রবিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না। যে বিচারপতির কাছে, সঠিক বিচারের আশায় বুক বাঁধতেন সাধারণ, সেই বিচারপতিই এবার নিতে চলেছেন অবসর। সেদিনই বিচারপতি ঘোষণা করেন, আজ, মঙ্গলবারই বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন তিনি। ঘোষণামতোই কাজ। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান তিনি।
২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই অবসর গ্রহণের সময়সীমা ছিল বিচারপতির। কিন্তু অবসরের নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র কয়েক মাস আগেই কেন আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শুরু হয়েছিল রাজ্যে দুর্নীতির শিকড় খোঁড়ার অভিযান। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও সবার প্রথম দিয়েছিলেন এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। যে মামলা এখনও বিচারাধীন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বিচারপতি তাই আপামর চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভগবান, তা বারংবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা স্বীকার করেছেন নিজের মুখে। এমন একজন বিচক্ষণ বিচারপতির আচমকা অবসর গ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই ভাবাচ্ছে মানুষকে।
পাশাপাশি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে, তবে কি এবার আদালতের ময়দান ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন বিচারপতি? যদিও এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্তে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে একমাত্র সময়ই, তা বলাই যায়।
ফের সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরে বাম বাধায় আটকে গেল রাম কর্মসূচি। অশান্তির গুঞ্জন ছিলই। সে কথা মাথায় রেখে রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুরুর খানিকটা আগেই তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাস।
রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের সমর্থকেরা। চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও। ABVP শিবিরের দাবি, বামেরা তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে।
যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। সূত্রের খবর, মারমুখী ছাত্রদের মধ্যে পড়ে আহত হন তিনি। এছাড়াও ABVP সূত্রে খবর, তাঁদের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে DSF, SFI সহ অন্যান্য বাম সংগঠনের ৪ জন সদস্য আহত। খবর পেয়ে অধ্যাপকদের অনেকে পৌঁছে যান ৩ নম্বর গেটের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেট বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
সদ্যোজাত কন্য়াসন্তান জন্মের পর থেকেই গুরুতর অসুস্থ। মানসিক অবসাদে হাসপাতালেই গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা প্রসূতির। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম পায়েল সিং। এরপর হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন পুরুলিয়ার আদ্রা শহর লাগোয়া বেঁকো গ্রামের পায়েল সিং। সেদিন রাতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর সদ্যোজাতের শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে ওই হাসপাতালেই ভেন্টিলেশানে রাখা হয়। সন্তানের অসুস্থতায় রীতিমত ভেঙে পড়েন মা পায়েল। বারংবার সেই কথা নিজের মা কেও জানিয়েছিলেন পায়েল।
এরপর এদিন সকালে মা কে বাইরে পাঠিয়ে হাসপাতালে বেড থেকে উঠে প্রসূতি বিভাগের তিনতলায় চলে যান পায়েল। সেখানে রেলিংয়ের সঙ্গে গলায় নিজের শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন পায়েল সিং সর্দার। হাসপাতালের ভিতরে রোগীর আত্মহত্যার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা আইসিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা ও ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট বা আইএসসির দ্বাদশ পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে বোর্ড। তাতেই জানানো হয়েছে আইএসসির দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি, শেষ হবে ১৩ এপ্রিল। অন্যদিকে আইসিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ২৮ মার্চ।
২০২৩ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল আইসিএসই-র পরীক্ষা। ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল আইএসসির দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। শেষ হয়েছিল ৩১ মার্চ। ফল প্রকাশ হয়েছিল ১৪ মে। ভাল ফল করেছিল বাংলার পড়ুয়ারাও। আইসিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ছেলেদের থেকে মেয়েদের পাশের হার ছিল বেশি। মেয়েদের পাশের হার ছিল ৯৯.২১ শতাংশ। সেখানে ছেলেদের পাশের হার ৯৮.৭১ শতাংশ। এবার দেখার নতুন বছরের ফলে বড়সড় কোনও বদল আসে কিনা।
এদিকে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে আইএসসি বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টো থেকে। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। অন্যদিকে আইসিএসসির ক্ষেত্রে পরীক্ষা শুরু হবে ১১টা থেকে। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
