
সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে জল্পনা কাটতে চাইছে না কিছুতেই। শুক্রবার দেখা গিয়েছিল, এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিসিইউতে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেড দখল করে সেখানে থেকে যান কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এদিকে পূর্ব সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহের জন্য ইডির আধিকারিকরা শুক্রবার সকাল সকাল এসএসকেএম হাসপাতালে এসে পৌঁছেছিলেন কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কাকুর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই, সাফ জানান হাসপাতাল সুপার। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ না হওয়ায় একেবারেই সন্তুষ্ট নন ইডির আধিকারিকরা। কাকুকে কেন ইডির হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হল না, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আদতে ঠিক কীরকম- সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তলব করে ইডি। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই ইডির হাতে তুলে দিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়ে তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা ভাবা হবে। তবে, কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহের জন্য এভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বারবার ইডির আধিকারিকরা বলেছেন, কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পাওয়া গেলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের মোড় ঘুরে যেতে পারে, বেরিয়ে আসতে পারে নানা অজানা তথ্য। তবে তা সত্বেও এসএসকেএম হাসপাতালের কোনও সক্রিয় ভূমিকা দেখছেন না ইডির আধিকারিকরা। তাই এবার আবারও এই বিষয়ে আদালতের মুখাপেক্ষী হতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। না হলে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহে আরও কত বিপাকে ইডিকে পড়তে হতে পারে, সেই নিয়েই দ্বন্দ্বে আছেন ইডির আধিকারিকরা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ইডির হানা শহরে। ইডি আধিকারিকরা অভিযান চালান কাশিপুর থানা এলাকার কাশিনাথ দত্ত রোডে প্রাক্তন শিক্ষকের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের প্রাক্তন শিক্ষক শুভ্রাংশ মৈত্রের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান সকাল নয়টা নাগাদ।
মূলত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রাক্তন এই শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি আধিকারিকরা। তবে বছর খানেক আগেই প্রায়ত হয়েছেন শুভ্রাংশ মৈত্র। কাশিপুরের বাড়িতে শুভ্রাংশ বাবুর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভ্রাংশ বাবু কোনওভাবে যুক্ত কিনা তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি বিভিন্ন নথিও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে। সম্পর্ক জোড়া লাগানোর নাম করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করে তরুণীকে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার আনন্দপুরে। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণী।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী আসানসোলের বাসিন্দা। পড়াশোনার জন্য তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। দেড় বছর আগে বেহালার বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। ৬ থেকে ৭ মাস তাঁদের সম্পর্ক ছিল। প্রায় এক বছর আগে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙেও যায়।
তরুণীর অভিযোগ, সোমবার সকালে ওই যুবক ফোন করে তাঁকে দেখা করতে বলেন। যুবক বলেন, পুরোনো সম্পর্ক আবার মিটমাট করে নেওয়া হবে। সোমবার বিকেলে ওই যুবক নিউ গড়িয়া আবাসনের যেখানে তরুণী ভাড়া থাকেন সেখানে গাড়ি নিয়ে যান এবং গাড়িতে তোলেন ওই তরুণীকে বলে অভিযোগ।
কলকাতা সংলগ্ন একাধিক জায়গায় লং ড্রাইভ সেরে আনন্দপুরের একটি জনশূন্য এলাকায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওই তরুণ এবং তরুণী গল্প করছিলেন। সেই সময় তরুণীকে অজ্ঞান করা হয় বলে অভিযোগ ওই তরুণীর।হুঁশ ফিরলে তরুণী বুঝতে পারেন যে, যুবক তাঁকে বেহুঁশ করে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে আনন্দপুর থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপির মহিলা যুব মোর্চার তরফ থেকে।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই যুবক রাজনৈতিক কোনও প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ।
