Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Gujrat

Vote: গুজরাতের বিশাল জয় কি ঢেকে দেবে হিমাচল-দিল্লিকে? কী বলছে বিশ্লেষণ

প্রসূন গুপ্ত: রাজনীতির রণাঙ্গণে কোনও সুনির্দিষ্ট রাজ্যের ভোটের ফল কি ভারতের ভোটারদের মুড ধরতে পারে? উত্তরটা বোধহয় না। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের (Bengal Vote) ফল দিয়ে যেমন গুজরাতকে (Gujrat Vote) চেনা যাবে না, তেমন হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh Vote) ভোটের ফল দিয়ে লোকসভার ভবিষ্যৎকে তুলে ধরা ঠিক হবে না। বিশেষজ্ঞদের নানা মত থাকতে পারে। কিন্তু এবিষয়ে সব রাজনীতির একটি বিষয়ে একমত হতেই হবে। যে তিন রাজ্যের ফল অনেকটাই চিত্র পরিষ্কার করতে পারে। গুজরাত এমন একটি রাজ্য যেখানে মানুষ স্বাধীনতা উত্তর যুগ থেকে শান্তিপ্রিয় এবং অরাজনৈতিক। তারা সুনির্দিষ্ট এক ধারায় জীবন চালাতে ভালোবাসে।

এই প্রতিবেদক ১৯৮১ থেকে ৮২ অবধি গুজরাতে থেকে একটি বিষয় বুঝেছে, গুজরাতিরা শান্তিপ্রিয় এবং ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে চলতে ভালোবাসে। যদিও এই রাজ্য থেকে বল্লভভাই প্যাটেল, মোরারজি দেশাই কিংবা লালকৃষ্ণ আদবানির মতো রাজনীতিবিদ পেয়েছে। অথবা মহাত্মা গান্ধী থেকে আজকের প্রধানমন্ত্রী মোদী এসেছেন ভারতের রাজনীতির শীর্ষে। কিন্তু ওই অবধি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত গুজরাতবাসীর আছে ঠিকই। কিন্তু তাঁদের রাজনীতি নিয়ে ভাবার সময় এঁরা ব্যয় করতে নারাজ। স্বাধীনতা উত্তরে ১৯৯৫ অবধি একচেটিয়া কংগ্রেসের রাজ ছিল। কিন্তু ৯৬ থেকে পট পরিবর্তন হয়ে বিজেপির হাতে গুজরাত। ভোটারদের অভাব অভিযোগ নিয়ে পথে নাম বা আন্দোলন করা এঁরা পছন্দ করে না।

দ্বিতীয় বিষয় ৮ বছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাঁদের রাজ্যের। ফলে একটা সেন্টিমেন্ট তাঁদের আছেই আছে। 'গোধরা কাণ্ড' ছাড়া দেশের রাজনীতি বা প্রশাসনিক বিষয় গুজরাতিদের আগ্রহ খুব কম। যতটুকু আগ্রহ অর্থনীতি নিয়েই। আর্থিক অবস্থা খারাপ হলেও বিকল্প কিছু নেই ভেবেই ফের বিজেপির উপর ভরসা করেছে। আজকে এদের ভোটের ফল বা শতাংশ কিন্তু তাই প্রমাণ করে। আমরা ২০০৬-এ, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন তুঙ্গে দেখেছিলাম তখন বামেরা শেষবারের মতো ক্ষমতায় এসেছিলো ৫২% ভোট পেয়ে।

গুজরাতে তাই দেখা গেলো এবং শেষবার যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল সেবারও তারা যথেষ্ট ভোট শতাংশে এগিয়ে ছিল। কাজেই এবারের ফল গুজরাতের ক্ষেত্রে নতুন ঘটনা কিছু নয়। তবু জয় শেষ পর্যন্ত জয়ই হয় এবং কংগ্রেসের পরাজয় বা আসন কমে যাওয়াটাও তাদের পরাজয়ই।

কিন্তু এই ভাবনাতে কেন্দ্রীয় বিজেপির উৎসাহের কারণ নেই। প্রথমত দিল্লি মানে মিনি ভারতবর্ষ। এখানে দেশের সব রাজ্যের মানুষ থাকে এবং ভোট দেয় মূলত রাজ্যের মানুষ। তবে কর্পোরেশনে পরাজয় কিন্তু বিজেপির কাছে ভাবনার অন্তত আগামী লোকসভার নিরিখে। এর সঙ্গে হিমাচলে কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় এল। বেশ ভালো ফল করেছে তারা।  নাড্ডার রাজ্যে এই পরাজয় কিন্তু বিজেপির কাছে ভাবনার।

one year ago
Gujrat: গুজরাটে ভরাডুবি কংগ্রেসের, মোদী ম্যাজিকে ২০০২-র ফলকে ছাপিয়ে গেল বিজেপি

