বার্কিং ডিয়ারের খুলি এবং শিং সহ গ্রেফতার তিনজন পাচারকারী। বনদফতরের আমবাড়ি রেঞ্জের বনকর্মীদের জালে ধরা পড়েন পাচারকারীরা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। ওই তিনজন ধৃতকে জেরা করে আরও একটি পাচার চক্রের বিষয়ে তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। তারপর থেকেই চলছে কড়া নজরদারি।
বুধবার সন্ধ্য়ায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমবাড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হকের নেতৃত্বে বনকর্মীরা ক্রেতা সেজে অভিযানে নামেন। এরপর অভিযানে নেমে ফাটাপুকুর এলাকায় ৩১নং জাতীয় সড়ক থেকে সন্দেহভাজন একটি স্কুটি আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। আর তাতেই দুটি বার্কিং ডিয়ারের শিং সহ খুলি উদ্ধার হয়। তিনজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি স্কুটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে বনদফতরের তরফে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বনাধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িতে হাতবদল হয়ে নেপাল পাচার হচ্ছিল বার্কিং ডিয়ারের মাথার খুলি সহ শিংগুলি। এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তা বিক্রির ছক করেছিল ধৃতরা।
লোকালয়ে হরিণ (Deer) উদ্ধার করল বন দফতর (Forest Department)। জানা গিয়েছে, চিলাপাতার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয় ঢুকে পড়েছিল একটি হরিণ। স্থানীয়দের চোখে পড়তেই খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। খবর পেয়ে হরিণটিকে উদ্ধার (Rescue) করল বনদফতরে চিলাপাতা রেঞ্জের বনকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচকেলগুড়ি এলাকায় এক নম্বর ব্লক অফিস চত্বরক একটি হরিণকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। পরবর্তীতে হরিণটি ব্লক অফিসের একটি রুমে প্রবেশ করে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। ঘটনাস্থলে চিলাপাতা রেঞ্জের বনকর্মীরা পৌছে হরিণটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বর্তমান যুগে একজন দয়ালু মানুষ পাওয়া খুবই দুষ্কর। মানবিকতা সম্পন্ন মানুষ বিশ্বে সবার কাছে এক আশীর্বাদই বটে। বিশেষ করে যাঁরা মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিদের সঙ্গেও ভালোভাবে ব্যবহার করেন, তাঁরা সত্যিই অতুলনীয়। এমনই এক মানুষকে দেখা গিয়েছে একটি ভাইরাল ভিডিওতে (Viral Video)। যেখানে এক প্রাণীর প্রাণ বাঁচাতে দেখা যাচ্ছে সেই মানুষকে। ভিডিওটি ট্যুইটারে আইএফএস অফিসার পারভীন কাসওয়ান শেয়ার করেছেন।
In a world where you can be anything. Be kind to all. pic.twitter.com/UwZY6cpx9a
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) April 28, 2023
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি একটি হরিণের (Deer) প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গলের মধ্য়েই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে এসেছেন ও সেটার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করে চলেছেন। এই ভিডিও আইএফএস অফিসার ট্যুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, 'এই বিশ্বে আপনি যেখানে যা কিছু হতে পারেন, সেখানে আপনি সবার জন্য দয়ালু হন।' এতে নেটিজেনরা একাধিক কমেন্ট করেছেন। নেটিজেনরা তাঁর এই কাজের জন্য প্রশংসা করেছেন।
হঠাৎই হরিণের (deer) দেখা জঙ্গল লাগোয়া চাষের জমিতে। রাইপুর (Bankura) থানার মটগোদা বিট এলাকার লোহামেড়্যা গ্রামে দেখা মিললে একটি পূর্ণবয়স্ক হরিণের। জঙ্গল লাগোয়া জমিতে হরিণটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা কয়েকজন হরিণের সেই মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন।
খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বন দফতরের (Forest Division) মটগোদা বিট অফিসে। পরে বন দফতরের লোকজন এসে এলাকায় হরিণটির খোঁজ খবর চালায়। তবে রাত পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি হরিণটির। এমনকি কোথা থেকে এলো এই হরিণ এবং কোথায় বা গেল হরিণ, তার তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর।
ঝোপে আটকে থাকা একটি হরিণকে (Deer) উদ্ধার করেছে বন দফতর (Forest division)। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নয়াগ্ৰামের নিগুই মধ্যমপাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়। হরিণটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হল খড়্গপুরের হিজলী প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া হরিণটি প্রাপ্তবয়স্ক। সোমবার সকালে নিগুই মধ্যমপাড়া এলাকার জঙ্গল লাগোয়া ঝোপে একটি হরিণকে আটকে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। হরিণটির সিং ঝোঁপে আটকে যাওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করেও বেরোতে পারছিল না সে। এই দেখে স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন বন দফতরে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হরিণটিকে ঝোঁপ থেকে উদ্ধার করেন। তবে হরিণটি অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে হিজলী প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে।
