বাচ্চাদের খাবার, ঠাণ্ডা পানীয় সহ একাধিক মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী বিক্রি করার অভিযোগ এক ষ্টেশনারী দোকানদারের (Stationery shopkeeper) বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) চাঁদপাড়ায় কাটপট্ট মোড়ে কার্তিক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি দোকানে শনিবার রাতে একটি ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতল কিনতে যান। অভিযোগ, পানীয়ের বোতলের মেয়াদ উত্তীর্ণ (Expired) দেখতে পান তিনি। এরপরই তড়িঘড়ি ওই দোকানদারের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি দোকানদারকে জানালেও ভুরুক্ষেপ করতে চাননি দোকান মালিক।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা গিয়ে দেখতে পান ওই দোকানের একাধিক সামগ্রীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। যা দিনের পর দিন বিক্রি করে চলেছেন দোকান মালিক। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইখানা থানার পুলিস। পুলিস প্রাথমিকভাবে দোকানটি বন্ধ করে দেয়। দোকান থেকে বেশ কিছু সামগ্রীও পুলিস নিয়ে যায়। পাশাপাশি আটক করা হয় দোকান মালিকের ছেলেকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আশ্বাস দিয়েছেন চাঁদপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি।
তাঁদের মতে, বাজারের মধ্যে এমন একটি ঘটনা ঘটে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে, অথচ তাঁরা জানেনই না। তবে বিষয়টি সামনে আসতেই খতিয়ে দেখার আশ্বাসের সঙ্গেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা।
এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের শুট আউট (shootout) ক্যানিংয়ে। আবারও এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে (canning)। শনিবার রাতে ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পেটুয়ার মোড়ের কাছে জসিমুদ্দিন মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের (murder) চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় গুরুতর জখম (injured) হন ওই কর্মী, স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় ক্যানিং এলাকায় থেকে চারজনকে আটক করে ক্যানিং থানার পুলিস।
পুলিস (police) ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে বাজার থেকে নিজের মোটর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন জসিমুদ্দিন। রাস্তার মাঝে পেটুয়া মোড়ের কাছে তাঁর পথ আটকায় সাইফুল ঘরামী ও তাঁর অনুগামীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাইফুল এলাকায় দুষ্কৃতী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে জসিমুদ্দিন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান খতিব সর্দারের অনুগামী। এরপর আচমকাই তাঁকে রাস্তায় দাড় করিয়ে দুষ্কৃতীরা এক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলি লাগে তাঁর কাঁধে। গুলির শব্দে আশেপাশের মানুষজন বেড়িয়ে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিসও ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ঠিক এক মাস আগেও সকাল বেলায় ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গুলি করে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল এক তৃণমূল নেতা সহ তিনজনকে। বার বার ক্যানিং থানা এলাকায় এই শুট আউটের ঘটনা ঘটায় যথেষ্ট আতঙ্কে স্থানীয় মানুষজন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
আগামী সোমবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস(Independence day) উদযাপন। এ বছর হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই ২০ কোটি জাতীয় পতাকা(National flag) দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra mODI) সম্প্রতি জনগণকে ১৩-১৫ আগস্টের মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা প্রদর্শন করে হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী এ বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে।
