সকাল থেকে খানিক যেন রোদের তীব্রতা কমেছে শহর কলকাতায়। দিনের তাপমাত্রা অন্যান্য দিনের থেকে কিছুটা স্বস্তিজনক। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সুখবর শোনাল মহানগরবাসীকে। আজ, সোমবার ও মঙ্গলবার তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মিলবে। উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে বুধবার থেকে ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস। শুরু হবে তাপপ্রবাহও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোম ও মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। কিন্তু এরফলে তাপপ্রবাহ কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও ঝাড়গ্রামে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি রয়েছে। তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। ওইদিন থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার চরম তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম লু বইতে পারে।
উত্তরবঙ্গ নিচের দিকে তিন জেলাতে গরম ও অস্বস্তি বাড়বে। সোম ও মঙ্গলবার মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা। তবে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বুধবার থেকে সেই সম্ভাবনাও কমবে। বুধবার থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। এদিকে, আগামী কয়েকদিন সিকিম, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা জম্মু-কাশ্মীরেও।
বাড়ির বাইরে বেরোলেই তীব্র গরমে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে গা। ক্রমশ তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলছে। সকাল হতেই দেখা মিলছে চাঁদিফাটা রোদ। আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। ছয় জেলায় চলবে চরম তাপপ্রবাহ। সেই সঙ্গে বইবে লু। তাই তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে লাল সতর্কবার্তা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুুযায়ী, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে চরম তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা জারি থাকবে রবিবার পর্যন্ত। ইতিমধ্য়ে ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে কলকাতার তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। শুষ্ক পশ্চিমী হাওয়ায় গরম বাড়বে পশ্চিমের জেলায়। আগামীকাল, রবিবার আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। শনিবার গরম ও অস্বস্তিতে কাটবে সারাদিন।
শনিবার কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেতে পারে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ২২ থেকে ৮৬ শতাংশ।
বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে তিন ডিগ্রির বেশি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি একই পরিস্থিতি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে বিকেল কিংবা সন্ধের দিকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এটাই মার্চ-এপ্রিল মাসের স্বাভাবিক নিয়ম বলেও জানিয়েছেন আবহবিদরা।
এই সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৩৮ ডিগ্রি। সপ্তাহের শেষের দিকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার উত্তরবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এছাড়া উপরের বাকি পাঁচ জেলার কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলাা হয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া নিচের তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ও শনিবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। পাশাপাশি এদিন দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবারেও একই পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ এবং ৫৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি।
রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের দামামা ইতিমধ্যেই বেজেছে। লাগু হয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধিও। রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীদের তাই বাকসংযম, ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকা, ভাষণে ভুয়ো তথ্য পরিবেশন না করা, ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার না করা, নারীর সম্মান-মর্যাদা বজায় রাখার মতো নানাবিধ নির্দেশিকা কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। আর এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন তাপপ্রবাহকে ঘিরে একাধিক সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মিলিয়ে গ্রীষ্মকাল। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ৭ দফার ভোট নির্ঘন্ট অনুযায়ী, আগামী ১৯ শে এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট, চলবে ১ লা জুন পর্যন্ত। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে যাতে ভোটারদের প্রাণ ওষ্ঠাগত না হয় তার জন্য নেওয়া হল একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। কী আছে সেই নির্দেশিকায়?
১) ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের মাথার উপরে ত্রিপল অথবা শেডের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
২) দুপুর ১২ টা- দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে।
৩) বেশি করে জলপান।
৪) জামা-কাপড় থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া এমনকি ছাতা বা টুপি ব্যবহারেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। প্রার্থীদের জন্যও রয়েছে একগুচ্ছ উপদেশ।
অতীতে দীর্ঘক্ষণ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো একাধিক উদাহরণ রয়েছে এ রাজ্যে। এবার তাই আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে এই ব্যবস্থাপনা পালনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত পুর নির্বাচনেও কৃষ্ণনগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের লাইনে অসুস্থ হয়ে লক্ষ্মী সাহা নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিলো। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই আগাম সতর্কতা নির্বাচন কমিশনের।
একদিকে উত্তর ভারতে চলছে বৃষ্টির দাপট। নেমেছে একাধিক জায়গায় ধস। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তখন দক্ষিণ ভারতের কেরল রাজ্য পুড়ছে তীব্র দাবদাহে। এই বর্ষার মরসুমেও এই রাজ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দোরগোড়ায়। কেরলবাসীকে সতর্কও করা হয়েছে। এমনকি খুব প্রয়োজন ছাড়া সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেরল রাজ্য দিয়েই বর্ষার আগমন ঘটেছে। এদিকে যখন দেশের অন্যান্য রাজ্য বৃষ্টিতে নাজেহাল, তখন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী কেরলে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কেরলবাসীর। তাপপ্রবাহ চলছে। জল অপচয় বন্ধ করে তা ধরে রাখার জন্য জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, সমতলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে তাপপ্রবাহ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই তাপমাত্রা যদি উপকূলীয় অঞ্চলে ৩৭ ডিগ্রি বা তার কাছাকাছি পৌঁছয়, তখন তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার তিরুবনন্তপুরতম, কোলামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৫ ডিগ্রি বেশি। এছাড়া আলাপ্পুঝা, কোট্টায়ম এবং পালাক্কড়ে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর্নাকুলাম, ত্রিশূর, মালাপ্পুরম এবং কোঝিকোড়ে তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি বাড়ছে আর্দ্রতাও। তবে কিছুটা সুখবর, অগাস্টে তাপমাত্রা বেড়ে চললেও সেপটম্বরের শুরুতে রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবেই হবে সেই বৃষ্টি।
বেড়েই চলেছে তাপপ্রবাহ (Heat Wave)। আর যার ফলে বেড়ে চলেছে মৃত্যুমিছিলও। তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বালিয়াতেই মৃত্যু (Death) হয়েছে ৭০ জনের। তবে এটা তাপপ্রবাহের জেরেই মৃত্যু না, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, মৃত্যুর জন্য ‘হিটস্ট্রোক’ দায়ী নয়। রাজ্য সরকার জানিয়েছেন, মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আরও একটি জেলা দেওরিয়ায় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জন। ওই সংবাদমাধ্যম থেকে আরও জানা গিয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যু হচ্ছে, এই বিবৃতি দেওয়ায় পরই উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় দুই চিকিৎসককে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বয়ানের অভিযোগও তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিহারেও প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই তাপপ্রবাহের জন্য। তবে বিহার সরকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘হিটস্ট্রোক’-কে স্বীকার করে নিয়েছেন।
ফের তীব্র দাবদাহের (Heat Wave) জেরে ৯ জনের মৃত্যু (Death)। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) বেশ কিছু জেলায়। জাতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বিহারের বেশকিছু জেলাতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। সপ্তাহের শেষে বর্ষার প্রথম বৃষ্টি পেতে পারে বিহার। তবে ১৭-১৮ দিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে। এরফলেই গত দু’দিনে এই রাজ্যে ‘হিটস্ট্রোকে’ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর মধ্যে ২ জনের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, আগেই সরকারি তরফে জানানো হয়েছিল তাপপ্রবাহের জেরে গোটা রাজ্যে মোট ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহুজন। এমনকি মৃতদের মৃত্যুর সঠিক কারণও জানা যায়নি। তবে বেড়ে চলা এই মৃত্যুমিছিল ভিড় জমাচ্ছে শ্মশানে।
তাই এই বিষয়ে শ্মশানের ডোমরা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি কোভিডের সময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। একসঙ্গে চার-পাঁচটি দেহ শ্মশানে এসে যাওয়ায় সৎকারের জন্য মৃতের পরিবারকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও করতে হচ্ছে।