তবে এই ঘটনায় একটি প্রাপ্তবয়স্ক হরিণ হঠাৎ ঝোঁপে আটকে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে চোরা শিকারীদের কার্যকলাপ নিয়ে। কারণ প্রায়ই শোনা যায় নয়াগ্ৰামের জঙ্গলে হরিণ শিকার করে চোরাশিকারীরা। তাই অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো চোরাশিকারীদের তাড়া খেয়েই হরিণটি ঝোপে আটকে পড়েছিল।
বন্যপ্রাণে আঘাত দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। খবরের স্বার্থেই এই প্রতিবেদন।
ফের বাঘের পর্যাপ্ত খাওয়ারের জন্য ১০০ টি হরিণ (Deer) ছাড়া হবে সুন্দরবনের (Sundarbans) জঙ্গলে। ইতিমধ্যেই বিভূতিভূষণ বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে ১০০ টি হরিণ নিয়ে আসা হয়েছে। হরিণগুলিকে রাখা হয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দোবাঁকি ক্যাম্পে।
বন দফতরেরে এক আধিকারিক জানান, ম্যানগ্রোভের জঙ্গলের মধ্যে রেখে হরিণদেরকে দেখভাল করছেন বনকর্মীরা। মাস দুয়েক সুন্দরবনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর এই হরিণগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনে বাঘের পরিমাণ বাড়তে পারে। যার ফলে তাঁদের পর্যাপ্ত খাওয়ারের প্রয়োজন। তাই মূলত বাঘের খাওয়ার হিসেবেই হরিণগুলিকে জঙ্গলে ছাড়ার সিদ্ধান্ত বন দফতরের।
এই বিষয়ে এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, বন দফতরের এই উদ্যোগটি খুবই সুন্দর। সুন্দরবনের যে খাদ্য পিরামিড আছে সেই পিরামিড অনুযায়ী খাদ্যস্তর গুলি সাজানো থাকে। সেইগুলি হয়তো বনবিভাগ থেকে রিসার্চ করে দেখেছে। যদি হরিণের পরিমাণ বাড়ানো যায় তাহলে বাঘের খাওয়ারের অসুবিধা হবে না। যদিও এখন এগুলি সবই গবেষণামূলক কাজ। তবে বনবিভাগের এই উদ্যোগের জন্য অনেক অভিনন্দন।
বাঁকুড়া (Bankura) বিখ্যাত জয়পুরের জঙ্গলে বন্যপ্রাণীর তাড়া খেয়ে রিসর্টে ঢুকে পড়লো চিতল হরিণ (Deer) শাবক। বন দফতর (Forest) চিতল হরিণের শাবকটিকে উদ্ধার করেছে বলে খবর। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে একটি শিশু হরিণ তার মায়ের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করছিল। জঙ্গলে সেই সময় বন্যপ্রাণীর তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে বনলতা রিসোর্টে ঢুকে পড়ে হরিনের এক শাবক।
মা হরিণ তার প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গলে পালিয়ে গেলেও পালাতে পারেনি শিশু শাবকটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কিছুক্ষণ ধরে একটি হরিণের বাচ্চাকে বাগানে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাঁরা। শাবকটির শরীরে বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে ক্ষত এবং তারাই ধারণা করেন বাচ্চা হরিণটি প্রাণ বাঁচাতে রিসোর্টের ভিতর প্রবেশ করেছে।
হরিণ শাবকটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে কয়েকজন ব্যক্তি খবর দেয় জয়পুর বন দফতরে। বন দফতরের এক কর্মী ওই এলাকাতেই থাকেন, রিসর্ট কতৃক ওই ব্যক্তিকে খবর দেওয়া হলে, তিনি ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে জয়পুর বন দফতরে নিয়ে আসে। সেখানে বন দফতরের কর্মীরা দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বহুদিন পর জয়পুর এলাকার মানুষ হরিণ শাবক দেখতে পাওয়ায় খুশি। তবে প্রশ্ন উঠছে? কুকুর হরিণ শাবককে তাড়া করেছিল নাকি অন্য কোন জন্তু? সেটি অবশ্য স্বচক্ষে কেউ দেখেননি।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) খুললেই আশ্চর্যজনক ঘটনা সামনে আসে। যা দেখে অনেকেই ভাবতে বসেন, এটাও বাস্তবে সম্ভব? আবার অনেকে অবাক হয়ে যান। তেমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা।
The hunters hunting mindset was hunted…
— Susanta Nanda IFS (@susantananda3) February 9, 2023
The deer he wanted to shoot, approached him, for reasons difficult to fathom. And then the hunter quickly realised that it is much satisfying to pet the animal than shooting it 💕
🎥 airsoftonly2 pic.twitter.com/pgGSRjnkbv
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে গাছের আড়াল থেকে একটি হরিণ এগিয়ে আসছে শিকারির দিকে। আর শিকারির মুখ দেখা না গেলেও ছায়া দেখা গিয়েছে ভিডিওতে। শিকারি, হরিণের দিকে বন্দুক তাক করে ধরে, কিন্তু হরিণটি ভয় না পেয়ে বন্দুকের কাছে চলে যায়। আর তাতে মত পরিবর্তন করেন শিকারি। হরিণের তাকানো দেখে বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দিতে পারলেন না। যে প্রাণীর দিকে বন্দুক তাক করতে কিছুক্ষণ আগেও যাঁর হাত কাঁপেনি, এবার সেই শিকারিই স্নেহের হাত উঠে এল হরিণের মাথায়। বার কয়েক হরিণটির মাথায় হাত বোলাতেও দেখা গেল শিকারিকে।
ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার সুশান্ত নন্দার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। যা ইতিমধ্যে ভাইরাল। বুধবার শেয়ার করার পর থেকে ক্লিপটি টুইটারে ৯,০০০-র বেশি ভিউ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, ভালবাসা দিয়ে সব জয় করা যায়। হরিণের সরল তাকানো দেখে শিকারি কী করে বন্দুক চালায়?