বেশ কয়েকদিন ধরেই নতুন করে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি চোখে ইনফেকশন জনিত সমস্যার কারণে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আজ, শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন ডায়মন্ডর হারবারের তৃণমূল সাংসদ। তৃণমূল সূত্রে খবর, চোখের চিকিৎসা করতে হায়দরাবাদ উড়ে যাচ্ছেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, এর আগেও হায়দরাবাদে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া পুজোর আগেও প্রায় একমাস আমেরিকায় থেকে চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন। শনিবার কলকাতা বিমানবন্দরে গাড়ি থেকে নেমে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের দিকে হাত নেড়ে বিমানবন্দরে ভিতর ঢুকে যান তৃণমূল নেতা। তাঁর চোখে এখন কেমন রয়েছে, সেই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অভিষেক। কেমন আছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক জানান তিনি ভাল আছেন।
ফের সমস্যা দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে। বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই তড়িঘড়ি অভিষেকে দেখতে তাঁর হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত সময় কন্টাক্ট লেন্স পরার কারণে অভিষেকের চোখে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। এখন তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের ব্লক স্তরের থেকে শুরু করে রাজ্য স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখের সমস্যার কারণে সেখানে অভিষেক উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও তৃণমূলের অন্দর মহল সূত্রের খবর, চোখের সমস্যার জন্য ইন্দোরে সভায় থাকছেন না সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জেরে অবশ্য তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে বিরোধী মহলে। বিরোধীদের অবশ্য দাবি, এই সভার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুব্রত বক্সী। যেখানে নবজোয়ার যাত্রার পর অভিষেকের উচিত ছিল এই রাজ্যস্তরের নেতাদের নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা এবং নেতৃত্ব দেওয়া। পাশাপাশি বিরোধীদের একাংশদের দাবি, 'ইডি-সিবিআইয়ের এই চাপে ও দুর্নীতি ইস্যুতে অভিষেককে আড়াল করতেই এই সিদ্ধান্ত মমতার।'
ছানি অপারেশন-সহ চোখের চিকিৎসা, অন্ধত্ব নিবারণের উদ্দেশ্যে তৈরি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প 'চোখের আলো'। কিন্তু গত বছর এই প্রকল্পে অনেক জেলার পারফরম্যান্সই সন্তোষজনক ছিল না। সেকারণে চলতি অর্থবর্ষে জেলাভিত্তিক টার্গেট বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবারও সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় শাস্তির খাড়া ঝুলছে আই সার্জনদের উপর। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে করা হতে পারে বিভাগীয় তদন্ত। অথবা আই সার্জনদের সংশোধনমূলক শোকজও করা হতে পারে। স্বাস্থ্য দফতর এমনটাই চিঠির মাধ্যমে সতর্ক করল রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি (আরআইও), এস এস কে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং প্রত্যেকটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, শুধু টার্গেট বেঁধে দেওয়াই নয়, চোখের নির্দিষ্ট রোগ নির্ণয় এবং তার যথাযথ চিকিৎসা কিংবা পুনর্বাসনের মধ্যে যে 'গ্যাপ', সেটাও কমানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে জেলা ধরে ধরে। আদেশনামায় বলা হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতি মাসে সরকারি চোখের হাসপাতালে অন্ততপক্ষে ৬০ টি সার্জারি করতে হবে।দেখা গিয়েছে, ১০৮ জন আই সার্জনদের মধ্যে ৯৮ জন এই লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করতে পারেননি।
প্রত্যেকটি চোখের হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে প্রতি আই সার্জেন পিছু কত সার্জারি হয়েছে তার রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে ৯৬ জন আই সারজনের নাম উল্লেখ করে তাঁরা কতগুলি ছানি অপারেশন করেছেন তার তালিকাও তুলে ধরা হয়েছে।
তীব্র দাবদাহের পর বর্ষার আগমনে দেশবাসী স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু বর্ষা আসতেই শুরু হয়েছে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ। আর যেই রোগ সারা দেশজুড়ে বেশি দেখা যাচ্ছে তা হল কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis)। এটি চোখের রোগ, যা বিশেষত ভাইরাসের সংক্রমণেই হয়ে থাকে। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই কম বেশি এখন এই সংক্রমণ হচ্ছে। ফলে এবারে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ঘরোয়া কিছু উপায়েও (Home Remedy) কমানো যেতে পারে কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যা।
লবণ জল: এক লিটার জলে এক চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে এরপর সেই জল ঠান্ডা করে ব্যবহার করতে পারেন। এই জলে এক কাপড় ডুবিয়ে তারপর সেই কাপড় দিয়ে চোখের পাশে মুছে ফেলতে হবে। এতে চোখের পাতায় লেগে থাকা নোংরা পরিস্কার হবে।
গ্রিন টি ব্যাগ: চোখের জ্বালা ও চোখ ফোলা কমাতে গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত। টি ব্যাগকে ঠান্ডা করে এটি চোখের উপর রাখলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।
মধু: চোখের বিভিন্ন ইনফেকশন রুখতে মধু খুবই উপকারী। এক কাপ জলে দু'ফোটা মধু মিশিয়ে তা ভালো করে গরম করতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ ঠান্ডা করে চোখে এক-দু ফোটা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই সব ঘরোয়া উপায় মেনে চলার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সেখানে তাঁর চোখের পরীক্ষা হয়েছে নির্বিঘ্নেই। অগাস্টের মাঝামাঝি তিনি কলকাতায় ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। শহরে ফিরেই ইডির বিরুদ্ধে অভিষেক আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর।
সম্প্রতি, অভিষেকের ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার হাসপাতালে বিদেশি চিকিৎসকের সঙ্গে বসে রয়েছেন অভিষেক। কথা বলছেন তাঁরা। চিকিৎসকের হাতে কিছু নথিপত্রও রয়েছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, যে হাসপাতালে অভিষেকের চোখের অস্ত্রোপচার হয়, অর্থাৎ আমেরিকার জন্স হপকিন্স হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি এখন অনেকটা ভাল। ৬ মাস পর আবারও চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় যেতে হবে তাঁকে।
গিনেস বুকে (Guinness book) নিজের নাম তুলে কৃতিত্ব স্থাপন করতে গিয়ে আংশিক দৃষ্টিশক্তি (Eyesight) হারালেন নাইজেরিয়ার (Nigeria) এক যুবক। আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, টেম্বু এবেরে নামের একটি নাইজেরিয়ার যুবক গিনেস বুকে নাম তুলতে চেয়েছিলেন। সেইকারণে টানা সাত দিন কেঁদেছিলেন তিনি। চোখে জোর করে জল আনার জন্য নানারকম কৌশলও করেছিলেন। আর তা করতে গিয়েই হঠাৎ ওই যুবকের দৃষ্টিতে সব কিছুই অস্পষ্ট হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, কে কতক্ষণ সময় ধরে কাঁদতে পারেন তা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা চলছিল। আর সেই প্রতিযোগিতাতেই যোগদান করেছিলেন নাইজেরীয় ওই যুবক। ওই যুবক পরে বিবিসিকে জানান, ৪৫ মিনিটের জন্য তিনি কিছু দেখতে পাননি। চোখ ফুলে গিয়েছিল। এমনকি মাথাতেও ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও এখন সুস্থই রয়েছেন আর চোখ নিয়েও কোনও সমস্যা নেই।
তবে এত কিছুর পরেও তিনি কিন্তু হাল ছাড়েননি। ওই যুবক জানিয়েছিলেন, কৌশল বদলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবেন। কিন্তু প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরে তাঁকে ওই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিয়ে দেন। গিনেস বুকে নাম তোলার এইরকম কীর্তিকলাপ আগেও বহু বার দেখা গিয়েছে। এটা অবশ্য নাইজেরিয়ায় নতুন কিছু নয়।
বর্ষা (Monsoon) আসতেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে বর্ষা আসতেই ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন বৃদ্ধি পায়। এই সময় যে সংক্রমণ বেশি দেখা যায়, তা হল কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)। চোখের সংক্রমণের সম্ভাবনা এই সময়ে অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। তবে এই সংক্রমণের থেকে বাঁচতে কিছু খাবার খেতে পারেন, যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি তো করবেই, এছাড়াও এই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চোখের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে খাওয়া উচিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। যেমন- কমলালেবু, লেবু ইত্যাদি। এছাড়াও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন- ডিম খেতে হবে। এতে যেমন প্রোটিন রয়েছে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- আখরোট, আমন্ড যা ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক ও ভিটামিন ই-এ সমৃদ্ধ, যা ডায়েটে রাখা উচিত। এগুলো চোখের উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও ফ্ল্যাক্স বীজে চোখ হাইড্রেট করার উপাদান রয়েছে। আবার ভিটামিন এ ও অন্যান্য জরুরী উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর ডায়েটে রাখা উচিত। গাজর চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই কার্যকরী।
সেই নীল চোখের চা বিক্রেতাকে (Chaiwala) কি মনে আছে? পাকিস্তানের (Pakistan) সেই চা বিক্রেতা আরশাদ খান (Arshad Khan) রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া 'সেনসেশন' হয়ে উঠেছিল। ফের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে তিনি। এবারে ইনিই ক্যাফে খুলতে চলেছেন লন্ডনে (London)। একজন সামান্য চা বিক্রেতা যেভাবে খুব সময়ের মধ্যেই এত বড় জায়গায় উঠে এসেছেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।
আরশাদ খানের এই ভাইরাল ছবিটি ২০১৬ সালে জিয়া আলি তোলার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে যান তিনি। তাঁর নীল চোখের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার মেয়েরা। এরপরেই জানা যায়, ২০২০ সালে ইসলামাবাদে নিজের ক্যাফে খুলেছেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের আরও দুটি জায়গায় তাঁর নিজস্ব ক্যাফে খোলেন তিনি। আর বর্তমানে তিনি এখন লন্ডনের পথে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ড লেনের কাছে একটি ক্যাফে খুলেছেন আরশাদ। যা ইতিমধ্যেই বেশ সাড়া ফেলেছে বলে খবর।
আরশাদ জানিয়েছেন, 'লন্ডনে যাওয়ার জন্য আমি অনেক জনের অনুরোধ পেয়েছি। খুব শীঘ্রই আমি লন্ডনে যেতে চলেছি। এই প্রথমবার লন্ডনে আমার আন্তর্জাতিক ক্যাফে খুলতে চলেছি। সেখানে আমি দুরানি ব্রাদার্সের সহায়তায় এই ক্যাফে খুলেছি। আর ইলফোর্ড লেনে এটি খুলেছি কারণ সেখানে বহু সংখ্যক পাকিস্তানি ও ভারতীয় নাগরিকরা থাকেন। তাই খুব শীঘ্রই আমি পাকিস্তানে যেতে চলেছি।'
বর্ষা (Monsoon) আসলেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই ঋতুতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এর ফলেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণও বাড়তে থাকে। এককথায় বর্ষা মানেই ব্যারটেরিয়া-জীবাণুর আঁতুড়ঘর। ফলে বর্ষা আসতেই ঘরে ঘরে শুরু হয় জ্বর-সর্দি-কাশির উৎপাত। কিন্তু এই সময়ে আরও একটি সংক্রমণ দেখা যায়, সেটা হল কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন যা চোখের ক্ষতি করে। ফলে জেনে নিন কোন কোন উপায়ে কনজাংটিভাইটিসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন।
