Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

HeavyRain

Kerala: গুগল ম্যাপ অনুসরণ করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! নদীতে পড়ে গিয়ে মৃত দুই চিকিৎসক

একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি, অন্যদিকে দেখা যাচ্ছিল না সামনের দিকে কী রয়েছে, এই পরিস্থিতিতে গুগল ম্যাপ-এ ভরসা করেই গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে চলেছিলেন দুই ব্যক্তি। কিন্তু এতেই হল মর্মান্তিক পরিণতি। বৃষ্টির ফলে সামনে কী রয়েছে দেখতে না পারায় নদীতে পড়ে যায় গাড়ি। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয় দুই ব্যক্তির। সূত্রের খবর, দুই ব্যক্তি পেশায় চিকিৎসক। কোনও এক গুরুত্বপূর্ণ কাজেই বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে চলতে গিয়েই মৃত্যু হয় তাঁদের। এই ঘটনায় আহত হয় তিনজন। সূত্রের খবর, রবিবারের রাতের ঘটনাটি কেরলের (Kerala) কোচির (Kochi)।

সূত্রের খবর, অদ্ভৈত ও অজমল নামের দুই চিকিৎসক এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ তাঁদের কোনও এক কাজ থাকায় তাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। গাড়িতে মোট পাঁচজন ছিলেন। সেসময় বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। ফলে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এই পরিস্থিতে তাঁরা গুগল ম্যাপস দেখে গাড়ি চালাতে থাকেন। কিন্তু চালক গুগল ম্যাপের দিক কোনও কারণে ভুল অনুসরণ করেন। আর এতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। গাড়ি পড়ে যায় পেরিভার নদীতে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করতে ছুটে আসলেও তিনজনকেই প্রাণে বাঁচাতে পারেন। চালক ও তাঁর পাশের সিটে বসে থাকা চিকিৎসকের জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁরা বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে খবর।

7 months ago
Lightning: শনিবার উড়িষ্যায় ছয় জেলায় প্রবল বৃষ্টি, বজ্রপাতে মৃত্যু ১০ জনের

উড়িষ্যার ছয় জেলায় বজ্রপাত হয়ে মৃত্যু হল অন্তত ১০ জনের। শনিবার তুমুল বজ্রবিদ্যুত সহ ভারী বৃষ্টিপাত হয় উড়িষ্যায়। মৃত দশজনের মধ্যে চারজন খুরদার, দু'জন বোলানগিরের। আঙ্গুল, বাউধ এবং জগতসিংপুরের একজন করে মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। খুরদায় আরও তিনজন জখম হয়েছেন।

আগামী চারদিনে উড়িষ্যার উপকূলীয় অঞ্চলে একই রকম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার বিকেলে দেড় ঘণ্টার মধ্যে ভুবনেশ্বরে ১২৬ মিলিমিটার এবং কটকে ৯৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। 

ওদিকে শনিবার প্রবল বৃষ্টিতে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে শহর কলকাতায়। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার রিজেন্ট পার্কের আনন্দপল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃষ্টির সময় ছাদে ছিলেন ওই যুবক। সেই সময়ই বাজ পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। রিজেন্ট পার্কে মৃত যুবকের নাম কৌশিক কর।

8 months ago
Himachal Pradesh: টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচলের জনজীবন, মান্ডি থেকে উদ্ধার ৫১ জন

প্রবল বর্ষণ (Heavy Rainfall) ও ভূমিধসে (Landslide) লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) একাধিক জেলা। এই মরসুমেই হিমাচলে মৃত্যু হয় ২৪২ জনের। এর পর বৃহস্পতিবার নতুন করে হিমাচলের কুলুতে ভেঙে পড়ে সাত তলার এক বিল্ডিং। মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যায় সেটি। মৌসম ভবন থেকে আগেই পুরো রাজ্যজুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। আর সেই সতর্ক বার্তার পরই প্রবল বর্ষণে নতুন করে ধস নামে কুলু শহরে। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। তবে এখানেই শেষ নয়, এখনও সেই রাজ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। ফলে রাজ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানে এমনই টানা বৃষ্টি, হড়পা বান, বন্যা দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, ভূমিধসের ফলে হিমাচলের প্রায় ৭২৯ টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রায় ২হাজার ৮৯৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আবার বন্যা ও ধসের ফলে শতাধিক মানুষ মান্ডির রাস্তায় আটকে পড়েছিল। জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি জেলার খোলনালা গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। তাতে প্রায় ৫১ জন আটকে পড়ায় তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে এনডিআরআফের বিশেষ দল। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আটকে থাকা মানুষদের কুলু-মান্ডি হাইওয়ে থেকে রিলিফ ক্যাম্পে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অগাস্টে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন। ১৪ অগাস্ট থেকেই এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। ২৪ জুনে বর্ষার আগমণের পর থেকেই এই রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৪২ জনের।

