Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

JusticeGanguly

OMR: ২০২২ টেটের ১৮৯ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট কুন্তলের বাড়িতে!'দালাল' খোঁচা জাস্টিস গাঙ্গুলির

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ফের সরব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)। এই দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) ইডির হাতে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলকে (TMC Leader) আড়াল করছে কিছু দালাল। সোমবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে (ED) ১৮৯ জনের নাম আদালতে জমা করতে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কুন্তলের বাড়িতে ১৮৯ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়ে পর্ষদ এদিন আদালতকে জানায়, তৃতীয় ব্যক্তির কাছে ওএমআর শিট পাওয়া গেলে পর্ষদ কী করবে? পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় কপি নিয়ে চলে গিয়েছে কারও বাড়িতে। এখানে পর্ষদ কী করবে? ১৮৯ প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে।

পর্ষদের আইনজীবী জানান, 'তারা নিরুপায়, বিস্মিত, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এত চেষ্টা করার পরেও এই ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটেছে।' এরপরেই বিচারপতির মন্তব্য, 'কিছু দালাল এখনও চাকরি বিক্রির চেষ্টা করছে। আর কিছু দালাল তাদের আড়াল করছে।' 

মৌখিকভাবে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'আমি ওই ১৮৯ জনের নাম আর রোল নম্বর জানতে চাই। ইডির কাছে এই তথ্য আমি চাই।'এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০২২-র টেট পরীক্ষার ১৮৯ জনের ওএমআর শিট কীভাবে কুন্তলের বাড়িতে গেল, জানাতে ইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের এডমিট কার্ডের বিস্তারিত দিতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। দুর্নীতি প্রমাণিত হলে সেই ১৮৯ জনের সব সরকারি চাকরি থেকে আবেদন বন্ধ করবে আদালত। এমনটাই সূত্রের খবর।

এমনকি পোর্ট ব্লেয়ারে নির্বাসন দেওয়া হবে, আলাদা জমি দেব চাষ করে খাবে। এত সাহস কী করে হয়, প্রত্যেককে জেলে পাঠানো হবে। এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

one year ago
Blood: ঐতিহ্যবাহী কফি হাউস রক্তদান শিবিরে এসে অভিভূত রাজ্যপাল, ছিলেন জাস্টিস গাঙ্গুলিও

ধুমধাম করেই আয়োজিত কফি হাউসের বার্ষিক রক্তদান শিবির। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই মহতী অনুষ্ঠান চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। সোমবার ঐতিহ্যবাহী কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল ডক্টর সিভি আনন্দ বোস এবং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস বহু বছর ধরেই কফি হাউস সোশাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই রক্তদান শিবির আয়োজন করছে। বইপাড়ার একাধিক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-অশিক্ষককর্মী-সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট জন উপস্থিত থেকে রক্তদান করেন এই মহতী অনুষ্ঠানে।


এদিকে, কফি হাউসের বার্ষিক রক্তদান উৎসবে এসে অভিভূত রাজ্যপাল। তিনি এখানে প্রতিবছর আসতে চান। একইসঙ্গে তিনি বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন টলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রী আবির চট্টপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, চৈতি ঘোষাল প্রমুখরা।

one year ago
Auto:ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় বেআইনি অটো সরাতে নির্দেশ কোর্টের, বড় দায়িত্ব সিপিকে

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার বেআইনি অটো সরাতে বড়সড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় বেআইনি অটোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ। প্রশাসনকে এই নির্দেশ দিয়ে আগামি ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছেন বিচারপতি।

ব্যারাকপুরের সিপি আলোক রাজোরিয়াকে কোর্টের নির্দেশ, একটা বৈঠক ডেকে প্রশাসনকে বেআইনি অটো খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাম-ঠিকানা আছে, তাই খুঁজতে অসুবিধা হবে না। যে ২৫ জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ। পুলিসকে আরও সচেতন হয়ে বেআইনি অটোগুলিকে খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থার নির্দেশ। আবেদনকারীকে দিতে হবে হলফনামা। 

