অভিনেত্রীদের (Actress) বিচ্ছেদকে (Divorce) বিশেষ গুরুত্ব দেয় না সমাজ। ভাবখানা এমন যেন অভিনেত্রীদের বিচ্ছেদই ভবিতব্য। এমন অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁদের বিয়ে বিশেষ সুখকর হয়নি। সমাজ থেকে নানা কটূ কথা ছুটে গিয়েছে তাঁদের দিকে। তবে তাতে বিশেষ গুরুত্ব দেননি অভিনেত্রীরা। বরং গুরুত্ব দিয়েছেন মাতৃত্বে। অভিনয় জীবন সামলে সন্তানকে মাতৃস্নেহে বড় করে তুলেছেন, এমনই কিছু অভিনেত্রী আপনার পরিচিত।
২০০৪ সালে প্রবাল বসুর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। জীবনে এসেছিল পুত্রসন্তান প্রোনীল। তবে সেই বিয়ে সুখকর হয়নি। আইনি বিচ্ছেদ না হলেও, স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকেন রচনা। ছেলে তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করলেও। অধিকাংশ সময় রচনা নিজের কাছেই সন্তানকে রাখেন। কাজের বাইরে ছেলের জন্যই রাখেন নিজের অধিকাংশ সময়।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র স্বামী শিলাদিত্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মেয়ে 'মাইয়া'কে নিয়ে একাই থাকতে শুরু করেন। মেয়ে বর্তমানে পড়াশোনা করছে। মাঝেমধ্যেই মেয়েকে নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরতে যান।
রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তবে সেই বিয়ে সুখের হয়নি। বিয়েতে যখন চরম বিপর্যয় তখনই সন্তানসম্ভবা হন অভিনেত্রী। এরপর সন্তান অন্বেষা আসে জীবনে। মেয়েকে একই বড় করে তুলেছে অভিনেত্রী। অন্বেষাও জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছে।
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার বিয়ে করেছিলেন প্রথম সিনেমার সহ অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায়কে। ছেলে 'সহজ' জন্ম নেয়। তবে রাহুলের সঙ্গে সম্পর্ক টাল খায় প্রিয়াঙ্কার। যদিও সম্পর্কের প্রভাব পড়েনি সহজের উপর। সময় পেলেই সহজের সঙ্গে সময় কাটান প্রিয়াঙ্কা। সম্প্রতি ছেলেকে নিয়ে গরমের ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি (Porimoni) আবারও চর্চায়। চতুর্থ স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে বিপর্যয় এসেছে। দিন কয়েক আগেই ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়ে স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন পরীমণি। কিন্তু ১০ জুন ছেলে রাজ্যের ১০ মাস পূর্তিতে আবারও একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল পরীমণি ও রাজকে। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে ঝামেলা মিটিয়ে ছেলের জন্য আবারও এক হলেন তাঁরা?
