হাতির হামলায় (Elephant Attack) একদিনে মৃত্যু ২ জনের। গত তিন দিন ধরে হাতির আক্রমণে ঝাড়গ্রাম জেলার তিনটি ব্লকে চারজনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। এমনকি হাতির হামলাতে এলাকার ছয়টি বাড়ি ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে। তাই গোটা ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা জুড়ে হাতির হামলায় আতঙ্কে এলাকাবাসীরা।
সোমবার রাত ৯টা নাগাদ প্রথমে হাতি হামলা চালায় ঝাড়গাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের চুনপাড়া এলাকায়। সেই এলাকারই এক যুবক হাতির হামলায় মারা যান। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম সুজিত মাহাত। ঝাড়গ্রাম ব্লকের দুধকুন্ডি অঞ্চলের ইন্দখাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার রাতে কাজ সেরে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলো সে। তখনই রাস্তায় তাঁর উপর হাতি হামলা করে এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল ব্লকের চুনপাড়া এলাকায় দুটি হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার ফলে সোমবার রাতে হাতির হামলায় ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনার ফলে এলাকা জুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে ওই ঘটনা রেস কাটতে না কাটতে সেই রাতেই প্রায় ১০টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম ব্লকের বালিয়া গ্রামে খাবারের সন্ধানে পাঁচটি হাতি তাণ্ডব শুরু করে। সেই সময় বাড়ির উঠোনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রায় ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা নমিতা মাহাতো। বৃদ্ধাকে আছাড় মেরে পা দিয়ে পিষে দেয় হাতির দলটি। পরে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। চোখের সামনে বৃদ্ধার মৃত্যু দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গোটা বালিয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
আরেকটি হাতির দল বেলতলা এলাকায় খাবারের খোঁজে দোকানে তান্ডব চালায় দোকানের দরজা ভেঙে সাবার করে আলু সহ খবারের নানা জিনিস। রবিবার সকালে নয়াগ্রাম ব্লকের নিগুই জঙ্গলে ২৪ বছর বয়সী দময়ন্তী মাহাতো নামে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কিছু ঘন্টার ব্যবধানেই রবিবার রাতে হাতির হামলায় আহত সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরি ঘোড়াপাড়ার বাসিন্দা জিতু হেমব্রমের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
হাতির হামলায় পর পর মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত ঝাড়গ্রাম জেলায়। তবে এই গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই বন দফতরকে জানানো হয়েছে।
ফের হাতির হামলায় (Elephant Attack) ক্ষয়ক্ষতি। গোটা ঝাড়গ্রাম(Jhargram) ব্লকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির একটি দল। রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। ধান চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা। যার ফলে কয়েক বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দল।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ঝাড়গ্রাম ব্লকের একাধিক জায়গায় খাবারের খোঁজে হামাল চালায় হাতির দল। ঝাড়গ্রাম ব্লকের কুনডলডিহি গ্ৰামে মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ হাতির দল হামলা করে দীপেন্দু মাহাতো নামে এক স্থানীয়ের বাড়িতে। রাতে বাড়ির বাইরে লোকজনের চিৎকার শুনে দরজা খুলে দেখে একটা হাতি কলা গাছ ভেঙে বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে। তারপরই বাড়িতে রাখা দীপেন্দুর বিয়ে বাড়ির ডেকোরেশন ব্যবসার স্ট্রাকচারগুলো পায়ে মাড়িয়ে ভেঙে দেয়।
অন্যদিকে বুধবার সাতসকালে ওই হাতির দলটিই মোহনপুর ও মুড়াকাটি এলাকায় ধান চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। যার ফলে কয়েক বিঘা জমির চাষের ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দলটি, জানান গ্রামবাসীরা। এমনকি মানিক পাড়ার বৈদ্যপালে সকালে আলুচাষের জমিতে চাষিরা থাকাকালীনই ঢুকে পড়ে দাঁতালের দল। আলু খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্টও করে তারা।
পরে হাতির দলটি মোহনপুর জঙ্গল থেকে এনএইচ-৬ পেরিয়ে নেকড়াবিন্ধ্যা ও ছচমেটিয়ার দিকে চলে যায়।