RTO প্রদীপ মজুমদার সশরীরে উপস্থিত থেকে জানান, ৩২ জনকে তাঁরা আপাতত চিহ্নিত করতে পেরেছেন। যার মধ্যে দু'জনের কাছে পারমিশন ছিল। বাকিদের মধ্যে ৫ জন পারমিশন তৈরি করতে দিয়েছে। বাকি ২৫ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি, পুলিসকেও রিপোর্ট দিতে হবে।


one year ago


Justice: সরকারের সঠিক ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রীর কাজের প্রশংসা করব: জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

টেট ২০২২ (TET 2022) আয়োজনে পর্ষদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও তাঁর অবস্থান একই। এদিন বিচারপতি (Justice Ganguly) বলেন, "শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board) যদি ভালো কাজ করে তার প্রশংসা আমি করবোই। সরকারের যদি সঠিক ভূমিকা থাকে তবে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata) কাজের প্রশংসা করবো। আবার যদি দেখি শিক্ষা পর্ষদ কোনও ভুল কাজ করছে তবে তার সমালোচনাও আমি করবো। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।"

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের একটি মামলা চলাকালীন এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, রবিবার রাজ্যজুড়ে হওয়া টেটে বসেন ৭ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। এই বিরাট আয়োজনকে সুষ্ঠু রাখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য প্রশাসন। রবিবার ছুটির দিনেও পথে ছিল পর্যাপ্ত বাস, ছিল অতিরিক্ত ট্রেন।

কিন্তু প্রশাসনিক এই তৎপরতার সঙ্গেই একাধিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। কোথাও বায়োমেট্রিক বিকল, কোথাও অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভুল ঠিকানার মতো অভিযোগ উঠেছে। তবে পরীক্ষার সন্ধ্যায় পর্ষদ সভাপতি দাবি করেছেন সুষ্ঠু হয়েছে চলতি বছরের টেট। এই আয়োজনের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান।

one year ago
Avijit: টেট ২০২২ পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কী বললেন তিনি

১১ নভেম্বর, ২০২২ আয়োজিত টেট (TET 2022) পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় সন্তোষপ্রকাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly)। 'টেট হওয়ার পর কার্বন কপি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে কাজ ভালো হচ্ছে।' এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এহেন মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টেট-২০২২ ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা থাকবে। ৫.৫ লক্ষের বেশি ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আদালতে জানালের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। রবিবার রাজ্যজুড়ে টেটে বসেন ৭ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছিল রাজ্য প্রশাসন। ছুটির দিন হলেও পথে ছিল পর্যাপ্ত বাস, ছিল অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা।

যদিও একাধিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। কোথাও বায়োমেট্রিক বিকল, কোথাও অ্যাডমিট কার্ডের পরীক্ষা কেন্দ্রের ভুল ঠিকানার মতো অভিযোগ উঠেছে। যদিও পরীক্ষার সন্ধ্যায় পর্ষদ সভাপতি দাবি করেছেন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে চলতি বছরের টেট পরীক্ষা। এই আয়োজনের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান।

one year ago


Justice: 'এবার ঢাকি শুদ্ধ বিসর্জন দেবো', ২০১৬ নিয়োগের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি জাস্টিস গাঙ্গুলির

এবার আমি ঢাকি শুদ্ধ বিসর্জন দিয়ে দেবো। ২০১৬-র প্রাথমিক নিয়োগে (Primary Recruitment) ফের দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly)। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কম নম্বর পাওয়া প্রশিক্ষিতরা চাকরি পেয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী। দাবি, 'যারা চাকরি করছেন, তাঁদের থেকে অপ্রশিক্ষিত মামলাকারীদের নম্বর বেশি।' এই অভিযোগ শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 'মামলাকারীদের তাঁদের দাবির প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে হবে। জানাতে হবে তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কবে অংশ নিয়েছেন, টেটে তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা যেহেতু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়, সেজন্য আদালত এখন এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না। ১৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।'

