রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআইএর হাতে গ্রেফতার ৪ জন। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। এই ৭ জন হলেন আলী হোসেন ঘরামী, সঞ্জয় মন্ডল, সুকমল সদ্দার, মেহেবুব মোল্লা, আমিনুর শেখ, এনামুল শেখ এবং আইজুল শেখ।
এই ৭ জনকে এবার নিজেদের হেফাজতে চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই। এ বিষয়ে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন সিবিআইয়ের। বুধবার বসিরহাট মহাকুমা আদালত চত্বরে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সিবিআই প্রতিনিধি দল সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ সন্দেশখালি কেসের তদন্তে ও নথি সংগ্রহ করতে বসিরহাট আদালতে তারা আসেন বলেই সিবিআই সূত্রে খবর৷ পাশাপাশি শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ফারুক আকুঞ্জিকেও মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।
ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় ৫৫ দিন পর গ্রেফতার হয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। কোথায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি? সিবিআই সূত্রে খবর, একদিকে যখন তাঁর ফাঁসির দাবিতে সরব ছিল সন্দেশখালি, তখন তিনি ছায়াসঙ্গী ফারুক আকুঞ্জির বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। সেকারণেই সমগ্র বিষয়ে এই ঘটনায় জড়িতদের নিজেদের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এখন এই সন্দেশখালি কাণ্ডের জল কতদূর গড়ায়, আর কোন কোন ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার ওয়াকিবহাল মহল।
আদালতে ফের ধাক্কা রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের। রাজ্যের আবেদনের তোয়াক্কা না করে ধর্মতলায় বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে এটা স্পষ্ট যে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বিজেপিকে সভা করার অনুমতির পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কর্মসূচির জন্য বিজেপিকে কলকাতা পুলিশের শর্ত মানতে হবে।' যদিও কলকাতা পুলিশের উদ্দেশ্যে পাল্টা নির্দেশ দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অতিরিক্ত কোনও শর্ত যোগ করা যাবে না।'
প্রসঙ্গত এই মামলার শুনানির সময় ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস কর্মসূচির প্রসঙ্গও ওঠে আসে। প্রধান বিচারপতি বলেন, '২১ জুলাই বাতিল করে দিচ্ছি। আমরা সব বন্ধ করে দিচ্ছি। কোনও মিটিং, মিছিল, সভা নয়। একটাই সমাধান, সবার জন্য সব কর্মসূচি বন্ধ করেছি। সেটা করলে কি ভাল হবে? রাজনৈতিক ভাবে অযথা সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। দু’সপ্তাহ আগে আবেদন করা যথেষ্ট।” প্রসঙ্গত, বিজেপির তরফেও রাজ্যের শাসকদলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির প্রসঙ্গ তোলা হয়েছিল। তৃণমূল ওই দিন ধর্মতলায় সভা করতে পারলে, তারা কেন পারবে না, আদালতে সেই প্রশ্নই তোলে বিজেপি। আগের দিনের শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ‘‘শাসকদল যেমন রাজনৈতিক কর্মসূচি করে। বিজেপিও তেমন করতে চায়। তা হলে অসুবিধার কী রয়েছে?’’