গরম পড়তেই ক্লান্ত রামলাল (Elephant) সটান হাজির গৃহস্থর বাড়িতে। জঙ্গল ছেড়ে সোজা বাড়িতে এসে হাজির রামলাল হাতি। তার জল তেষ্টা পেয়েছে বুঝে বাড়ির লোকও তাড়াতাড়ি করে সাবমার্সেবেল পাম্প চালিয়ে দেয়। ঝাড়গ্রাম(Jhargram) রেঞ্জের পুকুরিয়া বিটের অরুণডিহি গ্রামের ঘটনা। বাড়ির লোকজন আতঙ্কে ঘরের মধ্যেই ছিল। তবে কারও ক্ষতি করেনি সে।
জঙ্গল মহলের পরিচিত হাতি রামলাল। একডাকে জেলার সকলে চেনে। রামলাল তার খুশি মত যার-তার বাড়িতে ঢুকে খাওয়া-দাওয়া করে। তবে কারও কোনও ক্ষতি করে না। অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের রামলাল।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে জল তেষ্টার জন্য রামলাল কাজু বাদামের জঙ্গল ছেড়ে সোজা এলাকাাসীদের বাড়িতে এসে হাজির হয়। রামলালের জল তেষ্টার কথা বুঝতে পেরে বাড়ির সদস্যরাও তাড়াতাড়ি করে সাবমার্সেবেল পাম্প চালিয়ে দেয়। তারপরেই জল খেয়ে নিজের তৃষ্ণা নিবারণ করে সে। এমনকি বালতিতে রাখা জল ছিটিয়ে গা ঠান্ডা করে। প্রায় আধ ঘন্টার উপর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে কলা গাছ খেয়ে নষ্ট করে রামলাল। তারপর নেটের বেড়া ভেঙে আবার কাজু বাগানে প্রবেশ করে জঙ্গল মহলের পরিচিত হাতি রামলাল।
ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ১ নম্বর ব্লকের লালগড় রেঞ্জের বীরকাঁড় গ্রামে দাঁতালের(Elephants) তাণ্ডব। বুধবার প্রায় ৩৫টি হাতির দল তাণ্ডব চালিয়েছে বীরকাঁড় গ্রামে। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি বন দফতরে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বন দফতরের কর্মীরা(Forest Department staff) হাতির দলের গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু করেছে।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, প্রকাশ্য দিবালোকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হাতির দল ঢুকে পড়েছে। প্রায় ৩৫টি হাতির একটি দল লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এমনকি ওই হাতির দলটি বীরকাঁড় গ্রামের মাঠেও তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি করেছে। খাবারের সন্ধানে ফসলের পাশাপাশি ঘরবাড়ির ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন এলাকাবাসীরা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকাবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঘটনাস্থলে গিয়ে বন দফতরের কর্মীরা হাতির দলের গতিবিধির উপর নজরদারিও শুরু করেছে। তবে এলাকাবাসীরা হাতির হামলার আশঙ্কায় বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
রবিবার রাতভর দাঁতালের দলের তাণ্ডব ঝাড়গ্রাম জেলায়। বিনপুর-১ ব্লকের তাড়কি গ্রামে হাতির হামলার গুরুতর জখম ছয় বছরের এক শিশু। অপরদিকে বসন্তপুর গ্রামে হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি। ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া এলাকায় দলছুট দাঁতালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের।
ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে ঢুকে পড়লো হাতি, আতঙ্কিত শহরের বাসিন্দারা। রবিবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের চার্চ এলাকায় পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ঝাড়গ্রাম শহরে হাতির হামলার আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। যেভাবে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হাতির দল ঢুকে পড়েছে। তাতেই হাতির হামলার আশঙ্কা বেড়েই চলছে।
পরপর হাতির হামলায় মৃত্যুর ঘটনা যেমন ঘটেছে, তেমনি আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। সেই সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ১ ব্লকের লালগড় থানার তাড়কি এলাকায় একদল হাতি ঢুকে পড়ে। হাতির দলটি এক খুদে শিশুকে আছাড় মারে। তাকে প্রথমে লালগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর তাকে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কা বেড়েই চলছে। বিনপুর ১ ব্লকের বসন্তপুর গ্রামে হাতির দলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েটি মাটির বাড়ি।খাবারের সন্ধানে দীর্ঘক্ষণ তাণ্ডব চালায় এলাকায়। ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া এলাকায় দলছুট দাঁতালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত জমির ফসল।
