দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার নাবালিকা ছাত্রীর মুন্ডুহীন মৃতদেহ। মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে মালদহের ইংরেজ বাজারের এলাকা থেকে। উল্লেখ্য, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্য়ায় মালদহ সফরে গিয়েছিলেন। তার আগের দিন ইংরেজ বাজারের উত্তর বালুচর এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রী। ব্যবসায়ীর নাবালিকা কন্যা খুনের প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে মালদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড় ও রথবাড়ি মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ নাবালিকা একটি বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজারের উত্তর বালুচরে। ব্য়বসায়ী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে বাড়ির সামনেই খেলাধুলো করছিল তাঁর নাবালিকা মেয়ে। কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এরপর বাড়ির সবাই উত্তেজিত হয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজির পরে অবশেষে উদ্ধার হয় ওই নাবালিকার মৃতদেহ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ওই নাবালিকার এক আত্মীয়কে পুলিস গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন বলে পুলিসের অনুমান। বাড়ির সামনে থেকেই ওই নাবলিকাকে অপহরণ করা হয়। তারপর মালদহ শহর থেকে কিছুটা দূরত্বে আম বাজার এলাকার থেকে ওই নাবালিকার মৃতদেহটি উদ্ধার হয়।
চা বাগানের নর্দমার মধ্য থেকে উদ্ধার হল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের (Leopard) মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের (Dooars) মেটেলি ব্লকের আইভিল চা বাগানে (Tea Garden)। কীভাবে চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য চিতাবাঘের দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে বনদফতরের খুনিয়া ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা এসে চিতাবাঘের দেহটি উদ্ধার করে লাটাগুড়ি প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাগানে কাজ করার সময় শ্রমিকেরা দেখতে পান বাগানের মেইন ডিভিশনের ১৬ নম্বর সেকশনের একটি নর্দমায় লেপার্ড-এর দেহ পড়ে রয়েছে। খবর চাউর হতেই বহু মানুষ ভিড় জমান চা বাগান চত্বরে। আসেন বাগান কর্তৃপক্ষের আধিকারিকেরাও। তবে কীভাবে চিতাবাঘটি সেখানে এল? কীভাবে মৃত্যু হয়েছে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বন দফতরের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন জায়গা থেকে চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এবারে বার্ধক্যজনিত কারণেই চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে, নাকি চোরা পশু শিকারীর গুলিতে নিহত হয়েছে, তা তদন্তের পরই জানা যাবে।
গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ। এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ (Death body) উদ্ধার ঘিরে মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্যানিং (Canning) থানা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের থুমকাটি উত্তর মিঠাখালি গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ক্যানিং থানার পুলিস (Police) আধিকারিকরা। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ক্যানিং থানার পুলিস। পরিবারের দাবি, ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম অঞ্জলি নস্কর (৪০)। তিনি থুমকাটি উত্তর মিঠাখালি গ্রামের বাসিন্দা। মৃতার ছেলে বলেন, 'বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মা। বারবার আত্মহত্যা করতে রেল লাইনের দিকে ছুটে যেতেন। তবে তখন কেউ কেউ আত্মহত্যা করার থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতেন মাকে। তবে মঙ্গলবার ভোরে বাবা শৌচালয়ে যাওয়ায়, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের গলায় বটি দিয়ে আঘাত করেন,' এমনটাই জানাচ্ছেন মৃতার ছেলে। তিনি আরও দাবি করেন, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারই মৃতাকে মেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বস্তা বন্দি এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ (Death Body) উদ্ধার (Recovery) হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলার খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত সাঁকোয়া এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে খড়গপুর লোকাল থানার পুলিস (Police)। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃতের নাম পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূ্ত্রের খবর, শনিবার সকালে এলাকার লোকেরা সকালের কাজকর্ম সারার জন্য মাঠে যায়। তখনই ধানক্ষেতে থাকা একটি গাছের নীচে বস্তাবন্দি থাকা এক মৃতদেহর পা দেখতে পায়। তারপরে ওই বস্তা খুলতেই দেখা যায় ওই মহিলার মৃতদেহটি। এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় খড়গপুর লোকাল থানায়। তারপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলাকে অন্য জায়গায় খুন করার পর বস্তাবন্দি করে এই গাছের নীচে ফেলে গিয়েছে অভিযুক্তরা, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
