খড় বোঝাই পিকআপ ভ্যানে (Pickup van) অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আগুন লেগে প্রায় কয়েক হাজার টাকার খড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরার (Bagdogra) খান্না হোটেল সংলগ্ন ৩১নং জাতীয় সড়কে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বাগডোগরার খান্না হোটেল সংলগ্ন ৩১নং জাতীয় সড়কে হঠাৎ খড় বোঝাই পিকআপ ভ্যানে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে পিকআপ ভ্যানে কোনও কারণে এই আগুন লেগেছে। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাগডোগরা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ব্যাঙডুবি দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে এই আগুন লাগল তা সঠিক ভাবে জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রচন্ড গরমের কারণে গত দু'দিনে মৃত্যু (Death) হয় দুই ভবঘুরের। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার প্রচন্ড দাবদহের (Heatwave) শিকার হয়ে মৃত্য়ু হল এক মধ্য বয়স্কা ভবঘুরে (Wanderer) মহিলার। আপার বাগডোগরা (Bagdogra) গ্রাম পঞ্চায়েত মেন গেটের সামনে এই মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকা জুড়ে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কার্যালয় খুলতে এসে কর্মীদের নজরে আসে বারান্দায় এক মহিলা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। কয়েক দিন ধরে নাজাহাল অবস্থায় জীবনযাপন করছেন সাধারণ মানুষ। দেখা গিয়েছে বেলা গড়াতেই ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা (Temperature) বেড়েই চলেছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে রাস্তায় বসবাস করা ভবঘুরেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অজ্ঞাতপরিচয় ওই ভবঘুরে মহিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বারান্দায় রাত্রিবাস করতেন। এদিন মৃত অবস্থায় ওই মহিলাকে দেখতে পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা প্রধানকে খবর দেন। খবর পেয়ে প্রধান সঞ্জীব সিনহা, ঘটনাস্থলে এসে বাগডোগরা থানায় খবর দেন। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
বৃহস্পতিবার ঠিক একইভাবে দাবদাহের শিকার হয়ে পানিঘাটা রোডে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। এদিন ফের দাবদাহের কারণে বলি আরেক মহিলা। প্রধান সঞ্জীব সিনহা বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করেন এর জন্য। তিনি জানান মানুষ জেনে বুঝেই নিজেদের মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসছেন। বৃক্ষরোপণের উপর অবিলম্বে জোর দেওয়া না হলে এই ধরনের দাবদহের কারণে মৃত্যুর সাক্ষী হতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
কুকুরের (Dog Attack) আক্রমণে ফের গুরুতর জখম এক ৮ বছরের খুদে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) মিরাটের (Meerut)। ২৯ মে, সোমবার রাতে আচমকা এক পিটবুল প্রজাতির কুকুর কামড়ে দেয় এক ৮ বছরের নাবালিকাকে। এর আগেও একাধিকবার কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। কিছুদিন আগেই খবরে এসেছিল, এক ডেলিভারি বয় পোষ্য কুকুরের ভয়ে তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। আর এবারে প্রকাশ্যে এল এক শিশুর উপর আক্রমণ করার খবর।
সূত্রের খবর, মিরাটের বৈষ্ণোদেবী কলোনিতে বর্ণিকা নামক আহত ওই শিশুর বাড়ি। ঘটনার দিন বর্ণিকা তার বোনের সঙ্গে বাড়ির কাছাকাছি সাইকেলে ঘুরছিল। আর সেসময় বর্ণিকার উপর ঝাপিয়ে পড়ে সেই পিটবুল কুকুরটি। এরপর তারা দুজনেই সাইকেল থেকে পড়ে যায়। বর্ণিকার বোন কুকুরটি দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু বর্ণিকাকে সামনে পেয়ে তাকে কামড়ে দেয় কুকুরটি। এরপরই তার চিৎকারে আশেপাশে লোকজন জড়ো হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় এলাকার স্থানীয়রা পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। কিন্তু এখনও জানা যায়নি, সেই পিটবুলের মালিক কে। তবে তাঁকে খোঁজা শুরু করেছে পুলিস। তাঁর হদিশ পেতেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
