রাজ্যের বকেয়া ইস্যুতে আজ, সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার রাতে বাংলার শাসক দলের সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। তবে কখন রাজ্যপাল অভিষেককে সময় দেবেন, তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট করা হয়নি। এদিনই দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ফিরেছেন সিভি আনন্দ বোস।
কলকাতায় ফিরে প্রাথমিক ভাবে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, রাজভবনের দরজা সবার জন্য খোলা। ভোর ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি আছেন। যে কেউ চাইলে এসে দেখা করতে পারেন। একইসঙ্গে দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য কেউ আগাম সময় চাননি। রাজভবনের উত্তর গেটে ধরনা দিচ্ছেন অভিষেক। সেই পথ এড়িয়ে দক্ষিণ গেট দিয়েই রাজভবনের অন্দরে চলে যান রাজ্যপাল।
রবিবার দুপুর থেকেই রাজভবনের সামনে থেকে অভিষেকের ধরনা সরানোর জন্য নবান্নের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। কী ভাবে ১৪৪ ধারা এড়িয়ে রাজভবনের গেটের সামনে তৃণমূল নেতা ধরনা দিচ্ছেন, তা নিয়েও নবান্নকে প্রশ্ন করে রাজভবন। কারণ, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই রাজভবন চত্বরকে ১৪৪ ধারায় আওতায় আনা হয়েছে।
তা নিয়ে রবিবারই পাল্টা প্রশ্ন তোলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ধরনার চতুর্থদিনে অভিষেকের অভিযোগ, যখন বিজেপি নেতারা রাজভবনে নালিশ করতে যান, রাজভবনের লন, করিডরে ঘোরাঘুরি করেন, গেটের বাইরে জমায়েত করে সাংবাদিক বৈঠক করেন, তখন তো তাঁর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কিছু মনে হয় না। তাঁদের ধরনার বেলায় কেন এই প্রশ্ন? তাঁরা মানুষের স্বার্থে রাস্তায় রয়েছেন। এর আগে দার্জিলিঙে তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, বাংলার স্বার্থে তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবেন। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনীতি থাকে, তাহলে তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।
এদিনও কলকাতা ফিরে আনন্দ বোস জানান, মানুষের স্বার্থে তিনিও কাজ করছেন। তাই উত্তরবঙ্গে ছুটি কাটাতে নয়, গিয়েছিলেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।
আজই কলকাতা নামছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। একদিকে রাজ্যপাল ছিলেন দিল্লি সফরে। অন্যদিকে রাজ্য পালের সঙ্গে দেখা করে ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে জনসাধারণের চিঠি তারই হাতে তুলে দেবেন বলে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। সেখানেই অর্থাৎ দিল্লির কৃষি ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত সাংসদের। এরপরেই দিল্লি থেকে কলকাতার রাজভবন অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করে অভিষেক। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কলকাতা অভিযানে নেমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনেই ধরনায় বসেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তার হাতে চিঠি তুলে দেবেন বলে।
ওদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করতে দার্জিলিং আসার জন্য অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। এরপর তার আবেদনে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে তিন প্রতিনিধি সহ একটি দল অর্থাৎ মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও দুই সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। গতকাল অর্থাৎ শনিবার এই বৈঠকের পরে আজ অর্থাৎ রবিবারে কলকাতা আসতে চলেছেন রাজ্যপাল বোস। সূত্রের খবর সন্ধ্যা সাতটা দশ মিনিটে তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছাবেন। এ অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার যে সাক্ষাৎ তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা রাজনীতি মহলে।
কলকাতায় ফিরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার দার্জিলিঙে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে বকেয়া নিয়ে আলোচনা করতে খুব দ্রুতই কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনৈতিক বাধা থাকে, তা হলে রাজ্যপাল কিছু করতে পারবেন না বলেও দাবি কল্যাণের।
রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে এদিন দার্জিলিং গিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মহুলা মৈত্র এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বৈঠক শেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন রাজ্যপাল।
এদিকে, বাহাত্তর ঘণ্টা হল রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর পর পাল্টা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই পরিস্থিতে এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপালের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করে, তবেই ধরণা মঞ্চ ছাড়ব, এমনই দাবি অভিষেকের। ওদিকে রাজ্যপাল বোস তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন। কিন্তু কলকাতায় নয় দার্জিলিংয়ে। সূত্রের খবর, শনিবার তৃণমূলকে সময় দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতায় নয়, দার্জিলিংয়ের রাজভবনে দেখা করবেন রাজ্যপাল। সেই বার্তা পাওয়ার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলের তিন সদস্য রাজ্যপালের সঙ্গে উত্তরবঙ্গে গিয়েই দেখা করবেন। কিন্তু মূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কলকাতা ফিরেই দেখা করতে হবে তাঁকে। তা যতদিন না হচ্ছে, ততদিন ধরনা চলবে।
সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে তৃণমূলের ৩ প্রতিনিধি দল যাচ্ছে। সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে সাংসদ মহুয়া মৈত্র, প্রদীপ মজুমদার ও কল্যাণ ব্যানার্জী যাচ্ছেন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করতে। ওদিকে সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা না করার অভিযোগ ছিল দিল্লির কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির বিরুদ্ধে। সেখানে আটক করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ অন্যান্য সাংসদদেরও। সূত্রের খবর, শনিবার তিনিও কলকাতায় আসছেন একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে।
শুক্রবার অভিষেক রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আপনি যদি মনে করেন, পুজো কাটিয়ে ফিরবেন, তা হলে পুজোতে আমি একা বসে থাকব। আপনারা শুধু পাশে থাকলেই হবে। যে ৫০ লক্ষ মানুষ চিঠি লিখেছেন, তা কলকাতাতেই আমরা রাজ্যপালের কাছে দেব।'
অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম ধাক্কা খেল রাজ্যপাল। আজ অর্থাৎ শুক্রবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল আর কোনোভাবেই উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবে না। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যপাল যাঁদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তাঁরা নিতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও।
বিচারপতিরা আরও জানান, অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের যা যা আপত্তি রয়েছে, তা পরের শুনানিতে আদালতে জানাতে হবে। পাশাপাশি, সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাখা নিয়ে রাজ্য যে আবেদন করেছিল, তাতে এখনই সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও বোসের মধ্যে সংঘাতের ফলে রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। গত ২১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পর গত ১৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজেই সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও বকেয়া টাকার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেখানে দিল্লি পুলিসের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দিল্লি থেকেই কলকাতার রাজভবন অভিযান ঘোষণা করে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না করে যাবেন না বলে রাজমহলের সামনেই ধরনায় বসলেন তিনি। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্যপাল। সে কারণেই তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের রাজভবন অভিযানের জন্যই তিনি পালিয়ে গিয়েছেন।
যদিও উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্যপাল বোস তৃণমূলের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কর্মীসহ তৃণমূল উচ্চ নেতৃত্ব রাজভবন অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই এই কর্মসূচির জন্য পথে নামে তৃণমূল। এরপর সেই মিছিল রাজভবনে পৌঁছলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে তিনি সেখানে ধরনায় বসছেন এবং সেখান থেকে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না করে যাবেন না।
একদিকে অভিষেকের রাজভবন অভিযান, অন্যদিকে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে পরিদর্শনে রাজ্যপাল। ফলে এ অবস্থায় অভিষেকের রাজভবনে অভিযানে কোনও রকম প্রভাব পড়বে কিনা উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে এঅবস্থায় রাজ্যপালের দেখা পাবেন কি অভিষেক।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে আন্দোলনে দিল্লিতে কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাংসদদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির মুখার্জিনগর থানা থেকে ছাড়া পেয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ঘোষণা করে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ৪০ জনের একটি দল রাজভবন যাবে, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে।
ওদিকে রাজ্যপাল এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে ও সিকিম সংলগ্ন এলাকায় ধস ও বন্যা বিধস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যপালের সঙ্গে কি দেখা মিলবে অভিষেকের! সেটাই প্রশ্ন। যদিও অভিষেক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদনে জমায়েত হয়ে সেখান থেকেই রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেবেন ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি প্রতিনিধি দল। অভিষেক জানান, ১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, সেই বঞ্চিতদের চিঠি তুলে দেওয়া হবে রাজ্যপালের হাতে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না হলে রাজভবন থেকেই ফিরে ঘোষিত হবে পরবর্তী কর্মসূচি, তেমনটাই জানিয়েছিলেন অভিষেক।
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি। এমনই আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে একমাসের বেতন দান করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে। এর ফলে একাধিক জেলায় জল ঢুকছে। পাশাপাশি ডিভিসিও জল ছাড়তে শুরু করেছে। ফলে পুজোর আগে ঘাটাল, চন্দ্রকোণা সহ আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এনিয়ে ইতিমধ্য়ে সোমবারই নবান্নে জরুরি বৈঠক করেছে রাজ্য প্রশাসন।
শুধু বাংলায় নয়, পড়শি রাজ্যেও কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে অতিদ্রুত জল ছাড়তে হচ্ছে ডিভিসিকে। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ইতিমধ্যে ১ লাখ ৬ হাজার ৪০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এরপর ফের ডিভিসি জল ছাড়লে নতুন করে ভাসতে পারে বাংলার একাধিক জেলা। ফলে গৃহহীণ হওয়ার আশঙ্কা অসংখ্য মানুষের। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক মাসের বেতন দান করলেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।
রাজ্য-রাজ্যপাল জটিলতা কাটিয়ে শপথ নিলেন জলপাইগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তিনি রাজভবনে শপথ গ্রহণ করেন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায় শাসক দলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন৷ সকলের উপস্থিতিতে এ দিন শপথবাক্য পাঠ করেন এই তৃণমূল বিধায়ক।
পরে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, বেটার লেট দ্যান নেভার। অর্থাৎ দেরিতে হলেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই বিষয়ে বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় মুখ খুলতে চাননি৷ বিধানসভায় তৃণমূলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় বলেন, ‘‘ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হল। আজকের পর থেকে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ সেবা পাবেন।’’
শেষ মুহূর্তে বাতিল হল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আনন্দ বোসের আমেরিকা সফর। রাজভবনের তরফ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। রাজ্যের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি এবং ডেঙ্গি পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে বিদেশ সফরে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছিল, আমেরিকার একটি সাহিত্য সভায় যোগ দিতে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর্থিক কারণ দেখিয়ে ওই সফর বাতিল করা হল। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পাশাপাশি রাজ্যপাল বিদেশ সফর করলে রাজ্যের কোষাগারে ধাক্কা লাগবে। তাই সফর বাতিল করেছেন রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের সফর নিয়ে রাজভবনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একটি সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, আমেরিকার একটি সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এদিকে যে আর্থিক কারণ দেখিয়ে সফর বাতিল করা হয়েছে তাতে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
বিদেশের মাটি থেকে লগ্নি টানতে স্পেন সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধেয় কলকাতায় ফেরেন তিনি। আর মঙ্গলবারই বিদেশ সফরে উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও রাজভবনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও ঘোষণা এখনও পর্যন্ত করা হয়নি। তবে যা জানা গিয়েছে ১২ দিনের সফরে তিনি আমেরিকা রওনা হবেন মঙ্গলবার। মার্কিন মুলুকের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। আর তাতেই যোগ দিতে আমেরিকা পাড়ি দিচ্ছেন রাজ্যপাল।
১২ সেপ্টেম্বর বিদেশে যান মমতা। দুবাই হয়ে স্পেনে পৌঁছন। ফেরার পথে আবার দুবাইতে দু’টি দিন কাটান। দুই দেশেই শিল্পপতিদের সঙ্গে এবং অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সেরে শনিবার কলকাতায় ফেরেন মমতা। এর পরে রাজ্যপাল বোস রবিবার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মমতাকে। বোস বা মমতা চিঠির বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজভবন বোসের বিদেশ সফর নিয়ে কোনও কিছু ঘোষণা না করলেও একটি বিষয় জানা গিয়েছে যে সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি আমেরিকায় একটি সাহিত্য সম্মেলনেও অংশ নিতে পারেন বোস। আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। আমেরিকার একাধিক শহরে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। সে সব মিটিয়ে ৭ অক্টোবর কলকাতায় ফেরার কথা বোসের।
তবে বিদেশ সফরের আগেও নবান্নের সঙ্গে সংঘাতের আবহ রয়েই গেল। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেননি বলেই অভিযোগ নবান্নের। তা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। রবিবার ছুটির দিনেও তিনি রাজ্যের সব উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন। সেখানে সকলকে উপস্থিত থাকতে আগেই নির্দেশ পাঠিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, সম্প্রতি ধূপগুড়ি উপবনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায় এখনও বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে পারেননি। তা নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। নির্মলচন্দ্রকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ ছিল, রাজ্যকে এড়িয়ে একক ভাবে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর আয়োজন করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু পরিষদীয় দফতর সায় না দেওয়ায় সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি রাজভবনের তরফে। হাতে আর সময় নেই। তবে কি রাজ্যপালের বিদেশ সফরের পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধায়ক হতে পারবেন ধূপগুড়ির নির্মলচন্দ্র!
রাজ্য-রাজ্যপাল (Governor) সংঘাতের আবহে ফের নয়া কর্মসূচির ঘোষণা রাজভবনের। এবার রাজ্যপাল আনতে চলেছেন 'স্পিড প্রোগ্রাম'। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। ওই নির্দেশিকায় নতুন কর্মসূচির পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলির কাজে গতি আনতে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, ঠিক এই ঘোষণার আগেই পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিল সই না করার জন্য রাজভবনের হলফনামা চায় হাইকোর্ট। এরপর মঙ্গলবার রাতেই একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজভবন। সেখানে শিক্ষক নির্বাচন কমিটি, উপাচার্যদের একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মোট ২৫টি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।
এছাড়া একটি মনিটরিং সেলও চালু করা হয়েছে বলে খবর। এই মনিটরিং সেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন রাজ্যপাল স্বয়ং। নাম রিয়েল টাইম মনিটরিং সেল। ফোন বা ই-মেলে অভিযোগ জানানো যাবে। ফোন নম্বর হল 03322001642 ও মেল আইডি হল aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com। সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টাই জানানো যাবে অভিযোগ।
একাধিক ইস্যুতে রাজ্য ও রাজ্যপাল তরজা অব্যাহত। নবান্ন ও দিল্লিতে রাজ্যপালের পাঠানো গোপন চিঠি নিয়েও জোর চর্চা চলছে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফরের আগে তাঁকে আর টেনশন দিতে চাননা। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরে আসার পর তাঁদের মধ্যে ফের আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে জোর লড়াই চলছে নবান্নর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভামঞ্চে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। তারপরেই মুখবন্ধ খামে নবান্ন ও দিল্লিতে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে এখনও চলছে জোর জল্পনা।
কী রয়েছে ওই চিঠিতে? এবিষয়ে সোমবার রাজ্যপালের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, "গোপন বিষয় গোপন থাকা ভালো। মুখ্যমন্ত্রী এখন বিদেশ যাচ্ছেন। তাঁর ব্যাগের বোঝা বাড়াতে চাই না। টেনশন দিতে চাইনা।"
এবিষয়ে রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যপালকে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যা আলোচনা করার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই আলোচনা করবেন তিনি। কোনও জুনিয়র অ্য়াপয়েন্টির সঙ্গে কথা বলবেন না বলেই জানিয়েছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি একান্ত কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী রয়েছে রাজ্যপালের গোপন চিঠিতে? তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। তিনি বলেন, যেটা গোপন সেটা গোপন থাকাই ভালো। এটা যিনি চিঠি দিলেন আর যিনি চিঠি পেলেন তাঁদের মধ্যেই গোপন থাক। শুধু চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে কী রয়েছে তা বলতে পারবেন যিনি চিঠি গ্রহণ করেছেন তিনিই।
তবে এখানেই তিনি থেমে যাননি। ইঙ্গিতে মুখ্যমন্ত্রী ও নাম না করেই ব্রাত্য বসুকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তিনি বলেন, জুনিয়র অ্যাপয়েন্টির কথার উত্তর দেব না। কোনও আলোচনার প্রয়োজন হলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হবে। এখন এটা নিয়ে আলোচনা করার সময় নয় কারণ, মুখ্যমন্ত্রীকে টেনশন দিতে চাই না। তিনি বিদেশ যাচ্ছেন, বিদেশ থেকে ফিরলে এটা নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। রাজ্যে উচ্চশিক্ষার হাল ফেরানো থেকে শুরু করে নির্বাচনী সন্ত্রাস, রাজ্যপালের ভূমিকায় বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। কখনও মহিষাসুর তো কখনও রাজ্যপালের পোশাক নিয়ে তুলনা। একে এক শিকার হতে হয়েছে শাসক দলের কটুক্তির। আর এবার ফের রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করতে গিয়ে মহম্মদ বিন তুঘলকের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারই পাল্টা হিসেবে মিডনাইট অ্যাকশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। হুঁশিয়ারি মতোই শনিবার রাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দুটি গোপন চিঠি দেওয়া হয় রাজভবনের তরফে। কী রয়েছে চিঠিতে? তা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে। সোমবার সে প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন রাজ্যপাল। আর তাতেই স্পষ্ট রাজ্যপাল যে একেবারেই হার মানার পাত্র নন।
এদিকে রাজ্যপালের মিডনাইট অ্যাকশনের হুঁশিয়ারির পরেই তড়িঘড়ি রাজভবনে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ওটা মুখ্যসচিব ও প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বৈঠক ছিল। এদিকে রাজ্যপালের মন্তব্যে সরব শাসক শিবির। আশ্চর্য ব্যাপার! রাজ্যপালের পোস্ট তো টেনশন দেওয়ার জন্য তৈরি হয়নি। কটাক্ষ তৃণমূল রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের। পাশাপাশি রাজ্যপালকে গুণ্ডা বলেও সম্বোধন করেন তিনি।
শাসক শিবিরের পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও। এটা স্পষ্ট যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে টেনশন আছে। মন্তব্য বিজেপি নেতার। এখন কী রয়েছে চিঠিত? রাজ্যপালের কথা মতো কোন নতুন টেনশনেই বা পড়তে চলেছে রাজ্য সরকার? সে উত্তর দেবে সময়েই।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। গভীর রাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শনিবার সকালে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। সেই হুঁশিয়ারি মোতাবেক রাত ১২টার কয়েক মিনিট আগেই পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। যার মধ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে এবং অপর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। যদিও দিল্লিতে কার কাছে চিঠি পাঠানো হল, চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে, তা এখনও রাজভবনের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত, শুক্রবার বিকালে রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ঘিরে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যার পাল্টা জবাব দিয়ে শনিবার সকালে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’ অর্থাৎ মধ্যরাতে রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করবেন, তা নিয়ে দিনভোর জল্পনা চলে। তারপর এদিন বিকালে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করা হয়। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক চলে। যদিও তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, তা স্পষ্ট হয়নি। নানান জল্পনার মাঝে অবশেষে রাত ১২টার মিনিট দশেক আগে রাজভবনের তরফে দুটি চিঠি পাঠানো হল। এই দুটি চিঠিতে কী লেখা রয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও এর যে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে তা বলা বাহুল্য।
ওয়াকিবহালের অনুমান, রাজ্যপাল একটি চিঠি যেমন নবান্নে পাঠিয়েছেন, অপর চিঠিটি রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন। রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা পরিস্থিতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করতে পারেন বলে একাংশের অনুমান। এবার এই চিঠির প্রেক্ষিতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করে, তা বলা বাহুল্য।