ইদের দিন সকাল থেকেই কলকাতায় মেঘলা আকাশ। মার্চের শেষে এবং এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে দেখা গিয়েছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝিতে গিয়ে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে সেই তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়লে মিলছে অস্বস্তিকর গরম। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সামন্য় স্বস্তি পাওয়া গেলেও, এখনই গরমের হাত থেকে রেহাই নেই। রোদ না থাকলেও গরম বজায় থাকবে। এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার, ইদের দিন দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বাকি সব জেলায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকলেও অন্য়দিকে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলাতে থাকবে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে। সেই সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে বইতে পারে দমকা ঝড়ো হাওয়া।
এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে ব্যস্ত। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিস প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলছে নির্বাচন কমিশন। এমতাবস্থায় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বিমানবন্দর থানার পুলিস। বুধবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিস এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী থেকে এনামুল শেখ নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। ওই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল, এমনটাই খবর পান পুলিস আধিকারিকরা। কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে নিয়েই ধৃত দুষ্কৃতী ওই অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই খবরই গোপন সূত্র মারফত এসে পৌঁছয় বিমানবন্দর থানার পুলিসের কাছে। এরপরেই অভিযান চালিয়ে এনামুল শেখকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানার পুলিস।
বিমানবন্দর থানা পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার পাইপ গান ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দুষ্কৃতী নিউটাউন এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। ধৃতকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তাকে হেফাজতে পেলে তার থেকে জানার চেষ্টা করা হবে সে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল এবং কী ধরনের অপরাধের উদ্দেশ্যে তিনি এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল।
প্রস্তুতি তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার খুশির ইদ। এদিকে আবহাওয়ার ভাব গতি বোঝা বেশ কঠিন। কখনও চড়া রোদ-গরম, আবার কখনও বৃষ্টি। বুধবার ফের একবার চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তবে ইদের দিন রাজ্যের সমস্ত জেলাতে কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই হতে পারে বৃষ্টিপাত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময় উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার এই জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। শুক্রবার ও শনিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া এই সময় বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকতে চলেছে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবারও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানের কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার ও শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৬ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৫ শতাংশ।
বৃষ্টির জেরে সামান্য় স্বস্তি পেয়েছিল রাজ্য়বাসী। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। তারপর ধীরে ধীরে কিছুটা বাড়বে তাপমাত্রা। দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন ঝড়-বৃষ্টি জারি থাকবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। বৃহস্পতিবার ইদের দিন ফের কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলাতে। বাকি জেলাতে আংশিক মেঘলা আকাশ ও শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে।
অন্য়দিকে আজ ও কাল অর্থাৎ মঙ্গল-বুধবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেই সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। আগামী বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। মালদহ ও দিনাজপুরে আংশিক মেঘলা আকাশের সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।
আর মাত্র কিছুদিন পর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বোমা মেরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মেইল পাঠিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যা নিয়ে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রী- অভিভাবকদের মধ্য়ে।
স্কুল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো ইমেল-এ লেখা আছে, স্কুলের মধ্য়ে ক্লাসরুমেই রাখা আছে বোমা। আর সেই বোমা ফেটে বিস্ফোরণে উড়বে গোটা স্কুল। কলকাতার অভিনব ভারতী স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্রাবণী সামন্ত হুমকি মেইল পাওয়ার বিষয়টি সিএন-এর প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, বোমার মেইল জানাজানি হতেই নজরদারি শুরু করেছে পুলিস। ভোটের পরিস্থিতি নজর রাখার সঙ্গে এই মেইলগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে হ্যাপি হট ডগ ১০১ নামের একটি মেইল আইডি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলকে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ঠিক কতগুলো স্কুল এই হুমকি চিঠি পেয়েছে, সে বিষয়ে এখনও প্রশাসন স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।
প্রসূন গুপ্তঃ পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানাতেও দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র কংগ্রেস বা তৃণমূলকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। ১৯৮৪/৮৫ থেকে আজ অবধি এই কেন্দ্রে না সিপিএম না বিজেপি তাদের সাংসদের জেতাতে পারে নি। এর অবিশ্যি অন্য একটা কারণ ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯১ থেকে এখানে টানা সাংসদ। এর মধ্যে ২০০৪-এ বাংলায় তৃণমূল মাত্র একটি আসনই জিতেছিল তা এই দক্ষিণ কলকাতায়। ২০০৯-এ শেষবারের মতো যেতেন মমতা নিজে কিন্তু আর দাঁড়ান নি কেননা এরপরেই রাজ্যে পরিবর্তন এবং তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে জেতেন সুব্রত বক্সী। ২০১৪-তেও বক্সী জিতেছিলেন। ২০১৯-এ ভরা বিজেপি হাওয়াতেও এই কেন্দ্রে জিতে আসেন তৃণমূলের মালা রায়। দক্ষিণ কলকাতাকে তৃণমূলের গড় বলা হয়ে থাকে।