ফের বড় সাফল্য পুলিসের। ৩০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার (Brown Sugar) সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrest) করলো বাগডোগরা (Bagdogra) থানার পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাগডোগরার কেষ্টপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি চার চাকার গাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিস। পরে ওই গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ৩০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার, নগদ ৮০০০ টাকা সহ দুটি মোবাইল ফোন। এমনকি গাড়িতে থাকা ওই অভিযু্ক্ত ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শাহজামাল (২৯)। ধৃত ঠাকুরগঞ্জের বাসিন্দা। ধৃতকে আজ, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছে পুলিস। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মাদক মালদহ থেকে বিহারের ঠাকুরগঞ্জে পাচার করার চেষ্টা চলছিল। তবে সেই পাচারকার্য রুখলো পুলিস।
অনলাইনে অর্ডার করা জিনিস ডেলিভারি করতে এসেই ঘটে গেল এক বড় বিপদ। ডেলিভারি করতে গিয়ে পোষ্য কুকুরের (Dog Attack) তাড়া, আর তার থেকে বাঁচতেই তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন সেই ডেলিভারি বয়। ঘটনাটি হায়দরাবাদের (Hyderabad)। পোষ্য কুকুরের আক্রমণে ডেলিভারি বয়ের জখম হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। ইতিমধ্যেই সেই কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পোষ্য রাখতে অনেকে যেমন পছন্দ করেন, তেমনি অনেকে আবার প্রাণীদের দেখে ভয়ও পান। ফলে দুটোই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু হায়দরাবাদের ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, রবিবার হায়দরাবাদের পঞ্চবতী কলোনির শ্রীনিধি হাইটস অ্যাপার্টমেন্টের একজন অনলাইনে মাদুর অর্ডার করেছিলেন। সেই মাদুর দিতে গিয়ে যখন কলিং বেল বাজান ডেলিভারি বয়, তখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ডোবারম্যান প্রজাতির এক পোষ্য কুকুর। এরপর অচেনা ব্যক্তিকে দেখে কুকুরটি চিৎকার করতে শুরু করে। তখন তার হাত থেকে বাঁচতে ডেলিভারি বয়টি তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেন।
Meet one more incident today in Hyderabad's Manikonda Panchvati Colony. The @amazon Delivery boy came to deliver an order of a mattress.. At this time, the door was open when the Doberman dog suddenly jumped out of fear and jumped from the third floor. pic.twitter.com/ca5UfBwRLV
— Telangana Gig and Platform Workers Union (@TGPWU) May 21, 2023
এই ঘটনার পরই সেখানে আশেপাশের লোকেরা ছুটে আসেন ও রাইদুরগাম থানার পুলিসও ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয়। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে। সেই পোষ্য কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় পেনাল কোড ২৮৯-এর অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আবার তেলঙ্গানা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেই পোষ্য কুকুরের মালিককেই ডেলিভারি বয়ের সমস্ত রকমের চিকিৎসার খরচ দিতে হবে।