সামাজিক মাধ্যমে পরীমণি সম্প্রতি এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য লিখেছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, আপনাদের মধ্যে অনেকের মতো আমিও খুশি হয়ে যাই খবরের এসব শিরোনাম দেখে! সব ভুলে আবার এক হলেন……কিন্তু সব কি আর সবসময় এক হয়? আমরা দশ তারিখটা (যেটি আমাদের জীবনের অনেক স্পেশাল দিন। আমাদের বাচ্চার পৃথিবীতে আসার দিন এটি) সেলিব্রেট করেছি মাত্র। আগামী দিনেও করবো। যেখানে আমরা জীবনের অন্য কোন ইস্যু টানবো না।'
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন ১০ জুন রাজ এসেছিলেন ছেলের ১০ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে। অনুষ্ঠান শেষে তিনি চলে যান। অর্থাৎ পরীমণি বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর সঙ্গে শরিফুল রাজের বিচ্ছেদ হচ্ছেই। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে শরিফুল রাজের সঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক অভিনেত্রীর কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। এরপরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরীমণি।
বিচ্ছেদ হয়ে গেল সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন (Rajeev Sen) এবং অভিনেত্রী চারু আসোপার (Charu Asopar)। বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁরা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৯ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন তাঁরা। সুস্মিতা সেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছিলেন ছোট ভাইয়ের। কিন্তু সেই বিয়ে সুখকর হয়নি। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না রাজীব-চারুর। অশান্তি এত বাড়ে যে সামাজিক মাধ্যমেও একে ওপরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তাঁরা।
চারু রাজীবের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন। রাজীবও একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ করেছিলেন তাঁকে। এমনকি সেই সময়েই বিচ্ছেদের মামলা করেন তাঁরা। কিন্তু এমন সময় সন্তানসম্ভবা হন চারু। পরবর্তীকালে তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও হয়। মা বাবার সমান আদর পেয়েছে মেয়ে জিয়ানা। কিন্তু চারু ও রাজীব দাম্পত্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারলেন না।
৮ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিচ্ছেদ হল রাজীব ও চারুর। বিচ্ছেদের পর রাজীব ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে তাঁর ও চারুর একটি রোম্যান্টিক ছবি আপলোড করেন। ক্যাপশনে লেখেন, 'এখানে কোনও বিদায় নেই। শুধুমাত্র দুজন মানুষ যারা একে অপরকে ধরে রাখতে পারল না। ভালোবাসা থাকবে। আমরা সবসময় আমাদের মেয়ের কাছে মা-বাবাই থাকব।
কিন্তু প্রশ্ন ছিল, তাহলে তাঁদের সন্তান কার কাছে থাকবে? এই বিষয়ে চারু এবং রাজীব দু'জনেই বলেছিলেন তাঁরা যৌথভাবে কন্যা জিয়ানাকে বড় করে তুলতে চান। তবে রাজীবের প্রতি অভিযোগ থাকলেও ননদ সুস্মিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ চারু। এর আগে চারু বলেছেন, তিনি চান তাঁর সন্তান জিয়ানা, পিসির মতোই লড়াই করতে শিখুক।
এখন বিয়ে হলেই প্রথমে বর ও কনে মেতে ওঠে প্রি-ওয়েডিং (Pre-Wedding) ও পোস্ট-ওয়েডিং শ্যুটে। বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, কিন্তু প্রি-ওয়েডিং শ্যুট করবে না এমনটা কমই দেখা যায়। কিন্তু এবারে এমন এক ঘটনা ঘটলো যা আগে হয়তো দেখা যায়নি। প্রি-ওয়েডিং শ্যুটের পর ফটোগ্রাফারের (Photographer) থেকে ফেরত চাওয়া হলো টাকা। তবে কেন এমন ঘটনা, তার কারণ জানলে অবাক হবেন। সেই ফটোগ্রাফার ও ওই ব্যক্তির কথোপকথনের মেসেজের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে।
I swear my life is a movie 🤦🏽♂️🤣 you can't make this stuff up.