এবার পথ অবরোধ (blockade) ঝড়গ্রাম শহরে! ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা জুড়ে শাসকদল যখন উন্নয়ন নিয়ে নিজেদের ঢাক পেটাতে ব্যস্ত, সেই সময় শহরেরই সেটেলমেন্ট মোড় থেকে নতুন বাস স্ট্যান্ড যাওয়ার রাস্তায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ব্যারিকেড করে পথ অবরোধে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গেই রয়েছে একগুচ্ছ অভিযোগ।
স্থানীয়দের মতে, ঝাড়গ্রাম শহরের এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত জেলা থেকে আসা বাস এই রাস্তার উপর দিয়েই নতুন বাস স্টান্ডে পৌঁছয়। কিন্তু সেই রাস্তাটিই দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দিনের পর দিন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে লিখিত আকারে আবেদন জানিয়েও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যানকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। দীর্ঘদিন রাস্তা বেহাল দশায় পড়ে থাকার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেছে। একরকম বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকাবাসী।
তাঁদের মূল দাবি, যতক্ষণ না স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুরসভার চেয়ারম্যান লিখিত আকারে তাঁদের এই রাস্তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ততক্ষণে রাস্তা অবরোধ চলবে।তারপরেও যদি কোনও সুরাহার না হয়, তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখবেন।
ফের হাতির হানায় মৃত্যু (death)। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মেটেলি ব্লকের লামাপাড়া এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম পান্ডা ওঁরাও(৪৫)। তাঁর বাড়ি ইনডং ফরেস্ট বস্তি এলাকায়। ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্কের (panic) পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জানা যায়, এদিন ওই ব্যক্তি দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে রাস্তায় একটি বুনো হাতি (elephant) তাঁকে ধরে ফেলে। এরপর তাঁকে শুড় দিয়ে তুলে আছার মারে। ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসতেই চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। আওয়াজে হাতিটি ওখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে এই খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় জমে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মেটেলি থানার পুলিস ও খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা। বনকর্মীরা আসলে এলাকাবাসীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই পাশের পানঝোরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হাতি। একাধিকবার বন দফতরকে বলা সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।
অবশেষে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভে তুলে নেন তাঁরা। পুলিস দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা যায়। এদিকে, সোমবার রাতেই হাতির হামলায় জখম হলেন আরও এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ধোবাশোল এলাকা। আহত মানস মাহাতো নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি স্থানীয় মহুলি গ্রামে। মানসবাবু সোমবার বাড়ি ফেরার সময় হাতির সামনে পড়ে গেলে তাঁকে আছাড় মেরে ফেলে দেয় একটি হাতি। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। জখম গুরুতর হওয়ায় ভাঙাগড় হাসপাতাল থেকে মানস মাহাতকে রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতি ও এক যুবক জখম হওয়ার ঘটনায় বন দফতরের উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বন দফতরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'এই এলাকায় হাতির দল থাকা সত্ত্বেও হাতিগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন দফতর। যার কারণেই এই হাতির হামলা।'