9 months ago


Heavy Rainfall: অব্যাহত প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা! আগামী দু'দিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে

এ যেন প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না! মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধস (LandSlide),  হড়পা বানে (Flash Flood) একদিকে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttrakhand)। অন্যদিকে বৃষ্টি থামার নামই নিচ্ছে না উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উত্তরাখণ্ডের একাধিক জেলা ও পুরো হিমাচল প্রদেশ জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ ২১ অগাস্টও এই রাজ্যগুলোতে হালকা বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে সোমবারের জন্য রাজ্যগুলোতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বর্ষার আগমণ হতেই উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ফলে নদ-নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছ। ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে একাধিক মানুষ। হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে একাধিক মানুষ। এভাবে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে মোট প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৮ জন। এখনও উদ্ধাকাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

কিন্তু মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, ২২ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। তবে কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত চাম্বা ও মান্ডি জেলায় হড়পা বানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে। তাই তাই পুরো রাজ্য জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবার উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, পাওরি, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, বাগেশ্বরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে আগামী দু'দিন এই রাজ্যের এই জেলাগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

9 months ago
Himachal Pradesh: 'মৃত্যুপুরী' হিমাচল প্রদেশ, মুহূর্তের মধ্যে এক পরিবারের 'তিন প্রজন্ম শেষ'!

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭১। কিন্তু ফের প্রকাশ্যে এল যে সেই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪-এ। একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশের। বিধ্বংসী বৃষ্টিপাতে (Heavy rainfall) গত সোমবার সিমলার (Shimla) সামার হিল এলাকায় একটি শিবমন্দির ভেঙে পড়েছিল। সেখানকার ধ্বংস্তূপ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে আরও একটি দেহ। আবার চাম্বা জেলাতেও বৃষ্টি সংক্রান্ত কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের, সূত্রের খবর। আবার একদিকে যেমন মৃতের সংখ্যা এই রাজ্যে বেড়েই চলেছে, অন্যদিকে প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের ফলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার।

সূত্রের খবর, সোমবার সিমলার শিবমন্দির ভেঙে যাওয়ার পর মন্দিরের তলায় চাপা পড়েছিলেন একটি গোটা পরিবার। ওই পরিবারের মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে তিন-তিনটি প্রজন্ম। সেই পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, 'আমার ভাই, তিন সন্তান, ভগ্নিপতি, আমাদের পরিবারের আরেক মেয়ে – সকলের মৃত্যু হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা মৃতদেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আমি অন্তত তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চাই, আমার ভাইয়েরও শেষকৃত্য করতে চাই।' এই ব্যক্তির মতো আরও বহুজন স্বজনহারা হয়েছেন। ফলে এখন পুরো হিমাচল জুড়ে শুধু কান্নার রোল, চারিদিকে শুধুই হাহাকার ও মৃত্যু যন্ত্রনা।

গত রবিবার থেকে হিমাচলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল। টানা তিন দিন ধরে অনবরত বর্ষণের পর, মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবারও রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে এখনও বৃষ্টি থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। আবার এই অবস্থায় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বিপর্যস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন, রাজ্যের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য জুড়ে আনুমানিক ১০,০০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

9 months ago


Rainfall: ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে তছনছ হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮১

মুষলধারে বৃষ্টি (Heavy Rainfall), সঙ্গে ভূমিধসে (Landslide) বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhnd)। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮১ জনে। এককথায় ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। মৃতের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আহত শতাধিক। জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে হড়পা বান নেমেছে পঞ্জাবেও।

সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশে বিভিন্ন স্থানে বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার এবং মৃতদেহ বের করার জন্য অভিযান চলছে। বুধবার রাত পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১-এ। ১৩ জন এখনও নিখোঁজ। গত রবিবার থেকে মোট ৫৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিমাচল প্রদেশে উদ্ধারকাজে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধারকাজ করছে সেনাবাহিনী।