প্রত্যেকবারের মতো লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার নজরদারি কড়া করা হয়েছে। দিল্লি পুলিসের(Delhi police) পক্ষ থেকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে, লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে ভাষণ দেবেন তাঁর দিকে ঘুড়ি উড়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় তাই বাড়তি সতর্কতা দিল্লি পুলিসের। ৪০০ ঘুড়িবাজকে ভাড়া করা হয়েছে। লালকেল্লা সংলগ্ন চাঁদনি চক এলাকার ছাদে তাদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে যদি কোনও ঘুড়ি উড়ে আসে, তখন ওই ঘুড়িবাজরা বিশেষ কায়দায় ঘুড়ি কেটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন।
অন্যদিকে, লালকেল্লা এলাকার নিরাপত্তার নজরদারিতে থাকছে ১০ হাজার পুলিসকর্মী। আশেপাশে বাড়ির ছাদে স্নাইপার মোতায়েন করা হবে এবং নজরদারি চালনোর পাশাপাশি স্নিফার ডগও থাকবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবা আক্রমণ চালাতে পারে, দিনকয়েক আগেই দিল্লি পুলিসের কাছে এই গোয়েন্দা তথ্য এসেছিল। তারপর থেকে দিল্লিতে তল্লাশি অভিযান চালানো শুরু হয়।
এদিকে, দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় করে তুলতেই শুরু হয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। আজ হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিতে সামিল হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এদিন তিনি নিজের বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রীও।
মেদিনীপুর জেলে জাতীয় পতাকা (National Flag) তুলতে গিয়ে বাধার মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার (Union Minister)। এই অভিযোগ তুলে রীতিমতো বিবৃতি দিয়েছে তাঁর মন্ত্রক। সেই বিবৃতিতে বলা, 'কেন্দ্রীয় সরকারের অনুপ্রেরণায় রাজ্য এবং শিক্ষা দফতরের যৌথ উদ্যোগে নেওয়া এই কর্মসূচি। শিক্ষা মন্ত্রক থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জোড়া চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মেদিনীপুর জেল (Midnapore Jail) বা সংশোধনাগারে কোনও নির্দেশিকা না আসায় জেল সুপার এই অনুষ্ঠান করতে এবং পতাকা তুলতে বাধা দেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়া মানে জাতীয় পতাকা তথা দেশের অবমাননা করা।'
তিনি জানান, গোটা ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং রাজ্য সরকার স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়ে নির্বিকার। জানা গিয়েছে, ১৩-১৫ অগাস্ট দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আজাদি কা অম্রুত মহোৎসব পালনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এদিন মেদিনীপুর জেলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'পতাকা তোলার আগে উনি কি অনুমতি নিয়েছিলেন? সংশোধনাগার একটা সংরক্ষিত এলাকা। আমিও ওখানে ঢুকতে পারব না। আমি কি এই মুহূর্তে গিয়ে ফোর্ট উইলিয়াম বা বিএসএফ-র কোনও ক্যাম্পে গিয়ে পতাকা তুলতে পারব?'
তাঁর খোঁচা, 'জাতীয়বাদ শুধু বিজেপির পেটেন্ট নয়। এই দেশ আমার আপনার সবার।'
আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পর্বে। এবার উৎসবের মেজাজ দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু ব্যাপক আয়োজনে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই দায়িত্ব নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আবেদনে। দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় পতাকা ঝলমল করছে। ব্যতিক্রম নয় এই রাজ্যও| এজেন্সির চাপ যতই থাক রেড রোড সেজে উঠছে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে। অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রধানমন্ত্রী গোড়ার দিন থেকে লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে থাকেন। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু থেকে এই ট্র্যাডিশন সামনে চলে এসেছে। এবার পালা ফের নরেন্দ্র মোদীর। শোনা যাচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের দিন নাকি অনেক চমক থাকবে লালকেল্লায়| আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিদেশী বহু অতিথিকে। তেরঙ্গায় মুড়ে ফেলা হয়েছে আলোর ঝলকানিতে লালকেল্লা।
স্বাধীনতা দিবসে দীর্ঘদিন কংগ্রেসের একটা ভূমিকা ছিল কারণ মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বকে আজও সম্মান জানানো হয়ে থাকে। প্রথম মন্ত্রিসভায় দু-একজন বাদ দিয়ে জওহরলাল সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন। ইন্দিরা জমানা অবধি সেই ট্র্যাডিশন বজায় ছিল। অবশ্য তারপর বেশিরভাগ নেতাই প্রয়াত হয়েছিলেন বয়সজনিত কারণে।
১৯৭২-এ স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছিল ধুমধাম করে। কারণ তখন সদ্য পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ গঠন করার অন্যতম কারিগর ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সরিয়ে এ রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। কিন্তু এরপর স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনের সরকারি দায়িত্বে ছিল না কংগ্রেসের। কারণ সেই সময় কেন্দ্রে প্রধান শাসক দল হাত শিবির নয়। এবারও কংগ্রেসের ভূমিকা থাকছে না, দায়িত্বে যেহেতু বিজেপি সরকার।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কমিউনিস্টরা ছাড়া আর কারও উৎসব পালনে আপত্তি ছিল না। বামেরা মনে করতো এই স্বাধীনতা মিথ্যা, তারা বলে ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়। আজ অবশ্য বিভিন্ন বামপন্থীরাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন স্কুলে এবার আবার ৭৫ বছর উপলক্ষে বড় করে অনুষ্ঠান হচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে ইন্টারনেটের যুগেও স্বাধীনতা, পূর্ণ স্বরাজ, মাত্রভূমি এবং দেশ মানে নিজের সবকিছু এসব মনে করিয়ে দেওয়ার একমাত্র গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারের।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Case) এবার ইডির র্যাডারে বীরভূম (Birbhum) এবং পুরুলিয়ার দুই বিধায়ক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এই সংস্থার (ED) স্ক্যানারে রয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার এক মন্ত্রী। তিনি এক সময় বীরভূমের পর্যবেক্ষক ছিলেন। যদিও কে সেই মন্ত্রী এবং দুই বিধায়ক, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
এদিকে, কয়লা-কাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। অপরদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না। এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের জেলার। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের নিচুতলার কর্মীরা হুইল চেয়ার জোগাড় করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই হুইল চেয়ার নিয়ে পার্থ ঘুরলে নিচুতলার কর্মীদের ধমক দেন জেলার। কোনও ধরনের অতিরিক্ত সুবিধা যাতে না দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে। তবে অর্পিতা রানির মতো রয়েছেন জেলে, এমনটাই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখেছেন জেলের সহ-বন্দিরা। ফলে অর্পিতার বিছানা করা থেকে, জামাকাপড় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন বাকিরা। কেউ বা আবার বিছানা পেতেও দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণের রাস্তায় রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। এদিন ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বঙ্গ বিজেপির ধর্নামঞ্চে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি-সহ রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। একই চড়া সুর শোনা গিয়েছে বাম এবং কংগ্রেসের গলায়। তবে বিরোধীদের এই সমালোচনার জবাব দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরও। সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন এই অভিযোগ করেন শাসক দলের সাংসদ সৌগত রায়।
শুক্রবার ওয়াই চ্যানেলের কর্মসূচি থেকে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, যিনি বলতেন শুঁটিয়ে লাল করে দেব। তিনি এখন ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে নিজেই লাল হয়ে গিয়েছেন। সিবিআই থেকে বাঁচতে বলছেন আমার পিছনে অপারেশন করে দিন।'
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর খোঁচা, 'একে তো অনুব্রত গ্রেফতার, তারপর যদি শোনেন দলের কোনও পদ নেই তাহলে তো অক্সিজেন যাওয়া আরও বন্ধ হয়ে যাবে। প্রকৃত বিচার হোক। আমার কারও প্রতি প্রতিহিংসা নেই।' সুর চড়িয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'অনুব্রতকে বহিষ্কার করতে হবে। কিন্তু কিন্তু এঁরা সব চুনোপুটি, আসল কারা, মানুষ বলছে হাওয়াই চটি, কোটিপতি।'
কী বলছে বিজেপি
কী প্রতিক্রিয়া বাম-কংগ্রেসের
তবে বিরোধীদের এই আক্রমণের জবাবে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় জানান, ইডি- সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইডিকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটাও রাজনৈতিক বিষয়। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে এখনই পার্টির কোনও স্ট্যান্ড নেই।
তাঁর নামে কোনো চার্জশিট নেই। দলের কাছে গোটা বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়।
সল্টলেকে (Saltlake) পরপর কয়েকটি এটিএম (ATM) ভেঙে লুটের চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) মূল অভিযুক্ত। জানা যায়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টটিভের (Medical Representative) কাজ চলে যাওয়ায় এটিএম লুট করে বেশি টাকা উপার্জনের আশায় অপরাধের পথ বেছে নিয়েছিল অভিযুক্ত পলাশ পোদ্দার। বৃহস্পতিবার রাতে নাকা চেকিং করার সময় অভিযুক্ত পলাশ পোদ্দারকে গ্রেফতার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস (Bidhannagar North Police Station)। শুক্রবারই ধৃতকে বিধাননগর আদালতে (Bidhannagar Court) তোলা হয়। পুলিস নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়।
পুলিস সূত্রে খবর, ১ অগাস্ট সল্টলেকের সিডি ২৮ নম্বরে এটিএম ভেঙে চুরির চেষ্টা করা হয়। সেই পরিপেক্ষিতে একটি কেস করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ এবং তার বাইকটিকে চিহ্নিত করা হয়। এরপরে আবারও বিবি ব্লকে এটিএমে একই ঘটনার রিপোর্ট হয়, সঙ্গে সঙ্গে এই দুষ্কৃতীকে ধরতে একটি স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় তারা এটিএম কাউন্টারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরাতে ব্ল্যাক স্প্রে করে দেয়। পুলিস স্পেশালভাবে নাকা চেকিং শুরু করে সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায়।
এরপরে বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেক পিএনবি মোড়ে নাকা চেকিং চলার সময় সেই বাইকটি পুলিসের নজরে আসে। তারপরই পলাশ পোদ্দার নামে একজনকে আটক করা হয়। তার বাড়ি নাগেরবাজার থানার সাতগাছি এলাকায়। তার কাছ থেকে একটি মেটাল কাটিং মেশিন উদ্ধার হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে, এরপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই কাজে তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, বা অন্য কোথাও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তার জন্য তাকে বিধাননগর আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, পলাশ পোদ্দার মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টভ-এর চাকরি করত। কিন্তু লকডাউনের সময় তার কাজ চলে যায়। এরপর থেকেই কোনওরকম কাজ না পেয়ে সে এই অপরাধের পথে নেমে টাকা উপার্জনের রাস্তা বেছে নিয়েছে।
বিধায়কদের সম্পত্তিবৃদ্ধি (Property Case) মামলায় ইডিকে পার্টি না করার আবেদন হাইকোর্টের কাছে রাখলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী (Three Bengal Minister)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির কাছে শুক্রবার এই আবেদন করেছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামি ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। ২০১৭-র জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। শাসক দলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি কীভাবে? এই প্রশ্ন তুলে দায়ের হয়েছিল মামলা। সম্প্রতি সেই মামলায় ইডিকে (ED) পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর এক বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
সেই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন এদিন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলায় গত ৮ অগস্ট তৃণমূলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় ইডিকে যুক্ত করে আদালত। ৫ বছর আগে দায়ের জোড়া এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরী। সেই সময় তাঁরা তৃণমূলের ১৯ জনের নামে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬— এই ৫ বছরে কীভাবে এই ১৯ জনের সম্পত্তি এত বৃদ্ধি পেয়েছে?
সম্পত্তির খতিয়ান এর প্রমাণ হিসাবে দেখানো হয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ওই নেতাদের হলফনামা। ওই একই সময় আরও একটি মামলা করেন অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও ৩০ জনের নাম আদালতে জমা দেন। সেই পিটিশনে উল্লেখ ছিল সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য, আবু হেনার মতো হেভিওয়েটদের নামও।
যদিও বিরোধী শিবিরের উল্লিখিত ব্যক্তিরা তৃণমূলের তোলা অভিযোগ সম্প্রতি খারিজ করেছেন। সিপিএম-র তরফে কটাক্ষ, 'রায় আর পিটিশনের মধ্যে বেসিক পার্থক্য বোঝে না শাসক দল।' সেই রাজনৈতিক তরজার দিন দুয়েকের মধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ইডিকে পার্টি না করার আবেদন করলেন তিন মন্ত্রী।
জিমে ওয়ার্কআউট করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) শিকার জনপ্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান (Comedian) তথা অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। জানা গিয়েছে, ট্রেডমিলে ওয়ার্ক আউট করার সময় আচমকা বুকে ব্যথা শুরু হয়েছিল কৌতুকশিল্পীর। তারপরেই সেখানে অজ্ঞান হয়ে যান। বর্তমানে তিনি দিল্লির এইমসে (AIIMS) চিকিৎসাধীন। তাঁকে দু'বার সিপিআর (CPR) দেওয়া হয়। আগের চেয়ে স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও জ্ঞান ফেরেনি শিল্পীর, এমনটা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি রয়েছেন ভেন্টিলেশনেই।
বুধবার জিমের প্রশিক্ষক তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। এর আগেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজু। আবার এদিন তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টি হয়। বুকে দু’টি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে। এখনই জ্ঞান ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। উল্লেখ্য, রাজু যে শুধুই কৌতুক শিল্পী এবং অভিনেতা নয়।
পাশাপাশি, তিনি উত্তরপ্রদেশের ফিল্ম বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান। রাজু তাঁর পরিচিত পান 'গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ' থেকে। তাঁকে দেখা গিয়েছিল হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে 'ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হু' ছবিতে। এছাড়াও বম্বে টু গোয়া, বাজিগর, আমদানি আঠানি খরচা রুপাইয়া ছবিতে। এছাড়াও বিগ বসের মত রিয়্যালিটি শো-এর তৃতীয় সিজনেও ছিলেন তিনি। এছাড়াও কমেডি নাইটস উইথ কপিল', 'মজাক মজাক ম্যয়' একাধিক কমেডি শো করেছেন এই কমেডিয়ান।
রাজুর শ্রীবাস্তবের আগে গত এক বছরে একাধিক পরিচিত মুখের জিম করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন পুনীথ রাজকুমার এবং সিদ্ধার্থ শুক্ল। তবে রাজু শ্রীবাস্তবের সুস্থতা কামনায় তাঁর অনুরাগীরা।
প্রসূন গুপ্ত: প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর টেলিভিশনে ঘন্টার পর ঘন্টা খবর ছিল তাঁকে নিয়ে। খবরের কাগজে পাতার পর পাতাজুড়ে পার্থ-অর্পিতার খবর। প্রাক্তন মন্ত্রীর কতজন বান্ধবী, তাঁদের কোথায় বাড়ি, আরও কত টাকা উদ্ধার হল ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানেই শেষ নয় পার্থ কতটুকু বললেন ইডিকে, পার্থ অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরায় কী বেরোল। এই ধরনের খবরে ঝোঁক থাকতো আম আদমির। ট্রাম-বাস, ট্রেনে আলোচনার বিষয়বস্তুও তাঁরাই। পার্থ কী খেলেন, কোথায় শুলেন এই করতে করতে পার্থর খবরে ম্রিয়মান হয়ে গেলো অনুব্রত-কাণ্ডে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে শুধুই অনুব্রত। বাড়ি ঘিরে নিয়ে প্রথমে আটক, তারপর বিকেলের দিকে গ্রেফতার। লহমায় লহমায় পরিবর্তন হলো অনুব্রত-কাণ্ড। বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতরে। তারপর এদিন সকাল থেকে মাত্র একটাই খবর, অনুব্রত সকালে ডায়বেটিক ডায়েট মেনে চিনি ছাড়া চা, বিস্কুট এবং মুড়ি খেয়েছেন। এরপর আর খবর নেই, রহস্য এখানেই কেন অনুব্রতর অবস্থান পাওয়া যাচ্ছে না?
পার্থ ও অনুব্রতর মধ্যে বিস্তর ফারাক। প্রথমত অনুব্রত সংগঠন করা নেতা। বীরভূম জেলার পাতা নড়তো না তাঁর আদেশ ছাড়া। রাঙা মাটির দেশে একপ্রকার 'মুকুটহীন সুলতান' ছিলেন তিনি। এই জনপ্রিয়তা পার্থর কোথায়? পার্থকে গ্রেফতারের সঙ্গে ইডির হাতে এসেছিলো কোটি কোটি টাকার বান্ডিল এবং মহিলা বান্ধবীর প্রসঙ্গ। এই অবস্থান পার্থর বিপক্ষে গিয়েছে। দলও তাঁর দায় ঝেড়ে ফেলেছে। অনুব্রতর ক্ষেত্রেও দলের অভিমত অপরাধ প্রমাণ হলে রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলকেও সরিয়ে দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত অপরাধের দায়িত্ব নেবে না দল। কিন্তু হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে অনুব্রতর নাম আসা সত্বেও তৃণমূলের হাজার হাজার সমর্থক তা মানতে নারাজ। তাঁরা ক্ষিপ্ত, তাঁদের বক্তব্য মদন মিত্রদের মতোই অনুব্রত ফেঁসে গিয়েছেন। দুটি ঘটনাই দলের উচ্চ নেতাদের নজরে এসেছে।
আজ এবং আগামীকাল এই নিয়ে রাজ্যের জেলায় জেলায় আন্দোলনে নামছে তৃণমূল যদিও প্রসঙ্গ অনুব্রত নয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতা।
ছুটি না নিয়ে একটানা কাজ করার ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক জওয়ান (Army) কখনও গুলি করে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছে। আবার কখনও সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়েছে ব্যারাকে থাকা সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে। তাদের নিয়ম মেনে ছুটি (holiday) দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার সতর্ক হল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)।
দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্নাতকোত্তরের চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যের দুরবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। সাপ্তাহিক কোন ছুটি না নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা হাসপাতালে কাজ করার ফলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে্ন পোস্ট গ্রাজুয়েটের মেডিক্যাল ছাত্ররা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য। এর ফলে কেউ আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন। আবার কেউ নানান ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। যা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে রোগী চিকিৎসা ব্যাবস্থায়।
সে কারণে গত ২৮ শে জুন এই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। এই বৈঠকের পর সমস্ত দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্নানকোত্তরের চিকিৎসক পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সাপ্তাহিক ছুটি দিতে হবে। আর যাঁরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁদের কাউন্সেলিং করা থেকে শুরু করে, যোগাভ্যাস এবং ছুটি দিতে হবে প্রয়োজন মত।
পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত সমস্যা দেখভালের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্নানকোত্তরের মেডিক্যালের পড়ুয়ারা তাঁদের সমস্যা ইমেইল মারফত কিংবা কমপ্লেইন বক্সে লিখিতভাবেও জানাতে পারবেন বলে জানায়।
মায়ের ভালোবাসার (Mother's Love) কাছে পৃথিবীর সব কিছুই যেন তুচ্ছ। যখন সন্তান জীবনে সফলতা অর্জন করে, বাবা-মা সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হন। ব্যতিক্রম নন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) নিউ জার্সির (New Jersey) ওই মহিলা। তিনি তাঁর মেয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি (doctorate degree) অর্জনে খুশি হয়ে মেয়েকে অভিনন্দন জানাতে একটি হোর্ডিং লাগিয়েছেন রাস্তায়। যা ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কেন্দ্র বাসবি নামে ওই মহিলা তাঁর মেয়ের জন্য এতটাই গর্বিত যে, মেয়ের কৃতিত্বের কথা পুরো শহরকে জানাতে চেয়েছিলেন। গর্বিত মা বিলবোর্ড ভাড়া করে সেখানে মেয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের কথা লেখেন। সঙ্গে মেয়ের ছবিও দেন।
২৮ শে জুলাই ফেসবুকে কেন্দ্র বাসবি নিজে সেই বোর্ডের ছবি শেয়ার করেছিলেন। এবং মেয়েকে উদ্দেশ্যে করে লিখেছিলেন, "তুমি অবশ্যই আমার উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমি সবচেয়ে গর্বিত মা। ভীষণ ভালোবাসি। তোমার আগামী জীবন আরও সুন্দর হোক।"
পোস্টটিতে শত শত লাইক এবং কমেন্ট পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা তাঁর মেয়ে ডক্টর স্মলসকে কৃতিত্ব অর্জনের জন্য এবং মিসেস বাসবিকে এত গর্বিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ক্যামডেনের কাছে এয়ারপোর্ট সার্কেলের ঠিক দক্ষিণে ১৩০ রুট দিয়ে যাওয়ার সময় ডাঃ ক্রিস্টিন এস স্মলসের ছবি দেওয়া এই বোর্ডটি দেখতে পাওয়া যায়। ফিলাডেলফিয়া কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিন থেকে মনোবিজ্ঞানের উপর ডক্টরেট অর্জন করেছেন ক্রিস্টিন।
কোনও অনৈতিক কাজ এবং দুর্নীতিকে তৃণমূল (TMC) প্রশ্রয় দেয় না। দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দলের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার শাসক শিবিরের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Minister Chandrima Bhattacharya) এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। চন্দ্রিমাদেবী জানান, দলনেত্রী-সহ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর বা মানুষকে যদি কেউ ঠকায়, সেই কাজকে দল সমর্থন করে না। আগে এবং আজও তৃণমূলের এই বিষয়ে অবস্থান একই। মানুষের সমর্থনে তিন বার তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাই মানুষের আশীর্বাদ ছাড়া কোনও সম্পদে তৃণমূলের আর কোনও আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো নিরপেক্ষ চেহারা হারিয়ে ফেলছে। সবার সঙ্গে নিরপেক্ষ ব্যবহার করুক তদন্তকারী সংস্থাগুলো। এটুকু আশা আমরা করতেই পারি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দলের কারও বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো উঠেপড়ে লাগে। কিন্তু কেন্দ্রের শাসক দলের পক্ষে কেউ অভিযুক্ত হলে, সেই তৎপরতা দেখা যায় না।' এই অভিযোগ তোলার সময় তিনি সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধারের প্রসঙ্গ তোলেন। এবং একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়েও ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এভাবেও ঘুরিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।
তাঁর দাবি, 'বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে সারদা কর্তার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিরোধী দলনেতাকে ডাকাডাকি নেই, তাঁর বিরুদ্ধে কোণও কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা নেই। শুধু বিরোধী দলনেতা নয়, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। কিন্তু ইডি, সিবিআই কেউই তাঁদের তদন্তের আওতায় আনছে না।'
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও জানান, বিচারব্যবস্থা, মাননীয় বিচারপতি সবার প্রতি আমাদের আস্থা এবং বিশ্বাস আছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই বিচারব্যবস্থা পদক্ষেপ নেবে। তৃণমূলের তরফে আগামি দুই দিন সিবিআই-ইডির নিরপেক্ষতা চেয়ে এবং কেন্দ্রের সরকার দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার দাবিতে জেলায় জেলায় মিছিল করবে দল। এদিন জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সমীর ভট্টাচার্য। পাশাপাশি তাঁরা জানান, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা? যথা সময়ে সংবাদ মাধ্যম জানতে পারবে। দলনেত্রী এবং শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত হবে। এমনটাই বৃহস্পতিবার জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সমীর চক্রবর্তী। দুর্নীতিতে কেউ অভিযুক্ত হলে তৃণমূল তাঁকে সমর্থন করবে না। এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওই দুই নেতা।
ভুল করে এক সদ্যোজাতকে একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। এই ঘটনায় কর্তব্যরত নার্সের শাস্তির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখালেন শিশুর পরিবারের লোকজন।
বিক্ষোভ সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যেতে হয় কোতুলপুর থানার পুলিসকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির পরিবারের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ভুল করে টিকার ডাবল ডোজ দেওয়া হলেও শিশুটি সুস্থ রয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিরোমণিপুর গ্রামের গৃহবধূ মৌসমা খাতুন গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে গতকাল এক কন্যাসন্তান প্রসব করেন। রোগীর পরিবারের দাবি, প্রসবের পর গতকাল সদ্যোজাতকে প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া হয়। আজ দুপুরে হাসপাতালের তরফে প্রসুতির নাম ধরে ডাকলে পরিবারের লোকজন সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসপাতালের নার্সদের কাছে যান। অভিযোগ, সেই সময় কর্তব্যরত এক নার্স শিশুটিকে পুনরায় সেই টিকা দিতে উদ্যোগী হলে পরিবারের লোকজন ওই নার্সকে গতকালের ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু তারপরও টিকার কার্ড না দেখেই কর্তব্যরত নার্স শিশুটিকে পুনরায় ওই টিকা দেন বলে পরিবারের অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতালের নার্সরা রোগীর পরিবারকে বিষয়টি অন্যত্র না জানানোর জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ।
এরপরই শিশুর পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কর্তব্যরত ওই নার্সের শাস্তির দাবি তোলেন শিশুর পরিবারের লোকজন। শিশুর পরিবারের আশঙ্কা, টিকার ডাবল ডোজের প্রভাবে শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও পরবর্তীতে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ডাবল ডোজ প্রয়োগ হলেও চিন্তার তেমন কিছু নেই। তা সত্বেও ওই শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।