কয়লা-কাণ্ডে (Coal CAse) এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা (IPS in Bengal)। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED)। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। ইডি যখন তদন্তের গতি বাড়াতে কয়লা পাচার-কাণ্ডে কোমর বাঁধছে, তখন গোরু পাচার-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে তাঁর বাড়ি এবং অফিসে চলেছে তল্লাশি।
বুধবার অনুব্রতকে দশমবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এ নিয়ে মোট ৯ বার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তারপরেই এদিন সকালে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতির বোলপুরের বাড়ি ঘিরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সিবিআই।
নেতামন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় বিরোধীদের তরফে কাঠগড়ায় তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রী (TMC Leaders)। এবার সেই আক্রমণ ভোঁতা করতে পাল্টা আসরে রাজ্যের শাসক দল। এই জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্ট (Pil in High court) রায়ের অর্ধেক অংশ তুলে ধরা হচ্ছে প্রচার মাধ্যমে। পুরো কোর্ট অর্ডারে উল্লেখ আছে, বাম-কংগ্রেস (Left-Congress) নেতাদের নামও। যাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও পর্যবেক্ষণ রয়েছে হাইকোর্টের। আর সেই তালিকায় নাম আছে সূর্যকান্ত মিশ্র, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য এবং অধীর চৌধুরীর মতো বিরোধী দলের নেতারা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
যদিও তৃণমূলের তরফে তোলা এই অভিযোগ খণ্ডন করেছেন অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা পার্টিকে বেতনের টাকা দিই, তার বিনিময়ে পার্টি আমাদের একটা লেভি দেয়। আমাদের ব্যক্তিগত কোনও রোজগার নেই। আর ওরা একটা সিআইডি তদন্ত করুক, তাতেই বেড়িয়ে যাবে আমার কত সম্পত্তি বেড়েছে। ব্রাত্য বসু একদম নতুন ওর অনেক আয়ের উৎস।'
তিনি জানান, তৃণমূল মানে সবাই চোর। পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোর। বাম জমানার অপর এক মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব, 'কোর্ট কি এই নামগুলো বলেছে? তাহলে চোরেদের পার্টি কী অভিযোগ করল, তার জবাব কেন দেব? সিপিএম পার্টি সেই ধাতুতে গড়া নয়।'
তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আরও আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে আরও যা নাম আছে কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রধান আরও যারা নেতা আছে ওদের তাঁদের নাম দেব। আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়লাম ব্রাত্য বসুকে। সূর্যকান্ত মিশ্র, জ্যোতি বসু এঁদের নাম নিচ্ছেন, ওরা কোর্টে গিয়ে হলফনামা দিয়ে সিপিএম নেতাদের সম্পত্তি খুঁজতে ইডিকে পার্টি করুন। সাহস আছে, ইডিকে পার্টি করার? কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। রায়ে ওদের ১৯ জনের নাম আছে, রায় আর পিটিশনের তফাৎ বুঝতে হবে।'
যদিও এই বিষয় বিচারাধীন বলে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিজেপি।
ক্রিকেটের (Cricket) হেলমেট ছেড়ে এবার মাথায় পাগড়ি (Pheta)। দাদার মেয়ের বিয়েতে মাথায় ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি বেঁধে সাজলেন শচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। যে দেখে উচ্ছ্বসিত অনুরাগী মহল। ভাইঝির বিয়ে (Marraige) বলে কথা।
মঙ্গলবার রাতে শচিন নিজে পাগড়ি পরার ভিডিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এই ভিডিওটির ক্যাপশনে শচিন তেন্ডুলকর বিয়ে, উৎসব, ট্র্যাডিশন এই শব্দ গুলি লিখেছেন। ভিডিওতে দেখা যায় তাঁকে পাগড়ি পরিয়ে দিচ্ছেন বিয়েবাড়িতে উপস্থিত কোনও ব্যক্তি। আর শচিনকে পাগড়ি পরতে পরতে বলেন, “আমার দাদা নীতিনের মেয়ের বিয়ে। সেই জন্যই এই ফেটা (মহারাষ্ট্রে পাগড়িকে ফেটা বলে) পরছি।”
