'মহেন্দ্র সিং ধোনি' (MSD) এই নামটা যে শুধু কোনও ক্রিকেটারের (Cricket) নাম নয়, নামটা ক্রিকেট বিশ্বের কাছে আবেগের সেটা প্রমাণ হয়েছে বহুবার। কখনও বিপক্ষের ক্রিকেটার যশস্বী জয়সওয়ালকে দেখা গিয়েছে নমস্কার করতে, কখনও কোনও ধোনি ভক্তকে (Mahi Fan) মাঠে ঢুকে ধোনির পা ছুঁতে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে। এমনিতেই গোটা দেশের যে মাঠেই খেলা হোক ধোনির জন্য একটা বড় সংখ্যক ভক্ত মাঠে আসেন। এমনকি ধোনির খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে। ধোনি মাঠে নামতেই দর্শকের চিৎকার তা বুঝিয়ে দেয়।
ধোনি যে লিভিং লেজেন্ড সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সে কথা স্বীকারও করেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব সহ গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। এবার ধোনিকে নিয়ে উচ্ছাস দেখা গেল ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য সুনীল গাভাস্কারের। রীতিমত অন্যান্য ভক্তদের মত ছুটে ধোনির থেকে অটোগ্রাফ নিলেন গাভাস্কার। রবিবার চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে খেলা ছিল ধোনির দলের। সেদিন মাত্র ২ বল আগে ব্যাট করার সুযোগ পায় ধোনি। নামেও ব্যাট করতে। ওদিকে ধোনিকে দেখার জন্য চিপক স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি।
ম্যাচ শেষে গোটা মাঠ পরিক্রমা করছিলেন ধোনি বাহিনী। অবশ্য কেকেআরের কাছে ওইদিনের ম্যাচ হারতে হয়েছিল ধোনিদের। হারলেও ধোনিকে একপলক দেখার জন্য ভক্তদের ভিড় ছিল। শেষে ধোনি যখন চিপক স্টেডিয়াম পরিক্রমা শুরু করে তখন অন্যদিকে স্টার স্পোর্টসের এক সঞ্চালকের সঙ্গে মাঠেই দাঁড়িয়ে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন ও প্রাক্তন ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার। হঠাৎ দেখা যায় ওই অবস্থায় ধোনিকে দেখে দৌড়ে যায় গাভাস্কার। একটি অটোগ্রাফও দিতে বলেন তাঁর শার্টে। গাভাস্কারকে দেখে প্রথমেই ভীষণ খুশি হয় মাহি। তারপর গাভাস্কারের জামায় অটোগ্রাফ দেয় ধোনি। আর সেখানে লেখা 'মাহি'। যে ডাকনামে গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত তিনি। এরপর গাভাস্কারকে জড়িয়ে ধরেন মাহি।
ওদিকে ধোনির থেকে বিশেষ উপহার পেলেন নাইট তারকা রিঙ্কু সিং ও বরুণ চক্রবর্তী। এসবের মধ্যেই নেটিজেনদের মন জয় করেছে রিঙ্কু সিং ও বরুণ চক্রবর্তীর একটি ছবিও। তাঁদের জার্সিতেও অটোগ্রাফ দিয়েছেন মাহি। কেকেআর টুইট করে ধোনির সই করা রিঙ্কুর সেই জার্সির ছবি পোস্টও করেছে।
রবিবার ধোনিকে বাউন্ডারি লাইনের সামনে দেখে দৌড়ে আসেন রিঙ্কু সিং। তাঁর হাতে কেকেআরের একটি জার্সি। তাতে সই করেন ধোনি। রিঙ্কুর পিঠে বাহবা দেন সিএসকের সিইও কাশী বিশ্বনাথন। বরুণ চক্রবর্তী একটি সিএসকের ৭ নম্বর জার্সি নিয়ে আসেন। তাতেও অটোগ্রাফ দেন ধোনি।
মরণ বাচন ম্যাচে ভালো বোলিং ও ফিল্ডিং দিয়ে আপেক্ষিক ভাবে চেন্নাইকে (CSK) বেঁধে রাখল দিল্লী ডেয়ারডেভিলস (DC)। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। প্রথমদিকে ব্যাটিং ধস নামলেও পরের শিবম ডুবে ও রাইডুর ব্যাটে কিছুটা রান আসে। শেষ দুই ওভারে ধোনি ও জাদেজার ঝড়ে লড়াই জনক স্কোরে পৌঁছায় চেন্নাই। মোট কুড়ি ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ১৬৭ রান।
টসে জিতে প্রথম ব্যাট করতে নেমে অক্ষরের বলে এল বি ডব্লিউ হন কনওয়ে। এরপর অক্ষরের বলেই আউট হন ঋতুরাজ। এরপরই ব্যাট করতে আসে মঈন আলি। মঈন অলিও সাত রান করে ঘরে ফেরেন। পাশাপাশি ললিত একটি দারুণ ক্যাচ ধরেন। দারুণ কাজ ধরে রাহানেকে সাজ করে ফেরান। এরপরে ব্যাটিংয়ের হাল খারাপ হলে রাইডু ও শিবম ডুবে একটু হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুরোপুরি পারলেন না। ১২ বলে ২৫ রান করে ওয়ার্নারের কাছে ক্যাচ দিয়ে বসেন ডুবে। ধোনি ৯ বলে করেন ২০ রান, যে ইনিংসে ২টি ছক্কা ও ১ টি চার আছে।
ওদিকে দিল্লির হয়ে বল করে উইকেট পাননি ঈশান্ত শর্মা। একটি করে উইকেট পায় খলিল আহমেদ, ললিত যাদব, কুলদীপ যাদব ও মিচেল মার্শ ৩ উইকেট পায়।