— LanceRomeoPhotography (@LanceRomeo) April 11, 2023
ThaboBesterArrested Musa xoli Boity #NOTA
Pretoria East Dr Pashy #RIPAKA Ananias Mathe Venda #AskAMan Bonagni Fassie Midrand Stage 5 Andile Costa #DrNandipha Gayton Langa Penuel pic.twitter.com/3RKTkY1OkD
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার এক মহিলার ৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছে কিন্তু তাঁর বিয়ের ৪ বছর পর ডিভোর্স হয়েছে। ফলে তিনি তাঁর সেই ফটোগ্রাফার ল্যান্স রোমিওকে মেসেজ করেছেন, যিনি তাঁদের বিয়েতে ফটোশ্যুট করেছিলেন। তাঁকে মেসেজ করে বলেছেন, তাঁকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল ফটোশ্যুট করার জন্য, সেটা তিনি ফেরৎ চান। ল্যান্স প্রথমে এই মেসেজটি দেখে মনে করেছিলেন যে, হয়তো তিনি মজা করছেন। কিন্তু সেই মহিলা সত্যিই ল্যান্সের থেকে টাকা চাইতেই ল্যান্সও স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, ফটোশ্যুটের পর টাকা ফেরৎ দেওয়া হয় না।
তাঁদের মধ্যেকার সেইসব মেসেজের স্ক্রিনশট করে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করতেই ভাইরাল হয়েছে এটি। ল্যান্স নিজেই ক্যাপশনে লিখছেন, তাঁর জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়।
দক্ষিণী তারকা সামান্থা রুথ প্রভু (Samantha Ruth Prabhu), এবং অভিনেতা নাগা চৈতন্যের (Naga Chaitanya) জুটি সারা ভারতে বেশ জনপ্রিয় ছিল। দম্পতিদের সিনেমার পর্দায়, কিংবা সামাজিক মাধ্যমে ছবিতে-ভিডিওতে একসঙ্গে দেখতে বেশ পছন্দ করতেন নেটিজেনরা। পাওয়ার কাপল বলতে যা বোঝায়, তেমনটাই ছিল নাগা এবং সামান্থার জুটি। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বিচ্ছেদ (Divorce) ঘোষণা করেন তাঁরা। এরপর দু'বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে এখনও দর্শকদের মনে বিষণ্ণতা রয়ে গিয়েছে। রয়ে গিয়েছে অনেক প্রশ্ন। বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ে সামান্থাকে নিয়ে কী ভাবেন প্রাক্তন স্বামী? সেকথা এল প্রকাশ্যে।
নতুন সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত নাগা। সেই প্রচারেই নিজের প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্য করলেন অভিনেতা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, 'সামান্থা ভালোবাসা-যোগ্য মানুষ। সমস্ত আনন্দ ওঁর প্রাপ্য। মিডিয়া যখন আমাদের নিয়ে ভুল প্রচার করেছিল, তখন আমাদের মধ্যে বোঝাপড়ায় সমস্যা হয়েছিল। তখন আমার খারাপ লেগেছিল।'
তাঁরা কী অতীত সম্পর্ক ভুলতে পেরেছেন? এর উত্তরে নাগা চৈতন্য বলেন, 'দু বছরের বেশি হয়ে গেল আমরা আলাদা রয়েছি এবং এক বছর হয়ে গেল আমাদের আইনত বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। আদালত আমাদের বিচ্ছেদে মান্যতা দিয়েছে। আমরা দু'জনেই দু'জনের জীবনে এগিয়ে গিয়েছি। আমি ওই সময়টুকুকে সম্মান করি।'
বর্তমানে বিতর্ক যেন নোবেলের (Mainul Ahsan Noble) পিছুই ছাড়ছে না। একের পর এক সমালোচনা-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। গত কয়েকদিন ধরেই সমালোচনার কেন্দ্রে তিনি। এবারে তিনি ফের তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের (Divorce) কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। নোবেলের স্ত্রী সালসাবেল জানিয়েছেন, যে তিনি তাঁর পরিবারের সিদ্ধান্তে ডিভোর্স (Divorce) দিয়েছেন নোবেলকে। মাদক ও স্ত্রীয়ের মধ্যে কোনও একটাকে বেছে নিতে বললে নোবেল নাকি মাদককেই বেছে নিয়েছেন বলে দাবি সালসাবেলের (Salsable)। ফলে মাদককে না ছেড়ে স্ত্রীর সঙ্গেই বিচ্ছেদ করলেন নোবেল।