গুজরাট (Gujrat) তুমি কার? বৃহস্পতিবার ভোট গণনা (Assembly Election 2022) শুরু হতেই এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর উত্তর মিলতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হল না দেশবাসীর। বেলা ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ছবি। মোদীর (Narendra Modi) রাজ্যে রেকর্ড তৈরি করে ইতিহাস লিখল বিজেপি (BJP)। এই রাজ্যে মোট ১৮২টি আসন, যার মধ্যে বেলা পর্যন্ত হিসেবে ১৫৬টি আসনে ফুটেছে পদ্মফুল। আর এরই সঙ্গে টানা ৭ বার এবং প্রায় তিন দশক ধরে গুজরাটে নিজেদের রাজ্যপাট কায়েম করার পথে এগোচ্ছে গেড়ুয়া শিবির।

উল্লেখ্য, এই প্রথমবার গুজরাটে ১৫০-র বেশি আসনে জিতে বিধানসভা গড়তে চলেছে বিজেপি। ৮০ শতাংশের বেশি বিধানসভা আসন। গত ২০০২ সালে ১২৭টি আসনে জিতে সরকার গড়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, সেবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু ২০২২ ভেঙে দিল সেই পুরনো রেকর্ডও। বিশেষ নজর ছিল হার্দিক প্যাটেল-সহ একাধিক ভিআইপি প্রার্থীদের ফলাফলের দিকে। কিন্তু সেখানেও কেউ খুব একটা নিরাশ করেননি দলকে। ভোট শতাংশের নিরিখেও অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। প্রায় ৫৩.১০ শতাংশ ভোট এখনও পর্যন্ত নিজেদের নামে করেছে পদ্ম বাহিনী। সেদিক থেকে কংগ্রেসের ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ১৭টি আসন। তবে তুলনামূলক ভাবে বেশ ভালোই ফল করেছে আপ। ৫টি আসন নিজের নামে লিখিয়েছে কেজরিওয়ালের দল। এদিকে জয় নিশ্চিত হতেই অকাল দিওয়ালিতে সামিল পদ্মবাহিনী। আহমেদাবাদ থেকে বরোদা, সর্বত্রই চলছে বাজি ফাটিয়ে রাজকীয় জয় উদযাপন।

গেড়ুয়া আবিরে ভরেছে গুজরাটের আকাশ-বাতাস। মোরবি সেতু দুর্ঘটনা থেকে বিরোধী হাওয়া, জনতার কাছে ধোপে টিকল না কিছুই। মোদী-শাহ'র ঝোড়ো ইনিংসে বাউন্ডারি পার ভোটের বল। তবে এবার প্রশ্ন আগামী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে নিয়ে কিছুটা সংসয় থাকলেও পাতিদার প্রতিনিধি হিসেবে এবারেও মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসতে পারেন তিনিই বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।

এদিকে গুজরাতের ভোট বিশ্লেষণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, এই বিপুল জয় অনেকটাই মোদী ম্যাজিক। কারণ ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে যে গুজরাত ভোটে তিনিই মুখ। অর্থাৎ নেতৃত্ব প্রদানের একটা মুখ জনগণের সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি প্যাটেল সম্প্রদায় একটা সময় পর্যন্ত বিজেপির থেকে মুখ ঘুরিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুর্সিতে প্যাটেল সম্প্রদায়ের একজনকে বসিয়ে সেই ভোটব্যাঙ্ক নিজের ঝুলিতে আনতে পেরেছে বিজেপি। তাছাড়া তৃণমূলস্তর থেকে পশ্চিমের এই রাজ্যে বিজেপির সংগঠন দুর্দান্ত।

সেই সংগঠনের জোরেই অনেক প্রতিবন্ধকতা জিতে জনতা জনার্দনের আশীর্বাদ পদ্ম শিবিরের ঝুলিতে।

one year ago
Himachal: গুজরাতের জ্বালা জুড়িয়ে দিল হিমাচল, ম্যাজিক ফিগার পেরিয়েও দৌড়চ্ছে কংগ্রেস

২০২৪-র লোকসভা (2024 General Election) ভোটের আগে অ্যাসিড টেস্ট গুজরাত-হিমাচল প্রদেশ (Gujrat-Himachal Pradesh Vote) বিধানসভা ভোট। বৃহস্পতিবার এই দুই রাজ্যের ভোট গণনায় ফল ১-১। অর্থাৎ গুজরাতে কোনওপ্রকার হার্ডল ছাড়াই ৮০% আসনে জয় গেরুয়া শিবিরের (BJP)। অনেক পিছিয়ে দুই বিরোধী কংগ্রেস এবং আপ। পাশাপাশি হিমালয় কোলের ছোট রাজ্য হিমাচলে আবার চিত্রটা উলটো। ৬৮ আসনের এই রাজ্যে ম্যাজিক ফিগার (Magic Figure) ৩৫। কংগ্রেসের ঝুলিতে ৪০টি আসনে, বিজেপি পেয়েছে ২৫টি আসন। অন্যান্যরা পেয়েছে ৩টি আসন। ঘটনাচক্রে হিমাচল প্রদেশ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য। যদিও একজিট পোল উত্তরের এই পাহাড় ঘেরা রাজ্যর জন্য ত্রিশঙ্কু বিধানসভার পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু ইভিএম খুলতে একটা সময় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ছিল বিজেপি-কংগ্রেস।

এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গেই পদ্মশিবিরকে পিছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগার অনেক আগেই ছুঁয়ে ফেলেছে শতাব্দী প্রাচীন দল। সব ঠিক রেখে শেষ পর্যন্ত এই হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকার গড়তে পারলে, ২০২৪-র আগে বড় অক্সিজেন পাবেন খারগে, রাহুল, প্রিয়াঙ্কারা। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জয় নিশ্চিত করেছেন। এগিয়ে রয়েছেন সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস প্রার্থী মুকেশ অগ্নিহোত্রি।

হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র তথা কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংও সিমলা গ্রামীণ আসন থেকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায়। এদিকে, হিমাচলের বিধানসভার রেওয়াজ মানেই পালা বদল। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর হিমালয় কোলের এই ছোট রাজ্য শাসক দল বদলেছে। ১৯৮২ থেকে সরাসরি কংগ্রেস বনাম বিজেপির লড়াই দেখছে হিমাচল প্রদেশ। তার আগে এই রাজ্যে কংগ্রেসের মূল প্রতিপক্ষ ছিল জনতা দল। তারপর থেকেই ধাপে ধাপে এই রাজ্যর মসনদে শাসক দলের বদল ৫ বছর পরপর হয়েছে। সেই ট্রেন্ড এখনও বিদ্যমান, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে ম্যাজিক ফিগার (৩৫)-এর থেকে বেশি আসনে কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না শতাব্দী প্রাচীন দল। তাই পাকাপাকি ভাবে জয় নিশ্চিত হলে কংগ্রেস বিধায়কদের নিরাপদ স্থানে সরাতে মরিয়া এআইসিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। জোর সম্ভাবনা ছত্তিশগড় কিংবা রাজস্থানের কোনও বিলাসবহুল রিসোর্টে পাঠাতে চায় তাঁরা। কথা চলছে দুই রাজ্যের প্রদেশ কমিটি এবং মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। তবে শেষ ফল অবধি অপেক্ষা করতে চায় অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি এবং হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস।

ফলাফলের তথ্যসূত্র: ভারতের নির্বাচন কমিশন

one year ago


MCD: আপের দখলে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, এবার হিমাচল-গুজরাতের ফলাফলের অপেক্ষা

পূর্বাভাস সত্যি করে দিল্লি পুরসভা বা দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (MCD) দখল আম আদমি পার্টির (AAP)। আপের পক্ষেই যাবে দিল্লি পুরসভা, দাবি করেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল হাতছাড়া বিজেপির (BJP)। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ২৫০টি ওয়ার্ডের মধ্যে আপ দখল করেছে ১৩৪টি ওয়ার্ড, বিজেপির দখলে ১০৪টি ওয়ার্ড। কংগ্রেস পেয়েছে ৯টি আসন আর অন্যদের ঝুলিতে ৩টি আসন।

