
এ যেন লুকোচুরি খেলা। এসএসকেএম ও কালীঘাটের কাকু যেন ইডির সঙ্গে একপ্রকার লুকোচুরি খেলায় নেমেছে। একদিকে যখন কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে তৎপর ইডির আধিকারিকরা। অন্যদিকে তখন যে কোনও উপায়ে ইডির চেষ্টাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা এসএসকেমের। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে এমনই মনে হবে সাধারণের। এসএসকেএম ও কাকুর এহেন খেলায় গেরোয় কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। এবার ফের ঠিক যেন কালীঘাটের কাকুকে আড়াল করতে ফের এসএসকেএমের জারিজুরি। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে যেতে পারে ইডি, এমটাই জানিয়ে এসএসকেএমকে চিঠি লিখেছিল ইডি। কিন্তু ইডির পাল্টা চিঠিতে এসএসকেএম জানিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। অর্থাৎ অসস্তি ভাবে এসএসকেএম বুঝিয়ে দিল ইডিকে এ মুহূর্তে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ সম্ভব নয়।
পূর্বেই কালীঘাটের কাকু ও এসএসকেএমের উপর সন্দিহান প্রকাশ করে ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালত কাকুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ইএসআই হাসপাতালকে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেয়। এবার এসএসকেমেমকে পাল্টা চাপ ইডির, সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইডির তরফে চিঠি দেওয়া হলো এসএসকেএম হাসপাতাল, ই এস আই হাসপাতাল ও সিএফএসএল-কে। যদিও পাল্টা চিঠিতে এসএসকেএম জানিয়েছে কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণের মানসিক অবস্থা ভালো নয়। সে জন্যই তাকে মানসিক চিকিৎসার বিভাগ অর্থাৎ সাইক্রিয়াটিক বিভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অবশ্য ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন নমুনা সংগ্রহে বিলম্বের চেষ্টাতেই এই রিপোর্ট এবং চিঠি এসএসকেএম হাসপাতালের। এঅবস্থায় কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে ইডি কোন পথে হাটবে সেটাই এখন দেখার।
এনআরএস কাণ্ডের ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। ২০১৯ সালে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানাকে নৃশংস হত্যায় নাম জড়িয়েছিল দুই নার্সিং ছাত্রীর। সেই ঘটনা নিয়ে হইচই কম হয়নি। প্রায় বছর তিনেক পর আবারও একই ঘটনার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শনিবার রাতে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৮নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ১৪টি কুকুরছানাকে ‘খুন’ করেছে দুষ্কৃতিরা। কে বা কারা এই কাজ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা গিয়েছে, সুভাষপল্লিতে সম্প্রতি একটি পথকুকুর ১৫টি সন্তানের জন্ম দেয়। স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাদের দেখভাল করতেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল তারা। রাতের দিকে একের পর এক ১০টি পথকুকুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই এলাকা থেকে আরও একাধিক কুকুর ছানার দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয়রাই শিলিগুড়ি থানায় খবর দেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পথে নামে পশু প্রেমী সংগঠন। পুলিস দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কে বা কারা অমানবিক কাজ করল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
প্রয়াত বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায়। রবিবার বিকেলে প্রয়াত হন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন সকালেও বাজার যান তিনি। বাড়ি ফেরার পর হঠাৎ সিঁড়ি থেকে পড়়ে যান তিনি। এরপরেই বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ। জানা গিয়েছে, সিঁড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার পর রক্তপাত হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁর পরিবারের লোকেরা। এরপর তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
প্রেসিডেন্সি কলেজের ১৯৯১-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রিন্সিপাল ছিলেন অমলবাবু। প্রেসিডেন্সিকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত করার নেপথ্যে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। প্রথমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিনিয়র প্রফেসর ও পরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান হন তিনি। তাঁর মৃত্যু সংবাদে শোকের আবহ গোটা শিক্ষা ও রাজনৈতিক মহলে।
এবারে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে বিয়ের প্রসঙ্গ। 'মন কি বাত'-এ তিনি মূলত 'ডেস্টিনেশন ওয়েডিং'-এর প্রসঙ্গ এনে প্রশ্ন করেন, 'বিদেশে গিয়ে বিয়ে করার দরকারটা কি? আমাদের দেশের মাটিতে সমস্যাটা কোথায়?' রবিবার রেডিও-ভাষণে তরুণদের দেশের মাটিতে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। এর পাশাপাশি তিনি 'ভোকাল ফর লোকাল'-এর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন।
বিয়ের মরশুম শুরু হয়েছে, আর এখন একটাই ট্রেন্ডে, 'ডেস্টিনেশন ওয়েডিং'। এখন প্রায় অনেককেই বিদেশে গিয়ে বিয়ে করতে দেখা যায়। বলিউড তারকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেলিব্রিটিরা বিদেশের মাটিতেই বিয়ের পর্ব সারেন। ফলে দেশের টাকা চলে যাচ্ছে বিদেশে। আর এতেই প্রধানমন্ত্রী আপত্তি প্রকাশ করে প্রশ্ন করেছেন, 'বাইরে বিয়ে করাটা কি খুব দরকারি? অন্য সব ক্ষেত্রে আমরা যেমন লোকাল পণ্য ব্যবহার করার কথা বলি, বিয়ের ক্ষেত্রে কেন নয়?'