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের এক কলেজের অনুষ্ঠানে সম্পূর্ণ মদ্যপ হয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন নোবেল। গোটা দেশজুড়ে তাঁকে নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সালসাবেল মাহমুদও। নোবেলও পরে স্বীকার করে বলেছিলেন, 'স্টেজে ওঠার আগে হালকা একটু রিলাক্সেশনের জন্য, হালকা একটু ফিলিংসের ভেতরে যাওয়ার জন্য একটু মদ পান করার দরকার পড়ে। স্টেজে ওঠার আগে সামান্য মদ পান করেছিলাম।' তাঁর স্বীকারোক্তিতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের জনতা। এরপর সালসাবেল ফেসবুকে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানাতেই ফের নোবেলের দিকে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ। ফেসবুকে প্রাক্তন স্ত্রী লিখেছেন, 'আমি তাঁকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, "নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল" এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি।'
বিবাহ বিচ্ছেদের (Divorce) এত আনন্দ হয়তো আপনারা কখনও দেখেননি। কিন্তু এবারে এক মার্কিন (US) মহিলা সেটাই করে দেখালেন। সাধারণত দেখা যায়, বিবাহ বিচ্ছেদের পর দু'পক্ষকেই কয়েক বছর একাধিক সমস্যা, দুঃখের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এই মার্কিন মহিলা এর একেবারে ব্যতিক্রম। তিনি তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ পালন করলেন ফটোশ্যুট (Photoshoot) করে, বিয়ের পোশাক পুড়িয়ে, শ্যাম্পেন দিয়ে, অতীতের স্মৃতি নষ্ট করে।
৩১ বছর বয়সী লরেন ব্রুক ২০১২ সালে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এর ১০ বছর পর অর্থাৎ ২০২১ সালে ডিভোর্স নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁদের বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হয়। এরপরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, বিচ্ছেদকে তিনি খুশি-আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করবেন। ফলে তাঁকে দেখা যায় লাল গাউনে, হাতে তাঁর ডিভোর্সড বলে লেখা স্টিকার। তাঁকে কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে শ্যাম্পেইনের বোতল খুলতে, কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিয়ের সাদা গাউন আগুনে পোড়াতে, আবার কোনও ছবিতে দেখা গিয়েছে ফটো ফ্রেম জুতো দিয়ে ভেঙে ফেলতে ও বিয়ের ফটোও পুড়িয়ে ফেলতে।
লরেনের এই কীর্তিকলাপ পিউবিটি বলে এক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, লরেনের এমন কাণ্ডে তাঁর সঙ্গী ছিলেন তাঁর মাও। তাঁর মা একজন ফটোগ্রাফার হওয়ায় এই ছবিগুলো তুলে দিয়েছেন।
বিচ্ছেদ (Divorce) চাইতে এসে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) কাছে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক দম্পতিকে। বিচ্ছেদের আগে নিজেদের সময় দিয়েছিলেন তো? ডিভোর্সের আর্জি নিয়ে হাজির হওয়া এক দম্পতিকে এমনই প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচ্ছেদের আর্জি চাওয়া ওই দম্পতি দু’জনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। দুই তরফেই তড়িঘড়ি বিচ্ছেদের আবেদন করা হয়েছে। ডিভোর্সের মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিভি নাগারত্নের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের পরামর্শ, বিচ্ছেদের আগে নিজেদের আরও একবার সুযোগ দিন। আদালত বলে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই নিজেদের কর্মজীবনে ব্যস্ত, জীবনসঙ্গীকে তাঁরা প্রয়োজনীয় সময় দেন তো? একজন দিনের বেলা কাজে বেরিয়ে যান এবং অন্য জন রাতে। বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আপনাদের মধ্যে কোনও অনুশোচনা না থাকলেও বিয়ের জন্য কিন্তু অনুশোচনা আছে!’