মেজাজই যেন আসল রাজা। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির তৈরি করা রিপোর্ট শুক্রবারই পেশ হতে চলেছে সংসদে। এদিনই বাতিল হয়ে যেতে তাঁর সাংসদ পদ। কিন্তু লোকসভায় ঢোকার আগে একেবারে ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেল তাঁকে। একগাল হাসি, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও রীতিমতো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার শোনা গেল তাঁর মহুয়া মৈত্রের কণ্ঠে।
লোকসভায় ঢোকার মুখে কাজী নজরুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে মহুয়া বলেন, “অসত্যের কাছে কভু নত নাহি কর শির/ ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর।’’ তৃণমূল সাংসদের হুঙ্কার, “মা দুর্গা এসে গেছে, এবার দেখা যাক কী হয়!” এরপর বলেন,‘‘এঁরা বস্ত্রহরণ শুরু করেছে। এ বার আপনারা মহাভারতের যুদ্ধ দেখতে পাবেন।’’
লোকসভার এথিক্স কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তা কঠোর শাস্তিযোগ্য়। টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। ৫০০ পাতার রিপোর্টে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। লোকসভার পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ, 'সেই লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগইন করা হয়'। কমিটির মতে, 'স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা'। তাই কমিটির সুপারিশ, সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সতেরো-তম লোকসভার সদস্য়পদ বাতিল করা হোক।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি আধ ঘণ্টার মধ্যে মহুয়ার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হোক। তবে তৃণমূলের দাবি, ওই প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।
হিন্দিবলয়ে গেরুয়া ঝড়। তিন রাজ্যে বিজেপির জয়ের পর বিরোধী শিবিরে ছবিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। শনিবার লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সর্বদল বৈঠকে তাঁর হয়ে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বিজেপির এই জয়ের পর সোমেও অটুট থাকবে কি ইন্ডিয়া জোটের দলবদ্ধ মনোভাব। কতটা স্নায়ুর চাপে থাকবেন মহুয়া মৈত্র! সোমবারই এথিক্স কমিটির রিপোর্ট প্রস্তাব আকারে পেশ করার কথা স্পিকার ওম বিড়লার।
এথিক্স কমিটির তদন্তের পরই মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হবে কিনা, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াবে কিনা, তা জানা যাবে সোমবার। তা নিয়ে সরগরম হতে পারে দুই কক্ষ। তবে অনেকের মতে, শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই বিজেপি সাংসদরা লোকসভায় তিন রাজ্যের জয়ের হাওয়া গায়ে নিয়েই ঢুকবেন। কংগ্রেসের থেকে দুটি রাজ্য ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। তাই সাংসদদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকবে। তাতে চাপে থাকবেন বিরোধীরাই।
এদিকে বিজেপির এই জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু অধিকাংশ দোষ কংগ্রেসের ঘাড়েই চাপিয়েছে। তাই সংসদে ইন্ডিয়া জোট শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই কতটা জোটবদ্ধ থাকতে পারবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।
এথিক্স কমিটির গোপন রিপোর্টের খসড়া কীভাবে নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হল। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এই ঘটনাকে বিশেষ অধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলে দাবি করেছেন।
বুধবার একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করা হোক। এমনই সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। ওই ৫০০ পাতার রিপোর্টে মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি তদন্তের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কমিটিতে হাজিরা দেওয়ার কথা মহুয়া মৈত্রের। তার আগেই স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে এথিক্স কমিটির উপরই চাপ তৈরির চেষ্টা করলেন তৃণমূল সাংসদ। এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ বিতর্কে ইতিমধ্যেই মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মহুয়াকে বহিস্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬ জন সদস্য এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪ জন। তবে এই সিদ্ধান্তে খুব একটা ঝুঁকতে রাজি নন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এই ঘটনাকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের প্রিফিক্সড ম্যাচ’ বলে ব্যঙ্গ করেন মহুয়া।
পাশাপাশি মহুয়ার প্রতিক্রিয়া, এখন যদি লোকসভা থেকে বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি আরও বড় ম্যানডেট নিয়ে ফিরে আসবেন। পাশাপাশি ভারতীয় সংসদে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