ফের গভীর রাতে হাতির (elephant) তাণ্ডব। তাণ্ডবে মৃত (death) দম্পতি। আহত একই পরিবারের আরও তিনজন। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার চারটি বাড়ি। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটা ব্লকের, কলাবাড়ি চা বাগান গারা লাইনের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ ওই এলাকা সংলগ্ন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গারা লাইনে শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়ে একটি বুনো হাতি। পরপর চারটি বাড়ি ভাঙচুর করে। তিনটি বাড়ির সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচালেও, বাঁচতে পারেনি মাঝি পরিবার। শীতের গভীর রাতে পরিবারের সকলেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বুনো হাতিটি ঘর ভেঙে ঘুমন্ত অবস্থাতেই শুড় দিয়ে টেনে হিচড়ে বছর ৬৫-র বাবুরাম মাঝি ও তাঁর স্ত্রী বছর ৬০ এর বাহামুনি মাঝিকে বাইরে নিয়ে এসে পিষে মারে। বুনোর হামলায় আহত ওই দম্পতির মেয়ে বছর ২৮-র আশা মাঝি ও নাতি শিবরাজ মাঝি।
অন্যদিকে, উত্তরের চা বাগানে হাতির হামলায় যখন মৃত দুই, তখন দক্ষিণের ঝাড়গ্রামে হাতির হামলায় আহত আরও এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিমি দূরে অবস্থিত ঝাড়গ্রাম জেলার ডিএফও অফিস। এত কাছেই হাতির তাণ্ডব, অথচ বন দফতরের কোনও হেলদোল না থাকার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের খানাকুলের বাসিন্দা চাঁদু দলই বুধবার সকালবেলা রোজকার মতো কাজে বের হয়ে হাতির সামনে পড়ে যান। হাতি যে শহরের এত কাছে তার কোনও খোঁজই ছিল না বন দফতরের কাছে। ফলে কোনও সতর্কবার্তাও ছিল না। কোনওমতে হাতির সামনে থেকে পালাতে পারলে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন চাঁদু বাবু। গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ২০টি হাতি রয়েছে সেখানে। এডিএফও বলরাম পাঁজা সহ হুলা পার্টি হাতিগুলিকে শহর থেকে দূরে সরাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী।
রাতভর বিয়ের অনুষ্ঠানে হই-হুল্লোড়। কিন্তু কে জানতো ফেরার পথেই ঘটবে বড়সড় বিপত্তি। বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। খড়্গপুরে (Kharagpur) রূপনারায়ণপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রী বোঝাই বাস। গুরুতর আহত (injured) ১০ জন। পুলিসের (police) তৎপরতায় দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital)।
জানা যায়, রবিবার বৌভাতের অনুষ্ঠান সেরে সোমবার ভোরে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানার কুকড়াহাটির উদ্দেশ্যে ফিরছিল একটি যাত্রী বোঝাই বাস। বাসে ছিলেন প্রায় ৫০ জন কনে যাত্রী। এরপর রূপনারায়ণপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে বাসটি। এরপরই কনে যাত্রী-সহ রীতিমত পাল্টি খেয়ে যায় বাস। ঘটনায় গুরুতর জখম হন অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় খড়গপুর লোকাল থানার পুলিস। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিস।
তবে মর্মান্তিক এই ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বাস ড্রাইভার। তবে জখম হন বাসের হেলপার। দুর্ঘটনার পর পুলিসি তৎপরতায় অন্যান্য কনে যাত্রীদের বাসে করে রওনা করা হয় তাঁদের গন্তব্যে। সাত সকালেই এমন মর্মান্তিক ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
বেলপাহাড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) যাওয়ার পথে শিলদার কাছে হঠাৎ থামল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় (Mamata Banerjee)। গ্রামের নাম মাগুরিয়া, সেই গ্রামের রাস্তার ধারে বড় স্টিলের থালায় রাখা ভাজাভুজি ও ডিমের চপ (Egg Devil)। ছোট্ট এই চপের দোকান দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয় (Mamatas Convoy) থামিয়ে ঢুকে গেলেন দোকানের ভিতর। কথা বললেন দোকান মালিক বুদ্ধদেব মহন্তের সঙ্গে। চপ বেচার কাজে তারপরই হাত লাগালেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের হাতে যেমন চপ ভাজলেন, তেমনই স্টিলের থালায় সাজিয়ে রাখা ভাজাভুজি-চপ কাগজে মুড়ে তুলে দিলেন সকলের হাতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজার টাকার শুধু চপই বিক্রি হয়ে গেল বুদ্ধদেব মহন্তর।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কাণ্ড দেখে যেমন বিস্মিত বুদ্ধদেব, তেমনই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে চোখের সামনে দেখে আপ্লুত এই তরুণ বিক্রেতা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলপাহাড়িতে কর্মসূচি সেরে ঝাড়গ্রাম ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে শিলদার কাছে বুদ্ধদেবের চপের দোকানে এভাবে ঢুকে পড়েন তিনি।