পাজামা-পাঞ্জাবি এবং পাগড়ি বেঁধে একেবারে নয়া লুকে দেখে কোনও কোনও অনুরাগী বলে বসেন, 'বরকেও হার মানাবে তাঁর এই লুক।' এমনকি ভিডিও দেখে খুনসুটি করতে ছাড়েননি যুবরাজ সিং। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, 'আরে সচিন কুমার যে...'। একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ভারতের সচিন স্যারের মুকুট।’ অন্য আরেকজন লিখেছেন,‘আমার প্রিয়, আমার আদর্শ, আমার অনুপ্রেরণা।’
পাঁচ বছরে নেতা-মন্ত্রীদের ব্যাপক সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset) কীভাবে? এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে (ED) যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই নেতা-মন্ত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে শুধু তৃণমূলের (TMC) ১৯ জনের। এই প্রচার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক-সহ ওই ১৯ জন। এবার বিরোধীদের আক্রমণ ভোঁতা করতে আসরে শাসক শিবির। বুধবার বিধানসভায় একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, শিউলি সাহা প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের একটা অংশ তুলে ধরা হচ্ছে। বাকিটা সামনে আসছে না। বুধবার মহামান্য প্রধান বিচারপতির সেই রায়ের কপি আপলোড করেছে। সেই কপি দেখেই এই সাংবাদিক বৈঠক। তাঁদের দাবি, 'সম্পত্তিবৃদ্ধির নিরিখে শুধু শাসক দল নয়, বাম, কংগ্রেস নেতাদের নাম রয়েছে আদালতের কপিতে।'
এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'চক্রান্ত করে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। আমি ছোটবেলা থেকে ব্যবসা করছি, সেই টাকা দিয়ে মানুষের কাজ করেছি এবং তার থেকেই ব্যক্তিগত সম্পত্তি করেছি। অনেকে রোজগারের টাকায় করে, আমি ব্যবসা করে করেছি। এতে অন্যায়ের কী আছে? মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে।'
তিনি জানান, একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি নাকি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? তাহলে তো আয়কর দফতর ধরতে পারতো। অদ্ভুত লাগে এই মামলায় কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে অর্ধসত্য প্রকাশিত হচ্ছে।
সূর্যকান্তবাবুকে বলছি। জ্যোতি বসু আসার আগে চন্দন বসুর নাম শুনিনি। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। অমিত শাহর ছেলে জয় সাহা আছেন।
ব্যবসা করছেন, সম্পত্তি বেড়েছে। আমি সুজনবাবুকে বলি, সিপিএম-এর ছেলেদের জিজ্ঞাসা করুন চেতলায় আমার নামে কোনও অভিযোগ আছে কি না? শুধু তৃণমূলের নেতাদের নাম নেবেন। আর কারও নাম নেবেন না, সেটা ঠিক নয়।
এই জনস্বার্থ মামলায় সম্পত্তিবৃদ্ধির তালিকায় নাম এসেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও। এদিন তিনিও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোর্ট পর্যবেক্ষণের একটা অংশ তোলা হচ্ছে। পুরো কোর্টের রায় আমরা তুলে ধরছি। নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে যে মামলা, সেই তালিকায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য,
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, তরুণকান্তি ঘোষ,
চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতদের। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল প্রত্যেকের নাম আছে। কিন্তু সিপিএম, কংগ্রেস টানা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করে যাচ্ছে। এটা ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনীতিবিদ মানে সমাজের কাছে ভিলেন, মানুষের শত্রু, এমন উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে। এর শেষ কোথায়?'