এদিন গণনা শুরুর প্রথম থেকেই গেরুয়া ঝড়ের আভাস ছিল। তবে বেলা গড়তেই কেজরিওয়ালের দলের দিকে যেতে শুরু করে ফল। একটা সময় ছিল বিজেপি আপের জোর টক্কর। তবে বিজেপিকে পিছনে ফেলে অনেক আগেই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যায় দিল্লির শাসক দল। বাকি সব ভোটের মতো দিল্লি পুরসভার ভোটেও ফল খারাপ কংগ্রেসের।


MCD নির্বাচনের ক্ষেত্রে AAP জয়ী হবে বলে ভোটের পর থেকেই আপের দিকে পাল্লা ভারি রেখেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষা। যদিও ৭০%-র মতো বেশি আসনে কেজরিওয়ালের দলের জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, ৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেশের দুই রাজ্যের ফল ঘোষণা। হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাতের ফলের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষায় গুজরাত ফের বিজেপির দখলে থাকবে, এই ইঙ্গিত দিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। হিমাচল প্রদেশে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এখন অপেক্ষা বৃহস্পতিবার ইভিএম খোলার।

one year ago
Rawal: প্রসঙ্গ বাঙালি এবং মাছ খাওয়া! সেলিমের অভিযোগের ভিত্তিতে পরেশকে তলব কলকাতা পুলিসের

মহম্মদ সেলিমের (Md Selim) দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেতা-সাংসদ পরেশ রাওয়ালকে তলব করলো কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। আগামি ১২ ডিসেম্বর তালতলা থানা তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে। বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিনেতার (Paresh Rawal) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।

মূল ঘটনার সূত্রপাত গুজরাত বিধানসভা ভোটের প্রচার। বিজেপির তারকা প্রচারকদের মধ্য অন্যতম ছিলেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। পরেশ গত মঙ্গলবার এক প্রচার সভায় বাঙালিদের মাছ খাওয়া নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন। তারপরেই দেশজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে ওঠে। নিন্দার ঝড় ওঠে, সমালোচনার সুরে মিমে মিমে ছেয়ে যায় সোশাল মিডিয়া। বিতর্ক বাড়ছে বুঝে ক্ষমা চেয়ে নেন বলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ পরেশ।

এদিকে, পরেশের এহেন মন্তব্যের জেরে শুক্রবার তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেলিম। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পরেশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঠিক কী বলেছেন অভিনেতা? গুজরাত বিধানসভা ভোটের প্রচারে এক সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, 'মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?'

one year ago


Gujrat: গুজরাতে শেষ দফার ভোট গ্রহণ, ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

চলছে গুজরাত বিধানসভার (Gujrat Assembly Election) ৯৩টি আসনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। সোমবার আহমেদাবাদের রানিপে গিয়ে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  (Prime Minister Narendra Modi)। পাশাপাশি ভোট দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (CM Bhupendra Patel)। ৮ তারিখ গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা। মোদী-শাহের রাজ্যে এ বছর ত্রিমুখী লড়াই। বিজেপি, কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছে আম আদমি পার্টি।

এদিন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রানিপের নিশান পাবলিক স্কুলে পৌঁছন মোদী। এদিন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার সময় হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে অভিবাদন জানান নরেন্দ্র মোদী। নমস্কার করে শুভেচ্ছাও জানান তিনি। রাস্তা থেকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র পর্যন্ত পথ পাল্টা 'মোদী মোদী' স্লোগানে মুখরিত থাকে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'যে ভাবে নির্বাচন হচ্ছে, তা একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। এত সুন্দর এবং স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমি নির্বাচন কমিশনকেও আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।' এদিকে, সোমবার সাড়ে ১০টার কিছুক্ষণ পরে আমদাবাদের নারানপুরায় এসে ভোট দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ছিলেন ছেলে জয় শাহ-সহ তাঁর পরিবার।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মধ্য এবং উত্তর গুজরাতের ১৪টি জেলা জুড়ে এই ৯৩টি আসন। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল -সহ মোট ৮৩৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য বাক্সবন্দি হচ্ছে।

one year ago
Gujrat: বিধানসভার যুদ্ধে চলছে প্রথম দফার ভোট, বিজেপি প্রার্থীকে মারধরে কাঠগড়ায় কংগ্রেস

গুজরাতে (Gujrat Assembly Election) চলছে প্রথম দফায় ৮৯টি আসনে বিধানসভার ভোট (Vote) গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। গুজরাতের মোট ১৮২টি বিধানসভার আসনের মধ্যে প্রথম দফায় কচ্ছ-সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাত মিলিয়ে ৮৯ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে, ৭৮৮ জন প্রার্থীর (Candidate) ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