মঙ্গলবার আদালতে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করেন, 'এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি নন ট্রেইনড প্রাথমিকে ২০১৬-তে চাকরি পেয়েছেন। মোট ৪২ হাজার নিয়োগ হয়েছিল। ৮২৪ জনের এমন নথি আছে, যারা ১০ থেকে ৩০ পেয়ে চাকরি করছেন।' এই সওয়াল শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্ষদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি,'২০১৬-র গোটা নিয়োগ যদি বাতিল করে দি তখন বুঝতে পারবেন। মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে এই বেনিয়ম হয়েছে।'

জানা গিয়েছে, ২০১৪-র পরীক্ষা আর ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ তুলে ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ। পরবর্তী শুনানিতে প্রত্যেক পক্ষ তাঁদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জানাবে। তারপর অবস্থান স্পষ্ট করবে আদালত। এদিন জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

one year ago
Court: সাদা উত্তরপত্র দিয়েও নম্বর বেড়ে ৪৩, নবম-দশমে ওএমআর বিকৃত করে শূন্য হয়েছে ৫২

গ্রুপ ডি নিয়োগে (Group D) ফের প্রকাশ্যে বড়সড় দুর্নীতি (Recruitment Corruption)। সাদা ওএমআর শিট (OMR Sheet) জমা দিয়েও নম্বর বেড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর তালিকাভুক্ত একজনের নম্বর ৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩, অপর একজনের নম্বর ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩। একজনের নম্বর আবার শূন্য থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩। ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিট নিয়ে বসতে হবে বৈঠকে। মঙ্গলবার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)।

গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় লক্ষী টুঙ্গার করা মামলায় আগামী ১৪ই ডিসেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে বৈঠক করবেন সিবিআই, মামলাকারীর আইনজীবী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধি।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের বাজেয়াপ্ত করা হার্ডডিস্ক এবং ওএমআর শিট খতিয়ে দেখা হবে। তারপরে আগামী ২১ ডিসেম্বর প্রাথমিক রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেবে। এমনটাই সিবিআইকে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

এদিকে, নবম-দশম অবৈধ নিয়োগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪০ জনের ওএমআর শিট আপলোড করার নির্দেশ হাইকোর্টের। যাদের নম্বর ০ থেকে ৫২ বা তার বেশি করা হয়েছে, সেই বিকৃত ওএমআর শিটগুলোই আপলোড করা নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিনই ওএমআর শিট সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের।

হাইকোর্টের নির্দেশ, '৪০ জনের ওএমআর শিট আপলোড করা হবে এবং তাঁরা মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চাইলে অবশ্যই হতে পারবেন ১৬-ই ডিসেম্বরের মধ্যে।' জানা গিয়েছে, ১৮৩ জনের পর নবম-দশমে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া আরও ৪০ জনের হদিশ মিলেছে। সূত্রের খবর, ওএমআর শিট কারচুপি করেই ৪০ জনকে চাকরির সুপারিশ করেছিল এসএসসি।

one year ago
Kunal: কুণালের কটাক্ষের মুখে 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলি', পরোক্ষে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ?

অরণ্যদেব গাঙ্গুলি বলবেন আমার দল তুলে দিতে হবে, তাহলে আমি ওকে রসগোল্লা খাওয়াবো, দুটো হয় নাকি কখনও। শুক্রবার নাম না করে এভাবেই কি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Ganguly) বেনজির আক্রমণ করলেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ? এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র (Kunal Ghosh) বলেন, 'আমি দলের একজন সামান্য মুখপাত্র। যদি আমার দল তুলে কেউ বলে, জানি না কে বলেছে। সবাই বলছে কেউ বলেছে, কেউ বলেছে, কেউ বলেছে। জানি না কে বলেছে, কেউ আর নাম বলে না। আমি ধরে নিচ্ছি অরণ্যদেব গাঙ্গুলি। অরণ্যদেব গাঙ্গুলি বলবেন আমার দল তুলে দিতে হবে, তাহলে আমি ওকে রসগোল্লা খাওয়াবো, দুটো হয় নাকি কখনও। কোর্টের উপর, সব বিচারকের উপর আস্থা আছে। কোর্ট আমাদের ভরসা, এরম নয় শুধু কেউ একজন পর্যবেক্ষণ মিডিয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে হিরো সাজার চেষ্টা করছেন। কাউকে আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করছি না।' 