এদিকে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকরের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ করেন মহুয়া। তিন পাতার একটি চিঠি লিখে তাঁর অভিযোগ, বৈঠকের সময় তাঁকে মৌখিকভাবে তাঁর 'বস্ত্রহরণ' করা হয়েছে । তাঁর সঙ্গে অনৈতিক, নোংরা আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ।
টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করল এথিক্স কমিটি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মহুয়াকে বহিস্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬ জন সদস্য এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪ জন। ডিসেম্বরের বসবে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেই ওই রিপোর্ট পেশ করা হবে।
হীরানন্দানি গ্রুপের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এথিক্স কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে হাজির হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। মহুয়ার অভিযোগ, ওই প্যানেলে তাঁকে ব্যক্তিগত একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। যদিও বৈঠকের মাঝেই বেরিয়ে আসেন তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার ওই কমিটি সরকারিভাবে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে।
এদিকে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকরের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ করেন মহুয়া। তিন পাতার একটি চিঠি লিখে তাঁর অভিযোগ, বৈঠকের সময় তাঁকে মৌখিকভাবে তাঁর 'বস্ত্রহরণ' করা হয়েছে । তাঁর সঙ্গে অনৈতিক, নোংরা আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ ।
'টাকা নিয়ে প্রশ্ন' কাণ্ডে তোলপাড় দেশ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠলে একের পর এক বিপদে পড়ছেন তিনি। এবারে সাংসদ পদ খারিজ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে ইডি তলব করে। হাজিরা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রথমবার মহুয়া বিতর্কে মুখ খুললেন। তিনি বললেন, 'আমার মনে হয় মহুয়া নিজেই নিজের লড়াই লড়ার জন্য যথেষ্ট।'
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর এথিক্স কমিটি ও মহুয়াকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এথিক্স কমিটির ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ নিয়ে এতটা তৎপরতা দেখায় না এথিক্স কমিটি, যতটা মহুয়াকে নিয়ে তারা তৎপর। তিনি বলেন, 'এথিক্স কমিটিতে অনেকগুলি অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আপনারা দেখেছেন, নতুন সংসদ ভবনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি কুকথা বলে কী করে সংসদের গরিমা নষ্ট করেছেন। বিজেপির এমন বহু সাংসদ রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশের শুনানি বকেয়া রয়েছে। কিন্তু যদি কেউ সরকারের বিরোধিতা করে, সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানির অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে চায় তাহলে কী করে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।'
অভিষেক আরও বলেন, 'মহুয়া মৈত্র নিজের লড়াই লড়তে সক্ষম। আমাকেও চার বছর ধরে ডেকে পাঠাচ্ছে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা। নতুন নতুন মামলায় আমার নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।'
আরও বিপাকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। তার আগেই বুধবার সন্ধ্যায় একটি খবর প্রকাশ্যে আসে যে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মহুয়া মৈত্র 'অনৈতিক ও খুব আপত্তিকর' কাজ করেছে অভিযোগ তুলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ আসছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
বুধবারই বিজেপি সাংসদ বিস্ফোরক দাবি করেন যে, লোকপাল মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এর পরই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার লোকসভার এথিক্স কমিটির বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটি কী পদক্ষেপ করার ভাবনা-চিন্তা করছেন, সে বিষয়ে বৈঠকের আগেই এই খবর প্রকাশ্যে আসে। কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এথিক্স কমিটি ৫০০ পাতার একটি রিপোর্ট দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র 'অনৈতিক, অপরাধমূলক ও খুব আপত্তিকর' কাজ করেছেন এবং তাঁকে শাস্তি দেওয়া উচিত।
টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন। এই ইস্যুতে আগামী মঙ্গলবার তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারে লোকসভার এথিক্স কমিটি। রবিবার সংবাদসংস্থা সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। পিটিআইয়ের খবর, ওই দিন ফের বৈঠকে বসছেন এথিক্স কমিটির সদস্যরা। তার আগে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
