লেকটাউনের পরিত্য়ক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির কঙ্কাল। সোমবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে লেকটাউন ব্লক এ ৮৪৮ বি/১ এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম প্রশান্ত কুমার বড়াল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লেকটাউন থানার পুলিস গিয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রাস্তায় প্যান্ডেল করার সময় একজন পরিত্য়ক্ত ওই বাড়িটির মেঝেতে একটি কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় লেকটাউন থানায়। যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে একাই থাকতেন প্রশান্ত কুমার। প্রায় দুই থেকে তিন মাস তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না। তারপরে বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ।
তবে কীভাবে মৃ্ত্য়ু হল ওই ব্য়ক্তির এবং এই ঘটনার পিছনে কী রহস্য় লুকিয়ে রয়েছে তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে কঙ্কাল উদ্ধার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সাতসকালে সল্টলেকের জিসি ব্লকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতি। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগরের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা এবং বিধায়ক সুজিত বোস। দম্পতির দেহের পাশ থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট। সত্যিই কি আত্মহত্যা, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য। তদন্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, সল্টলেকের জিসি ব্লকের বাসিন্দা যদুনাথ মিত্র এবং তাঁর স্ত্রী মন্দিরা মিত্র বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। যদুনাথবাবু পেশায় চিকিৎসক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালে কাজ করতে এসে যুগলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন বাড়ির কাজের লোক। চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে দম্পতিকে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস আধিকারিকরা। আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসও।
তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে আসেন বিধাননগরের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা। তাঁর দাবি, দেহগুলির পাশ থেকে রান্নায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা রয়েছে, স্ত্রী মন্দিরা মিত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হন ডঃ জেএন মিত্র। ধারালো অস্ত্রের কোপে স্ত্রী মন্দিরা মিত্র-র মৃত্যু হলেও অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন স্বামী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? তা নিয়ে সন্দিহান পুলিস। তদন্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো নীল আলোযুক্ত গাড়ি নিয়ে চুরির অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার সল্টলেকে। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই গাড়িটিকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সল্টলেকের ইই-ব্লকের বাসিন্দা মহেন্দ্রনাথ সরকার বিধান নগর পূর্ব থানায় একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তাঁর বাড়ি থেকে তিনটি জেনারেটর চুরি গিয়েছে। সেই চুরির ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে বিধান নগর পুলিস।
এরপর অভিযোগকারীর বাড়ির ও বিধান নগরের বিভিন্ন জায়গার মোট ৩৭টি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিস। তারপরেই নীল আলো লাগানো গাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়। রবিবার উল্টোডাঙার বাসন্তী দেবী কলোনি থেকে ওই গাড়ির ড্রাইভার তপন রায়কে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক অভিযুক্ত বিমল ব্যাপারীর নাম জানতে পারে পুলিস। তারপর গ্রেফতার করা হয় বিমল ব্যাপারীকেও। আটক করা হয়েছে নীল আলো ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো গাড়িটিকে। সূত্রের খবর, এই গাড়িটি নবান্নে ভাড়ায় দেওয়া রয়েছে। গাড়িটির মালিকের সম্বন্ধে খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বিধান নগর পুলিস।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। একযোগে শহরের ৪ জায়গায় ইডি হানা। চৌরঙ্গীতে শঙ্কর আঢ্যর ফিনান্স অফিসে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি চাডার্ড অ্যাকাউন্সের অফিসেও যান গোয়েন্দারা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। এছাড়া কলিন স্ট্রিটে ত্রিনয়নী ফোর এক্স প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসেও হানা দেয় ইডি।