লাইন চ্যুত লোকাল ট্রেন। হাওড়া স্টেশন ঢোকার মুখে টিকিয়াপাড়া কারশেডের কাছে লাইনচ্যুত বাগনান-হাওড়া লোকাল। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। কোনওক্রমে ট্রেন থেকে নেমে হেঁটে হাওড়ায় রওনা দেন যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, বাগনান লোকাল ট্রেনে এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন হাওড়ার ডিআরএম-সহ অন্যান্য রেলের আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে উ্দ্ধার কাজ। দুর্ঘটনার জেরে অফিস টাইমে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
রেল সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৮.৫৫ নাগাদ ডাউন বাগনান লোকালের ৫ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে অফিস টাইমে এই ঘটনা ঘটায় চরম সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। কী কারণে কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছেন রেল আধিকারিকরা।
দালাল চক্রের অভিযোগ এবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃ মা বিভাগে। অর্থের বিনিময়ে চলছে সরকারি হাসপাতালের সমস্ত কাজ। টাকা ছাড়া পাওয়া যাবে না কোনও পরিষেবা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অন্য একটি বিভাগ মাতৃ মা। সেটাও এখন দালাল রাজের এক অন্যতম আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ হাসপাতালে ভর্তি রোগী থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়স্বজনদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাতৃ মায়ের ভিতরে মেয়েদের ছাড়া সকলের প্রবেশ নিষেধ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাতৃ মায়ে কর্মরত ওয়ার্ড বয় ও সহকারীরা রীতিমত টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে। আবার কখোনও চিকিৎসার অভাবে গর্ভবতী মায়েদের বাধ্য হয়ে মাতৃ মা ছেড়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়। কিন্তু যাদের আর্থিক সংকট তাঁদের এক প্রকার বাধ্য হয়েই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। যার ফলে চিকিৎসার গাফিলতি তে প্রসূতি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগ, প্রসূতির আলট্রাসোনোগ্রাফির ছবি তোলা কিংবা বেডে দেওয়ার জন্য ধার্য করা হয় ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এমনকি কখনো কখনো চিকিৎসা না করার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা নিরুপায় হয়ে তাঁদের কথা মতো টাকা দিয়ে নিজেদের চিকিৎসাটুকু করিয়ে নেয়। আর এভাবে সরকারি হাসপাতালগুলিতে চলছে দালাল চক্রের রাজত্ব।
যদিও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের দেওয়ালের লেখা রয়েছে চিকিৎসাক্ষেত্রে কাউকে পয়সা দেবেন না অথবা কোনো প্রকার অভিযোগ থাকলে একটি নাম্বারও দেওয়া আছে।
সংশোধনাগারের মধ্যেই গ্যাংস্টার আমান সিং-এর উপর চলল গুলি।এই হত্যা মামলায় ধানবাদের মণ্ডল কারাগারের ৭ জন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে সোমবার জেলের আইজি উমাশঙ্কর সিং এবং সিআইডি আইজি অসীম বিক্রান্ত মিম মণ্ডল কারাগারে তদন্ত অভিযান চালানোর জন্য তিনটি ২৪*৭ নজরদারি দল গঠন করেছিলেন।খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও।আর তাতেই ধরা পড়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র।জেল চত্বর থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনার বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কারাগারের মধ্যে অস্ত্র গেলো কীভাবে?
জেলা প্রশাসন সেই কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করেছে। যাদের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।এটিকে গুরুতর ভুল বিবেচনা করে উক্ত ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত দুই শ্রেণির অফিসারের নথি বাতিল করা হয়েছে।পাঁচ শ্রেণির অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় কারাগার, ধানবাদে শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতার পরিপ্রেক্ষিতে, অন্যান্য কারাগার থেকে ৭টি শ্রেণির অফিসারকে মণ্ডল কারাগারে পোস্টিং করা হয়েছে।
ধানবাদ জেলে, জেলর মোহাম্মদ মুস্তাকিম আনসারিকে অবিলম্বে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাতরা মণ্ডল জেলের জেলারকে মণ্ডল জেল ধানবাদের জেলর পদে পদস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনা জেল সুপারিনটেনডেন্ট, ডিভিশনাল জেল ধানবাদ এবং জেলা প্রশাসক, জেল পরিদর্শক, রাঁচির নির্দেশের আলোকে মোট ২৩ আসামিকে রাজ্যের অন্যান্য জেলায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর জেলা পুলিস আদালতের কাছে অভিযুক্ত সুন্দর মাহাতোর রিমান্ড চেয়েছিল, যার প্রেক্ষিতে আদালত মোট ৫ দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হবে।
প্রতিবেশীর হাতে খুনের অভিযোগ একই পরিবারে দুই জনের। জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই দু'জনের। অভিযোগ ঘটনায় আহত আরও এক মহিলা। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস নামের ওই প্রতিবেশী। রবিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার নতুনচটি এলাকায়। বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আহত ওই মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, বাঁকুড়া নতুনচটি এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মথুর মোহন দত্তের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাসের। রবিবার সন্ধ্যায় সেই ঝামেলা বিশাল আকার নেয়। অভিযোগ, ঝামেলা চলাকালীন পিন্টু রুইদাস নামে ওই প্রতিবেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের পরিবারের সদস্য়ের উপর। এরপর খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মথুর বাবু ও তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে।
এরপর বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হল মথুর মোহন দত্ত ও তাঁর ছেলে শ্রীধর দত্তের। গুরুতর জখম অবস্থায় এখনও চিকিৎসাধীন মৃত মথুর বাবুর স্ত্রী। জমি সংক্রান্ত বিবাদ নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে রয়েছে এসএসকেএম-এ। কিন্তু হাসপাতালে থেকেও নেই তাঁর স্বস্তি। কারণ আদালতের নির্দেশেই তাঁর কেবিনে বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা। শুক্রবার ক্যামেরা লাগানো হলেও সম্ভবত শনিবারই কাজ করতে শুরু করবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উপর নজরদারি করা দুই সিসিক্যামেরা।
জানা গিয়েছে, এই দুই ক্যামেরার দুটি ফিড পাওয়া যাবে, একটি ফিডের লিঙ্ক জেল সুপারকে দিয়ে দেওয়া হবে। তার পাশাপাশি আরেকটি লিঙ্ক এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই ব্যবস্থায় সবসময়ের জন্য নজরদারি চালাতে পারবে জেল-ইডি। মূলত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনে কারা আসছেন বা কারাই বা ঘোরাফেরা করছেন। তৃতীয় ব্যক্তির ঘোরাফেরা বন্ধ করতে এই ব্যবস্থা।
সূত্রের খবর, এসএসকেএম-এ গিয়েও স্বস্তি নেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র। নগর দায়রা আদালতের নির্দেশ মতো শুক্রবার সকাল সকাল এসএসকেএম হাসপাতালে এসেছিলেন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের আধিকারিক এবং ক্যামেরা বিভাগের আধিকারিক। হাসপাতাল সুপারের সই নিয়েই সিসিটিভির নজরাধীন হন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। মূলত সারাদিন তিনি কী করছেন, প্রভাবশালী মানুষের প্রভাব কোথাও খাটছে না তো? এসব দেখতেই সিসিটিভির নজরাধীন হচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বলি থেকে টলিপাড়ায় এখন বিয়ের মরশুম! একের পর এক তারকারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন। টলিপাড়ায় স্বর্ণেন্দু-শ্রুতির পর, পরমব্রত-পিয়া, শ্রীপর্ণা-শুভদীপ বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। আর এবারে সন্দীপ্তা-সৌম্যর পালা। ৭ ডিসেম্বরই চার হাত এক হতে চলেছে সন্দীপ্তা-সৌম্যর। জানা গিয়েছে, ২ ডিসেম্বরই বাগদান পর্ব সারবেন তাঁরা। আর তার আগেই প্রিওয়েডিং ফটোশ্যুট করে ফেললেন তাঁরা। ছিমছাম পোশাকে নিজের কাছের মানুষের হাতে হাত রেখে তুললেন ছবি।
৭ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন টলি অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন। আর তার আগেই প্রিওয়েডিং শ্যুট সেরে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানালেন যে, সন্দীপ্তা সেই বিশেষ দিনটির জন্য কতটা উৎসুক। সন্দীপ্তা যে ছবিগুলো পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা গিয়েছে, কালো ব্লাউজ-মেরুন শাড়িতে সন্দীপ্তা আর কালো পঞ্জাবি-জিন্সের প্যান্টে হবু বর সৌম্য। এক ছবিতে দেখা গিয়েছে, সৌম্য বাহুডোরে হবু বউ সন্দীপ্তা। আবার আরও এক ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাতে হাত রেখে ছবি তুলেছেন তারকা যুগল। তাঁদের দু'জনের মুখে প্রাণ খোলা হাসি। ছবিগুলো পোস্ট করে সন্দীপ্তা লিখেছেন, 'জীবনে অনেক ৭ ডিসেম্বর কাটিয়েছি। তবে কখনও ভাবিনি এই ৭ ডিসেম্বরের জন্য এই রকমভাবে অপেক্ষা করব। সৌম্য রেডি তো?'
সন্দীপ্তা-সৌম্য ছবিগুলো দেখার পর থেকে কমেন্ট সেকশন ভরে গিয়েছে শুভেচ্ছায়। অনুরাগীরাও এখন সন্দীপ্তা-সৌম্যর বিয়ের ছবি দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায়।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) নিস্তার নেই এসএসকেএম হাসপাতালে থেকেও। বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতের নির্দেশ ছিল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হাসপাতালের ভিতরেও সর্বক্ষণ রাখতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন। যার একটি লিঙ্ক থাকবে ইডির কাছে। অপর লিঙ্ক থাকবে জেল সুপারের কাছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল সকাল শুরু সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রস্তুতি।
হাসপাতালের সুপার আসেননি। তবে আধিকারিকরা এসে উঠেও গেছেন কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিসিইউর ৫ নম্বর কেবিনে। সব মিলিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে নজরদারির ঘেরাটোপে রাখার জন্য, সবরকম প্রস্তুতি তুঙ্গে। এখন শুধু অপেক্ষা এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার পীযুষ রায়ের সইয়ের। তারপরেই ইডি করবে বালুর উপর নজরদারি। মূলত সারাদিন তিনি কী করছেন, প্রভাবশালী মানুষের প্রভাব কোথাও খাটছে না তো? এসব দেখতেই সিসিটিভির নজরাধীন হচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ১৪ দিনের মাথায় গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। মূল অভিযুক্তের পাশাপাশি আরও ৪ জনকে গ্রেফতার এদিন গ্রেফতার করেছে পুলিস। মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। চার ধৃতদের নাম আলি আকবর মণ্ডল, কাজি আনোয়ার হোসেন, শামসুদ্দিন মণ্ডল ও গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। প্রত্যেকেরই বাড়ি আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাডাঙা এলাকায়। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠায় আমডাঙা থানার পুলিস।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ নভেম্বর। এদিন সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজার এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে অভিযুক্তরা। বোমার আঘাতে রূপচাঁদের ডান হাত উড়ে যায়। এ ঘটনা টের পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওইদিন রাতেই মৃত্যু হয় রূপচাঁদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় আনোয়ার হোসেন নামে একজন। তার বেশ কয়েকদিন পর গ্রেফতার করা হয় আরেক অভিযুক্তকে। তবে অধরা ছিল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন।
অবশেষে গ্রেফতার করা হল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ ৪ জনকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আলি আকবর মণ্ডলই নাকি বোমা ছুঁড়েছিল রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এসএসকেএমে গিয়েও স্বস্তি মিলল না জ্যোতিপ্রিয়র। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে সর্বক্ষণের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন রাখার নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত। এদিন বিচারক জেল সুপারকে আরও নির্দেশ দেয় যে, ওই সিসিটিভি ফুটেজের লিংক দিতে হবে ইডির তদন্তকারী অফিসারকে। পাশাপাশি এই মামলার শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতে বিচারক শুভেন্দু সাহার বেঞ্চে শুনানির সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ আদালতকে জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবার জানেননা তিনি কেমন আছেন! তার সুগারের সমস্যা রয়েছে। কিডনি ৭৫% নষ্ট। এরপর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী আদালতের মাধ্যমে তাঁর স্বাস্থ্যের রিপোর্ট চেয়ে আবেদন করেন। যদিও জ্যোতিপ্রিয়র তরফে কোনও জামিনের আবেদন এদিন করা হয়নি। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী বলেন, 'আমরা তাঁর স্বাস্থ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি, এর পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওদিকে ইডির পক্ষে আইনজীবী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জেল হেফাজতের আবেদন জানান। এদিন ইডির আইনজীবী, ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের কাছে আবেদন করে, বর্তমান বনমন্ত্রী অর্থাৎ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাই হাসপাতালে অবাধ প্রবেশধিকার যাতে রোখা যায় সে বিষয়ে যেন আদালতের নজরদারি করেন। এ ছাড়া ইডির পক্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এ যাবৎ চিকিৎসার রিপোর্ট আদালতের মাধ্যমে পাওয়ার আবেদন জানানো হয়। এরপরেই আদালত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের উদ্দেশে নির্দেশ দেয়, হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বাইরের কেউ এসে যাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, সেটি দেখতে হবে। পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার এবং এসএসকেএম হাসপাতালে কী কী চিকিৎসা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
টলিউড থেকে বলিউড চারিদিকে বিয়ের মরশুম। এবারে আজ অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বলি অভিনেতা রণদীপ হুডা ও মডেল লিন লাইশরাম। মণিপুরের ইম্ফলে মণিপুরী রীতি মেনেই বিবাহ সম্পন্ন হল তাঁদের। সেই বিয়ের ছবিই এখন প্রকাশ্যে। এদিন রণদীপ এবং লিন দুজনকেই মণিপুরী পোশাকে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের বিয়ের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
কিছুদিন আগেই সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে রণদীপ হুডা জানিয়েছিলেন যে, তিনি ২৯ নভেম্বর দীর্ঘদিনের বান্ধবী লিন লাইশরামের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন। সেই মতই আজ তাঁদের মণিপুরী বিয়ে সম্পন্ন হল। জানা গিয়েছে, মেইতেই রীতি মেনে এই বিয়ে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাকি সব বলি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থেকে বিয়ের পোশাক একেবারেই আলাদা। কারণ মণিপুরী রীতি মেনে বিয়ে করায় তাঁদের পরনে দেখা গিয়েছে মণিপুরী ঐতিহ্যবাহী পোশাক। মণিপুরের সাবেকি সাদা পোশাক পরেই বিয়ে করতে বসেন অভিনেতা। কপালে ছিল তিলক, সঙ্গে মাথায় ছিল পাগড়ি। অন্যদিকে লিন লাইশরাম সাবেকি মণিপুরী সাজেই সেজে ছিলেন। গা ভর্তি সোনার গয়না।
সমাজমাধ্য়মে যে ভিডিওগুলো প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, মণিপুরী রীতি মেনে বিয়ে সারছেন তাঁরা। আবার এদিন বিয়ের আগে আশীর্বাদ নিতে ইপুধৌ মার্জিং খুবামলেন এবং ইম্ফলের শ্রী শ্রী গোবিন্দজী মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তারকা জুটি।
টলিপাড়ায় বিয়ের মরশুম! শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু, পরমব্রত-পিয়ার পর এবারে বিয়ের পিঁড়িতে টলিউডের ছোটপর্দার অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা রায় (Sriparna Roy)। 'গাঁটছড়া' খ্যাত 'রুক্মিনী' এবারে বাস্তব জীবনেও গাঁটছড়া বাঁধলেন। তবে স্বামী বিনোদন জগতের সঙ্গে একদমই জড়িত নয়, ডাক্তার পাত্র শুভদীপ ভট্টাচার্যর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন অভিনেত্রী। জানা যাচ্ছে, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজই করেছেন শ্রীপর্ণা। সম্প্রতি তাঁদের বিয়ের ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, সিঁথিতে সিঁদুর রাঙিয়ে দিতেই আদুরে চুম্বনে ভরিয়ে দিয়েছেন।
বিয়ের দিন শ্রীপর্ণা ও স্বামী শুভদীপকে পুরো বাঙালি সাজে দেখা গিয়েছে। লাল বেনারসিতে সেজেছেন গাঁটছড়ার রুক্মিণী, সঙ্গে ম্যাচিং লাল ব্লাউজ। গা ভর্তি সোনার গয়না, মাথায় লাল ওড়নায় টুকটুকে লাল বউ শ্রীপর্ণা। আর শুভদীপ মেরুন রংয়ের পাঞ্জাবিতে শ্রীপর্ণাকে বিয়ে করতে এসেছিলেন ডাক্তার বর। সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিতেই বউকে কাছে আদুরে চুম্বনে ভরিয়ে দেন শুভদীপ। শ্রীপর্ণা তখন লাজে রাঙা। এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি হতেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শ্রীপর্ণা ও শুভদীপের বিয়েতে ছিল এলাহি আয়োজন। বসেছিল চাঁদের হাট। টলিউড ছোটপর্দার প্রায় অনেককেই দেখা যায়। 'গাঁটছড়া'-র অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও এদিন উপস্থিত হয়েছিল ও নতুন বর-কনের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। জানা গিয়েছে, বিয়ের পর একেবারে 'হানিমুন' সেরেই শুটিংয়ে ফিরবেন শ্রীপর্ণা। হানিমুনে ভিয়েতনাম আর থাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নতুন বর-কনের।
নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির পাশাপাশি এবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থার আতস কাঁচের নীচে রয়েছে ১৪ টি পুরসভা। এই পুরসভাগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। যেগুলো খতিয়ে দেখেই এক এক করে এই পুরসভা গুলোর প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের তলব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল তদন্তকারী সংস্থা । আর তারপর থেকেই তদন্তকারী সংস্থা দফায় দফায় একাধিক পুরসভাতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই বাজেয়াপ্ত নথি থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক অক্ষর মিলেছে। যার রহস্যভেদের পর পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা নথিতে থাকা সি এইচ, এসবি, এম এম, এ সহ একাধিক সাংকেতিক শব্দের রহস্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর এরপরই ইডির নজরে রাজ্যের এক প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রীর নাম। যাঁর হাতে রয়েছে রাজ্যের একাধিক দফতর।
এর আগে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতার নাম সামনে এসেছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও কি উঠে আসতে পারে প্রভাবশালীদের নাম ? এই সাংকেতিক অক্ষরের আড়ালে কোন সংকেত লুকিয়ে রয়েছে, তার রহস্যভেদের চেষ্টা করছেন ইডির আধিকারিকরা।