১০০ টাকা না দিতে পারার অপরাধে খুন (Death) এক বৃদ্ধ অটোচালক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা হায়দরাবাদের আফজলগঞ্জের। এক বেসরকারি হাসপাতালের (Hospital) সামনে ঘটা এই ঘটনায় পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অটোচালকের (Auto Driver) নাম সাইক আমজাদ, বয়স ৬২ বছর।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শনিবারও বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন অটো চালক আমজাদ। সেই সময় এক মহিলা বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটোয় ওঠেন। সঠিক জায়গায় পৌঁছনোর পর, অটোর ভাড়া দাঁড়ায় ১৪০ টাকা। কিন্তু মহিলা যাত্রী অটো চালককে ২০০ টাকা দিয়েছিলেন। অটোচালক খুচরো হবে না বলে তাঁকে জানিয়ে দেন। অগত্যা ওই মহিলা যাত্রী তখন এক ফুটপাতবাসীর কাছে যান এবং তাঁর থেকে ভাড়ার টাকা খুচরো করে অটোচালককে দিয়ে হাসপাতালের চলে যান।
এরপর ফুটপাতবাসী অটোচালকের কাছে ১০০ টাকা চান। সাইক টাকা দিতে আপত্তি জানালে, ওই ফুটপাতবাসী আমজাদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। অটোচালককে বেধড়ক ঘুষি মারতে আরম্ভ করেন অভিযুক্ত। বারবার করে ঘুষি মারায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ায় ওই অটোচালককে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিস তদন্তে নেমে গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।
বিষপান করে মৃত্যু হল একই পরিবারের (Death) চার জনের। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে (Hyderabad)। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হায়দরাবাদ কুশাইগুদা থানার (Kushaiguda Police) পুলিস। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, সতীশ এবং ভেদা নামে ওই দম্পতির দুই সন্তান ছিল। একজন নিশিকেত (৯) এবং অপর জন নিহাল (৫)। বেশ কেয়েক বছর আগেই বড়ো সন্তান নিশিকেতের একটি দুরারোগ্য রোগ ধরা পড়ে। তাঁর চিকিৎসা চলাকালীনই ওই দম্পতির ছোট সন্তানও ওই একই রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে দুই জনেরই চিকিৎসা চলে। তবে চিকিৎসা করিয়েও কোনও ফল পায় না তাঁরা। যায় জেরে মানসিকভাবে বেশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনার খবর শনিবার দুপুরের পর পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
কুশাইগুদা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিক জানান, সন্তানদের দীর্ঘ শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই দম্পতি। অনুমান সে কারণেই তাঁরা প্রথমে সন্তানদের বিষ খাওয়ান, পরে নিজেরাও বিষপান করেন। ফলে তাঁদের চার জনের মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে, দাবি পুলিসের। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
হায়দাবাদের একটি বহুতল কমপ্লেক্সে আগুন(Fire) লাগায় মৃত্যু (Death) দুই মহিলা-সহ ছয় জনের। বৃহস্পতিবার রাতে এক বহুতলের পাঁচতলায় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিস সূ্ত্রে খবর, বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাত জনকে উদ্ধার করা হয়। দুই মহিলা-সহ আরও ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
দমকল সূ্ত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরবেলা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে গেলেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে ১০টি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করে। সূ্ত্রের খবর, কাজ চলাকালীন বেশকিছু জন ওই বহুতলে আটকে পড়েছে বলে খবর ছড়ায়। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পাড়ে।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানায় পাঁচতলা থেকেই আগুন লাগে তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে।
মর্মান্তিক ঘটনা! মঙ্গলবার হায়দরাবাদের (Hyderabad) কাছে একটি স্কুলের ক্লাসরুমের মধ্যেই গলায় দড়ি (hanging) দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) হল ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্র। একাদশ শ্রেণির এই ছাত্র নিকটবর্তী শহরাঞ্চলের বাসিন্দা। তার সহপাঠীরা ক্লাসে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেয়েছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর।
বাকি ছাত্রদের অভিযোগ, একটি নাইলনের দড়ির সাহায্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্র। যদিও কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই ছাত্র। স্কুলের হস্টেলেই থাকত। রাত ১০টায় পড়া শেষ হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। স্কুলের সব কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়। তারপর একটি ক্লাসরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
হস্টেলের অন্যান্য ছাত্ররা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হস্টেলের ওয়ার্ডেন কেন গাড়ির ব্যবস্থা করেননি তা স্পষ্ট নয়। ওই ছাত্রের এক বন্ধুর অভিযোগ, পরীক্ষায় ভালো করার চাপ তাকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছে। এদিকে বিচারের দাবিতে কলেজের সামনে বিক্ষোভ করেছে তার পরিবারের সদস্যরা।
