
প্রসূন গুপ্ত: মহেন্দ্র সিং ধোনি, ভারতীয় ক্রিকেটের এক কিংবদন্তি। সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কও বটে। তাঁর হাতেই উঠেছিল টি-২০ বিশ্বকাপ এবং সীমিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও। আইপিএল ট্রফিও উঠেছে বেশ কয়েকবার তাঁর হাতে অর্থাৎ চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে। মাঝখানে ১ বছর চেন্নাই দল না থাকায় অন্য দলে খেললেও ফের ফিরেছেন শ্রীনিবাসনের চেন্নাইতে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে খেলা শুরু সেই ২০০৪-এ, আজকে ২০ বছর বাদেও খেলে চলেছেন মাহি। ভারতের হয়ে ধাপে-ধাপে খেলা ছেড়েছেন প্রায় ৩-৪ বছর। বর্তমানে ধোনির বয়স ৪১-এর বেশি।
এই বয়সে সকলেই ক্রিকেট ছেড়ে দেন এমন নয়। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় তিনি ব্যাটার-উইকেট রক্ষক, যা তাঁকে ভয়ঙ্কর ব্যস্ত রাখে মাঠে। অনেকেই ভেবেছিলেন গত বছর হয়তো ধোনি খেলা ছেড়ে কমেন্ট্রি বক্সে চলে যাবেন। কিন্তু তিনি পরিষ্কার জানিয়েছিলেন তিনি খেলবেন। ওই যে বার্তা আছে 'যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো'। এ বছর ধোনিকে মাঠে খুবই ক্লান্ত লেগেছে। প্রথম খেলা পড়েছিল গুজরাত দলের বিরুদ্ধে। উল্টো দিকের অধিনায়ক তথা ভারতীয় দলের তরুণ তুর্কি হার্দিক পান্ডিয়াকে যতটা চনমনে লেগেছিল, ততটাই ক্লান্তি ছিল গুরু ধোনির মধ্যে।
ওই ম্যাচে হেরেছিল কিন্তু সোমবারের লখনৌ ম্যাচে জিতেছে চেন্নাই। খেলাটি যারা দেখেছেন তারা নিশ্চিত বলবেন, ধোনি কেন ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন। এটা ঠিক তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার। কিন্তু ফিনিশার মানে অন্তত ২০ ওভার ম্যাচে ১৫ ওভারের মধ্যে নামা উচিত, যা আগে নামতেন। কিন্তু এ বছর কোথায় তাঁর অবস্থান। যদিও ১২ রান করলেন দু'বলে এবং শেষ বলে আউট হলেন। তাই আরও আগে নামলে কী হতো জানা গেল না। এছাড়া উইকেটরক্ষক উইকেটের পিছনে বারবার বসবেন-উঠবেন। কিন্তু দেখা গেল ধোনি মোটামুটি দাঁড়িয়ে কিপ করছেন। এটা থেকে মনে হওয়া স্বাভাবিক বয়স তো হলো এবার নোঙ্গর ফেলো ধোনি।