ভারত-নেপাল (India-Nepal Border) সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে দেখা মিলল এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ (Deathbody)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পানিট্যাঙ্কি শিমূলতলা এলাকায় টুকরিয়া ফরেস্টে। ঘটনাস্থলে আসে খড়িবাড়ি থানায় পুলিস। অপরিচিত যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছ।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পানিট্যাঙ্কি শিমূলতলা এলাকায় টুকরিয়া ফরেস্টের মধ্যে একটি গাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ভিড় জমান ঘটনাস্থলে। খবর দেওয়া হয় খড়িবাড়ি পুলিসকে। তড়িঘড়ি খড়িবাড়ি থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মৃত যুবকের আসল পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
আবারও পুকুর থেকে উদ্ধার (Rescue) এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্য়ক্তির মৃতদেহ (Deathbody)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) ফরাক্কা থানার মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই এলাকার শিবনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে ফরাক্কা (Farakka) থানার পুলিস। পুকুর থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালবেলায় ওই এলাকার স্থানীয়রা পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মৃতদেহ জলে ভাসতে দেখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে পাঠায়। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ওই ব্যক্তির পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুকুর থেকে উদ্ধার (Rescue) এক অজ্ঞাত অপরিচিত মহিলার (Woman) মৃতদহ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিপাড়ায়। ঘটনস্থলে রামপুরহাট থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি (Deathbody) উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে পুকুরে একটি মৃতদেহটি ভাসতে দেখেন তারা। এরপর পুলিসে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় রামপুরহাট থানার পুলিস। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে। তবে উদ্ধার হওয়া ওই মহিলার কোনও পরিচয়পত্র জানাতে পারা যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০-৪২ বছরের। পুলিস অজ্ঞাত অপরিচিত ওই মহিলার পরিচয়পত্র খুঁজে বার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মৃতদেহটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার পিছনে কে বা কি কারন রয়েছে তা জানতেই ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিস।
পারিবারিক অশান্তির জেরে দাদার হাতে খুন (Death) হতে হল ভাইকে। কাজ দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভাইকে খুন করার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের তিলিপারা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম উজ্জ্বল প্রামানিক (২২)। ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার পুলিস এসে মৃতদেহ (Deathbody) উদ্ধার করে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উজ্জ্বল প্রামানিকের সঙ্গে বেজপাড়ার বাসিন্দা দাদা প্রবীন প্রামানিকের পারিবারিক বিবাদ চলছিল বেশ কয়েকদিন যাবৎ। বৃহস্পতিবার রাতে ভাই উজ্জ্বলকে ফোন করে তাঁর দাদা কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে আনে। অনেকটা সময় পেরেই যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী অনেকবার ফোন করলেও প্রথমে ফোন ধরেনি এবং পরে সেই ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই সন্দেহ হয় তাঁর স্ত্রীর। এরপর সারারাত বাড়ি ফেরেনি উত্তম।
শুক্রবার সকালে তাঁর স্ত্রী দাদার বাড়িতে খোঁজ করতে গেলে কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর স্বামী। এরপর চিৎকার চেঁচামেচি করতেই ছুটে আসে এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিস। ঘরের তালা ভেঙে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। কী কারণে খুন হতে হলো ওই যুবককে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
একসঙ্গে দুটি চুল্লি বিকল। ফলে মৃতদেহ (Deathbody) সৎকার করাতে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। ঘটনাটি দুর্গাপুরের (Durgapur) বীরভানপুর মহাশ্মশানের। অভিযোগ, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই পরিস্থিতি। তবে সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটবে আশ্বাস দুর্গাপুর নগর নিগমের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে তৎকালীন বাম পুরবোর্ড বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বীরভানপুর মহাশ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরী করেছিল। রাজ্যের তৎকালীন পুর মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এই বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন করেছিলেন। শুধু দুর্গাপুর নয়, অন্ডাল, আসানসোল এমনকি বাঁকুড়া জেলা থেকেও মৃতদেহ সৎকার করতে আসে এই শ্মশানে। এদিকে দুটো ইউনিট একসঙ্গে খারাপ হয়ে যাওয়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, আগে এই শ্মশানে সৎকার করাতে প্রায় সাড়ে পাঁচশো টাকার মতো খরচ লাগতো। সেটা বাড়িয়ে এখন দুর্গাপুর নগর নিগম সাড়ে সাতশো টাকার মতো করেছে। কিন্তু টাকা বাড়লেও পরিষেবা একদম বাড়েনি বলে দাবি সাধারণ মানুষদের।