দেশের একাধিক জায়গায় একাধিকবার সম্মানিত হওয়ার পর এবারে মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh dhoni) সংবর্ধনা জানালেন দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স-এর (The Elephant Whisperers) বোমান (Bomman) ও বেলিকে (Belli)। 'দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স' সেরার তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে অস্কারের মঞ্চে। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে বিভাগে অস্কার জিতেছে এই ডকুমেন্টরি। ভারতীয় সিনেমায় এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এই ছবি। এই প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে বিভাগে কোনও ভারতীয় সিনেমা অস্কার জিতেছে। ফলে এটি অস্কার জেতার পর সারা বিশ্বজুড়ে শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে। এর এবারে দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স-এর মাহুত দম্পতিকে সংবর্ধিত করলেন ভারতীয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। সিএসকে অর্থাৎ চেন্নাই সুপার কিং-এর টিম তাঁদের সম্মানিত করেছেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৯ মে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই পুরো সিএসকে টিম বাস্তব জীবনের হিরো বোমান ও বেলিকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি মহেন্দ্র সিং ধোনি নাম লেখা সিএসকে-এর জার্সি বোমান ও বেলিকে উপহার দিয়েছেন। বোমান ও বেলির পাশাপাশি ডকুমেন্টরির পরিচালক কার্তিকি গনসালভেসকেও সম্মানিত করেছেন তাঁরা। আরও জানা গিয়েছে, চেন্নাই সুপার কিং টিম বোমান ও বেলিকে বিশেষভাবে সংবর্ধনা জানাতে আজও এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
উইনিং শট ধোনির (Dhoni) নামে, বলে দারুন দাপট দেখিয়ে মুম্বইকে (MI) অনায়াসে হারিয়ে দিলো চেন্নাই (CSK)। ফলে পয়েন্ট টেবিলে ২ নম্বরে জায়গাও করে নিলো চেন্নাই। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৩৯-৮ স্কোরে থেমে যায় মুম্বই। চেন্নাই সেই রান তুলে নিল ১৪ বল বাকি থাকতেই। সেই জয় এল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাটে।
মরশুমের প্রথম থেকেই ব্যর্থ মুম্বইয়ের ওপেনিং জুটি, শনিবার প্রথমে রোহিত এলেন না ব্যাট করতে, দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান গ্রিন। বাধ্য হয়ে নামতে হয় রোহিতকে। কিন্তু জুটি গড়তে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারে দীপক চাহার তুলে নেন ঈশান কিশনকে। অনায়াসে ধরে খেলতে পারতেন ঈশান। অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন তিনি।
রোহিতদের একমাত্র নেহাল ওয়াধেরা রান পেলেন, তরুণ ব্যাটার এ বারই প্রথম মুম্বইয়ের হয়ে খেলছেন। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের মতো করে অবদান রাখছেন। এ দিনও চাপের মুখে চেন্নাই বোলারদের সামলে অর্ধশতরান করে গেলেন তিনি। ছন্দে থাকা সূর্যকুমার যাদবের কাছে সুযোগ ছিল টানা তৃতীয় অর্ধশতরানের। শুরুটাও ভালই করেছিলেন। কিন্তু ধরে রাখতে পারলেন না। জাডেজার বিরুদ্ধে উইকেট ছেড়ে চালাতে গিয়েছিলেন। বলের লাইন মিস্ করে বোল্ড। নেহাল আউট হওয়ার পরে আর কোনও আশা ছিল না। শেষের দিকে একের পর এক উইকেট পড়ল। তুষার এ দিনও দুর্দান্ত বল করলেন। বেগনি টুপিও উঠল তাঁর মাথায়। তিনটি উইকেট নিলেন মাথিশা পাথিরানাও।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মুম্বইয়ের উপর দাপট শুরু করে চেন্নাই। আর্শাদ খানের ওভার থেকে ওঠে ২০। চার ওভারে ৪৬ রান তুলে ফেলে তারা। রোহিত বাধ্য হন স্পিনারদের আনতে। প্রথম ওভারেই সাফল্য। পীযূষ চাওলার প্রথম বলে ফিরে যান রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তাতেও চেন্নাইয়ের রান তোলার গতি কমেনি। সদ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সুযোগ পাওয়া অজিঙ্ক রাহানে নেমেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করেন। তাঁকেও তুলে নেন চাওলা। রাহানেকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। অম্বাতি রায়ডুও আহামরি খেলতে পারেননি।
সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) স্মৃতি ও তাঁর অভিনীত প্রত্যেকটি ছবি এখনও সবার মনে অক্ষত। সুশান্তের প্রায় প্রতিটি ছবিই বড় পর্দায় চুটিয়ে ব্যবসা করেছে। তবে একটি বিশেষ ছবি ছিল যা মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সেই ছবি হলো এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি (MS Dhoni: The Untold Story)। বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল এই ছবি। একেতেই ধোনির বায়োপিক, তার উপর সুশান্তের দারুণ পারফরম্যান্স। ফলে ধোনি ও সুশান্তের অনুরাগীদের জন্য সুখবর। ফের একবার বড় পর্দায় অর্থাৎ প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি। আগামী ১২ মে ফের একবার বড় পর্দায় সুশান্তকে দেখতে পারবেন। এই খবর স্টার স্টুডিওস থেকে শেয়ার করা হয়েছে।
দিনটা ছিল ২০২০ সালের ১৪ জুন। সকলকে কাঁদিয়ে চিরদিনের জন্য সবাইকে ছেড়ে চলে যান সুশান্ত সিং রাজপুত। তিনি যে আত্মহত্যা করেছেন, এটা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তাঁর মৃত্যুতে পুরো দেশ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। তবে তিনি সবার মনে এখনও রয়ে গিয়েছেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন। মাহির জীবনের উপর তৈরি করা ছবিতে অভিনয় করে সবার তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মন ছুঁয়ে গিয়েছিল তাঁর অভিনয়। ফলে তাঁর চলে যাওয়ার পরও যে আবার তাঁকে মাহি রূপে বড় পর্দায় দেখা যাবে তা নিয়ে বেজায় খুশি তাঁর ভক্তরা।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বিখ্যাত ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক ২০১৬ সালে প্রথম মুক্তি পেয়েছিল। এবারে চলতি মাসের ১২ তারিখ ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় আবারও মুক্তি পেতে চলেছে।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগ (Virender Shehwag) এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির সখ্যতার কথা কে না জানে! এবার ধোনির হয়েই সুর চড়ালেন শেহবাগ। ২০২৩ আইপিলের শুরু থেকেই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে একটি প্রশ্নের মুখে বারংবার পড়তে হয়েছে, 'এই বছরই কি তিনি শেষ আইপিএল খেলবেন?' এই প্রশ্নে বেশ রেগে গিয়েছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ধোনির অবসর নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
ধোনির অবসর প্রসঙ্গে শেহবাগ বললেন, 'আমি বুঝতে পারছি না কেন তাঁকে বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে? যদি এটা শেষ বছর হয়েও থাকে, এই নিয়ে প্লেয়ারকে প্রশ্ন করার কী আছে? এই সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের। তাঁকেই এই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। সম্ভবত ধোনির থেকে বলিয়ে নিতে চাওয়া হচ্ছে যে এই আইপিএলেই শেষ খেলছেন তিনি। শেষ বছর, নাকি শেষ বছর না, তা একমাত্র ধোনিই জানেন।'
অন্যদিকে আইপিএলের কমেন্টেটর ড্যানি মরিসন ধোনিকে এই একই প্রশ্ন করলে, তিনি বেশ বুদ্ধিদীপ্ত জবাব দেন। ধোনি বলেন, 'আমি এই বছরই শেষ খেলব, এই কথা বিশেষজ্ঞরা বলছেন। আমি বলছি না।'
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ চেন্নাই সুপার কিংসে ধোনির গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, 'ক্যাপ্টেন কুল কোনওভাবেই আর ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন না, পরামর্শদাতা হিসেবে খেলছেন।'
শুক্রবারের ম্যাচে রাজস্থানের (RR) কাছে হার চেন্নাইয়ের (CSK)। অবশেষে বিজয়রথ থামলো ধোনিবাহিনীর (Dhoni)। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। দলের শুরুটাও তেমনই হয়েছিল। চেন্নাইয়ের পেসারদের দাঁড়াতে দেননি রাজস্থানের দুই ব্যাটার। যশস্বী এত মারছিলেন যে অপর প্রান্তে থাকা জস বাটলারকে শান্ত দেখাচ্ছিল। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে একের পর এক বড় শট খেলেন তিনি। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতরান করেন যশস্বী।
পেসাররা রান দিচ্ছেন দেখে স্পিনারদের হাতে বল তুলে দেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। চেন্নাইকে প্রথম উইকেট এনে দেন রবীন্দ্র জাডেজা। ২৭ রানের মাথায় বাটলারকে আউট করেন তিনি। কিন্তু যশস্বী তখনও ক্রিজে ছিলেন। ১০ ওভারে ১০০ রান হয়ে গিয়েছিল রাজস্থানের। দেখে মনে হচ্ছিল, ২০০ রান সহজেই পেরিয়ে যাবে। তবে মাঝের ওভারে রানের গতি কমে। জোড়া উইকেট নিয়ে রাজস্থানকে বড় ধাক্কা দেন তুষার দেশপাণ্ডে। প্রথমে রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জুকে মাত্র ১৭ রানের মাথায় আউট করেন তিনি। ৪৩ বলে ৭৭ রান করে আউট হন যশস্বী।
