
আমেরিকার মেজর লিগ সকারে খেলতে নেমেই ম্যাজিক দেখিয়েছেন লিওনেল মেসি৷ ইন্টার মায়ামির জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই অনবদ্য ফ্রি-কিক থেকে গোল করেছেন তিনি। মেসির গোল দেখে মুগ্ধ মার্কিন মুলুকের সেলিব্রিটিরা। আর্ন্তজাতিক এবং ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে এটি তাঁর ৮০৮ তম গোল। এই বিশেষ মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ৮০৮টি ছাগল দিয়ে লিও মেসির মুখ আঁকল একটি সংস্থা।
আর্জেন্টিনার জাদুকরকে অনেকেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবল বলে মনে করেন। গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম বা সংক্ষেপে 'GOAT' (গোট) বলা হয় মেসিকে। তাই এই অভিনব উদ্যোগ। ৮০৮টি ছাগল একসঙ্গে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাতে উপর থেকে দেখলে মেসির মুখ বলে মনে হয়। এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়।
প্রথম ম্যাচের পরেই মেসিতে মন্ত্রমুগ্ধ আমেরিকা। ক্রুজ আজুলের বিরুদ্ধে ইন্টার মায়ামির হয়ে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নামেন মেসি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক থেকে ঝলসে ওঠে তাঁর পা। মেসির গোল দেখে আপ্লুত সেরেনা উইলিয়ামস, কিম কার্দাসিয়ান, সস্ত্রীক ডেভিড বেকহ্যাম সহ সেলেব্রিটিরা।
মেসি রইলেন মেসিতেই। ময়দানে যেমন মেসির পদক্ষেপ বোঝা দায়, জীবন সিদ্ধান্তেও মেসি ঠিক ততটাই 'আনপ্রেডিক্টেবল'। পিএসজির পর মেসি (Lionel Messi) কোন ক্লাবে যাবেন তা নিয়েও টানটান উত্তেজনা বজায় রেখে চলেছেন এখনও। যদিও সম্প্রতি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে মেসি বলেছেন, 'আমি ইন্টার মায়ামিতে (Inter Miami) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু বিষয়ের হিসেবে মিলছে না। তবুও আমি ঠিক করেছি আমার ফুটবল যাত্রা মায়ামিতেই জারি রাখব।'
প্যারিস সেন্ট জায়ান্ট দলের সঙ্গে যে মেসির বনিবনা হচ্ছে না, সেই খবর ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। পিএসজিতে থাকাকালীন মেসি চুক্তি ভেঙে সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন। শোনা গিয়েছিল, সৌদিতে আল হিলালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন মেসি। যদিও তেমনটা হয়নি। পিএসজি দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবারও প্রত্যাবর্তন করেছিলেন মেসি। অনেকে মনে করেছিলেন, সমস্যা মিটিয়ে হয়তো পিএসজির সঙ্গে আবারও নয়া চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারেন মেসি। কিন্তু তিনি তো মেসি। আনপ্রেডিক্টেবল।
মেসি আগেই জানিয়েছিলেন তিনি আর কোনও ইউরোপীয় দলে খেলতে চাইছেন না। যদি চাইতেন তবে বার্সেলোনাতেই ফিরতেন। ফুটবল কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে মেসি আমেরিকান দলে খেলতে চেয়েছিলেন। এদিকে ক্লাবগুলি মুখিয়েছিলেন মেসিকে দলে টানার জন্য। শেষ পর্যন্ত ইন্টার মিয়ামির সহকর্তা ডেভিড বেকহ্যাম নাকি তুরুপের তাস তুলতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামির চুক্তি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি যে মেসি মায়ামিতেই যাচ্ছেন। তাই এখনও মেসি ভক্তদের কিছুটা সবুর করতে হবে। কারণ তিনি তো মেসি। পরবর্তী পদক্ষেপ বোঝা দায়।
