নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করব না, বাধা হয়ে দাঁড়াবো না। কারণ ওটা চাকরিপ্রার্থীদের চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপার। চাকরিটা জরুরি। আমি চাই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ (Primary Board) স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাক। শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগের এক মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন যদি কোনও গুরুতর অভিযোগ আসে, যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তার বিচার চলতে পারে, কিন্তু প্রক্রিয়া বন্ধের পক্ষপাতী আমি নই। প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)।
এদিকে বৃহস্পতিবার ২০১৭-র টেটে যারা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ পেয়েছেন, তাঁদের পাশ করিয়ে নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, টেট পরীক্ষা ২০১৭-র ক্ষেত্রে ৮৩ পাস নম্বর। এই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে আদালতে হাজির হয়েছিল ১৬ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের আবেদন শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ তাঁদের পাশ করাতে হবে।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, যারা আদালতে দরবার করেছিলেন তাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েও যোগ্যতা লাভ করেননি। যেহেতু পাশ মার্কস ৮৩, সেক্ষেত্রে ১৫০-র ৮২ মানে ৫৪.৬৬%, রাউন্ড আপ করলে ৫৫%। আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই শতাংশ স্বীকৃত সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনে। তাই আবেদনকারীদের পক্ষে রায় দেন বিচারপতি।