আগামী ২০ জানুয়ারি ফের রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শঙ্কর আঢ্যকে আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার আগে তল্লাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি ইডির। অরবিন্দ সিং যিনি শঙ্করের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছেন, সেই অফিস থেকে যাবতীয় ডিজিটাল এফিডেন্স হার্ডডিক্স চেক করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর আগে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শঙ্কর আঢ্য হাওয়ালার মাধ্যমে দেশে টাকা পাচার করতেন। তাদের মাধ্যমেই টাকা পাচার করতেন কিনা এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় করা হত কিনা তা জানতে তৎপর ইডি।
বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল শহর কলকাতায়। চাকরি দেওয়ার ফাঁদ পেতে প্রতারণার করার অভিযোগে এবারে গ্রেফতার এই চক্রের মূল পান্ডাকে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি সল্টলেকের। জানা গিয়েছে, এই চক্রের মূল পান্ডার নাম সুশান্ত নায়েক, রানাঘাটের বাসিন্দা।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ২২ মে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-এর বন্ধন ব্যাঙ্কের হেড অফিসের ফ্রড কন্টাইনমেন্ট এন্ড মনিটরিং ডিপার্টমেন্টের হেড মেহুল হাসমুখ লাল ঠাক্কার বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, তাঁদের ব্যাঙ্কের এক কাস্টমার ইপ্সিতা ভট্টাচার্য ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে একটি অভিযোগ করেন। যেখানে ঈপ্সিতা ভট্টাচার্য দাবি করেন, তিনি shine.com নামের একটি ওয়েবসাইটে চাকরির সন্ধান পান। এর পর সেখানে তাঁর সিভি জমা করেন এবং তার কিছুদিন পরেই সেই ওয়েবসাইটের তরফ থেকে তাঁকে মেইল মারফত জানানো হয় বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির বিষয়ে। সেই চাকরির জন্য তাঁকে যোগাযোগ করতে বলা হয় একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে। তিনি সেই মোতাবেক সেই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁকে বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয় এবং তাঁর কাছে বিভিন্ন খাতে টাকা চাওয়া হয়। তাদের কথায় বিশ্বাস করেন ও বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির আশ্বাস পেয়ে ওই চাকরিপ্রার্থী এক লক্ষ বাইশ হাজার টাকা সেই প্রতারকদের হাতে তুলে দেন। তার পরিবর্তে প্রতারক দল তাকে ফেক অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং ফেক অফার লেটার পর্যন্ত দেয়।
বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়, শুধু অফার লেটার বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ভুয়ো নয় তারা যে মেইল আইডি ব্যবহার করে মেইল করছে সেটিও ভুয়ো। এর পর পুলিস তদন্তে নামে ও এর আগেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তারপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মূল পান্ডার খোঁজ পায় পুলিস। তার পরেই মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে বিধান নগর কোর্টে তোলা হবে এবং পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।
কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজন বাংলাদেশি পর্যটকের। ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডে তাঁরা যে হাউজ বোটে ছিলেন, সেটি-সহ মোট পাঁচটি হাউজ বোট ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটের একটি হাউস বোটে আগুন লাগে। সেখান থেকে দ্রুত আশপাশের আরও ৪টি হাউজ বোটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে পাঁচটি হাউজবোট। আগুনের মধ্যে আটকে পড়ে ঝলসে মারা যান ওই বাংলাদেশী পর্যটকরা। এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার৷ প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।
কাশ্মীরের অন্যতম আকর্ষণ ডাল লেকের হাউজ বোটে থাকা। ভূস্বর্গের আনন্দ নিতে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশি পর্যটকরা৷ তাঁদের কেড়ে নিল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