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি। ফল ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী ধুপগুড়িকে মহকুমা করার প্রস্তাব দেন , এবার রাজ্যের মন্ত্রিসভাতেও পাশ হল এই প্রস্তাব। এছাড়াও এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক বিল পাশ হয়েছে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, মোট ১২ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে রাজ্যে। তাঁদের মধ্যে ৮,৪০০ জন পুরুষ এবং ৩,৬০০ জন মহিলা।’’
কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে ৪ জনকে খালাস। ২ অভিযুক্তকে ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু সাজা ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই মামলার রায়দান ছিল। এদিন কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর, আমিনুল ইসলাম, আমিন আলী এই চারজনকে খালাস করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়া সইফুল আলী মোল্লা ও আনসার আলী মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু সাজা ঘোষণা করল আদালত।
১০ বছর আগে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। আজ, শুক্রবার সেই কামদুনি মামলার রায়দান হল। নিম্ন আদালত ছয় অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল আগেই। পরে হাইকোর্টে যায় সেই মামলা। আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ কামদুনি মামলার রায় ঘোষণা করে। নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা রদ করল ডিভিশন বেঞ্চ। ওই অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনকে খালাস ও ২ অভিযুক্তকে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করল ডিভিশন বেঞ্চ।
ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে প্রমাণের অভাবে দুজনকে জামিন দেওয়া হয়। এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে মামলা চলাকালীন। কলকাতার নগরদায়রা আদালত ছ’জন অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল। দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সইফুল মোল্লা, আনসার মোল্লা, আমিন আলি, এমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলামকে। শরিফুল আলি, আনসার আলি ও আমিন আলিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছিল।
নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি মকুব করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টে বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে মামলার কিছু রিপোর্ট জমা পড়া বাকি ছিল, তাই রায় সংরক্ষিত করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা ঘটে। সিআইডি তদন্ত করছিল ওই মামলায়।
নতুন মহকুমা হতে চলেছে ধূপগুড়ি। নবান্ন থেকে ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধূপগুড়ির মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি, ভোটের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ধূপগুড়ি নতুন মহকুমা হচ্ছে। এই বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বানারহাট, ধূপগুড়ি টাউন, ধূপগুড়ি গ্রামীণ অঞ্চলের কিছুটা নিয়ে মহকুমা হবে। স্পেন থেকে ফিরে এই বিষয়ে বাকি কাজ তিনি শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিধানসভা ভোটের আগে প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়িকে মহকুমা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারপর উপনির্বাচনে আবার সেই প্রসঙ্গ উঠতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রতিশ্রুতি দেন, ভোটে জিতলে মহকুমা করা হবে ধূপগুড়ি-কে। অবশেষে, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হতে চলেছে শীঘ্রই।
উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বড়সড় প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন ৩১ ডিসেম্বরের আগেই আলাদা মহকুমা হবে ধুপগুড়ি। এর সঙ্গে হাসপাতাল, স্কুল সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ধুপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিনের। শনিবার সেখানে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর সেই সভা থেকেই ফের মহকুমা ঘোষণার দাবি তোলা হয়। সেখানেই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধুপগুড়িকে আলাদা মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক।
সভার পৌঁছনোর আগেই একাধিকবার অভিষেকের কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শোনেন তিনি। দোহমনি বাজার সহ এলাকার যে সমস্ত রাস্তা খারাপ রয়েছে সেগুলি নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সব রাস্তা সারাই করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেও শোনা গেছে অভিষেকের মুখ থেকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) লড়তে পারবেন না ভাঙড়ের (Bhangar) ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নতুন করে আর মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে না। সূত্রের খবর, বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচন কমিশনকে ভাঙড়ের ওই ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন খতিয়ে দেখে, পুনরায় মনোনয়ন নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের এসকর্ট করে বিডিও অফিসে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আইএসএফ পরবর্তীতে আদালতে জানিয়েছিল তাদের অনেকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানি শেষে ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
সাপের বিষের পর এবার পাচারকারীদের (Sumgglers) নজরে সাপের তেল (Snske oil)। এই ঘটনায় বন দফতরের হাতে ধরা পড়ল দুই ব্যক্তি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) জংশন সংলগ্ন এলাকায়। এই গোটা ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে বন দফতরের (Forest Dipertment) র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স, দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফের ১ নম্বর শাখা। ধৃতদের গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে স্পেকট্যাকল কোবরার তেল। এমনকি ধৃতদের কাছ থেকে আরও উদ্ধার করা হয়েছে হরিণের চামড়া এবং শিং।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই পাচারকারীর নাম সিকান্দার কুমার এবং সঞ্জু বৈধ। তারা দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে সিকান্দার উত্তরপ্রদেশের খলিলাবাদ এলাকা এবং সঞ্জু বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা বলেই খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স এর রেঞ্জ অফিসার দীপক রসাইলি বলেন, 'ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।'
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই বন দফতরের নজর ছিল। শেষ অবধি সোমবার গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে বন্যপ্রাণের দেহাংশ সহ সাপের তেল পাচারের ছক ছিল ধৃতদের। তবে সেই সবকিছুই তাদের হেফাজতে নিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সাপের তেলের ওজন আনুমানিক ৩৫০ মিলিলিটার। এছাড়াও ছিল ৪ টুকরো হরিণের চামড়া এবং তিন টুকরো হরিণের শিং উদ্ধার হয়েছে।
দু-দুটি বুনো হাতির (Elephant) মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে বন দফতরের (Forest Division) নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনাস্থলেই হাতি দুটির ময়না তদন্ত করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বজ্রাঘাতেই হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার সকালে চা বাগানের ১৪ নম্বর সেকশনের কাছে ডায়না নদীর ধারে হাতি দুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন চা বাগানের শ্রমিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই দুটি হাতির মধ্যে একটি পুরুষ, একটি স্ত্রী হাতি ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছিল ওই এলাকায়। এমনকি সেই সময় ঘনঘন বজ্রপাতও হচ্ছিল। তাই স্থানীয়দের অনুমান, বজ্রাঘাতের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই হাতি দুটির।
পুরসভা (Municiplity) দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বহাল থাকল সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
রাজ্যের পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলার রায়ে ২১ শে এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম করে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যের এই ভূমিকায় হাইকোর্ট অসন্তুষ্ট হয়। সেকারণে শীর্ষ আদালত থেকে স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য। যদিও হাইকোর্টে এই মামলার রায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিলেও পরে মামলাটি সরে আসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।
বিশালাকারের কেউটে (Snake) উদ্ধার ঘিরে হৈচৈ পড়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas) বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জে। বন দফতরের (Forest Division) প্রচেষ্টায় হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj) এলাকা থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। তবে সাপ উদ্ধারের এই দৃশ্য চাক্ষুষ দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার মানুষজন। সাপ উদ্ধার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহও লক্ষ্য করা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও অফিসে কুড়ের মাঠের পাশে নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় সাপটি। করুণা ঋষি নামক এক বৃদ্ধা চরে আতল পেতে রেখেছিলেন মাছ ধরার জন্য। সেই আতল জল থেকে তুললেই চক্ষু চড়ক গাছ। মাছ নেই! আছে বিশাল আকৃতির কেউটে। যার দৈঘ্য প্রায় ৬ ফুট।
ওই বিশালাকারের সাপটিকে দেখামাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়েছে বনদফতরে। তারপর বন দফতরের কর্মীরা এসেই সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মা চিতাবাঘ সহ দুই (Leopard) শাবকের মৃতদেহ (Death Body) উদ্ধার। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার খড়িবাড়ি ব্লকের থানজোড়া চা বাগানের তিন নম্বর সেকশনের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘোষপুকুর বন দফতরের কর্মীরা (Forest Division) তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। মা চিতাবাঘ ও দুই শাবকের দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। এমনকি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও একটি চিতাবাঘের শাবককে উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে অসুস্থ চিতাবাঘ শাবকের চিকিৎসা চলছে বেঙ্গল সাফারিতে। পাশাপাশি মৃত মা চিতাবাঘ ও দুটি শাবকের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, সর্বপ্রথম চা বাগানের চা শ্রমিকেরা মৃত চিতাবাঘগুলিকে দেখতে পান। এরপরই দ্রুত খবর দেওয়া হয় বাগানের ম্যানেজার সহ ঘোষপুকুর বন দফতরে। তবে কী কারণে বাঘগুলির মৃত্যু ঘটলো তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এখনই চাকরি হারাচ্ছেন না ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সিদ্ধান্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বৃহস্পতিবার জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় ওই শিক্ষকরা আপাতত পার্শ্বশিক্ষক হারে নয়, বেতন পাবেন পূর্ণ শিক্ষক হারেই।
সম্প্রতি ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। অভিযোগ ছিল ওই নিয়োগের সময় চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ম মেনে টেস্ট নেওয়া হয়নি এবং নিয়োগের সময় চাকরি প্রার্থীরা ট্রেইন্ড ছিল না। যদিও এই মামলার রায় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। এরপরে কিছু আক্ষরিক ও টাইপিং সমস্যার জন্য ৪ হাজার শিক্ষক রেহাই পায়। বাতিল হয় ৩২ হাজার চাকরি। এরপরেই এই রায়ের বিরুদ্ধে মমতা বন্দোপাধ্যায় চাকরি হারাদের পক্ষ নেয়। জানান, সরকার পক্ষে আছে তাঁদের। পাশাপাশি এই রায় নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ঘোষণা করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
সেইমত পর্ষদ ও চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা জোড়া মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলার শুনানিতে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় এবং জানিয়ে দেয় ২৩শে সেপ্টেম্বর অবধি চাকরি বাতিলের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। তাঁরা শিক্ষকের হারেই বেতন পাবেন।
মাছ ধরার চাঁইয়ে ধরা পড়ল বিশাল আকারের গোখরো (Snake)। বসিরহাটের (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের লেবুখালির ঘটনা। আর সেই সাপ দেখতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মিনাখাঁ বন দফতরের (Forest Division) আধিকারিকরা। ওই বিশাল আকারের গোখরোটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, নারায়ণ মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার রাতেও লেবুখালি খালে চাঁই পাতেন মাছ ধরার জন্য। তারপর বুধবার সকালে তিনি মাছের জন্যে পাতা চাঁইটি আনতে যায়। আর তখনই চাঁইয়ের গায়ে হাত দিতেই তিনি চমকে ওঠেন। দেখতে পান, ভিতরে বিশাল আকারের গোখরো সাপ আটকা পড়েছে। ওই সাপটি লম্বায় ছিল প্রায় সাড়ে সাত ফুট। তবে সাপটি হঠাৎ দেখা মাত্রই ভয় পেয়ে যান তিনি। আর ভয়ের জেরে চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে একটি লাঠি দিয়ে চাঁইটিকে তুলে আনা হয়।
আর এই ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই সাপটিকে দেখার জন্য ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। তারপরেই মিনাখাঁ বন দফতরে খবর দেওয়া হয়।
অভিযান চালিয়ে বিপজ্জনক উপকরণ দিয়ে তৈরী বিপুল পরিমাণ নকল বিদেশী মদ (Fake Alcohol) উদ্ধার করল আবগারি দফতর (Excise Division)। সোমবার রাতে বাঁকুড়া (Bankura) ও পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সীমানাবর্তী এলাকার ঘটনা। লাইসেন্স বিহীন ভাবে মদ মজুত ও ব্যবসার অভিযোগে, হোটেলের মালিক সোমনাথ প্রামানিককে গ্রেফতার (Arrest) করেছে বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। এই ধরনের নকল মদ কোথায় তৈরী হয়েছে এবং তা কিভাবে জেলার সীমানাবর্তী এলাকার হোটেলগুলিতে পৌঁছে যাচ্ছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে আবগারি দফতর।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় রমরমিয়ে চলা নকল মদের ব্যবসা নিয়ে। এরপরই ওই এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি একাধিক সূত্রকে তথ্য সংগ্রহে তৎপর করা হয়। তবে সোমবার সন্ধ্যার মুখে খবর আসে বাঁকুড়া পুরুলিয়ার সীমানায় ৬০ এ জাতীয় সড়কের ধারে মা রক্ষাকালী হোটেল ও রেস্টুরেন্ট নামের একটি হোটেলে বিপুল পরিমাণ নকল বিদেশী মদ মজুত করা হয়েছে।
খবর পেয়েই অভিযানে নামে বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই হোটেলে বেআইনি ভাবে মজুত সমস্ত মদ। আবগারি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই হোটেল থেকে বাজেয়াপ্ত সমস্ত মদই নকল বিদেশী মদ। বিভিন্ন নামী দামী মদের লেভেল ও বোতল ব্যবহার করা হলেও আসলে বোতলের ভিতর থাকা অধিকাংশ মদই বিপজ্জনক স্পিরিট দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।