তৃণমূল নেতার ফেসবুক পোস্ট (facebook post) ঘিরে শোরগোল। তাতে লেখা- "পলাতক শিক্ষকের সন্ধান দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার।" কেন এমন পোস্ট করলেন তিনি? কোন শিক্ষকই বা পলাতক? এই প্রশ্নের উত্তর এখন খুঁজছেন জলপাইগুড়িবাসী (Jalpaiguri)।
জানা যায়, ওই তৃণমূল নেতার নাম সঞ্জীব ঘোষ। বর্তমানে দলের পদে না থাকলেও, এর আগে দলের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন দীর্ঘদিন। যুক্ত ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গেও। গত শনিবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) সোমনাথ বাসু নামে এক প্রাথমিক শিক্ষকের ছবি দিয়ে পোস্ট করেন। পোস্টে তৃণমূল নেতার দাবি, ওই শিক্ষক অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর সন্ধান দিতে পারলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। কিন্তু তৃণমূল নেতার হঠাৎ এরকম পোস্ট কেন?
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা টেট পাশ এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, এই শিক্ষক চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু চাকরি না পাওয়ায় এবং ওই টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতারিত ওই মহিলা কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষেরও।
তিনিই সোমনাথ বসুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, চাকরির দেওয়ার নামে শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির বহু লোকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ওই শিক্ষক। যদিও ওই একটি অভিযোগ ছাড়া আর কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি থানায়। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক সোমনাথ বাসু নামে ওই শিক্ষক। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় এবং স্কুলে না আসায় তাঁর বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে। এরপর আদালত থেকে জামিন নেন তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ। তাঁর সূত্রেই যেহেতু ওই শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয় অভিযোগকারিণীর।
তিনি জানিয়েছেন, সোমনাথ বাসুর করা আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। বরং এক আত্মীয়ের চাকরির কথা বলে তাঁর কাছ থেকেও টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন ওই শিক্ষক। আর বদনামের ভাগী হতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর কুকীর্তি সামনে আনতেই এই পোস্ট করেছেন বলে জানিয়েছেন সঞ্জীব ঘোষ। রাজ্যজুড়ে যে শিক্ষিক দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে, তার সঙ্গে ওই শিক্ষক জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সঞ্জীব বাবু। তবে এমন ঘটনায় বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর স্পষ্ট বক্তব্য, এসব ভাগ বাটোয়ারার লড়াই।
মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকাকালীন চাকরি গেল নবজাতক মায়ের। মেটা (Meta) সংস্থা আর্থিক ক্ষতির কথা ভেবে কর্মী ছাঁটায়ের (Lay off) সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে সে কাজ। আর ছাঁটায়ের তালিকার মধ্যে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত অন্নেকা পটেলও। মধ্যরাতে সদ্যোজাত সন্তানকে খাওয়াতে উঠে সংস্থার ছাঁটাইয়ের এই মেল দেখতে পান তিনি। সেই মেলে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে (maternity leave) থাকাকালীন তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। অন্নেকা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এই দু:সংবাদ শেয়ার করে লেখেন, ভোর ৫টায় তাঁর কাছে এই মেল এসেছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৩ শতাংশ কর্মী ইতিমধ্যে ছাঁটাই করেছে মেটা। অন্নেকা বলেন, 'দু'বছর আগে করোনা অতিমারির সময় একপ্রকার জোর করে মেটা তাঁকে চাকরিতে নিযুক্ত করেছিল। সে সময় একসঙ্গে এত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল, তা প্রায় ৯০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।' বৃহস্পতিবার দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, মেটা সংস্থা তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তাই এই সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে, বাড়ি থেকেই কাজ করছিলেন তিনি। কয়েক মাসের সদ্যোজাতকে সামলে বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ সামলাচ্ছিলেন। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অনুমতিও দিয়েছিল সংস্থা। মা হওয়ার পর মেয়েদের এমনিতেই নানারকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়, সেখানে এই খবরে মাথায় রীতিমতো আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে কানাডায় সদ্য পা রাখা হিমাংশু ভি-ও এক পরিস্থিতির শিকার। সমাজ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “মেটা সংস্থায় নিযুক্ত হওয়ার দুদিনের মাথায় আমার পথচলা শেষ হয়ে গেল।”
প্রসূন গুপ্ত: এ বছরই এপ্রিলে কাপুর পরিবারের ছেলে রণবীরের সঙ্গে মালাবদল করেছিলেন ভাট পরিবারের আলিয়া। এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে গিয়েছিল গত জুন মাসে আলিয়া মা হতে চলেছেন। হতেই পারে, কিন্তু চর্চা জোর যখন নভেম্বরের ৬-এ তাঁদের কন্যা সন্তান জন্মালো। সাড়ে আট মাসে নবজাতকের জন্ম এমনটি হতে পারে নাকি? এই নিয়ে বিশাল চর্চা চলেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। ফেসবুকজুড়ে রসেবসে বহু মন্তব্য। চিকিৎসায় বাস্তব এটাই যে বিয়ের আগেই আলিয়া সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন। এতে খারাপ কিছুই নেই অন্তত সেলিব্রেটি দুনিয়াতে। এর আগেও কঙ্কনা সেন শর্মা এবং নেহা ধুপিয়ারা বিয়ের আগেই সন্তান সম্ভবা হয়েছে। গুঞ্জন শ্রীদেবীও নাকি বিয়ের আগে সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন।
অথচ মন্তব্য এমন আসছে যে কোনও সাধারণ মেয়ের সঙ্গে যদি এই কান্ড হয়, তাহলে কি কেউ ছেড়ে কথা বলতো? আমাদের দুটি সংস্কৃতি ভারতে বিদ্যমান। একটি আদি অর্থাৎ নিয়ম মেনে প্রেম বিবাহ ইত্যাদি অন্যটি কর্পোরেট দুনিয়া। এখানে আজকাল বিয়ে না করেও অনায়াসেই লিভ-ইন করা যায়। হচ্ছেও বিস্তর, শুধু উচ্চবিত্তদের মধ্যেই নয় মধ্যবিত্ত সাধারণ ছেলেমেয়েরা অনায়াসেই বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকছেন। প্রেম আছে কিন্তু দায়বদ্ধতা নেই মোটেই। যতদিন পারো একসঙ্গে থাকো, না পোষালে আলাদা হয়ে যাও। কোর্ট-কাছারীর ঝামেলা নেই।
রণবীর কাপুর অনেকটাই তাঁর দাদু রাজ্ কাপুরের মতো মহিলা সঙ্গে নিয়ে জীবন কাটিয়েছেন। অন্তত আলিয়াকে বিয়ের আগে অবধি। প্রেম ছিল বহু নারীর সঙ্গে। খ্যাতনামাদের মধ্যে ক্যাটরিনা কাইফ, দীপিকা পাডুকোন প্রমুখ। প্রেম মানে একেবারে গভীর ভাবে, একসঙ্গে থাকার। রাজের জীবনে পত্নী কৃষ্ণা ছাড়াও বহু নায়িকা এসেছেন। নার্গিসের সঙ্গে রাজের প্রেম কাহিনী তো মুম্বাইয়ের বিশাল চর্চা। এছাড়াও দক্ষিণের পদ্মিনী, বৈজয়ন্তীমালা, রাজশ্রী, সিমি কত শত নাম। রণবীরেরও তাই দীপিকা তো বলেছিলেন, রণবীরের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রক বস্তু সঙ্গে নিয়ে ঘোরে।
অন্যদিকে আলিয়ার জীবনে কিন্তু রণবীর প্রথম নয় আরও অনেক গুঞ্জন আছে। আলিয়ার বাবা মহেশ ভাটের নারী সঙ্গ একদা ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক ছিল। এই জগতের নারী সম্ভোগের ওস্তাদ মানুষ ছিলেন। সরকারি ভাবে দুই বিবাহ, কাজেই বিয়ের সাড়ে আট মাসের মধ্যে সন্তান আসা নিয়ে যতই স্কিল নেটওয়ার্কে ট্রোল হোক না কেন, রনোলিয়া নির্বিকার।
ফেসবুকের (Facebook) মূল সংস্থা মেটা (Meta) চলতি সপ্তাহে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই (Lay Off) করার পরিকল্পনা করছে বলে জানা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে এলন মাস্কের টুইটার সংস্থা গণছাঁটায়ের পথে হেঁটেছিলেন। এবার সেই একই পথ অবলম্বন করলেন মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে বুধবারের মধ্যেই মেটা থেকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করতে পারে কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি মেটা কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির রাজস্ব টানা দুই আর্থিক ত্রৈমাসিকের জন্য কমে যাওয়ার ফলে এ সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে বলে খবর। এমনকি সিইও মার্ক জুকারবার্গ অগাস্টে একটি মিটিং-এ কর্মীদের বলেছিলেন, "কোম্পানিতে একগুচ্ছ লোক রয়েছে যাদের এখানে থাকা উচিত নয়। কর্মীরা যদি মনে করেন তারা মেটা-এর অন্তর্গত নয় তবে ঠিক আছে৷"
অক্টোবর মাসে যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, সংস্থার স্টক মার্কেট ভ্যালু অনেক কমে গিয়েছে। অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়েছিল মেটা সংস্থা। এমনকি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলিতে নতুন কর্মী নিয়োগও স্থগিত রাখতে হয়েছে। জুকারবার্গ অনেক ক্ষেত্রে খরচেও লাগাম টেনেছেন। সে কারণেই কর্মী ছাঁটায়ের সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি টুইটার অধিগ্রহণের পর গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছেন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, সংস্থার খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, প্রয়োজনের বাইরে কর্মী নিয়োগের কোনও প্রয়োজন নেই। তাই ছাঁটাইকেই একমাত্র উপায় হিসেবে বেঁচে নিয়েছিলেন।
সকলেই এখন জানতে চান তাঁদের প্রিয় অভিনেত্রী কেমন আছেন? মঙ্গলবারে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক (Brain stroke) হয় ছোট পর্দার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। এরপর থেকে ৭২ ঘন্টা কেটে গিয়েছে। প্রতি মুহূর্তের খবর জানার জন্য উদগ্রীব ভক্তমহল। বর্তমানে হাওড়ার (Howrah) একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অস্ত্রোপচার করার পর নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাঁকে। ঐন্দ্রিলার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন সকলে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও সঙ্কটজনক অবস্থায় ঐন্দিলা। তেমন একটা উন্নতি হয়নি পরিস্থিতির। এখনও জ্ঞান ফেরেনি, বৃহস্পতিবার রাতে ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ ছিল ১১০/৭০। আর পালস্ রেট ছিল প্রতি মিনিটে ১১২। একেবারেই বিপদমুক্ত নয় টেলি নায়িকা। আর এই চরম সঙ্কট মুহূর্তে আগের মতোই তাঁর পাশে রয়েছেন সর্বক্ষণের সঙ্গী সব্যসাচী চৌধুরী। আইসিইউর কাছে যাতে কেউ যেতে না পারে তার জন্য রয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ ছিল ১১০/৭০ আর পালস্ রেট প্রতি মিনিটে ১১২। অস্ত্রোপচারের পর নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেত্রীকে। ঐন্দ্রিলার পাশে সর্বক্ষণ রয়েছেন বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে নায়িকাকে। চিকিৎসক ছাড়া আর কারও প্রবেশ নিষেধ।
বুধবার জানা গিয়েছিল, বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারলেও শরীরের একদিক পুরো অসাড়। তা ছাড়া শুধু চোখ নড়ছে। খানিকটা স্বস্তি এখানেই, ঐন্দ্রিলার বয়স কম হওয়ায় ঝুঁকি কিছুটা হলেও কম। সবে কিছুদিন হয়েছে ক্যান্সারের মতো মরণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে ফিরেছেন তিনি। সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পরে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে, ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গুজব না ছড়াতে অনুরোধ করেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। রীতিমতো ফেসবুক পোস্ট করে ঐন্দ্রিলার এই বিশেষ বন্ধু জানান, ঐন্দ্রিলা লড়ছে, সঙ্গে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল। ওকে নিজের হাতে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতেই বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, এই মাসে দিল্লি যাওয়ারও কথা ছিল ঐন্দ্রিলার। ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর অভিনয় সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এখন অপেক্ষা কেবল ঐন্দ্রিলার সুস্থ হয়ে ওঠার।
একি! বুধবার সকাল থেকে তারকা-সহ আম নেটিজেনের ফেসবুকে (Facebook) ফলোয়ারের সংখ্যা (Follower) কমে যাওয়ায় হুলুস্থুলু কাণ্ড। অনেক তারকাকে দেখা গিয়েছে কীভাবে, কতটা তাঁর ফলোয়ার কমেছে, প্রোফাইলের সেই স্ক্রিনশট শেয়ার করতে। লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার, এমনকি যাঁদের ফলোয়ার সংখ্যা কোটি, সেখান থেকে ৮-৯ হাজারের ঘরে এসে দাঁড়িয়েছিল। কেবল বলি-টলি-হলি তারকাদের ক্ষেত্রে নেওয়, স্বয়ং মার্ক জুকারবার্গেরও একই দশা হয়েছিল। সকাল থেকে এই 'বিপত্তি'র জন্য ফেসবুককে কম গালমন্দ খেটে হয়নি।
কিন্তু বেলা একটু বাড়তেও স্বস্তির খবর। কোনওরকম পরিশ্রম ছাড়া ফের আগের ফলোয়ার ফিরে পান তারকা থেকে আম নেটিজেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বাইরে থেকে সংখ্যা কম দেখালেও নিজেদের প্রোফাইলে ঢুকলে পুরোনো সংখ্যাই দেখতে পাচ্ছিলেন প্রোফাইল মালিকরা। এমনটাই মেটা সূত্রে খবর।
তবে প্রথম দিকে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন কম্যুনিটি স্ট্যান্ডার্ডের দোহাই দিয়ে ফলোয়ার কমিয়েছে জুকারবার্গের সংস্থা। অনেকেই মনে করছিলেন, কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটা ঘটেছে। পরে জানা যায়, ফেসবুকে নতুনত্ব কিছু করতে গিয়েই এমনটা হয়েছে। যবে থেকে নামবদল হয়ে 'মেটা' হয়েছে, তবে থেকে কিছু না কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে।
দুঃসংবাদ! করোনাকালে (Covid Time) যাঁরা ফেসবুকে লাইভে (Facebook Live) এসে অনলাইন ব্যবসা শুরু করেছিলেন, বা যাঁরা ফেসবুকে প্রথম থেকেই নানা পণ্য সামগ্রী বিক্রি করতেন লাইভে গিয়ে তাঁদের জন্য খারাপ খবর। এই তারিখের পর থেকে লাইভে আর কেনাবেচা করা যাবে না পণ্য।
সম্প্রতিই ফেসবুক তাদের বিজনেস হেল্প পেজে এই তথ্য জানিয়েছে। ফেসবুকের তরফে করা পোস্টে বলা হয়েছে, "২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে ফেসবুকে আর কোনও লাইভ বা শিডিউল শপিং ইভেন্ট পোস্ট করা যাবে না"। মেটা (Meta) সংস্থা, যার অধীনে রয়েছে ফেসবুক, তাদের তরফেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
অনলাইন যুগে দাঁড়িয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্তকে (Facebook New Rules)সাধুবাদ জানাচ্ছেন না কেউ। লক্ষ লক্ষ মানুষের আয়ের উৎস এখন সংশয়ে। বিশেষ করে মহিলারা বাড়ি বসে সংসার সামলে উপার্জনের নতুন রাস্তা পেয়েছিলেন। জামাকাপড় থেকে জুতো, ঘর সাজানোর টুকিটাকি পণ্য থেকে রূপচর্চার নানা জিনিস সবই বিক্রি হত ফেসবুকে। ফেসবুকে লাইভের মাধ্যমে সহজে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। ফলে অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যমের উপরও প্রভাব পড়তে চলেছে।
জানা গিয়েছে, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের রিল ভিডিও-র উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পিছনে যে যুক্তি দেখিয়েছে, তা হল, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে কম সময়ের, ছোট ভিডিও দেখার প্রবণতা বেড়েছে। দীর্ঘ সময়ের ভিডিও দেখছেন না তাঁরা। এর বদলে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে রিল দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সকলে। সেকারণেই এ সিদ্ধান্ত।
মেটার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবরের পর থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা লাইভ আসতে পারলেও, সেখানে কোনও পণ্য সংক্রান্ত প্লে-লিস্ট তৈরি বা কোনও পণ্য ট্যাগ করতে পারবেন না। এর বদলে রিল ভিডিও ব্যবহারকারীরা কোনও পণ্য ট্যাগ করতে পারবেন। তবে ফেসবুক লাইভের মতোই রিলেও একই ধরনের ফিচার্স থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি মেটা সংস্থা।
এতদিন লাইভ শপিং ইভেন্ট ফিচারটি ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবসায়ীরা ফলোয়ারদের জন্য পণ্যের ভিডিও তৈরি করত। ব্যাপারটা অনেকটাই পারসোনাল হোম শপিং নেটওয়ার্কের মতোই। এখানে একজন মার্চেন্ট তার ফলোয়ারদের আসন্ন লাইভ শপিং সেশনের নোটিফিকেশন দিতে পারত এবং মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারত। তবে অক্টোবরের পর থেকে আর তা হচ্ছে না।
প্রসূন গুপ্ত: এই মুহূর্তে সংসদে সেরা বাগ্মী সাংসদের মধ্যে অন্যতম তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তাঁর এবং শশী থারুরের বক্তব্য শুনতে সরকারি দলের সাংসদের ভিড় থাকে লোকসভায়। ইংরাজিতে চোস্ত এই দুই সাংসদে যুক্তি-তক্কের জুড়ি মেলা ভার। কৃষ্ণনগরের সাংসদ উচ্চ শিক্ষিতা, বিদেশ থেকে বিশেষ পড়াশুনো এবং সর্বোপরি দিল্লির রাজনীতিতে জড়িয়ে ছিলেন অনেকদিন। এক সময়ে কংগ্রেসের বা রাহুল গান্ধীর সহযোগী ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন এবং ২০১৬-তে করিমপুর থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্রী হিসাবে তাঁর একটা বিশেষ স্থান ছিল দলে। ২০১৯-এ মাস্টারস্ট্রোক দেওয়ার মতো মমতা তাঁকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেন এবং মহুয়া জিতেও আসেন। মনে রাখতে হবে এই জয় মোটেই সহজ কাজ ছিল না, কারণ সেবার ১৮টি আসন জয় করেছিল বিজেপি এবং কৃষ্ণনগরেও ভালো জায়গায় ছিল গেরুয়া দল। কিন্তু মহুয়া তাঁর নিজস্ব পরিচিতি এবং সামাজিক অবস্থানকে ব্যবহার করে ভোটারদের কাছে বিশেষ বার্তা দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছেন।