বৈদ্যুতিক চুল্লির একটা ইউনিট আগেই খারাপ হয়েছিল। গত তিন দিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে আরেকটি ইউনিট। প্রশ্ন উঠেছে, যখন প্রথমটা ইউনিটটা খারাপ হয়েছিল তখন কেন তড়িঘড়ি মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হলো না? পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুর্গাপুর সহ বাঁকুড়া জেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে দশ থেকে কুড়িটির মতো মৃতদেহ সৎকারের জন্য আসে এই শ্মশানে। বৈদ্যুতিক চুল্লি বিকল হওয়াতে কাঠে মৃতদেহ সৎকার করতে হচ্ছে। ফলে এতে সময় ও খরচ দুই বাড়ছে। আর অসাধু ব্যাবসায়ীরা এই সুযোগে কাঠের দাম বাজার দর থেকে অনেকটাই বাড়িয়ে রাখছে। যার করণে সাধারণের সমস্যা দ্বিগুন হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানান, খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন দুর্গাপুর নগর নিগমের এই প্রশাসনিক আধিকারিক। একাসঙ্গে বৈদ্যুতিক চুল্লির দুটি ইউনিট বিকল হয়ে যাওয়ায় বিপত্তির মুখে পড়ে সাধারণ মানুষের বক্তব্য, একেই বলে হয়তো মরেও শান্তি নেই।
বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রীর জোড়া মৃতদেহ (Deathbody)। শুক্রবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার (Rescue) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোঘাটের হাটতলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গোঘাট থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দু'জনের নাম সুনীল বারুই ও নমিতা বারুই। স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই ষাটোর্ধ্ব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীল বাবু প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করতেন। তাঁর স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। অবসরের পর থেকে তিনিও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার জেরে প্রায়শই নিজেরাই ঘরের ভিতরে মারামারি করত বলে জানান প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় এক আত্মীয়ের দাবি, বৃহস্পতিবার সারাদিন বাড়ি থেকে বের হননি তাঁরা। এদিন সকালে যখন আম দিতে বাড়িতে যান, তখন অনেক্ষণ ডাকার পরও কোনও সাড়া দেননি। পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। একজন বাড়ির ভিতরে আর একজন বাড়ির উঠোনে।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, একদিন আগেই দু'জনে মারামারি করেন। তখনই লোহার রড দিয়ে একে অপরের উপর আঘাত করে্ন। তার জেরেই মৃত্যু হয় বলে মনে করছেন আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
মা চিতাবাঘ সহ দুই (Leopard) শাবকের মৃতদেহ (Death Body) উদ্ধার। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার খড়িবাড়ি ব্লকের থানজোড়া চা বাগানের তিন নম্বর সেকশনের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘোষপুকুর বন দফতরের কর্মীরা (Forest Division) তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। মা চিতাবাঘ ও দুই শাবকের দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। এমনকি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও একটি চিতাবাঘের শাবককে উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে অসুস্থ চিতাবাঘ শাবকের চিকিৎসা চলছে বেঙ্গল সাফারিতে। পাশাপাশি মৃত মা চিতাবাঘ ও দুটি শাবকের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, সর্বপ্রথম চা বাগানের চা শ্রমিকেরা মৃত চিতাবাঘগুলিকে দেখতে পান। এরপরই দ্রুত খবর দেওয়া হয় বাগানের ম্যানেজার সহ ঘোষপুকুর বন দফতরে। তবে কী কারণে বাঘগুলির মৃত্যু ঘটলো তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার গৃহবধূর দেহ। মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) রানীনগর থানার অন্তর্গত চণ্ডীবাটি এলাকায় নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার হয় মৃতদেহটি (Death Body)। সূত্রের খবর, মৃতার নাম মিরা বিবি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধে ছ'টা নাগাদ ঘর খুলে দেখতে পাওয়া যায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন মিরা বিবি। স্থানীয়রা জানতে পেরে তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে রানীনগর থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বহরমপুর মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তবে এই ঘটনার আসল কারণ কী তা এখনও জানা যায়নি। আদৌ আত্মহত্যা নাকি খুন? ইতিমধ্যে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানীনগর থানার পুলিস। খতিয়ে দেখছে পুরো ঘটনাটি।
ফের গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ (Death Body) উদ্ধার। খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) মালতীপুর বিধানসভার ক্ষেমপুর পঞ্চায়েতের বিজলি গ্রামে। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছেন ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজনেরা। শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও দেওর সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে চাঁচল থানায় (Police)। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করা ময়না তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম কহিনুর খাতুন (২৩)। তিনবছর আগে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন কহিনুর। বিজলি গ্রামের সহবুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামী কাজের সূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। কহিনুরের বাপের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের চাঁদপুর গ্রামে।