রাজস্থানের হয়ে মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরছিলেন শিমরন হেটমায়ার। কিন্তু চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে রান পেলেন না তিনি। পরপর উইকেট পড়তে থাকায় রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। গতির হেরফের করে রাজস্থানের ব্যাটারদের আটকে রাখেন চেন্নাইয়ের পেসাররা। কিন্তু শেষদিকে আবার খেলায় ফিরল রাজস্থান। দেবদত্ত পড়িক্কল ও ধ্রুব জুরেল বেশ কিছু বড় শট খেলেন। দুই ভারতীয় ব্যাটারের ব্যাটে ২০০ রানের গণ্ডি পার করে রাজস্থান। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করেন সঞ্জুরা। ধ্রুব ৩৪ রান করে রানআউট হন। পড়িক্কল অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি চেন্নাইয়ের। পাওয়ার প্লে-র সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। তাও রুতুরাজ চেষ্টা করলেও কনওয়ের ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। ১৬ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি। রান পাননি অজিঙ্ক রাহানে ও অম্বাতি রায়ড়ু। রুতুরাজ ভাল খেলছিলেন। কিন্তু তিনি ৪৭ রান করে আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই।
শেষ ২৪ বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৭৪ রান। একদিকে টিকেছিলেন শিবম। তাঁর কাঁধেই চেন্নাইয়ের জয় নির্ভর করছিল। বড় শট মারছিলেনও তিনি। ১৮ বলে দরকার ছিল ৫৮ রান। ভাল বল করেন সন্দীপ শর্মা। ১২ বলে দরকার ছিল ৪৬ রান। কিন্তু রাজস্থানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেই রান তুলতে পারেনি চেন্নাই। অর্ধশতরান করেও দলকে জেতাতে পারেননি শিবম। চেন্নাইয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৭০ রানে। ধোনিরা হারেন ৩২ রানে। ব্যাট করার সুযোগই পেলেন না চেন্নাইয়ের অধিনায়ক।
আইপিএলে (IPL) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (SRH) বিরুদ্ধে ম্যাচে অন্য রূপে দেখা গেল রবীন্দ্র জাডেজাকে (Rabindra Jadeja)। তিনটি উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদের মেরুদণ্ডই শুধু ভেঙে দিলেন না, মেজাজ হারিয়ে বিপক্ষের ক্রিকেটারের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তেও দেখা গেল তাঁকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসতে হল মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে।
সাফল্য ছাপিয়ে জাডেজার ঝামেলাই শিরোনামে এসেছে। হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৪তম ওভারে ঘটনাটি ঘটে। নিজের বলে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ফিরতি শটে ক্যাচ ধরতে গিয়েছিলেন জাডেজা। কিন্তু বলে হাত ছুঁইয়েও ক্যাচটি ধরতে পারেননি তিনি। নন-স্ট্রাইকার হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকা হেনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাঁর। আচমকা ক্যাচ আসায় ক্লাসেনের পক্ষে সরে যাওয়ার মতো সময়ও ছিল না। কিন্তু প্রোটিয়া ব্যাটারের আচরণে জাডেজা খুশি হননি।
উঠে দাঁড়িয়ে ক্লাসেনের উদ্দেশে কিছু বলতে শোনা যায় জাডেজাকে। হতাশায় মাটিতে লাথিও মারেন জাডেজা। ছাড়েননি ক্লাসেনও। তিনিও এগিয়ে এসে জাডেজাকে জবাব দেন। মাঠেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি উল্টো দিকে মোটেই দাঁড়িয়ে থাকেননি। ছুটে এসে থামান জাডেজা। শান্ত হতে বলেন। সরিয়ে নিয়ে যান ক্লাসেনকেও। এগিয়ে আসেন আম্পায়ার।
সেই ওভারেও ঝামেলা চলতে থাকে। শেষ হাসি অবশ্য জাডেজারই। এখানেও কেরামতি ধোনির। তাঁর বিদ্যুৎগতির স্টাম্পিংয়ে ফিরতে হয় মায়াঙ্ককে। বোলার ছিলেন সেই জাডেজাই। উইকেট নিয়ে চিৎকার করে উচ্ছ্বাস করতে থাকেন তিনি। ধোনিকে আবার এগিয়ে আসতে হয় শান্ত করতে।
হায়দরাবাদের (SRH) বিরুদ্ধে ব্যাটে-বলে দাপট দেখাল চেন্নাই (CSK)। ৭ উইকেটে আইডেন মার্করামদের উড়িয়ে দিয়ে ইডেন গার্ডেন্সে খেলতে আসছেন ধোনিরা (Dhoni)। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। হ্যারি ব্রুক ও অভিষেক শর্মা শুরুটা ভাল করছিলেন। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। চেন্নাইকে প্রথমে খেলায় ফেরান আকাশ সিং। ১৮ রানের মাথায় ব্রুককে আউট করেন তিনি।
পেসাররা খুব একটা সুবিধা পাচ্ছেন না দেখেই মগজাস্ত্র প্রয়োগ করলেন ধোনি। আর সেখানেই কুপোকাত হায়দরাবাদ। মিডল ওভারে তিন স্পিনারকে কাজে লাগালেন ধোনি। মাহেশ থিকশানা, রবীন্দ্র জাডেজা ও মইন আলি সমস্যায় ফেললেন ব্যাটারদের। চিপকের উইকেটে বল ঘুরল। তার ফলে হাত খুলে খেলতে পারলেন না হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরলেন ধোনি। দ্রুতগতিতে স্টাম্প করলেন। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ল।
অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাঠি শুরুটা ভাল করলেও বড় রান করতে পারলেন না। অভিষেক ৩৪ ও ত্রিপাঠি ২১ রান করে আউট হলেন। বাকি ব্যাটাররাও রান পেলেন না। স্পিনারদের দেখে গতির হেরফের করে শেষ দিকে সফল পেসাররাও। চেন্নাইয়ের বোলারদের দাপটে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করল হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের হয়ে সব থেকে ভাল বল করলেন জাডেজা। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তিনি।
যে উইকেটে হায়দরাবাদের ব্যাটারদের খেলতে সমস্যা হল সেই উইকেটেই শুরু থেকে হাত খুলে খেললেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। লক্ষ্য কম থাকায় আরও আত্মবিশ্বাসী দেখাল তাঁদের। বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন কনওয়ে। মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশতরান করলেন তিনি। চেন্নাইয়ের ওপেনিং জুটিকে ভাঙার জন্য সব চেষ্টা করেন মার্করাম। ছ’জন বোলারকে প্রথম ১০ ওভারেই ব্যবহার করেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই উইকেট পড়ছিল না।
৩৫ রান করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হন গায়কোয়াড়। কনওয়ের মারা শট বোলার উমরান মালিকের পায়ে লেগে উইকেটে লাগায় রানআউট হন তিনি। রান পাননি অজিঙ্ক রাহানে। অম্বাতি রায়ডুও মাত্র ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি চেন্নাইয়ের। শেষ পর্যন্ত ৮ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যান ধোনিরা। ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে।
'এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার জন্য হাতে অনেক সময় রয়েছে।' নিজের অবসর (Retired) প্রসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। আইপিএল (IPL) শেষ হলেই কি ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের মনে এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। জল্পনার মাঝে অবসর নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
ধোনিকে নিয়ে ভক্তদের উচ্ছাস নেহাত কম নয়। এবারের আইপিএলে ভালো ফর্মেও আছেন তিনি, এখনও ক্রিকেটপ্রেমীরা চান না অবসর নিন ধোনি। ৪১ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে আইপিএলে যে ছন্দে দেখা যাচ্ছে, তাতে আরও দু’এক বছর তিনি খেলতে পারবেন বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু ধোনি নিজে কী ভাবছেন? আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি চেন্নাই সুপার কিংস সমর্থকদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করেছে বুধবার। সেখানে অবসর নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন চেন্নাই অধিনায়ক।
অবসর নিয়ে প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দেননি ধোনি। তিনি বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তটা (অবসর) নেওয়ার জন্য হাতে অনেকটা সময় রয়েছে। এখন আমরা প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। বেশ কয়েকটা ম্যাচ আমাদের এখনও খেলতে হবে। আমি এমন কোনও মন্তব্য করতে চাই না, যেটা কোচকে চাপে ফেলতে পারে। আমি কোচকে এক দমই চাপে রাখতে চাই না।’ তা হলে কি ক্রিকেটকে পাকাপাকি ভাবে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন? না হলে তাঁর কথায় কেন চাপে পড়বেন সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ?