এখানেই থামেননি কুণাল ঘোষ, তিনি আরও একধাপ এগিয়ে জানান, কেউ কেউ নাকি আকারে ইঙ্গিতে মুখপাত্র মুখপাত্র বলেন। তাহলে আমরাও বলছি বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি, কিন্তু অরণ্যদেব গাঙ্গুলি বলে কেউ যদি আমাদের দল তুলে কথা বলে, তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াবো না। যা পারে করে নিক। 

কারও নাম না করেই পরোক্ষে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, 'যদি কেউ ব্যক্তিগত উইশলিস্ট চরিতার্থ করতে গিয়ে তাঁর চেয়ারের অপব্যবহার করে, তাহলে সেটা চূড়ান্ত দুর্ভাগ্যজনক। একা কেউ করছেন না, গোটা বিচারব্যবস্থা, সব বিচারক, তাঁরা দিনরাত মানুষকে ন্যায়-বিচার দিচ্ছেন। কিন্তু যদি কেউ দেখাতে চান, আর কেউ বিচার করছে না, আর কোনও কোর্ট নেই, তিনি মঙ্গলগ্রহ থেকে এসে অরণ্যদেব সাজছেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। এটা কী ভাষা! আমি দল তুলে দিতে বলবো, মামারবাড়ি নাকি এটা?' 


তাঁর দাবি, 'এই ভাষাগুলো শুনলে বোঝা যাবে যিনি বলছেন, তাঁর ভিতরটা কোন রাজনৈতিক রঙে রাঙানো। আমরা আদালতকে সম্মান করি, প্রত্যেক বিচারক-বিচারপতির প্রতি পূর্ণ সম্মান রয়েছে। কিন্তু আদালত যেটা ঠিক সেটার বিচার করবে, যেটা ভুল, সেই ভুল বলে দেবেন, অর্ডার দেবেন। তাঁরা তাঁদের নির্দেশ জানিয়ে দেবেন। তার বদলে যদি কোথাও কোথাও দেখা যায় যে কেউ কেউ উইশ লিস্ট পর্যবেক্ষণ-সংলাপের আকারে সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাহলে সেটা চরম দুর্ভাগ্যজনক। কোনও ব্যতিক্রম একজন যদি দেখাতে চান তিনি অরণ্যদেব হতে চাইছেন, তাহলে সেটা বিচারব্যবস্থার প্রতি চূড়ান্ত দুর্ভাগ্যজনক।'

এখন প্রশ্ন উঠছে কুণালে মন্তব্যে উঠে আসা 'বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা' এবং 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলি' কি হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদি কোনও নির্দিষ্ট কোর্ট বা বিচারপতির নাম এদিন একবারের জন্যও উল্লেখ করেননি তৃণমূল মুখপাত্র। কিন্তু শুক্রবার বেনামী আবেদনপত্র মামলার শুনানিতে শিক্ষা সচিবের এজলাসে উপস্থিতির মধ্যেই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, 'বিধানসভার দলনেতা হন মুখ্যমন্ত্রী, আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য, দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না।'

তারপরেই নাম না করে তৃণমূলের মুখপাত্রর মুখে 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলি বলবেন আমার দল তুলে দিতে হবে, তাহলে আমি ওকে রসগোল্লা খাওয়াবো, দুটো হয় নাকি কখনও' মন্তব্য ঘিরে চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। প্রশ্ন উঠছে কে এই অরণ্যদেব গাঙ্গুলি? কুণাল ঘোষ কি ঘুরিয়ে পরোক্ষে বেনজির আক্রমণ করে বসলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারব্যবস্থাকে?


