গার্ডেনরিচকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে তৎপর কলকাতা পুর সংস্থা। সংস্থার সব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ শুরু করতে চলেছে পুর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, বেআইনি নির্মাণ আটকাতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, আইনি নোটিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পদ্ধতি নিয়ে দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ।
ইতিমধ্যে গার্ডেনরিচে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে শুরু হয়েছে পুরসভা ও আবাসিকদের মধ্যে টানাপোড়েন। ইতিমধ্যে আবাসিকরা দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে। আগামী সোমবার রয়েছে এই মামলার শুনানি। কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিসের তরফে তৈরি করা হয়েছে, গার্ডেনরিচে গজিয়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণের তালিকা। সেই তালিকা ধরেই কলকাতা পুরসভা আগামীদিনে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করবে। একই সঙ্গে পুনর্বাসন নিয়েও ভাবনা রয়েছে কলকাতা পুরসভার।
অন্য়দিকে গার্ডেনরিচকাণ্ডের পর বেআইনি নির্মাণ ভাঙার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল প্রশাসন। এবার গার্ডেনরিচের একটি বেআইনি বহুতল ভাঙার কাজে হাত দিল প্রশাসন। যদিও কোনওরকম নোটিশ ছাড়া বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায় গার্ডেনরিচে। যা নিয়ে বেআইনি বহুতলের আবাসিকরা বিক্ষোভও দেখান।
ইতিমধ্যে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। ভোটের আগেই শহর কলকাতায় উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল নোট। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, এক ব্যবসায়ীর অফিস থেকে ৫৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ২দিন তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ টাকা। কী কারণে এত টাকা সে তার অফিসে রেখেছিল তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি এই ব্যবসায়ী।
জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী ছাতু প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিক। সে কেন এত টাকা মজুদ রেখেছিল তার কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি ব্যবসায়ী। গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে আয়কর দফতর।
আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আগেই ছিল। সেই বিষয়ে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে অফিসের ২ জায়গা থেকে ৫৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ১৪ ঘণ্টার তল্লাশিতে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪১ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মন্ত্রীর ফোন। বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর।
যদিও মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে দাবি, তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র উদ্ধার হওয়া টাকা, মোবাইল ফোনের সমস্ত রকম ডিটেলস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইডির তরফে। সেকারণেই বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার একজন প্রতিনিধিকে সমস্ত নথি-সহ পাঠানো হয় সিজিও-তে। তবে মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, যদি তাঁকে সশরীরে ডাকা হয় ইডির তরফে তাহলে তিনি অবশ্যই হাজিরা দেবেন। আপাতত নিজের বোলপুরের বাড়িতেই রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বলাগড়ের বহিঃস্কৃত এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এই সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তারপরের খবর তো সবারই জানা। এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেই নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যেভাবে একের পর এক নেতা- কর্মীর নাম দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে তাতে আখেরে যে শাসকদলের মুখ পুড়ছে তা বলাই বাহুল্য।
প্রকাশ্য রাস্তায় খুনের ঘটনায় দিনের পর দিন বাড়াচ্ছে মানুষের আতঙ্ক। এবার ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল খাস শহর কলকাতার বুকে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। খুন করা হয় বছর ২৬-এর যুবক, ফুটপাতে বসবাসকারী সঞ্জয় মল্লিককে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সুমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অভিযোগ, আমচকা একটি ভারী পাথর দিয়ে সঞ্জয়ের মাথায় আঘাত করে সুমিত। গুরুতর জখম হন সঞ্জয়। ঘুমের মধ্যে লাঘাতার মাথায় আঘাত হওয়ায় তা ভয়ানক রূপ নেয়। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা আসেন, সঙ্গে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিসরাও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় আতঙ্কিত অন্যান্য ফুটপাত বাসিন্দারাও।
যদিও পুলিস সূত্রে খবর, রাতেই পুলিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সুমিতকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুমিত অ্যাপ ক্যাবে করে সেখানে আসে। এসে আঘাত হানে সঞ্জয়ের ওপর। কেন এই খুন? নেপথ্য কাহিনী কী? বের হবে তদন্তে। তবে, কলকাতার মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো ব্যস্ততম জায়গায় প্রকাশ্যে এমন খুন, কলকাতাবাসীর নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিয়ে ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ে অকালে বলি হয়েছে বহু প্রাণ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গঠন হয়েছে কলকাতা পুরসংস্থার তদন্ত কমিটি। শুরু হয়েছে তদন্ত।
মঙ্গলবার পুরসভার যুগ্ম কমিশনার জয়ন্ত তাঁতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি আজহার মোল্লা বাগানে সাইট পরিদর্শন করে। তদন্তে ছিলেন, ডিসি পোর্ট, ওসি গার্ডেন রিচ সহ ডিজি সিভিল, সিএমই এসডব্লিউএম, ডিজি রোডস, ডিজি বিল্ডিং, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, মৃৎ ও স্থাপত্য বিভাগের ৩ জন বিশেষজ্ঞও।
বিশেষজ্ঞরা বিপর্যয়স্থলের লোহা, কংক্রিটের কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ সহ, ধ্বংসের পিছনে ঠিক কী কারণ, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন। চিহ্নিত করা হয়েছে মাটি পরীক্ষার বোরিং স্পটও। নিরাপত্তা পয়েন্টে কিছু সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়ে, সেখানে ধ্বংসের কাজ পর্যবেক্ষণ করা হয়। নিরাপত্তার কারণেই ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের ঘটনাস্থলে বা ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে না যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এছাড়াও প্রোমোটারদের দ্বারা, কোন ধরনের পরিকল্পনা ব্যবহার করা হয়েছিল বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে, তাও অনুসন্ধান করছে পুলিস কর্তৃপক্ষ। পার্শ্ববর্তী কাঁচা বাড়ি এবং সম্পত্তির ক্ষতির মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছে তদন্ত কমিটি। যদিও একারণে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার ফের জমির বিবরণ যাচাই তদন্ত কমিটির। এছাড়াও ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষজ্ঞরা সাইট থেকে কংক্রিটের নমুনা সংগ্রহ করেন বলে সূত্রের খবর। তবে, বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ২দিনের মধ্যে দুর্ঘটনাস্থল ফের পরিদর্শন করা হতে পারে বলে কলকাতা পুরসংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে।
এখন দেখার বিষয় একটাই যে, এই তদন্ত কমিটির হাতে ঠিক কী কী তথ্য উঠে আসে? প্রশাসনিক গাফিলতির জেরে ফের অকালে বলি হবেন না তো বাংলার মানুষ? রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার দায়ভার নিয়ে ছেলেখেলা চলবে না তো? যদিও প্রশ্নগুলো জানা থাকলেও বরাবরের মতোই অজানা এর উত্তর।
গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ে আরও একজনের মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। শনিবার কলকাতার এসএসকেএমে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধার।
সরকারি নথি অনুযায়ী গার্ডেনরিচের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬ জন জখম বাসিন্দা। তাঁর মধ্যে রয়েছেন, মহম্মদ হায়দার (২৪), রিজওয়ানা খাতুন (৩৫), মহম্মদ জানু (৩৫), সবিয়া পারভিন (১৯), সারিকা বেগম (২৬) এবং নমিতা পাত্র (৪০)।
গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে রেড জোনে রয়েছেন যে ৩ জন তাঁর মধ্যে রয়েছেন, মুসরত জাহান (৩৫), মঈনুল হক (২৩) এবং মহম্মদ সহিলউদ্দিন(২১)।
তবে এই এই বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছিল পুরসভার ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে। শোকজ জবাবে ইঞ্জিনিয়ারদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট নয় পুরসভা। শোকজের এই জবাবে ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হচ্ছে তিন ইঞ্জিনিয়ার, শুভম ভট্টাচার্য, দেবব্রত ঘোষ, এবং দেবাদিত্য পালের বিরুদ্ধে।
এখন দেখার বিষয় যে গার্ডেনরিচের ঘটনায় গঠিত ৭ সদস্যের কমিটির ওই রিপোর্টে কী তথ্য উঠে আসে। শুধুই কি ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতি নাকি নেপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাত? এই উত্তর তো বলবে সময়। কিন্তু এই মৃত্যু মিছিল পুনরায় ঘটবে না তো? প্রশাসনের হুঁশ আদৌ ফিরবে তো? নাকি ভোট পেরোলেই আবার যেই কী সেই? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। শুক্রবার সকালে থেকে কলকাতায় চলছে ইডির ম্য়ারাথন তল্লাশি। লেকটাউন সহ ৫ জায়গায় চলছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন চেতলায় বিশ্বরূপ বসু নামক এক ব্য়বসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরিবহন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার 'মিডলম্য়ান' অর্থাৎ প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ এই বিশ্বরূপ বসু।
ইডি সূত্রে খবর, এদিন চেতলার ১৭৮ নম্বর পিয়ারী মোহন রায় রোডের বাড়িতে ছিলেন না বিশ্বরুপ বসু। সেখানে তাঁর দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্য়মে জানা যায়, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন বিশ্বরূপ বসু। অন্যদিকে চেতলা লকগেটের কাছে বিশ্বরূপ বসুর আরেকটি ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে। যদিও সেই ফ্ল্যাটটি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। সেখানেও তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে পাওয়া গিয়েছে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকেরা। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর প্রসন্ন কুমার-এর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বরূপ বসুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা।
এরপর প্রসন্ন কুমার রায়ের সূত্র ধরে এস কে ঝুনঝুনওয়ালা ওরফে সত্যেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার সন্ধান পান ইডি আধিকারিকেরা। এদিন সকালে ইডি আধিকারিকেরা তাঁর লেকটাউন বিরাটি অঞ্চলের বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে তাঁকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে নিয়ে তাঁর ভাই বীরেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার বাড়ি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিরাটি ৪ নম্বর মহাজাতি অঞ্চলের গৌরীপুর রোডের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। সকাল ন'টা থেকে সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের অ্য়াকশন মুডে ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের নানান জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বালিগঞ্জ, পার্কস্ট্রিট সহ বিভিন্ন জায়গায় এদিন তল্লাশি শুরু করেছে ইডি।
সূত্রের খবর, মহেশ কেজরিওয়াল নামে এক ব্য়বসায়ীর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে ইডির। কয়লা মাইনিং সেক্টরে ট্রান্সপোর্ট-এর কাজ করতেন ওই ব্যবসায়ী। ফরেনএক্সচেঞ্জ মানি ট্রানজাকশন অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা পাচার মামলায় এই তল্লাশি। যার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর, দুবাই সহ বিভিন্ন জায়গায় মানি এক্সচেঞ্জ করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক সংস্থার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ওই ব্যক্তি।
গত পাঁচ মাস আগে এই মহেশ কেজরিওয়াল-এর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ড-এর মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তখন কয়লা ও পাথরের মামলার তদন্তে নাম ওঠে এই মহেশ কেজরিওয়াল-এর।
কলকাতার আরও একটি বেআইনি নির্মাণকে জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ করে দু- লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। বেআইনি নির্মাণগুলির ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট যে চরম পদক্ষেপের পথে হাঁটছে তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কলকাতার নন্দীবাগান এলাকায় একটি বেআইনি নির্মাণে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দ্বিগুণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। এর আগে ওই বেআইনি নির্মাণের জন্য প্রোমোটারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। বুধবার সেই অঙ্ক বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করেছেন বিচারপতি সিনহা।
কিন্তু কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে ঠিক এমন নির্দেশ? কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বোরোর ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দীবাগান এলাকায় কোনরকম অনুমতি ছাড়া একটি তিন তলার বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠেছিল। নজরে আসতেই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু পুরসভায় পাল্টা ওই বেআইনি নির্মাণকে আইনি অনুমোদন দেওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছিলেন প্রোমোটার। তাতে কাজ না হওয়ায় পরে প্রমোটার নিজেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর আবেদন ছিল নির্মাণটিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু বিচারপতি সিনহা তাতে কোন আমল দেননি। উল্টে প্রোমোটার কে ১৮ মার্চের মধ্যে জরিমানা বাবদ এক লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কিন্তু সেই নির্দেশ পালন না করে পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রোমোটার। যেহেতু সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি তাই বুধবার বিচারপতি সিনহার কাছে জরিমানার অঙ্ক জমা দেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় চান প্রোমোটারের আইনজীবী। আর এতেই চটে যান বিচারপতি। তিনি বলেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি এবং ইচ্ছাকৃত জরিমানা এড়ানোর জন্য ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রোমোটার। চূড়ান্ত সাহসিকতার কাজ করছে প্রোমোটার। তাই তাকে এবার দ্বিগুণ জরিমানা দিতে হবে। এরপরই বিচারপতি নির্দেশে জানিয়ে দেন, ২২ মার্চের মধ্যে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে ওই প্রোমোটারকে। ২৭ মার্চ তার রশিদ জমা দিতে হবে আদালতে। সেইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সকালে ২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছে বলে খবর। প্রতিবেদবন লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, রাজ্য বিপর্যট মোকাবিলা দল, দমকল, পুলিস এক যোগে উদ্ধারকাজ করছে।
গভীর রাতে গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর পুরএলাকায় হঠাৎই একটি নির্মীয়মান বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপরে। সকলেই প্রায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন সেসময়। রমজান মাসের কারণে তাড়াতাড়িই এলাকার বাসিন্দারা ঘুমিয়ে পড়েন। কারণ ভোর থেকে আবার শুরু হয়ে যায় রমজানের উপবাস। তার মাঝে হঠাৎ এই ঘটনায় রীতিমতো চমকে গিয়েছিলেন বাসিন্দারা।
ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকাজ শুরু হতে দেরি হয়। রাতের অন্ধকারেই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ১৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মাঝে যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদের অক্সিজেন স্যালাইন পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে সকালেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেয়র ফিহাদ হাকিম এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিম এবং মুখ্যমন্ত্রী দুজনেই মেনে নিয়েছেন বেআইনি নির্মাণের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। মেয়রের নিজের এলাকায় বেআইনি নির্মাণ ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ব্যান্ডেজ মাথায় নিয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং দোষীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের এক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করা হয়।
মাঝরাতে গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনা। সকাল হতেই মাথায় ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ৯টার একটু পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে যান গার্ডেনরিচের ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনের ওই এলাকায়। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই এলাকা পরিদর্শন করেন। দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। মৃতদের পরিবার পিছু ৫লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসায় ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। রাতেই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”রমজান মাসে এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমরা সকলে অত্যন্ত মর্মাহত। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা এটা এবং বেআইনি কাজের জন্য এই ঘটনা ঘটল। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া অ্য়াকশন নেওয়া হোক। উদ্ধারকাজ দ্রুত হচ্ছে।”
সাতসকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন বেআইনি ভাবে তৈরি করা হচ্ছিল বহুতল সেকারণেই এই ঘটনা।
মেয়র জানিয়েছেন, কোনও অনুমতি না নিয়েই প্রমোটার বহুতলটি নির্মাণ করছিল। পুরো ঘটনার তদন্ত হবে। তবে আগে ঘটনাস্থল থেকে আটকে থাকাদের উদ্ধার করা জরুরি। কিন্তু কীভাবে পুরসভার নজর এড়িয়ে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে গার্ডেনরিচ মেয়রের নিজের এলাকা। সেখানে এই ধরনের ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
ফিরহাদ হাকিম বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে উদ্ধারকাজ আগে শেষ করতে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। কিন্তু ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় সেখানে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের পৌঁছতে সময় লেগেছে। স্থানীয়রাই উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছিল। মেয়র ফিরহাদ হাকিম আরও জানিয়েছেন, বাম আমল থেকেই বেআইনি ভাবে নির্মাণ শুরু হয়েছিল এলাকায়। এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে পরিস্থিতি। তারপরেও কোন গলিতে কে বেআইনিভাবে নির্মাণ করছে তা বোঝা অত্যন্ত কঠিন। দোতলার অনুমোদন নিয়ে পাঁচ তলা বাড়ি বানানো হচ্ছিল। সেকারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
মধ্যরাতে শহর কলকাতার বুকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে বিপত্তি। ঝুপড়ির উপরে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান বহুতলটি। কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও অবধি জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। তাদের মধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন। ২ জন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। অনেকেই বহুতলের ভিতরে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা। রাত থেকেই চলছে উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যে ঘটনায় প্রমোটারদের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
হঠাৎ করে মধ্যরাতে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে দুর্ঘটনা। গোটা শহর যখন ঘুমন্ত ঠিক তখনই হুড়মুড়িয়ে একটি নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপরে। ঝুপড়িতে সেসময় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন সকলে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ২ জন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত হয়েছেন বহু।
ইতিমধ্যেই দমকল এবং পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ২ জনকে উদ্ধার করে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত ২ জনেই মহিলা বলে জানা গিয়েছে। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পুরোটাই বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেকারণে তাঁরা সেটা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। স্থানীয়রা চারতলার পরের কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাসিন্দাদের কথায় কর্ণপাত না করেই নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিলেন প্রমোটার এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। এনডিআরএফও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। বহুতল লাগোয়া কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়রা মেয়রকে সামনে পেয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
ফের অবৈধভাবে বালি চুরির অভিযোগ উঠেছে রাজ্য়ে। মহানন্দা নদী থেকে বালি চুরি করতে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। আর সেই সময় বাধা দিতে গেলে গ্রামবাসীদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় আহত সাতজন। অভিযোগ, বালি চুরিতে বাধা দিলে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় গ্রামবাসীদের। পাঁচজনের মাথা ফেটে যায় লাঠির আঘাতে। বর্তমানে তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাস্থলে থাকা জেসিবি চালক এবং জেসিবিটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে মহানন্দা নদী থেকে মাটি মাফিয়ারা পাচারের জন্য় জেসিবির মাধ্যমে নদী থেকে বালি কেটে পাচার করছিল। খবর পেয়ে মিনি ঢাকপাড়া গ্রামের বেশ কিছু গ্রামবাসী ছুটে যায় সেখানে। এরপর শুরু হয় বালি মাফিয়া ও গ্রামবাসীদের মধ্যে হাতাহাতি। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর থানার পুলিসকে। তবে ঘটনাস্থলে পুলিস আসার আগেই বালিমাফিয়া ও গ্রামবাসীদের মধ্যে শুরু হয় মারধর।
অভিযোগ, বচসার জেরে গ্রামের বেশ কয়েকজনকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। যার জেরে পাঁচ জন ব্যক্তির মাথা ফেটে যায় এবং আরও বেশ কিছু ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। অবশেষে আহতদের বিধাননগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এবং সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই আহত পাঁচজনের মধ্যে থেকে তিন জনের অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওই গাড়িগুলি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের গ্যারেজে রাখা ছিল।
সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলির মধ্যে একটি শেখ শাহজাহানের, একটি গাড়ি তাঁর ভাইযের এবং অপর গাড়িটি এক ব্যবসায়ীর। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোসলেম শেখকে তলব করে ইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। সেখানে তাঁকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে পরপর ঘটনাক্রম কী, তা অজানা কারোও নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে রেশন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গতি পায় তদন্তে। এরপর বালুর সূত্র ধরে শঙ্কর আঢ্য, শেখ শাহজাহান। এমন পরিস্থিতিতেই হঠাৎ কলকাতা পুলিস তৎপর হয়ে উঠল রেশন দুর্নীতি নিয়ে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যেই লালবাজারকে, কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত প্রত্যেক ডেপুটি কমিশনারকে তথ্য দিয়ে জানাতে হবে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কত অভিযোগ জমা পড়েছে? সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? এই সবটা শুক্রবারের মধ্যেই জানতে চায় লালবাজার।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর বর্তমানে তদন্তাধীন, তখন হঠাৎ কলকাতা পুলিস কেন সে সংক্রান্ত অভিযোগ দেখতে তৎপর হয়ে উঠল? এর নেপথ্যে কোন উদ্দেশ্য কাজ করছে রাজ্য পুলিসের- তারই হদিশ খুঁজছে ওয়াকিবহল মহল। বিরোধী মহলের দাবি, আবার বড় কোনও লিঙ্ক কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে আসার আগেই ঢেকে দেওয়ার জন্য পুলিসের এই চাল নয় তো?