ব্রাত্য বসু জানান, আমরা দলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবো। ২০১৬ সালে বিরোধীদের এমন কোনও প্রার্থী নেই, যিনি ২০২১-এ জিতেছেন। এঁরা যদি আবার ২০২৬-এ লড়েন, সে সময় তাঁদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হোক। আমরা নজর রাখবো।
রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, 'এই মামলাতে আয়কর দফতরের একটা ফাঁক আছে। আমাদের এখন যা সম্পত্তি আছে, তার মূল্য দিনের পর দিন বাড়বে।
রাষ্ট্রপতি হোক বা কেন্দ্রীয় সংস্থা, প্রত্যেককে বিজেপি ব্যবহার করছে।
এখানেই থামেননি তৃণমূল ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমরা। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এসব নিয়ে কুৎসা করব না, আবার গান্ধীগিরিও করব না। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।
সম্পর্কে 'সন্দেহ' কতটা ভয়ানক হতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই ঘটনা। স্বামী, স্ত্রীকে (Husband-Wife) সন্দেহ করতেন। তার জেরে স্ত্রীকে মারধরও করতেন। দিনের পর দিন স্বামীর অকথ্য অত্যাচার (Torture) সহ্য করতে করতে বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল রঞ্জনাবেনের। এরপরই নিয়েছেন দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত। ঘুমের মধ্যেই রবিবার স্বামীকে হত্যা (Murder) করলেন তিনি। খুনের অভিযোগে রঞ্জনাবেনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এই কাজ করেছেন তিনি। পুলিসকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি কেবল সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রবিবার রাতে আসে সেই সুবর্ণ সুযোগ। ছেলেমেয়েকে নিয়ে যে ঘরে ঘুমোন, তার পাশের ঘরে অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন স্বামী নবীন। ছেলেমেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে স্বামীর ঘরে গিয়ে গলা টিপে ধরেন রঞ্জনবেন। তারপর স্বামী অচৈতন্য হয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ইলেক্ট্রিক শক দেন তিনি।
ছেলেমেয়েকে সকালে স্কুলে পাঠানোর পর রঞ্জনাবেন চিৎকার শুরু করেন। তা শুনে তাঁর শ্বশুর এলে, দেখতে পান, ছেলে নবীন বিছানায় পড়ে রয়েছে। গলায় ও পায়ের নিচে আঘাতের দাগ রয়েছে। যদিও রঞ্জনাবেন তখন বলেন বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন। তবুও সন্দেহ হয় অভিযুক্তর শ্বশুরের।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় খবর দেন। পুলিস এসে তদন্ত শুরু করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। রঞ্জনাবেন নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন সত্যিটা। অবশেষে খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) (PTI)-এর সিনিয়র নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)চিফ অফ স্টাফ (Chief of Staff) ডঃ শাহবাজ গিলকে (Shahbaz Gill) ইসলামাবাদ থেকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহবাজ গিল পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে বানি গালায় যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শাহবাজ গিলের বিরুদ্ধে বানিগালা থানায় রাজদ্রোহের (Treason Case) অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে রাজনীতিবিদ ফাওয়াদ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন যে, শাহবাজকে সিভিল পোশাকে থাকা পুলিসকর্মীরা হেফাজতে নিয়েছিল এবং বানি গালা চকে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহের ডাক দেওয়ার একদিন পরেই গিলকে গ্রেফতার করা হয়। গিল তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কিছু আদেশ অমান্য করার জন্য পাক সেনা কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই রাজদ্রোহের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
উল্লেখ্য, গিলকে গত মাসে পঞ্জাব প্রদেশের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় অস্ত্র বহন করার অভিযোগে মুজাফফরগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জনসভা ও মিছিলের সময় প্রাণঘাতী অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
প্ল্যাটফর্মে জনাকয়েক মানুষ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি (Viral Video)দেখে আঁতকে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি স্টেশনে (Mumbai Station) ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন এক যুবক। নিজের জীবন বাজি রেখে কুকুরকে বাঁচাতে (save a dog) প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন সেই যুবক। সে সময় ওই লাইনে ঢুকছিল ট্রেন। বাকি যাত্রীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। সকলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। কুকুরটি লাইনের মধ্যে চলে আসে। আর সেসময় প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার কথা ঘোষণা হয়। তখনই যুবকের চোখে পড়ে কুকুরটিকে। সাত-পাঁচ না ভেবেই লাইনে নেমে পড়েন ওই পশুপ্রেমী। আর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা সকলে তাঁর কাণ্ড দেখে হইচই জুড়ে দেন।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দূর থেকে ওই যুবকে প্ল্যাটফর্মে নামতে দেখে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন চালক। কুকুরটিকে উদ্ধার করে প্ল্যাটফর্মে তুলে দেন। তারপর নিজে ওঠেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ওই পশুপ্রেমী যুবকের এমন কাণ্ড দেখে সকলে অবাক হলেও প্রশংসা করছেন নেটাগরিকরা। এবং তাঁর সাহসকে কুর্নিশও জানাচ্ছেন।
অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি এবং সিপিএম (BJP, CPM) একযোগে কটাক্ষ করেছে বীরভূমের (Birbhum TMC) তৃণমূল সভাপতিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'ব্যাগ গুছোতে দেওয়ার দরকার নেই। এক কাপড়ে তুলে আনুক সিবিআই। এর আগে ৮-৯ বার ডেকেছিল, উনি হাজিরা এড়িয়েছেন।'
আক্রমণাত্মক সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি জানান, চাকরির বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন। বালি, পাথর পাচার করে টাকা নিয়েছেন। শ্রীঘরে যেতে তো হবেই। একসময়ের দাপট। বিরোধীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দাও, পুলিসের গায়ে বোমা মারো। সিবিআইয়ের উচিৎ কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া।
জানা গিয়েছে, অনুব্রতের দীর্ঘ দিন ধরে অর্শের সমস্যা রয়েছে। ফিশচুলার চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন। এদিন এসবের চিকিৎসা করাতে কেষ্টর বাড়িতেই গিয়েছে মেডিক্যাল টিম। অন্যদিকে হাসপাতালে শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পাওয়ার অপেক্ষায়। এখানেই প্রভাবশালী তত্ত্বের প্রশ্ন তুলে তৈরি হল রাজনৈতিক বিতর্ক। তবে কি নিজের গড়ে গিয়ে তিনি শক্তি প্রদর্শন করলেন? যার জন্যই চিকিত্সকের দল তাঁর বাড়িতে বাধ্য হয়ে সটান উপস্থিত হলেন?
অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উপরতলার নির্দেশে এই কাজ করতে হয়েছে। সিএনকে টেলিফোনে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু।
ঠিক কী হয়েছিল?
গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে ফের আগামিকাল তলব করেছে সিবিআই। ইমেইলের পাশাপাশি বোলপুরের বাড়িতে আজ সমন দিয়ে গেল সিবিআই। উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেই চার্জশিটে রয়েছে অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন-সহ ১১ জনের নাম।
সূত্রের খবর, এদিন হাসপাতাল ছেড়ে একের পর এক চিকিত্সক বোলপুরে বীরভুমের তৃণমূলের জেলা সভাপতির বাড়িতে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসেন। অনুব্রতের বাড়িতে এসে পৌঁছন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ৪ জনের একটি মেডিক্যাল টিম। এর মধ্যে রয়েছেন ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী নামে এক চিকিৎসক। সূত্রের খবর, অনুব্রতের দীর্ঘ দিন ধরে অর্শের সমস্যা রয়েছে। ফিশচুলার চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন।
এদিন এসবের চিকিৎসা করাতে কেষ্টর বাড়িতেই গিয়েছে মেডিক্যাল টিম। অন্যদিকে হাসপাতালে শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পাওয়ার অপেক্ষায়। এখানেই প্রভাবশালী তত্ত্বের প্রশ্ন তুলে তৈরি হল রাজনৈতিক বিতর্ক। তবে কি নিজের গড়ে গিয়ে তিনি শক্তি প্রদর্শন করলেন? যার জন্যই চিকিত্সকের দল তাঁর বাড়িতে বাধ্য হয়ে সটান উপস্থিত হলেন? যদিও বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু টেলিফোনে জানিয়েছেন, যে সব চিকিত্সক কর্তব্যরত ছিলেন না তাদের পাঠানো হয়েছে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষায়।
তবে কলকাতা যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই অনুব্রত মণ্ডলের। জানাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। আপাতত বেড রেস্টে থাকার পরামর্শই দিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য,সোমবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে যাননি অনুব্রত মণ্ডল। প্রশ্ন উঠছে দশম বারের সমনে কি যাবেন অনুব্রত? উত্তরের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।
লক্ষ্যর লক্ষ্য পূরণ। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) সোনা জিতলেন লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen)। সোমবার শুরুতে ব্যাডমিন্টনে (badminton event) মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা জেতেন পিভি সিন্ধু। তিনি হারান কানাডিয়ান প্রতিপক্ষকে। এরপরই পুরুষদের সিঙ্গলসে সোনা লক্ষ্য সেনের। মালয়েশিয়ার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম গেমে পিছিয়ে পড়ার পর লক্ষ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান দ্বিতীয় গেমে। নির্ণায়ক গেমে মালয়েশিয়ার এনজি জে ইয়ং (Malaysia's NG Tze Yong) মরিয়া লড়াই চালালেও লক্ষ্যকে থামাতে পারেননি।
লক্ষ্য সোনা জেতায় নিউজিল্যান্ডকে টপকে পদক তালিকায় চার নম্বরে থাকা নিশ্চিত করল ভারত। কমনওয়েলথ গেমসের শেষে ২০টি সোনা,১৫টি রুপো, ২২টি ব্রোঞ্জ জিতে ভারত পদক তালিকায় চারে শেষ করেছে। নিউ জিল্যান্ড সেখানে ১৯টি সোনা, ১২টি রুপো, ১৭টি ব্রোঞ্জ জিতে পাঁচ নম্বরে।
একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, লক্ষ্য চূড়ান্ত শট মারার পরে সোনা নিশ্চিত হওয়ায় আনন্দে তাঁর র্যাকেট ছুঁড়ে দেয় দর্শকস্থানের দিকে। এবং চিৎকার করে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা যায়। কেবল তা নয় ২০ বছর পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর বিলেতের মাটিতে জার্সি ওড়ালেন লক্ষ্য।
জার্সি ওড়ানোর রহস্য কী? লাজুক হাসিতে লক্ষ্য বললেন, ‘ওই মুহূর্তে আবেগকে ধরে রাখতে পারিনি। সোনা জয়ের আনন্দেই জার্সি খুলে সেলিব্রেট করি। আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা ছিল না।’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জার্সি ওড়ানোর দৃশ্য থেকেই কি অনুপ্রাণিত হয়েছেন লক্ষ্য? ভারতীয় শাটলারের জবাব, ‘না, সৌরভের জার্সি ওড়ানোর দৃশ্য এখনও দেখিনি। দেখার ইচ্ছে আছে। তবে অনেকের কাছেই এটা শুনেছি।’
এদিকে, সোমবার টেবিল টেনিসের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয় ভারতের শরদ কমলের। অর্থাৎ বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের শেষ দিন প্রকৃতপক্ষেই ভারতের জন্য সোনার দিন।
নিজাম প্যালেসে(Nizam palace) অনুব্রত মণ্ডলকে দশম তলব। সূত্রের খবর, ইমেইল করে তলবের চিঠি(letter) দিয়েছে সিবিআই। গরুপাচারকাণ্ডে বুধবার সকাল ১১টায় সিবিআইয়ের দফতরে বীরভুমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁর বোলপুরের বাড়িতেও সিবিআিইয়ের তরফে হাজিরা নোটিস দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার সিবিআইয়ের(CBI) তলবে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। গতকাল অর্থাত সোমবারই সিবিআই তলবে হাজিরা দেন নি তিনি। অসুস্থতার জন্য সোমবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না, এ কথা রবিবারই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানান অনুব্রত। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম হাসপাতালে যান তৃণমূল নেতা। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল(stable) বলে জানান এসএসকেএমের চিকিতসকরা(doctor)। ফলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই বলে জানান চিকিত্সকরা।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর দাবি, কিছুদিন ধরেই তৃণমূল দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অসুস্থতা বেড়েছে৷ তাই এসএসকেএম-এর যে মেডিক্যাল টিম তাঁর চিকিৎসা করছিল, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ চিকিৎসকদের নির্দেশেই তাঁকে সোমবার এসএসকেএমে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসা হয়৷ তবে দাপুটে নেতার বারবার সিবিআই তলব এড়ানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।