তবে কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যকে সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেছেন, 'মানুষ কাদের বলে, যার মান আর হুঁশ দুটি আছে। কুণাল ঘোষের কোনওটাই নেই। একটা মানুষের পরিচয় হয় শিক্ষা এবং সংস্কৃতি দিয়ে। শিক্ষার প্রসঙ্গে এলে কুণালবাবু বোধহয় মাধ্যমিক পাশ। তবে পাশ না ফেল জানি না, ক্লাস টেন লেখা এফিডেভিটে। উনার সংস্কৃতি নিয়ে বললে সারদায় জেল খাটা আসামি, বাংলার পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এই ধরনের মানুষের থেকে কী মন্তব্য আশা করেন? কুণালবাবুর বোঝা উচিৎ কোথায় থামতে হবে। আমার মনে হয় কোর্ট এই বিষয়গুলো নোটিশে নিয়ে আদালত অবমাননার জন্য উনি জেলে যাবেন।' 

আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, 'কুণাল ঘোষকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিৎ এবং আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে কোর্টে তোলা উচিৎ। কোন সাহসে উনি এ কথা বলছেন! কুণাল ঘোষ বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে বিচারপতিকে হুমকি দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করেছেন।' অপর এক আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, এই বিচার প্রক্রিয়ার জন্য কুণাল ঘোষ বাইরে আছেন। উনি যে দল করেন সেই দল, সারাজীবন ওকে জেলে রাখতে চেয়েছিল।' 

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'আশা করবো এসব মুখপাত্রদের বিরুদ্ধে আইনের মধ্যে থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাতে অন্য কেউ সরকারি কাজে বা নিয়োগে হস্তক্ষেপ করার আগে পাঁচবার ভাববেন।' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'বিচারপতির পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনও দল সরকারের নামে সংবিধান-বিরোধী কাজ করে, তাহলে সেই দলের সাংবিধানিক ভিত্তি, এমনকি প্রতীক প্রশ্নের মুখে পড়ে।' 

one year ago


SSC: বেনামী আবেদনপত্র মামলা, সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

সুপার নিউমেরিক পোস্ট (Super Neumeric Post) বা  (Calcutta High Court) অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত বেনামী আবেদনের মামলায় ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল রাজ্য (Bengal Government) এবং এসএসসি (SSC)। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চের  (Calcutta High Court)। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত বেনামী আবেদনের পিছনে কারা? কাদের নির্দেশে এই শূন্যপদ তৈরি তদন্ত করবে সিবিআই। পাশাপাশি এদিন ডেকে পাঠানো হয়েছিল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চের রায় এই রায় বহাল রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিনের শুনানিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে কীভাবে কমিশন অবৈধদের চাকরি দেওয়ার এরকম একটা আবেদন করল? কীভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদে অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরন করার আবেদন আদালতের করা হল? একজন সচিবকে তলবের নির্দেশকে কীভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায়।' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সুপার নিউমেরিক পোস্ট নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। এভাবে বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ার পথ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার শিক্ষা সচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, 'কার নির্দেশে এই পদ তৈরি করে চাকরি দেওয়া হচ্ছে? এই পদ তৈরি কার মস্তিষ্ক প্রসূত?' বুধবার সচিব এসে বলে গিয়েছে সব দায়ভার কমিশনের। যদিও এই জবাবে সন্তুষ্ট নয় আদালত। কার অঙ্গুলিহেলনে এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি, সেটা জানতে এদিন ডাক পড়েছিল শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের। পাশাপাশি এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির পিছনে কার মাথা, জানতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

এরপরেই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির পর আপাতত রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। এমনকি এই পোস্ট তৈরি করা নিয়ে প্রশাসনিক ত্রুটি আদালতে স্বীকার করেছে কমিশন। তবে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য এবং কমিশন আবেদন করায় এদিন আর এই মামলার শুনানি হয়নি সিঙ্গল বেঞ্চে।

one year ago
Court: অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির পিছনে কার স্বার্থ, তদন্ত করবে সিবিআই: হাইকোর্ট

