কেদারনাথের (Kedarnath Yatra) যাত্রাপথে ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কেদারনাথ যাওয়ার পথে নামল ধস (Landslide)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় কেদারনাথ যাত্রার রুটে গৌরীকুণ্ড এলাকায় এই ভূমিধস হয়। ধসের ফলে মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় একাধিক রাস্তা, চাপা পড়ে যায় একাধিক দোকান। প্রায় ১৩ জন যাত্রী চাপা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে রাজ্যের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
Landslide on #Kedarnath yatra route: Many are feared buried in the debris of shops that are destroyed due to a major landslide near Gaurikund on the Kedarnath yatra route in Uttarakhand's #Rudraprayag district. A team from the #SDRF has started the search and rescue operation. pic.twitter.com/SXtYPZX0GM
— Upendrra Rai (@UpendrraRai) August 4, 2023
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে অনবরত হয়ে চলেছে ভারী বৃষ্টি। রাতেই গৌরীকুণ্ড পোস্ট ব্রিজের কাছে প্রবল বর্ষণের কারণে ভূমিধস হয়। চাপা পড়ে যায় একাধিক দোকান। ধ্বংসস্তূপের নীচে ১০-১৩ জন যাত্রী চাপা পড়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধসের পরেই সেখানে তৎক্ষণাৎ পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজ শুরু করেছে তাঁরা।
রুদ্রপ্রয়াগের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অফিসার দালিপ সিং রাজওয়ার বলেন, '১০-১২ জন কেদারনাথ যাত্রী এই রাস্তায় ধসের জেরে চাপা পড়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধসের ফলে বড় বড় পাথরের চাঁই পড়ায় এলাকার তিনটি দোকান ধসে ভেঙে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টা ধকে গৌরীকুণ্ড এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। তার জেরেই এই ভয়াবহ ধস।' আরও জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁদের খুঁজতে অভিযান শুরু হয়েছে।
রেললাইনে ধসের জেরে বিঘ্নিত শিয়ালদহ মেন ও উত্তর শাখার ট্রেন চলাচল। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বুধবার শিয়ালদহ শাখার কাঁকুড়গাছি সংলগ্ন এলাকায় রেল লাইনে ধসের জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে, যার জোরে বাতিল হয়েছে উভয় শাখারই বেশ কিছু ট্রেন। পাশাপাশি যাত্রী ভোগান্তি তো রয়েছেই। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ওই এলাকায় মেরামতির জন্য ইতিমধ্যেই রেলের একটি দল কাজ করছেন। এছাড়া অন্য লাইন থেকে ট্রেন চালানো হচ্ছে। এবং শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে সূত্রের খবর।
গত সপ্তাহে পর ফের এ সপ্তাহে শুরুতে যাত্রী ভোগান্তিতে কিছুটা ক্ষুব্ধ সাধারণ নিত্যযাত্রীরাও। গত সপ্তাহের শুরুতে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বারাসতে পয়েন্ট খারাপের জন্য অফিসমুখী নিত্যযাত্রীরা সমস্যার মুখে পড়েন। এবার চলতি সপ্তাহে বুধবার সকালে কাকুরগাছিতে রেললাইনে ধসের জেরে বাতিল হয় শিয়ালদহ উত্তর ও মেন শাখার কিছু ট্রেন। এ ছাড়া প্রায় ৩ ঘন্টা দেরিতে চলছে বিভিন্ন ট্রেন।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্রচন্ড বৃষ্টির জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বুধবার সকালে নিত্যযাত্রী রাহুল বিশ্বাস, নিজের মাকে চিকিৎসালয় এবং তারপর অফিস যাবেন বলে বেরিয়ে ছিলেন। কিন্তু ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় সমস্যার মুখে পড়েন তিনিও। পাশাপাশি বুধবার সকালে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন থাকায় সমস্যার মুখে পড়েন অফিস যাত্রী শঙ্কর কর্মকার। তিনি বলেন, 'এভাবে প্রতি সপ্তাহে সমস্যা হলে চাকরি হারাতে হবে।'
ফের উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে নামল ধস। যার জেরে বন্ধ হয়ে গেল বদ্রীনাথ ও যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক। আটকে পড়েছেন বহু পুণ্যার্থী। বন্ধ রয়েছে যান চলাচলও। দ্রুত সেই রাস্তা সাফ করার কাজ চলছে। এর আগেও উত্তরখণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে একাধিকবার ধস নেমেছিল বদ্রীনাথে।
চামোলি জেলার পুলিস প্রশাসন সূত্রে খবর, বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে নন্দপ্রয়াগ এবং পুরসারির মাঝে ধস নেমেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ের একটি বিশাল অংশ রাস্তার উপর ভেঙে পড়েছে। একেবারে পাথরে ঢেকেছে জাতীয় সড়ক। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
Uttarakhand | Road near Nandaprayag and Pursari, on the Badrinath National Highway, blocked due to debris: Chamoli Police
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) July 25, 2023
(Video source - Chamoli Police Uttarakhand's twitter account) pic.twitter.com/CuaRBENKCS