২০০৮ সাল থেকে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল আইপিএল খেলছেন ধোনি। তাঁর নেতৃত্বে চার বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেন্নাই। প্রথম বার তাঁকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল সিএসকে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ধোনি। গত বছর আইপিএলের পর জানিয়েছিলেন, চেন্নাইয়ের মানুষের সামনে খেলার পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। গত বছর শুরুতে নেতৃত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই ধোনির অবসর নিয়ে তৈরি নানা জল্পনা।
বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) ঘরের মাঠে দাপট দেখাল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল (MS Dhoni)। টস হেরে চেন্নাই সুপার কিংসকে (CSK) প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দাপুটে ব্যাটিং করে রান তুললেন চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। ডুপ্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ের তুলনায় তাঁদের দাপট ম্লান মনে হলেও শেষ হাসি হাসলেন ধোনিরাই। ধোনিদের ৬ উইকেটে ২২৬ রানের জবাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর করল ৮ উইকেটে ২১৮।
৭৫ দিন আগে শেষ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ হয়েছিল চেন্নাই-বেঙ্গালুরু ম্যাচের ২২ গজে। শুকনো এবং পাটা উইকেটে কত রান করলে নিরাপদে থাকা যাবে, তা নিয়ে ম্যাচের শুরুতে নিশ্চিত ছিলেন না ধোনি। তাই চেন্নাই অধিনায়কের নির্দেশ ছিল, যতটা সম্ভব বেশি রান তুলতে হবে। সেই মতোই প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন ডেভন কনওয়ে। অন্য ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৩) দ্রুত আউট হলেও প্রভাব পড়ল না চেন্নাইয়ের ইনিংসে। অজিঙ্ক রাহানে, শিবম দুবেরাও একই রকম দাপটে খেললেন। কনওয়ে খেললেন ৪৫ বলে ৮৩ রানের দুরন্ত ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি। তিন নম্বরে নামা রাহানে করলেন ২০ বলে ৩৭। এ বারের আইপিএলে নতুন মেজাজে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় দল থেকে দূরে চলে যাওয়া অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা মারলেন রাহানে। শিবমকে সামলাতেও সমস্যায় পড়লেন আরসিবির বোলাররা। তাঁর ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কা।
এক সময় মনে হচ্ছিল ধোনিরা ২৪০ রানের কাছাকাছি তুলবেন। তা হল না শেষ দিকে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোয়। মইন আলি ৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকলেও অম্বাতি রায়ডু, রবীন্দ্র জাডেজারা ব্যাট হাতে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। রায়ডু ৬ বলে ১৪ এবং জাডেজা ৮ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে গেলেন। শেষে মইনের সঙ্গে ২২ গজে অপরাজিত ছিলেন ধোনি (১)।
বেঙ্গালুরুর কোনও বোলারই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। সফলতম বোলার ওয়ানিন্দু হারসঙ্গ। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। বেঙ্গালুরুর সব বোলারই একটি করে উইকেট পেয়েছেন। কিছুটা ভাল বল করলেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি ৩০ রান খরচ করে ১ উইকেট নিয়েছেন।
জয়ের জন্য ২২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বেঙ্গালুরুর। প্রথমেই আউট হয়ে গেলেন কোহলি। ৪ বলে ৬ রান করে আকাশ সিংহের বলে বোল্ড হলেন তিনি। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা মহীপাল লোমরোরও (শূন্য)। ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ঘরের মাঠে চাপে পড়ে যায় আরসিবিরা। সেই চাপ কাটল অধিনায়ক ডুপ্লেসির ব্যাটে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন তাঁরা। চেন্নাইয়ের কোনও বোলারকেই রেয়াত করলেন না তাঁরা। ডুপ্লেসি-ম্যাক্সওয়েল জুটির দাপটে কিছুটা দিশেহারা দেখাল অভিজ্ঞ ধোনিকেও। তাঁদের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ৬১ বলে ১২৬ রান। ম্যাক্সওয়েল করলেন ৩৬ বলে ৭৬ রান। মারলেন ৩টি চার এবং ৮টি বিশাল ছক্কা। তিনি আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারলেন না ডুপ্লেসিও। বেঙ্গালুরু অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৩৩ বলে ৬২ রান। তিনি মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছয়।