বিদায় মেসি (Lionel Messi)। আধুনিক ফুটবলের রাজকুমারকে সরকারি ভাবে গুডবাই করে দিল তাঁর ক্লাব প্যারি সাঁজা (PSG)। শনিবার শেষ ম্যাচ খেলেই মাঠ ছেড়েছিলেন লিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এক ভিডিও পোস্টে ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, সাতবারের ব্যালন জয়ীকে ধন্যবাদ। এই কয়েক বছরে মেসি তাদের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিল। মেসির জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং লিগ ওয়ান খেতাব জয় বলেই জানিয়েছে ফরাসি এই ক্লাব।
সবাই ভেবেছিলেন নিজের সেরাটা দিয়েই প্যারিসকে বিদায় জানাবেন। কিন্তু ফরাসি ক্লাবের শেষ দিনে তিনি আটকে গেলেন। তিনি লিওনেল মেসি। লিগ জেতা হয়ে গিয়েছিল। তবু শেষ ম্যাচে হেরে শেষ হল তাঁর প্যারিসের শেষ রাত। লিগের শেষ ম্যাচে ক্লেরমের কাছে তিন-দুই গোলে হেরেই লিগ জয়ের উৎসব মঞ্চে উঠতে হল এমবাপে, নেইমারদের। আর একরাশ বিষন্নতা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন লিওনেল মেসি।
এই ম্যাচ ছিল মেসির পাশাপাশি সার্জিও রামোসেরও শেষ ম্যাচ। তাই উৎসবের আবহে শুরু হয়েছিল। পরিবার নিয়ে প্যারিসকে শেষ বিদায় জানাতে মাঠে নেমেছিলেন লিও। তবে এই ম্যাচে আরও একজনও জায়গা করে নেনে তিনি সার্জিও রিকো। যিনি ফরাসি এই ক্লাবের হয়ে একটি ম্যাচও খেলেননি। কিন্তু দুর্ঘটনায় জখম রিকো এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তাই তাঁর জন্য এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন সাঁজার ফুটবলাররা।
পিছিয়ে থেকে শুরু। তারপর আবার ম্যাচে ফিরে আসা। সবকিছুই হল। কিন্তু মেসি যেন আনমনা। দ্য লাস্ট ইভনিং আ প্যারিস। বর্ষা আসার আগেই মেসি চলে যাচ্ছেন। আরও যেন মন ভার কবিতার এই শহরের। কারণ সবুজ গালিচায় কে চালাবেন ওই সূক্ষ্ম কলম। যার থেকে তৈরি হবে ফুটবলের নানা ছড়া এবং ছন্দ।
এই মরশুমেই শেষ। ফরাসি ক্লাব প্যারিস সাঁ জাঁ ছাড়ছেন লিওনেল মেসি। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়ে দিলেন ক্লাবের কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ে। প্যারিস ছাড়লেও মেসি কোন ক্লাবে যাচ্ছেন, তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার পিএসজির কোচ গালতিয়ে জানিয়েছেন, "ফুটবল ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়কে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা পেয়েছি। শনিবার ঘরের মাঠে ক্লেমন্টের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলবেন।" মে মাসের শুরুতেই পিএসজি ছাড়ার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। পিএসজি-কে এই সিদ্ধান্ত জানান মেসির বাবা। সৌদি আরবের আল হিলাল ও মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামি মেসিকে নিতে আগ্রহী। তালিকায় রয়েছে মেসির প্রাক্তন ক্লাব বার্সেলোনাও।
২০২০ সালে বার্সা ছাড়়েন লিওনেল মেসি। ২ বছরের চুক্তি ছিল তাঁর। প্রথম মরশুম ভাল কাটলেও দ্বিতীয় মরশুম থেকে সমস্যা হচ্ছিল। পিএসজি সমর্থকদের বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়। বিশ্বকাপ জয়ের পর সেই বিদ্রুপ আরও বাড়ে। এরই মধ্যে ক্লাবকে না জানিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া নিয়ে মেসিকে নির্বাসিত করে পিএসজি।