দীপাবলির আগে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির অন্যতম পছন্দের জায়গা ডাল লেক। শনিবার ভোরে শ্রীনগরের এই টুরিস্ট হাবে বিধ্বংসী আগুন লাগে। পুড়ে ছাই কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। কাশ্মীরি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য নৌকাগুলিতেও। আগুনের গ্রাসে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ৫টি হাউসবোট এবং তিনটি ঘর। তবে এই ঘটনায় এখনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।কীভাবে, ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্বাভাবিকভাবেই হাউসবোডে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পর্যটকদের মধ্যে। কারণ শীতের মরসুমেই পর্যটকরা ভিড় জমায় ভূ-স্বর্গে। বহু পর্যটকই ডাল লেকে হাউসবোটে থাকে। ঐতিহাসিক এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন। সেই কারণে ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
কলকাতায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন এক মহিলা। লেকটাউনের এক নামী পুজো মণ্ডপের এলাকায় ওই মহিলার গলা থেকে হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা। পঞ্চমীর ভোর রাতেই ছিনতাইয়ের চেষ্টা বানচাল করল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো লেকটাউন থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, লেকটাউন থার্ড লেনের ঘটনা। লেক টাউনের একটি নামী পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করে থার্ড লেন দিয়ে হাঁটার সময় তিন যুবক তাঁকে অনুসরণ করতে থাকে। এরপরই সুযোগ পেয়ে ওই মহিলার থেকে গলার হার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তিনজন। মহিলার চিৎকারে হাতেনাতে তিনজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।
এরপরই লেকটাউন থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম মোহাম্মদ সিকান্দার, মোহাম্মদ ইমরান এবং মোহাম্মদ তাসলিম, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দা। আজ, বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। পুলিস তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
সল্টলেকের পূর্বাচল ক্লাসটার ফোর থেকে এক যুবকের পচাগলা ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম অরণ্য রায় (৩০)। প্রায় চার-পাঁচ মাস আগে পূর্বাচল-এর ক্লাসটার ফোরে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। মা ও ছেলে দু'জন মিলে থাকত সেখানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, দিন চারেক আগে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল ছেলের। তারপর থেকে চলে যায় তাঁর মা। এরপর শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হওয়াতে বিধান নগর দক্ষিণ থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিস এসে দরজা খুলে দেখে ঘরের মধ্যে ওই যুবকের মৃতদেহটি পচগলা অবস্থায় ঝুলছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, একটি গাড়ির লোন চলছিল ওই মৃত যুবকের। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান ওই লোনের জন্য কিংবা পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে এই মৃত্য়ুর পিছনে অন্য় কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রূপ বোধহয় একেই বলে। সিকিমের যেদিকেই চোখ যাচ্ছে, সেদিকেই শুধু ধ্বংসের ছবি। একের পর এক মৃতদেহ ভেসে আসছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হচ্ছে চাপা পড়ে যাওয়া গাড়ি, বাড়ি। ফের নতুন করে ধস নামছে। ইতিমধ্যেই সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯। তার মধ্যে ৬ জনই সেনা জওয়ান। নিখোঁজ প্রায় ১০৩ জন। উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে। এরই মধ্যে সিকিমের মানগান জেলায় সাঁকো চো হ্রদ ফেটে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ৩ হাজারের বেশি পর্যটক সিকিমে আটকে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ২৫০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ৬০০০ জনকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সিকিমের মুখ্য সচিব বিজয়ভূষণ পাঠক জানিয়েছেন, লাচেন ও লাচুং-এ প্রায় ৩,০০০ মানুষ আটকে পড়েছেন। ৭০০ থেকে ৮০০ জন ড্রাইভার সেখানে আটকে পড়েছেন। আমরা সেনা ও এয়ার ফোর্সের হেলিকপ্টার দিয়ে সবাইকে সরিয়ে নেব। যারা লাচেন ও লাচুং-এ আটকে পড়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ইন্টারনেটে ভয়েসের মাধ্যমে কথা বলিয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
এদিকে, সাকো চে লেক যে কোনওসময় ফেটে যেতে পারে। প্রায় ১.৩ কিলোমিটার লম্বা এই হ্রদ। আশেপাশে বেশ কয়েকটি এলাকায় বসতি রয়েছে। ফলে লেক ফেটে যাওয়ার আশঙ্কায় সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে সিকিম প্রশাসন।
সপ্তাহের শুরুতে সাতসকালে পথ দুর্ঘটনা। একটি চার চাকা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে উলটে গেল যাত্রীবোঝাই বাস। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ের দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাহত হয় যানচলাচল। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বাসে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, কেবি ১৬ রুটের একটি বাস গোদরেজ ওয়াটারসাইড থেকে করুণাময়ীর দিকে যাচ্ছিল। আর চার চাকা গাড়িটি নিউটনের দিক থেকে নিকো পার্কের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীবোঝাই বাসটি সিগন্যাল ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় আরএস সফটওয়্যার বিল্ডিংয়ের দিক থেকে আসা চার চাকা গাড়িটি সজোরে বাসে ধাক্কা মারে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই উলটে যায় বাসটি। এই ঘটনায় চার চাকা গাড়ির এয়ার ব্যাগ খুলে যাওয়ার কারণে রক্ষা পেয়েছে ওই গাড়িতে থাকা সকলে। এই ঘটনায় দু'জন বাইক চালকও আহত হয়েছেন।
কোনও ভাবেই যেন রোখা যাচ্ছে না ডেঙ্গি, এমনকি রোখা যাচ্ছে না মৃত্যুও। বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরও এক মহিলার। সূত্রের খবর, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সল্টলেকের বাসিন্দা প্রতিমা মণ্ডলের। বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি, বৃহস্পতিবার সকাল ৭:৫০ নাগাদ মারা যান তিনি।
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই শহর কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ জনের, সেই হারেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। একদিকে যেমন গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ প্রায় ৪০ হাজার ছুঁয়েছে। অন্যদিকে কেবল কলকাতাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁয়েছে। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি রুখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জেলাশাসকরা। এরপর নবান্ন কতৃর্ক গোটা রাজ্যের ডেঙ্গি রুখতে যত কর্মী কাজ করছেন সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকি এই কাজে পুলিসকেও হাত লাগাতে বলা হযেছ।
অন্যদিকে কলকাতা পুর এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। দুজনেই কলকাতার বিভিন্ন ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকা ঘুরে দেখেন। জমা জল বা ডেঙ্গির লার্ভা খোঁজের জন্য ড্রোনও ব্যবহার করে কলকাতা কর্পোরেশন কতৃর্ক। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার জরুরি বৈঠকে বসে কলকাতা পুরসভা। কলকাতার ১৬টা বোরোর স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ডেঙ্গি প্রতিরোধে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে? তা নিয়েই হয় এই বৈঠক।
বৈঠকের শেষে ডেপুটি মেয়র জানান, পুরসংস্থার তরফ থেকে টাকা খরচ করে পরিষ্কার করা হচ্ছে। অথচ কিছু অসচেতন মানুষ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। ফলে মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব বাড়ি থেকে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকটি বাড়িতে নোটিস পাঠানো হবে। প্রয়োজনে জরিমানাও করা হবে। জানান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি আরও জানান, ডেঙ্গি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে খিদিরপুর আরবান হেলথ সেন্টারে ফিভার ক্লিনিক করা হবে। যেখানে অতিরিক্ত ৪০টি বেড বাড়ানো হবে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ইসলামিয়া হাসপাতালেও ১০০টি বেড, ডেঙ্গি ফিভার ক্লিনিক হিসাবে ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে হেল্প লাইন চালুর ঘোষণাও করেন তিনি।
'বাবু, তুমি আর ছোট বাবু আমায় ক্ষমা করে দিও।' এমন মেসেজ করেন নিজের স্ত্রীকে। তার কিছুক্ষণ পর সল্টলেক সিটি সেন্টার ওয়ানের নিচে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। সূত্রের খবর, খবর পেয়ে পুলিস ওই দেহ উদ্ধার করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম চন্দন মণ্ডল। চন্দনের স্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবার সকালে তাঁকে একটি মেসেজে করেন তাঁর স্বামী। লেখেন, আর চাপ সহ্য করতে পারছেন না তিনি। এবং বলেন তিনি সংসারের চাপ আর নিতে পারছেন না।
সূত্রের খবর, মৃত চন্দন মণ্ডল একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী ছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি মানসিক চাপে ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। অভিযোগ বেশ কয়েকদিন ধরে ইন্ডিয়া ইভেন্ট নামক ওই কোম্পানির কর্মী চন্দনকে মানসিক হেনস্থা করতেন ওই সংস্থারই বস।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অসাবধানে পড়ে মারা যাননি চন্দন। এটি আত্মহত্যার ঘটনা। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করতেন চন্দন। সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁর স্বামীর উপর মানসিক চাপ তৈরি করেছিলেন। সংস্থার সিনিয়র আধিকারিক বিষ্ণু মুচ্ছলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।
বিমানবন্দরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে দুই মহিলা সহ মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের নাম ওই সংস্থার কর্ণধার সুমন মন্ডল এবং বৃষ্টি দাস। পুলিস ওই সংস্থায় তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার সহ বেশকিছু ভুয়ো নথি উদ্ধার করেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা শেখ আফতাব বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে জানান যে, ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর চাকরির খোঁজ করছিলেন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিজ্ঞাপন দেখে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সংস্থা থেকে বলা হয় চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরে কার্গো স্টাফের চাকরি দেওয়া হবে তাঁকে। সেইজন্যে তাঁর থেকে লক্ষাধিক টাকা দাবি করলেও তিনি ৪৬ হাজার টাকা জমা করেন। তারপরেও তাঁকে কোনও চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে প্রতারিত হচ্ছেন বুঝতে পেরে পুলিসের দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এসডিএফ বিল্ডিং এর ফার্স্ট ফ্লোরের সেই ভুয়ো সংস্থায় হানা দেয় পুলিস।
শনিবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়েছে। অভিযুক্তদের পুলিসি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় বলে পুলিস সূত্রে খবর। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস।
শতাব্দী প্রাচীন একটি দলের দায়িত্ব জন্মসূত্রে কাঁধে নিয়েও, 'গান্ধী' পরিবারের আর সকলের থেকে একটু ছক ভাঙা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কিন্তু ৫২ বছরের এই রাজনীতিকের বয়স যেন কেবলমাত্র একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিচ্ছুটি নয়। কেবল রাজনীতি নয় নিজের রকমারি 'মুডের' কারণে, লুকের কারণেও খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। তবে এবারে এক অন্য রূপেই দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। এই যেমন এবার তিনি তাঁর বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন লাদাখের (Ladakh) উদ্দেশে। আর সেখানে যেতেই একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করলেন তিনি। ক্যাপশেন লিখেছেন, 'বাবা বলতেন, এই জায়গা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সুন্দর জায়গা।'
সৌন্দর্যে মোড়া লাদাখের পাহাড়ি রাস্তায় খোশমেজাজে বাইক চালাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। মাথায় হেলমেট, পরনে বাইকারের পোশাক, চোখে আঁটা রোদ চশমা, পিঠে ব্যাগ নিয়ে খোশমেজাজে চালাচ্ছেন বাইক। লেহ-লাদাখে গিয়ে এক অন্য মুডেই ধরা দিলেন তিনি। তিন দিনের জন্য লেহ-লাদাখ সফরে গিয়েছেন ও সেখানে গিয়েই প্যাংগং লেকে যেতে তিনি তাঁর স্পোর্টস বাইককেই সঙ্গী করে নিয়েছেন। আর বেরিয়ে পড়েছেন লাদাখের অতুলনীয় সৌন্দর্য দেখতে।
তবে হেলমেট পরা অবস্থায় রাহুল গান্ধীকে চেনা বড় দায় ছিল। দেখে মনে হচ্ছে, ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্যের শ্যুটিং চলছে। একেবারে হলিডউ মুডে রয়েছেন রাহুল। কিন্তু হেলমেট খুলতেই স্পষ্ট হল তাঁর মুখ। উল্লেখ্য, ব্যাচেলর রাহুল গান্ধীর গ্যারেজে রয়েছে একটি কেটিএম ৩৯০ সি মডেলের বাইক। আর এটাতেই চেপে লাদাখের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তিনি। এই বাইকটির বাজারদর ২ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা।