যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোথায়, কী প্রযুক্তি বসবে, তা খতিয়ে দেখল ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার যাদপুরে গিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা শুধু মাত্র ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। এদিন ইসরো প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হস্টেল। গত ৯ অগস্ট এই হস্টেলেই মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। তারপর থেকেই উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস-সহ রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার পরেই অস্থায়ী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ।
ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষেই তিনি সওয়াল করেছেন। কোন কোন প্রযুক্তি যাদবপুরের কোথায় বসবে, সে বিষয়ে ইসরো কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইসরোর প্রযুক্তিকে ব্যবহারের কথা প্রথমবার বলেছিলেন আচার্য এবং রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Lander Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan)। তাঁদের ১৪ দিনের জন্য কাজ করতে পাঠানো হয়েছে চাঁদে। কারণ এর পরই চাঁদে নেমে এসেছে আঁধার অর্থাৎ চাঁদের এখন রাত চলছে। ফলে চাঁদে রাত নামার আগেই বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে 'স্লিপ মোডে' পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারা ঘুমনোর আগে পর্যন্ত অনবরত করে চলেছে কাজ। তারই প্রমাণ একটি ছবি, যা ইতিমধ্যে শেয়ার করেছে ইসরো।
জানা গিয়েছে, ল্যান্ডার 'বিক্রম'-এর ছবিটি 'প্রজ্ঞান' ৩০ অগাস্ট তুলেছিল। তবে এটা ইসরো তার এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছে ৫ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। তবে প্রজ্ঞানের তোলা এই ছবিতে এক বিশেষত্ব রয়েছে। ইসরো সূত্রে খবর, 'বিক্রম' ও চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবিটি অ্যানাগ্লিফ (Anaglyph)। আসলে এটি একটি থ্রি ডি ছবি। এই ছবিতে চন্দ্রপৃষ্ঠের রং ধূসরের পরিবর্তে কিছুটা সবুজ ও লালচে রং-এর দেখাচ্ছে। তবে খালি চোখে এই থ্রি ডি ছবি ঠিকমতো বোঝা যাবে না। এর জন্য রেড অ্যান্ড সায়াল গ্লাসের প্রয়োজন। আরও জানানো হয়েছে, এমন ধরনের ছবি ন্যাভক্যাম স্টিরিও ইমেজ-এর মাধ্যমে (NavCam Stereo Images) তোলা হয়েছে।
চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Lander Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan) ১৪ দিনের জন্য রয়েছে 'ঘুমের দেশে'। তবে অন্যদিকে, সৌরযান আদিত্য এল-১ তাঁর গন্তব্যের পথে ছুটে চলেছে। ইসরো (ISRO) তরফে মঙ্গলবার মধ্যরাতে জানানো হয়েছে, সৌরযান পৃথিবীর প্রথম কক্ষপথ ঘোরা সম্পূর্ণ করে দ্বিতীয় কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছে। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত আদিত্য এল-১-এর (Aditya L1) রাস্তা মসৃণ রয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইসরো তার এক্স অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, আদিত্য এল-১ সফলভাবে পৃথিবীর দ্বিতীয় কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। বেঙ্গালুরু ও পোর্ট ব্লেয়ারে ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকেই সৌরযানটিকে পরিচালিত করা হচ্ছে। বর্তমানে নতুন ২৮২ X ৪০২২৫ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে আদিত্য এল-১।
এর পর আরও জানানো হয়েছে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাত ২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ফের কক্ষপথ পরিবর্তন করবে ও তৃতীয় কক্ষপথে প্রবেশ করবে আদিত্য এল-১। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর প্রথম কক্ষপথ সফলভাবে পরিবর্তন করেছে আদিত্য এল-১। জানা গিয়েছে, পৃথিবীর মোট পাঁচটি কক্ষপথ বদল করবে সৌরযানটি। পঞ্চম বার কক্ষপথ পরিবর্তন করার পরই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে বেরিয়ে যাবে আদিত্য এল-১। আর এতে সময় লাগবে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ দিন। এর পর তার লক্ষ্য হবে সূর্যের কাছে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট বা এল১ পয়েন্ট। এটি পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরের একটি 'হ্যালো' পয়েন্ট। সেই গন্তব্যে দাঁড়িয়েই সূর্যকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে ভারতের প্রথম সৌরযান।
কিছুক্ষণ আগেই ইসরো (ISRO) থেকে জানানো হয়েছিল, বিক্রম (Vikram) হঠাৎ চাঁদের বুকে লাফিয়ে উঠেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০ সেমি উপরে উঠে গিয়েছিল। আসলে ইসরোর বিজ্ঞানীরাই বিক্রমকে উড়িয়ে দেখেছে এটা ফের উড়তে সক্ষম কিনা। আর সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। তাই বলা হচ্ছে যে, ল্যান্ডার বিক্রম ফের চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে ল্যান্ড করেছে। আর এবারে ল্য়ান্ড করানো হয়েছে আগের জায়গা থেকে ৩০-৪০ সেমি দূরে। সেই দৃশ্যও ইসরোর তরফে শেয়ার করা হয়েছিল। এরই মধ্যে ফের খবরে এসেছে, প্রজ্ঞানের সঙ্গেই ঘুমের ঘোরে চলে গেল ল্যান্ডার 'বিক্রম'ও। স্লিপ মোডে পাঠানো হল ল্যান্ডার বিক্রমকে। যেহেতু চাঁদে রাত নামছে, তাই আবহাওয়ার সঙ্গে যুঝতে ইসরোর এই সিদ্ধান্ত। আবার ২২ সেপ্টেম্বর চার্জড আপ হয়ে জেগে ওঠার কথা 'বিক্রম'-'প্রজ্ঞান'-এর।
ইসরো সূত্রে খবর, ল্যান্ডারের সঙ্গে একটি hop experiment করেছে বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ এতদিন ভাবা হয়েছিল, চাঁদের বুকে কাজকর্ম সেরে চাঁদের মাটিতেই চিরস্থায়ী বাসা বাঁধতে হবে ল্যান্ডারকে। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, এটা হয়তো ফের ফিরে আসতে পারে। একটি ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করে ইসরো লিখেছে, 'চাঁদে আবার সফট ল্যান্ডিং করেছে বিক্রম ল্যান্ডার। প্রয়োজনের চেয়েও অতিরিক্ত কাজ করেছে বিক্রম। চাঁদে লাফও দিয়েছে ল্যান্ডার। ইসরোর পাঠানো কমান্ড মেনেই প্রায় ৪০ সেমি লাফ দিয়েছে বিক্রম। তারপর ৩০-৪০ সেমি দূরে গিয়ে ফের ল্যান্ড করেছে। পুরো কাজটাই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আর সব কাজকর্মের পর বিক্রম এখন একদম ঠিক রয়েছে।' ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে কীভাবে এই হপ পরীক্ষায় চন্দ্রপৃষ্ঠ কীভাবে ধুলোঝড়ে ভরে গিয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, এই হঠাৎ লাফে আগামী দিনেও বিক্রম থেকে তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই পরীক্ষা মানুষের চন্দ্রাভিযানে কাজে লাগবে। চাঁদের বুক থেকে একটু ওপরে তোলার সময় ChaSTE, ILSA - এই দুই পেলোডকেও গুটিয়ে নেওয়া হয়। এক্সপেরিমেন্ট হয়ে যাওয়ার পর আবারও এগুলিকে সচল করা হয়েছে।
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) September 4, 2023
Vikram Lander is set into sleep mode around 08:00 Hrs. IST today.
Prior to that, in-situ experiments by ChaSTE, RAMBHA-LP and ILSA payloads are performed at the new location. The data collected is received at the Earth.
Payloads are now switched off.… pic.twitter.com/vwOWLcbm6P
ইসরো সূত্রে খবর, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদে নামছে রাত, তাই তার আগে বিক্রমকে আগেভাগেই ঘুমের দেশে পাঠানো হল। তাকে জাগানোর কাজও আগেভাগে সেরে ফেললেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ফলে চাঁদের রাত শেষ হওয়ার পর ২২ সেপ্টেম্বর বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ফের জেগে ওঠার আশায় সারা দেশবাসী।
২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে পা রেখেছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3), এর পর ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে আদিত্য এল-১। কিন্তু উচ্ছ্বাসের মাঝেই এল দুঃখের খবর। জানা গিয়েছে, শনিবার প্রয়াত হলেন ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানী এন ভালারমতি (N Valarmathi)। ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ৩ -এর পিছনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান ৩-এর কাউন্টডাউনের সময় নেপথ্যে যাঁর গলা ছিল তিনি আর কেউ নন, এন ভালারমতিই ছিলেন।
সূত্রের খবর, গত শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভালারমতি। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র চন্দ্রযান ৩-এর কাউন্টডাউনের ঘোষিকা হিসাবেই ছিলেন না। ইসরো থেকে উৎক্ষেপণ করা প্রায় সমস্ত রকেটের উৎক্ষেপণের আগের কাউন্টডাউন তাঁর কন্ঠেই শোনা যেত। এছাড়াও চাঁদের বুকে অবতরণ করেছে, এসমস্ত কিছুর নেপথ্যে কন্ঠ ছিল তাঁরই। চন্দ্রযান ৩ তাঁর শেষ কাজ ছিল।
এন ভালারমতির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর পিভি বেঙ্কিটাকৃষ্ণন তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, 'শ্রীহরিকোটা থেকে ইসরোর উৎক্ষেপণ করা রকেটের কাউন্টডাউনের সময় তাঁর ভালারমতি ম্যাডামের কন্ঠ আর শোনা যাবে না। খুবই দুঃখিত।' ফলে তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বৈজ্ঞানিক মহল।
The voice of Valarmathi Madam will not be there for the countdowns of future missions of ISRO from Sriharikotta. Chandrayan 3 was her final countdown announcement. An unexpected demise . Feel so sad.Pranams! pic.twitter.com/T9cMQkLU6J
— Dr. P V Venkitakrishnan (@DrPVVenkitakri1) September 3, 2023
অবশেষে 'নিদ্রা'য় গিয়েছে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Lander Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan)। শনিবার রাতে ইসরো (ISRO) থেকে এক্স-এ জানানো হয়েছে, রোভার প্রজ্ঞান তার কাজ সম্পন্ন করেছে ও এটিকে ঠিকমতো পার্ক করা হয়েছে। ফলে এখন এটাকে 'স্লিপ মোডে' রাখা হয়েছে। ২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে চন্দ্রযান ৩ পা রেখে এক ইতিহাস গড়েছিল ভারত। এরপর ১৪ দিনের জন্য কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে। ইসরো তরফে তাই জানানো হয়েছে, স্লিপ মোডের আগে রোভার তার কাজ সম্পন্ন করেছে। তবে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে, চাঁদের অন্ধকার চলে গেলে ফের কি জেগে উঠবে প্রজ্ঞান?
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) September 2, 2023
The Rover completed its assignments.
It is now safely parked and set into Sleep mode.
APXS and LIBS payloads are turned off.
Data from these payloads is transmitted to the Earth via the Lander.
Currently, the battery is fully charged.
The solar panel is…
শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ টুইট করে ইসরো জানায়, ১০ দিনেই কাজ সম্পন্ন করেছে প্রজ্ঞান। তাই তাকে এখন নিরাপদ স্থানে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, তার দুটো পেলোড এপিএক্সএস ও এলআইবিএস-কেও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এই পেলোডে সংগৃহীত তথ্য ল্যান্ডার বিক্রম-এর মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, প্রজ্ঞানকে ঘুম পাড়িয়ে রাখলেও এতে সম্পূর্ণ চার্জ রয়েছে। এর সোলার প্যানেল গুলোকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, চাঁদে আবার সূর্যের আলো পড়লে তা যেন প্যানেলে পড়ে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২২ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদে দিন অর্থাৎ সূর্যের আলো পড়বে। তারপরই জেগে উঠতে পারে 'প্রজ্ঞান'।
তবে এও জানানো হয়েছে, যদি প্রজ্ঞান তার 'ঘুম' থেকে জেগে উঠতে না পারে তবে তা সারাজীবনের মত ভারতের চাঁদ 'অ্যাম্বাসেডর' হয়ে থেকে যাবে। আর এক ইতিহাস হওয়ার সাক্ষ্য প্রমাণ করে চলবে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। ফলে সারা দেশবাসী এখন প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার অপেক্ষায়। কারণ এটা জেগে উঠলেই আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
ভারতের প্রথম সৌর অভিযান সফল হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম হতেই ইসরোকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। দু'সপ্তাহের মধ্যেই ইসরোর দ্বিতীয় সফল উৎক্ষপণের ফলে আপ্লুত মোদী। ২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আদিত্য এল ১। ফলে এই সফল উৎক্ষেপণে বেজায় খুশি পুরো দেশবাসী।
প্রথমে চাঁদকে হাতের মুঠোয় করেছে ভারত, আর এবারে সূর্যকে হাতের মুঠোয় করার পালা। ফলে একের পর এক সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেশের প্রধানমন্ত্রী। ফলে নিজের উচ্ছ্বাস চেপে না রাখতে পেরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর মহাকাশ গবেষণায় ফের কামাল করল ভারত। আমাদের সমস্ত বিজ্ঞানী, গবেষক এবং ইসরোর সকল ইঞ্জিনিয়ারদের শুভেচ্ছা জানাই। আদিত্য এল-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে। মহাকাশকে আরও কাছ থেকে বোঝার এবং মানব সভ্যতার উন্নতিতে এই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা আরও সাফল্য এনে দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।'
আবার এদিন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থাকে তাঁদের সাফল্যের জন্য় অভিবাদন জানান। তিনিও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একই পোস্টে কুর্নিশ জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।
Time and again our scientists have proved their might and brilliance. The nation is proud and delighted over the successful launch of Aditya L1, India's first solar mission.
— Amit Shah (@AmitShah) September 2, 2023
Kudos to the team @isro for this unparalleled accomplishment. It is a giant stride towards fulfilling PM… pic.twitter.com/XEacBvLxoj
২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরু (Moon South Pole) স্পর্শ করে ইসরোর (ISRO) চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ইসরোর বিজ্ঞানীদের কথা মতো, চাঁদের বুকে এক চন্দ্রদিবস বা পৃথিবীর ১৪ দিন কাটাবে সেখানে। এর পরই নিস্তেজ হয়ে পড়বে ল্যান্ডার 'বিক্রম' ও রোভার 'প্রজ্ঞান'। ফলে সেই মতো বিক্রম ও প্রজ্ঞান-কে 'ঘুম পাড়ানো'র কাজ শুরু করবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কারণ চাঁদের অন্ধকার পর্ব আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। তবে এর আগেই এক খুশির খবর দিল ইসরো। জানা গিয়েছে, 'প্রজ্ঞান' (Pragyan) ইতিমধ্যেই 'শিবশক্তি' পয়েন্ট থেকে ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করেছে। সেই ছবিও শেয়ার করল ইসরো।
আজ, শনিবার অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশে আদিত্য এল ১ পাঠানোর পরই ইসরো তরফে এই খবর দেওয়া হয়েছে। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, 'এক চন্দ্রদিন চাঁদে অতিবাহিত করার পরই চন্দ্রযান ৩-কে স্লিপ মোডে পাঠাবে ইসরো। ল্যান্ডার থেকে ইতিমধ্যেই ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করে ফেলেছে রোভারটি। এখনও সক্রিয় বিক্রম ও প্রজ্ঞান। কিন্তু এক-দু'দিনের মধ্যে ল্যান্ডার এবং রোভারটিকে ঘুম পাড়ানোর কাজ শুরু করব আমরা, যাতে চাঁদের বুকে দীর্ঘমেয়াদি রাতের মোকাবিলা করতে পারে তারা।'
জানা গিয়েছে, চাঁদে রাত নামলেই সেই জায়গার তাপমাত্রা কমে হয়ে যেতে পারে মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়ালের মতো। ফলে এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডা সহ্য করতে পারবে না 'বিক্রম' এবং 'প্রজ্ঞান'। তাই তাদের ঘুম পাড়িয়ে রাখার সিদ্ধান্ত ইসরোর। ১৪ দিন পর ফের সূর্য উঠলে তারা আবার সক্রিয় হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে মানুষের মনে।
চাঁদের (Moon) বুকে চন্দ্রযান ৩ সফল অবতরণ করেই ইতিহাস গড়েছে ভারত। আর সেই ইতিহাস গড়ার ১০ দিনের মাথায় এবারে সূর্যজয়ের পথে ইসরো (ISRO)। ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আদিত্য এল ১ (Aditya L1)। পিএসএলভি সি৫৭-এর (PSLV C57) কাঁধে চাপিয়ে এটিকে সূর্যের দেশে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্য়েই জানা গিয়েছে, পিএসএলভি সফলভাবে আদিত্য এল ১ থেকে আলাদা হয়েছে।
শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টা ৫০মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। কিন্তু আদিত্য এল ১ ঠিক রাস্তায় এগোচ্ছে কিনা, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মনে। এর পরই আম জনতার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। তিনি জানালেন, উৎক্ষেপণের এক-দু'ঘণ্টা পরই পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি থেকে সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে আদিত্য এল ১ মহাকাশযান। ঠিক পথেই এগিয়ে চলেছে এটি। এখানেই শেষ নয়, আদিত্য এল ১-কে সঠিকভাবে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি পিএসএলভিকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
ফলে এখনও পর্যন্ত আদিত্য এল ১-এর রাস্তা মসৃণ রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। প্রায় ১২৫ দিন পর হ্যালো অরবিটে পৃথিবী-সূর্যের মধ্যে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট ১-এ থাকবে আদিত্য এল ১ মহাকাশযান। আর সেখান থেকেই সূর্যের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে ইসরোকে পাঠাবে। ফলে দেশবাসীর নজর এখন ভারতের সৌরযানের উপর।
চাঁদের পর এবারে সূর্য ধরার (Solar Mission) পথে পাড়ি দিল ইসরোর (ISRO) আদিত্য এল ১ (Aditya L1)। শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সময় ১১টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় ইসরোরর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হল ভারতের প্রথম সৌরযান। পিএসএলভি সি৫৭ রকেটে চেপে সূর্যের দেশে পাড়ি দিল এই মহাকাশযান। ফলে এই সফল উৎক্ষেপণে ফের ইসরোর মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। দু'বার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে চাঁদের বুকে নামতে সফল হয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩। তাই চন্দ্রজয়ের পর এবারে সূর্যজয়ের আশায় ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
ইসরো সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের সেপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়েও সঠিক পথেই চলছে আদিত্য এল ১। এই মহাকাশযান নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে ১২৫ দিন সময় নেবে। এরপরই খুব কাছ থেকে দেখা যাবে সূর্যকে। সূর্যের তাপমাত্রার প্রভাব বিশ্লেষণ করবে ভারতের সৌরযান। পৃথিবীর উপর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব বিশ্লেষণের পাশাপাশি ওজন স্তর এবং মহাকাশে আবহাওয়ার গতিশীলতা মাপবে আদিত্য এল ১। ফলে এখন সারা দেশবাসীর চোখ সৌরযানের দিকেই।
আর মাত্র কিছুক্ষনের অপেক্ষা। তারপরেই সূর্যে অভিযানের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপন করা হবে আদিত্য এল-ওয়ানের। ইতিমধ্যে ইসরো-র তরফে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আদিত্য এল-ওয়ান-এর উৎক্ষেপন হবে বলে জানা গিয়েছে।
চন্দ্রযান মিশন সফল হওয়ার পরেই ইসরোর তরফে বড়সড় ঘোষণা করা হয়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যখন ঘুরে বেড়াচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান ঠিক তখনই সৌর অভিযান সম্পর্কে জানায় ইসরো। শনিবার তার সূচনা।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে সূর্যে পৌঁছতে প্রায় চার মাস সময় লাগবে আদিত্য এল-ওয়ানের। সূত্রের খবর, এই আদিত্য এল-ওয়ান ১৫ লক্ষ কিমি পাড়ি দেবে সূর্যে পৌঁছাতে। পাশাপাশি এই আদিত্য এল-ওয়ানের নামকরণ করা হয়েছে হিন্দু দেবতা সূর্যের নামানুসারে। এই যান সফলভাবে সূর্যে পৌঁছতে পারলে সেখান থেকে একাধিক তথ্য হাতে আসবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। রাত পৌহালেই সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে ইসরোর (ISRO) আদিত্য এল ১ (Aditya L1) মহাকাশযান। চাঁদে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) সফল অবতরণের পর, দেশের চোখ এখন ইসরোর সূর্য মিশন অর্থাৎ আদিত্য এল ১-এর দিকে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কাউন্টডাউনও শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে সূর্যজয়ের জন্য ইসরোর প্রস্তুতি তুঙ্গে।
আজ অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর ইসরো তরফে জানানো হয়েছে, ইসরোর এই মহাকাশযান পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হবে। আদিত্য এল১ শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১.৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল ১-এ (Lagrange point 1 ) অবস্থান করবে ভারতের প্রথম সৌরযান। পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে এই যান। আগেই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমানাথ জানান, মিশনটি সঠিক জায়গায় পৌঁছতে ১২৫ দিন সময় নেবে। এই পয়েন্টে পৌঁছনোর পরে, আদিত্য এল ১ খুব গুরুত্বপূর্ণ ডেটা পাঠাতে শুরু করবে।
PSLV-C57/Aditya-L1 Mission:
— ISRO (@isro) September 1, 2023
The 23-hour 40-minute countdown leading to the launch at 11:50 Hrs. IST on September 2, 2023, has commended today at 12:10 Hrs.
The launch can be watched LIVE
on ISRO Website https://t.co/osrHMk7MZL
Facebook https://t.co/zugXQAYy1y
YouTube…
ইসরো সূত্রে খবর, শনিবার সকাল ১১.২০ মিনিট থেকে থেকে আদিত্য এল১-এর উৎক্ষেপণের লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে। এটি ইসরোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও ইউটিউব পেজ থেকে দেখা যাবে। আবার দূরদর্শন থেকেও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) সাফল্যের পরই এবারে সৌরযান আদিত্য এল১-এর সাফল্যের জন্য আশাবাদী ইসরোর বিজ্ঞানীরা (ISRO Scientists)। ২ সেপ্টেম্বরই উৎক্ষেপণ করা হবে আদিত্য এল১ (Aditya L1)। ফলে তার আগের দিন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান ইসরোর বিজ্ঞানীদের একটি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিল আদিত্য এল১-এর একটি মিনিয়েচার মডেলও। এছাড়াও এদিনই ইসরো প্রধান এস সোমনাথ শ্রী চেঙ্গালাম্মা মন্দিরে বিশেষ পুজো দিলেন।
চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের আগেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের একই রকমের প্রথা মেনে চলতে দেখা গিয়েছিল। ফলে এক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। আদিত্য এল১ ভারতের প্রথম সৌরযান। চন্দ্রকে জয় করার পর এবারে সূর্য জয়ের পথে ভারত। শনিবার ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে এই মহাকাশযানকে। পিএসএলভি সি ৫৭ এর মাধ্যমে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে এই পর্যবেক্ষণ যানকে। ফলে এই মহাকাশযান যাতে সাফল্য নিয়ে আসতে পারে, তার জন্য আদিত্য এল১ মিশনের সাফল্যের জন্য ইসরো প্রধান এস সোমনাথ শ্রী চেঙ্গালাম্মা মন্দিরে বিশেষ পুজো দিলেন। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মন্দিরে গিয়ে আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন। আবার অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান ইসরোর বিজ্ঞানীদের একটি দল।
আদিত্য এল১ কে হালো অরবিটে পাঠানো হবে। যেখান থেকে পৃথিবীর দূরত্ব হবে ১.৫ মিলিয়ন লক্ষ কিলোমিটার। সাড়ে চারমাসের মধ্যেই এই দূরত্ব সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূর্যের বিষয়ে বিশদে তথ্য সংগ্রহ করতে পাঠানো হচ্ছে এই আদিত্য এল১-কে। এক সঙ্গে সাতটি পেলোড পাঠানো হচ্ছে মহাকাশে। যার মধ্যে চারটি সূর্যের আলো নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং বাকি তিনটি প্লাজমা এবং ম্যাগনেটিক ফিল্ড নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ও রোভার পৌঁছনোর পর থেকেই একের পর এক তথ্য প্রকাশ্য়ে আসছে। কখনও রোভার-এর ক্যামেরায় উঠে এসেছে 'সঙ্গী' ল্যান্ডার 'বিক্রম'-কে (Lander Vikram)। আবার ছবির পাশাপাশি রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan) পাঠিয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও খনিজ পদার্থের নমুনা। আর এবারে ল্যান্ডার বিক্রম-এর ক্যামেরায় ধরা পড়ল প্রজ্ঞান-এর কিছু কার্যকলাপ। যা দেখে বিস্মিত ইসরোর বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, চাঁদের বুকে নিরাপদ জায়গা খুঁজছে প্রজ্ঞান।
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) August 31, 2023
The rover was rotated in search of a safe route. The rotation was captured by a Lander Imager Camera.
It feels as though a child is playfully frolicking in the yards of Chandamama, while the mother watches affectionately.
Isn't it?🙂 pic.twitter.com/w5FwFZzDMp
বৃহস্পতিবার ইসরো তরফে এক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের ধূসর মাটিতে ঘুর পাক খাচ্ছে প্রজ্ঞান। একবার গোল করে ঘুরে ফের সামনের দিকে এগোতে দেখা গেল প্রজ্ঞানকে। এটি একটি নিরাপদ রাস্তা খুঁজছে বলে জানিয়েছে ইসরো। তাই প্রজ্ঞানের এমন কার্যকলাপ দেখে বিজ্ঞানীরা এক্স-এ লিখেছেন, 'দেখে মনে হচ্ছে যেন চাঁদমামার উঠোনে খেলা করছে একটি শিশু। আর তাকে স্নেহের চোখে দেখছেন মা। তাই না?'
চাঁদের পর এবার সূর্য। আগেই ঠিক হয়েছিল অভিযানের কথা। এবার জানা গেল তারিখ। শনিবার সূর্যে যাচ্ছে আদিত্য এল ওয়ান। তার ছবি এবার সামনে আনল ইসরো। সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ থেকে শুরু করে আরও নানা বিষয়ে পরীক্ষা করে ইসরোর এই যান।
ইসরো জানিয়েছে, আগামী দোসরা সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভির মাধ্যমেই মহাশূন্যের দিকে এগিয়ে যাবে আদিত্য এল-ওয়ান। মোট ১২৭ দিন ধরে সূর্যের কক্ষপথের দিকে এগোবে এই যান। মাধ্যাকর্ষণ, সূর্যের আলোর জীবনীশক্তি-সহ নানা বিষয়েই পরীক্ষা চালানো হবে।
গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটি ছুঁটেছে ভারতীয় যান চন্দ্রায়ন তিন। সেখানে এখনও কাজ করছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। ইসরোর দাবি, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লৌহ, ক্রোমিয়াম, সিলিকন, অক্সিজেন, ম্যাঙ্গানিজ, টাইটানিয়ামের সন্ধান পেয়েছে রোভার। চলছে হাইড্রোজেনের খোঁজ।