এবারে এই কেন্দ্রে মূল তিন প্রার্থী। তৃণমূলের মালা রায়, সিপিএমের সায়েরা শাহ হালিম এবং বিজেপির প্রাক্তন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। দেবশ্রী কলকাতার কাছেই থাকেন, আরএসএসের ঘনিষ্ঠ এবং বিজেপির দীর্ঘদিনের প্রচারক। মোদী সরকারের মন্ত্রী থাকলেও একসময় তাঁর মন্ত্রীত্ব চলে যায়। তিনি রায়গঞ্জেও নিয়মিত ছিলেন না। এবারে তাঁর টিকিট পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব ছিল কিন্তু শোনা যায় সংঘ পরিবারের চাপেই নাকি দক্ষিণ কলকাতার টিকিট পান তিনি কিন্তু বড্ডো কঠিন জমিতে লড়াই তাঁর।
অন্যদিকে সায়েরা কিন্তু প্রাক্তন বাম স্পিকার আব্দুল হালিমের পুত্রবধূ এবং অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের ভাইঝি। বালিগঞ্জ কেন্দ্রে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বেশ ভালো লড়াই দিয়েছিলেন কাজেই এবারেও তাঁর উপর ভরসা রেখেছে সিপিএম। এই লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৩৬ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট, সেখানেই ভরসা বামেদের। তা যাই হোক না কেন এই অঞ্চলে এক ডজন তৃণমূলের বড় নেতাদের বসবাস এবং সংগঠন। বাংলার সবথেকে সেফ সিটে তৃণমূলকে হারানো ভয়ঙ্কর কঠিন কাজ।
সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা মহানগরের আকাশ। নেই রোদের দেখা। চৈত্রের চড়া রোদে নাজেহাল হচ্ছিল বঙ্গবাসী। বৃষ্টিতে সামন্য় হলেও স্বস্তি নি:শ্বাস ফেলেছে মানুষ। তবে বৃষ্টি হলেও এখনই গরম থেকে রেহাই নেই। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গও। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন দিনভর আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ। বজ্রবিদুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। সেই সঙ্গে বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদে। বৃষ্টির সম্ভবনা পশ্চিমের জেলাগুলিতেও। আগামী মঙ্গলবার থেকে ফের বৃষ্টি কমে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
অন্য়দিকে আগামী ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্য়ে বজ্রবিদুৎ সহ বৃষ্টির উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ঘন্টায় বইতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো দমকা হাওয়া। আগামী বুধবার থেকে বদলাতে পারে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া।
সোমবার সাতসকালে প্রগতি ময়দান সংলগ্ন ধাপায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ভস্মীভূত হয়ে যায় হাসপাতালের বর্জ্য পদার্থ মজুত রাখা একটি গোডাউন ও তার ঠিক পাশের একটি প্লাস্টিক গোডাউন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাঠানো হয় দমকলে। সঙ্গে সঙ্গে ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। কিন্তু ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় কাজ করতে অসুবিধায় পড়েন দমকল কর্মীরা। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে আসল কারণ ঠিক কী ছিল তা স্পষ্ট নয় এখনও। ঘটনার আকস্মিকতায় আতঙ্কে গোটা এলাকা।
বাসিন্দাদের দাবি, ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় দাহ্যবস্তুর গোডাউন হওয়ায় বড় কোনও দুর্ঘটনা যেকোনও সময় ঘটতে পারে। সেই কারণেই গোডাউন মালিককে একাধিক বার আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে তাতে কেউ কর্ণপাত করেননি। এমনকি গোডাউন ভাড়া নিতে বারণ করা হয়েছিল। আরও অভিযোগ, এলাকাবাসীর অপত্তি থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস ধরে এই গোডাউন ব্যবহার করেছে ওই গোডাউন মালিক। সোমবার অগ্নিকাণ্ডের পর গুদামের মালিক বা কর্মীদের কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
রাজ্যজুড়ে বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা। রবিবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন মহানগরের আকাশ। আগামী ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্য়ে কালবৈশাখী পরিস্থিতি, দমকা ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও এদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বইতে পারে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া। এরফলে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বিকেল বা সন্ধ্যার পর থেকে দমকা ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে আবার কোথাও কোথাও কালবৈশাখীর পরিস্থিতিও তৈরী হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কারণে কমবে তাপমাত্রা। অন্য়দিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ ও কাল বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এদিন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং ও কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকায়।
রবিবার কলকাতায় দিনভর আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সঙ্গে দমকা ঝড়ো হাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। বেলা বাড়লে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৪ থেকে ৮৮ শতাংশের কাছাকাছি।
তীব্র দাবদহে নাজেহাল হচ্ছে রাজ্য়বাসী। অস্বস্তিকর গরমের মধ্য়ে স্বস্তির আভাস দিল আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহান্তে বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গ। যার জেরে হলুদ সতর্কবার্তা বার্তা জারি করা হয়েছে। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এখনই কোনও সুখবর শোনাতে পারল না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাই আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বজায় থাকবে গরম।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী দু’দিন রাজ্যের তাপমাত্রা আরও ২ ডিগ্রির মতো বাড়তে পারে। অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে এখনই রেহাই মিলবে না। তবে আগামী রবিবারের পর তাপমাত্রা একটু হলেও কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে যে খুব স্বস্তি মিলবে, এমন আশার কথাও শোনাচ্ছে না আবহাওয়া দফতর।
শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
মাঝ আকাশে চণ্ডীগড় থেকে কলকাতাগামী বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক যাত্রী। তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণ করা হয় বিমানটি। শুরু হয় ডায়াবেটিসের চিকিৎসা। কিন্তু শারীরিরক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