ফুটবল তারকা লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) ইংরেজিতে 'আনপ্রেডিক্টেবল' বললে খুব একটা ভুল হবে না। ফুটবলের ময়দানে যেমন তাঁর পদক্ষেপ বোঝা দুষ্কর, ঠিক তেমনভাবেই মেসির জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ আগে থেকে বোঝা কঠিন। কিছুদিন আগেই প্যারিস সেন্ট জার্মান ক্লাব মেসিকে দু সপ্তাহের জন্য দল থেকে স্থগিত করেছিল। মেসির অপরাধ, দলের অনুমতি ছাড়া সৌদি আরব সফরে যাওয়া। এরপর জল্পনা শুরু হয়েছিল, পিএসজি (PSG) নিয়ে মেসির মনেও ক্লেদ জমেছে। চারিদিকে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, তিনি যোগ দিতে পারেন সৌদির ক্লাব 'আল হিলাল'এ। কিন্তু শনিবারই খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন হতে পারে পিএসজিতেই।
দলের সঙ্গে সমস্ত অভিমান মিটিয়ে নিতে এগিয়ে আসেন মেসি নিজেই। ক্ষমা চেয়ে বলেন, 'ভেবেছিলাম খেলার পরে ছুটি নেব। একটি ট্রিপ আগে থেকেই ঠিক হয়েছিল। আমি তা বাতিল করতে পারিনি, কারণ আমি আগেও সৌদি সফর বাতিল করেছিলাম। আমি আমার দলের সহযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চাইছি এবং দলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।'
অন্যদিকে বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসিকে হাতছাড়া করতে চাইছে না প্যারিস সেন্ট জার্মান দল। তাঁরাও চাইছে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরুক। আসন্ন ঘরের ম্যাচের জন্য নাকি শীঘ্রই ক্লাবের মাঠে অনুশীলনে ফিরবেন মেসি। পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফে গালতিয়ের একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'আমার মেসির সঙ্গে কথা হয়েছে। সে খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। আগামীকাল থেকেই অনুশীলন শুরু করবেন।'
যদিও মেসি যে পিএসজিতে থাকছেন তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। জুন মাস পর্যন্ত পিএসজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তিনি। এরপর মেসি সেখানেই থাকবেন, না কি নীল জার্সি ছেড়ে গায়ে পরবেন আল হিলালের জার্সি। তা এখনও বলা যায় না। কারণ ফুটবলের ঈশ্বরের গতিবিধি 'আনপ্রেডিক্টেবল'।
সৌদি আরব ভ্রমণে গিয়ে বিপাকে পড়লেন মেসি (Lionel Messi)। প্যারিস সেইন্ট জার্মান (PSG) ক্লাব কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড (Suspended) করল তাঁকে। খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁকে সৌদি আরব যাওয়ার অনুমতি দেননি, তা সত্বেও সেখানে গিয়েছেন তিনি। তাই জন্যই শাস্তি ভোগ করতে হল মেসিকে। আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য মেসিকে মাঠের বাইরেই থাকতে হবে। এই শাস্তির জেরে মেসি বাদ যেতে পারেন আসন্ন দুটি ম্যাচ থেকে। এমনকি এই দুই সপ্তাহে মেসি ক্লাবের মাঠে খেলতে পারবেন না, ট্রেনিং দিতেও পারবেন না।
জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ানকে শাস্তির এই দুই সপ্তাহে ক্লাবের তরফ থেকে পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে না। চলতি বছরের জুন মাসে পিএসজি অর্থাৎ প্যারিস সেইন্ট জার্মানদের সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হচ্ছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ মেসির সঙ্গে আবারও নতুন করে চুক্তি করার কথা ভাবছিল, এরই মধ্যে ক্লাবের নির্দেশকে অমান্য করে সৌদি গেলেন মেসি। এই ঘটনাকে ইঙ্গিতবহ মনে করছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, মেসি বোধহ্য় নিজেই পিএসজিতে আর থাকতে চাইছেন না।
