bike) বিক্রি করে এলেন ধোনিকে দেখতে। বাইক ভীষণ প্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনির। তাঁর সংগ্রহে বেশ কিছু বাইকও রয়েছে। সময়, সুযোগ পেলে রাঁচির রাস্তায় বাইক চালান মাহি। অথচ তাঁকে দেখার জন্য নিজের বাইক-ই বিক্রি করে দিলেন এক ভক্ত। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তাঁর পোস্টার ধরে থাকা ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
সোমবার গোয়া থেকে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন এক ক্রিকেটপ্রেমী। বলা ভাল ধোনিপ্রেমী। আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ দেখার জন্য নিজের বাইক-ই বিক্রি করে দিয়েছেন সেই যুবক। গোয়া থেকে বেঙ্গালুরু যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার খরচ এবং টিকিটের দাম— সব কিছু মিলিয়ে কয়েক হাজার টাকার দরকার ছিল তাঁর। সেই টাকার ব্যবস্থা কী ভাবে করবেন, বুঝে পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত নিজের প্রিয় বাইকটি বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।
প্রথম থেকেই ধোনির অন্ধ ভক্ত গোয়ার ওই যুবক। কিন্তু কখনও মাঠে বসে ধোনির খেলা দেখা হয়নি তাঁর। গোয়ার কাছাকাছি আইপিএলের খেলা হচ্ছে মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের টিকিট পাননি। বেঙ্গালুরুর ম্যাচের টিকিট পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি। এ বছর আইপিএলের পর ধোনি অবসর ঘোষণা করে দিলে আর মাঠে বসে তাঁর খেলার সুযোগ থাকবে না। তাই নিজের বাইক বিক্রি করে আরসিবি-সিএসকে খেলা দেখতে এসেছিলেন।
গ্যালারিতে খেলা দেখার ফাঁকে সেই যুবক পোস্টারে লিখে নিজেই জানিয়েছেন, বাইক বিক্রি করে ধোনিকে দেখতে আসার কথা। পোস্টার ধরা তাঁর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমেও। ৪১ বছরের ধোনিকে নিয়েও ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা কোন পর্যায় পৌঁছতে পারে, তার অন্যতম উদাহরণ গোয়ার এই যুবক।
বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) ঘরের মাঠে দাপট দেখাল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল (MS Dhoni)। টস হেরে চেন্নাই সুপার কিংসকে (CSK) প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দাপুটে ব্যাটিং করে রান তুললেন চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। ডুপ্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ের তুলনায় তাঁদের দাপট ম্লান মনে হলেও শেষ হাসি হাসলেন ধোনিরাই। ধোনিদের ৬ উইকেটে ২২৬ রানের জবাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর করল ৮ উইকেটে ২১৮।
৭৫ দিন আগে শেষ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ হয়েছিল চেন্নাই-বেঙ্গালুরু ম্যাচের ২২ গজে। শুকনো এবং পাটা উইকেটে কত রান করলে নিরাপদে থাকা যাবে, তা নিয়ে ম্যাচের শুরুতে নিশ্চিত ছিলেন না ধোনি। তাই চেন্নাই অধিনায়কের নির্দেশ ছিল, যতটা সম্ভব বেশি রান তুলতে হবে। সেই মতোই প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন ডেভন কনওয়ে। অন্য ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৩) দ্রুত আউট হলেও প্রভাব পড়ল না চেন্নাইয়ের ইনিংসে। অজিঙ্ক রাহানে, শিবম দুবেরাও একই রকম দাপটে খেললেন। কনওয়ে খেললেন ৪৫ বলে ৮৩ রানের দুরন্ত ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি। তিন নম্বরে নামা রাহানে করলেন ২০ বলে ৩৭। এ বারের আইপিএলে নতুন মেজাজে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় দল থেকে দূরে চলে যাওয়া অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা মারলেন রাহানে। শিবমকে সামলাতেও সমস্যায় পড়লেন আরসিবির বোলাররা। তাঁর ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কা।
