এমনও হতে পারে! প্রাইমারি স্কুলের অফিস (Primary School Office) থেকেই উধাও লক্ষ লক্ষ টাকার পাঠ্যপুস্তক। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Islampur) মহকুমার প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের। এই দফতরের গোডাউন থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার পাঠ্য বই (book) উধাও। খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জেলা জুড়ে। এদিকে ঘটনার পর ইসলামপুর অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের পক্ষ থেকে অস্থায়ী ষ্টোর কিপারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিস (police) সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ষ্টোর কিপার ভীম মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার বিকেল থেকেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনুসারে নতুন বই দেওয়া হয়। এর জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতর নির্দিষ্ট ছাপাখানায় বই ছাপিয়ে বিভিন্ন অবর পরিদর্শকদের বিদ্যালয় অফিসে বই পাঠায়। অবর বিদ্যালয় থেকে বইগুলি বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ হাতে দেওয়া হয়। স্কুল থেকেই পড়ুয়াদের বই বিলি করা হয় গোটা ডিসেম্বর মাস এই প্রক্রিয়া চলে। স্কুলগুলিতে বই দেওয়ার দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছিল শুক্রবার ইসলামপুর প্রাইমারি স্কুল দফতরের। কিন্তু শুক্রবার আধিকারিকরা গোডাউন ঢুকে দেখেন সেখানে বই নেই অথচ কাগজ-কলমে বই গোডাউনে মজুদ আছে।
তাহলে এই বই গেল কোথায়? এই প্রশ্ন উঠতেই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভঙ্কর নন্দী ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস। তবে অভিযুক্ত ভীম মণ্ডল এসআই শুভঙ্কর নন্দীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন এবং তাঁকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন। এই ঘটনা সাধারণ চুরি নয়, এর পেছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে বলে অনুমান পুলিসের।
সাত সকালেই বড়সড় সাফল্য পেল ইসলামপুর থানার পুলিস (police)। বুধবার সকালেই ৮০ বোতল ফেনসিডিল সহ ইসলামপুর (Islampur) বাস স্ট্যান্ড থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, বহরমপুর থেকে জলঙ্গি গামী বেসরকারি বাসে তল্লাশি চালায় পুলিস। সেই বেসরকারি বাঁশের ভেতর থেকে একটি ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ফেনসিডিল। এরপরই আলমঙ্গির সেখ নামে ধৃত ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৮০ বোতল উদ্ধার হয়। ধৃতের বাড়ি রাণীনগরের থানার নন্দিভিটা এলাকায়।
জানা যায়, ধৃত ওই ব্যক্তিকে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবারই তাকে জেলা আদালতে পাঠানো হবে। এপর পাঁচদিনে পুলিসি হেফাজতের আবেদন করা হবে। কোথায় থেকে নিয়ে আসছিল এই ফেনসিডিলগুলি, এবং কোথায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সমস্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yuva Bharati) শনিবার ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ডার্বি (Derby) ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ইস্টবেঙ্গল (East Bengal fan) সমর্থক। তড়িঘড়ি তাঁকে নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান বিধাননগর পুলিস। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু (Death) হয় তাঁর।
বাগুইহাটি দেশবন্ধুনগরের বাসিন্দা ক্রীড়াপ্রেমী আদ্যোপান্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক বছর ৩৮-এর জয়শংকর সাহা। জয়শংকর যে আবাসনে থাকেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী জানান, শনিবার সকালে বাজার করে অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সন্ধ্যায় বাড়ি এসে মাঠে খেলা দেখতে যান। তারপরে রাতে তাঁর মৃত্যু সংবাদ পান তাঁরা। জয়শংকরের পরিবারে স্ত্রী ও ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জয়শংকরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা বহু চেষ্টা করলেও রাত ৯টা ০৭মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
গোটা ঘটনা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রণয় রায় জানান, অত্যন্ত ভালো এবং ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন জয়শংকর। খেলা দেখতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। জয়শংকরের মৃত্যুতে শোকেরছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। রবিবার দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
ফের বাড়ল এলাকায় বাঘের (tiger) আতঙ্ক উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Islampur) থানার কালানাগিন এলাকায়। ইতিমধ্যেই একের পর এক গরু, ছাগল এবং শুয়োরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে কালানাগিন এলাকা থেকে। তবে সোমবার ফের একটি গরুর মৃতদেহ (dead body) উদ্ধার হয়। ১৭ দিন কেটে গিয়েছে বাঘের আতঙ্কে রাতের পর রাত বনদফতরের কর্মীরা এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছেন। তবে বাঘের আতঙ্ক যেন এবার মানুষকে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এই এলাকার মানুষ রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। এবার গ্রামবাসীরা সরাসরি জানাচ্ছে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এলাকা থেকে একের পর এক গরুর মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। সবমিলে প্রশাসনকে দায়ী করছেন এই গ্রামবাসীর এলাকার মানুষ।
এদিকে, বাঘে ভয়ে মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কালনাগিনি গ্রামে এক বৃদ্ধার বয়স্কজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের লোকেরা যখন শোকে বিহ্বল, সেই সুযোগে এলাকায় একটি বাঘ এসে বাড়ির এক গবাদি পশুকে টেনে নিয়ে নিয়ে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাম জুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা মৃতদেহ দাহ করতে সেই বাড়িতে এলেও এই খবর পেয়ে একে একে সকলেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। বাঘ তাঁদের বাড়িতেও গবাদি পশু, ছোট ছোট শিশুদের উপর আক্রমন করতে পারে এই আশঙ্কায় প্রতিবেশীরা কেউ রাতে শ্মশানে যেতে রাজি হননি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সকাল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কেউ শ্মশানে যেতে পারবেন না। লোকের অভাবে মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল সোমবার।
ফের চিকিৎসা (Treatment) না পাওয়ার অভিযোগে তোলপাড় হাসপাতাল (hospital) চত্বর। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর (Islampur) মহকুমা হাসপাতাল। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিক্ষোভ (protest)। ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান (Chairman of Patient Welfare Association) ও ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল হাসপাতালে পৌঁছন। তিনি রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর বিক্ষোভ বন্ধ হয়।
রোগীর আত্মীয়রা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় একটি বাচ্চার ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বল লেগে যায়, আহত অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তখন প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হলেও চিকিৎসক না আসায় রোগীর ভালো চিকিৎসা করা হয়নি বলে অভিযোগ। দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চিকিৎসক না আসায় রোগীর আত্মীয়রা সেই শিশুকে চিকিৎসার জন্য অন্য জায়গা নিয়ে যায়। কিন্তু এরপরই রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা রবিবার রাত দশটায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
অভিযোগ, চিকিৎসক হাসপাতাল না এসে তিনি তাঁর শিলিগুড়ি চলে যান। রোগীর আত্মীয় পরিজনদের দাবি, ওই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করতে হবে না হলে পরবর্তীকালে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন করবেন।
উত্তর দিনাজপুরে (North DinajPur) প্রকাশ্যে তৃণমূল (TMC) বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির সংঘাত। মঙ্গলবার রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক (TMC MLA) আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, 'আমি মমতা দি-কে বারবার বলে আসছি এই সন্ত্রাসবাদীকে নেতা না করতে। একটা সন্ত্রাসবাদীকে এখানে রাখবেন না। আমি মোট ১১ বার বিধায়ক হয়েছিল। কিন্তু কোনও বার সন্ত্রাস করে ভোট করিনি। সংগঠন এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভোটে লড়েছি।'
তিনি জানান, বুথ ক্যাপচার, হিংসার আশ্রয় নিয়ে ভোট করিনি। কিন্তু এখন এই সন্ত্রাসবাদী হুমকি নিয়ে ভোট করাচ্ছে। অভিষেক নিজেই বলেছে ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কথা দিয়েছিল, করিম দা আমি আপনাকে মর্যাদা দেব। আপনি সম্মানীয় ব্যক্তি, আপনার সম্মান ফিরিয়ে দেব। কিন্তু এখন সেই সম্মান দিচ্ছেন না কেন? আগেরবার আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছে, আগামি দিনে দাঁড়ালে আমাকে হারানোর চেষ্টা করবে। এই লোককে কেন দায়িত্ব দিচ্ছেন।
রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষভ উগড়ে দিয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক বলেন, 'যে ব্যবহার আমাকে দিচ্ছে নেতৃত্ব, সেই ব্যবহার আমার প্রাপ্য নয়।'
এদিকে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই জাকির হোসেন জানান, বাংলায় কারও ব্যক্তিগত এলাকা নেই। বাংলা একটাই, আর সেই একটা বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠন করছে। আমার নিজের কিছু নেই যা আছে দলের। আমার পিছন থেকে তৃণমূলের প্রতীক সরলে সাম্নের দিকে ফাঁকা হয়ে যাবে। দলের শক্তি সর্বশক্তি, আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মানুষের সঙ্গে থেকে দলের কাজ করা। আগামি দিনেও নিষ্ঠা ভরে সেই কাজ করব। তিনি বলেন, 'দলের একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও সমালোচনা করব না। উনি কী বলেছেন সেটা দল দেখে বিচার করবে।'
এই সংঘাতকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা তাপস বিশ্বাস বলেন, 'তৃণমূলের এক বিধায়ক, তাঁর দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বলছে। তৃণমূলের ব্লক, অঞ্চল বা জেলা সভাপতি হতে গেলে তাঁকে বুথ দখল, কাট্মানি আদায়ে পটু হতে হবে। বিরোধী কণ্ঠরোধে পটু হতে হবে। তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতির এসব যোগ্যতা আছে। কিন্তু ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক, মানুষের ভোটে জিতে এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বুথ দখল বা সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই। উনি ভালো লোক, চাইছেন এখানে দলটা ভালো ভাবে ভালো পথে চলুক।'