Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

ForestDepartment

Leopard: বাগডোগরায় উদ্ধার দুই শাবককে নিয়ে গেল মা চিতাবাঘ, গোটা চিত্র ধরল ক্যামেরা

চিতাবাঘের (Leopard) দুটি শাবককে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাগডোগরা বন দফতরের (Bagdogra) কর্মীরা প্রচেষ্টা চলায়। অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে মা চিতাবাঘ নিজেই শাবকদের নিয়ে যায়। এই ছবি ক্যামেরাবন্দী করা হয় বন দফতরের (Forest Department) পক্ষ থেকে। অবশেষে সফল বাগডোগরা বন দফতরের কর্মীরা। 

জানা গিয়েছে, বাগডোগরার অদূরে মুনি চা বাগান এলাকায় শুক্রবার দুটি চিতাবাঘের শাবক দেখতে পায় এলাকাবাসী। সেই দেখে চা বাগানের শ্রমিক ও বাগান কর্তৃপক্ষ বাগডোগরা বন দফতরকে খবর দেয়। বন দফতরের কর্মীরা খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে চিতা বাঘের দুটি শাবককে উদ্ধার করে এবং মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে মা চিতাবাঘ তার সন্তানের টানে ছুটে এসে তার বাচ্চাদের নিয়ে যায়।

বাগডোগরা বন দফতরের রেঞ্জার সমীরন রাজ জানান, 'চিতা বাঘের শাবকগুলিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছিল, বেশ কয়েক ঘন্টা প্রচেষ্টায় বন কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় অবশেষে চিতার শাবকগুলিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি সেটাই সবথেকে বড় পাওনা।'

one year ago
leopard: বন দফতরের পাতা ফাঁদে আস্ত একটা চিতা বাঘ!ফালাকাকাটার চা বাগানে আতঙ্ক

সাত সকালেই উদ্ধার একটি আস্ত চিতাবাঘ (leopard)। খাঁচাবন্দী অবস্থায় চা বাগান থেকে উদ্ধার করা হয় চিতাবাঘটিকে। বুধবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা ব্লকের দলগাঁও চা বাগানে বনদফরের পাতা খাঁচাতেই ধরা পড়ে ওই চিতাবাঘটি। চিতাবাঘ খাঁচাবন্দী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাঘ দেখতে ভিড় জমান চা বাগানের বাসিন্দারা। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক (panic) ছড়িয়েছে এলাকায়।

চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগানের টু ফাইভ সেকশনে বাঘ ধরার খাঁচা পাতা হয়েছিল বন দফতরের তরফে। বেশ কিছুদিন থেকেই বাগানের মধ্যে চিতাবাঘের আনাগোনা লক্ষ্য করছিলেন বাগান শ্রমিকরা। যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল। এদিন চিতাবাঘটি ছাগলের লোভে খাঁচায় আটক হয়।

দলগাঁও চা বাগানের ম্যানেজার মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য জানান, "বাগানের মধ্যে চিতাবাঘ দেখতে পাচ্ছিলেন বাগানের শ্রমিকরা। আমরা বন দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম খাঁচা দেওয়ার জন্য। সেই মতোই খাঁচা পাতা হয়। এদিন সকালে বাগানের শ্রমিকরা প্রথম খাঁচাবন্দী চিতাবাঘটি দেখতে পায়। তবে বাগানে আরও চিতাবাঘ থাকতে পারে জানান তিনি।" 

one year ago
Elephant: হাতির হামলায় ত্রস্ত উত্তর থেকে দক্ষিণ! জলপাইগুড়িতে মৃত এক, ঝাড়গ্রামে জখম যুবক

ফের হাতির হানায় মৃত্যু (death)। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মেটেলি ব্লকের লামাপাড়া এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম পান্ডা ওঁরাও(৪৫)। তাঁর বাড়ি ইনডং ফরেস্ট বস্তি এলাকায়। ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্কের (panic) পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জানা যায়, এদিন ওই ব্যক্তি দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে রাস্তায় একটি বুনো হাতি (elephant) তাঁকে ধরে ফেলে। এরপর তাঁকে শুড় দিয়ে তুলে আছার মারে। ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসতেই চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। আওয়াজে হাতিটি ওখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে এই খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় জমে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মেটেলি থানার পুলিস ও খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা। বনকর্মীরা আসলে এলাকাবাসীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই পাশের পানঝোরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হাতি। একাধিকবার বন দফতরকে বলা সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।