এর আগে গুঞ্জন উঠেছিল মেসি বার্সেলোনায় ফিরে যেতে পারেন। এমনকি বার্সেলোনার প্রাক্তন সতীর্থদের সঙ্গে ডিনারে গিয়েছিলেন তিনি। সেই নিয়েও কম চর্চা হয়নি। সম্প্রতি মেসি সৌদি গিয়েছিলেন সেখানকার পর্যটনের হয়ে প্রচার করতে। নেটিজেনদের প্রশ্ন, 'মেসি কী শুধুই এই কারণে আরবে গেলেন?' অনেকে মনে করছেন, মেসি সৌদি আরবের ক্লাব 'আল হিলাল'-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন। তাই বর্তমান ক্লাবকে অমান্য করেই তাঁর এই যাত্রা।
নয়া পালক কিং খানের (King Khan) মুকুটে। টাইম পত্রিকার (Time Magazine) বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন অভিনেতা শাহরুখ খান। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এসআরকে (Shah Rukh Khan) ভক্তদের মনে খুশির জোয়ার। শুধু তিনি শীর্ষস্থানেই নেই, ছাপিয়ে গিয়েছেন লিওনেল মেসি, ইলন মাস্ক, মার্ক জুকারবার্গের মতো তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বদের।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি কে, তা জানতে এক সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় মোট ১২ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন এতে। এরপর মোট ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে সেরার সেরা হয়েছেন এসআরকে। অর্থাৎ মোট ৫০ হাজার মানুষের ভোট পেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়েছেন।
প্রথম স্থানে শাহরুখ থাকলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে একজন করে নেই। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইরানের নারীরা ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিশ্বের সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইরানের নারীরা যেভাবে সেদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে আসছেন, তার জন্য তাঁরা দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর যেভাবে কোভিড মহামারীর সময় সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যের সেবা করে গিয়েছেন তাঁরা প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল। পঞ্চম স্থানে লিওনেল মেসি।
২০২২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি ক্লাব ফুটবলে নিজের ৭০০তম গোলটি করে ফেললেন রবিবার রাতে। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে মার্সেইলের বিপক্ষে পিএসজি জয় পায় ৩-০ গোলে। প্রথম গোলটি করেন ফরাসি তারকা এমবাপে। ২৯ মিনিটে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন প্রাক্তন বার্সা তারকা মেসি। দলের পক্ষে শেষ গোলটি আসে সেই এমবাপের পা থেকেই। গত ডিসেম্বরে বার্সেলোনা থেকে পিএসজি-তে আসার পর এটা তাঁর নতুন ক্লাব জার্সিতে ২৮ তম গোল। ১৩ বছর বয়সে কাতালান ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন মেসি।