এক সময় মনে হচ্ছিল ধোনিরা ২৪০ রানের কাছাকাছি তুলবেন। তা হল না শেষ দিকে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোয়। মইন আলি ৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকলেও অম্বাতি রায়ডু, রবীন্দ্র জাডেজারা ব্যাট হাতে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। রায়ডু ৬ বলে ১৪ এবং জাডেজা ৮ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে গেলেন। শেষে মইনের সঙ্গে ২২ গজে অপরাজিত ছিলেন ধোনি (১)।
বেঙ্গালুরুর কোনও বোলারই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। সফলতম বোলার ওয়ানিন্দু হারসঙ্গ। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। বেঙ্গালুরুর সব বোলারই একটি করে উইকেট পেয়েছেন। কিছুটা ভাল বল করলেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি ৩০ রান খরচ করে ১ উইকেট নিয়েছেন।
জয়ের জন্য ২২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বেঙ্গালুরুর। প্রথমেই আউট হয়ে গেলেন কোহলি। ৪ বলে ৬ রান করে আকাশ সিংহের বলে বোল্ড হলেন তিনি। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা মহীপাল লোমরোরও (শূন্য)। ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ঘরের মাঠে চাপে পড়ে যায় আরসিবিরা। সেই চাপ কাটল অধিনায়ক ডুপ্লেসির ব্যাটে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন তাঁরা। চেন্নাইয়ের কোনও বোলারকেই রেয়াত করলেন না তাঁরা। ডুপ্লেসি-ম্যাক্সওয়েল জুটির দাপটে কিছুটা দিশেহারা দেখাল অভিজ্ঞ ধোনিকেও। তাঁদের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ৬১ বলে ১২৬ রান। ম্যাক্সওয়েল করলেন ৩৬ বলে ৭৬ রান। মারলেন ৩টি চার এবং ৮টি বিশাল ছক্কা। তিনি আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারলেন না ডুপ্লেসিও। বেঙ্গালুরু অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৩৩ বলে ৬২ রান। তিনি মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছয়।
তাঁরা পর পর আউট হওয়ার পর আবার লড়াইয়ে ফেরেন ধোনিরা। যদিও বেঙ্গালুরুর ইনিংসের হাল ধরেন শাহবাজ় আহমেদ এবং দীনেশ কার্তিকের জুটি। কার্তিক আউট হলেন ১৪ বলে ২৮ রান করে। তাঁর পরই সাজঘরে ফিরলেন শাহবাজ়ও (১২)। এই দুই ব্যাটার আউট হতেই বেঙ্গালুরুর জয়ের আশা এক রকম শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে সুযশ প্রভুদেশাই চেষ্টা করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। তিনি করলেন ১১ বলে ১৯ রান।
চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে সফলতম তুষার দেশপাণ্ডে নিলেন ৪৫ রানে ৩ উইকেট। মাথিশা পাথিরানা ৪২ রান খরচ করে নিলেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেলেন আকাশ সিংহ, মাহিশ থিকসানা এবং মইন আলি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে এখন শুধু আইপিএল (IPL 2023)-এ মনোনিবেশ। যদিও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ বলছেন, এটাই নাকি মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) আইপিএল-এ শেষ মরশুম। কিন্তু এমএসডি-র ক্রেজ বা জনপ্রিয়তা একফোঁটাও কমেনি। গোটা দেশের যেখানেই খেলতে যান সেখানেই তাঁকে নিয়ে মাতামাতি। আইপিএল-এ তাঁর ঘরের শহর চেন্নাইতে (Chennai) দেখা গেলো উদাহরণ। অশীতিপর সমর্থকের ইচ্ছেপূরণ করলেন মাহি। দেখা করলেন তাঁর সঙ্গে, ছবিও তুললেন।
Heroes are not made, they are born. Dhoni proves that. I am at loss for words for our CSK #Thala @msdhoni at his warmth & hospitality. He met my ma in law, who at 88, hero worships Dhoni & cannot see beyond him. Mahi, you have added many years of good health & happiness to her… pic.twitter.com/darszdzb62