টানা দু'সপ্তাহ ধরে উত্তরাখণ্ডে চলছে ভারী বৃষ্টি। এর আগেও বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে এই মরসুমে একাধিক বার ধস নেমেছে। যার জেরে ব্যাহত হয়েছে বদ্রীনাথ যাত্রাও। আবার ধস নামায় এই পুণ্যযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। অন্য দিকে, যমুনোত্রী জাতীয় সড়কও ধসের কারণে বেহাল। চার দিন বন্ধ হয়ে পড়ে এই জাতীয় সড়ক। টানা বৃষ্টির জেরে রাজ্য জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-সহ তিনশোরও বেশি রাস্তা বন্ধ। ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির কারণে বার বার ধস নামছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যার জেরে সাধারণ যাত্রী এবং পুণ্যার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়ছেন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত বেশ কিছুদিন চলবে ভারী বৃষ্টি। পর্যটকদের ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
ভারী বৃষ্টির ফলে ধস (Landslide)। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কঙ্কণ এলাকার রায়গড় জেলার খালাপুর তহসিলের ইরশালওয়াড়ি গ্রামে। এই ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে পাঁচ জনের এবং ধসের তলায় আটকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে বহু গৃহপালিত পশুও। ঘটনার জেরে ওই গ্রামে আটকে পড়েছে বহু পরিবার। তবে ইতিমধ্যে ধসে আটকে থাকা গ্রামবাসীদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল। পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্সও রাখা হয়েছে ঘটনাস্থলে।
এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। যার ফলে ধস নেমেছে। এই ঘটনার ফলে ওই গ্রামে আটকে পড়েছে প্রায় ৫০ টি পরিবার। তবে মোকাবিলা বাহিনীর তৎপরতায় ২৫ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার ফলে দাদা ভুসে এবং উদয় সামন্তের মতো কয়েক জন মন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। এমনকি এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে পারেন, এমনটাই জানা গিয়েছে ওই সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে।
ভারী বর্ষণের (Heavy Rainfall) ফলে বিপর্যস্ত পুরো উত্তর ভারত (North India)। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা (Flood) ও ধসে (LandSlide) প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। ধস, হড়পা বান ও বন্যার ফলে বহু ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড। এই রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হিমাচলে। সূত্রের খবর, সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়াও পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ৯ জন, রাজস্থানে ৭ জনের ও উত্তরপ্রদেশে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তর ভারত জুড়ে ভারী বর্ষণের ফলে বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক রাস্তা-ঘাট জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। ধসের ফলে ভেঙে গিয়েছে একাধিক বাড়ি, রাস্তা। এই পরিস্থিতিতে হিমাচলপ্রদেশে লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু রাজ্যবাসীদের বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেছেন। এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে আবার উত্তরাখণ্ডের অবস্থাও শোচনীয়। সেখানকার তীর্থযাত্রীদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
মঙ্গলবার দিল্লিতেও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ শিবির এবং কমিউনিটি সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকা এবং যমুনার জলস্তর নিরীক্ষণের জন্য দিল্লি সরকার ১৬ টি কন্ট্রোল রুম তৈরি করেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার তৈরি আছে বলেও জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
আবার পুরো উত্তর ভারতের এমন পরিস্থিতির জন্য মোট ৩৯ টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৪ টি টিম পঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশে ১২ টি ও উত্তরাখণ্ডে ৮ টি ও হরিয়ানার ৫ টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
গা শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য। পাহাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে বহু গাড়ি, এর মধ্যে পাশের পাহাড় থেকে পাথর দ্রুত গতিতে গড়িয়ে আসতেই দুমড়ে-মুচড়ে গেল তিনটি গাড়ি। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নাগাল্যান্ডে (Nagaland)। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ জন।