এই দফায় ভাগ্য পরীক্ষা ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা, রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পরেশ ধনানীর। বৃহস্পতিবার গুজরাতের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও দফতর জানিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে ১৪,৩৮২টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত। এই দফায় ভোট দেবেন ২ কোটি ৩৯ লক্ষ ভোটার। দ্বিতীয় দফায় উত্তর ও মধ্য গুজরাতের ৯৩টি আসনে ভোট হবে আগামী সোমবার, গণনা ৮ ডিসেম্বর।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে এই ৮৯টি আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ৪৮টি আসন। কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা জিতেছিল ৪০টি আসন। পরবর্তী সময়ে কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। যদিও এ বার ভোটের লড়াই ত্রিমুখী। কংগ্রেস এবং বিজেপির পাশাপাশি রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টিও।

এদিকে, প্রথম দফার ভোটে গুজরাতেও ঝরল রক্ত। ভনসদার বিজেপি প্রার্থীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, ওই আসনে পদ্ম প্রার্থী যখন ভোট কেমন হচ্ছে, নিজের কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন, তখনই তাঁর উপর হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।

পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, বুধবার রাতে পীযূষ প্যাটেল যখন ভনসদা আসনের ঝারি গ্রামে যান, তখন তাঁর গাড়ি ঘিরে এই আক্রমণ চলেছে। তাঁর মাথা ফাটানো হয়, ভাঙচুর করা হয় গাড়িতে। পীযূষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অনন্ত প্যাটেল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। দলের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ভনসদা থানায়।

one year ago
Gujrat: গুজরাতে বিজেপির বড় চমক! জামনগর উত্তরে রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রীকে টিকিট পদ্ম শিবিরের

আসন্ন গুজরাত বিধানসভা (Gujrat Vote) ভোটে বড়সড় চমক বিজেপির। ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার (Ravindra Jadeja) স্ত্রী রিভাবাকে প্রার্থী করল পদ্মশিবির। বৃহস্পতিবার বিজেপি (Gujrat BJP) গুজরাতের ১৮২টি আসনের মধ্যে প্রায় ৯০% আসন অর্থাৎ ১৬০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জামনগর উত্তর আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে রিভাবাকে।

২০১৯-র ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রিভাবা। সে সময় তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও, শেষ পর্যন্ত শিকে ছেড়েনি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য তিন বছর আগে লোকসভা ভোটের আগেই রবীন্দ্রের বাবা অনিরুদ্ধসিন ও বোন নৈনবা কংগ্রেসে যোগ দেন। সে সময় তাঁদের কংগ্রেসে এনেছিলেন পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল। ঘটনাচক্রে হার্দিক এখন বিজেপিতে। তাঁকেও আমদাবাদের বিরামগ্রাম বিধানসভায় প্রার্থী করেছে পদ্মশিবির।

আমদাবাদেরই ঘাটলোদিয়া আসনে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। ২০১৭ সালেও তিনি ওই আসন থেকেই জিতেছিলেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা রুখতে বিজেপি এবার গুজরাতে তাঁদের বিদায়ী ৩৮ জন বিধায়ককে টিকিট দেয়নি। অপরদিকে বুধবার গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল ভোটে না লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তাঁরা আগেভাগেই নিশ্চিত হয়েছিলেন, এবার টিকিট পাবেন না, তাই এই ঘোষণা। 

one year ago


Gujarat: ঘোষিত নির্ঘণ্ট! দু'দফায় গুজরাতে বিধানসভা ভোট, ফল ঘোষণা ৮ ডিসেম্বর

অবশেষে ঘোষিত বহু প্রতীক্ষিত গুজরাতে বিধানসভা (Gujarat Assembly Poll) ভোটের দিনক্ষণ। নির্বাচন কমিশন (ECI) বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে, আগামী ১ এবং ৫ ডিসেম্বর দু’দফায় গুজরাতে ভোটগ্রহণ, গণনা হবে ৮ ডিসেম্বর। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশেও (Himachal Pradesh) ভোট গ্রহণ। এদিন নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১৮২ আসনবিশিষ্ট গুজরাতে প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ ১ ডিসেম্বর, এই দফায় ৮৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ৯৩ আসনে ৫ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। কমিশন জানিয়েছে, ৯-১৪ নভেম্বর প্রথম দফার জন্য এবং ১০-১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার জন্য মনোনয়ন পেশের কাজ চলবে।