উল্লেখ্য, হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ডিক্রির মাধ্যমে ‘মিউচুয়াল ডিভোর্স’-এর জন্য আবেদন করেছিলেন দম্পতি। শীর্ষ আদালতে দু’জনের আইনজীবীরা জানান মোট ১২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে স্বামীকে। এই খোরপোশের শর্তে দু’পক্ষই রাজি হয়ে গিয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, চুক্তির শর্তাবলী আইনসম্মত গ্রহণ করার জন্য কোনও আইনি বাধা নেই। তাই পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ করা যাবে। কিন্তু বিচ্ছেদের আগে আরও একবার দম্পতিকে ভেবে দেখতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। এই ডিভোর্সের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, ‘বেঙ্গুলুরু এমন জায়গা নয়, যেখানে নিমেষে ডিভোর্স হয়। তাই আপনারা নিজেদের একবার সুযোগ দিন।’
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই খবরে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী (Nawazuddin Siddique)। তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী (Aaliya Siddique) অভিনেতার বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। অভিনেতার মা আলিয়ার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এরপর নওয়াজের স্ত্রী বিচ্ছেদের (Divorce) আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। নওয়াজ ও আলিয়া দুজনেই সন্তানদের নিজের কাছে রাখতে চাইছে। এই নিয়ে আবারও নতুন আদেশ আদালতের।
নওয়াজ ও আলিয়ার সন্তানেরা দুবাইতে পড়াশোনা করছেন। যদিও সম্প্রতি আলিয়ার কাছে ছিলেন তাঁরা। দিন কয়েক আগে আদালত নির্দেশ দেয়, সন্তানদের পড়াশোনার জন্য দুবাই পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এবার সেখানেই পুরো পরিবারকে একসঙ্গে থাকতে হতে পারে। আদালতের নির্দেশ বাচ্চারা আপাতত দুবাইতে তাদের মায়ের সঙ্গে থাকবে। তবে শ্যুটিং সেরে নওয়াজউদ্দিনকেও সেখানে যেতে হবে। তাদের এই মুহূর্তে একসঙ্গে থাকার নির্দেশ আদালতের।
দুবাই ফিরতে চাইছে না নওয়াজ ও আলিয়ার কন্যা শোরা। তার আতঙ্ক দুবাই ফিরলে সহপাঠীরা তাঁকে মা-বাবার বিচ্ছেদ নিয়ে উত্যক্ত করবে। নওয়াজ স্ত্রী আলিয়া তাকে থেরাপিস্টের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন কাউন্সেলিংয়ের জন্য। অন্যদিকে নওয়াজ আগেই জানিয়েছেন, ডিভোর্স হলেও তিনি সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য লড়াই করবেন।
বলিপাড়ার এক অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan) ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। তাঁদের বি-টাউনের 'পাওয়ার কাপল' বললেও কিছু ভুল বলা হবে না। কিন্তু এর মধ্যেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, তাঁদের সম্পর্কে নাকি চিড় ধরেছে। অর্থাৎ তাঁরা নাকি একে অপরকে ডিভোর্স দিতে চলেছেন। ফলে তাঁদের ডিভোর্স নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে এই ঘটনার শুরু কোথা থেকে জানেন?
কয়েকদিন আগেই উদ্বোধন হয়েছে নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেখা থেকে শুরু করে শাহরুখ, আমির, সলমন, দীপিকা, প্রিয়াঙ্কা, করিনা-সহ আরও অনেকে। পুরো বলিপাড়া যেন উঠে এসেছিল সেই আম্বানিদের অনুষ্ঠানে। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চনও। ফলে তিনি তাঁর মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। কিন্তু দেখা যায়নি অভিষেক বচ্চনকে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে যে, তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কিছু ভালো চলছে না।
এর আগেও একবার ২০১৪ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বিগ বি-র ছেলে অভিষেক বচ্চন নেটিজেনদের বেশ কটাক্ষ করেই ট্যুইট করেছিলেন। তিনি তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, 'আমি চাই না যে, কোনও তৃতীয় ব্যক্তি আমাদের বলুক, আমাদের কীভাবে থাকা উচিত।' তবে এবার ডিভোর্সের গুঞ্জনে এখনও পর্যন্ত কাউকেই প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি। তবে নেটিজেনদের প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, 'পুরো বলিউড আম্বানিদের অনুষ্ঠানে উপচে পড়লেও অভিষেক বচ্চন গেলেন কোথায়?'
বলিপাড়ার এক অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan) ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। তাঁদের বি-টাউনের 'পাওয়ার কাপল' বললেও কিছু ভুল বলা হবে না। কিন্তু এর মধ্যেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, তাঁদের সম্পর্কে নাকি চিড় ধরেছে। অর্থাৎ তাঁরা নাকি একে অপরকে ডিভোর্স দিতে চলেছেন। ফলে তাঁদের ডিভোর্স নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে এই ঘটনার শুরু কোথা থেকে জানেন?
কয়েকদিন আগেই উদ্বোধন হয়েছে নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেখা থেকে শুরু করে শাহরুখ, আমির, সলমন, দীপিকা, প্রিয়াঙ্কা, করিনা-সহ আরও অনেকে। পুরো বলিপাড়া যেন উঠে এসেছিল সেই আম্বানিদের অনুষ্ঠানে। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চনও। ফলে তিনি তাঁর মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। কিন্তু দেখা যায়নি অভিষেক বচ্চনকে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে যে, তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কিছু ভালো চলছে না।
এর আগেও একবার ২০১৪ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বিগ বি-র ছেলে অভিষেক বচ্চন নেটিজেনদের বেশ কটাক্ষ করেই ট্যুইট করেছিলেন। তিনি তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, 'আমি চাই না যে, কোনও তৃতীয় ব্যক্তি আমাদের বলুক, আমাদের কীভাবে থাকা উচিত।' তবে এবার ডিভোর্সের গুঞ্জনে এখনও পর্যন্ত কাউকেই প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি। তবে নেটিজেনদের প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, 'পুরো বলিউড আম্বানিদের অনুষ্ঠানে উপচে পড়লেও অভিষেক বচ্চন গেলেন কোথায়?'
২০২২ থেকেই অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী (Nawazuddin Siddique) ও তাঁর স্ত্রী আলিয়ার (Aaliya Siddique) সম্পর্কে ছেদ পড়েছে। তাঁদের দাম্পত্য কলহের কথা জানতে পেরেছে নেট দুনিয়া। তিক্ততার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। গার্হস্থ্য হিংসা থেকে প্রতারণা, অভিনেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে স্ত্রী আলিয়া। নওয়াজউদ্দিনের মা, আলিয়ার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সন্তানের পিতৃত্ব পরীক্ষার আরজি নিয়ে আদালতে গিয়েছেন আলিয়া। অন্যদিকে আলিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন নওয়াজ। তাঁদের সন্তান কার কাছে থাকবে সেই নিয়ে মামলা চলছে।
সন্তানের হেফাজত পেতে চাইছেন নওয়াজউদ্দিন। কিন্তু আলিয়ার দাবি, তাঁর সন্তানরা তাদের বাবার কাছে থাকতে চায় না। সন্তানরা পিতার স্নেহ পায়নি কোনওদিন। আলিয়া আরও বলেন, 'তাঁর সন্তান ইয়ানি ও শোরা জন্ম থেকে তাঁর কাছেই থাকছে। ভবিষ্যতেও আলিয়ার কাছেই সন্তানরা থাকতে চায় বলে দাবি করেছেন তিনি।' এই টালবাহানার মাঝে বম্বে আদালত নওয়াজ ও আলিয়ার সন্তানদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের সন্তানকে দুবাই পাঠাতে হবে। সেখানেই পড়াশোনা করছে নওয়াজ ও আলিয়ার সন্তান ইয়ানি ও শোরা। তবে তারা শেষ পর্যন্ত কার হেফাজতে থাকে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জুন মাসে সন্তানের হেফাজতের শুনানি হবে।