ব্রাউন সুগার (Brown sugar) সহ গ্রেফতার (Arrest) ৪ জন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। যার বাজার মূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। বাগডোগরা (Bagdogra) ভুট্টাবাড়ি এলাকার ঘটনা। শুক্রবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে। ধৃতদের নাম উত্তরা বিশ্বাস (৩৮), সঞ্জয় বিশ্বাস (৪২), বিক্রম বাগচী (২৩) ও অরুণ মণ্ডল (৩২)। ধৃতদের মধ্যে উত্তরা ও সঞ্জয় শিলিগুড়ির সমরনগরের বাসিন্দা ও বাকি অরুণ ও বিক্রম ফাঁসিদেওয়ার টামবাড়ির বাসিন্দা।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা মুর্শিদাবাদ থেকে বাগডোগরায় মাদক নিয়ে প্রবেশ করার আগেই শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের এসওজি ও বাগডোগরা থানার পুলিস (Police) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাগডোগরার ভুট্টাবাড়ি এলাকায় একটি চারচাকা গাড়ি আটক করে। গাড়ি থেকে ৮০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই মাদকের বাজারমূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা, পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে কোথা থেকে এই মাদক আনা হচ্ছিল ও কোথায় তা পাচারের ছক কষেছিল তার তদন্তে নেমেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
পোষ্যদের মধ্যে বিশেষ করে কুকুরদের (Dog) মালিকদের প্রতি এক আলাদা টান যেন থেকেই থাকে। এর আগে বহুবার এর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে কুকুর তাঁর মালিককে বাঁচাতে নিজের জীবনের কথা না ভেবে নিঃস্বার্থ হয়ে লড়াই করেছে। এবারও ফের এক প্রভুভক্তের প্রমাণ পাওয়া গেল। এক মালিকের প্রতি ভালোবাসা, বিশ্বাস এতটাই যে তার জন্য এক বড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলল এক পোষ্য কুকুর। কুকুরটি তার পুরনো মালিকের কাছে ফিরে যেতে পাড়ি দিয়েছে প্রায় ৬৪ কিমি পথ। ঘটনাটি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের (Northern Ireland)।
জানা গিয়েছে, কুপার নামে একটি গোল্ডেন রিট্রিভার কুকুরকে এক ব্যক্তি দত্তক নিয়েছেন। পুরনো মালিক তাকে কোনও কারণে তাঁর বাড়িতে রাখতে না পারলে তিনি নাইজেল নামের এক ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দেন কুপারকে। কিন্তু কুপারকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসলেও তার আগের মালিকের প্রতি এতাটই টান ছিল যে সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর পুরনো মালিকের বাড়ির পথে রওনা দেয় সে। পাহাড়-জঙ্গল পেরিয়ে প্রায় ৬৪ কিমি পথ হেঁটে সে তার আগের বাড়ি ও মালিকের কাছে ফিরে যেতে চায় সে। জানা গিয়েছে, সে এই পথ দীর্ঘ ২৭ দিন ধরে হেঁটেছে।
কিন্তু অন্যদিকে নাইজেল কুপারকে খুঁজে না পেয়ে তল্লাশি শুরু করে। এরপর হারিয়ে যাওয়া পোষ্যদের খুঁজে পাওয়ার সংস্থা লস্ট প এনআই-এর সঙ্গে নাইজেল যোগাযোগ করলে কুপারকে খুঁজে দিতে সাহায্য করে তারা। তার হারিয়ে যাওয়ার অনেকদিন পরেই কুপারের খবর পেলে তা নাইজেলকে জানানো হয়। এরপর তাঁরা এসে কুপারকে উদ্ধার করেন। জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে কুপার এখন নতুন মালিকের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। নাইজেলের বাড়িতে আরও এক পোষ্য কুকুর মলির সঙ্গে ভালোভাবেই সময় কাটাচ্ছে কুপার।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। পথ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) হয় এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরার (Bagdogra) কাছে। এই ঘটনার পর ওই যুবককে তড়িঘড়ি বাগডোগরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে আসে বাগডোগরা থানার পুলিস (Police)। পরবর্তীতে পুলিস দেহটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম জাকিম ক্রিকেটটা (২৭)।
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে বাগডোগরা সংলগ্ন বিজয়নগর চা বাগান থেকে ঘোষপুকুরের জয়ন্তিকা চা বাগানে একটি বাসে করে বরযাত্রী এসেছিল। বিয়ে বাড়ির শেষে বাড়ি ফেরার সময় বাগডোগরার সামনে হঠাৎ গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। জানা গিয়েছে, ওই যুবক বরযাত্রীর বাসের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ঝুলে ঝুলে আসছিল। গাড়ি চলাকালীনই হঠাৎ করে গাড়ির ভিতর থেকে বাইরে ছিটকে রাস্তার উপর পড়েন। তারপরেই ঘটনাস্থলে গাড়ি থামিয়ে ওই যুবককে তড়িঘড়ি করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় বাসের বাকি লোকজন। তারপরেই জানা যায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কুকুরা যে কতটা প্রভুভক্ত ও প্রভুদের প্রাণ বাঁচাতে যে কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে, তা ফের প্রমাণিত। এর আগেও অনেকবার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, কুকুরা কীভাবে সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সম্প্রতি ফের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে দুটি কুকুর এক খুদের প্রাণ বাঁচাতে সাপের সঙ্গে লড়াই করছেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে।