সুপার নিউমেরিক (Super Neumeric Post) বা শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি (SSC)। বুধবার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly) ফের একবার নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচারপতি জানান, 'অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির পিছনে কার স্বার্থ আছে? তদন্ত করবে সিবিআই। কার নির্দেশে বেআইনি চাকরি পাওয়া ব্যক্তি, যাদের আদালত বরখাস্ত করেছে তাদের চাকরি দিতে এই পদ তৈরির আবেদন করা হয়েছে। তার তদন্ত করবে সিবিআই। ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।'

এদিকে, এদিনের শুনানিতে সুপারনিউমেরিক পোস্টের নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার এসএসসি-র। বিচারপতির মন্তব্য, 'কমিশনের এই আবেদন পত্র জোরপূর্বক লেখা। 

নামকরা নেতা, মুখপাত্র, দালাল; এরা বলছে কারও চাকরি যাবে না তারাই জোরপূর্বক পর্ষদকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে, এটা আমার বিশ্বাস।' তিনি জানান, এসএসসি নির্লজ্জ ভাবে আবেদন করে বেআইনিভাবে চাকরি বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এই আবেদনে ভয়ঙ্কর প্রবণতা। এটা বেনামী আবেদন। এসএসসি-কে সামনে রেখে পিছনে কেউ আছে যে এটা করাচ্ছে। মেইন খেলোয়াড়রা পিছনে আছে। এই ড্রাফট ভুলে ভরা। এটা অঙ্ক কষে করা হয়েছে।

বুধবার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'আবেদনের বয়ানে যা রয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীর গলায়ও একই সুর শোনা গিয়েছে। অতিরিক্ত পদ তৈরি করার ক্ষমতাই রাজ্যের নেই। শিক্ষামন্ত্রী যদি আদালতে আসতে চান, তাঁকে স্বাগত। কোনও দালাল আসতে চাইলে, তাঁকেও স্বাগত।' 

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, 'এসএসসি-র করা চারটি আবেদন প্রেক্ষিতে কমিশনের বক্তব্য শোনেন বিচারপতি। কমিশন জানিয়েছে, যারা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছে তাঁদের চাকরি বাঁচাতে আর যোগ্যদের চাকরি দিতে এই শূন্যপদ তৈরি। এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতির মনে হয়েছে এই আবেদনগুলো বেআইনি। কাদের মদতে বা কার মস্তিষ্কপ্রসূত এই আবেদন, বের করবে সিবিআই।'

one year ago


Court: 'আইন মেনে না হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেব', ক্ষুব্ধ জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

নিয়োগ-কাণ্ডে (Recruitment Scam) ২৬৯ শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত দায়ের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফেরাল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) এজলাসেই হবে এই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সকাল সাড়ে ১১টা শুনবেন এই মামলা। ইতিমধ্যে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগ করতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছিল রাজ্য। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই নির্দেশ যেহেতু কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে, তাই এই মামলার নিষ্পত্তি কলকাতা হাইকোর্ট করবে। এভাবেই ২৬৯ শূন্যপদে নিয়োগ মামলা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরায় সুপ্রিম কোর্ট।

বুধবার সকাল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, সুপিরম কোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসে পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হোক শুনানির জন্য। এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, 'পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি বলেছিলাম নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মাথা ঘামাবো না। কিন্তু আমি আমার নির্দেশের পরিবর্তন করে বলছি আইন অনুযায়ী নিয়োগ না হলে, আমি এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেবো।'

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফের পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তিনি কার্যত বাধ্য হয়েই তিনি নিজের অবস্থান বদলাতে পারেন। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাইকোর্টের এই বিচারপতি। এখন অপেক্ষা বৃহস্পতিবার সকালে এই মামলা শুনানির জন্য উঠলে কী অবস্থান নেয় প্রাইমারি বোর্ড।