— KhushbuSundar (@khushsundar) April 14, 2023
জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ে ওই সমর্থকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। অশীতিপর ওই বৃদ্ধা তথা অভিনেত্রী খুশবু সুন্দরের শাশুড়ির বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ধোনি। অভিনেত্রী নিজে টুইটারে ছবি পোস্ট করে ধোনির বাড়িতে আসার খবর জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, “হিরোদের কখনও তৈরি করা যায় না। তাঁরা জন্মায় ও ভাবেই। ধোনি সেটা প্রমাণ করে দিলেন। ধোনির ভালবাসা এবং আতিথেয়তা পেয়ে আমরা বাক্যহারা। আমার ৮৮ বছর বয়সী শাশুড়ির সঙ্গে উনি দেখা করলেন, যিনি ধোনিকে বীরের মর্যাদা দেন এবং ওকে ছাড়া আর কোনও ক্রিকেটারকে চেনেন না। মাহি, আগামী দিনে আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় থাকুক এবং জীবন খুশিতে ভরে উঠুক।”
আইপিএল (IPL) খেলার আগে এক মাস অনুশীলন করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MSD)। সেই সময় থেকেই তাঁর হাঁটুতে চোট। চেন্নাইয়ের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলে ফেললেন সেই চোট নিয়েই। সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং (Fleming) জানালেন সেই চোটের কথা।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৩ রানে ম্যাচ হেরে ফ্লেমিং বলেন, 'ধোনির হাঁটুতে চোট রয়েছে। নড়াচড়া করতে অসুবিধা হচ্ছে ওর। নিজের চোট নিয়ে ও যথেষ্ট সতর্ক। আইপিএল শুরু হওয়ার এক মাস আগে চলে এসেছিল ধোনি। রাঁচীতেও অনুশীলন করেছিল ও। চেন্নাই এসেও এক মাস অনুশীলন করেছিল।'
বুধবার সন্দীপ শর্মার শেষ ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল। শেষ বলে পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল। সেই ইয়র্কারে বাউন্ডারি মারতে পারেননি ধোনি। একটি মাত্র রান নেন। তিন রানে হেরে যায় চেন্নাই। ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই থেমে যায় ১৭২ রানে। ফ্লেমিং বলেন, “ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে ধোনি। ভাল খেলছে ও। ধোনির মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে। গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার চেষ্টা করছে ও।
শুধু ধোনি নন, চেন্নাই দলের একাধিক ক্রিকেটারের চোট। সিসান্ডা মাগালার চোট রয়েছে। তাঁর আঙুলে চোট লাগে। বুধবার মাত্র ২ ওভার বল করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। এ ছাড়াও বেন স্টোকস এবং দীপক চহারের চোট রয়েছে। স্টোকসকে ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় দলে নেয় চেন্নাই। চহারের যা চোট রয়েছে তাতে এ বারের আইপিএলে তাঁর খেলা মুশকিল। চেন্নাই দলে বোলারের সংখ্যা কমছে। দু’জন বোলার এবং এক জন অলরাউন্ডারের চোট থাকায় এক এক করে নতুন বোলারকে খেলানোর চেষ্টা করছে তারা। ফ্লেমিং বলেন, 'অনেক ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা খেলার পর আইপিএলে এসেছে। সেই কারণে কিছুটা ক্লান্ত রয়েছে তারা।'
বুধবার আকাশ সিংহকে খেলায় চেন্নাই। ফ্লেমিং বলেন, 'আকাশের মতো অনভিজ্ঞ বোলারদের খেলাতে হচ্ছে আমাদের। এটাই এখন আমাদের পরিকল্পনা। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে পরিকল্পনা করে কিছু করাটা মুশকিল।' আকাশের জন্ম রাজস্থানে। ২০ বছরের এই পেসার আগে রাজস্থান রয়্যালসে ছিলেন। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও খেলেছেন। এমন বোলারদের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে চেন্নাইকে।
আইপিএলের (IPL) ১৭তম ম্যাচে চেন্নাইয়ের (CSK) মুখোমুখি রাজস্থান (RR)। অর্থাৎ ধোনিদের (MS Dhoni) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে স্যামসনরা। বর্তমানে চেন্নাই লিগ টেবিলের পঞ্চম ও রাজস্থান লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দুজনে ৩টি করে ম্যাচ খেলে একটি হেরে দুটিতে জয়লাভ করেছে। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে রাজস্থানকে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে যেতে চাইবে ধোনিদের দল।
এবারের আইপিএলে ঋতুরাজ গায়কওয়াড় খুব ভালো শুরু করেছিলেন। যদিও ট্রেন্ট বোল্টের বিরুদ্ধে তার রেকর্ডটি আত্মবিশ্বাসী নয়। কারণ তিনি, ২১ বলের মধ্যে তিনবার নিউজিল্যান্ডের সিমারের দ্বারা আউট হয়েছেন। ধোনিদের দলেই তার নিউজিল্যান্ড সতীর্থ ডেভন কনওয়ে রয়েছেন। ধোনিদের নিশ্চিত করতে হবে যে বোল্টের বল তার নিউজিল্যান্ড সতীর্থ ডেভন কনওয়ের দ্বারা মোকাবিলা করা হবে। পাশাপাশি ট্রেন্ট বোল্ট ২০২০ সাল থেকে আইপিএলে প্রথম ওভারে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। পাশাপাশি চেন্নাইয়ের পক্ষে, ২০২২ সাল থেকে, মহেশ থিকসানা ৭.৩৩ ইকোনোমি রেটে, টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারে ১২ উইকেট নিয়েছেন।
এই মরসুমে পাওয়ার প্লে-তে ধোনিদের সবচেয়ে খারাপ ইকোনমি রেট ১১.৪৪। যদিও যশস্বী জয়সওয়াল রয়্যালসের হয়ে পাওয়ার প্লে-র লাভ নেওয়ার জন্য আদর্শ ব্যাটার রয়েছে। তরুণ বাঁ-হাতি, বেশ অবিশ্বাস্যভাবে, এই মৌসুমে পাওয়ারপ্লেতে ২০০-র কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে রান করছে এবং এই ট্র্যাকটি ধীর হয়ে গেলে সেই পর্বটি পার্থক্য সৃষ্টিকারী হতে পারে।
প্রসূন গুপ্ত: মহেন্দ্র সিং ধোনি, ভারতীয় ক্রিকেটের এক কিংবদন্তি। সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কও বটে। তাঁর হাতেই উঠেছিল টি-২০ বিশ্বকাপ এবং সীমিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও। আইপিএল ট্রফিও উঠেছে বেশ কয়েকবার তাঁর হাতে অর্থাৎ চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে। মাঝখানে ১ বছর চেন্নাই দল না থাকায় অন্য দলে খেললেও ফের ফিরেছেন শ্রীনিবাসনের চেন্নাইতে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে খেলা শুরু সেই ২০০৪-এ, আজকে ২০ বছর বাদেও খেলে চলেছেন মাহি। ভারতের হয়ে ধাপে-ধাপে খেলা ছেড়েছেন প্রায় ৩-৪ বছর। বর্তমানে ধোনির বয়স ৪১-এর বেশি।
এই বয়সে সকলেই ক্রিকেট ছেড়ে দেন এমন নয়। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় তিনি ব্যাটার-উইকেট রক্ষক, যা তাঁকে ভয়ঙ্কর ব্যস্ত রাখে মাঠে। অনেকেই ভেবেছিলেন গত বছর হয়তো ধোনি খেলা ছেড়ে কমেন্ট্রি বক্সে চলে যাবেন। কিন্তু তিনি পরিষ্কার জানিয়েছিলেন তিনি খেলবেন। ওই যে বার্তা আছে 'যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো'। এ বছর ধোনিকে মাঠে খুবই ক্লান্ত লেগেছে। প্রথম খেলা পড়েছিল গুজরাত দলের বিরুদ্ধে। উল্টো দিকের অধিনায়ক তথা ভারতীয় দলের তরুণ তুর্কি হার্দিক পান্ডিয়াকে যতটা চনমনে লেগেছিল, ততটাই ক্লান্তি ছিল গুরু ধোনির মধ্যে।
ওই ম্যাচে হেরেছিল কিন্তু সোমবারের লখনৌ ম্যাচে জিতেছে চেন্নাই। খেলাটি যারা দেখেছেন তারা নিশ্চিত বলবেন, ধোনি কেন ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন। এটা ঠিক তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার। কিন্তু ফিনিশার মানে অন্তত ২০ ওভার ম্যাচে ১৫ ওভারের মধ্যে নামা উচিত, যা আগে নামতেন। কিন্তু এ বছর কোথায় তাঁর অবস্থান। যদিও ১২ রান করলেন দু'বলে এবং শেষ বলে আউট হলেন। তাই আরও আগে নামলে কী হতো জানা গেল না। এছাড়া উইকেটরক্ষক উইকেটের পিছনে বারবার বসবেন-উঠবেন। কিন্তু দেখা গেল ধোনি মোটামুটি দাঁড়িয়ে কিপ করছেন। এটা থেকে মনে হওয়া স্বাভাবিক বয়স তো হলো এবার নোঙ্গর ফেলো ধোনি।