দেখা গিয়েছে, একটি দুধের শিশু স্ট্রলিতে শুয়ে আছে, তখনই তার দিকে এগিয়ে আসছিল এক বিষধর সাপ। তখন তা থেকে সামনে থাকা দুটি কুকুর প্রথমে চিৎকার করতে থাকে। এরপর সাপের সঙ্গে লড়াই শুরু। নিজেরে প্রাণের কোনও পরোয়া না করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে একরত্তিকে বাচ্চাতে। এরপর একটি কুকুর সুযোগ পেতেই সাপটিকে এক কামড় দিয়ে ধরে অন্যদিকে নিয়ে যায়। এরপর ভিডিওতে স্পষ্ট কিছুই দেখা যায় না। তবে বাচ্চাটিকে যে তারা বাঁচাতে পেরেছে তা নিশ্চিত। বাচ্চার প্রাণ বাঁচাতে কুকুরের সাপের সঙ্গে লড়াইয়ের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্য়মে শেয়ার করতেই ভাইরাল।
এই ভিডিওটি Out of Context Human Race নামক ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। এটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ ভিউ এসেছে। ভিডিও-র নীচে নেটিজেনদের কমেন্টে ভরে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেকেই কুকুর দুটোর বাহবা করেছেন। আবার অনেকেই নিন্দা করেছেন সেই ব্যক্তিকে, যিনি তাদের সাহায্য করার পরিবর্তে ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিলেন। তবে অবশেষে এটা বলাই বাহুল্য যে, দুটি কুকুরের এই কাজ সত্যি প্রশংসনীয়।
জঙ্গলমহলে হাতির পর এবার কুকুরের হামলার (Dog Attack) আতঙ্ক। পাগল কুকুরের হামলায় গুরুতর (injured) জখম ৭ জন। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার বেলিয়াবেড়া থানার মহাপাল আম্বি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে এক শিশুকে কামড়ায় পাগলা কুকুরটি। তারপরে ওই শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে কুকুরের হামলার শিকার হন দুই জন। ইতিমধ্যেই কুকুরের কামড়ে আহতদের স্থানীয় তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ও গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোখের নিমিষে পাগল কুকুরটি রাস্তায় চলাচল করা ছোট বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার উপরেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কারোর গলা লক্ষ্য করে কুকুরটি ঝাঁপ দিয়ে বুকে কামড়ে দিচ্ছে। কারোর বা হাতে কিংবা পায়ে কামড় দিয়ে দ্রুত গতিতে জঙ্গলে পালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, বনদফতর ও প্রশাসনের তরফ থেকে অবিলম্বে এই পাগল কুকুরটিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হোক। তবে একটি কুকুর নাকি একাধিক কুকুর তাঁদের উপর আক্রমণ করছে তা নিয়ে এলাকাবাসী সংশয়ে রয়েছে। তাই গোটা বিষয়টিতে এখনই বনদফতরের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
বাগডোগরা (Bagdogra) সংলগ্ন কেষ্টপুর এলাকায় গৌতম মল্লিকের বাৎসরিক কালীপুজোর অনুষ্ঠানে স্বয়ং উপস্থিত হল গজরাজ (Elephant)। আচমকাই হাতি দেখতে পেয়ে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। তবে কালীপুজোয় বিনা আমন্ত্রণে গজরাজকে দেখে হতভম্ব গ্রাম। গ্রামবাসীরা এমনও মনে করছেন মায়ের পুজোয় স্বয়ং ছেলে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন দেখার জন্য।
বুধবার রাতে খাবার সন্ধানে বাগডোগরা সন্ন্যাসী চা বাগান সংলগ্ন গ্রামে তাণ্ডব চালায় ওই হাতি। প্রাণে বাঁচে বনকর্মীর স্ত্রী ও সন্তানের। গ্রামের দুটি বাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছে হাতিটিকে। হাতি দেখতে পেয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় গোটা গ্রামজুড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ার পরেও বন দফতরের কর্মীদের দেখা মেলেনি। বুধবার রাত থেকেই কেষ্টপুর এলাকার বেশ কিছু জায়গায় এই হাতিটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এমনকি এদিনের পর বৃহস্পতিবার, কিছু বাড়িতে ভাঙচুর চালায় হাতি।
এর ফলে বাড়ির ভিতরে থাকা আসবাবপত্র থেকে শুরু করে রান্নাঘরের বাসনপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তবে প্রতিনিয়ত এই হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত ওসব এলাকা। গ্রামবাসীরা চাইছেন হাতিকে জঙ্গলে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক বন দফতর। যদি এই হাতিকে জঙ্গলে ফেরানোর ব্যবস্থা না করা হয় তবে আগামীতে কোন বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হবে গ্রামবাসীদের।
কুসংস্কার (Superstition) এখন আর আমাদের দেশে নেই, এমনটা অনেককেই বলতে শোনা যায়। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এমনও কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে এমন এমন কুসংস্কারে ভরা রীতি-নিয়ম রয়েছে, যা দেখে আপনি অবাক হতে বাধ্য। এমনই এক রীতির কথা জানা গেল, যা শুনে আকাশ থেকে পড়বেন আপনি। জানা গিয়েছে, এমন একটি গ্রাম আছে, যেখানে নাবালিকা-নাবালকদের শরীর থেকে ভূত তাঁড়াতে (Evil Spirit) কুকুরের (Dog) সঙ্গে বিয়ে (Marriage) দেওয়া হয়। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন। এই অদ্ভূত নিয়মটি ওড়িশার বালাসোর জেলার বাদশাহি গ্রামের।
জানা গিয়েছে, এই গ্রামের মানুষরা হো নামক সম্প্রদায়ের। তাদের মধ্যে এই নিয়ম প্রচলিত রয়েছে যুগ যুগ ধরে। দেখা গিয়েছে, হো সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি দারি সিং তাঁর ১১ বছরের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন এক মেয়ে কুকুরের আবার তাঁর ৭ বছরের মেয়ে লক্ষীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন ছেলে কুকুরের। কোন কুকুরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে, তা ঠিক করা হয় যখন সেই ছেলে-মেয়ের উপরের চোয়ালে প্রথম দাঁত বেরোয়। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, শিশুদের উপরের চোয়ালে দাঁত বেরোনো অশুভ। ফলে এই সন্তানদের শরীর থেকে অশুভ শক্তিকে বের করার জন্য কুকুরদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। এতে তাদের শরীরের অশুভ আত্মা কুকুরদের দেহে চলে যায়। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত নানা নিয়ম-রীতি মেনে এই বিয়ে দেওয়া হয় ও হো সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশাল খাওয়া-দাওয়ারও আয়োজন করে।
সেই সম্প্রদায়েরই একজন সদর সিং জানিয়েছেন, হো সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করেন, এই বিয়ে সম্পন্ন হলেই অশুভ আত্মা কুকুরের দেহে চলে যাবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কুসংস্কারে ভরা এই নিয়ম যুগ যুগ ধরে মেনে চলা হচ্ছে। তবে এর কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই।
পাগল কুকুরের কামড়ে (Dog Attack) আহত এক শিশু-সহ ৪ জন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। ইতিমধ্যেই আহতদের (Injured) চিকিৎসা শুরু হয়েছে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে, এমনকি দেওয়া হয়েছে ইনজেকশনও। ঘটনার জেরে আতঙ্কে এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই একটি কুকুর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজনদের কামড়ানো শুরু করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে একটি শিশু কুয়োতে মুখ ধুতে গিয়েছিল। সেই সময়ই হঠাৎ করেই একটি কুকুর তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমনকি তার কোমরের নিচে কামড়েও দেয় কুকুরটি। তারপর শিশুটির চিত্কার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে, কুকুরটি পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে। একইভাবে আরও একজন লোক যিনি বাজার যাচ্ছিলেন তাঁকে কামড় দেয় কুকুরটি। এমনকি সেখান থেকেও দৌড়ে অন্যত্র চলে যায় কুকুরটি। বাজার থেকে বাড়ি আসছিলেন অপর এক বাসিন্দা। তিনি যখন সাইকেল নিয়ে আসছিলেন তখন রাস্তার মধ্যেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই কুকুরটি। তখন তিনি রাস্তাতেই পড়ে যান। পড়ে যাওয়ার পরেই কুকুরটি তাঁকেও কামড়ে দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ওয়ার্ডের চারজনকে কামড়ানোর পাশাপাশি অন্য এলাকার এক ছাত্রী এই এলাকায় প্রাইভেট পড়তে এসেছিল তখন তাঁকেও কুকুরটি কামড়ে দেয়। স্থানীয়দের দাবি, ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। যাতে অতি শীঘ্রই এই পাগল কুকুরটিকে এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
একের পর এক হাতির তাণ্ডবে (Elephant Attack) ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন বন দফতরের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ সকলে। এবার বনকর্মীর বাড়িতে হাতির তাণ্ডব। হাতির হামলায় ভাঙলো দুটি ঘর। প্রাণে বাঁচলেন শিশু-সহ মা।
জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে হাতি এসে ভাঙচুর চালায় দুটি বাড়িতে। প্রথমে বাগডোগরা সন্ন্যাসী চা বাগান সংলগ্ন গ্রামে ঘটনার দিন একটি বিশাল হাতি এসে তাণ্ডব চালায়। এরপরে ওই গ্রামেরই দুটি বাড়িতে ভাঙচুর করে হাতিটি। সেসময় বাড়ির ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন দুটি বাচ্চা ও তার মা। হঠাৎ হাতি ভাঙচুর চালাতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন ওই মহিলা।
অবশেষে গ্রামবাসীরা এসে বাড়ির ভিতরে আটকে থাকা দুই শিশুকে এবং মাকে উদ্ধার করেন। মাঝেমধ্যেই হাতির দল এই এলাকা দিয়ে রাস্তা পারাপার করার সময় খাবার সন্ধানে গ্রামে ঢুকে যায় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বন দফতরের সহযোগিতায় হাতির দলকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যে দুটি বাড়িতে হাতি ভাঙচুর চালিয়েছে তার একটি বাড়ি বাগডোগরা বন দফতরের কর্মীর। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় তিনি ডিউটিতে ছিলেন। হাতি তাণ্ডব চালিয়েছে শুনে বাড়িতে ছুটে আসেন তিনি।
পাচারের (Buffalo Smuggling) আগে দুটি ট্রাকের ভিতর থেকে ৩১টি মহিষ-সহ দুজন চালককে গ্রেফতার করেছে বাগডোগরা থানার পুলিস (Bagdogra Police)। সারা রাজ্যজুড়ে যেখানে নববর্ষের অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা, ঠিক সেই সময় গরু পাচারকারীরা এখন মহিষ পাচারে ব্যস্ত। এতদিন রাতের অন্ধকারে পাচারকারীরা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যবহার করে বাংলাদেশে গরু এবং মহিষ পাচার করতো। এখন দিনের আলোতে পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লো দু'জন। বাগডোগরা থানার পুলিস ভুট্টা বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় নাকা তল্লাশির সময় বিহারের নাম্বার প্লেট লাগানো দুটি ছয় চাকার গাড়ি আটক করে পুলিস।
তল্লাশিতে দেখা গিয়েছে গাড়ির ভিতরে প্রচুর পরিমান মহিষ, গাড়ির চালককে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে, গাড়ি চালক কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অবশেষে পুলিস গাড়ি দুটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গাড়ির দুই চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুটি গাড়ির ভিতর ৩১টি মহিষ পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে পুলিসের চোখে ধুলা দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচারকারীরা এভাবেই বাংলাদেশে মহিষ পাচার করছে। দুই চালকের নাম মহম্মদ শামসুল ও মোহাম্মদ নাসির এদের দুজনের বাড়ি বিহারের কাটিহারে। এই পাচারকারীদের সঙ্গে স্থানীয় কে বা কারা জড়িত রয়েছে তাঁর তদন্ত শুরু করেছে বাগডোগরা থানার পুলিস।
অপরদিকে ২ চালককে শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।