বেশ কয়েকদিন ধরেই নাগাল্যান্ডে অনবরত বৃষ্টি পড়ে চলেছে। এর ফলে জায়গায় জায়গায় ধস (Landslide) নামায় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তাই নাগাল্যান্ডের চুমোউকেদিমা নামক জায়গায় কোহিমা-ডিমাপুর জাতীয় সড়কে সারি সারি দাঁড়িয়ে ছিল একাধকি গাড়ি। এরপরই পাহাড়ের গা বেয়ে হঠাৎ বিশালাকৃতির পাথর এসে গুঁড়িয়ে দিল তিনটি গাড়ি। চোখের নিমেষে খেলনা গাড়ির মতো ভেঙে চুরমার হয়ে গেল দুটি গাড়ি ও একটি উল্টে যায়। এরপরই একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আহতদের ডিমাপুরের রেফারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসা চলাকালীন আরেক জনের মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির এক ব্যক্তির ফোনে এই ক্যামেরাবন্দি হয়। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়।
#WATCH | A massive rock smashed a car leaving two people dead and three seriously injured in Dimapur's Chumoukedima, Nagaland, earlier today
— ANI (@ANI) July 4, 2023
(Viral video confirmed by police) pic.twitter.com/0rVUYZLZFN
ফের ধসের (LandSlide) কারণে বন্ধ রাখা হল বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক (Badrinath National Highway)। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকালেই যানবাহন চলাচলের জন্য জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাত পেরোতেই ফের ধস। তাই আজ, শনিবার উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ জাতীয় মহাসড়ক আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ছিনকা এলাকায় সাত নম্বর জাতীয় সড়ক শনিবার বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার, ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার ফলে একই জায়গায় ভূমিধস হয় এবং বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির কারণে ছিনকার কাছে প্রবল ভূমিধসের কারণে সড়কের ১০০ মিটার অংশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আর এবারে ফের ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ রাখা হল। এর জেরে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক এবং তীর্থযাত্রী। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে রাস্তা খোলার কাজ শুরু করেছে।
ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত (upset) হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। বৃষ্টিতে ধস (LandSlide)নেমেছে বিভিন্ন রাস্তায়। সেইসঙ্গে হড়পা বানে বিপর্যস্ত এলাকা। এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত হয়েছেন ১০ জন। প্রবল বর্ষণে ৩০৩টি পশু মারা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যা থেকে দুর্যোগের কারণে মান্ডি এবং কুলুর মধ্যে সংযোগকারী জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। ১৫ কিমি রাস্তা যানজট। প্রায় ২০০ জন যাত্রী আটকে পড়ে। সোমবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে খবর।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওঙ্কার চাঁদ শর্মা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে ৩০৩টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিতে তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২৪টি রাস্তা। যদিও সম্পূর্ণ রিপোর্ট এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃষ্টির জেরে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মান্ডি জেলা। শিমলা ও সিরমাউর জেলাতেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে ।তিন জেলাতেই গাছ পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা। কেউ ধাবায় রাত কাটিয়েছেন। কেউ আবার বাসেই বসে থেকেছেন। হোটেল পাননি বলে খবর। আগামী দু’দিন হিমাচলে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মনি ভট্টাচার্য: উত্তরাখণ্ডে (Uttrakhand) ধস (Landslide) নতুন কিছু নয়। এবার ধসটা নামলো বদ্রীনাথের (Badrinath) রাস্তায়। বদ্রীনাথের পথে যোশীমঠের পাশে একটি গ্রাম হেলেঙ। সেখানে রাস্তায় ধসের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বদ্রীনাথ যাত্রা বন্ধ ছিল। যদিও এই ধসে কোনও মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে খবর।
কেদারনাথ-বদ্রীনাথ মন্দির কমিটির সভাপতি অজেন্দ্র অজয় সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছেন, 'যোশীমঠের আগে হেলেঙ নামক জায়গায় ধস নেমেছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।'
এ বিষয়ে চামোলী জেলার পুলিস সুপার প্রমেন্দ্র দোভাল সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'যোশীমঠের আগে হেলেঙ গ্রামে ধসের কারণে বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ রাস্তা বন্ধ ছিল। উত্তরাখণ্ড পুলিসের অগ্রিম প্রস্তুতি থাকে এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। বর্তমানে বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা খোলা আছে। পুণ্যার্থীদের কোনও অসুবিধা হবে না বদ্রীনাথ যেতে।'