একটা কথা আছে বিশ্বে, 'লিভিং লেজেন্ড (Living Legend)।' তাঁদেরকেই বলা হয় যাঁরা তাদের কার্যক্রম দিয়ে মানুষের মন জয় করে যাচ্ছেন দিনের ওর দিন। ঠিক তেমনই ক্রিকেট বিশ্বে ধোনি (MS Dhoni) যেন 'প্লেয়িং লেজেন্ড।' রাঁচির (Ranchi) ছেলেটা যেন জয় করে বসে আছে গোটা বিশ্বের মন।
কেন এমন বলছি জানেন! সম্প্রীতি আইসিসি, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল ২০২৩ বিশ্বকাপের দামামা বাজিয়েছে। সেটা কবে জানেন! রবিবার। রবিবার কী এমন ছিল? সোমবার থেকে ১২ বছর আগে ধোনির অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। ওইদিনই শেষ বলে ছয় মেরে ভারতকে জেতায় 'প্লেইং লেজেন্ড' ধোনি। আইসিসি রবিবার টুইট করে ২০২৩ সালে বিশ্বকাপের লোগো প্রকাশ করে। ওই টুইটে আইসিসি লিখেছে, 'মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ছয় মেরে দলকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ঠিক ১২ বছর আগে। ২০২৩ সালের প্রতিযোগিতার ব্র্যান্ডের উদ্বোধনের জন্য সেই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হল।'
আইপিএলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরিজিৎ সিং ধোনির পা ছুঁয়ে প্রণাম করার চেষ্টা করেন। যার পরে আবেগে ভেসেছে নেট দুনিয়া। রবিবার ধোনিকে, আইসিসির এই সম্মান প্রদর্শনে আবারও আবেগে ভেসেছে ধোনি ভক্তরা ও নেট দুনিয়া।
আইপিলের শুরু হয়েছে সবে। এর মধ্যেই এক দিনের বিশ্বকাপের ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০১১ সালে শেষ বার এক দিনের বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। সেবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১২ বছর পর সেই স্মৃতি উসকে দিল আইসিসি। ভারতীয় ক্রিকেটের সাফল্যের দিনে প্রকাশ করা হল আগামী বিশ্বকাপের লোগো। রবিবার পূর্ণ হল ভারতের দ্বিতীয় এক দিনের বিশ্বকাপ জয়ের ১২ বছর। এক যুগ পর সেই স্মৃতি ফিরিয়ে দিল আইসিসি। আগামী অক্টোবরে ভারতের মাটিতে চতুর্থ বার এক দিনের বিশ্বকাপের আসর বসবে।
আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ। ফাইনাল হওয়ার কথা ১৯ নভেম্বর আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। দেশের মোট ১২টি শহরে হবে বিশ্বকাপের খেলাগুলি। মোট ৪৮টি ম্যাচ হবে বিশ্বকাপে। আয়োজক ভারত-সহ মোট ১০টি দেশ অংশগ্রহণ করবে।
আইপিএল-র (Ipl) প্রথম খেলায় ৫ উইকেটে জয় পেল হার্দিকের (Hardik pandya) গুজরাত টাইটান্স (Gt)। শুক্রবার গুজরাতে ঘরের মাঠে চেন্নাইকে (Csk) হারিয়ে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল গুজরাত। ম্যাচের সেরা গুজরাতের রশিদ খান। শুক্রবার রশিদ খেলার ১৯ তম ওভারে ৩ বলে ১০ রান করেন। এবং বল হাতে চেন্নাইয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।
টসে জিতে প্রথম বল করতে নামেন গুজরাত। প্রথম ব্যাট করতে নেমে কনওয়েকে তৃতীয় ওভারেই ১ রানে ফিরিয়ে দেন শামী। তারপর ঋতুরাজ গাইকোয়াডের ৫০ বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে চেন্নাই সুপার কিংস ভালো লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে। মাঝের ওভারে স্টোকস, মঈন আলী, জাদেজা আউট হয়ে গেলে একটু চাপে পড়ে দল। যদিও শেষ ওভারে ধোনির ব্যাটে আসে ১১ রান। একটি ছক্কা ও একটি চারের মাধ্যমে। গুজরাতের সামনে লক্ষ্যমাত্রা হয় ১৭৯ রানের।
ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করে গুজরাতের ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল। পরে ১৬ বলে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন ঋদ্ধি। এরপর ইনিংসের হাল ধরেন গিল। হার্দিকও তাড়াতাড়ি ফিরে যান। শেষে রশিদ খান ১৯ তম ওভারে একটি ছক্কা ও একটি চার মেরে গুজরাতের জয় এক প্রকার নিশ্চিত করেন। শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল। প্রথম বল ওয়াইড করেন তুষার দেশপান্ডে। পরের বলে ৬ মেরে জয় নিশ্চিত করেন রাহুল টেওটিয়া। চেন্নাইয়ের পক্ষে রাজবর্ধন ৩টি উইকেট নেন। পাশাপাশি গুজরাতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জোসেফ ও রশিদ খান।
