এবার একই দিনে বুনো হাতির হানায় জোড়া মৃত্যু। ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকে। বেশ কিছুদিন ধরে বুনো হাতির হানা বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা যায়, শনিবার দুপুরে মাদারিহাটের ধুমচিপাড়া চা বাগানের নীতু পাইক নামে একজন ঘাস কাটতে বেরিয়েছিল। এরপর রাত হয়ে যাওয়ার বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাঁঁকে খুঁজতে বের হয়। তারপর তাঁরা বাগানে বুনো হাতির দল দেখতে পায় এবং তার কাছেই চা বাগানে নীতু পাইকের মৃতদেহ পড়ে ছিল।
অপরদিকে হাতির হানায় মৃত্যু হয় মাদারিহাটের উত্তর খয়েরবাড়ি বাসিন্দা এতয়া খড়িয়ার (৬০)। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাক্তিও গতকাল অর্থাৎ শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু রাত হলেও সে বাড়ি না ফেরায় সবাই খুঁজতে বের হয়। কিছুদূর যেতেই এলাকার জঙ্গলের পাশে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
শরীরের একাধিক আঘাত দেখে প্রাথমিক অনুমান, হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মাদারিহাট পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রবিবার ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠায়। যদিও হাতির তাণ্ডবে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
হাতির হানায় ফের মৃত্যু। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাঁকুড়ায় হাতির হানায় মৃত্য়ু হল এক যুবতীর। গতকাল অর্থাৎ বুধবার মাঝরাতে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের হরিচরণডাঙ্গা এলাকায় হাতির হানায় প্রাণ যায় বছর চব্বিশের মামনি ঘোড়ুই-এর। গত মঙ্গলবার বড়জোড়া ব্লকের গোপবান্দী এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। মঙ্গলবারের পর বৃহস্পতিবারের মধ্য়ে পরপর দু'জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গভীর রাতে শৌচকর্ম করতে বাড়ির বাইরে যান মামনি ঘোড়ুই। সেই সময় আচমকা একটি হাতি মামনির উপর হামলা চালায়। হাতিটি শুঁড়ে তাঁকে পেঁচিয়ে তুলে আছাড় মেরে প্রায় ত্রিশ ফুট টেনে নিয়ে যায়। হাতির হামলায় গুরুতর আহত হন মামনি। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় হাতিটি।
এরপর আহত ওই যুবতীকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। একের পর এক হাতির হানায় মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
হাতির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে পড়ল ট্রাক। যার ফলে ব্য়াপক ক্ষতিগ্রস্তের মুখে পরপর তিনটি দোকান। মাথায় হাত ব্য়বসায়ীদের। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া জিএসটি মোড় এলাকার। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে ট্রাক চালককে উদ্ধার করে লতাবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে জয়গাঁ থেকে হাসিমারা গামী বারো চাকার একটি ট্রাকের সামনে আচমকা একটি হাতি চলে আসে। হাতিটিকে বাঁচাতে গিয়ে হাতির গায়ে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সড়কের ধারে থাকা তিনটি দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় জিএসটি মোড় এলাকার ব্যবসায়ী উর্গেন গুরুংয়ের চায়ের দোকান, দীপক গোয়েলের মোটর পার্টসের দোকান ও রাজু ঠাকুরের সেলুনের দোকান।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্য়বসায়ীদের দাবি, তিনটি দোকান মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, এ ঘটনায় ট্রাকটিরও সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলের কয়েক মিটার দূরত্বেই রয়েছে জয়গাঁ থানার অন্তর্গত জিএসটি চেকপোস্ট। এ বিষয়ে বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হাতির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগার কোনো প্রমান এখনো পাওয়া যায় নি। তবুও বন দফতর আশেপাশের জঙ্গলে নাজিরদারি চালাচ্ছে।
জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হল এক মহিলার। জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম নূরজাহান বেগম। বাড়ি মেটেলি ব্লকের বামনী বনবস্তিতে। জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে ওই মহিলা লাটাগুড়ির জঙ্গলের বড়দিঘি বিটে গিয়েছিলেন। সেই সময় জঙ্গলে একটি বুনো হাতি ঢুকে পড়ে। সেই বুনো হাতির আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনদফতরের কর্মী এবং মেটেলি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
পাশাপাশি, স্থানীয়দের অভিযোগ, জমির ফসল সাবাড় করতে হাতির হানা অব্যাহত রয়েছে ডুয়ার্সের একাধিক এলাকায়। গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন উত্তর ধূপঝোড়ায় তিনটি বুনোহাতি চলে আসে। মূলত জমির ধান সহ অন্যান্য ফসল খেতেই হাতিগুলি হানা দেয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে হাতিগুলি তাড়ানোর চেষ্টা করে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। এরপর খবর পেয়ে বনদফতরের খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা এসে ওই হাতিগুলিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ফেরায়। তবে হাতি হানাতে মৃত্য়ুর ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
আবারও হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। শনিবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে নকশালবাড়ির ওড চা বাগানের ২৬ নম্বর সেকশন থেকে। জানা গিয়েছে, গত তিন দিন নিখোঁজ ছিল ওই ব্যক্তি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে এদিন জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায় ওই ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের সময় খাবারের সন্ধানে হাতির দল জঙ্গল ছেড়ে তাণ্ডব চালায় লোকালয়ে। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জ-এ হাতির দল ভাঙচুর চালায় বেশ কয়েকটি ঘর বাড়ি। ঠিক একইভাবে শুক্রবার হাতির দল নকশালবাড়ির ওড চা বাগানে ঢুকে পড়ে এবং দাপিয়ে বেড়ায় গোটা এলাকাজুড়ে। এরপর এদিন সকালে নকশালবাড়ির ওড চা বাগানে চা শ্রমিকেরা চা পাতা তুলতে গিয়ে চা বাগানের ভিতরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পায়। এরপর খবর দেওয়া হয় নকশালবাড়ি থানায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পানিঘাটা বনদফতরের কর্মীরা গিয়ে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বনদফতরের অনুমান, হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এর আগেও হাতির হানায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনদফতর চাইলেই হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা করতে পারে সাধারণ মানুষদের। তা সত্ত্বেও বনদফতরের পক্ষ থেকে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
উত্তরবঙ্গে ফের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হাতির। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভিতর ওয়েস্ট রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে একই সঙ্গে মৃত্যু হল তিনটি হাতির। সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী একটি পার্সেল ট্রেনের সামনে আচমকা চলে আসে হাতির দলটি। রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি রেলস্টেশনের মাঝে প্রাণ গেল তাদের।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ির একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় শাবককে সঙ্গে নিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক ও একটি মাঝবয়সী হাতি রেললাইন পারাপার করছিল। মালগাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তিনটি হাতি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল এবং বনদফতর ও রেলের উচ্চ আধিকারিকরা। তিনটি হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ রেল চলাচল ব্যাহত হয়।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এভাবে ট্রেনের ধাক্কায় বারংবার হাতি মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তিত বনদফতর। রেলের তরফে নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগ করে হাতি মৃত্যু আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রেললাইনের পাশে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এটি মূলত এক ধরনের থার্মাল ডিভাইস। রেললাইনের কাছাকাছি কোনও হাতি এলে তার শরীরের তাপমাত্রা সেন্স করবে এই ডিভাইস। তখনই গাড়ির চালক সতর্ক হয়ে যাবেন। হাতি কাছাকাছি থাকলে ৩০ ফুটের মধ্যে এই ডিভাইস কাজ করে। এই ডিভাইসের জন্য নিকটবর্তী স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এক্ষেত্রে কেন মালগাড়ির চালক আগে থেকে বুঝতে পারলেন না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মালগাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাতির দাঁতের টুকরো উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। টুকরিয়াঝাড় বনাঞ্চল থেকে দীপিকা বর্মন নামের এক মহিলা দেখতে পান ওই হাতির দাঁতের টুকরোটি। যদিও পরে উদ্ধার হওয়া হাতির দাঁতের টুকরো বনদফতরের হাতে তুলে দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের সোমবার টুকরিয়াঝাড় বনাঞ্চলে ছাগল চড়াতে যায় উওর রামধন জোত এলাকার কয়েকজন মহিলা। ছাগল চড়ানোর সময় আচমকা হোচট খান এক মহিলা। এরপর তিনি দেখতে পান একটি হাতির দাঁতের টুকরো। তারপর সেই হাতির দাঁতের টুকরোটি বাড়িতে নিয়ে আসে ওই মহিলা। এই খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও টুকরিয়াঝাড় বনদফতরের কর্মীরা। টুকরিয়াঝাড় বনদফতরের বিট আধিকারিক বিদেশ বিশ্বকর্মা বলেন, অনেক সময় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে হাতিরা। সেই সময় ধস্তাদস্তিতে কোনোভাবে ভাঙ্গতে পারে। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করছে বনদফতর।
হাতির সামনে পড়ে গিয়ে আহত হল দুই পুলিসকর্মী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করেছে ৪০ টি হাতি। বুধবার ওই হাতির দলের একটি বাচ্চা হাতির মৃত্যু হয় বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তে। এই ঘটনার পর থেকেই ওই হাতির দল খুব আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই হাতির দল পাঞ্চেত বনবিভাগের আস্থাশোল জঙ্গল থেকে বিষ্ণুপুরোমুখী হয়। সেখানে ডিউটিতে ছিলেন বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। হাতির দল রাস্তা পারাপার করার সময় একটি হাতি কর্তব্যরত দুই পুলিসের ওপর আক্রমণ করে। ঘটনায় জখম হন ওই দুই পুলিসকর্মী। এরপর স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে ওই দুই পুলিসকর্মী সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ওই হাতির দল বনদফতরের এলিফ্যান্ট স্কোয়ার্ড টিম ও বনকর্মীদের তৎপরতায় পাঞ্চেত বনবিভাগের বিষ্ণুপুর, জয়পুরের জঙ্গল পেরিয়ে গোসাইপুরের কাছে দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে হিংজুড়ি, কুশদ্বীপ হয়ে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের সোনামুখী রেঞ্জের তেঁতুলবাধে অবস্থান করছে। তবে এখনও হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
আলিপুরদুয়ারের দুটি ভিন্ন জায়গায় হাতির হানা। ভাঙ্গল বাড়ি-ঘর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুটি বুনো দাঁতাল হাতি হামলা চালায় উত্তর ছেকামারী এলাকায়। জানা গিয়েছে মাদারী হাটের জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতি দুটি হামলা চালিয়ে ভেঙে দেয় তিনটি পাকা ঘরবাড়ি।
পাশাপাশি ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের হাটখোলা লাইনে একটি হাতি তাণ্ডব চালায়। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট চা বাগানের হাটখোলা লাইনের এক ব্য়ক্তির বাড়িতে হাতি হানা দিয়ে ঘর ভেঙে দেয়। শুধু তাই নয় ঘরে মজুত রাখা চাল সাবার করে দেয় ওই হাতিটি। এমনকি বাসনপত্রও ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকাই হামলা চালায় ওই হাতিটি। প্রায় ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় সে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির সদস্য রবি ওঁরাও জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আলিপুরের বেশ কয়েক জায়গায় হাতির হামলা বেড়ে গিয়েছে। যার কারণে প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাতি হামলায় ফসল ক্ষতি ছাড়াও বাড়ি ঘরও ভাঙচুর চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান, হাতি হামলার ঘটনার পর বনদফতরের কর্মীরা আসার আগেই পালিয়ে যায় হাতি।
সুপারি বাগান থেকে উদ্ধার বুনো হাতির মৃতদেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আলিপু্রদুয়ার (Alipurduar) জেলার মাদারিহাট থানার রাঙ্গালিবাজলা গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শনিবার সন্ধ্য়ায় ওই এলাকার এক বাসিন্দার সুপারি বাগানে হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা এসে ওই হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করে। বনদফতর সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মৃত হাতিটি একটি পুরুষ হাতি। শুক্রবার রাতেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান বনকর্মীদের। রবিবার মৃতদেহটির ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান বনদফতরের কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাঙ্গালিবাজলা গ্ৰামের কাছেই রয়েছে ধুমচি ফরেস্ট। আর ওই ফরেস্ট থেকে প্রায়ই হাতির দল বেরিয়ে এলাকায় হানা দেয়। এরপর শনিবার সন্ধ্য়ায় গোরু খুঁজতে গিয়ে এলাকারই একজন বাসিন্দা একটি পূর্ণ বয়ষ্ক হাতির মৃতদেহ দেখতে পান। পরবর্তীতে গ্ৰামবাসীরা খবর দেয় বনদফতরে। রাতেই ঘটনাস্থলে জলদাপাড়া বনবিভাগের বনকর্মীরা পৌছেছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও পর্যন্ত জনা যায়নি। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ময়না তদন্তের পরেই আসল কারণ জানা যাবে।
পড়ে থাকা স্কুটার থেকে চিপস, পপকর্নের প্যাকেট বের করে অনায়াসেই তা সাবাড় করছেন গজরাজ (Elephant)। এই রকমই একটি ভিডিও (Video Viral) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্য়মে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে চা বাগানের একটি রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই হাতিটি। তার সমানেই পড়ে রয়েছে একটি স্কুটার। আর সেই স্কুটারে থাকা একটি ব্যাগ থেকে খাওয়ার বের করে খাচ্ছে ওই হাতিটি। এই ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের (Dooars) রানীচেরা চা বাগানে।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে এক ব্যক্তি হাট থেকে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী কিনে স্কুটার নিয়ে রানীচেরা চা বাগানের মধ্য দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বাগানের রাস্তাতেই গজরাজের সামনে পড়ে যান তিনি। গজরাজকে দেখে প্রাণে বাঁচাতে স্কুটার ফেলে চা বাগানের ভিতরে লুকিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। এদিকে হাতিটি ততক্ষণে স্কুটারে থাকা খাদ্যসামগ্রীর ওপরে হামলা করে দিয়েছে। চালের বস্তা থেকে শুরু করে চিপস, পপকর্ণের প্যাকেট নিমেষে সাবাড় করে দিচ্ছে সে। এরপরেই দুলকি চালে ফিরে যান জঙ্গলের দিকে।
বুনো হাতির হামলায় (Elephant Attack) ভাঙল বসত বাড়ি ও দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট (Alipurduar) মেঘনাদ সাহা নাগর এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হাতির তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে বাড়ি ও দোকান। এই ঘটনায় স্থানীয়রা বন দফতরের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ, হাতিগুলিকে লোকালয় থেকে তাড়াতে বন দফতরের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বেড়িয়ে একটি বুনো দাঁতাল হাতি সাহানাগর এলাকায় ঢুকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। তরপরেই শুরু করে তাণ্ডব খেলা। প্রথমেই হামলা চালায় রিবি ওঁরা নামের একজনের দোকানে। তারপরেই আসে গোপাল দাস নামের এক ব্যক্তির সামনে। গোপাল দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে যায় হাতিটি যায় ভারতী দাস নামের এক এলাকাবাসীর বাড়ির দিকে। স্থানীয়দের দাবি, ভারতী দাসের বাড়িতে যখন হাতিটি যায় তাঁরা ঘরে ঘুমোচ্ছিল। হাতি ঘর ভাঙছে টের পেতেই তাঁরা দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তাঁরা।
হাতির (Elephant) হানায় মৃত্যু (Death) হল এক ব্য়ক্তির। মঙ্গলবার, ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট থানার অন্তর্গত চানাডিপা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম মনি ওরাও (৬৩)। বাড়ি চাপাডিপা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বনদফতরের আধিকারিকরা মৃত দেহটি ময়না তদন্তের জন্য় পাঠায়। এই ঘটনার পর গ্রামবাসীদের মধ্য়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের খাওয়া সেরে বাড়ির বাইরে চা বাগানে শৌচকর্ম করতে বের হয়েছিলেন ওই ব্য়ক্তি। সেই সময় আচমকাই হাতির সামনে পড়েন তিনি। এরপরই হাতিটি ওই ব্য়ক্তিকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে। স্থানীয় ও মৃতের পরিবারের লোকজনেরা তাঁকে তড়িঘড়ি বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বনদফতরের বিন্নাগুরি ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়ার্ড-এর আধিকারিকরা।
বনদফতর সূত্রে খবর, সরকারি আইন অনুযায়ী আবেদন করলে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আজ অর্থাৎ বুধবার মৃত দেহটি ময়নাতদন্তের পরেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হাতির আক্রমণে গ্রামবাসীর মৃত্যু হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি বনদফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা।
হাতির হানায় (Elephant Attack) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচটি পরিবার। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের সান্থাল লাইন ও মিশন লাইনে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় ওই পাঁচটি পরিবার প্রশাসনের কাছে আর্থিকভাবে সহযোগীতার আবেদন জানিয়েছেন। এমনকি হাতির হামলা থেকে বাঁচার সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে হামলা চালায় দাঁতাল হাতি। তারপরেই সংশ্লিষ্ট চা বাগানের ওই দুটি লাইনের পৃথক ৫ টি ঘর ভেঙে দেয় হাতিটি। শুধু তাই নয়, ঘরে মজুত রাখা চাল, আটাও সাবার করে দেয় হাতিটি। স্থানীয়দের দাবি, একটি বিশাল হাতি প্রথমে তাসাটি চা বাগানের মিশন লাইনে তাণ্ডব চালায়, তারপরেই সান্থাল লাইনে হানা দেয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালায় হাতিটি।
প্রসঙ্গত, রবিবার সাত সকালে একটি হাতিকে দেখতে পায় বাগডোগরা সেনা ছাউনির জাওয়ানরা। এই ঘটনায় রীতিমতো তাঁরা ভয় পেয়ে যায়। জওয়ানদের দাবি, মাঝেমধ্যেই এভাবে জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বেরিয়ে আসে হাতি। এর আগেও ঠিক একইভাবে সেনা ছাউনির ভেতর ঢুকতে দেখা গিয়েছিল হাতিকে। তবে আজ অর্থাৎ রবিবার জওয়ানদের ছাউনির কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি না করেই জঙ্গলে ফিরে যায় হাতিটি।
দু-দুটি বুনো হাতির (Elephant) মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে বন দফতরের (Forest Division) নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনাস্থলেই হাতি দুটির ময়না তদন্ত করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বজ্রাঘাতেই হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার সকালে চা বাগানের ১৪ নম্বর সেকশনের কাছে ডায়না নদীর ধারে হাতি দুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন চা বাগানের শ্রমিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই দুটি হাতির মধ্যে একটি পুরুষ, একটি স্ত্রী হাতি ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছিল ওই এলাকায়। এমনকি সেই সময় ঘনঘন বজ্রপাতও হচ্ছিল। তাই স্থানীয়দের অনুমান, বজ্রাঘাতের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই হাতি দুটির।