সেই জার্সিতে ৭৭৮টি ম্যাচ খেলে ৬৭২টি গোল করেছিলেন এলএম-১০। ৭টি ব্যালন-ডি-ওর পাওয়ার রেকর্ডও তাঁরই দখলে। পাশাপশি বার্সেলোনার হয়ে ৩৫টি প্রতিযোগিতামূলক ট্রফি জিতেছিলেন মেসি। ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের খেতাবও তাঁরই পকেটে আসছে বলেও ফুটবল বিশ্বে খবর। দেশের হয়ে ৯৮টি গোল করে রেকর্ডের সামনে দাড়িয়ে রয়েছেন লিও। ১০০টি গোল করলেই তিনি হবেন তৃতীয় আর্জেন্টাইন, যিনি ১০০টি গোলের মালিক হবেন। স্বভাবতই মেসি প্রেমীরা উচ্ছসিত এই সাফল্যে।
লিওনেল মেসি (Lionel Messi), পেলে (Pele), মারাদোনার (Diego Maradona) পর সর্বকালের শ্রেষ্ঠদের মধ্যে পড়েন। হয়তো বিতর্ক হতে পারে, হয়তো আরও অনেক নাম উঠে আসবে। কেউ বলবেন তাহলে রুড গুলিতের নাম বা জিদান বাদ কীসে? কেন আসবে না রোনাল্ডো অর্থাৎ সিআর ৭-এর নাম। আরও এই গোত্রীয় অনেক অনেক নাম আছে নিশ্চই যাঁরা বিশ্ব ফুটবলকে (Football World Cup) সমৃদ্ধ করেছেন। তর্ক থাকুক। কিন্তু একটি বিষয় জানতে হবে, এই তিন কিংবদন্তি একাই একটি দল অর্থাৎ একাই দলকে টেনে নিয়ে ফাইনালে যেতে পারেন।
পেলের খেলা আজকের অনেকেই দেখেননি হয়তো। ওই সময়ে খেলার গতি আজকের মতো দ্রুতগামী ছিল না কাজেই পেলে গোলমুখে যেতে অসংখ্য ড্রিবল ডজ করে গোল করতেন। পেলের মতো দৃষ্টিনন্দন গোল খুব কম দেখা গিয়েছে। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক লেভ ইয়াসিন বলেছিলেন যে, পেলে কোন দিক থেকে গোল করে দেবে বোঝাই যায় না। এই পেলে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের খেলোয়াড়।
মারাদোনা এই তিন জনের মধ্যে সব থেকে প্রতিভাবান। তিনি টিপিকাল স্ট্রাইকার ছিলেন না বরং এটাকিং মিডফিল্ডার ছিলেন। অসংখ্য গোল করেছেন বহু খেলোয়াড়কে কাটিয়ে এবং করিয়েছেন। মারাদোনা একাই দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন বিশ্বকাপে তা বলে ফেলা যায়।
উল্লেখিত, দুই খেলোয়াড় আজ আর নেই, কিন্তু ফুটবল আলোচনায় নিয়মিত আছেন। মেসি এঁদের তালিকার অন্যতম। অসম্ভব পায়ের কাজ। যখন যে কোনও দিক থেকে আক্রমণে যেতে পারেন। ঠিকানা লেখা পাস ইত্যাদি তো আছেই সঙ্গে এ বছর দেখা গেলো অসম্ভব মনের জোর নিয়ে তিনি আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করলেন। এবারে কাতার বিশ্বকাপের শুরুতেই জানিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাঁর দেশ তথা দলের কোচ লিও স্কালোনির ইচ্ছা তিনি পরের বিশ্বকাপটিও খেলুন।
মনে রাখতে হবে ফুটবলে ৩৫/৩৬ বছর হয়ে যাওয়া মানে এবার খেলা ছাড়ো। মেসির বয়স এখন ৩৫, ৪ বছর পর ৩৯। অসম্ভব এই খেলা ধরে রাখা। ১৯৯৪ এ মারাদোনা এক প্রকার জোর করেই বিশ্বকাপ খেলেছিলেন, কিন্তু তাতে তাঁর বদনামই হয়েছিল। মেসি বুদ্ধিমান, অনেক বেশি পেশাদার এবং নিজের বিষয়টি বোঝেন ভালো। কাজেই কোচ যাই বলুন মেসিকে আর বিশ্বকাপে হয়তো দেখা যাবে না।
প্রসূন গুপ্ত: একটাই স্বপ্ন ছিল আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসির, কোনও একদিন বিশ্বকাপটি তাঁর হাতে ওঠে। স্বাভাবিক, বিশ্বসেরা তিন খেলোয়াড়ের মধ্যে সদ্য প্রয়াত পেলেকে বলা হয় সম্রাট, মারাদোনাকে রাজপুত্র এবং মেসিকে সুলতান বা রাজা। সমকালীন অনেক খেলোয়াড়ই এই তিন কিংবদন্তির সময়ে ছিলেন। কিন্তু এঁরা বিখ্যাত হয়েছেন একক শক্তিতে বা পায়ের জাদুতে দর্শকের ভোটেই। পেলে একমাত্র ফুটবলার, যিনি তিন-তিনবার বিশ্বকাপ পেয়েছেন। মারাদোনা ১৯৮৬-তে এবং অবশেষে মেসি খেলোয়াড় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে। ২০০৬ থেকে নিয়মিত বিশ্বকাপ খেললেও এতদিন লাগলো কেন মেসির, উঠছে এমন প্রশ্ন। আসলে আর্জেন্টিনার গাঁট জার্মানি দল। ৮৬-র ফাইনাল বাদ দিলে এই জার্মানি কতবার যে আর্জেন্টিনার মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে তা নিয়ে রেকর্ড বই ঘাঁটার দরকার নেই। দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন ৯০-এ মারাদোনা, ২০১৪-তে মেসি।