মনি ভট্টাচার্য: এ যেন ঠিক ভগবান দর্শন। মঞ্চে ধোনিকে দেখে, ধোনির পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের চেষ্টা বিশ্ব খ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh)। আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন ঘটনায় অবাক সবাই। এ দৃশ্য মন কেড়েছে গোটা দেশবাসীর। পূর্বেও ধোনির অনেক ভক্তদের মাঠে ঢুকে তাঁকে প্রনাম করার চেষ্টা করেন, বহুবার এমন চিত্র দেখেছে গোটা দেশ।
শুক্রবার আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গেয়ে পারফম্যান্স করেন অরিজিৎ সিং। অনুষ্ঠানে পারফম্যান্স করেন স্মৃতি মান্ধানা ও তামান্না ভাটিয়া। অরিজিতের গান মুগ্ধ হয়ে শুনেছে আইপিএল দেখতে আসা সমস্ত দর্শক। গুজরাতের স্টেডিয়ামে ১৬ তম আইপিএলের প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই গানের পারফম্যান্স করেন অরিজিৎ।
শুক্রবার গানের অনুষ্ঠানের শেষে, দুপক্ষেরই অর্থাৎ চেন্নাই ও গুজরাতের ক্যাপ্টেনকে ডাকা হয় অনুষ্ঠানের মঞ্চে। সেইমতো প্রথমে ধোনি ও পরে হার্দিক আসেন মঞ্চে। সেসময় অরিজিৎ সিং ধোনিকে দেখে পা ছুঁয়ে প্রণামের চেষ্টা করেন। সেসময় রীতিমত অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন মাহি। অরিজিৎকে আটকানোর চেষ্টাও করেন। এই দৃশ্য দেখে আবেগের জোয়ারে ভেসেছে ভারতবাসী সহ ক্রিকেটপ্রেমীরা।
স্বস্তি সাধারণের মানুষের! বিরল রোগের (Rare Diseases) চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রীর আমদানি শুল্কের উপর ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। ১ এপ্রিল থেকে আমদানি শুল্কের উপর এই ছাড় কার্যকর করা হবে। এর ফলে দাম কমবে কিছু জীবনদায়ী ওষুধের। এর মধ্যে ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধও রয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এমনটাই জানানো হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে এই নয়া নিয়ম জারি হবে।
সাধারণত ওষুধে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়ে থাকে। সেখানে বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধ ও টিকার কিছু ধরণের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ বা শূন্য থাকে। এবার ৩০ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, 'জাতীয় বিরল রোগ নীতি ২০২১ এর অধীনে তালিকাভুক্ত সমস্ত বিরল রোগের চিকিৎসার জন্য আমদানি করা সমস্ত ওষুধ এবং খাবারের উপর শুল্ক থেকে সম্পূর্ণ ছাড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।'
অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ছাড়ের সুবিধা পেতে আলাদাভাবে ওষুধ আমদানিকারী ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা আধিকারিক বা জেলা মেডিক্যাল অফিসার বা সিভিল সার্জেনের থেকে একটি শংসাপত্র তৈরি করতে হবে।
স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি বা ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফির মতো রোগের চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই ব্যবহৃত ওষুধে আমদানি শুল্কে ছাড় দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত পেমব্রোলিজুমাব (কীট্রুডা) নামক ওষুধের উপর এ বার থেকে কোনও রকম আমদানি শুল্ক রাখা হবে না। এছাড়াও কেন্দ্রের কাছে বারবার অন্যান্য বিরল রোগের চিকিৎসাতেও ওষুধে ছাড়ের আবেদন আসছিল। আর সেই আর্জির নিরিখেই এই পদক্ষেপ।