এদিকে, হিমাচল প্রদেশে ১২ নভেম্বর ভোট গ্রহণ। কিন্তু ফল ঘোষণা ৮ ডিসেম্বর। ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে গুজরাতে ৯৯টি আসন জিতে টানা পঞ্চম বারের ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেবার ৭৭টি আসনে জিতে পদ্ম শিবিরকে বেশ বেগ দিয়েছিল কংগ্রেস। এবার ত্রিমুখী লড়াই, বিজেপি-কংগ্রেস ছাড়াও ময়দানে আপ বা আম আদমি পার্টি।

2 years ago
Chennai: সিবিআই-ইডি শুধু আম আদমিকে হেনস্থা করে, ব্রিজ দুর্ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা নয় কেন: মমতা

একদিনের সফরে বুধবার চেন্নাই (Chennai Visit) উড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। তার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মোরবি ব্রিজ-কাণ্ডে (Morbi Bridge Incident) মৃতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি কোনও সমালোচনা করতে চাই না। মানুষের জীবন রাজনীতির থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সহমর্মী। আর কত মৃতদেহ পাওয়া যাবে জানি না। আমাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা কোনও সরকারের দায় নয়। কিন্তু যাদের গাফিলতিতে দুর্ঘটনা ঘটে, তাঁরা অবশ্যই অপরাধী।'

তিনি জানান, যারা এই ধরনের ব্রিজ বানায়, যারা বরাত পায় তাঁরাই অপরাধ করে। ভোটে ব্যস্ত থাকার জন্য গুজরাত সরকার দুর্গতদের সেভাবে সাহায্য করতে পারেনি। কিন্তু অসম্পূর্ণ ব্রিজকে, সম্পূর্ণ বলে চালিয়ে দেওয়া এক ধরনের অপরাধ। আমার মনে হয় সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে বিচার বিভাগীয় কমিশন বানিয়ে যারা অভিযুক্ত, বিশেষ করে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। এখন কেন সিবিআই-ইডি তদন্ত হবে না। ওরা শুধু আম আদমিকে হেনস্থা করে। কিন্তু যারা আসল অপরাধী, তাঁদের এভাবে ছেড়ে রেখেছে।

মোরবি ব্রিজ-কাণ্ডের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সারা বাংলাজুড়ে দেড় হাজার ব্রিজ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞতা না থাকলে সেতু সংস্কার করা উচিৎ নয়। আমি এই ঘটনায় খুব ব্যথিত, রাজনীতি করতে চাই না। গুজরাত আমিও যেতে চাই কিন্তু বলা হবে রাজনীতি করছি। আমাদের একজনের দেহ ভিখারির মতো পাঠিয়ে দিয়েছে।'

গুজরাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরকিত্ব প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, 'পুরোটাই রাজনীতি। আমাদের এখানে এসব হতে দেব না। আমরা এখানে সবাই নাগরিক।'পাশাপাশি একদিনের চেন্নাই সফর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যপালের পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে চেন্নাই যাচ্ছি। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিনের সঙ্গেও দেখা হবে। দু'জন রাজনৈতিক ব্যক্তি মুখোমুখি হলে রাজনৈতিক আলোচনাও হবে। ২০২৪-এ বিরোধী ঐক্য কী অবস্থায় রয়েছে, সব আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারব।

2 years ago


Bridge: মোরবি ব্রিজ-কাণ্ডে মর্মাহত আন্তর্জাতিক মহল, ইউএস, রাশিয়া, চিনের শোক প্রকাশ

ঝুলন্ত সেতু (Morbi Bridge Mishap) ভেঙে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে গুজরাতে (Gujarat)। ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ, এই শোকের আবহে সেতু বিপর্যয়ের দুঃখপ্রকাশ আন্তর্জাতিক মহলের (International Diaspora)। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন আমেরিকা (USA), রাশিয়া, ইজরায়েলের রাষ্ট্র প্রধানরা।

রবিবার সন্ধ্যায় মাছু নদীর সেতু বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যে সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে, সে সময় সেখানে শতাধিক মানুষের ভিড় ছিল। পুলিসকে প্রথম থেকেই এই দাবি করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সংস্কারের পর ২৬ অক্টোবর এই ঝুলন্ত সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় সেতু সংস্কারকারী সংস্থার কর্মী-সহ ৯ জন গ্রেফতার হয়েছে।

পাশাপাশি সেতু বিরর্যয়ের ঘটনায় রীতিমতো বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট বাইডেন লেখেন, 'ভারতের পাশে রয়েছি আমরা। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে নিবিড় বন্ধন রয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমরা ভারতীয়দের সঙ্গে রয়েছি।' আমেরিকার মতোই সেতু দুর্ঘটনায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাভাবিক মিত্র রাশিয়াও। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন লিখেছেন, 'গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।' দুঃখপ্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন ই‌জ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড। এই ঘটনায় গভীর ভাবে মর্মাহত বলে মন্তব্য শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের।

শোকপ্রকাশ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা, সৌদি আরবের বিদেশ মন্ত্রক ও চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রও।

2 years ago
Nationality: ক্রমেই কি প্রাসঙ্গিক সিএএ! গুজরাতে সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র

গুজরাতে (Gujarat) সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian citizenship)। বিধানসভা ভোটের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Ministry of Home Affairs) বড় চমক। ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। গুজরাতের জেলা আধিকারিকদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-২০১৯ (CAA) লাগু না করে, ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব প্রদান বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-২০১৯ (CAA) আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে।

কিন্তু যেহেতু এই আইনের অধীনে বিধিগুলি এখনও সরকার প্রণয়ন করেনি, তাই এখনও পর্যন্ত কাউকে এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি। এমনকি ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০২১ সালেও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) গুজরাত, ছত্তীসগড়, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের বেশ কয়েকটি জেলার কালেক্টরদের বৈধ নথিতে ভারতে প্রবেশকারী ছয়টি সম্প্রদায়ের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দেয়।

সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য সামনে এসেছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গুজরাতের আনন্দ ও মেহসানা জেলায় বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ সালের ধারা ৫, ধারা ৬-এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব বিধি, ২০০- এর বিধান অনুসারে তাঁদের ভারতের নাগরিক হিসাবে নিবন্ধন করার অনুমতি দেওয়া হবে বা তাঁদের দেশের নাগরিকের শংসাপত্র দেওয়া হবে।

2 years ago
Nabanna: মোরবি ব্রিজ বিপর্যয় থেকে শিক্ষা, রাজ্যের ব্রিজগুলোর স্বাস্থ্য জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব নবান্নর

গুজরাতের (Gujarat) মোরবি জেলায় ঝুলন্ত ব্রিজ  (Cable Bridge Accident) ভাঙার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জেরে সতর্ক নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যের ব্রিজগুলির কী অবস্থা, জানতে চেয়ে তড়িঘড়ি রিপোর্ট চাইল নবান্ন। এই দুর্ঘটনা আবার শহরের বুকে ঘটে যাওয়া পোস্তা (Posta bridge) এবং মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনাকে উসকে দিয়েছে। তাই আরও বেশি সতর্ক নবান্ন।

রাজ্যের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং-সহ কয়েকটি জেলায় রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ। সেই ব্রিজগুলো বর্ষা পরবর্তী সময়ে কী অবস্থায় রয়েছে, জানতে মঙ্গলবারের মধ্যেই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ নবান্নের। প্রতি জেলার পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ নবান্নর। পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত উড়ালপুলগুলির স্বাস্থ্য নিয়েও রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়।

এদিকে, গুজরাতের মোরবির ঝুলন্ত ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে শতাধিক। মৃতদের মধ্যে এই রাজ্যের বাসিন্দা এক যুবকও রয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গয়নার কারিগর হিসেবে কর্মসূত্রে মোরবিতে থাকতেন হাবিবুল শেখ।


2 years ago


Gujarat: ব্রিজ ভেঙে গুজরাতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত্যু ১৪০ জনের, আহত শতাধিক

গুজরাতে (Gujarat) মোরবিতে একটি কার্যকরী সেতু (Bridge) ভেঙে বিপত্তি। ভেঙে পড়ল কেবল ব্রিজ (Cable Bridge)। দুর্ঘটনার সময় ব্রিজের ওপরে ৫০০-৭০০ লোক ছিল বলে জানা গিয়েছে। ব্রিজ ভেঙে (bridge collapse) নদীতে তলিয়ে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। সূত্রের খবর, প্রায় ১৪০ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। আহত শতাধিক মানুষ। মেরামতির ৪ দিনের মধ্যেই গুজরাতের মোরবিতে কী করে ভেঙে পড়ল ব্রিজ? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ, যাঁদের খোঁজ চলছে। দুর্ঘটনার সময় এই সেতুতে এমন কী ছিল যে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ একত্রিত হয়েছিল। যেখানে এই সেতুর ধারণক্ষমতা ছিল ১০০ জন। ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), ফায়ার ব্রিগেড এবং স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ)-এর দলগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। গোটা রাত চলছিল উদ্ধারকার্য। এনডিআরএফ-এর বেশ কয়েকটি দল ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) দ্বারা এয়ারলিফট করা হয়েছিল এবং উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য মরবিতে পাঠানো হয়েছিল।