বধূর বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। প্রেম করে বিয়ে করায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা তাঁদের মেনে নিতে পারেননি। এমনকি তাঁর শ্বশুড়বাড়ি থেকে চার লক্ষ টাকা পণ নিয়েছে। তবুও বাড়তি টাকার জন্য একাধিক বার চাপ দেওয়া হয়েছিল কহিনুরকে। তাঁদের দাবি, এই নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশি সভাও বসানো হয়। কিন্তু তাতেও অত্যাচার কমেনি।
মৃতার দাদা জানান, শুক্রবার দুপুরে বোনের মৃত্যুর খবর পান। ছুটে গিয়ে দেখেন ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পা গুলি চৌকিতে ছুঁয়ে রয়েছে। তাঁর দাবি, এই দৃশ্য দেখে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না। তাঁর বোনকে খুন করা হয়েছে।
হাত বাঁধা অবস্থায় এক কিশোরের ঝুলন্ত দেহ (Death Body) উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসাত (North 24 Parganas) পুরসভার কাজিপাড়া এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় মৃতের মা খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতের বাবার বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন বাবা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে বারাসাত থানার (Barasat Police) পুলিস। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম তৌফিক হক(১৭)। তৌফিক তাঁর মামার বাড়িতে থাকত। বুধবার কাকভোরে মামার বাড়ি থেকেই তাঁর দেহটি উদ্ধার হয়।
মৃতের মা জানান, তৌফিকের যখন ছ-মাস বয়স তখন থেকেই তাঁর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তারপর থেকে মামবাড়িতেই থাকত ছেলে। মৃতের মায়ের অভিযোগ, সম্প্রতি বাবার কাছে থাকতে গিয়েছিল ছেলে তৌফিক। তবে সেখান থেকে তাঁকে মারধর করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ছেলে তৌফিককে তার বাবা সেকেন্দার কাজিই খুন করেছে।
যদিও এই বিষয়ে মৃত কিশোরের বাবা সেকেন্দার কাজি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে খুনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, মা ও ছেলের সাথে দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্কই নেই। এমনকি তৌফিকই যে তাঁর ছেলে তাও জানতেন না তিনি। সম্প্রতিই তৌফিক তাঁর বাড়িতে আসার পরই তিনি এই বিষয়ে জানতে পারেন।
অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরের সঙ্গে তাঁর এক মামার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের ভালোবাসা এতটাই গভীর ছিল যে ওই কিশোরীর নাম হাতে ও বুকে ট্যাটু করেছিল সে। এ নিয়ে পরিবারে রোজ অশান্তিও হত। সেই কারণেই হয়তো কোনও কিছু ঘটতে পারে বলে দাবি, স্থানীয়দের। তবে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় খুনেরই ঘটনা, দাবি স্থানীয়দের।
মৃত কিশের বাড়ির পক্ষ থেকে বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বারাসাত থানার পুলিস।
ট্যাটুই কেড়ে নিল প্রাণ। হাতে ট্যাটুর কারণে আইপিএস (IPS) হতে পারবেন না। তাই ২৫ শে ফেব্রুয়ারি নিজেকে শেষ করে দিলেন এক যুবক। উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে (Delhi)। ভাড়াঘরের মালিক সহ তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার। জানা গিয়েছে, মৃতর নাম অভিষেক গৌতম। তিনি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা। ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দিল্লিতে ছিলেন ওই যুবক। দিল্লিতেই ঘরভাড়া নিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এমনকি শখ করে হাতে ‘আইপিএস’ লেখা ট্যাটুও করিয়েছিলেন অভিষেক। আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল তাঁর জীবনে।
সূত্রের খবর, ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অভিষেক। দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের এক ভাড়াবাড়িতে থাকতেন তিনি। দিনরাত এক করে পড়াশোনা করছিলেন যাতে প্রথম চেষ্টাতেই সফল হন। ওই বাড়িতে অভিষেক ছাড়াও আরও কয়েক জন পরীক্ষার্থীও থাকতেন। ওই বাড়িতে অভিষেকের সঙ্গে থাকতেন ললিত মিশ্র নামের এক যুবক। তিনি অভিষেকের হাতে ট্যাটু দেখার পর জানান, যাঁরা ট্যাটু করিয়েছেন তাঁদের আইপিএস হিসাবে নির্বাচন করা হবে না। এমনকি পরীক্ষায় পাশ করলেও তাঁদের বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। আর এই বিষয়ে শোনার পরই এমন সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক বলে অভিযোগ।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিষেক গুগলে আইপিএস নির্বাচনের পদ্ধতি এবং তার সঙ্গে ট্যাটুর সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা সার্চ করে দেখার চেষ্টা করেন। শুধু তাই-ই নয়, ট্যাটু কী ভাবে তুলতে হয়, গুগলে তা-ও সার্চ করেন অভিষেক। সবশেষে কোনও সুরাহা না পাওয়ায় ভাড়াবাড়িতেই আত্মঘাতী হন তিনি। তবে এখনও কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিস। পুলিস অভিযুক্তদের জেরা করে কোনও সূত্র না পাওয়ায়, তাঁদের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়। তবে তা থেকেও কোনও সূত্র না পাওয়ায় মামলাটি বন্ধ করে দেয় পুলিস।