অবশেষে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভে তুলে নেন তাঁরা। পুলিস দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা যায়। এদিকে, সোমবার রাতেই হাতির হামলায় জখম হলেন আরও এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ধোবাশোল এলাকা। আহত মানস মাহাতো নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি স্থানীয় মহুলি গ্রামে। মানসবাবু সোমবার বাড়ি ফেরার সময় হাতির সামনে পড়ে গেলে তাঁকে আছাড় মেরে ফেলে দেয় একটি হাতি। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। জখম গুরুতর  হওয়ায় ভাঙাগড় হাসপাতাল থেকে মানস মাহাতকে রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতি ও এক যুবক জখম হওয়ার ঘটনায় বন দফতরের উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা বন দফতরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'এই এলাকায় হাতির দল থাকা সত্ত্বেও হাতিগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন দফতর। যার কারণেই এই হাতির হামলা।' 

one year ago


Alipurduar: একে হাতি রক্ষা নেই ভাল্লুক দোসর! গৃহস্থের বাগানে আশ্রয় নেওয়া ভাল্লুক উদ্ধার

এতদিন বুনো হাতির (elephant) তাণ্ডবের পর এবার লোকালয়ে ভাল্লুকের (bear) হানা। এর আগে ভাল্লুকের দেখা গিয়েছিল শুক্রবার। এরপর ফের একবার লোকালয়ে ভাল্লুকের দেখা মিলল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) কুমারগ্রামের মধ্য হলদিবাড়িতে। কয়েকদিন আগেই ভুটান (Bhutan) সীমান্তের কাছে কুমারগ্রামের নেপালি বস্তির বাসিন্দারা একটি ভাল্লুক দেখতে পেয়ে বন দফতরকে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ভাল্লুকের দেখা না পেয়ে ফিরে আসেন। তারপর শুক্রবার রাতে মধ্য হলদিবাড়ির কয়েকজন বাসিন্দা গ্রামে ভাল্লুক দেখতে পেয়ে বন দফতরকে খবর দেন। রাতে বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাল্লুকের উপস্থিতি বুঝতে পারলেও, সেটিকে ধরার জন্য দিনের আলো ফোঁটার অপেক্ষা করেন। 

শনিবার সকালে স্থানীয় এক বাসিন্দার সুপারি বাগানের ঝোপে ভাল্লুকটি আশ্রয় নিলে, নেট দিয়ে এলাকাটি ঘিরে দেয় বন দফতর। কিন্তু ভাল্লুকের আকার দেখে পরে বন দফতরের আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নেন সেটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করতে হবে। এর পাশাপাশি ভাল্লুকটি নিয়ে যাওয়ার জন্য লোহার খাঁচাও আনা হয়। তারপর সেটিকে ঘুমের গুলি করে কাবু করে উদ্ধার করা হয়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাল্লুকটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে ঘনঘন বুনো হাতির তাণ্ডব ও এরপর ভাল্লুকের হানায় যথেষ্ট আতঙ্কে গ্রামবাসী। 

one year ago
Leopard: ভাল্লুকের জন্য পাতা খাঁচায় ঢুকলো লেপার্ড, মেটেলির চা বাগানে উৎসাহী মানুষের ভিড়

চা বাগানে (Tea Garden) বন দফতরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়লো একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ লেপার্ড (Leopard)। ঘটনাটি মেটেলি ব্লকের (Jalpaiguri Meteli) কিলকোট চা বাগানের। ঘটনায় চা বাগানে এলাকায় চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে বাগানের ১২ ও ১৩ নাম্বার সেকশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বন দফতরের তরফে ওই খাঁচা পাতা হয়েছিল। শনিবার ভোরে বাগানের বাসিন্দারা ওই এলাকায় লেপার্ডের গর্জন শুনতে পান। কাছে গিয়ে দেখে যে একটি লেপার্ড খাঁচার মধ্যে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। খাঁচায় লেপার্ড ধরা পড়ার খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় জমে চা বাগান এলাকায়।

খবর যায় বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডে। বনকর্মীরা এসে খাঁচা-সহ লেপার্ডটিকে গরুমারায় নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে কিলকোট চা বাগানে ভাল্লুকের আতঙ্ক তৈরি হেয়ছিল। বাগানে কাজের সময় শ্রমিকরা ভাল্লুক দেখতে পায় বলে দাবি করা হয়েছিল। ওই দিনই বনকর্মীরা এসে ভাল্লুকের খোঁজ চালালেও কোনো হদিশ মেলেনি ওই বন্যপ্রাণের। এরপর ভাল্লুক ধরার জন্য বন দফতরের তরফে খাঁচাও বসানো হয়। ভাল্লুক ধরার জন্য বসানো খাঁচায় এদিন ওই লেপার্ডটি ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। লেপার্ডটি সুস্থ থাকায় সেটিকে এদিনই গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

one year ago


Odisha: মহুয়া খেয়ে গভীর ঘুম হাতির পাল! ড্রাম বাজিয়ে হুঁশ ফেরালো বন দফতর

মহুয়া খেয়ে ঘুমে মত্ত হাতির পাল (Elephants)। ঘুম ভাঙাতে নাজেহাল দশা গ্রামবাসীদের। শেষমেশ ড্রাম বাজিয়ে ঘুম ভাঙাতে হল বনদফতরের কর্মীদের। গ্রামবাসীরা এদিন মহুয়া (Mahua) সংগ্রহ করতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন। গিয়ে দেখেন একদল হাতি মহুয়া খেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। হাজার চেষ্টা করেও ঘুম ভাঙাতে পারেননি গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়ে খবর দেন বন দফতরে।

ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) কেওনঝাড়ের শিলিপদ জঙ্গলে। ওই হাতির দলে ২৪টি হাতি ছিল। গ্রামবাসীরা জঙ্গলে মহুয়া সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন, হাতিগুলি জঙ্গলে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আর সামনে রয়েছে মহুয়া ডোবানো জলের পাত্র। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরাই গাছ থেকে মহুয়া তুলে বড় পাত্রের মধ্যে জলে ডুবিয়ে রেখে গিয়েছিলেন। আর সেটা খেয়েই নেশগ্রস্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে হাতির পাল।

স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, ভোর ৬টা নাগাদ তাঁরা জঙ্গলে গিয়ে দেখেন মহুয়া ডুবিয়ে রাখা সমস্ত পাত্র ভেঙেচুরে গিয়েছে। এক ফোঁটা জলও আর নেই। হাতিগুলি সেখানেই শুয়ে ঘুমোচ্ছিল। আর গ্রামবাসীরা মনে করছেন  মহুয়া ভেজানো জল খেয়ে মত্ত হয়ে ঘুমোচ্ছে। এরপর বনদফতরের কর্মীরা এসে অনেক্ষণ ধরে চেষ্টা করেন। শেষমেশ সকাল ১০টা নাগাদ ড্রাম বাজিয়ে ঘুম ভাঙান। ঘুম ভাঙার পর হাতির পাল হেলতে-দুলতে আবার জঙ্গলের গভীরে ফিরে যায়। তবে বনদফতরের কর্মীরা বলেন, মহুয়া খেয়েও থাকতে পারে, আবার হয়তো গজ বাহিনী বিশ্রাম নিতেই জঙ্গলে এসেছিল।

one year ago
Monkey: পুরুলিয়ার দুই গ্রামে এক সপ্তাহ তাণ্ডব চালিয়ে বন দফতরের জালে এক হনুমান

গত ৭ দিন ধরে হনুমান (Monkey Panic) আতঙ্কে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছিল পুরুলিয়া (Purulia) মফস্বল থানার দুটি গ্রাম। দলছুট এক হনুমানের তাণ্ডবে দিশেহারা অবস্থা গ্রামবাসীদের। বন বিভাগকে (Forest Department) জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে ক্যালকাটা নিউজে সেই খবর প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই হনুমানকে পাকড়াও করে পুরুলিয়া বন বিভাগ।

এদিন বাঁকুড়া থেকে বিশেষ প্রশিক্ষিত বনকর্মী এনে ঘাতক হনুমান ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এরপরেই দুমদুমি গ্রামে ঘুমপাড়ানি গুলি করে সেই হনুমানকে বশ করে খাঁচায় বন্দি করেন বনকর্মীরা। সেখান থেকে তাকে পুরুলিয়ার সুরুলিয়া মিনি জু-তে নিয়ে গিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে বনদপ্তরের তরফে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে ওই হনুমানের।

৮ দিনে বেশি সময় থেকে পুরুলিয়া মফস্বল থানার দুমদুমি ও দক্ষিণবহাল-সহ বিভিন্ন গ্রামে এই দলছুট হনুমান তাণ্ডব চালিয়ে সাত জনের বেশি মানুষকে আক্রমণ করেছে।  হনুমান আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। বিষয়টি স্থানীয় বন বিভাগকে জানানো হলেও, তারা ছিল উদাসীন। বুধবার সিএন নিউজে সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে বন বিভাগ।

যদিও কেন এত দেরি লাগলো, সেই প্রশ্ন এখন তুলছেন গ্রামবাসীরা। সময়মতো এই হুনুমান ধরা পরলে হয়তো এত সাধারণ নির্দোষ মানুষ হনুমানের আক্রমনে আক্রান্ত হতেন না।

2 years ago
Monkey: ঝোপে স্তূপীকৃত অবস্থায় পড়ে ৪০টি বাঁদরের দেহ! বিষ প্রয়োগে খুন দেখছে বন বিভাগ

একসঙ্গে প্রায় ৪০টি বাঁদরের (monkeys) মৃতদেহ (Dead) উদ্ধার। স্থানীয়রা ঝোপের মধ্যে স্তূপাকৃত অবস্থায় এতগুলো বাঁদরকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এই অমানবিক ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শ্রীকাকুলাম (Srikakulam) জেলার কবিতা মণ্ডলম শিলাগাম এলাকার।

স্থানীয়রা জানায়িছেন, আরও কয়েকটি বাঁদর অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। তাঁরা ওই অচেতন বাঁদরগুলিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খাওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না তারা। বন বিভাগ মৃত বাঁদরগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং পশু আইনে মামলা দায়ের করে।

শ্রীকাকুলামের কাসিবুগা বন কর্মকর্তা মুরালি কৃষাণ বলেন, 'আমরা জেলায় এমন ঘটনা আগে দেখিনি। কেউ বানরগুলোকে ট্রাক্টরে করে গ্রামের বনাঞ্চলের কাছে ফেলে রেখেছিল। এই ঘটনায় প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বাঁদর মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এই বানরগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। এ ঘটনায় পশু আইনে মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।'

2 years ago


Death: পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু নয়াগ্রামে, দাহ করতে তৎপর বন দফতর

সাতসকালেই হাতির মৃত্যু (death) ঘিরে চাঞ্চল্য নয়াগ্রামে। সোমবার সকালে গ্রামবাসীরা ধান জমিতে হাতিটিকে (elephant) মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপরই গ্রামবাসীরা ভিড় করতে থাকে সেখানে। ঘটনা জানতে পেরে বন দফতরের টিম (Forest department team) ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। চিকিৎসক এসে নমুনা সংগ্রহের পর হাতিটিকে পোড়ানোর জন্য অন্যত্র সরানো হয়। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের তিন নম্বর বড়খাঁকড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর এলাকার।

জানা যায়, যে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে সেটা একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি। সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিড়িবাড়িয়া জঙ্গল লাগোয়া রঘুনাথপুর এলাকার চাষের জমিতে পূর্ণবয়স্ক হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি ফোন করে স্থানীয় বন দফতরকে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বন দফতরের আধিকারিকরা। তবে কী কারণে ওই হাতির মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

বন দফতর সূত্রে খবর, বন দফতরের পক্ষ থেকে মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপর কী কারণে ওই হাতির মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে বলে বন দফতরের আধিকারিকরা জানান। তবে হাতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জঙ্গলমহলে হাতির তাণ্ডবে ফসল ঘরবাড়ির ক্ষতি হয় এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। তা সত্ত্বেও জঙ্গলমহলের মানুষ হাতি ঠাকুরকে দেবতা হিসেবে পুজো করেন। তাই এই হাতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে রঘুনাথপুর এলাকায়। বন দফতর সূত্রে আরও খবর, এই মুহুর্তে নয়াগ্রামে প্রায় ৩০টি হাতির একটি দল রয়েছে।

2 years ago
Bankura: সন্ধ্যা নামতেই বাঁকুড়ার গ্রামে দাঁতালের হানা, রাতভর তাণ্ডবে দিশেহারা গ্রামবাসীরা

দিনের পর দিন হাতির (elephant) তাণ্ডবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত দশটিরও বেশি বাড়ি (house) ও দোকানঘর (shop)। বন দফতর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিশেহারা গ্রামের মানুষ। ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির একটি গ্রাম।  

জানা গিয়েছে, গ্রাম লাগোয়া এলাকা থেকেই শুরু হচ্ছে জঙ্গল। সপ্তাহ দুই আগে অন্য জঙ্গল থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক রেসিডেন্সিয়াল দাঁতাল হাতি এসে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করে এখানে। দিনের বেলায় হাতিটি জঙ্গলের ভিতরে থাকলেও রাতের অন্ধকার নামলেই হাতিটি খাবারের খোঁজে হানা দিতে শুরু করে লোকালয়ে। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একের পর এক বাড়ি। গতকাল রাতেও হাতিটি গ্রামে ঢুকে একটি ধানের আড়ৎ ও স্টেশনারি দোকানে হানা দেয়। ধান আড়তের দরজা ভেঙে, ধান খেয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করেছে। পার্শ্ববর্তী একটি স্টেশনারি দোকানের শাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে হাতিটি। রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই গা ঢাকা দেয় পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে। 

স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, দিনের পর দিন গ্রামে ঢুকে একের পর এক দোকান ও বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালালেও হাতির হানা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বন দফতর। গ্রামবাসীদের সামান্য তেল ও হুলা দিয়েই দায় সেরেছে বন দফতর। এই পরিস্থিতিতে অসহায়ভাবে চূড়ান্ত আতঙ্কে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, দ্রুত হাতিটিকে অন্যত্র সরানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বন দফতর। 

2 years ago