মণি ভট্টাচার্য: 'দেখলাম হঠাৎ করে উপর থেকে একটা বরফের ঝড় এলো, মুহূর্তে সব শেষ।' ফোনে এ কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা রঞ্জিতাদেবী। তুষার ঝড়ে চাপা পড়েছিলেন তিনিও। বিপর্যয় মোকাবিলা দল তাকে এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত হয়ে, বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
ওই একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পাপাই সরকার নামে শিলিগুড়ির এক যুবক। যিনি তুষার ঝড়ের মধ্যে পড়ে আহত হয়েছিলেন। যাকে বিপর্যয় মোকাবিলা দলই ওই হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এদিন তিনি বলেন, 'আমরা গাড়িতে করে নাথুলার দিকে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ তুষার ঝড় এসে সব লন্ডভন্ড করে দিল। আমার সঙ্গে আমার বাদবাকি সহযাত্রীরা তারাও আহত।'
সিকিম পুলিস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আহতদের নিয়ে এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। মোট ১৩ জন আহতদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নয় জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর চার জন চিকিৎসাধীন বলে পূর্ব সিকিম পুলিস সূত্রে খবর। যাঁদের মধ্যে দুজন নেপাল এবং দু'জন শিলিগুড়ির বাসিন্দা। আহতদের জন্য ট্রমা কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করে, মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা চলবে বলে পুলিস জানিয়েছে।
দেখুন মৃত এবং আহতদের এক্সক্লুসিভ তালিকা:
সিএন-ডিজিটালের পক্ষে পূর্ব সিকিমের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, 'তুষার ঝড়ে ধসে যায় নাথুলা যাওয়ার একটি রাস্তা। ১৩ মাইল নামক এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩৫ নাগাদ একটি তুষার ঝড় হয়। স্থানীয়রাও উদ্ধার কার্যে হাত লাগিয়েছেন।' সিএন-ডিজিটালকে পূর্ব সিকিমের পুলিস সুপার তেনজিং লেপচা বলেন, 'এখনও অবধি এই দুর্ঘটনায় ৭ জন মারা গিয়েছে এবং এখনও অবধি বিপর্যয় মোকাবিলা দল ১৩ জনকে উদ্ধার করে এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।' মঙ্গলবার তিনি আরও বলেন, 'এই দুর্ঘটনায় কলকাতার প্রীতম মাইতি নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এবং সৌরভ চৌধুরী নামক এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে যিনি শিলিগুড়ির বাসিন্দা।'
মঙ্গলবার পূর্ব সিকিমের জেলা পুলিস প্রশাসনের অতিরিক্তি পুলিস সুপার সোনম দেচু বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের দুজন ছাড়াও ২ জন উত্তর প্রদেশের এবং ৩ জন নেপালের বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। অর্থাৎ ৩ জন মহিলা, একটি ৫ বছরের শিশু ও ৪ জন পুরুষ পর্যটক মারা গিয়েছেন।'
ধসে (Landslide) বন্ধ গ্যাংটকের (Gangtok) রাস্তা। এখন ভুল করেও যাবেন না ওই পথে। সিকিমের (Sikkim) প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার আবার বড়সড় ধস নামল পূর্ব সিকিমের ডিকচু জাং ওয়ার্ডে। যার ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল গ্যাংটক থেকে মনগান রোডের রাস্তা। গত ১১ থেকে ১৫ মার্চ নজিরবিহীন তুষারপাত হয়েছে উত্তর সিকিমে।
মরসুমের এমন তুষারপাত অতীতে খুব কমই দেখেছেন সিকিমবাসী। তারপর থেকে দফায় দফায় তুষারপাত হয়েছে, উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচল যত বারই শুরু হয়েছে, ততবারই তুষারপাত হয়েছে। পাশাপাশি রবিবার সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, টানা তুষারপাতের জেরে উত্তর সিকিমে আটকে ছিলেন বহু পর্যটক। ইতিমধ্যে প্রায় ১,৪০০ পর্যটককে উদ্ধার করেছে সেনা। রবিবারের এই ধসে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে ওই রাস্তা।
মালয়েশিয়ার (Malaysia) রাজধানী কুয়ালালামপুরের (Kuala Lumpur) উপকণ্ঠে সেলাঙ্গর রাজ্যে শুক্রবার ভোররাত ৩ টেয় ভূমিধসের (landslide) ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৫ বছরের শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত (Death)। এখনও নিখোঁজ ২০ জনেরও বেশি। সেলাঙ্গরের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, রাস্তার পাশের একটি ফার্মহাউসে ক্যাম্পিং করার সুযোগ রয়েছে। সেখানেই ক্যাম্পিং করতে গিয়েছিলেন একদল পর্যটক। সব মিলিয়ে তাঁরা ছিলেন ৯২ জন। এদের মধ্যে ৫৯ জনকে নিরাপদে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। নিখোঁজ ২২ জন এবং আহতদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানায় মালয়েশিয়ার ডিজাস্টার অ্যাসিসটেন্স অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ।
জেলা পুলিস প্রধান সুফিয়ান আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার অভিযানের জন্য বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ৪০০ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। অধি দফতরের পরিচালক নোরাজাম খামিস বলেছেন, ভূমিধসটি ক্যাম্প সাইটের আনুমানিক ৩০ মিটার (১০০ ফুট) উচ্চতা থেকে পড়েছিল এবং প্রায় এক একর (০.৪ হেক্টর) এলাকা জুড়ে ছিল।