ফলে প্রধানমন্ত্রী দেশের মাটিতেই বিয়ের অনুষ্ঠান করার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে দেশের টাকা দেশেই থাকবে বলে ধারণা প্রধানমন্ত্রীর। এছাড়া দেশেও ব্যবস্থাগুলি উন্নত হবে। সেই সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী ইউপিআই ও ডিজিটাল পেমেন্টের উপরও জোর দেন। ভারতে তৈরি পণ্যের বাজার যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্যই তিনি দেশের মাটিতে বিয়ে করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানালেন।
এক সপ্তাহে দু'বার। ফরাক্কার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনায় আহত এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। আর সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রবিবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার কলসুরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কিশোরের নাম আরমান গাজী (১২)। এদিন সকালে তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল আরমান। সেই সময় তার নজরে আসে একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলে বোমা হাতে নিয়ে বল ভেবে খেলতে শুরু করে। আর সেই বোমা ফেটেই জখম হয় কিশোর। বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন আহত অবস্থায় আরমান মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাদুড়িয়া ব্লকের রুদ্রপুর হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের বাগান থেকে আরও তিনটে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে শিশুর আহত হওয়ার ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
লিভ ইন পার্টনারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও হাতের শিরা কেটে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে৷ শুক্রবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়া এলাকায়৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত বাবু নামের ওই পুরুষ সঙ্গী৷ ইতিমধ্যে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস৷
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়া এলাকায় মিতা গায়েন ও বাবু নামের অভিযুক্ত ওই পুরুষ সঙ্গী স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকত৷ অভিযুক্ত পুরুষ সঙ্গীর এলাকায় একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে৷ সেই কারণে প্রায়শই মিতা গায়েনের সঙ্গে ঝামেলা অশান্তি হত৷ গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার সন্ধ্যায় চরম অশান্তি শুরু হয় ওই দুই লিভ ইন পার্টনারের মধ্যে৷ সেই সময় ঝামেলা চলাকালীন মিতা গায়েনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীরের আঘাত করে তাঁর পুরুষ সঙ্গী৷ তখন তিনি তাঁর পুরুষ সঙ্গীর হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় একজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন৷ তারপর তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসকে৷ প্রথমে আহত ওই মহিলা সঙ্গীকে সোনারপুর গ্রামীন হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি৷ তবে কি কারণে লিভ ইন পার্টনারকে খুন করতে চেয়েছিলন অভিযুক্ত পুরুষ সঙ্গী তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস৷
এবার হয়ত শেষ হতে চলেছে কাকুর জারিজুরি , নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয় কালিঘাটের কাকু, অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। এরপরে সুজয় কৃষ্ণের অফিস ও ফোন ঘেটে রীতিমত চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ইডির আধিকারিকরা। তদন্ত যত এগিয়েছে টোটো কাকুর কালো হাতের হদিশ মিলেছে। এরপরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে কালীঘাটের কাকু। এরপর তার চিকিৎসা হয় ,এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার হৃদরোগের অপারেশন ও করা হয়। তারপর থেকেই সরকারি হাসপাতাল অর্থাৎ এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন আছে কালীঘাটের কাকু। কিন্তু কালীঘাটের কাকুকে নিজের হেফাজতে নেওয়া কিংবা জেলে পাঠানো, বা কালীঘাটের কাকুর নমুনা সংগ্রহে একমাত্র বাধা এসএসকেএম। এবার এসএসকেএমের রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সন্দিহান প্রকাশ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। ওই শুনানিতে আজ অর্থাৎ শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা জন্য ইএসআই হাসপাতালকে চিকিৎসক দ্বারা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে, তাঁর সাস্থের একটি রিপোর্ট দিতে হবে।' কার্যত এবার হয়ত এসএসকেএমে শুয়ে আরাম করার দিন শেষ হয়ে আসছে কাকুর।
জানা গিয়েছে, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসার জন্য এসএসকে এম হাসপাতাল দ্বারা গঠিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিল না ইডি। তদন্তকারী আধাকিরকরা মনে করছেন, রাজ্যে সরকারি হাসপাতাল সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্টে কিছু ত্রুটি থাকছে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত ইএসআই হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে জোকা ই এস আই হাসপাতালকে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করা নির্দেশ দিল ইডির বিশেষ আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর, নানা সময়ে নানা জারিজুরি করেছেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তদন্তক্রমে ইডির কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় ইডির।কিন্তু সেই পথে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়ায় এসএসকেএম। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ইডি। এমনকি বারবার চিঠি লিখেও মেলেনি কোনো সদুত্তর। সেজন্যই এবার আদালতের দ্বারস্থ ইডি। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময় আদালতে মুখ পুড়েছিল এসএসকেএমের। এবার কি ফের কালীঘাটের কাকুর সহায় থেকে এসএসকেমের মেডিকেল রিপোর্টে মুখ পুড়বে হাসপাতাল কতৃপক্ষের! সেটাই এখন দেখার।
মাদকাসক্তদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের কুলিক ফরেস্ট। বাড়ছে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষী নিবাসের সামনে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য বাড়ায় ভীত সন্ত্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, জাতীয় সড়কের দুই পাশে ঘন জঙ্গল থাকায় অন্ধকার নামতেই চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে মাদকাসক্তরা।
মাদকাসক্তদের অত্যাচারে আতঙ্কিত জাতীয় সড়কের পাশে থাকা বনবস্তির মানুষজন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকার মহিলারা। অভিযোগ, সমস্যা মেটাতে রায়গঞ্জ পুরসভার পক্ষ থেকে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু মাদকাসক্তরা বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় নিজেদের সুবিধার্থে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে।
প্রশাসন আরও সক্রিয় হোক অভিযোগ স্বীকার করে এমনই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।
পরিকল্পনা ছিল পাকা বাড়ি তৈরী করার। কিন্তু তার আগেই ধসে পড়ল মাটির দোতলা বাড়ি। আর সেই মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনায় আহত আরও দুইজন মহিলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে খন্ডঘোষের পূর্বচক গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম জুলেখা বেগমকে (৩০)। বর্তমানে আহত ওই দুজন মহিলা বর্ধমান হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁদের দুজনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষের পূর্বাচক গ্রামের শেখ হাবিবুর ইসলামের দোতলা বাড়ির নীচের তলার ঘরের মেঝে পাকা করার কাজ চলছিল। সেই জন্য বাড়ির চারদিকে মাটি খোঁড়া হয়েছিল। তাই ঘরের দোতলা থেকে আসবাবপত্র নামাতে গিয়েছিলেন ওই বাড়ির চারজন মহিলা। সেই সময় হঠাৎ দেওয়াল থেকে ঝুরঝুর করে মাটি পড়তে দেখে তাঁরা তড়িঘড়ি সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। আর তখনই সিঁড়ি সমেত মাটির বাড়ির একাংশ চাপা পড়ে যান তিন মহিলা।একজন কোনওরকমে পালিয়ে যেতে পারলেও বাকি তিনজন পালাতে না পেরে আটকে পড়ে।
এরপর খবর পেয়ে পুলিস ও স্থানীয়রা গিয়ে তড়িঘড়ি ওই তিনজন মহিলাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর হাসপাতালের চিকিৎসক ওই তিনজন মহিলার মধ্যে একজনকে মৃত বলে জানায়। এই ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
রাস্তায় পড়ে ছিল বোমা। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত তিন শিশু। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে শঙ্করপুর হাউসনগরে। তড়িঘড়ি ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফরাক্কা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ওই তিন শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নেওয়ার জন্য যাচ্ছিল। আর সেই সময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন পুকুর থেকে পাওয়া একটি বোমাকে তারা বল ভেবে খেলতে থাকে। তারপর হঠাৎ সেই বোমা হাত থেকে পড়ে গিয়ে ফেটে যায়।এরফলে জখম হয় তিন শিশু। বোমা ফাটার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এসে দেখেন ওই তিন শিশু বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
তবে কে বা কারা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় বোমা রেখে গিয়েছিল। আর ঠিক কোন উদ্দেশ্যেই বা রেখে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
অসুস্থ বলিউড অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকর (Bhumi Pednekar)। আচমকা এমন খবর শুনতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অনুরাগীরা। হঠাৎ কী হল তাঁর, এই নিয়ে উৎকণ্ঠায় ভক্তরা। এর পরই বুধবার ভূমির সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট দেখে জানা গেল, বিগত ৮ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি, কারণ তাঁর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। সেই সঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে তিনি আগের চেয়ে সুস্থ বোধ করছেন।
বুধবার ইনস্টাগ্রামে হাসপাতালে ভর্তি থাকার দুটো ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন তিনি। হাতে রয়েছে চ্যানেল, কিন্তু তাঁর মুখে তিনি হাসি রেখেছেন। হাসিমুখেই দুটি সেলফি তুলে ক্যাপশনে লিখেছেন, "একটি ডেঙ্গি মশা আমাকে টানা ৮ দিন ধরে অত্যাচার করেছে। কিন্তু আজ ঘুম থেকে উঠে একটু ভালো লাগলো। তাই সেলফি তোলার কথা ভাবলাম।" এর পর তিনি দেন ভক্তদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন। ভূমির অনুরাগীরাও দ্রুত তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন।
প্রায় দু'দশক পর বিশ্বকাপ ফাইনালে (World Cup Final 2023) মুখোমুখি হয়েছিল ইন্ডিয়া-অস্ট্রেলিয়া (IndvsAus)। কিন্তু এবারও বিশ্বকাপের ট্রফি জেতার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল হারতেই মাঠে কান্নায় ভেঙে পড়েন একাধিক ক্রিকেটার। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে, সাহস জোগাতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে গিয়ে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এমনকী মহম্মদ শামিকে নিজের বুকে টেনে নেন মোদী।
রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য প্রথম থেকেই ছিলেন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। ভারতের পরাজয়ের পর তাই তিনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে দেখা করেন। নমোর ড্রেসিংরুমে আসার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রবীন্দ্র জাডেজা। ভারতীয় অলরাউন্ডারের কথায়, সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ড্রেসিংরুমে প্রত্যেকের সঙ্গে হাত মেলান প্রধানমন্ত্রী।
We had a great tournament but we ended up short yesterday. We are all heartbroken but the support of our people is keeping us going. PM @narendramodi’s visit to the dressing room yesterday was special and very motivating. pic.twitter.com/q0la2X5wfU
— Ravindrasinh jadeja (@imjadeja) November 20, 2023
এর পর শামিকে বুকে টেনে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন শামি, জাদেজা-রা। শামি এক্স পোস্টে লেখেন, "গতকাল দিনটা আমাদের ছিল না। আমি সব ভারতীয়কে ধন্যবাদ দেব পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আমার ও আমাদের দলের পাশে থাকার জন্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে ড্রেসিংরুমে এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে মনোবল বাড়ালেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।"
জেলে আচমকা 'অসুস্থ' রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু)। রাতে প্রেসিডেন্সি জেলেই তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। সংশোধনাগারের পয়লা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের সাত নম্বর সেলেই একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার বন্দোবস্ত করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি বলে শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
“আমি এই সেলে থাকব না। আমাকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হোক।” জেলে দু’রাত কাটতে না কাটতেই এ ধরনের নানা বায়না জুড়ে দিয়েছিলেন ‘মন্ত্রী’ জ্যোতিপ্রিয়। এসএসকেএম যাওয়ার জন্যই কি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বালু? বিরোধীরা এমন প্রশ্নই তুলছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অসুস্থতার কারণে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি রাজ্যের মন্ত্রী। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। শুনানির শুরুতে বিচারক তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। বিয়াচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, 'কী সমস্যা হচ্ছে আপনার'। জ্যোতিপ্রিয় কাতর আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘‘স্যর, আমাকে বাঁচতে দিন।’’
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে শুক্রবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের আধিকারিকরা। তাঁরা বলেন, রেশন দুর্নীতি নিয়ে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে একাধিক অভিযোগ থাকলেও কোনও রকমের ব্যবস্থা নেননি তিনি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সব জানতেন রেশন দুর্নীতি নিয়ে। পুলিসের কাছে ভুরি ভুরি অভিযোগ এবং এফআইআর জমা হওয়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি খাদ্য দফতর তথা তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে আবারও হাজিরা দিলেন বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক। এই নিয়ে তৃতীয়বার তলব করা হল অপর্ণা মৌলিককে। ইডির তরফে অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতে ৫ই অক্টোবর দীর্ঘ ১০ ঘন্টা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা।
পাশাপাশি এদিন পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকেও তলব করা হয়। তিনিও ইডির দফতরে হাজিরা দেন। এলেন ইডি দপ্তরে। এই নিয়ে চতুর্থ বারের জন্য ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন প্রশান্ত চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি ও সিবিআই। বিগত কয়েকদিনে লাগাতার রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি ও সিবিআই-এর দল। অয়ন শীলের সূত্র ধরেই প্রথম প্রকাশ্যে আসে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি। এরপর তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় এই দুই এজেন্সি। তদন্তে নেমে সম্প্রতি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতেও হানা দেন সিবিআই কর্তারা। দীর্ঘ বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। পাশাপাশি মদন মিত্র-সহ তৃণমূলের আরও বেশকিছু প্রথম সারির নেতার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিটাঙ্কিতে এসএসবি-র ৪১ ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়ল পাকিস্তানি মা ও ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকেই দার্জিলিং জেলা পুলিশের খড়িবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিস ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর ১১ বছরের পুত্র সন্তানকে হোমে পাঠানো হয়েছে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতের কাছে। ইতিমধ্যেই খড়িবাড়ি থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শায়েস্তা হানিফ (৬২) ও আরিয়ান মহম্মদ হানিফ (১১)। বৃহস্পতিবার বিদেশি আইনে ওই মহিলাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে নেপালের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর ওপর নির্মিত এশিয়ান হাইওয়ে সেতু হয়ে শিলিগুড়ি বিভাগের খড়িবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিটাঙ্কিতে পৌঁছায় পাকিস্তানি মা-ছেলে। তল্লাশির সময় তাঁদের কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি উদ্ধার করে এসএসবি জওয়ানরা। এর পর তাঁদের দুজনকেই আটক করা হয়।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি মহিলা শায়েস্তা হানিফের আসল নাম গৌরী দে এবং তাঁর আদি বাড়ি অসমের শিলচরে।১৯৭৫-এর দিকে কর্মসূত্রে এই মহিলা মুম্বইতে যান। সেখানে এক পাকিস্তানি যুবক মোহম্মদ হানিফের সঙ্গে আলাপ হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিবাহে পরিণত পায় ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর মুম্বই থেকে তাঁরা পাকিস্তানের কারাচিতে চলে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর থাকার পর মোহম্মদ হানিফ কর্মসূত্রে সৌদি আরব যান এবং সেখানে স্বর্ণশিল্পীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সেখানেই তাঁরা বসবাস করছিলেন।ছেলেকে নিয়ে নিজের মাতৃভূমি ভারতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল গৌরীর।
ভারতের ভিসা না পাওয়ায় শায়েস্তা হানিফ উরফে গৌরী দে তিনি নেপালের ভিসা নিয়ে নেপালে আসেন। সেখান থেকে ভারত নেপাল বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। সেই সময় এসএসবি জাওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় মা ও ছেলেকে আটক করে এবং তল্লাশি করার পর তাঁর ব্যাগ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে এই পাকিস্তানি মা ও ছেলের সম্পর্ক কি সত্যিই সেই নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে পুলিসের পক্ষ থেকে।