উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বাড়ছে ‘লাম্পি স্কিন’ (Lumpy Skin) রোগের দাপট। গরুর মড়কে জেরবার গুজরাট (Gujarat) থেকে রাজস্থান (Rajasthan)। এই বিরল চর্মরোগে দুই রাজ্য মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে হাজারেরও বেশি গরুর। এবার মহারাষ্ট্রেও দেখা গিয়েছে এই ভাইরাসের আক্রমণ। মহারাষ্ট্রের (Maharastra) ২৫ জেলায় শনিবার পর্যন্ত ১২৬টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।
একদিকে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর (African Swine Fever) রুখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হত্যা করা হচ্ছে শূকরদের (Pig)। এর মধ্যেই একাধিক রাজ্যে গরুর মড়ক (Death of Cow) নিয়ে উদ্বেগে প্রশাসন। মহারাষ্ট্রের পশুপালন দফতর একটি বিবৃতিতে দিয়ে জানায়, গাভি, বলদ ও অন্যান্য গবাদি পশুদের মধ্যে এই সংক্রমণ বেশি ছড়াতে দেখা গিয়েছে। আতঙ্কে ভুগছেন পশুর মালিকরা। যাদের অধিকাংশই কৃষক। যদিও ভাইরাস রুখতে টিকাকারণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
লম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) হল একটি সংক্রামক ভাইরাল রোগ। যা গবাদি পশুকে প্রভাবিত করে এবং জ্বর, ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুও হতে পারে। এই রোগটি মশা, মাছি, উকুন, ভেপ এবং গবাদি পশুর সরাসরি সংস্পর্শে এবং দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে ছড়ায়।
প্রধান উপসর্গগুলি হল পশুদের মধ্যে জ্বর, চোখ ও নাক থেকে স্রাব, মুখ থেকে লালা পড়া, সারা শরীরে নডিউলের মতো নরম ফোসকা, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়া এবং খেতে অসুবিধা যা কখনও কখনও পশুকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
উৎকর্ষ বাংলা (Utkarsha Bangla) প্রকল্পের আওতায় একগুচ্ছ চাকরির প্রতিশ্রুতি নেতাজি ইন্ডোরের সভায় সম্প্রতি দেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এমনকি দিন কয়েকের মধ্যেই নিয়োগপত্র (Appointment Letter) হাতে পেয়ে যাবেন চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীরা। এই ঘোষণাও ভরামঞ্চে করেন তিনি। ১২ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সেই অনুষ্ঠানে বাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের। সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ পত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। এমন ঘোষণাও নাকি করা হয়েছিল, বাসে ফেরার সময় অফার লেটার দিয়ে দেওয়া হবে। তাও দেওয়া হয়নি। সেই অনুষ্ঠানের পর হুগলি জেলার ১০৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে পরে ফোন করে জানানো হয় হুগলি এইচআইটি কলেজ থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করতে। প্রত্যেকের মোবাইলে একটি পিডিএফ ফাইল পাঠানো হয় বৃহস্পতিবার। শুক্রবার হুগলি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে অফার লেটার নিতে আসে অনেকেই। সেই চিঠিতে লেখা গুজরাতের মারুতি সুজুকি কোম্পানিতে দু'বছরের আইটিআই প্রোগ্রামে ভেহিকেল টেকনিক্যালের ট্রেনিং দেওয়া হবে। এগারো হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন তাঁরা।
সেন্টার ফি বহন করবে সুজুকি মোটরস গুজরাট প্রাইভেট লিমিটেড। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নথি যাচাইয়ের পরই প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হবে। এমনকি, চিঠির নিচে সেন্টার ম্যানেজার হিসাবে ভেদপ্রকাশ সিংয়ের নাম-ফোন নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নম্বরে ফোন করে প্রার্থীরা জানতে পারে এই প্রশিক্ষণের ব্যপারটাই ভুয়ো।
ঠিক কী বলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা? যেভাবে তাদের চিঠি ধরানো হয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য এটা কোন পদ্ধতি নয়। গুজরাতে প্রশিক্ষণের জন্য যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করে প্রত্যেকের জন্য আলাদা চিঠি সংস্থার প্যাডে ইস্যু হয়। সানফাস্ট নামে এক সংস্থার সঙ্গে সুজুকি যৌথভাবে প্রশিক্ষণ দেয়। এমনটাই চাকরিপ্রার্থীদের ফোনে জানান ভেদপ্রকাশ। সানফাস্টের পক্ষ থেকে সিদ্ধার্থ শংকর জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন। এই ধরনের কোনও চিঠি তারা অন্তত ইস্যু করেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগ নেই। ইতিমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের মেইল করে জানানো হয়েছে।
তাঁদের সংস্থা বিহার উত্তরপ্রদেশের ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কেউ এখনও প্রশিক্ষণ নেয়নি। যেভাবে কোম্পানির প্যাড ব্যবহার হয়েছে, তাতে স্পষ্ট গোটা বিষয়টা ভুয়ো। আর এতেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অফার লেটার হাতে পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা আশাহত। কেউ কেউ আবার গুজরাতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে নারাজ। তাই বিষয়টি জানাজানি হতেই অনেকে অফার লেটার নিতেও আসেননি। যদিও এবিষয়ে নোডাল অফিসার কিছু বলতে চাননি। এই ভুয়ো নিয়োগ অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা।