এ হেন মহুয়া অনেক সময়ে প্রেসের সামনে বা নিজের পেজে নানা মন্তব্য করে জনমানসে জনপ্রিয় হয়েছেন। কখনও আবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। কয়েক ডজন ফ্যান ক্লাব আছে তাঁর নামে। কয়েক মাস আগে তিনি কালীপুজো নিয়ে কিছু মন্তব্য করে বিজেপির রোষানলে পড়েন। ওই সময়ে দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি কারণ ধর্মের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মহুয়া কিন্তু তাঁর মন্তব্য থেকে এক চুলও সরে যাননি।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে তিনি দলনেত্রীর হালকা ধমক খেয়েছেন। মমতা পরিষ্কার জানিয়েছেন, মহুয়ার প্রাক্তন বিধানসভা কেন্দ্র করিমপুর, যা কিনা নদিয়াতে হলেও লোকসভা হিসাবে আবু তাহেরের মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে পড়ছে। অতএব মহুয়া তাঁর নিজের কেন্দ্র কৃষ্ণনগর নিয়েই যেন থাকেন। করিমপুরের দায়িত্ব আবু তাহেরের। স্বাভাবিক ভাবেই ভরা জনসভায় থতমত খেয়ে যান মহুয়া।
পরে তিনি তাঁর পেজে লেখেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদেই তিনি আজ একটা জায়গা করে নিয়েছেন। অতএব তাঁর নির্দেশ মেনে চলবেন কিন্তু করিমপুরের ভোটার যেহেতু তিনি, অতএব সেখানেও তিনি থাকবেন। প্রশ্ন উঠেছে মহুয়া কি বিদ্রোহী, নাকি অভিমানী বার্তা দিলেন। মহুয়া ঘনিষ্ঠরা অবশ্য বলেছে, এটা খারাপ কি বার্তা, তিনি তো দলনেত্রীর আদেশ মেনেই তাঁর পেজে মন্তব্য করেছেন। বাকি বিষয়টি কোথায় যায় সেটাই দেখার।
মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। হঠাৎই ভোরবেলায় ফেসবুকে লাইভে (facebook live) আসেন এক যুবক। সেখানে দেখা যায় ঘরে বসে কাঁদছেন ওই যুবক। কিন্তু কেন? তিনি লাইভে বলছেন, আর কিছুক্ষণ পরেই সব শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ তিনি নিজেকে শেষ করে দেবেন। আত্মহত্যার (suicide) পথ বেছে নিয়েছেন। কারণ, তিনি বিজেপি (bjp) করেন। তাই তাঁকে খুনের (murder) হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শেষ করে দেওয়া হবে গোটা পরিবারকেও, এমনই অভিযোগ তাঁর। হাড়হিম করা এই ঘটনা হুগলির। ঘটনার পরই পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে অভিযুক্ত কুণাল সরকারকে আটক করা হয়। এরপর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
হুগলির চুঁচুড়ার কেওটা মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা ২৮ বছরের অভিষেক চৌধুরী। স্থানীয় সূত্রে খবর, যে সময় এই ফেসবুক লাইভ করা হয়েছিল, তখন তা কারও নজরে পড়েনি। পরে মঙ্গলবার সকাল হতেই তাঁর বন্ধুরা বাড়িতে গিয়ে পৌঁছয়। সোমবার রাতে ছেলে ঘুমোচ্ছেন এই ভেবেই ঘুমিয়েছিলেন বাবা–মা। কিন্তু বন্ধুদের কথায় দরজা ভাঙতেই দেখা যায় ছেলের ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরই কাটগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, এই এলাকার "আমরা কজন" ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকারের বিরুদ্ধে। ফেসবুক লাইভে অভিযোগ তুলেছেন খোদ অভিষেক চৌধুরী। যদিও স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকার এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। যদিও স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি কুণালের পরিবারের।
সামাজিক মাধ্যমে তীব্র বিতণ্ডায়(War of words) জড়ালেন টলিউড (Tollywood) প্রযোজক রাণা সরকার এবং অভিনেতা জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Joyjit Banerjee)। এই বিতণ্ডার সূত্রপাত অভিনেতা জয়জিতের সাম্প্রতিক এক ফেসবুল পোস্ট ঘিরে। সেই পোস্টে অভিনেতা লেখেন, 'এক প্রযোজক প্রথমে আর্টিস্ট থেকে ভেন্ডর সবার টাকা মারে। নামকরা কবি থেকে অভিনেতা-পরিচালককে নিয়ে ছবি শুরু করে মাঝপথে বন্ধ করে দেয়। নির্লজ্জের মতন সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্ঞানদান করে আর সবার সঙ্গে ছবি দেয়। আজব জীব।' এই পোস্টে কোন প্রযোজক নামোল্লেখ না করলেও কমেন্ট বক্সে জবাব দিতে দেখা গিয়েছে বাংলা ছবির অন্যতম প্রযোজক রাণা সরকারকে (Producer Rana Sarkar)।