বিমানবন্দর সূত্র মারফত খবর, অসুস্থ ওই ব্য়ক্তির নাম বিশ্বনাথ দাম (৬০)। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ৬০৪১ বিমানটি যখন কলকাতার আকাশে বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য তৈরি হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় যাত্রী বিশ্বনাথ দাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যা মেডিক্যাল পরিভাষায় এলওসি নামে পরিচিত। তৎক্ষণাৎ বিমানের কেবিন ক্রু পাইলটকে জানান। পাইলট এয়ার কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমান অবতরণের অনুমতি চান।
এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী বিমানটি অবতরণ করে। জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরের অ্যাম্বুলেন্স ছ'নম্বর পার্কিং জোনে গিয়ে পৌঁছয়। তারপর বিমানবন্দরে নামানো হয় অসুস্থ ওই ব্য়ক্তিকে। সেখানে নিযুক্ত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার ইন্ডিয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে দুপুরে অপারেশন গেট ৫ নম্বর থেকে সহকারী যাত্রীদের দিয়ে ভিআইপি রোডে ধরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ওই যাত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
চৈত্রের চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। গত দু'দিন ধরে কলকাতায় ও দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা ছিল। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে তাপমাত্রার পারদ। সকাল হতেই রোদ ও গরমে হাসফাঁস হতে হচ্ছে বঙ্গবাসীকে। বৈশাখের আগেই তিন জেলায় তাপমাত্রা ৪০ পার করল।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি থাকবে। সেই সঙ্গে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম জেলায় চলবে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। বেশ কিছু এলাকায় লু-বইবার সম্ভাবনাও রয়েছে। সপ্তাহান্তে শনি ও রবিবার বৃষ্টির হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। বৃষ্টির জেরে ক্ষণিকের স্বস্তি পাওয়া গেলেও এখনই গরমের হাত থেকে রেহাই নেই। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলাষ।
এদিন পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ের সকালের তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি, বীরভূমের সিউরির তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি এবং পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে এদিন কলকাতার দমদমে তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি এবং কলকাতা সল্টলেকের তাপমাত্রা ৩৬.২ ডিগ্রি। আগামী কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আগামী শনিবার একইসঙ্গে তাপপ্রবাহ চলবে সকাল থেকে বিকেল। বিকেল ও সন্ধ্যায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের কয়েক জেলায়। তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকবে বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম, বর্ধমান জেলায়।
চৈত্রের চড়া রোদে নাজেহাল বঙ্গবাসী। উত্তরে বৃষ্টি। পশ্চিমের জেলায় তাপপ্রবাহ। গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে গরমে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। বর্তমানে তিন ধরনের আবহাওয়া রয়েছে বঙ্গে। পাশাপাশি কলকাতাতেও শুরু হবে তাপপ্রবাহ। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ৪৮ ঘন্টায় ৩৮ ডিগ্রি ছুঁতে পারে কলকাতার পারদ। জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তিও থাকবে গরমের সঙ্গে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের তাপপ্রবাহ। ক্রমশ বাড়বে দিনের তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহেই ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে চলে যেতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলার তাপমাত্রা। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতের উষ্ণ লু জাতীয় হাওয়া অবাধে প্রবেশ করবে দক্ষিণবঙ্গে। এদিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। আগামী শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে ছয় জেলায়। বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা। রবিবারের পর থেকে বদলাতে পারে আবহাওয়া।
পাশাপাশি এদিন থেকে উত্তরবঙ্গে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শুক্র ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।
ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে হয়ে গেল জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। উড়ে গেল একের পর এক ঘরের চাল, দোকানের টিন। পরপর ভেঙে পড়ল গাছ। ভেঙে পড়া গাছে চাপা পড়েও হল সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি। উত্তরবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিং-এর কিছু এলাকায় আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পর কালবৈশাখী বা টর্নেডো ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন জেলায়। বর্ধমান, বীরভূম ও হুগলিতে দিল্লীর মৌসম ভবন থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রেও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী দু'দিন কলকাতা সহ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্বাঞ্চলে দু-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুত্-সহ ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাবে না বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাও।
সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এর কাছাকাছি।
চৈত্র মাস থেকে শুরু হয়েছে তীব্র গরম। বেলা গড়াতেই বাড়ছে সূর্যের প্রখর তাপমাত্রা। এই নাজেহাল গরম থেকে রক্ষা পেতে সুখবর শোনাল আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে। তবে বৃষ্টি হলেও, গরম থেকে আপাতত রেহাই নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্য়ে বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার ছুটির দিনে অস্বস্তিকর গরমের মধ্যেই শহর কলকাতায় বর্জ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। এদিন ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়ায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাকি জেলাগুলি শুকনো থাকবে। বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গও। এদিন বর্জ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।
রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এর কাছাকাছি। গতকাল, শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশাপাশে।