
হাতির সামনে পড়ে গিয়ে আহত হল দুই পুলিসকর্মী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করেছে ৪০ টি হাতি। বুধবার ওই হাতির দলের একটি বাচ্চা হাতির মৃত্যু হয় বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তে। এই ঘটনার পর থেকেই ওই হাতির দল খুব আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই হাতির দল পাঞ্চেত বনবিভাগের আস্থাশোল জঙ্গল থেকে বিষ্ণুপুরোমুখী হয়। সেখানে ডিউটিতে ছিলেন বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। হাতির দল রাস্তা পারাপার করার সময় একটি হাতি কর্তব্যরত দুই পুলিসের ওপর আক্রমণ করে। ঘটনায় জখম হন ওই দুই পুলিসকর্মী। এরপর স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে ওই দুই পুলিসকর্মী সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ওই হাতির দল বনদফতরের এলিফ্যান্ট স্কোয়ার্ড টিম ও বনকর্মীদের তৎপরতায় পাঞ্চেত বনবিভাগের বিষ্ণুপুর, জয়পুরের জঙ্গল পেরিয়ে গোসাইপুরের কাছে দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে হিংজুড়ি, কুশদ্বীপ হয়ে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের সোনামুখী রেঞ্জের তেঁতুলবাধে অবস্থান করছে। তবে এখনও হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
আলিপুরদুয়ারের দুটি ভিন্ন জায়গায় হাতির হানা। ভাঙ্গল বাড়ি-ঘর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুটি বুনো দাঁতাল হাতি হামলা চালায় উত্তর ছেকামারী এলাকায়। জানা গিয়েছে মাদারী হাটের জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতি দুটি হামলা চালিয়ে ভেঙে দেয় তিনটি পাকা ঘরবাড়ি।
পাশাপাশি ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের হাটখোলা লাইনে একটি হাতি তাণ্ডব চালায়। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট চা বাগানের হাটখোলা লাইনের এক ব্য়ক্তির বাড়িতে হাতি হানা দিয়ে ঘর ভেঙে দেয়। শুধু তাই নয় ঘরে মজুত রাখা চাল সাবার করে দেয় ওই হাতিটি। এমনকি বাসনপত্রও ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকাই হামলা চালায় ওই হাতিটি। প্রায় ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় সে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির সদস্য রবি ওঁরাও জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আলিপুরের বেশ কয়েক জায়গায় হাতির হামলা বেড়ে গিয়েছে। যার কারণে প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাতি হামলায় ফসল ক্ষতি ছাড়াও বাড়ি ঘরও ভাঙচুর চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান, হাতি হামলার ঘটনার পর বনদফতরের কর্মীরা আসার আগেই পালিয়ে যায় হাতি।
সুপারি বাগান থেকে উদ্ধার বুনো হাতির মৃতদেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আলিপু্রদুয়ার (Alipurduar) জেলার মাদারিহাট থানার রাঙ্গালিবাজলা গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শনিবার সন্ধ্য়ায় ওই এলাকার এক বাসিন্দার সুপারি বাগানে হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা এসে ওই হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করে। বনদফতর সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মৃত হাতিটি একটি পুরুষ হাতি। শুক্রবার রাতেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান বনকর্মীদের। রবিবার মৃতদেহটির ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান বনদফতরের কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাঙ্গালিবাজলা গ্ৰামের কাছেই রয়েছে ধুমচি ফরেস্ট। আর ওই ফরেস্ট থেকে প্রায়ই হাতির দল বেরিয়ে এলাকায় হানা দেয়। এরপর শনিবার সন্ধ্য়ায় গোরু খুঁজতে গিয়ে এলাকারই একজন বাসিন্দা একটি পূর্ণ বয়ষ্ক হাতির মৃতদেহ দেখতে পান। পরবর্তীতে গ্ৰামবাসীরা খবর দেয় বনদফতরে। রাতেই ঘটনাস্থলে জলদাপাড়া বনবিভাগের বনকর্মীরা পৌছেছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও পর্যন্ত জনা যায়নি। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ময়না তদন্তের পরেই আসল কারণ জানা যাবে।
পড়ে থাকা স্কুটার থেকে চিপস, পপকর্নের প্যাকেট বের করে অনায়াসেই তা সাবাড় করছেন গজরাজ (Elephant)। এই রকমই একটি ভিডিও (Video Viral) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্য়মে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে চা বাগানের একটি রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই হাতিটি। তার সমানেই পড়ে রয়েছে একটি স্কুটার। আর সেই স্কুটারে থাকা একটি ব্যাগ থেকে খাওয়ার বের করে খাচ্ছে ওই হাতিটি। এই ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের (Dooars) রানীচেরা চা বাগানে।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে এক ব্যক্তি হাট থেকে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী কিনে স্কুটার নিয়ে রানীচেরা চা বাগানের মধ্য দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বাগানের রাস্তাতেই গজরাজের সামনে পড়ে যান তিনি। গজরাজকে দেখে প্রাণে বাঁচাতে স্কুটার ফেলে চা বাগানের ভিতরে লুকিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। এদিকে হাতিটি ততক্ষণে স্কুটারে থাকা খাদ্যসামগ্রীর ওপরে হামলা করে দিয়েছে। চালের বস্তা থেকে শুরু করে চিপস, পপকর্ণের প্যাকেট নিমেষে সাবাড় করে দিচ্ছে সে। এরপরেই দুলকি চালে ফিরে যান জঙ্গলের দিকে।
বুনো হাতির হামলায় (Elephant Attack) ভাঙল বসত বাড়ি ও দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট (Alipurduar) মেঘনাদ সাহা নাগর এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হাতির তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে বাড়ি ও দোকান। এই ঘটনায় স্থানীয়রা বন দফতরের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ, হাতিগুলিকে লোকালয় থেকে তাড়াতে বন দফতরের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বেড়িয়ে একটি বুনো দাঁতাল হাতি সাহানাগর এলাকায় ঢুকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। তরপরেই শুরু করে তাণ্ডব খেলা। প্রথমেই হামলা চালায় রিবি ওঁরা নামের একজনের দোকানে। তারপরেই আসে গোপাল দাস নামের এক ব্যক্তির সামনে। গোপাল দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে যায় হাতিটি যায় ভারতী দাস নামের এক এলাকাবাসীর বাড়ির দিকে। স্থানীয়দের দাবি, ভারতী দাসের বাড়িতে যখন হাতিটি যায় তাঁরা ঘরে ঘুমোচ্ছিল। হাতি ঘর ভাঙছে টের পেতেই তাঁরা দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তাঁরা।
হাতির (Elephant) হানায় মৃত্যু (Death) হল এক ব্য়ক্তির। মঙ্গলবার, ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট থানার অন্তর্গত চানাডিপা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম মনি ওরাও (৬৩)। বাড়ি চাপাডিপা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বনদফতরের আধিকারিকরা মৃত দেহটি ময়না তদন্তের জন্য় পাঠায়। এই ঘটনার পর গ্রামবাসীদের মধ্য়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের খাওয়া সেরে বাড়ির বাইরে চা বাগানে শৌচকর্ম করতে বের হয়েছিলেন ওই ব্য়ক্তি। সেই সময় আচমকাই হাতির সামনে পড়েন তিনি। এরপরই হাতিটি ওই ব্য়ক্তিকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে। স্থানীয় ও মৃতের পরিবারের লোকজনেরা তাঁকে তড়িঘড়ি বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বনদফতরের বিন্নাগুরি ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়ার্ড-এর আধিকারিকরা।
বনদফতর সূত্রে খবর, সরকারি আইন অনুযায়ী আবেদন করলে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আজ অর্থাৎ বুধবার মৃত দেহটি ময়নাতদন্তের পরেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হাতির আক্রমণে গ্রামবাসীর মৃত্যু হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি বনদফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা।
হাতির হানায় (Elephant Attack) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচটি পরিবার। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের সান্থাল লাইন ও মিশন লাইনে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় ওই পাঁচটি পরিবার প্রশাসনের কাছে আর্থিকভাবে সহযোগীতার আবেদন জানিয়েছেন। এমনকি হাতির হামলা থেকে বাঁচার সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে হামলা চালায় দাঁতাল হাতি। তারপরেই সংশ্লিষ্ট চা বাগানের ওই দুটি লাইনের পৃথক ৫ টি ঘর ভেঙে দেয় হাতিটি। শুধু তাই নয়, ঘরে মজুত রাখা চাল, আটাও সাবার করে দেয় হাতিটি। স্থানীয়দের দাবি, একটি বিশাল হাতি প্রথমে তাসাটি চা বাগানের মিশন লাইনে তাণ্ডব চালায়, তারপরেই সান্থাল লাইনে হানা দেয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালায় হাতিটি।
প্রসঙ্গত, রবিবার সাত সকালে একটি হাতিকে দেখতে পায় বাগডোগরা সেনা ছাউনির জাওয়ানরা। এই ঘটনায় রীতিমতো তাঁরা ভয় পেয়ে যায়। জওয়ানদের দাবি, মাঝেমধ্যেই এভাবে জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বেরিয়ে আসে হাতি। এর আগেও ঠিক একইভাবে সেনা ছাউনির ভেতর ঢুকতে দেখা গিয়েছিল হাতিকে। তবে আজ অর্থাৎ রবিবার জওয়ানদের ছাউনির কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি না করেই জঙ্গলে ফিরে যায় হাতিটি।
দু-দুটি বুনো হাতির (Elephant) মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে বন দফতরের (Forest Division) নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনাস্থলেই হাতি দুটির ময়না তদন্ত করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বজ্রাঘাতেই হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার সকালে চা বাগানের ১৪ নম্বর সেকশনের কাছে ডায়না নদীর ধারে হাতি দুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন চা বাগানের শ্রমিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই দুটি হাতির মধ্যে একটি পুরুষ, একটি স্ত্রী হাতি ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছিল ওই এলাকায়। এমনকি সেই সময় ঘনঘন বজ্রপাতও হচ্ছিল। তাই স্থানীয়দের অনুমান, বজ্রাঘাতের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই হাতি দুটির।
একটি দোকানে ঢুকে কিছু বিস্কুট এবং মিষ্টি খেয়ে, আবার কিছু খাবার শুঁড়ের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটি হাতি। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গুয়াহাটির (Assam) সাতগাঁও এলাকার একটি খাবারের দোকানে। ধীরে সুস্থে ওই দোকানে ঢুকে পড়েছিল হাতি (Elephant)। হাতিটিকে দোকানে ঢুকতে দেখে আস্তে আস্তে ভয়ে সরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে লোকজন দেখেও পিছিয়ে পড়ছে না হাতিটি। ঠিক এমনই একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
An #elephant came out of Amchang Wildlife Sanctuary to have sweets at a local shop in the Satgaon area of #Guwahati. #Viralvideo pic.twitter.com/uskNHgzjK7
— Zaitra (@Zaitra6) June 13, 2023
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, হাতিটি দোকানে ঢুকে প্রথমে বেশ কিছু মিষ্টি খায়। তার পর বিস্কুট। হাতিটি যখন একের পর এক মিষ্টি মুখে তুলে নিচ্ছিল, তখন দোকান মালিককে একটি কাগজে আগুন জ্বালিয়ে হাতিটিতে তাড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। তবে হাতিটি সেদিকে নজর না দিয়ে নিজের খিদে মেটানোর চেষ্টা করছিল, এমনই দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে।
কয়েকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, হাতিটি লোকালয়ে ঢুকেও কারোর কোনও ক্ষতি করেনি। বরং সে নিজের মতো খাবার খেয়ে আবার জঙ্গলেই ফিরে গিয়েছে।