তাঁরা পর পর আউট হওয়ার পর আবার লড়াইয়ে ফেরেন ধোনিরা। যদিও বেঙ্গালুরুর ইনিংসের হাল ধরেন শাহবাজ় আহমেদ এবং দীনেশ কার্তিকের জুটি। কার্তিক আউট হলেন ১৪ বলে ২৮ রান করে। তাঁর পরই সাজঘরে ফিরলেন শাহবাজ়ও (১২)। এই দুই ব্যাটার আউট হতেই বেঙ্গালুরুর জয়ের আশা এক রকম শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে সুযশ প্রভুদেশাই চেষ্টা করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। তিনি করলেন ১১ বলে ১৯ রান।
চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে সফলতম তুষার দেশপাণ্ডে নিলেন ৪৫ রানে ৩ উইকেট। মাথিশা পাথিরানা ৪২ রান খরচ করে নিলেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেলেন আকাশ সিংহ, মাহিশ থিকসানা এবং মইন আলি।
সোমবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে চেন্নাই-বেঙ্গালুরু। কোহলিদের বিরুদ্ধে ধোনিদের নজির ভাল। দু’দলের মধ্যে আইপিএলে ৩০টি ম্যাচ হয়েছে। তার মধ্যে ২০টি ম্যাচ জিতেছে চেন্নাই। বেঙ্গালুরু জিতেছে ১০টি ম্যাচ। এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত দু’দলই ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে। পয়েন্টও সমান (৪)। অর্থাৎ, পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য দু’দলের কাছেই এই ম্যাচ সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আইপিএলে চেন্নাইকে ২০০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধোনি। তার মধ্যে চেন্নাই জিতেছে ১২০টি ম্যাচ। হেরেছে ৭৯টি ম্যাচ। এই নজির গড়া সহজ নয় বলে মনে করে ক্রিকেট মহল। ক্রিকেট মহলের মতে, ২০০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া খুব কঠিন। কারণ, মাথার উপর বিশাল চাপ নিয়েও ভাল খেলতে হয়। নিজের ব্যাটিংয়ের দিকেও মন দিতে হয়। কিন্তু ধোনির বিষয়টা আলাদা। ও অন্য ধরনের অধিনায়ক। আমার মনে হয় ভবিষ্যতে ওর মতো অধিনায়ক আর দেখতে পাব না।
ওদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বিরাট কোহলির ব্যাটিংয়ের দিকে। প্রথম থেকেই বিরাট কোহলি ও প্লেসিস ফর্মে রয়েছেন। পাশাপাশি চেন্নাইয়ে ফর্মে রয়েছেন ঋতুরাজ। চেন্নাই এবং ব্যাঙ্গালোরের দুপক্ষই বোলিং দিক থেকে সমান মাপের।
২০০ তম ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করেও শেষ রক্ষা হলো না ধোনির (MS Dhoni)। ৩ রানে হারতে হলো দলকে। ১৭ বলে ৩২ রান করেছেন তিনি। শেষ তিন ওভারে ৫৪ রানের দরকার ছিল সিএসকের (CSK)। শেষ দুই ওভারে ৪০ রান এবং শেষ ওভারে ২১ রানের দরকার ছিল। শেষ ওভারে দুটো ছয় মারার পরেও, শেষ বলে পাঁচ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। সন্দীপ শর্মার (Sandeep Sharma) দারুন ইয়র্কারের জেরে, শেষ বলে চার বা ছয় মারতে পারেনি ধোনি। এদিন টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ধোনিরা।
প্রথমে ব্যাটে নেমে রাজস্থানের ইনিংস খুব ধীরগতিতে শুরু হলেও, শেষে অশ্বিনের ব্যাটে এবং হিট মায়ারের ব্যাটের উপর ভরসা করে, ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে রাজস্থান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের শুরু ভালো হলেও, মাঝের ওভারগুলোতে স্পিন বল খেলতে সমস্যা হচ্ছিল তাদের। সেই সময় পরপর মইন আলী, ডেভিড কনওয়ে, রাহানে, শিবম দুবের উইকেট পড়ে যায়। শেষ তিন ওভারে ব্যাটে ঝড় তোলে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং জাদেজা। একসময় দেখে মনেই হয়েছিল এ ম্যাচ রাজস্থানের হাতছাড়া হয়ে গেল। কিন্তু শেষ তিনটে বল অসাধারণ ইয়র্কার করে সন্দীপ। তিন বলে সাত রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের কিন্তু অসাধারণ ইয়র্কারের জেরে সেই রান তুলতে পারেনি ধোনিরা। ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তোলে সিএসকে, শেষমেষ তিন রানে হারলো সিএসকে।