১৯৮৬-র বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়মিত পায়ের জাদু দেখানো মারাদোনাকে বোতলবন্দি করে রেখেছিলো তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। কিন্তু তাঁকে লক্ষ্য রাখতে গিয়ে বাকিদের ঢিলে পরে যাওয়াতে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জিতেছিল। পরে ৯০-তেও ফাইনালে মারাদোনাকে আটকে দিয়েছিলো এই জার্মানিই। মেসির ২০০৬-০এ তেমন নাম ধাম ছিল না, কিন্তু উঠতি খেলোয়াড় ছিলেন তো বটেই। ২০১০-এ মেসির আর্জেন্টিনাকে জার্মানি কোয়ার্টার ফাইনালে ৪ গোল দিয়ে বিদায় করেছিল। ২০১৪-র ফাইনালে মেসিকে বল নিয়ে ড্রিবলিং বা পাসিং করতেই দেয়নি জার্মান ডিফেন্স। ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ১১৩ মিনিটের মাথায় গোৎজের গোলে আর্জেন্টিনা ১ গোলে হারে।
এবারে মেসি বলেই দিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। কাজেই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মতোই জানপ্রাণ লড়িয়ে সারা টুর্নামেন্ট খেললেন নেতার মতোই। অবশেষে ঐতিহাসিক ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বৈরথে টাই-ব্রেকে জয় পায়ে মেসি বাহিনী। ট্রফিতে পেলেনই সঙ্গে বিশ্বকাপ ইতিহাসে নামটিও তুলে ফেললেন। সেই রাতে ঘুমের সময়ে নাকি মেসি বিশ্বকাপটি সঙ্গে নিয়ে শুয়েছিলেন।
তাঁর ফেসবুকে সে ছবিই পোস্ট করেছিলেন। এরপর তাঁর ক্লাব ফ্রান্সের পিএসজিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বর্তমানে দেশে এবং এই সময়ে আর্জেন্টিনায় গ্রীষ্মকাল। সারা বছর শীতের দেশে থাকা মেসি গরমকাল উপভোগ করছেন স্ত্রী এবং ৩ পুত্রের সঙ্গে। এই ছবিও পোস্ট করেন মেসি দ্য গ্রেট।
মেসির হাতে বিশ্বকাপ (World Cup 2022)। কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ের টাইমলাইনে চিরিকালীন হয়ে থাকবে নীল-সাদার বিশ্বকাপ জয়ের ছবি। আন্দাজ করাই গিয়েছিল বড়দিনের উৎসব এবার বেশ জমিয়ে হবে বুয়েনস এয়ার্সে। রোজারিওর মেসির (Lionel Messi) প্রাসাদে বড়দিনের (Christmas Day) আনন্দ উপভোগ করতে সপরিবারে ছুটে এসেছিলেন লুই সুয়ারেজ (Luis Suarez)। রোজারিওর রাজকুমারের পারিবারিক ছবিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। ক্রিসমাস পোশাকে বড়দিন উপভোগ করছেন লিও। রয়েছেন তাঁর স্ত্রী আর তিন সন্তান।
মেসি সম্পর্কে বিশ্ব ফুটবলে চেনা তত্ত্ব, যত বড় ফুটবলার, তত বড় মানুষ। বিনয়ী, আদ্যন্ত ফ্যামিলি ম্যান। ছোটবেলার বান্ধবী আন্তনেলা রাকুজ্জকে পরবর্তীকালে বিয়ে করেছেন। ২০০৯ সালে প্রথম তাঁদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে। লা লিগায় বার্সা-এসপানিওল ডার্বির পরে নিজেই ঘোষণা করেছিলেন ফুটবল রাজপুত্র। মেসি আর অন্তনেলার তিন সন্তান। থিয়াগো, মাতিও আর সিরো।