ফের বুনো দাঁতালের আক্রমণে (Elephant Attack) মৃত্যু (Death) হল বন্ধ চা বাগানের এক শ্রমিকের। রবিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট থানার অন্তর্গত দেবপাড়া চা বাগানে। খবর পেয়ে রাতেই বন দফতরের কর্মীরা ও বানারহাট থানার পুলিস (Police) এসে দেহটি উদ্ধার করে। সোমবার ময়না তদন্তের জন্য দেহটি জলপাইগুড়ি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাকে ঘিরে হাতির আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত শ্রমিকের নাম বিক্রম মুণ্ডা (৫১)। দেবপাড়া চা বাগানের সুখিয়া লাইনের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে নিজের ভাইয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আসার সময় রাস্তায় হাতিটি বিক্রমকে আক্রমণ করে। হাতির আক্রমণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যাক্তির। মৃতের আত্মীয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গল লাগোয়া এই এলাকায় হাতির হানা নিত্যদিনের ঘটনা। কিন্তু তারপরেও গ্রামীণ রাস্তায় নেই কোনও পথবাতির ব্যবস্থা। রাস্তায় আলো থাকলে এই ঘটনা ঘটত না, দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, হাতিটি রাস্তার ধারে অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই ওই ব্যক্তি হাতিটিকে দেখতে না পেয়ে হেঁটে যায়। পাশ দিয়ে আসার সময়ই হাতিটি তাঁকে আক্রমণ করে।
তবে এই ঘটনায় বন দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ফের হাতির (Elephant) তাণ্ডবে (Attack) ভাঙল ঘর! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচল ওই ঘরে থাকা সদস্যরা। নকশালবাড়ির (Naxalbari) মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটো মনিরাম জোতের ঘটনা। এই হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান।
জানা গিয়েছে, কলাবাড়ির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল হাতিটি। তারপরেই চালায় ব্যাপক তাণ্ডব। লোকালয়ে খাবারের খোঁজে চারিদিক তছনছ করে দেয় হাতিটি। এলাকায় চাষের জমিতে ক্ষয়ক্ষতি করার পাশাপাশি একটি ঘরের ভিতর ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায় হাতিটি। ওই বাড়ির টিনের চাল ভাঙার পাশাপাশি আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে হাতিটি। তবে হাতির শব্দ পেয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে যান ওই বাড়ির সব সদস্যরা।
তবে এই তাণ্ডবের জেরে মাথায় হাত পড়েছে ওই বাড়ির সদস্য সহ এলাকাবাসীদের।
দেশের একাধিক জায়গায় একাধিকবার সম্মানিত হওয়ার পর এবারে মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh dhoni) সংবর্ধনা জানালেন দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স-এর (The Elephant Whisperers) বোমান (Bomman) ও বেলিকে (Belli)। 'দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স' সেরার তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে অস্কারের মঞ্চে। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে বিভাগে অস্কার জিতেছে এই ডকুমেন্টরি। ভারতীয় সিনেমায় এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এই ছবি। এই প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে বিভাগে কোনও ভারতীয় সিনেমা অস্কার জিতেছে। ফলে এটি অস্কার জেতার পর সারা বিশ্বজুড়ে শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে। এর এবারে দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স-এর মাহুত দম্পতিকে সংবর্ধিত করলেন ভারতীয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। সিএসকে অর্থাৎ চেন্নাই সুপার কিং-এর টিম তাঁদের সম্মানিত করেছেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৯ মে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই পুরো সিএসকে টিম বাস্তব জীবনের হিরো বোমান ও বেলিকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি মহেন্দ্র সিং ধোনি নাম লেখা সিএসকে-এর জার্সি বোমান ও বেলিকে উপহার দিয়েছেন। বোমান ও বেলির পাশাপাশি ডকুমেন্টরির পরিচালক কার্তিকি গনসালভেসকেও সম্মানিত করেছেন তাঁরা। আরও জানা গিয়েছে, চেন্নাই সুপার কিং টিম বোমান ও বেলিকে বিশেষভাবে সংবর্ধনা জানাতে আজও এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে। হাতির (Elephant) দল পিষে (crushed) দিল একই পরিবারের তিন সদস্যকে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) লাতেহার জেলায়। ঘুমের মধ্যে থাকাকালীনই মৃত্যু (Death) হয়েছে তাঁদের। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে। তিন জনের দেহ ময়না তদন্তের জন্য লাতেহার হাসপাতালে পাঠায় পুলিস।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্বামী-স্ত্রী সহ এক তিন বছরেরে মেয়ের। মৃত স্বামী-স্ত্রীর নাম ফানু ভুঁইয়া (৩০), ববিতা দেবী (২৫)। গাড়োয়া জেলা থেকে কাজ করতে এসেছিল ওই শ্রমিক পরিবার। মালহান পঞ্চায়েতের একটি ইটভাটায় কাজ করতেন ফানু ভুঁইয়া। তাই ওই ইটভাটা এলাকার কাছাকাছিতেই থাকতেন তাঁরা।