প্রথম ব্যাটে নেমে শুরু ধীরগতিতে হলেও, বাটলার ৩৬ বলে ৫২ রান করে, দেবদূত ২৬ বলে ৩৮ রান করে, পাশাপাশি অশ্বিন ২২ বলে ৩০ ও হেটমায়ার ১৮ বলে ৩০ রান করে। ২৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্র নিয়ে ব্যাট করতে নেমে, শুরুটা ভালই করে তারা। ঋতুরাজ তাড়াতাড়ি ফিরে গেলেও ডেভিড কনওয়ে ও রাহানে ম্যাচের হাল ধরেন। ৩৮ বলে ৫০ রান করেন কনওয়ে, রাহানে ১৯ বলে ৩১ রান করে। জাদেজা ১৫ বল খেলে ২৫ রান করে, এবং ধোনি ৩২ রান করে ১৭ টি বল খেলে।
প্রথম বল করতে নেমে আকাশ দ্বীপ সিং, রবীন্দ্র জাদেজা ও তুষার দেশপান্ডে দুটো করে উইকেট নেয়। একটি উইকেট নেন মঈন আলী। পাশাপাশি বল করতে নেমে রাজস্থানের পক্ষে, চাহল ও আশ্বিন দুটো করে উইকেট নেয়। একটি করে উইকেট নেয় অ্যাডাম জাম্পা ও সন্দীপ শর্মা।
ধোনির (Dhoni) ২০০তম ম্যাচ, জয় দিয়ে উপহার দিতে চান জাদেজা (Jadeja)। বুধবার চেন্নাই সুপার কিংসের (Csk) হয়ে ২০০তম ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে নামবেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস বুধবার খেলতে নামবে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে টসের সময়ই একটি মাইলফলক ছোঁবেন ধোনি। ২০০তম ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে নামবেন তিনি। সেই ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে চান রবীন্দ্র জাডেজা।
২০০৮ সাল থেকে শুরু হয় আইপিএল। সেই সময় থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধোনি। চেন্নাই দলের অধিনায়ক তিনি সেই সময় থেকেই। মাঝে দু’বছর চেন্নাইকে আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ করা হলে সেই সময় অন্য দলে খেলেছিলেন ধোনি। গত বছর চেন্নাই দলের নেতৃত্ব ছাড়েন তিনি। দায়িত্ব দেওয়া হয় জাডেজাকে। কিন্তু মাঝপথেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ধোনি আবার অধিনায়ক হন।
জাডেজা বলেন, 'ধোনি একজন কিংবদন্তি। শুধু চেন্নাই সুপার কিংস নয়, ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি। ধোনিকে শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি আমরা রাজস্থানের বিরুদ্ধে জিতব। অধিনায়ক হিসাবে ২০০তম ম্যাচ খেলবে ধোনি, জয়টাই সব থেকে বড় উপহার হতে পারে ওর জন্য। আশা করব ধারাবাহিক ভাবে জিততে পারব আমরা।'
ক্রিকেটের ময়দান ছেড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh DHoni) এবার ডেবিউ করতে চলেছেন সিনেমা জগতে। আগেই এই খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে ক্যামেরার সামনে নয়, পিছনেই থাকতে চান ধোনি। প্রযোজনা সংস্থায় নিজের নাম লিখিয়েছেন ক্রিকেট দেবতা। প্রযোজনা কাজ বেশ খানিকটা এগিয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে সেই সিনেমার (Movie) প্রথম ঝলক। মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁর প্রযোজনায় আসন্ন কাজের পোস্টার শেয়ার করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
তবে মাহি এক নয়, তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনায় নামছেন স্ত্রী সাক্ষী। হিন্দি নয়, তামিলেই প্রথম পূর্নদৈর্ঘ্যের সিনেমা বানাতে চলেছেন ধোনি দম্পতি। সিনেমার নাম 'এলজিএম', অর্থাৎ 'লেটস গেট ম্যারেড'। সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন, তামিল অভিনেতা হরিশ কল্যাণ। তামিল 'বিগ বস' থেকে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।
মাহি সিনেমার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন নবাগতকে। রমেশ থামিলমণি এই সিনেমা পরিচালনা করবেন। প্রথম ছবি প্রযোজনার ক্ষেত্রে কমেডিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ধোনি। সিনেমার পোস্টার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে মাহি লেখেন, এই ছবি আপনাদের সকলের মুখে হাসি ফোটাবে। একইসঙ্গে গোটা টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ধোনি।
তবে শোনা গিয়েছে, প্রযোজনায় আরও বড় সিঁড়িতে পা দেবেন ক্রিকেট তারকা। বিজয় থালাপতির সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ধোনির এই নতুন কাজের ঘোষণায় বেশ খুশি মাহি ভক্ত থেকে শুরু করে নেটিজেনরা।