এদিকে, জীবিতদের সন্ধানে ঘটনাস্থলে কাজ করছেন অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী কর্মীরা। উল্লেখ্য, সেলাঙ্গর হলো মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী রাজ্য এবং এর আগেও রাজ্যটি ভূমিধসের শিকার হয়েছে। এই অঞ্চলে এখন বর্ষা চলছে, তবে সেখানে গত রাতে কোনও ভারী বৃষ্টি বা ভূমিকম্পের মতো ঘটনা ঘটেনি। এক বছর আগে মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কিস্তওয়ার জেলার রাতলে (Ratle) জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের (hydroelectric project) সুড়ঙ্গে ভূমিধস (landslide)। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। ধসের ফলে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং আহত হয়েছেন ৬ জন। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং (Dr Jitendra Singh)।
জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ারের ডেপুটি কমিশনার দেবাংশ যাদব বলেছেন, "উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৪ জনের মৃতদেহ এবং ছয়জন আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।" এর আগে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র শর্মা বলেছিলেন যে, দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে নিযুক্ত প্রায় ৬ জনের একটি উদ্ধারকারী দলও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছিল।
রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হল জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কিস্তওয়ার জেলার চেনাব নদীর উপর একটি রান-অব-দ্য-রিভার প্রকল্প। ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির জন্য আনুমানিক ব্যয় হয়েছে ৫২৮১.৯৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটির জন্য ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট এবং নির্মাণ) চুক্তি এই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দেওয়া হয়েছিল।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাড়ির ছাদে পাহাড় ভেঙে (Landslide) মৃত্যু একই পরিবারের ৪ জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় ১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতাে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলি জেলায়। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে থরালি ব্লকের গাইনগড় গ্রামে।
গোটা এলাকা পাহাড়ি উপত্যকায় ঘেরা। তারই একপ্রান্তে ছিল বাড়িটি। আর বাড়িটির পাশেই ছিল পাহাড়। এদিন দুপুরে হঠাৎ এক বিশাল শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে দেখেন গ্রামের এক প্রান্তে বিশালাকার পাহাড়ের এক অংশে ধস নেমেছে। চারপাশ ধুলোয় ধুলোময় হয়ে ওঠে। সকলেই তখনই বুঝতে পারেন কী অঘটনটি ঘটে গেছে।
দ্রুত ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারের কাজ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ)-র সদস্যদের। তাঁরা এসে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য ১৫ বছরের যোগেশকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর পর ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একে একে উদ্ধার করা হয় বাচৌলি দেবী (৭৫), দেবানন্দ (৫৭), জ্ঞানানন্দ (৪৫) এবং সুনীতা দেবী (৩৭)-এর মৃতদেহ। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের প্রধান নন্দকিশোর জোশী শনিবার বিকেলে বলেন, ‘‘খবর পেয়েই দ্রুত উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছি ধ্বংসস্তূপের নীচে আর কেউ আটকে নেই।’’
ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয় উত্তরাখণ্ডে। তুষারধসের কবলে পর্বতারোহীরা। মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনার পর থেকেই চলছে উদ্ধারকাজ। দায়িত্বে সেনা, আইটিবিপি এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)।ঘটনায় কয়েক জন পর্বতারোহীর মৃত্যুর আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পুলিস সূত্রে খবর, তুষারধসে ২৯ জন পর্বতারোহী আটকে পড়েছেন। বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ইতিমধ্যে আট জনকে উদ্ধার করেছে। তবে বেসরকারি সূত্রের দাবি, কমবেশি চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া পর্বতারোহীর উত্তরকাশীর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং’ (নিম)-এর শিক্ষার্থী। রাজ্য পুলিসের ডিজি অশোক কুমার জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ প্রায় ১৬ হাজার ফুট উচ্চতার তুষারধসের খবর মেলে। এরপরেই রওনা হয় বায়ুসেনার কপ্টার। তিনি বলেন, 'এ পর্যন্ত আট পর্বতারোহীকে উদ্ধার করে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় একটি হেলিপ্যাডে নামিয়ে আনা হয়। তারপরে হেলিকপ্টারে তাঁদের দেরাদুনে আনা হয়েছে। আটক অন্য পর্বতারোহীদের খোঁজ চলছে।'