উত্তরাখণ্ডেও একই পরিস্থিতি। সেই রাজ্যে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ। উত্তরাখণ্ডের লছমন ঝুলার একটি রিসর্টের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক দম্পতি এবং তাঁদের ছেলে সহ চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভারী বৃষ্টির পরে ভেঙে পড়ে রিসর্টটি। এই চারটি মৃতদেহ উদ্ধারের পর উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা।

অন্যদিকে পঞ্জাবেও হড়পা বান নেমেছে। জানা গিয়েছে, পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর এবং রূপনগর জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে পঞ্জাব নতুন করে বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেখে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে এবং বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

9 months ago
Char Dham Yatra: স্থগিত চারধাম যাত্রা, উত্তরাখণ্ড জুড়ে লাল সতর্কতা জারি

প্রবল বর্ষণে বিধ্বস্ত হিমাচলপ্রদেশ (HimacahlPradesh), উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। হিমাচলপ্রদেশের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের অবস্থাও শোচনীয়। এর ফলে পুরো উত্তরাখণ্ড জুড়ে প্রশাসনের তরফে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর ফলে দু'দিনের জন্য চারধাম যাত্রাও (Chardham Yatra) স্থগিত রাখা হয়েছে বলে খবর।

টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীর জল বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। ভূমিধসের ফলে ভেঙে গিয়েছে একাধিক রাস্তা, ব্রিজ, বাড়ি ইত্যাদি। এমন অবস্থায় বন্ধ রয়েছে একাধিক জাতীয় সড়ক। ধসের ফলে কিছু রাস্তায় পড়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপ। ফলে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, চারধাম যাত্রার পথের রাস্তাগুলির অবস্থা খারাপ থাকায় বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী- এই চার ধাম যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৪ ও ১৫ অগাস্ট চারধাম যাত্রা বন্ধ থাকবে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, হিমাচলপ্রদেশের এমন অবস্থা দেখে, এবারে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত চলবে। দেরাদুন, নৈনিতাল-সহ উত্তরাখণ্ডের ৬টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মৌসম ভবন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর এবারে স্থগিত করা হল চারধাম যাত্রাও।

9 months ago
Himachal: প্রবল বর্ষণের জেরে হিমাচলে গত দু'দিনে মৃত্যু ২১ জনের, বন্ধ একাধিক রাস্তা

প্রবল বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচলপ্রদেশ (HimachalPradesh)। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে সেই রাজ্যে। ফলে গত দু'দিনে ভূমিধসে (Landslide), জলের তোড়ে ভেসে মৃত্যু হয়েছে মোট ২১ জনের। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে হিমাচলপ্রদেশের সোলানে মেঘভাঙা বৃষ্টির শুরু হয়। এরপরই জলের তোড়ে ভেসে যায় একই পরিবারের ৭ জন সদস্য। ভেঙে গিয়েছে গ্রামের একাংশ। ঘটনাটি রবিবার রাতে সোলানের জাদোন গ্রামে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এই ঘটনা শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন।

গত কয়েকদিন ধরেই অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে, ফলে ভূমিধসের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। আবার টানা বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠেছে বিপাশা নদীর জলও। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলের জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সাতজন। এছাড়াও ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোলানের ডিভিশনাল কমিশনার। এরপর রাত পেরোতে না পেরোতেই সোমবার সকালে সিমলার এক শিবমন্দিরে ধস নামে ও মুহূর্তের মধ্যে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের।

হিমাচলপ্রদেশের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডেও টানা বৃষ্টি। ফলে নদীর জলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছ। একাধিক জায়গায় নামছে ধস। ফলে দু'রাজ্যের প্রায় ৬২১ টি রাস্তা বন্ধ, মান্ডির ২৩৬টি, সিমলার ৫৯টি, বিলাসপুরের ৪০ টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়াও সিমলা ও চন্ডীগড় সংযোগকারী রাস্তা সিমলা-কালকা জাকীয় মহাসড়কও ধসের ফলে বন্ধ হয়ে রয়েছে।

9 months ago


North India: বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারতে মৃত একশোরও বেশি, লাল সতর্কতা জারি হিমাচল প্রদেশে

লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত (North India)। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), দিল্লি (Delhi), হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। সেখানে এক সপ্তাহের মধ্য বৃষ্টিতে (Heavy Rain) মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। আট জন এখনও নিখোঁজ। আহত ৯২ জন। সব মিলিয়ে গোটা উত্তর ভারতে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মৃত্যু সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ি ধস, হড়পা বান, জাতীয় সড়ক, সেতু ভেসে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে হিমাচল প্রদেশে।