মুন্নি চৌধুরী: অবশেষে অপেক্ষার অবসান। চলে এসেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৩১শে মার্চ শুরু হতে চলেছে আইপিএল (IPL)। তবে এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে রয়েছে একাধিক চমক। সিনেমায় রোম্যান্টিক গান হোক বা ইমোশনাল গান, সবেতে একটা নাম সবার আগে উঠে আসে। তা হল অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। আট থেকে আশি সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এবার আইপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা যাবে তাঁকে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানস (Gujarat Titans) এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) (Chennai Super Kings)। এবার আইপিএল-র প্রথম ম্যাচ হতে চলেছে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আইপিএল ২০২৩ ফাইনাল হবে আগামী ২৮ মে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শেষবার আইপিএল-এর জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় ভারতে। তারপর করোনার কারণে বর্ণাঢ্য ভাবে আয়োজন করা যায়নি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। অবশেষে ৪ বছর পর এবার ফের আইপিএল-র উদ্বোধনে জৌলুস ফিরছে। হোম ও অ্য়াওয়ে ফর্ম্যাটে চলবে লিগের খেলা। এবার আবার পুরনো রূপে ফিরেছে আইপিএল-২০২৩।
গুজরাট টাইটানস-এর নতুন নেতা হার্দিক পাণ্ডে। গত আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সকে চ্যাম্পিয়ন করে রকেট উত্থান হয় হার্দিকের। বলা যায়, পাকাপাকিভাবে টি-টোয়েন্টিতে দলনেতা হওয়ার দিকে এগিয়ে গিয়েছেন অনেকটা। আর সেই হার্দিকের ২২ গজে অন্যতম অনুপ্রেরণা মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে হার্দিককে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, ধোনি মন্ত্রেই বিশ্বাসী তিনি। আইপিএল-র দুনিয়ায় এক্সপেরিয়েন্সের এভারেস্ট বলা হয় ধোনিকে। এবার একেবারে শুরুর দিনই গুরু বনাম শিষ্যের লড়াই হতে চলেছে। সকল ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে রয়েছেন লড়াইয়ের ফলাফলের দিকে।
তবে গত আইপিএল-এ যে জল্পনা উঠেছিল এবারও তা জিঁইয়ে রয়েছে। আইপিএল ক্রিকেটার হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির এটিই শেষ মরশুম হতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে ধোনি নিজে কিছু জানাননি। তবে ধোনিপ্রেমীদের অল্পবিস্তর মন খারাপও রয়েছে। কারণ, জানা গিয়েছে, ক্যাপ্টেন কুলের বাঁ পায়ে চোট রয়েছে। তবে সেটা যাতে গুরুতর না হয় সেই প্রার্থনায় করছেন ভক্তরা।
উল্লেখ্য, আইপিএল-র সাফল্য় তালিকায় রোহিত শর্মার পরেই রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এবার ধোনি যদি চেন্নাই সুপার কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেন তাহলে রোহিতের কীর্তি স্পর্শ করবেন মাহি। এটা ধোনির শেষ আইপিএল মরশুম কিনা সে ব্যাপারে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেন, 'তিনি গত ২-৩ বছর ধরেই শুনে আসছেন এটাই ধোনির শেষ মরশুম। কিন্তু এমএস যা ফিট রয়েছেন, তাতে আরও কয়েক মরশুম খেলা চালিয়ে যেতেই পারেন।' আর এই খবরে উচ্ছ্বসিত সিএসকে ফ্যানরা।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Vote), আর তার আগে ফের জেলা থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms), গ্রেফতার ২। রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Bengal STF) বা এসটিএফ মন্তেশ্বরে গোপন অভিযান চালিয়ে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) কুসুমগ্রাম থেকে এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম কুরবান আলি ও রাকেশ মোল্লা। এই রাকেশের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। তাঁদের হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি বন্দুক। শনিবার এই দুই অভিযুক্তকে তোলা হয়েছিল কালনা মহকুমা আদালতে।