তেলেগু সিনেমা 'পুস্পা'র (Pushpa) সুপারহিট গান 'ও আন্তাভা'য় লাস্যময়ী সামান্থার (Samantha Ruth Prabhu) শরীরী আবেদন, মুখের অঙ্গভঙ্গি দোলায়িত করেছে লক্ষ লক্ষ হৃদয়। যে সময় গানটি তুফান তুলেছে বক্সঅফিসে, ঠিক সেই সময় সামান্থার মনে বিচ্ছেদের ঝড়। গানটি মুক্তি পেতেই গুঞ্জন শুরু হয়, আইটেম গানে সাহসী নাচ ও অভিনয় করার জন্যই নাকি সামান্থার বিচ্ছেদ (Divorce) ঘটেছে অভিনেতা নাগা চৈতন্যের (Naga Chaitanya) সঙ্গে। এই ঘটনা কী সত্যি? স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদে অনুশোচনা রয়েছে? এতদিন মুখে কুলুপ আঁটলেও এইবার বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সর্বসমক্ষে মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সামান্থা বলেন, নাগা চৈতন্যের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ মামলা যখন আদালতে ঠিক তেমন সময় তাঁর কাছে 'ও আন্তাভা'র সুযোগ আসে। পরিবার-পরিজন এমনকি কাছের বন্ধুরাও আইটেম গানে আপত্তি জানায়। কিন্তু বিচ্ছেদের ভারে নিজের চারপাশে দেওয়াল তুলতে চাননি সামান্থা। বরং কর্মজীবনে ভর করেই বিচ্ছেদের ব্যাথা ভুলতে চেয়েছিলেন। নিজের মনের অন্দরে বিবাহ বিচ্ছেদের গ্লানি জমতে দেননি তিনি। সকলের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র সিদ্ধান্তে 'ও আন্তাভা' বেছে নেন।
সামান্থা ইন্টারভিউতে বলেন 'বিচ্ছেদের মাঝে ও আন্তাভার সুযোগ আসে। এর ঘোষণা করতেই আমার সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষী, পরিবারের প্রত্যেক সদস্য আমাকে বলেন, বিচ্ছেদের ঘোষণার মাঝে কোনও আইটেম গান করা যাবে না। এমনকি আমার যে বন্ধুরা সবসময় আমার পাশে থেকেছে তারাও আপত্তি জানায়। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম আমি করব।' সামান্থা আরও বলেন, 'আমি ভেবেছিলাম, আমি কেন লুকোব? আমি তো কোনও অন্যায় করছি না।'
সামান্থা 'ও আন্তাভা'র সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, 'আমি আমার বিয়েতে নিজের ১০০ শতাংশ দিয়েছিলাম। তবুও বিয়েটা টেকেনি। কিন্তু তাই বলে আমি নিজেকে আঘাত করিনি বা অপরাধবোধে ভুগিনি।'
বলিউড তারকা দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone) ও রণবীর সিং (Ranveer Singh) প্রায় ৬ বছর প্রেম করেছেন একে অপরের সঙ্গে। ২০১৮ সালে বিয়ে করেন দু'জনে। এরপর বলিউড দম্পতিদের মধ্যে চর্চিত হয়ে উঠেছেন। তাঁদের সম্পর্কের যাপন নিয়ে যেমন প্রশংসা পেয়েছেন। একইভাবে পাল্লা দিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে গত চার বছরে। দম্পতি সাধারণত প্রকাশ্যে এলেই একে অপরের সঙ্গে যৌথযাপনের প্রমাণ দেন। নানা ইন্টারভিউতে একে অপরের প্রতি ভালোবাসার কথা জাহির করেছেন। আবার তাঁদের শারীরিক অঙ্গভঙ্গিও তাঁদের হয়ে কথা বলেছে।