চোখ লাল, জ্বালা, ফুলে যাওয়া, চোখ থেকে জল পড়া, চোখ ব্যথা ইত্যাদির মতো উপসর্গ দেখা যায় কনজাংটিভাইটিসে। তাই এই ইনফেকশনের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে কী কী করবেন জেনে নিন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন-
হাত ধোওয়া: হাত সবসময় ভালো মত সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধোওয়া উচিত। কারণ নোংরা হাত চোখে দিলেই তার থেকে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বারবার চোখ না ধরা: বিনা কারণে নোংরা হাতে কখনও চোখ ধরা উচিত না। এতে চোখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে পারে ও কনজাংটিভাইটিসের মতো ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা: সবসময় নিজেদের ব্যবহৃত তোয়ালা, গামছা, চাদর, বিছানার চাদর, বালিশের কভার ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
দূষণ থেকে দূর: দূষণ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও ধুলোবালি থেকে বাঁচতে চশমা ব্যবহারের জন্য বলা হয়।
এছাড়াও কেউ যদি আগের থেকে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে তাঁর ব্যবহৃত কাপড়, চশমা, তোয়ালা ইত্যাদি জিনিস অন্যদের ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। কারণ এটি ছোঁয়াচে রোগ, যা রোগীর থেকে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে।
সামাজিক মাধ্যমে সেনসেশন উরফি জাভেদ (Urfi Javed)। আজব পোশাকের আইডিয়া এবং কালেকশন, তাঁকে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে। উরফি পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালোবাসেন। কাগজ, সেফটিপিন, দড়ি কিংবা প্যাকেট কিছুই বাদ যায় না তাঁর পোশাকের ম্যাটেরিয়াল থেকে। তবে এবার তিনি এমন কিছু করতে গিয়েছিলেন যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই ভুল করলেন অভিনেত্রী। সামাজিক মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই আফসোসের সুর শোনা গেল উরফির কণ্ঠে।
ছোট থেকেই, চোখের তলায় কালি পড়ার সমস্যায় ভুগেছেন অভিনেত্রী। বহু নেটিজেন এই নিয়ে উরফিকে ট্রোলও করেছেন। সেসব কটূ মন্তব্য শুনে তিনি ঠিক করেছিলেন সার্জারি করেই সেই সমস্যা মেটাবেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। উফি চোখের নিচে ফিলার করান। কিন্তু এর পরেই উরফির চেহারার অবনতি ঘটে। বর্তমানে উরফির চোখের নিচে লাল হয়ে রয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে তিনি অসুস্থ।
সম্প্রতি উরফি সামাজিক মাধ্যমে তাঁর বর্তমান চেহারার একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'ছোটবেলা থেকেই আমার চোখে ডার্ক সার্কেল ছিল। আমি এই নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। আমি চোখের নিচে ফিলার করিয়েছি তারপরই আমার চেহারা জঘন্য হয়ে গিয়েছে। আশা করি এটি ঠিক হয়ে যাবে।' এই ছবি দেখে অবশ্য নেটিজেনরা রেগে গিয়েছেন। তাঁরা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'কী দরকার ছিল চোখের নিচে অস্ত্রপ্রচার করার!'
নিজের মনস্কামনা পূরণের জন্য মন্দিরে বলি দিয়েছিলেন ছাগল (Goat), কিন্তু সেই ছাগলের মাংস খেতে গিয়েই প্রাণ হারালেন এক ৫০ বছরের ব্যক্তি। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুরজপুর (Surajpur) জেলার।
জানা গিয়েছে, সুরজপুরের মদনপুর গ্রামের বাগার সাই নামের ব্যক্তি খোপা ধামের মন্দিরে মানত করেছিলেন যে, তাঁর ইচ্ছাপূরণ হলেই মন্দিরে তিনি পাঠা বলি দেবেন। এরপর তাঁর মনস্কামনা পূরণ হওয়ায় তিনি রবিরার মন্দিরে বলি দেন। সেটার মাংস রান্না করে ভোগ দেওয়ার পর গ্রামবাসীরা প্রসাদ হিসাবে খেতেও যান। কিন্তু এরপরেই ঘটে দুর্ঘটনা। বাগার সাই সেই মাংস খেতে গিয়ে তাঁর পাতে পড়ে বলি দেওয়া ছাগলের চোখ। সেটা খেতে গিয়েই গলায় আটকে যায় ছাগলের চোখ। এরপর তিনি শ্বাস নিতেও পারছিলেন না। ফলে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। গলায় চোখ আটকে গিয়ে শ্বাসরোধ করেই মারা যান তিনি।
বাংলা ধারাবাহিকে একসময় উপরের দিকে ছিল মেয়েবেলা (Meyebela)। দর্শকেরা প্রথম দিকে মেয়েবেলার চিত্রনাট্যকে পছন্দ করেছিলেন বেশ। তবে ধারাবাহিকের মোড় ঘুরতেই, দর্শকদের আগ্রহ যেন কমতে শুরু করেছিল। তবুও টিআরপির(TRP) তালিকায় মোটামুটি একটা স্থান ধরে রেখেছিল ধারাবাহিকটি। তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকটিকে এতো টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তাতেই বোধহয় দর্শকদের আগ্রহ তলানিতে ঠেকেছে। এই টিআরপির মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ হতে পারেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও (Rupa Gangopadhyay)।
কিছুদিন আগেই 'মেয়েবেলা' ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ধারাবাহিকে বীথির চরিত্রে এরপর এসেছিলেন অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস। কিন্তু তাতে যে দর্শকের মন মজেনি, সেই প্ৰমাণ পাওয়া গেল এইবার। ১১ মে পর্যন্ত দর্শকদের ধারাবাহিকের পছন্দের তালিকা পাওয়া গেল। প্রথম পাঁচে নেই মেয়েবেলা। তালিকায় ধারাবাহিকটি স্থান পেয়েছে ৯ নম্বরে। রেটিং পেয়েছে ৫.৭।
দর্শকদের পছন্দের তালিকায় ১ নম্বরে নাম রয়েছে, 'অনুরাগের ছোঁয়া' ধারাবাহিকের। দ্বিতীয় স্থানে নাম রয়েছে, 'জগদ্ধাত্রী'র। তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে 'গৌরী এলো' ধারাবাহিকের নাম। চতুর্থ স্থানে নাম 'নিম ফুলের মধু' ধারাবাহিকের। পঞ্চমে স্থান পেয়েছে, ' বাংলা মিডিয়াম'।
বহু বছর বাদে 'মেয়েবেলা' (Meyebela) ধারাবাহিক দিয়ে ছোট পর্দায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন টলি থেকে বলিউডের পোড় খাওয়া অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। গল্পের বাঁধনের জন্য ধারাবাহিকের টিআরপি বেড়েছিল ঠিকই, কিন্তু এর আরও একটি ফ্যাক্টর হয়েছিলেন অভিনেত্রী রূপা। 'মহাভারত' খ্যাত এই অভিনেত্রীকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে অধীর আগ্রহে থাকতেন দর্শকেরা। কিন্তু এবার থেকে পর্দায় 'মেয়েবেলা' ধারাবাহিকে বীথির চরিত্রে আর দেখা যাবে না রূপাকে।
ইতিমধ্যেই রূপার বদলে বীথির চরিত্রে দেখা গিয়েছে আরেক পোড় খাওয়া অভিনেত্রী অনুশ্রী দাসকে। তবে এই হঠাৎ বদল ঠিক মেনে নিতে পারছেন না অনেক দর্শক। তাঁরা বলছেন, 'বীথির চরিত্রে রূপাকেই বেশি ভালোলাগে।' রূপার এই হঠাৎ চলে যাওয়ায় ধারাবাহিকের টিআরপিতেও বদল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। নেটিজেনদের প্রশ্ন, আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী? না কী তাঁকে বাদ দেওয়া হল?
জানা গিয়েছে, প্রযোজক সংস্থার সঙ্গে অভিনেত্রীর মতপার্থক্যের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন তিনি। টলি পাড়ার অন্দরে কানাঘুঁষো, বীথির চরিত্রকে পর্দায় যেভাবে দেখানো হচ্ছিল, তাতে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না অভিনেত্রী। তবে ধারাবাহিকের প্রযোজনা সংস্থা বীথির চরিত্রে বদল ঘটাননি। ধারাবাহিক থেকে সরে যাওয়া না কি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত। দর্শক ডোডোর মায়ের চরিত্রে অনুশ্রী দাসকে কবে মেনে নিতে পারেন, সেইটাই দেখার।