এদিন ধৃত কুরবান আলি শেখ জানায়, অস্ত্র বেচে টোটো কেনার পরিকল্পনা ছিল। যেখানে কাজ করতো, সেখানে দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বেচার পরিকল্পনায় রাকেশকে বন্দুকটি দেখাতে নিয়ে এসেছিলো সে। সেই সময় পুলিস তাদের বমাল ধরে। সে জানায়, অস্ত্রটি আমার, বেঙ্গল লাইসেন্সের আগ্নেয়াস্ত্র। নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করতাম। কাজ করেও চার-পাঁচ মাস বেতন না পেয়ে টোটো কেনার টাকা তুলতে অস্ত্র বেচার পরিকল্পনা করেছিলাম। রাকেশ বলেছিল অস্ত্রটা একবার নিয়ে আসো দেখবো। বিহারের একজনের থেকে অস্ত্রটা কিনেছিলাম।
তার দাবি, 'পুরনো সংস্থা বেতন দিচ্ছিল না, নতুন সংস্থায় কাজ করবো বলে বন্দুক কিনেছিলাম। পরে যখন জানলাম অস্ত্রটা দু'নম্বরী তখন বেচে দেওয়ার প্ল্যান করি।' আগ্নেয়াস্ত্রর নিয়ে করা একাধিক প্রশ্নের এভাবেই একাধিক অসঙ্গতিপূর্ণ জবাব দিয়েছে কুরবান। তাই সঠিক উদ্দেশ্য জানতে তদন্ত করেছে পুলিস। এদের রিমান্ডে কলকাতা এনে জেরা করা হবে। এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর।
প্রসূন গুপ্ত: মহেন্দ্র সিং ধোনি চলে যাওয়ার পরে ভারতীয় ক্রিকেট দল কেমন একটা ছন্নছারা ভাবে চলছে। রবি শাস্ত্রীর আমলে আইসিসির কোনও বড় ট্রফি নেই। বিরাট কোহলি অধিনায়ক হওয়ার পরে তাঁর মধ্যে সৌরভ গাঙ্গুলির আগ্রাসন দেখা গেলেও নিজের ফর্ম হারিয়ে গত দু-আড়াই বছর বড় রানের বাইরে। নেতৃত্ব ছেড়েও ফর্মে ফিরতে পারছিলেন না বিরাট। তবে এশিয়া কাপ এবং সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বড় রান তাঁকে হয়তো কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় দলে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ভালো খেলে দিলেও ধারাবাহিকতার অভাব। বিশেষ করে ডেথ ওভার বোলিংয়ে শামি, বুমরাহর অভাব দেখা যাচ্ছে। ব্যাটিংয়ে কেএল রাহুল অফ ফর্ম, কোনওদিন রান পাচ্ছেন রোহিত, কোনওদিন ফ্লপ।
এভাবেই ব্যাটিং চলছে, তবে এর মধ্যে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন সূর্যকুমার যাদব| বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলে রেকর্ড করলেন সূর্য। টি-২০ বিশ্বকাপের একটু স্বস্তিতে টিম ইন্ডিয়া। অন্যদিকে বোলিংয়ের অবস্থা তথৈবচ। ভুবনেশ্বর কুমারের মতো প্রতিভাবান বোলারের অফ ফর্ম ভাবাচ্ছে দ্রাবিড়দের। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে আর্ষদীপের বোলিং কিছুটা কমিয়েছে দুশ্চিন্তা। ঠিক কোন রহস্যে ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামিকে দলের বাইরে রাখা হয়েছে কেউ জানে না। আসলে ভারতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে বড্ড বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ড, বিশেষ করে উইকেট কিপিং, সব জায়গাতেই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ধারাবাহিক অফ ফর্মে থাকা ঋষভ পন্থ যেমন জায়গা পাচ্ছে। তেমনই জায়গা পাচ্ছেন দীনেশ কার্তিক।
গত তিন মাসে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতের ফল আশানুরূপ হলেও, আইসিসি টুর্নামেন্টে তীরে এসে তরী ডোবার ইতিহাস ভারতের সেই ২০১৪ থেকে। এদিকে, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে ভারত প্রতিকূল পিচে খেলবে। সেখানে গ্রিনটপ বা দ্রুতগামী বোলারদের উপযুক্ত উইকেটই অপেক্ষা করবে। এই মুহূর্তে আর্ষদীপের বল সুইং করেছে। চোটের কবলে জসপ্রীত বুমরা। এই মুহূর্তে দরকার উইকেট টেকার মহম্মদ শামিকে। প্রশ্ন উঠেছে মহম্মদ সিরাজকে নিয়েও। তিনি এত আশা জাগানোর পর কোথায়? প্রশ্ন উইকেটের পিছনে কে থাকবে পন্থ নাকি কার্তিক? এসব নিয়ে ভারতের এখনই ভাবা দরকার।