সাধারণত সেলেব্রিটি দম্পতিরা প্রকাশ্যে এলেই পোজ দিয়ে পাপারাৎজিদের ছবি তোলার সুযোগ করে দেন। ক্যামেরার সামনের এই ঘনিষ্ঠতা দিয়েই নেটিজেনরা তারকাদের সম্পর্কের উত্তাপ বুঝে নেয়। স্বভাবত গতিপ্রকৃতির থেকে আলাদা কিছু হলেই শুরু হয় জল্পনা। সম্প্রতি যেমনটা হয়েছে দীপিকা ও রণবীরকে নিয়ে। খেলার জগতের একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তাঁরা। ক্যামেরায় ধরা পড়ে রণবীর হাত এগিয়ে দিলেও দীপিকা তাঁর হাত ধরেননি। তাহলে কি তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরেছে? এই নিয়ে ছয়লাপ হয় নেট মাধ্যম। তাঁদের বিচ্ছেদের রটনা যখন বাড়ছে, তখন প্রকাশ্যে এল আরও একটি ভিডিও।
যে অনুষ্ঠানের ঘটনা নিয়ে এত জল্পনা, সেই অনুষ্ঠানের মাঝেই দীপিকাকে বলতে শোনা যায় তাঁর প্রথম সিনেমার একটি সংলাপ, 'যদি কোনও কিছু মন থেকে চেয়ে থাকো, তাহলে পুরো মহাবিশ্ব তোমাকে তা পাইয়ে দেওয়ার সাহায্য করবে।' দীপিকার এই সংলাপের পরে রণবীর সিং বলে ওঠেন 'আমাকে জিজ্ঞেস করো, আমি এই কথার গ্যারান্টি দিতে পারি'। এই কথা শুনে হেসে ওঠেন দীপিকাও। বিচ্ছেদ তো দূরের কথা, তাঁরা যে একান্ত যৌথযাপনে আছেন তা স্পষ্ট হয়েছে দীপিকার হাসিতেই। কথায় আছে না 'কুছ তো লোগ কেহেঙ্গে..'
দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone) ও রণবীর সিং (Ranveer Singh)-এর সম্পর্কের রসায়ন বর্তমানে কোথায় দাঁড়িয়ে? সেই চর্চায় সরগরম সামাজিক মাধ্যম (Social Media)। সম্প্রতি তাঁরা এক খেলার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে একই গাড়িতে আসেন দু'জনে। তবে যুগলের ব্যবহারে সন্দেহ তৈরি হয় নেটিজেনদের মনে। গাড়ি থেকে নেমে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দীপিকার হাত ধরতে চান রণবীর। এরপরে দীপিকার শারীরিক ভঙ্গি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। সেই ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। বিচ্ছেদ(Divorce) হচ্ছে দু'জনের, সেই কানাঘুষো শুরু হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রণবীর দীপিকার দিকে হাত এগিয়ে দেন। ভেবেছিলেন দীপিকা যথারীতি তাঁর হাত ধরবেন। কিন্তু দীপিকা হাত ধরলেন না। যদিও রণবীর আশা ছাড়েননি। বেশ কিছুক্ষণ হাত এগিয়ে রাখেন দীপিকার দিকে। কিন্তু রণবীরকে এড়িয়ে দীপিকা নিজের শাড়ি সামলাতে শুরু করেন দু'হাতে। সামনে ক্যামেরা দেখে রণবীর ঢোক গিলে, গলার টাই ঠিক করে অপ্রস্তুত পরিস্থিতি সামলে নেন। কিন্তু ক্যামেরার চোখ ততক্ষণে মুহূর্ত বন্দী করে ফেলেছে। সেই ভিডিও কয়েক মুহূর্তে পৌঁছে যায় নেটিজেনদের মুঠোফোনে। 'তাহলে কি বিচ্ছেদ হচ্ছে তাঁদের?' এমন কমেন্টে ছয়লাপ হয় সামাজিক মাধ্যম।
প্রসঙ্গত, ৬ বছর প্রেম করার পর, ২০১৮-তে ইতালিতে উড়ে গিযে বিয়ে করেন দীপিকা-রণবীর। বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি হয়ে ওঠেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে, ডেটে তাঁদের হাত ধরে- হাসিমুখে দেখা গিয়েছে সর্বদা। তাঁদের সম্পর্ককে প্রেরণা হিসেবে দেখতেন অনেকে। তাই হঠাৎ এই বদল যেন অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে অনেকের। সত্যিই কি বিচ্ছেদ হচ্ছে তাঁদের? নাকি নিতান্তই সংসারিক ঝামেলা? দীপিকা কি অনিচ্ছাকৃতভাবেই এড়িয়ে গেলেন রণবীরের হাত? উত্তর দেবে সময়।