2 years ago
TET: 'নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন কোনও প্রভাবশালীর নাম এসেছে?', সিবিআইকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

২০১৬ প্রাথমিক টেট (Primary TET) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬৯ জনের চাকরি বরখাস্ত হয় ৩০ জুন। তাঁদের শুক্রবার মামলায় যুক্ত করা হল। ২৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হবে। এদিন বিচারপতি (Justice Ganguly) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, 'নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৬ জন ছাড়া আর কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগ কি পাওয়া গিয়েছে? এটা খুব বড় অপরাধ। তদন্তের অভিমুখ কি আর কোনও বড় ব্যক্তির দিকে যাচ্ছে? যদি কাউকে পাওয়া যায়, তাহলে সিবিআই তাঁদের জেরা বা জিজ্ঞাসাবাদে যথাযথ পদক্ষেপ করবে। যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা কি তদন্তে সহযোগিতা করছে, কারও নাম বলছে? মিডলম্যানদের নাম বলছে?'

এই প্রশ্নের পরেই বিচারপতির মন্তব্য, 'এই মামলায় আগামীতে যাতে ধৃতরা কেউ জামিন না পায় ভবিষ্যতে এমন নির্দেশ দিতে পারে হাইকোর্ট। নিউ কথামৃত বলছে, যেটা ঠিক সেটা ঠিক, যেটা ভুল সেটা ভুল। আরও নতুন কিছু এমন বাণীর বানীর জন্য আমি অপেক্ষা করছি। তিনি জানান, প্রতিদিন বিকেল ৪টে- সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত যাদের চাকরি গিয়েছে, সেই ২৬৯ জনের ট্রায়াল কোর্টের মতো শুনানি চলবে। ঠিক যেমনটা অতীতে হয়েছে। দ্রুত এই মামলা শেষ করতে চাই।'

পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবীর মন্তব্য, 'কালো টাকা সাদা করতে এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। হোয়াইট কলার ক্রাইম, টাকা পাচারের জন্য রোজ নতুন তথ্য আসছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে এজেন্সি তদন্ত চালাচ্ছে। কিছু নাম এসেছে যেগুলো জনসমক্ষে বলা যাবে না। তদন্তকারী সংস্থার থেকে সেই নামের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে আদালতকে বলতে পারি।'

এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বার্তা, 'সিবিআইয়ের কাজে কোর্টের নজর রয়েছে। কারও অঙ্গুলিহেলনে যাতে কেন্দ্রীয় সংস্থা না চলে।' 

2 years ago
Justice: 'চাকরিটা জরুরি, প্রাথমিক নিয়োগে বাধা হবো না', অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করব না, বাধা হয়ে দাঁড়াবো না। কারণ ওটা চাকরিপ্রার্থীদের চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপার। চাকরিটা জরুরি। আমি চাই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ (Primary Board) স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাক। শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগের এক মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন যদি কোনও গুরুতর অভিযোগ আসে, যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তার বিচার চলতে পারে, কিন্তু প্রক্রিয়া বন্ধের পক্ষপাতী আমি নই। প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)।

এদিকে বৃহস্পতিবার ২০১৭-র টেটে যারা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ পেয়েছেন, তাঁদের পাশ করিয়ে নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, টেট পরীক্ষা ২০১৭-র ক্ষেত্রে ৮৩ পাস নম্বর। এই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে আদালতে হাজির হয়েছিল ১৬ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের আবেদন শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ তাঁদের পাশ করাতে হবে।

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, যারা আদালতে দরবার করেছিলেন তাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েও যোগ্যতা লাভ করেননি। যেহেতু পাশ মার্কস ৮৩, সেক্ষেত্রে ১৫০-র ৮২ মানে ৫৪.৬৬%, রাউন্ড আপ করলে ৫৫%। আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই শতাংশ স্বীকৃত সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনে। তাই আবেদনকারীদের পক্ষে রায় দেন বিচারপতি।