অন্যদিকে, প্রবল বর্ষণের কারণে মঙ্গলবার দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যমুনা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রাজধানী দিল্লির একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। যমুনা নদীর উপরে সেতুতে যানচলাচল এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পশ্চিম রেলওয়ের তরফ থেকে একাধিক ট্রেন বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্জাবের চণ্ডীগড়, রাজধানী দিল্লি গামী একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনের রুটও পরিবর্তন করা হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশে মান্ডি, কিন্নর এবং লাহুল-স্পিতিতে ইতিমধ্যেই বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবনের তরফে মঙ্গলবার হিমাচলের প্রায় সব অংশেই ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই হিমাচলের। হিমাচলের সোলান জেলার বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র পরওয়ানুতে জলের তোড়ে রাস্তা থেকে ভেসে গিয়েছে একের পর এক গাড়ি। খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া আগামী কয়েক দিন রাজ্যবাসীকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।

10 months ago
Kedarnath Yatra: প্রবল বর্ষণের জের! অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত কেদারনাথ যাত্রা

দেশজুড়ে প্রবেশ করেছে বর্ষা (Monsoon)। শনিবার থেকে দেশের একাধিক রাজ্যে ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডেও (Uttarakhand) প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। রুদ্রপ্রয়াগ (Rudraprayag) জেলাতেও তুমুল বর্ষণ। এহেন পরিস্থিততে কেদারনাথ যাত্রা পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হল। অনবরত বৃষ্টির ফলেই স্থগিত রাখা হল কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra)।

শনিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ডের সোনপ্রয়াগ সহ রুদ্রপ্রয়াগ জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ সহ চার ধাম যাত্রা চলছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করে দিল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রুদ্রপ্রয়াগের জেলাশাসক ময়ূর দীক্ষিত রবিবার এই ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির কারণে আপাতত স্থগিত তীর্থযাত্রা। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত।

জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, সে রাজ্যে ভারী বর্ষণের জেরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কন্ট্রোল রুমে যান মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। কেদারনাথ সহ চারধাম যাত্রার পুণ্যার্থীদের সম্পর্কেও খোঁজ-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।

11 months ago


Pakistan: একে বন্যা, সঙ্গে দোসর ম্যালেরিয়া, পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতের থেকে কিনছে মশারি

যেদিকে তাকাবে শুধুই জল। রাস্তাঘাটের আর অস্তিত্ব নেই। সবটাই জলমগ্ন। চলাচলের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিল নৌকা। জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে অবিরাম বৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে পাকিস্তানে এমন চিত্রটাই ধরা পড়েছে। পথঘাট, চাষের জন্য জমি থেকে শুরু করে খেলার মাঠ সবটাই নদীতে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও আরেক দুর্যোগের মুখে পাকিস্তান (Pakistan)। তবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (India)।

সূত্রের খবর, দেশের এক তৃতীয়ংশই চলে গিয়েছে জলের তলায়। এই অবস্থায় পাকিস্তানে দেখা দিয়েছে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া (malaria) ও ডেঙ্গি। এখনই আক্রান্ত প্রচুর পাকিস্তানি। উল্লেখ্য, হু একটি পরিসংখ্যানে বলেছিল, বন্যার কারণে পাকিস্তানে মশাবাহিত রোগ ম্যালোরিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে। ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তানের ৩২টি জেলায় ২৭ লক্ষ মানুষ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হতে পারেন।

ফলে চিন্তায় পাকিস্তান সরকার। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের থেকে মশারি আমদানি শুরু করেছে। গ্লোবাল ফান্ড থেকে যে সাহায্য এসেছে তা দিয়ে পাকিস্তানের জন্য ভারতের থেকে মশারি কিনছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।

সেই মতো ভারতও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে খুব শ্রীঘই ৬০ লক্ষ মশারি কিনবে পাকিস্তান। আগামী মাসেই ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পাকিস্তানে মশারি নিয়ে যাওয়া হবে। এরফলে দু'দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক কিছুটা উন্নত হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে বর্ষা প্রবেশ করতেই পাকিস্তানের  গোটা চিত্রটাই বদলে গেল। কোথাও হড়পা বান, কোথাও আবার নদীতে প্লাবন, এইভাবেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গোটা পাকিস্তানই বন্যায় ডুবেছে। বর্তমানে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অত্যধিক।

2 years ago
Flood: অবিরাম বৃষ্টি! বন্যায় বিপর্যস্ত একাধিক রাজ্য, উত্তরপ্রদেশে মৃত ১১

অবিরাম বৃষ্টি! এক নাগাড়ে হয়ে চলেছে ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain)। যার ফলে ভয়াবহ বন্যার (Flood) কবলে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ১৭টি জেলার ৯০০টিরও বেশি গ্রাম। এখনও অবধি ১১ জনের মৃত্যুর (Death) খবর পাওয়া গিয়েছে সূত্র মারফত। সোমবার উত্তরপ্রদেশ সরকার এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টির ফলে ভেসে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি, মাঠ-ঘাট। ক্ষতি হয়েছে ফসলের।

সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ মানুষের জীবন ক্ষতির মুখে পড়েছে। এমনকি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়ে চলেছে। বজ্রপাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।

জানা গিয়েছে, কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, দক্ষিণের একাধিক রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। দুর্যোগে শিকার মানুষদের উদ্ধারে ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছে পুলিস, প্রশাসন এবং দমকল বিভাগ।  হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো একাধিক রাজ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় নয়ডা, লখনউ, গাজিয়াবাদ ও আগ্রা সহ দিল্লি ও সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুম্বই সহ মহারষ্ট্রেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।

2 years ago
weather update: উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি, দক্ষিণবঙ্গে ভ্যাপসা গরম

ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে (North Bengal) শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি (heavy rain)। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) ভ্যাপসা গরম বাড়ছে। যা বিরল বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন কবে এই ভ্যাপসা গরম থেকে রক্ষা পাবেন, তা নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। তবে মূলত, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কমতি থাকাতেই এই ভোগান্তি বলেই জানাচ্ছে আবহওয়া দফতর (Meteorological Department)।

উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ অর্থাৎ ১২ ই অক্টোবর বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। তবে বুধবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।  বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পের কারণেই উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া এই পরিস্থিতি বলে জানানো হয়েছে। উত্তরের বাকি জেলাগুলির কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।

এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৩ ই অক্টোবর মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী কয়েকদিনের মতো আপাতত দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। পাশাপাশি তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।

অন্যদিকে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৪ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে। 

2 years ago


weather update: উত্তরবঙ্গে ফের অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া

ফের উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির (rain) সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বেশ কয়েকটি জায়গায় সোমবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি (heavy rain) হয়েছে। আপাতত সেই পরিস্থিতিই বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Meteorological Department)। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) সোমবার আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় ছিল। বৃষ্টির দেখা মেলেনি দক্ষিণবঙ্গে।

আবহাওয়া দফতরের তরফে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, ১২ অক্টোবর বুধবারের মধ্যে সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে আগামী ২৪ ঘম্টায় তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবেনা। তবে পরবর্তী চারদিনে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে।

এদিকে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে কার্শিয়াং, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ অর্থাত্, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় কোথাও না কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাত্ বুধবার দার্জিলিং এবং আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

তবে কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় আপাতত আংশিক মেঘলা আকাশ বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যু সহ বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৪ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

2 years ago
Weather update: পুজোর আগেই দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

সপ্তাহের শুরুতেই রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলেছে। কিন্তু এই আবহাওয়া বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কারণ, সোমবার থেকেই বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াতে শুরু করবে ঘূর্ণাবর্ত, এমনটাই পূর্বাভাস। জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণাবর্তের ফলে মহালয়া পর্যন্ত কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) ভারী বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই মেঘে ঢাকবে কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণাবর্ত সোমবার থেকেই শক্তি বাড়াতে শুরু করবে। পাশাপাশি মঙ্গলবার সেটি নিম্নচাপে (low pressure) পরিণত হবে। তার জেরে বুধবার থেকে বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলে শুরু হয়ে যাবে ভারী বৃষ্টি (heavy rain)।

বুধবার থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে দুই মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে আগামী চারদিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও কলকাতাতে এর প্রভাব পড়বে। চারদিন ধরে চলবে এই বৃষ্টি। তার জেরে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। আর্দ্রতাও কমবে।

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে গত কয়েকদিনে এই বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমেছিল। এবার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে ফের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পংয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। 

2 years ago