সুখের সংসারের ছবি কাতার বিশ্বকাপে দেখেছেন ভক্তেরা। শুধু তাই নয়। মায়ের ছবি নিজের হাতে ট্যাটু করে রেখেছেন মেসি। নিজের বন্ধু বৃত্ত সম্পর্কেও অত্যন্ত সচেতন লিও। উরুগুয়ের মেগাস্টার সুয়ারেজ অন্তরঙ্গ বন্ধু। সুয়ারেজের স্ত্রী সোফিয়া বালবি আবার মেসির স্ত্রীর ব্যবসার অংশীদার।। সেখানেও অটুট বন্ধুত্ব। সবমিলিয়ে মেসির পারিবারিক জীবনের গল্প কম আকর্ষণীয় নয়। বড়দিনে বেঁচে থাকুক পরিবারের গল্প। ঘরে ঘরে পূর্ণতা পাক ভালোবাসা।
রোজারিওর নতুন অতিথি কে জানেন? বড়দিনের আগে নতুন অতিথিকে নিয়ে সরগরম রোজারিও (Rosario)। আর্জেন্টিনায় লিও মেসির (Lionel Messi) জন্ম ওই রোজারিওর পাড়ায়। বিশ্বকাপ (World Cup 2022) জেতার পর দেশে ফিরেছে আর্জেন্টিনা দল। ডি মারিয়া, মার্টিনেজ, আকুনাদের স্বাগত জানাতে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিলেন বুয়েনস এয়ার্স রাজপথে। ভিড়ের চাপে কপ্টারে করে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয় ফুটবলারদের।
রোজারিওর কেন্টাকি কান্ট্রি ক্লাবে রয়েছেন মেসি ও পরিবার। বড়দিনে উৎসবের আগেই পরিবার সহ পৌঁছে গিয়েছেন লুই সুয়ারেজ। উরুগুয়ে ফুটবলার একটা সময় বার্সায় খেলতেন। মেসির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই পরিবার একসঙ্গে বড়দিন উদযাপন করবে। সবমিলিয়ে সেলিব্রেশন মোডে ঢুকে পড়েছে মেসির আঁতুরঘর।
পাশাপাশি এবার টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের শুভেচ্ছাও পেলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের জাদুকর। সার্বিয়ান টেনিস তারকা ফাইনাল দেখেছেন। বিনয়ী মেসি জুনিয়রদের রোল মডেল। তাই মেসি কাপ জেতায় খুশি জোকার। নিজে সৌজন্য দেখিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লিও কে।
মুন্নি চৌধুরীঃ বিশ্বকাপ ফাইনালের কাউন্টডাউন শুরু। আজ, রবিবার রাতে লুসেইল স্টেডিয়ামে হবে চলতি বিশ্বকাপের (Qatar World Cup 2022) মেগা ফাইনাল ম্যাচ। মেসি (Lionel Messi) না এমবাপে (Kylian Mbappe)? কাপ উঠবে কার হাতে? বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে নানা ফ্যাক্টর নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে বসে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর্জেন্টিনা শিবিরে যেমন হঠাৎ উদয় হয়েছেন সেরগিও আগুয়েরো (Sergio Leonel Agüero)। সম্পর্কে দিয়েগো মারাদোনার জামাই। নীল-সাদা জার্সিতে খেলতে খেলতেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে তাঁর। খেলা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। আগুয়েরো ছিলেন লিও মেসির রুম পার্টনার। টিমের সঙ্গে খেলতে গেলে মেসির রুম পার্টনার হতেন তিনি। আগুয়েরো খেলা ছাড়ার পর নতুন কোনও ফুটবলার মেসির রুম পার্টনার হননি।
২০১০, ২০১৪ আর ২০১৮। তিনটে বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি। মেসির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে সেরগিও-র। ফাইনালের আগে আর্জেন্টিনা শিবির উড়িয়ে নিয়ে এসেছে আগুয়েরোকো। আর্জেন্টিনা অনুশীলনে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়। মেসির সঙ্গে রুম ভাগ করে থাকবেন তিনি। সেই নিয়ম আদায় করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। লিও মেসিকে তাজা রাখতে, মন ফুরফুরে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি নেই। মারাদোনার জামাই কি গুড লাক নিয়ে আসতে পারবেন?
কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই জোর গুঞ্জন এবার হয়তো শেষ বিশ্বকাপ মেসি, রোনাল্ডো, মড্রিচের। এই নামগুলোর মধ্যে শেষ দু'জন বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছেন। অর্থাৎ সিআর-৭ আর লুকা মড্রিচের কাতার বিশ্বকাপ জয় অধরা। তবে মঙ্গলবার রাতে স্বপ্নের খেলা খেলে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলে লিয়োনেল মেসি জানিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপে এটাই তাঁর শেষ ম্যাচ। পরের বিশ্বকাপে তিনি আর খেলবেন না। সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে দুরমুশ করে ফাইনালে আর্জেন্টিনা। ১৮ ডিসেম্বর লুসেইল স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ কে? ঠিক হবে বুধবার রাতে ফ্রান্স বনাম মরোক্কোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। কিন্তু প্রথমস সেমিফাইনালে ক্রোটদেওর বিরুদ্ধে একটি গোল করেন মেসি। আর আল্ভারেজ গোলের জন্য পাস বাড়িয়েছেন একটি।
মেসির বয়স ৩৫ বছর। পরের বিশ্বকাপ চার বছর পর অর্থাৎ ৩৯ বছর বয়সে পরের বিশ্বকাপ খেলতে হবে মেসিকে। যদিও ফুটবল বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ বলছে পেপে ৪০ বছর বয়সে কাতার বিশ্বকাপ খেলতে পারলে মেসি নয় কেন? যদিও আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালনি বলেছিলেন, মেসি পরের বিশ্বকাপ খেলবেন। কিন্তু মেসি নিজে জানালেন, এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। মেসিদেরকে কড়া মার্কিংয়ে রাখেন বিপক্ষের ফুটবলাররা। যে পরিমাণ চাপ মেসিদের নিতে হয়, যত বয়স বাড়ে সেই ট্যাকেল নেওয়ার ক্ষমতা কমে। এই বিশ্বকাপে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে নিষ্প্রভ দেখিয়েছে, পরের বিশ্বকাপে হয়তো মেসিকেও তেমন দেখাবে। সেটা হতে না দিয়ে এই বিশ্বকাপেই শেষ করতে চাইছেন তিনি। এমনটাই মত অনেক ফুটবল লিখিয়ের।
এদিকে, ১৯৮৬-র পর বিশ্বকাপ জেতেনি আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর পর আবার বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ তাদের কাছে। ২০১৪-তে আশা জাগিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। অতিরিক্ত সময়ের ১১৩ মিনিটের মাথায় জার্মানির গোটজের গোলে কাপ হাতছাড়া হয়ে আর্জেন্টিনার। এদিকে, আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেসি গোলদাতার তালিকায় এখন মেসি। মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত তাঁর আগে ছিল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। কিন্তু ১১ গোল করে বাতি গোলকেও ছাপিয়ে যান মেসি। এখন ১৮ ডিসেম্বর লুসেইল স্টেডিয়ামে সব চোখ থাকবে বিশ্ব ফুটবলের এলএম-১০-র দিকে।
সেমি ফাইনালে (Semi Final) সম্ভবত বিপক্ষের জোনাল বা ম্যান মার্কিংয়ে পড়বেন না লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) সেমিফাইনালের দিন দুই আগে এই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ক্রোয়েশিয়ার (Argentina-Croatia) ফুটবলার ব্রুনো পেটকোভিচ। চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচ থেকেই দেখা গিয়েছে, আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলতে নামলেই, তাঁর গায়ে সেঁটে থাকে বিপক্ষ দলের ফুটবলার। তিনি বল ধরে দৌড়লে পিছনে বিপক্ষ দলের অন্তত তিন জন থাকেন। আর্জেন্টিনার আক্রমণের স্তম্ভ লিওনেল মেসিকে আটকানোই এযাবৎকাল বিপক্ষ কোচের কৌশল হয়ে এসেছে। কিন্তু সেই কৌশল ভেদ করেই এখনও পর্যন্ত সফল বিশ্ব ফুটবলের এলএম-১০। এবার চলতি বিশ্বকাপে স্বপ্নের ফর্মে থাকা মেসিকেই কিনা আটকানোর পরিকল্পনা নেই ক্রোটদের?
এই প্রশ্নের জবাবে ব্রুনো জানান, 'আমরা মনে করি মেসিকে শুধু আটকালে হবে না। গোটা দলকে আটকাতে হবে। আমরা মেসিকে আটকানোর কোনও পরিকল্পনা এখনও করিনি। সাধারণত আমাদের ডিফেন্সের কৌশলের কোনও এক বিশেষ ফুটবলারকে আটকানোর চেষ্টা থাকে না। আমরা গোটা দলকে আটকানোর পরিকল্পনা করি।'
ব্রুনোর আশঙ্কা শুধু মেসিকে আটকালে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই টিম আর্জেন্টিনার আক্রমণের অন্য স্তম্ভদের আটকাতে চায় ক্রোয়েশিয়া। খানিকটা সেই ইঙ্গিত দেন ব্রুনো।