তীব্র গরমে নাজেহাল উত্তর প্রদেশ। তীব্র গরমে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গরমে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে শতাধিক মানুষ ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। গত তিন দিনে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা হাসপাতালে প্রায় ৪০০-এর বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, মৃত্যুর কারণ অনেক কিছুই হতে পারে। তবে তীব্র গরম এর একটি অন্যতম কারণ হতে পারে, বলে বক্তব্য চিকিৎসকদের।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে বেশ কিছু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে। জুন মাসের ১৫ তারিখ প্রবল গরমে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জুন ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৭ জুন মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি মেডিক্যাল টিম সেখানে যাচ্ছে এত মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর যথার্থ কারণ জানা যায়নি।
আরও জানা গিয়েছে, এতো বেশি মানুষ হাসপাতালে যাচ্ছেন যে তাঁদের জন্য স্ট্রেচার পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের কর্মীরা কাঁধে করে অনেককে বেড পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন। তবে সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হচ্ছে যখন ১০ জন মানুষ একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তির জন্য উপস্থিত হচ্ছেন।
সকাল থেকে রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ। বেলা বাড়তেই শুরু হচ্ছে সূর্যের প্রবল দাবদহ (Heatwave)। ফলে তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতার (Kolkata) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Temperature) ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে আরও খবর, পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
প্রচন্ড গরমের কারণে গত দু'দিনে মৃত্যু (Death) হয় দুই ভবঘুরের। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার প্রচন্ড দাবদহের (Heatwave) শিকার হয়ে মৃত্য়ু হল এক মধ্য বয়স্কা ভবঘুরে (Wanderer) মহিলার। আপার বাগডোগরা (Bagdogra) গ্রাম পঞ্চায়েত মেন গেটের সামনে এই মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকা জুড়ে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কার্যালয় খুলতে এসে কর্মীদের নজরে আসে বারান্দায় এক মহিলা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। কয়েক দিন ধরে নাজাহাল অবস্থায় জীবনযাপন করছেন সাধারণ মানুষ। দেখা গিয়েছে বেলা গড়াতেই ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা (Temperature) বেড়েই চলেছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে রাস্তায় বসবাস করা ভবঘুরেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অজ্ঞাতপরিচয় ওই ভবঘুরে মহিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বারান্দায় রাত্রিবাস করতেন। এদিন মৃত অবস্থায় ওই মহিলাকে দেখতে পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা প্রধানকে খবর দেন। খবর পেয়ে প্রধান সঞ্জীব সিনহা, ঘটনাস্থলে এসে বাগডোগরা থানায় খবর দেন। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
বৃহস্পতিবার ঠিক একইভাবে দাবদাহের শিকার হয়ে পানিঘাটা রোডে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। এদিন ফের দাবদাহের কারণে বলি আরেক মহিলা। প্রধান সঞ্জীব সিনহা বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করেন এর জন্য। তিনি জানান মানুষ জেনে বুঝেই নিজেদের মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসছেন। বৃক্ষরোপণের উপর অবিলম্বে জোর দেওয়া না হলে এই ধরনের দাবদহের কারণে মৃত্যুর সাক্ষী হতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
বৃহস্পতিবার কেরলে প্রবেশ করেছে বর্ষা (South West Monsoon)। আর তার পরেই উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবেশ করতে চলেছে। এরফলে সময়ের আগেই উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় বর্ষার (Rain) প্রবেশ হতে চলেছে। পাশাপাশি আরও স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে থাকছে না তাপপ্রবাহের (Heat Wave) সতর্কতা। যদিও ১০ জুন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলায় উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি থাকছে। অন্যদিকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বজ্রপাত-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গের উল্লিখিত পাঁচটি জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আর ১১ জুন রবিবার এবং ১২ জুন সোমবার ওই জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যে কারণে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে রবিবার ১১ জুন পর্যন্ত পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লিখিত জেলাগুলিকে বাদ দিয়ে বাকি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ১১ জুন বজ্রপাত-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই বৃষ্টি চলতে পারে সোমবারেও। সোমবার কোনও জেলাতেই তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস আপাতত নেই।
তীব্র দাবদাহে (Heatwave) পুড়ছে বঙ্গবাসী। বৃষ্টির দেখা নেই। গরমে নাজেহাল অবস্থা কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের মানুষের। দক্ষিণবঙ্গে এখনও কয়েকদিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি মাসের 8 জুন কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছে। তবে বাংলায় বর্ষা আসার সময় চলে এলেও এখনও অবধি বর্ষা প্রবেশ করে নি। বাঁকুড়া জেলায় গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। সঙ্গে রয়েছে বাতাসে অস্বাভাবিক আর্দ্রতা। আর এই দুটি কারণে কার্যত হাঁসফাঁস করছে বাঁকুড়া জেলার মানুষ। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনওরকম সম্ভাবনা নেই। আর্দ্রতাজনিত আবহাওয়া বজায় থাকবে। আপাতত এই অস্বস্তিকর গরম থেকে রেহাই নেই বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