জয়জিতের করা পোস্টে তাঁর মন্তব্য, 'আমার কথা বলছো ভাই? অনেক আগেই তোমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, অফিসে আসতে বলেছিলাম তখন তো পালিয়ে গেলে? আবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছো? সাহস থাকে তো এসো সামনাসামনি কথা বলি, সেটা ফেসবুক লাইভে দেখাই সবাইকে? সাহস আছে নাকি আবার পালিয়ে যাবে?' এমনকি সেই প্রযোজকের আরও মন্তব্য, 'পালিয়ে গেলে তোমাকে সবাই আজব জীব বলবে এবার, বুকনি না মেরে চ্যালেঞ্জ accept করো।' অভিনেতার ফেসবুক পোস্টে এই বাকবিতণ্ডার মধ্যেই পৃথক একটি ফেসবুক পোস্ট করেন প্রযোজক। সেই পোস্টে জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা পোস্টের স্ক্রিনশটও দিয়েছেন রাণা সরকার।
তাঁর পোস্টে জয়জিতের উদ্দেশে লেখা, 'আর পারলো না মিথ্যেগুলো সামলাতে, আমাকে ব্লক করে দিলো জয়জিৎ ব্যানার্জী। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম পালিয়ে গেলো। ওনার পরিবারের লোক বাংলাদেশের নায়ক শাকিব খানের ৩০ লাখ টাকা মেরে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন, কেউ শাকিব খানকে জিজ্ঞেস করুন জানতে পারবেন।... tagging Shakib Khan। তারপরও বড় বড় কথা, আজব লোক 👎🏿 স্ক্রিনশটগুলো থাকলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।... এসব মিথ্যেবাদী অভিনেতা নিয়ে আমাদের জগৎ, কী করে বাংলা সিনেমার ভালো হবে?' Shame on you Joyjit Banerjee 👎🏿
এই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জবাব আসে জয়জিতের তরফে। তিনি আবার লিখেছেন, 'পালাইনি। কে কার টাকা মারে সে সব্বাই জানে। আর ব্লকও করিনি। না হলে তোমার এই ঘৃণ্য দিকটা দেখতে পেলাম কি করে। ছি:। এবার ব্লক করবো। তোমার প্রোফাইলের লোক তোমাকে গালি দেয় তাতেও লজ্জা লাগে না। আজব জীব। যা ইচ্ছে বানিয়ে বোলো হবে এসে যায় না কোথায় আছে না কে কি বলে...।
দেশ বিরোধী (Anti India) প্রচার। একইসঙ্গে বিদ্বেষমূলক এবং ভুয়ো (Fake) তথ্য। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt) ৮ টি ইউটিউব (You Tube) চ্যানেল বন্ধ করে দিল। এর মধ্যে সাতটি ভারতের এবং একটি পাকিস্তানের (Pakistan)। এর মধ্যে ভারতের একটি চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১৯.৪ লক্ষ এবং ভিউজ প্রায় ৩৩ কোটি। আটটি চ্যানেল মিলিয়ে মোট সাবস্ক্রাইবার হল ৮৬ লক্ষ এবং ভিউজ ১১৪ কোটি। এদের মধ্যে একটি চ্যানেল রয়েছে, যার ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময়েই দেশবিরোধী প্রচারের অভিযোগে এই ধরনের পদক্ষেপ কেন্দ্র নিয়ে থাকে। ফলে ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১০২ টি চ্যানেল ব্লক করা হল বলে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। আইটি রুল ২০২১ এর জরুরি ক্ষমতার বলেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে বলে জানানো হয়েছে।
'কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মীয় কাঠামো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।' 'ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।' 'শুরু হতে চলেছে ধর্মযুদ্ধ।' এই ধরনের একাধিক ভুয়ো খবর পরিবেশন করে বিদ্বেষ বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে এবং এই ধরনের এমন সব খবর পরিবেশন করা হচ্ছে, যার কোনও ভিত্তিই নেই, পুরোটাই ভুয়ো। আরও বড় অভিযোগ হল, নামী টিভি চ্যানেলের লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়।