2 years ago


Court: 'জানি না আমার জীবদ্দশায় সব দুর্নীতিবাজ ধরা পড়বে কিনা', নিয়োগ-কাণ্ডে হতাশ বিচারপতি

আমি জানি না আমার জীবদ্দশায় এঁদের সকলকে ধরা হবে কিনা। প্রাথমিক নিয়োগ (Primary Board) দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নাকতলার বাসিন্দা জনৈক এক ব্যক্তি শুনানিতে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। তিনিই নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে আদালতে জানান, আমরা তো আগে থেকেই জানতাম এই দুর্নীতির (Corruption) কথা। আমরা সকলেই জানি প্রাথমিক দুর্নীতি তে মূল দোষী কে। তাহলে শুধুমাত্র এই কয়েকজনকে ধরে কী লাভ বাকিদের কেন ধরা হচ্ছে না?

এরপরেই খানিকটা হতাশার সুরে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ব্যক্তি জানান, নাকতলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে এই দুর্নীতি সম্বন্ধে তিনি ওয়াকিবহাল। প্রকাশ্যেই এসব চলতো, কিন্তু কেউই মুখ খুলতেন না। কিন্তু আরও যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?

২০১৭ সালের টেট  পরীক্ষার যারা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ পেয়েছেন তাঁদেরকে পাশ করিয়ে নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পর্ষদকে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল টেট পরীক্ষার ২০১৭-র ক্ষেত্রে ৮৩ পাস নম্বর। আদালতে হাজির হয়েছিল ১৬ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের আবেদন শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ পাশ মার্কস হবে ৮২।

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, 'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন কারণ ১৫০-এ ৮২ নম্বর মানে ৫৪.৬৬% মার্কস। যেটা রাউন্ড আপ করলে ৫৫%। আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫৫% পাশ মার্কস, সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনেও সেটা স্বীকৃত। তাই যারা আবেদন করেছিলেন তাঁদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বিচারপতি। এখন দেখার প্রাথমিক বোর্ড কী অবস্থান নেয়।'

2 years ago
TET: 'আপনাদের জন্য মেধাবীরা লড়ছেন আর অযোগ্যরা চাকরি করছে', ফের পর্ষদকে খোঁচা কোর্টের

সোমবার টেটে (TET) নিয়োগ সংক্রান্ত বঞ্চনার কথা জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নেফাউর শেখ নামে এক চাকরিপ্রার্থী। আদালতকে (High Court) তিনি জানিয়েছিলেন, টেটের ভুল প্রশ্নের জন্য তাঁর নম্বর বাড়লেও বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি। পর্ষদের ভুলের জন্য তিনি বঞ্চনার শিকার। আদালত পর্ষদকে (Primary Board) নির্দেশ দিক, যাতে তাঁকে পরীক্ষায় বসতে অনুমতি দেয়। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, 'প্রাথমিকের নিয়োগে সমস্যা যখন হয়েছে পর্ষদের ভুলেই। তাই তার খেসারতও তাদেরই দিতে হবে।'

প্রশ্ন ভুল মামলায় কত জনকে ৬ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, কত জনকে দেওয়া সম্ভব, তা আগামী ৪ নভেম্বর পর্ষদকে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে ২০ লাখ পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এক লাখের বেশি পরীক্ষায় পাশ করেছিল। এদিন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, ওই ক্যান্ডিডেটকে যাতে পরীক্ষায় বসানো যায় সেই ব্যবস্থা পর্ষদকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে। এই নির্দেশ সবার জন্য। যারা ২০১৪-য় পরীক্ষায় বসেছেন, তাঁদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।

এদিন শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'পাহাড় প্রমান দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মেধাবী চাকরিপ্রার্থীরা লড়াই করছেন আর অযোগ্যরা চাকরি করে যাচ্ছে। যুব সমাজের কাছে প্রমাণিত দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একটা চাকরির জন্য মেধাবী চাকুরীপ্রার্থী দেওয়ালে মাথা ঠুকছেন, সেখানে পর্ষদের ভুলে চাকরি পরীক্ষায় বসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।'

2 years ago