নিজের সোশাল মিডিয়ার মহুয়ার দাবি, আদানিদের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে। বিজেপির এই ভূমিকায় তিনি শিহরোন বোধ করছেন। তৃণমূল সাংসদের দাবি, এ ক্ষেত্রে ইডি এবং সিবিআইয়ের এফআইআর দায়ের করা প্রয়োজন। বিজেপির আক্রমণের পাশাপাশি মহুয়ার নিশানায় ছিলেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান ও বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকার।
গত দু তারিখ লোকসভার এথিক্স কমিটিতে হাজিরা দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তারপরেই এদিন তিনি অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যানের সস্তা, অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন, তাঁর প্রতিবাদ, সব কিছুর প্রতিলিপি তাঁর কাছে রয়েছে। পদ্ম শিবির থেকে মহিলা সাংসদের নামিয়ে এই ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান তৈরি করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ মহুয়া মৈত্রর।
লোকসভার এথিক্স কমিটির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরই ফের মহুয়া মৈত্রকে খোঁচা দিলেন অভিযোগকারী বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বৃহস্পতিবার নিশিকান্ত দুবে জানান, দর্শন হীরানন্দানি তাঁর হলফনামায় যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে এথিক্স কমিটিকে প্রশ্ন করতেই হত। অভিযোগের সব প্রমাণ তিনি দিয়েছেন বলেও দাবি করেন। পাশাপাশি জানান, কোনও শক্তিই মহুয়াকে রক্ষা করতে পারবে না।
নিশিকান্ত বৃহস্পতিবার বলেন, "মহুয়া আমার বিরুদ্ধে ভুল বার্তা ছড়াতে চাইছেন। তাই এমনটা করছেন।" এদিন এথিক্স কমিটির বৈঠকে মহুয়াকে ব্যক্তিগত ও অনৈতিক প্রশ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান মহুয়া মৈত্র। বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, "এটা কী ধরনের বৈঠক। ওরা নোংরা প্রশ্ন করছেন।" অনৈতিক প্রশ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএসপির সাংসদ দানিশ আলিও।
এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মহুয়া মৈত্রের। বৃহস্পতিবারই ব্যক্তিগত ও অনৈতিক প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। এবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে তিন পাতা চিঠি লিখে গুরুতর অভিযোগ করলেন মহুয়া। তাঁর অভিযোগ, বৈঠকের সময় তাঁকে মৌখিকভাবে তাঁর 'বস্ত্রহরণ' করা হয়েছে । তাঁর সঙ্গে অনৈতিক, নোংরা আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ।
মহুয়া তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ওই তিন পাতার অভিযোগ পোস্ট করেন। মহুয়া চিঠিতে লেখেন,"ক্যাশ অফ কোয়ারি নিয়ে এথিক্স কমিটির বৈঠকে সকল সদস্যের সামনে আমার সঙ্গে যে অনৈতিক, নোংরা এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করা হয়েছিল, সেই বিষয়ে জানাতে আজ অত্যন্ত যন্ত্রণার সঙ্গে আপনাকে এই চিঠি লিখছি।" মহুয়ার সংযোজন, কমিটির নাম এথিক্স হলেও, আসলে সেখানে কোনও নীতি, নৈতিকতা বা এথিক্স আর অবশিষ্ট নেই।
মহুয়ার অভিযোগ, যেভাবে তাঁকে প্রশ্ন করেছেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান, তা মর্যাদাহানিকর। তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক, ব্যক্তিগত সমস্ত প্রশ্ন করা হতে থাকে। সাংসদের দাবি, তাঁর পাশাপাশি কমিটির আরও পাঁচ জন সদস্য তাতে আপত্তি জানান। পরে বৈঠক থেকে বেরিয়েও আসেন তাঁরা।
'টাকা নিয়ে প্রশ্ন' কাণ্ডে লোকসভার এথিক্স কমিটি (LokSabha Ethics Committee) ২ নভেম্বর তলব করেছিল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra)। ফলে বৃহস্পতিবার হাজিরা দেন তিনি। কিন্তু তাঁকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে এথিক্স কমিটির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। কমিটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কিন্তু মহুয়ার ব্যবহারেও পাল্টা সরব হয়েছেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্য়ান বিনোদ সোনকর। মহুয়া অভব্য আচরণ করেছেন দাবি কমিটির। তাই তাঁর এমন আচরণেই আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে এথিক্স কমিটি, সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবার মহুয়া মৈত্র এথিক্স কমিটির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসায় কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গিয়েছে। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি এথিক্স কমিটির সদস্য এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করেছেন। যা কমিটির জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর। এছাড়াও এথিক্স কমিটির স্পষ্ট অভিযোগ, মহুয়া মৈত্র তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন। তাই এই মামলায় তৈরি করা হতে পারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বা প্রাক্তন কোনও সিবিআই প্রধানের নেতৃত্বে ও একাধিক সাইবার বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করে তৈরি করা হতে পারে এই কমিটি। তবে আজই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। আগামীদিনে কমিটির সদস্যরা সবাই মিলে বসবে এবং আলোচনা করে যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।