তাপমাত্রার পারদ (Mercury) চড়ছে। এরফলে গরমের তীব্র (Heatwave) দহনে পুড়ছে বঙ্গবাসী। বর্ষা আসার সময় চলে এলেও এখনও পর্যন্ত কিন্তু বর্ষার দেখা মেলেনি। আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা প্রায় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন আর্দ্রতা ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। সেকারণে হাঁসফাঁস করা গরম সইতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যেই স্বস্তির খবর শোনাল মৌসম ভবন।
হাওয় অফিস তরফে খবর, কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ দুই মেদীনিপুর ও দুই পরগনা জেলায় চলবে তাপপ্রবাহ। সেক্ষেত্রে বেলা যতই বাড়বে সঙ্গে তাপমাত্রা ঠিক ততটাই বাড়বে। ফলে তাপমাত্রা ৪০ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে এই সপ্তাহেই রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সুন্দরবন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা।
তীব্র গরমে (Heatwave) নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দাপটও বেড়েই চলেছে। এই কাঠফাটা রোদে একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। কলকাতায় (Kolkata) পারদ চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Temperature) ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এই গরমের অস্বস্তিতে এখনই স্বস্তির কোনও সম্ভাবনা নেই বঙ্গবাসীর। ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিন্তু বজায় থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সপ্তাহঅন্তে অর্থাৎ রবিবার কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে আংশিকভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমের জেলা গুলিতে বজ্রবিদুত্সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনায় আগামী কয়েকদিন চলবে তাপপ্রবাহ। তবে আপাতত আর্দ্রতাজনিত আবহাওয়া বজায় থাকবে এমনটাই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতর তরফে।
আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে হাওয়া অফিস তরফে স্বস্তির খবর, বর্ষার আগমণ কিন্তু সঠিক সময়তেই হবে। পাশাপাশি উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পঙে বৃষ্টিপাত থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে কিন্তু এই মুহুর্তে বৃষ্টির কোনওরকম পূর্বাভাস জানানো হয়নি আলিপুর হাওয়া অফিস তরফে।
কেয়া মন্ডল: একদিকে যখন তাপমাত্রা বেড়েছে শৈল শহর গুলির, তখন পিছিয়ে নেই কলকাতা (Kolkata) সহ পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাগুলি। কলকাতা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে তীব্র গরমে (Heat wave) নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষদের। আর এই তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দৈনন্দিন শ্রমিকদের একাংশ। ওষ্ঠাগত অবস্থা প্রবীণ সহ শিশুদেরও। বেলা যতই বাড়ছে রোদের তাপ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে রাহয়ের সিংহভাগ এলাকাগুলিতেই তীব্র গরমে রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করা শ্রমিকদের বেহাল দশা। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রির কাছাকাছি। বৃহস্পতিবারও এই তাপমাত্রা ছিল ৪০ ছুঁইছুঁই। আপাতত এই হাঁসফাঁস পরিস্থিতি, তীব্র গরমে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া রোদে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন ও আবহাওয়া (Weather) দফতরের তরফে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধাননগর সংলগ্ন এলাকায়, তীব্র গরমে রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করছিলেন বসিরহাটের বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক তাপস মন্ডল, হঠাৎ তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে এসএসকেএমে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হলেও, দৈনন্দিন শ্রমিকরা রুটি রুজির টানে তীব্র গরমেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে প্রখর রোদের তাপে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে তাঁদেরকে। পাশাপাশি তীব্র গরমে কষ্ট পাচ্ছেন ফেরিওয়ালারাও। ওদিকে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় বৃহস্পতিবার শিশির অধিকারী নামের ফেরিওয়ালা চলন্ত ট্রেনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ট্রেনের থাকা যাত্রীরা অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওদিকে গরম বেড়েছে দার্জিলিং গ্যাংটক শহর গুলির। যার ফলে শৈল শহর গুলির কাছাকাছি হোটেল কর্তৃপক্ষ ভ্রমণার্থীদের জন্য ফ্যান সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার দার্জিলিং ও গ্যাংটক শহরের তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ওই দুই শৈল শহরের তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা নিয়ে চিন্তায় আছেন পরিবেশবিদ সহ স্থানীয়রাও।
আবহওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে চলেছে। আগামী কযেকদিন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই আরও তাপমাত্রা বাড়বে। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ থাকবে বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর। ফলে বেলা বাড়তেই দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলিতে অস্বস্তি বাড়বে। সঙ্গে গরম এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে বলেও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা জারি করেছে অভাব দফতর ও প্রশাসন।