রবিবার গরমের থেকে কিছুটা স্বস্তি পেলেও গত কয়েকদিন তীব্র দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি ছিল বঙ্গবাসীর। আর এই গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া। কিন্তু চুল ও ত্বকের যত্ন নিতে নিতে আমরা এই সময় আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখের কথাই ভুলে যাই। গরমে সূর্যের তাপ ত্বক ও চুলের পাশাপাশি চোখের উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সূর্যের ইউভি রশ্মি যেমন ত্বকের ক্ষতি করে তেমনই চোখের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। গরমে সাধারণত ঝাপসা দৃষ্টি, শুষ্ক চোখ, ক্লান্তি, ব্যথা এবং অ্যালার্জি দেখা যায়। বিশেষ করে কাজের জন্য যাঁদের বাইরে বেরোতে হয়, তাঁদের চোখে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। তাই গ্রীষ্মকালে চোখের যত্নে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। সূর্যের তাপ ও ক্ষতিকর রশ্মি থেকে কীভাবে চোখ রক্ষা করবেন, তার কিছু টিপস জেনে নিন।
সানগ্লাস পরা: প্রচণ্ড রোদে সানস্ক্রিন যেমন ত্বকের জন্য অপরিহার্য তেমনই চোখের জন্য প্রয়োজন সানগ্লাস। তাই প্রচন্ড রোদে বাইরে বেরোলেই সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।
টুপি পরা: রোদে বেরোনোর সময়ে সানগ্লাসের পাশাপাশি টুপি জাতীয় কিছুও ব্যবহার করতে পারেন। এতে তাপ থেকে মাথা এবং চোখ- দু’টিই রক্ষা পাবে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি আপনার চোখ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না।
দুপুরের রোদে না বেরোনো: যেসময়ে সূর্য মাথার উপর থাকে, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ থাকে, সেসময় না বেরোনোই ভালো। দুপুরের রোদ আর তাপ চোখের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তাই তখন বাড়িতে থাকাই ভালো।
সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাবেন না: প্রচন্ড রোদে বেরিয়ে কখনওই সূর্যের দিকে সরাসরি তাকানো যাবে না। এতে সূর্যের রশ্মি চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে।
চোখে কী কী অসুবিধা হচ্ছে, বা চোখের কী কী রোগ রয়েছে, তা জানিয়ে দেবে অ্যাপ (Apps)। তবে জানেন এই অ্যাপটি কে তৈরি করেছে? ১১ বছরের এক কিশোরী তৈরি করে ফেলেছে 'Ogler Eyescan' নামক অ্যাপটি। হ্যানা রাফিকের কথা নিশ্চয় মনে রয়েছে, এই আইওএস ডেভেলপার সবথেকে কম বয়সে অ্য়াপ বানিয়ে অ্যাপেলের সিইও টিম কুক থেকে প্রশংসা পেয়েছিল, তারই দিদি লীনা রাফিক (Leena Rafeeq) চোখের জন্য এই অ্যাপটি বানিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, ১১ বছর বয়সী লীনা রাফিক ভারতীয় মেয়ে তবে সে দুবাইয়ে বসবাস করে। সে এই Ogler Eyescan নামক অ্যাপটি ১০ বছর বয়সে তৈরি করেছে। জানা গিয়েছে, এই খুদে নিজেই কোডিং করা শিখেছে ও অ্যাপটি বানিয়েছে। এই অ্যাপটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যার সাহায্য়ে চোখের বিভিন্ন রোগ যেমন মেলানোমা, আর্কাস, ক্যাটারাক্ট ইত্যাদি রোগ ধরে যাবে খুব সহজেই।
ইতিমধ্যেই লীনা তার এই অ্যাপের খবর তার লিঙ্কডিনে পোস্ট করে বলেছে যে, সে খুবই খুশি যে, তার বানানো আইওএস অ্যাপটি এক ভিন্ন রকমের স্ক্যানারের ফলে বিভিন্ন ধরণের রোগ ধরে নিতে পারে। সে আরও জানিয়েছে, তার এই অ্য়াপটি বানাতে কারও সাহায্য লাগেনি ও মাত্র ৬ মাসেই এটা তৈরি করে ফেলেছে সে। তবে তাকে এটা বানানোর জন্য অনেক বিষয়ে যেমন চোখ, কম্পিউটার, মেশিন, সেন্সর ডেটা ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে। একবার এই অ্যাপের পরীক্ষা করা হয়ে গেলে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে জানিয়েছে লীনা।
এই অ্যাপ বর্তমানে আইফোন ১০ ও আইওএস ১৬ প্লাসে সাপোর্ট করে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও এখন এটা অ্যাপ স্টোরে রিভিউয়ের জন্য রাখা হয়েছে। সে দৃঢ়বিশ্বাসী যে, এটা খুব শীঘ্রই লিস্টে যোগ করা হবে।