মাছু নদীর উপর নির্মিত এই সেতুর ইতিহাস প্রায় ১৪০ বছরের পুরনো। এই সেতুর কথা বললে, এটি গুজরাতের অন্যতম প্রধান পর্যটন স্থান হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এখানে আসতেন। কারণ এই সেতুটি একপ্রকার ঝুলন্ত ব্রিজ। এবং এটি হুবহু ঋষিকেশের রাম ও লক্ষ্মণের দোলের মতো ছিল। তাই এখানে  ভিড় জমত প্রচুর পর্যটকের। রবিবার এই সেতুতে ৫০০-৭০০ মানুষ একত্রে জড়ো হওয়ায় সেতু ভার সইতে পারেনি। সেতুটি ভেঙ্গে যায়।

মেরামতের কারণে গত ৬ মাস ধরে সেতুটি বন্ধ ছিল। এটি আবার ২৫ অক্টোবর থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। এই ৬ মাসে সেতু মেরামতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বর্তমানে ওধভজি প্যাটেলের মালিকানাধীন ওরেভা গ্রুপের কাছে রয়েছে। এই গোষ্ঠীটি ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০৩৭ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৫ বছরের জন্য মরবি পুরসভার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। এই চুক্তির ভিত্তিতে, এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার, সুরক্ষা এবং টোল আদায়ের মতো সমস্ত দায়িত্ব ওরেওয়া গ্রুপের সঙ্গে।

উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনার পরে, পিএমও থেকে একটি ট্যুইট করা হয়৷ জানানো হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য আধিকারিকরা দুর্ঘটনায় বিষয় দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ইতিমধ্যেই আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে৷ মৃতদের ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷

2 years ago
Milk: একটি রাজ্য বাদে সারা দেশে বাড়ছে আমূল দুধের দাম, দেখুন কত বাড়ছে

আবার একবার পকেটে টান দেশের 'আম আদমি'র।  কেবলমাত্র একটি রাজ্য বাদে গোটা দেশে ফের বাড়ল প্যাকেটজাত আমূল দুধের। লিটার প্রতি ২টাকা করে বাড়ছে আমূল দুধের দাম। সেই সঙ্গেই ফুলক্রিম দুধের দাম বেড়ে ৬১ টাকা থেকে হল ৬৩ টাকা। একই সঙ্গে তালিকা অনুযায়ী দামবৃদ্ধি এই সংস্থার গরুর দুধের। তবে শুধুমাত্র গরু নয়, মোষের দুধের দাম বাড়াচ্ছে আমূল। সামগ্রিকভাবে দুগ্ধজাত ফ্যাটের মূল্যবৃদ্ধির ফলেই প্যাকেটজাত দুধের দাম বাড়ানো হল বলে খবর।

আমূল দুধের নির্মাতা সংস্থা 'গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেড'এর পক্ষ থেকে দুধের দামবৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন সংস্থার এমডি আরএস সোধি। তবে এখানেই রয়েছে বড় চমক। কারণ গোটা দেশের বাকি রাজ্যে আমূল দুধের দাম বাড়লেও গুজরাতে বাড়ানো হচ্ছে না দাম। সামনেই মোদীর রাজ্যে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই কি 'দুধের দাম' ভোটে মেটাতে তৎপর সেই রাজ্যের সরকার? এরকমই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। নাকি এর পিছনে আর কোনও কারণ রয়েছে? কিন্তু এখনো এই রহস্য খোলসা করেনি আমূল।

অবশ্য মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জানা যাচ্ছে লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুগ্ধশিল্পের। এই ভাইরাসের আক্রমণে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্যে লক্ষাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, তাই আকাল পড়েছে দুধের। তবে কারণ যাই হোক না কেন, আগামী মাস থেকে আরও একবার দেশের সাধারণ মানুষের মাসকাবারির টাকা যে আরও খানিক বাড়ল তা বলা বাহুল্য।

2 years ago