রীতিমতো ট্যুইট করে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ। যদিও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই নিয়োগ দিয়েছেন। আমি এবিষয়ে কিছু জানি না। তাও জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। এদিকে করিগরি শিক্ষা দফতরের নিয়োগপত্র নিয়ে বিতর্কে রিপোর্ট তলব করলো দফতর। বণিক সভার মাধ্যমে চলছিল নিয়োগের কাজ। তাদের থেকেই রিপোর্ট তলব। কোথায় সমস্যা, কেন সমস্যা তা জানাতে বলা হল।চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দফতরের। এমনটাই সুত্রেরর খবর।
প্রসূন গুপ্ত: কংগ্রেস দাবি করেছে আপ পার্টি নাকি পরোক্ষে বিজেপিকে সাহায্য করছে। কারণ যথেষ্ট সংগঠণ না থাকা সত্বেও তারা গুজরাটে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সর্বত্র প্রার্থী দিচ্ছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, ভোট কেটে আপ পরোক্ষে বিজেপিকেই সুবিধা করে দিচ্ছে। গুজরাতে এবারে নাকি পরিবর্তনের হওয়া। এই কারণে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী পরিবর্তন হতে চলেছে বলে দাবি কংগ্রেসের।
আপ পার্টির সত্যিই ভূমিকা কি? এটা এমন একটি পার্টি যারা গান্ধীবাদী নয়, মার্ক্সবাদী নয়, নয় হিন্দুবাদী। তবে এরা কার আদর্শে দল চালাচ্ছে? আপ পার্টির জন্মই হয়েছিল দিল্লিতে কংগ্রেসের বিরোধিতা করে, তীব্র দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন পরিচালিত করে। তারা বলেছিল রাজনীতির নেতাগিরি নয়, তারা আসল জনগণের দল অর্থাৎ আম আদমির পার্টি। আন্না হাজারের হাত ধরে তাদের চলা শুরু হয়েছিল, কিন্তু আন্নার হাতও তারা ছেড়ে দেয় দ্রুত। এরপর দিল্লিই বিধানসভা নির্বাচনে শীলা দীক্ষিত-সহ কংগ্রেসকে হারিয়ে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে বিধানসভায় আসে। কিন্তু তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসই আপকে সমর্থন করে দিল্লির মসনদে বসায়।
বেশিদিন টেঁকেনি সেই সরকার। এরপর ফের ভোট, এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ক্ষমতায় আসে তারা। কিন্তু রহস্যের বিষয় এই যে ২০১৪ র লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭টি আসন দখল করে বিজেপি। ফের পরের বিধানসভা ভোটে ৭০ আসনের মধ্যে ৬৩ আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করে কেজরিওয়ালের দল। কিন্তু ফের ২০১৯-এর নির্বাচনে একটিও আসন পায়ে না তারা লোকসভায়। এরপরে কংগ্রেসকে সরিয়ে তারা পাঞ্জাব দখল করে। গোয়া, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে পর্যন্ত আসন পায় আপ।
এবারই প্রশ্ন ওঠে তবে কি আগামীতে আপই বিজেপির বিকল্প? ইতিমধ্যে ওই দলের দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআইয়ের হানা আসে। মানুষের কাছে তারা বার্তা দেয় যে তারা ভয়ঙ্কর বিরোধী শক্তি বলে বিজেপি তাদের চাপে রাখার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে তারা ঘোষণা করে গুজরাট নির্বাচনে তৃতীয় শক্তি হিসাবে তারা লড়বেও। এতেই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস।
এক কথায় বড় সাফল্য মুম্বই পুলিসের (Mumbai Police)। অভিযান চালিয়ে এক হাজার কোটিরও বেশি মূল্যের নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত (seized drugs) করল মুম্বই পুলিস। গুজরাতের (Gujarat) ভারুচ জেলার অঙ্কলেশ্বর (Ankleshwar) এলাকায় একটি মাদক তৈরির কারখানায় শনিবার মুম্বই পুলিসের মাদক নিয়ন্ত্রণ শাখার পুলিস হানা দেয়। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় মোট ৫১৩ কেজির মাদক।
বাজেয়াপ্ত করা মাদকের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য ১ হাজার ২৬ কোটি টাকা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পাচারচক্রের মূল চক্রী গুজরাতের রসায়নের স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্র গিরিরাজ দীক্ষিত। তাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত এবং তাঁর এক সঙ্গী পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মেফেড্রোন নামক ওই মাদক তৈরির সূত্র তৈরি করেছিল। সেই দিয়েই এরা মাদক তৈরি করত ও পাচার করত।
সাম্প্রতিক সময়ে এত বিপুল অঙ্কের মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে পুলিস। এর আগে, মুম্বই পুলিস মহারাষ্ট্রের নালাসোপাড়ার একটি গোডাউন থেকে একই গ্যাং দ্বারা তৈরি ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার এমডি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এখনও পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৪৬ কোটি টাকার এমডি নামক মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।