ছাত্রের আত্মহত্যার জন্য আচার্য নামে এক স্কুলকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ছাত্ররাও তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছে। স্কুল দুদিনের জন্য বেসরকারী ছুটি ঘোষণা করেছে এবং শিক্ষার্থীদের সকলকে বাড়ি পাঠিয়েছে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দেশজুড়ে ক্রমাগত বাড়ছে। গত কয়েক মাস ধরে জিম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বহুবার সামনে এসেছে। এবার জিমে ব্যায়াম করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন পুলিস কনস্টেবলের (Police Constable)। ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। মৃত কনস্টেবলের নাম বিশাল। তিনি হায়দরাবাদের (Hyderabad) বাওয়েনপল্লির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ২৪ বছর বয়সি বিশাল নিয়ম করে প্রতিদিনই বাওয়েনপল্লি এলাকায় একটি জিমে ব্যায়াম করতেন। বৃহস্পতিবারও এসেছিলেন ব্যায়াম করার জন্য। রাত আটটা নাগাদ ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। বর্তমানে তেলেঙ্গনার আসিফ নগর থানায় কর্মরত ছিলেন বিশাল। এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ২০২০ সালে পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন বিশাল।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, জিমে গিয়ে পুশ আপ করছিলেন ওই পুলিস কনস্টেবল। তাঁর পাশে সেসময় অনেকই ব্যায়াম করছিলেন। পুশ আপের পর স্ট্রেচ করতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর হঠাৎ জিমের একটি যন্ত্র ধরে কাশতে শুরু করেন তিনি। প্রবল কাশতে কাশতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখানে উপস্থিত সকলে ছুটে আসেন। এরপর তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশালের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
ফের পথকুকুরের (Stray Dog) হামলায় মৃত এক খুদে। এবার ঘটনাস্থল হায়দরাবাদ (Hyderabad Incident)। জানা গিয়েছে, রাস্তায় বেরোতেই তিনটে কুকুর ঘিরে ধরে বছর পাঁচেকের প্রদীপকে। কুকুর দেখে ভয় পেয়ে ছোটা শুরু করে সে। কিন্তু কুকুরগুলি তার পিছু নেয়। প্রথমে একটি কুকুর তার পোশাক টেনে ধরে। প্রদীপ তাড়ানোর চেষ্টা করলে আরও দু’টি কুকুর এসে খুদের পোশাক ধরে টান দেয়। তাতেই টাল সামলাতে না পেরে রাস্তায় পড়ে যায় সে। তারপর প্রদীপের শরীরের নানা জায়গায় কামড় বসাতে থাকে কুকুরগুলি। শিশুটি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও কুকুরের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়।
হায়দরাবাদের অম্বরপেটের এই ঘটনায় পুলিস সূত্রে খবর, প্রদীপের বাবা অম্বরপেটের এক আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। রবিবার ছেলে প্রদীপকে নিজের সঙ্গে কর্মস্থলে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেসময় এই ঘটনা। আবাসনের সামনের রাস্তায় হাঁটছিল প্রদীপ। তাকে দেখে তিনটি কুকুর ছুটে আসে। কুকরগুলিকে দেখে এ দিক-ও দিক ছোটাছুটি শুরু করে প্রদীপ। তখনই একটি কুকুর তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর তাতেই রাস্তায় পড়ে যায় সে। তখন বাকি কুকুরগুলি প্রদীপের জামা টানতে শুরু করে। রাস্তা থেকে উঠে পড়েছিল প্রদীপ। কুকুরগুলিকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়।
রেহাই পেল না চার বছর বয়সী কিন্ডারগার্ডেনের (KG School) ছাত্রীও। স্কুলের অধ্যক্ষের গাড়ির ড্রাইভারের যৌন লালসার (Sexually Harassment) শিকার হয় মেয়েটি বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ড্রাইভারকে। হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় ডিএভি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী শিশু (Girl Child) মেয়েটি। মেয়েটির বাবা-মা তার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন। তাঁরা জানান, তাঁদের মেয়ে অস্বাভাবিকভাবে শান্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রায় সময় বিষণ্ণ অবস্থায় দেখা যেত এবং অকারণে কাঁদত। এরপরই সন্দেহ হয় তাঁদের। মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর অবশেষে লাঞ্ছনার কথা জানতে পারেন। সোমবার অধ্যক্ষের চেম্বারের কাছে একটি ল্যাবে তাকে নির্যাতন করে অধ্যক্ষের ড্রাইভার বলে জানায় মেয়েটি।
এই অমানবিক ঘটনার কথা জানতে পেরে মেয়েটির বাবা-মা এবং অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ দেখান। গাড়ির চালককে ধরে মারধরও শুরু করেন সকলে। তখন মেয়েটি জানায়, দু'মাস ধরে তার উপর এই অত্যাচার করছে। মঙ্গলবার বাবা-মা তার সঙ্গে স্কুলে গেলে, ড্রাইভারের দিকে ইঙ্গিত করে মেয়েটি। এরপরে অভিভাবকরা অভিযোগ দায়ের করেন। এবং সেই দিনই অভিযুক্ত ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটিকে একটি কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে সে আরও বিস্তারিত জানায় এবং পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
IPC-এর ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারা এবং পকসো আইনের অধীনে এই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। একজন সিনিয়র পুলিস আধিকারিক বলেছেন, ড্রাইভারটি স্কুলের পরীক্ষাগারগুলি রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্টাফ সদস্যদের জন্য কাজ করতেন। এভাবে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসে। এটি আরও বলেছে যে তিনি অন্য ছাত্রদের হয়রানি বা লাঞ্ছিত করেছেন কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।