সেই সময় দোকানেও ছিলেন জনা কয়েক। তবে তাঁদের কেউই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘেঁষতে পারেননি। নিরাপত্তা বলয়ে থেকে হাজার টাকার চপ এবং চকলেট বিক্রি করে মাগুরিয়া ছাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।
ফের হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত (panic) গ্রামবাসী। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের উওর বাঁকড়া এলাকার চাষের জমিতে তিনদিন ধরে শুরু হয়েছে হাতির (elephant) তাণ্ডব। অভিযোগ, বারবার বন দফতরকে জানানো হলেও ওই হাতির দলটিকে উত্তর বাঁকড়া এলাকা থেকে সরানোর কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বন দফতর। এই অভিযোগেই বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা।
স্থানীয়রা জানান, ৩৫ থেকে ৪০ টি হাতির একটি দল রয়েছে এই এলাকায়। হাতির দল যেভাবে মাঠে গিয়ে পাকা ধান নষ্ট করছে তাতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ওই এলাকার চাষীরা এমনই অভিযোগ। প্রায় ২৫ একর চাষের জমি হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হয়েছে। যার ফলে ওই এলাকার চাষিরা চিন্তায় পড়েছেন। তবে ঘটনার পরই এলাকার চাষীরা বন দফতরের উপর ক্ষুব্ধ। চাষীরা জানান, ধার দেনা করে আমন ধান চাষ করেছিলেন তাঁরা। আমন ধানের চাষ এবছর ভালো হয়েছিল। কিন্তু হাতির দল এসে সব নষ্ট করে দেয়। ফলে ধার দেনা মেটানো নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। ওই এলাকায় হাতির দল দাপিয়ে বেড়ানোয় রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।
হাতির দলকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে এবং ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে শনিবার খড়গপুর বনবিভাগের বারডাঙ্গা বিটের কার্যালয়ে বন দফতরের কর্মীদের অফিসের ভিতর আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করে গ্রামবাসীরা। যার ফলে ওই এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঘটনাস্থলে সাঁকরাইল থানার পুলিস।
ফের জাল নোট (fake note) উদ্ধার। ঘটনাস্থল ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বিনপুর। পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার জাল নোট-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করে পুলিস (police)। সোমবার ধৃত ব্যক্তিকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে বিনপুর বাজারের একটি দোকানে বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করেন এক ব্যক্তি। এরপর জাল ৫০০ টাকার নোট দোকানদারকে দেন। দোকানদার সেই জাল নোট দেখে বিষয়টি বুঝতে পেরে বিনপুর থানার পুলিসকে খবর দেন। খবর পাওয়ার পরেই পুলিস ওই দোকানে এসে রঞ্জিত মহাপাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে তিনি যথাযথ উত্তর দিতে না পারায় তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে আরও প্রায় ৩৫ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করে পুলিস। ঘটনার পরই তাঁকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে পেশ করে পুলিস।
সাতসকালে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) নলবনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল দলমার (Dalma) দাঁতালরা। জনবহুল এলাকায় হাতির (Elephant) দল ঢুকে পড়ায় এলাকায় আতঙ্ক। যদিও জীবন ও ফসলহানি রুখতে সফল বন দফতর। বৃহস্পতিবার সকালে খাবারের সন্ধানে দলমার দাঁতালরা জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়রা জানান, ওই হাতির দলটিতে প্রায় ৩০টি হাতি রয়েছে। লোকালয়ে রাস্তার উপর দাপিয়ে বেড়ায়। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় দলমার দাঁতালের দলটি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতরের কর্মীরা। শেষমেশ স্থানীয় বাসিন্দা ও বনদফতরের কর্মীদের প্রচেষ্টায় দাঁতালের দলটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রতিনিয়ত যেভাবে খাবারের সন্ধানে দলমার দাঁতালেরা জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে, তাতেই আতঙ্কিত হয়ে এলাকার বাসিন্দারা। ফলে বাসিন্দারা দিনের পর দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বন দফতরের বিরুদ্ধে। কবে হবে হাতির সমস্যার সমাধান তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঝাড়গ্ৰামবাসী?
এদিকে, দিন দশেক আগে হাতির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল নয়াগ্রামে। ১৭ অক্টোবর সকালে গ্রামবাসীরা ধান জমিতে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পায়। এরপরই গ্রামবাসীরা ভিড় করতে থাকে সেখানে। ঘটনা জানতে পেরে বন দফতরের টিম (Forest department team) ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। চিকিৎসক এসে নমুনা সংগ্রহের পর হাতিটিকে পোড়ানোর জন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাও ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ব্লকের।
জানা গিয়েছিল, যে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে সেটা পূর্ণবয়স্ক। সেদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গ্রামের বিড়িবাড়িয়া জঙ্গল লাগোয়া রঘুনাথপুর এলাকার চাষের জমিতে পূর্ণবয়স্ক হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (South Eastern Rail) ঝাড়গ্রাম-খড়গপুরের মাঝে সরডিহাতে (Sardiha Rail Roko) রেল অবরোধ গ্রামবাসীদের। তার জেরে একাধিক স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন দাড়িয়ে। সরডিহাতে স্টিল এক্সপ্রেসকে (Steel Express) দাঁড় করিয়ে চলেছে বিক্ষোভ। এলাকার মানুষের অভিযোগ, কোভিডের পর সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ আজও চালু হয়নি। এর আগে পাঁচবার এই ইস্যুতে অবরোধ হলে রেলের তরফে কোনও বিচার এখনও হয়নি, শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্টিলের স্টপেজ হয়নি।
ফলে চরম সমস্যায় এলাকাবাসী। শুধু তাই নয়, সারা দেশে সমস্ত ট্রেন চালু হলেও এই ডিভিশনে এখনও সব লোকাল চালু হয়নি। যেগুলো হয়েছে সেগুলোর ভাড়া বাড়িয়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া করা হয়েছে। এছাড়াও বয়স্কদের ভাড়ার কনসেশন উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।অসুস্থ কাউকে ট্রেনে করে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই দক্ষিণ-পূর্বের স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজ,বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনগুলো চালু ও লোকাল ট্রেনের ভাড়া ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও নিয়ে রেল অবরোধ এলাকাবাসীর।
শহরের উপকন্ঠে দাঁতাল হাতির তান্ডব (Elephant Attack)। হাতির আক্রমণ এক মহিলা সহ তিন জনের মৃত্যু (Death)। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহর সংলগ্ন কন্যাডোবা এলাকায় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় এক যুবকের (Boy)। গুরুতর জখম আরও দুই জনকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় তান্ডব চালানোর পর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বেনাগেড়িয়া এলাকায় হাতির মুখোমুখি পড়ে মৃত্যু হয় আরও এক মহিলার।
বুধবার রাতে দলছুট দুটি হাতি হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ে এলাকায়। দলে একটি শাবকও ছিল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঝাড়গ্রাম শহরে। শহরের মধ্য তিন জনের হাতির হামলায় মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, রাস্তার পাশে রোজকার মতো বুধবারও আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। হঠাৎ করে হাতি চলে আসায় পালানো সুযোগ পাননি। হাতির আক্রমণের মুখে পড়েন তাঁরা। ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে হাতির তান্ডব বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।