লাতেহার ডিভিশনের বন আধিকারিক রৌশন কুমার জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ১৮ টি হাতির একটি দল। আর এই নিয়ে সতর্কও করা হয়েছিল এলাকাবাসীদের। তিনি আরও বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ ইটভাটা এলাকায় ঢুকে পড়েছিল ওই হাতির দলটি। সেই সময় সবাই ঘুমিয়ে পড়ায় কেউ টের পাননি। বন আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সদস্যকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।
ফের হাতির (Elephant) হামলা (Attack)। দেওয়াল চাপা পড়ে এক বয়স্ক মহিলার মৃত্যু (Death)। অপরদিকে, একটি গরুর উপর হাতির দল আক্রমণ করলে গরুটিও মারা যায়। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের প্ৰতাপপুর গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিস (Police)। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই বৃদ্ধার নাম ভেদি মাহাতো (৭০)।
ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। শতাধিক হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের যেমন ক্ষতি করে চলেছে, তেমনি হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত প্রায় ২টো নাগাদ একদল হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর গ্রামে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ে। ওই গ্রামে ঢুকে হাতির দলটি বেশ তাণ্ডব শুরু করে। কয়েকটি বাড়িও ভেঙে দেয় হাতির দলটি। যায় ফলেই একটি বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান ওই বৃদ্ধা। তবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হলেও হাতির হামলার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরেও ওই এলাকায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি হাতি এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার ফলে এলাকাজুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কা ক্রমশ বেড়েই চলছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে মৃত বৃদ্ধার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে হাতির দল ওই এলাকায় গত তিন দিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাতে আরও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কার পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে ইতিমধ্যেই বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফের গ্রামে গ্রামে দাঁতালের (Elephant) আতঙ্ক। ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪৫ টি দাঁতাল হাতির দল। মঙ্গলবার সকালেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হুলা পার্টির সদস্যরা। লোকালয়ে হাতি প্রবেশ করার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষজনের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার খাবারের সন্ধানে দাঁতালের দলটি জঙ্গল ছেড়ে গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের লোকালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ে। দাঁতালের দলটি চাষের জমিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। ৩ থেকে ৪ বিঘা চাষের জমি নষ্টও করেছে দাঁতালের ওই দলটি। আরও জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুর ২ নং ব্লকের তপসিয়া,কেন্দুয়ানা সহ একাধিক এলাকায় দাঁপিয়ে বেড়িয়েছে দাঁতালের ওই দলটি। তবে এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কে রয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের পর দিন হাতির এই তাণ্ডব বেড়েই চলেছে। এমনকি বারবার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। তাই স্থানীয়দের দাবি, বন দফতর থেকে খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক।