
প্রায় দু'দশক পর বিশ্বকাপ ফাইনালে (World Cup Final 2023) মুখোমুখি হয়েছিল ইন্ডিয়া-অস্ট্রেলিয়া (IndvsAus)। কিন্তু এবারও বিশ্বকাপের ট্রফি জেতার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল হারতেই মাঠে কান্নায় ভেঙে পড়েন একাধিক ক্রিকেটার। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে, সাহস জোগাতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে গিয়ে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এমনকী মহম্মদ শামিকে নিজের বুকে টেনে নেন মোদী।
রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য প্রথম থেকেই ছিলেন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। ভারতের পরাজয়ের পর তাই তিনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে দেখা করেন। নমোর ড্রেসিংরুমে আসার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রবীন্দ্র জাডেজা। ভারতীয় অলরাউন্ডারের কথায়, সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ড্রেসিংরুমে প্রত্যেকের সঙ্গে হাত মেলান প্রধানমন্ত্রী।
We had a great tournament but we ended up short yesterday. We are all heartbroken but the support of our people is keeping us going. PM @narendramodi’s visit to the dressing room yesterday was special and very motivating. pic.twitter.com/q0la2X5wfU
— Ravindrasinh jadeja (@imjadeja) November 20, 2023
এর পর শামিকে বুকে টেনে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন শামি, জাদেজা-রা। শামি এক্স পোস্টে লেখেন, "গতকাল দিনটা আমাদের ছিল না। আমি সব ভারতীয়কে ধন্যবাদ দেব পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আমার ও আমাদের দলের পাশে থাকার জন্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে ড্রেসিংরুমে এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে মনোবল বাড়ালেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।"
জেলে আচমকা 'অসুস্থ' রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু)। রাতে প্রেসিডেন্সি জেলেই তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। সংশোধনাগারের পয়লা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের সাত নম্বর সেলেই একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার বন্দোবস্ত করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি বলে শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
“আমি এই সেলে থাকব না। আমাকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হোক।” জেলে দু’রাত কাটতে না কাটতেই এ ধরনের নানা বায়না জুড়ে দিয়েছিলেন ‘মন্ত্রী’ জ্যোতিপ্রিয়। এসএসকেএম যাওয়ার জন্যই কি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বালু? বিরোধীরা এমন প্রশ্নই তুলছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অসুস্থতার কারণে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি রাজ্যের মন্ত্রী। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। শুনানির শুরুতে বিচারক তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। বিয়াচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, 'কী সমস্যা হচ্ছে আপনার'। জ্যোতিপ্রিয় কাতর আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘‘স্যর, আমাকে বাঁচতে দিন।’’
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে শুক্রবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের আধিকারিকরা। তাঁরা বলেন, রেশন দুর্নীতি নিয়ে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে একাধিক অভিযোগ থাকলেও কোনও রকমের ব্যবস্থা নেননি তিনি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সব জানতেন রেশন দুর্নীতি নিয়ে। পুলিসের কাছে ভুরি ভুরি অভিযোগ এবং এফআইআর জমা হওয়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি খাদ্য দফতর তথা তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে আবারও হাজিরা দিলেন বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক। এই নিয়ে তৃতীয়বার তলব করা হল অপর্ণা মৌলিককে। ইডির তরফে অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতে ৫ই অক্টোবর দীর্ঘ ১০ ঘন্টা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা।
পাশাপাশি এদিন পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকেও তলব করা হয়। তিনিও ইডির দফতরে হাজিরা দেন। এলেন ইডি দপ্তরে। এই নিয়ে চতুর্থ বারের জন্য ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন প্রশান্ত চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি ও সিবিআই। বিগত কয়েকদিনে লাগাতার রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি ও সিবিআই-এর দল। অয়ন শীলের সূত্র ধরেই প্রথম প্রকাশ্যে আসে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি। এরপর তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় এই দুই এজেন্সি। তদন্তে নেমে সম্প্রতি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতেও হানা দেন সিবিআই কর্তারা। দীর্ঘ বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। পাশাপাশি মদন মিত্র-সহ তৃণমূলের আরও বেশকিছু প্রথম সারির নেতার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিটাঙ্কিতে এসএসবি-র ৪১ ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়ল পাকিস্তানি মা ও ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকেই দার্জিলিং জেলা পুলিশের খড়িবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিস ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর ১১ বছরের পুত্র সন্তানকে হোমে পাঠানো হয়েছে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতের কাছে। ইতিমধ্যেই খড়িবাড়ি থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শায়েস্তা হানিফ (৬২) ও আরিয়ান মহম্মদ হানিফ (১১)। বৃহস্পতিবার বিদেশি আইনে ওই মহিলাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে নেপালের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর ওপর নির্মিত এশিয়ান হাইওয়ে সেতু হয়ে শিলিগুড়ি বিভাগের খড়িবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিটাঙ্কিতে পৌঁছায় পাকিস্তানি মা-ছেলে। তল্লাশির সময় তাঁদের কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি উদ্ধার করে এসএসবি জওয়ানরা। এর পর তাঁদের দুজনকেই আটক করা হয়।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি মহিলা শায়েস্তা হানিফের আসল নাম গৌরী দে এবং তাঁর আদি বাড়ি অসমের শিলচরে।১৯৭৫-এর দিকে কর্মসূত্রে এই মহিলা মুম্বইতে যান। সেখানে এক পাকিস্তানি যুবক মোহম্মদ হানিফের সঙ্গে আলাপ হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিবাহে পরিণত পায় ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর মুম্বই থেকে তাঁরা পাকিস্তানের কারাচিতে চলে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর থাকার পর মোহম্মদ হানিফ কর্মসূত্রে সৌদি আরব যান এবং সেখানে স্বর্ণশিল্পীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সেখানেই তাঁরা বসবাস করছিলেন।ছেলেকে নিয়ে নিজের মাতৃভূমি ভারতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল গৌরীর।
ভারতের ভিসা না পাওয়ায় শায়েস্তা হানিফ উরফে গৌরী দে তিনি নেপালের ভিসা নিয়ে নেপালে আসেন। সেখান থেকে ভারত নেপাল বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। সেই সময় এসএসবি জাওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় মা ও ছেলেকে আটক করে এবং তল্লাশি করার পর তাঁর ব্যাগ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে এই পাকিস্তানি মা ও ছেলের সম্পর্ক কি সত্যিই সেই নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে পুলিসের পক্ষ থেকে।
পুলিসের মারে মৃত্যু হল এক পান ব্যবসায়ীর। এই অভিযোগে মেডিকেল কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জয়েন্ট সিপি রূপেশ কুমার। জানা গিয়েছে, মৃত ওই দোকানদার ব্যক্তির নাম অশোক সিং। অভিযোগ আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেলে একটি ঘটনার তদনের জন্য ওই ব্যক্তিকে থানায় ডাকা হয়। এরপর ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। অভিযোগ এর পর আহত অবস্থায় ওই দোকানদারকে মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এর পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘটনাস্থল।
সূত্রের খবর, মৃত ওই অশোক সিং একটি মোবাইল কেনে, ২ হাজার টাকার বিনিময়ে, অভিযোগ ওই মোবাইল টি চোরাই মোবাইল ছিল। ওই মোবাইল চুরির তদন্তে আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেলে থানায় ডাকা হয় ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ এরপরেই তদন্তের নামে ওই ব্যক্তিকে প্রচন্ড মারধর করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে পুলিশের মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি সিএন। অভিযোগ আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে মেডিকেল কলেজের সামনেই রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। যদিও এ ঘটনা সামাল দিতে ঘটনাস্থালে পৌঁচেচেন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত জ্যোতিপ্রিয়র আবদার ছিল তিনি মন্ত্রী, ফলত তিনি জেলে নয় এসএসকেএমে থাকবেন। যদিও সে প্রচেষ্টা বৃথা গেছে। এবার মন্ত্রী মশাইয়ের নতুন আবদার, 'আমার মোবাইল চাই।' বুধবার প্রেসিডেন্সি জেল কতৃপক্ষের কাছে এমন আবদার করেনা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মঙ্গলবারের মত বুধবারও তাঁর আবেদন কার্যত জেল কতৃপক্ষের কাছে গুরুত্ব পায়নি বলেই খবর। জানা গিয়েছে, জেল হেফাজতে এসেও তিনি বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের নাম করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। যদিও তাতে কোনও সুবিধা করে উঠতে পারেন নি তিনি। জেল হেফাজতে আসার পর থেকে মন্ত্রী মশাইয়ের আবদারে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন জেল কতৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মন্ত্রী মশাই স্পষ্ট বলেন, 'আমি মন্ত্রী, আমি জেলে থাকব কেন, আমি অসুস্থ, তাই এসএসকেএমে থাকবো।' এই আবদারে পরেই মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর মন্ত্রীকে সুস্থ বলেই জানানো হয়, ফলে তাঁর এসএসকেএম যাওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যায়। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার ফের জ্যোতিপ্রিয় জেল কতৃপক্ষের কাছে আবদার করেন, তাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিতে হবে, তাঁকে বাড়িতে কথা বলতে হবে, এমনকি তিনি জানান, তাঁকে তাঁর দফতরের লোকের সাথেও কথা বলতে হবে। যদিও তাঁর দাবিকে গ্রাহ্য দেওয়া হয়নি বলেই দাবি জেল কতৃপক্ষের।
ওদিকে, প্রেসিডেন্সি জেলের একই ওয়ার্ডে থাকা সত্ত্বেও জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে দেখা করতে নারাজ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল সূত্রে খবর, পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে ঢোকার সময় আপত্তি জানান প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীকে বোঝানোর জন্য তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার প্রস্তাব দেওয়া হয় জেলের তরফে। তাতে অনীহা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। পহেলা বাইশে দু'নম্বর সিলেট রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই পয়লা বাইশেই সাত নম্বর সেলে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, পহেলা বাইসের আরও দুটি ছেলে রয়েছে জীবনকৃষ্ণ ও মানিক।
উৎসবের মরশুমে শহর কলকাতায় ফের রহস্য মৃত্যু। মঙ্গলবার দুপুর বেলায় জগতপুর বাজার সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে বাগুইআটি থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, দেহটি পাওয়া যায় একটি ড্রামের ভিতর। যা দেখে হতবাক এলাকাবাসী সহ খোদ পুলিসও। একেবারে হাড়হিম করা কাণ্ড! ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য জগতপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, জগতপুর এলাকায় বাজার সংলগ্ন ডাক্তার গোপাল মুখার্জির বাড়ি। সেই বাড়ির বাথরুমে ড্রামের মধ্যে থেকে সম্ভবত এক মহিলার পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়। ড্রামের মুখ সিমেন্ট দিয়ে আটকানো ছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। মহিলার নাম পরিচয় জানা যায়নি। এরকম অবাক করা ঘটনার সাক্ষী এর আগে জগতপুর থাকেনি। জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক ডাক্তার গোপাল মুখার্জি ভাড়া দেওয়া বাড়ি পরিষ্কার করতে এসে পচা গন্ধ পান। এর পর বাগুইআটি থানায় যান তিনি। এর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগর পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না কী ঘটেছে। ঘটনাস্থলে এসে তৎপর বাগুইআটি থানার পুলিস। দেহটিকে কালো প্লাস্টিকে মুড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালের উদ্দেশে। এরপর এই রহস্যময় ঘটনা নিয়ে তদন্ত হয় কিনা, হলেও তা কোন দিকে এগোয়, কোনও খুনির নাম এই ঘটনায় প্রকাশ্যে আসে কিনা, সেটাই দেখার।
সম্পত্তি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতারের পর থেকেই আদালত থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর থেকেই নিজেকে অসুস্থ প্রমান করার চেষ্টা করছেন তিনি। এবার আদালত তাঁকে জেল হেফাজত দেন। এরপর প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে তাঁর নতুন আবদার তিনি অসুস্থ তাই তিনি জেলে নয় এসএসকেএম হাসপাতালে থাকতে চান।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের তিনি বলেন,'আমি হয়ত মরে যাবো। আমি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ছি।' অসুস্থতার দোহাই দিয়ে তিনি আদালতে জামিনের চেষ্টাও করেন। কিন্তু আদালত তাঁকে জামিন না দিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। কিন্তু জেলে গিয়ে মন্ত্রী নতুন আবদার শুরু হয়। সূত্রের খবর, জেলে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নতুন আবদার আমি রাজ্যের মন্ত্রী তাই রাজ্যের জেলে থাকবো না। আমাকে এসএসকেএম-এ পাঠানো হোক। আমি অসুস্থ আমার বাঁ দিক প্যারালাইসিস হয়ে গেছে। যদিও এর পরেই তাকে জেল আধিকারিকরা নিয়ে যান জেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে সুস্থ বলে জানিয়ে দেয়। এছাড়া জেল কতৃপক্ষ মন্ত্রীকে আরও জানায়, আপনি সুস্থ আপনার আর অন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই তাই আপনাকে সেলেই থাকতে হবে।
উৎসবের মরশুমে শহর কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড। এবারে আগুন লাগল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্টের একটি ল্যাবরেটরিতে বিকেল সাড়ে ৫:৩০ টা নাগাদ আগুন লাগে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে দমকল। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১ নম্বর গেটের কাছে এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের চারতলায় এইচআইভি চিকিৎসার আউটডোরে আগুন দেখা যায়। আগুন লাগার পরই ফায়ার অ্যালার্ম বাজে ও তারপরই আগুন লাগার কথা জানতে পারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। হতাহতের কোনও খবর নেই এবং যে মুহূর্তে আগুন লাগে সেই সময় সেই বিভাগে কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে আগুন লেগেছে, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই জানা যাবে।
দমকলের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে, শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগে থাকতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুন লাগার পর হাসপাতাল পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। তবে কীভাবে লাগল এই আগুন, তার তদন্তে কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।
সুজয় কৃষ্ণকে নিয়ে মহা ফাঁফরে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির হাতে গ্রেফতার হয় কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। এরপরে সময় যত এগিয়েছে কালীঘাটের কাকুর সমন্ধে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ অবস্থায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে রীতিমত ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে ইডিকে। জানা গিয়েছে, ফলস্বরূপ কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে এবার আইনি পথে হাটতে পারে ইডির কর্তারা।
সূত্রের খবর, সুজয় কৃষ্ণ অর্থাৎ কালিঘাটের কাকুকে গ্রেফতারের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে এসএসকেমে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর বাইপাস সার্জারি করা হয়। এরপর থেকেই এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। যদিও এতদিন পরেও কেন কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে বেগ পেতে হচ্ছে ইডিকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছেন, ইতিমধ্যেই, কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য জনিত সমস্ত খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে ইডির আধিকারিকরা। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ইডির তরফে এসএসকেএমের কাছে মেইল মারফত জানতে চাওয়া হয়েছে, কি কি চিকিৎসা করতে করা হচ্ছে সুজয় কৃষ্ণের, পাশাপাশি ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেমন আছে সুজয় কৃষ্ণ?
জানা গিয়েছে, এর পরিপেক্ষিতে উত্তর দিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, তারাই একমাত্র বলতে পারবে তার বর্তমান পরিস্থিতির সম্পর্কে। এখন দেখার মেডিকেল টিমের রিপোর্ট কি হয়। যদিও কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে পূর্বে এসএসকেএমকে চিঠিও দিয়েছিল ইডি। পাশাপাশি ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিকেল টিমের উত্তর এলে আগামী দিনে আইনিপথে হাঁটতে পারে ইডি।
গরুর হাটে যাওয়ার পথে মারধর করে টাকা ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীর দল। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ গোঘাটের বেলডিহা গ্রামে। অভিযোগ, পথ আটকে মুখে কাপড় বেঁধে জোর করে পকেট থেকে টাকা বের করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনায় আহত দুই ব্যক্তির নাম শেখ আসগর আলি ও শেখ মফিজুল আলি। এদের মধ্যে আসগর আলিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, এদিন সকালে আসগর ও মফিজুল নামে ওই দুজন গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের পথ আটকে বাইক থামানো হয়। এরপর তাঁদের জোর করে বাইক থেকে নামিয়ে যা আছে তা দিয়ে দিতে বলা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বেড়ধক মারধর করার অভিযোগ উঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তির কাছে তিন লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ছিল। তা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় দুষ্কৃতীদের বাঁধা দেয় দুজনে। তখনই তাঁদের বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, সব টাকা পয়াসা লুঠ করে রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আহতের পরিবার থেকে গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোঘাট থানার পুলিস।
শিক্ষকতার পাঠ দেওয়া রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের সরকারি অনুমোদন আপাতত বাতিল। এই কলেজগুলির পুনর্নবীকরণ হবে না বলেও জানিয়ে দিল রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।
এই কলেজ চালানোর জন্য কেন্দ্রের নির্দেশিকার নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি আছে। তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে রাজ্যের বিআর আম্বেদকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আগাম সতর্ক করা হলেও তা মানেনি অধিকাংশ কলেজ। তাই কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল হয়েছে। এই মুহূর্তে অনিশ্চয়তার মুখে শিক্ষক হতে চাওয়া হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ।
রাজ্যে বিএডি প্রশিক্ষণ দেওয়া সরকারি কলেজের সংখ্যা মাত্র ২৪টি। তুলনায় বেসরকারি কলেজের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। প্রায় ৬০০ বেসরকারি কলেজে প্রশিক্ষণ নেন লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী। এই সিদ্ধান্ত অনেকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
ইডির জেরা নিয়ে ফের বিস্ফোরক সুর তৃনমুল সেনাপতি অভিষেকের গলায়। তোপ দাগেন বিজেপি ও ইডির বিরুদ্ধে। শুক্রবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের অন্তর্গত ফলতার ফতেপুর মাঠে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ছিল অভিষেকের। সেখানেই অভিষেকের স্পষ্ট দাবি, 'আমি অন্য ধাতুর জিনিস।' এদিন তিনি আরও বলেন, '৩৬ মাস আগে আমি যে কথা বলেছিলাম, আজকেও আমি তাতে অনড়। এক পয়সা দুর্নীতির অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ করতে পারবে না।'
ফলতায় অভিষেক অভিযোগ করেন, কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে ছুঁতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ডাকাডাকি করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমি নির্দোষ ছিলাম, সে কারণেই শীর্ষ আদালত ওই মামলায় আমাকে রাখা কবচ দেয়। পাশাপাশি এদিন ইডিকে টার্গেট করে অভিষেক বলেন, ' কোনও মামলায় আমাকে কিছু করতে না পেরে, আমার স্ত্রী, বাবা, মা, কাউকে বাদ দিচ্ছে না। আমি আবার বলছি। আমার অবস্থান এক। আমার বিরুদ্ধে এক পয়সার দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। গলা কেটে দিলেও তৃণমূল জিন্দাবাদ আর জয় বাংলা বার হবে।’
শুক্রবার তিনি বাদ দেন নি বিজেপিকেও। বিজেপিকে টার্গেট করে অভিষেক বলেন, 'কোনও কিছুতেই তৃণমূলের সঙ্গে পেরে উঠছে না, সে জন্যই বিজেপি ইডির মাধ্যমে, বা কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে আমাকে টার্গেট করছে।' পাশাপাশি অভিষেক বলেন, '২০১৯ সালে বিজেপির দিল্লির নেতারা এসে বলেছিল, আমতলায় আমার সাংসদ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেবে। সেই কার্যালয় মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আজও খোলা রয়েছে। কিন্তু বিজেপি কোনও পার্টি অফিস করতে পারেনি। নেতাদের এসে হোটেল বা গেস্ট হাউসে বৈঠক করতে হয়।'
কালীপুজো উপলক্ষে বিশেষ মেট্রো পরিষেবার ঘোষণা কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১২ অক্টবর বুধবার মেট্রোর প্রথম এবং শেষ পরিষেবার সময়সূচি জানানো হয়েছে।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রকাশিত সময়সারণিতে জানানো হয়েছে, ১২ অক্টোবর, কালীপুজোর দিন স্বাভাবিক মেট্রো সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রো চলবে। কেবল কালীপুজোর রাতে ভক্তদের দক্ষিণেশ্বর এবং কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার সুবিধার্থে উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে দুটি বিশেষ পরিষেবা পরিষেবা চালাবে মেট্রো। রাত ১০ টায় কবি সুভাষ ও দক্ষিনেশ্বর থেকে ছাড়বে এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবা।একটি যাবে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। এই পরিষেবা দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে পৌঁছাবে ১১:০৩-এ। আরেকটি যাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত। আর মেট্রো কবি সুভাষে পৌঁছবে রাত ১১:০১ মিনিটে। যাত্রাপথে মধ্যবর্তী সব ক’টি স্টেশনে থামবে এই স্পেশাল মেট্রোগুলি। ফলে পুজোর দিন রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে আর চিন্তা থাকছে না আপনার।
ফের বোমা বিস্ফোরণ উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির একটি বাড়িতে। ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে জানলার কাচ ভেঙে যায়, গোটা পাড়া কার্যত কেঁপে ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে রাখে তারা। ওই বাড়ি থেকে অনেকগুলি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে পানিহাটি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তেজপাল এলাকার একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান এলাকাবাসীরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন বাড়ির ভিতরে ওই বাড়িরই মালিক অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর নাম জিতেন্দ্র গুপ্ত। তাঁর একটি হাত সম্পূর্ণভাবে উড়ে গিয়েছে। প্রথমে তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
যদিও ওই বাড়িতে কীভাবে বোমা এল সেই নিয়ে ধ্বন্দে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাথমিক ধারণা, বাইরে থেকে এনে ওই বাড়িতে প্রচুর বোমা মজুত করে রাখা ছিল। কোনও কারণে সেগুলি ফেটে যায়।