রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার সৎসঙ্গ স্কুলের পিছনে। শনিবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুজনে মধ্য়ে একজন হলেন তপন দে (৫৪) এবং মিন্টু সরকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার বাসিন্দা তপন দে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তাঁর মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। তপনের মেয়ে তানিয়া এবছরের মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী। শনিবারে তপনের বন্ধু রতন তাঁর বাড়িতে আসেন। তপন বাবুর সঙ্গে অন্য আরেকজন ছিলেন, তার নাম জানাতে পারেনি পুলিস। কিছুক্ষণ পরে রতনকে বাড়ির থেকে বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তড়িঘড়ি তপনবাবুর বাড়িতে ঢুকে দেখেন তপনবাবু ও আরও একজন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। ঘটনাস্থলে আসেন রায়গঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিস সুপার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রতনকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস।
জন্ম যখন আছে তখন মৃত্য়ু অনিবার্য। তাই বয়সকালে মৃত্য়ুটাকে অনেকেই ভবিতব্য় বলে মেনে নেয়। এমনি এক ঘটনার ছবি ধরা পড়ল সিএন-এর ক্য়ামেরায়। সেখানে দেখা গিয়েছে ঢাক-ঢোল, বাজনা বাজিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ১০৩ বছরের বৃদ্ধাকে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের আড্ডা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সিউরি শহরের পথ চলতি মানুষ হঠাৎ শুনতে পান গান, বাজনার শব্দ। আর তা শুনে দৌড়ে দেখতে যান কী হচ্ছে? দেখলেন, মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শেষকৃত্য সম্পন্নের সময় দেখা যায় হরিনাম সংকীর্তন ইত্যাদির মাধ্যমে তাঁদের শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঢাক ঢোল পিটিয়ে শশ্মান যাত্রা দেখে ঘাবড়ে যান মানুষ। ১০৩ বছর বয়সী ঠাকুমার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে নাতিদের এই আয়োজন।
বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার গলায় জিআই তার জড়ানো অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মঙ্গলবার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় রাজারহাট থানা সংলগ্ন কাশীনাথ পুর বাজার এলাকায়। তবে মৃত ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় জন্য় পাঠায়। ঘটনার তদন্তে রাজারহাট থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাঁশ বাগানে গলায় তার জড়ানো অবস্থায় মৃত ওই ব্য়ক্তিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে ওই এলাকাটি ঘিরে ফেলে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান ওই ব্যক্তি লরির খালাশী হতে পারে। এরপর পুলিস খোঁজ চালিয়ে রাস্তার পাশ থেকে একটি মার্বেল ভর্তি লরিও উদ্ধার করে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই লরিতে থাকা দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই মৃত্য়ুর সম্পর্কে তারা কী জানে? খুন নাকি অন্য় কোনও রহস্য রয়েছে এর পিছনে, সঠিক কারণ জানতে রাজারহাট পুলিস কুকুর দিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালায়।
প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে গৃহবধূকে পাচার ও খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে তাঁকে রান্না ঘরের নিচে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার ইশ্বরী গাছা ঢালী পাড়ায়। জানা যায়, মৃত যুবতীর নাম রহিমা খাতুন (২৪)। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে গোপালনগর থানার নতিদাঙ্গার বাসিন্দা রহিমা খাতুনের সঙ্গে গোপালনগরের সাতবেড়িয়া বাসিন্দা সেলিম মণ্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের আট বছর পর রহিমা তাঁর গ্রামের প্রতিবেশী বাকিবিল্লা মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর রহিমা তাঁর সাত বছরের মেয়েকে রেখে বাকিবিল্লার সঙ্গে মুম্বাই চলে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের।
এরপর রহিমা তাঁর মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্য়মে যোগাযোগ রাখলেও পাঁচ মাস ধরে কোনো যোগাযোগ হয় না তাঁর পরিবারের। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে গোপালনগর থানায় পাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয় বাকিবিল্লা ও তার বোন তারাবানু মন্ডলের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাকিবিল্লা ও তারাবানুকে জেরা করে জানতে পারে, ছয় থেকে সাত মাস আগে বসিরহাটের বাদুড়িয়ার ঈশ্বরীগাছায় তারাবানুর শ্বশুরবাড়িতে রহিমাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে রান্না ঘরের মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। খুনের অভিযোগে পুলিস বাকীবিল্লা ও তার বোন তারাবানু কে গ্রেফতার করে।
পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। খুন করে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দা থানা মিশ্র পাড়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম তরুন মিশ্র (৪৩)। বাড়ি মিশ্র পাড়ার এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ওন্দা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মৃত ওই যুবকের ঘাড়ে ও পেটে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ওই যুবক। তারপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় সানার পুকুরের পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পুকুরের জলে ওই যুবককে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।
এরপর খবর দেওয়া হয় ওন্দা থানার পুলিসকে। ইতিমধ্য়ে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। তবে কী কারণে এই খুনের ঘটনা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিস।
নদী থেকে উদ্ধার নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ। রবিবার ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বর্ধমানের রাজগঞ্জ পাসিখানা এলাকায়। ঘুড়ি ধরতে গিয়েই নদীতে তলিয়ে যায় বলে অনুমান মৃতের পরিবারের। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম রোহিত দাস (১২)। রথতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বাড়ি রাজগঞ্জ চন্ডিতলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
মৃতের পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা বাড়ি থেকে বের হয় রোহিত দাস। তারপর রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের তরফে বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হলেও খোঁজ মেলেনি। এরপর রবিবার সকালে পাসিখানা এলাকায় বাঁকা নদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তারপর তাঁরা খবর দেন পুলিসকে। আদৌ ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে মৃত্য়ু নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য় কোনও রহস্য়? তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই স্কুল ছাত্রের তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ। শুক্রবার সকালে প্রগতি ময়দান থানার অন্তর্গত চৌবাগা খাল থেকে উদ্ধার ওই যুবকের মৃতদেহ। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পরিবারের। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ মন্ডল। বয়স ১৮ বছর। মুকুন্দপুর বোঝেরহাট এলাকার বাসিন্দা এই যুবক।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ তারিখ মধ্যরাতে পিসির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সেইদিন রাতেই শীতলা পুজোর মেলা দেখতে যান। সেখানে কয়েক জন যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়ালে তাঁরা ওই যুবককে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল বিশ্বজিৎ। প্রগতি ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। তারপর শুক্রবার উদ্ধার হয় বিশ্বজিৎ-এর মৃতদেহ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বিশ্বজিৎ মণ্ডলের (১৮)। তবে এই রিপোর্ট মানতে নারাজ বিশ্বজিৎ-এর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিকৃত করা হয়েছে। পুলিসি তদন্ত নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
অর্ধনগ্ন তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য আসানসোলের সালানপুর থানার গোলকুন্ডা সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওঠে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই তরুণীর মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, মৃত মেয়েটির নাম মিঠু রায় (৩০)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর পুলিসকে কেন্দ্র করে শুরু হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মিঠু পিকনিক করতে যাওয়ার কথা বলে সকালে বাড়ি থেকে বেরোন। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত ফিরে না আসায় বাড়ির লোক খোঁজ করতে শুরু করে। এরপর এদিন ভোরে গোলকুন্ডা সংলগ্ন জঙ্গলে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। সালানপুর থানা ও সামডি ক্যাম্প এর পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠায়।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য় তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়। তবে কী কারণে এবং কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪-এর একটি ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয় তিনজনের মৃতদেহ। একসঙ্গে পুরো পরিবারের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন ছেলে সুমনরাজ মৈত্র (৩৯) মা অপর্ণা মৈত্র (৬৮) ও বাবা স্বপন মৈত্র (৭৫)। তবে তাঁরা আত্মহত্য়া করেছেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট জানা যায় নি। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিসের হাতে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।
বুধাবার সকাল থেকে ওই বন্ধ ফ্ল্য়াট থেকে প্রতিবেশীরা পচা দুর্গন্ধ টের পায়। তারপর তাঁরা খবর দেয় পুলিসকে। ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস এসে ফ্ল্য়াটের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান বাবা,ছেলে ও মায়ের মৃতদেহ ঝুলছে। ওই মৃতদেহগুলি আলাদা আলাদা ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছে এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।
প্রাথমিকভাবে পুলিস ঘটনাটিকে আত্মহত্য়ার ঘটনা বলে মনে করলেও সঠিক কোনও তথ্য় মেলেনি। কিন্তু আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখতে পুলিসের নজরে পড়ে মৃত সুমনরাজ মৈত্রের এক ফেসবুক লাইভ। ২৮ ডিসেম্বর মৃত সুমন রাজ মৈত্র ফেসবুকে দুটি ২১ মিনিটের লাইভ করে জানিয়েছেন, যে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। অনেকেই হুমকি দিচ্ছে এই কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাই আমার ছোট মামা বলেছেন তিনি আমাকে আমাকে এখান থেকে শিফট করে দেবে। এই শিফট করার ব্যাপারটা সমস্যার সমাধান নয়। এমনকি বেশ কিছুদিন হলো এখানকার অনেক বাচ্চারা আমাকে আর আমার বাবা-মাকে পাগল পাগল বলছে। আমরা খুব কষ্টে ভুগছি। এইভাবে থাকা যায় না তাই আমাদের একটা ডিসিশনে আসতে হবে। সেই ডিসিশনটা আমরা নিয়ে ফেলেছি।
বন্ধ ফ্ল্য়াটের দরজা। ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে পচা দুর্গন্ধ। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। এরপর পুলিস এসে ওই বন্ধ ফ্ল্য়াটের মধ্য থেকে উদ্ধার করে তিনজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪-এর একটি আবাসনে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন মা অপর্ণা মৈত্র (৬৮), তাঁর স্বামী স্বপন মৈত্র (৭৫) এবং তাঁদের ছেলে সুমনরাজ মৈত্র। স্বপন মৈত্র পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪ এর তিন তলা আবাসনে থাকতেন স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের ছেলে। সেখান থেকেই উদ্ধার তাঁদের তিনজনের মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, মূলত বাড়িতেই থাকতেন তাঁরা। খুব একটা বাইরে বেরোতে দেখা যেত না তাঁদের। ২৮ তারিখ অর্থাৎ গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ওই পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়। তারপর থেকেই বন্ধ করে দেয় ফ্ল্য়াটের দরজা। এরপর বুধবার সকালে পচা দুর্গন্ধ টের পাওয়ার পরেই স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে বন্ধ ফ্ল্য়াট খুলতেই দেখতে পায় ছেলের ও মায়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বেড রুম। আর বাবার দেহ পড়ে আছে ডাইনিং-এ। পুলিসের অনুমান, একইসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন পুরো পরিবার। তবে কী কারণে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃত্য়ুর আসল কারণ জানা যায়নি।
কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে উদ্ধার হল দম্পতির জোড়া ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভুটকি হাট এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রমেশ মাহাতো (২৫) ও কাকলি বিশ্বাস (২২)। ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় বছর আগে রমেশ ও কাকলি প্রেম করে বিয়ে করেন। রমেশ ভুটকি হাটে এক কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। একই বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকেন তাঁর দাদা।মৃতের দাদা রাজেশ মাহাতো বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী এক বিয়ে বাড়িতে যাবে বলে তাঁরা তৈরি হচ্ছিলেন। স্ত্রীকে সাজতে বলে রমেশ পাশের বাজারে যান উপহার আনতে। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এরপর দুই ভাই মিলে দরজা ভেঙে দেখেন রমেশের স্ত্রীর দেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই রমেশ বেপাত্তা হয়ে যান। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাছ থেকে উদ্ধার তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তবে ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তৈরী হয়েছে রহস্য়। দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিস।
শিলিগুড়ির হোমে এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু। বুধবার ভোরে হোমের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। হোমের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। পাশাপাশি মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে হোমের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনস্থলে পুলিস গিয়ে নাবালিকার মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আগস্ট মাসে নকশালবাড়ির বাসিন্দা ওই নাবালিকা যৌন নিগ্রহের শিকার হয় বলে অভিযোগ। তারপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলে ওই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতে আনা হয়। আর নির্যাতিতার নিরাপত্তার জন্য় তাকে রাখা হয় শিলিগুড়ির ওই হোমে। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, নাবালিকার ব্যবহারে অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। নিয়মিত বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। দিন কয়েকের মধ্যেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগেই ঘটে গেল চাঞ্চল্য়কর ঘটনা।
পরিবারের অভিযোগ হোমের গাফিলতিতে এই মৃত্যু হয়েছে। যার জেরে মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে হোমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নির্যাতিতার পরিবার। আত্মহত্য়া নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য় কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখছে শিলিগুড়ি থানার পুলিস।
রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার ছায়া এবার তমলুকে। মারা যাওয়ার পরেও ঘর বন্ধ রেখে মৃত বাবার পাশে শুয়ে রইল মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। সূত্রের খবর, তমলুক থানার তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পদুমবসান এলাকায় ভোলানাথ দে নামে ৮০ বছরের বৃদ্ধ ও তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে মান্তু দে (৩৫) থাকত। বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিস গিয়ে ওই বৃদ্ধর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং মানসিক ভারসাম্য়হীন মেয়েকে তাম্রলিপ্ত গভমেন্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার থেকে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর বাড়িতে কাজের লোক আসলেও ঢুকতে পারে নি। প্রতিদিন বারবার দরজা ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করে ডাকার পরেও ভিতর থেকে দরজা খোলেনি ওই মহিলা। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা খবর দেয় তমলুক থানায়। এরপর এদিন সকালে পুলিস এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখে মেঝেতে মানসিক ভারসাম্য়হীন মেয়ে তাঁর মৃত বাবার পাশে শুয়ে আছে।
পুলিসের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরে না খাওয়ার ফলে ওই বয়স্ক বৃদ্ধ মারা যায় এবং ওই মানসিক ভারসাম্য়হীন মহিলা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই বৃদ্ধর মৃত্য়ু আসল কারণ জানা যায়নি। স্থানীয় সূ্ত্রে আরও খবর, মৃত ওই বৃদ্ধর স্ত্রী এবং ছোটো অন্য় জায়গায় থাকেন। তবে দীর্ঘদিন বাড়ির দরজা বন্ধ থাকার পরেও মৃত বৃদ্ধর স্ত্রী ও ছোট মেয়ে কেন কোনো খোঁজখবর নেননি তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই ঘটনাকে ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের জাতীয় সড়কে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লরির সঙ্গে বন দফতরের স্করপিও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত এক এবং আহত তিনজন। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানার কাঁটাগড়িয়া পেট্রল পাম্পের কাছে ১৪ নং জাতীয় সড়কের উপর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা ময়নাতদন্তের জন্য় রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠায়। বর্তমানে আহতরাও রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মোড়গ্রাম থেকে নলহাটি যাচ্ছিল লরিটি এবং অপরদিক বন দফতরের গাড়িটি যাচ্ছিল। সেই সময় লরি ও স্করপিও গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় স্করপিও গাড়ির চালকের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় ওই গাড়িতে থাকা আরও তিন জন। এরপর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যায়। এবং খবর দেয় পুলিসকে। দুর্ঘটনার জেরে কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিস এসে গাড়ি দুটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর আবার যান স্বাভাবিক হয়।
রেললাইন থেকে উদ্ধার এক যুবকের মুন্ডুহীন দেহ। খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম কাজীরুল ইসলাম (২৫)। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারি গ্ৰামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিস গিয়ে ওই খন্ড বিখন্ড দেহটি উদ্ধার করে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কনকনিয়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে মৃত ওই যুবকের ঝামেলা ছিল। অভিযোগ, স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সামাজিক মাধ্যমে দেওয়ার জন্য কিছুদিন আগেই ওই যুবক জেলও খাটে। সেই বিবাদের জেরে খুনের অনুমান করছে ওই যুবকের পরিবার। কারণ শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে রেল লাইনে ওই যুবকের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। যা নিয়ে উঠেছে আরো জোড়ালো খুনের জল্পনা।
নিহতের পরিবারের লোকের দাবি, শনিবার রাতে কাজীরুল টেটিয়া গ্রামে জলসা দেখতে গিয়েছিল। সেই গ্রামে রয়েছে তাঁর স্ত্রী জাসমিনারা খাতুনের এক আত্মীয়ের বাড়ি। জলসা থেকে তাঁকে জাসমিনারার মামা এবং মেসো তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সকলে মিলে তাঁকে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেয়। কাজীরুলের পরিবারের অভিযোগ, কাজীরুলের স্ত্রীর অন্যত্র সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়েই বিবাদ হত স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে। এর আগেও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কাজীরুলকে মারধর করেছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ। যারফলে এক মাস জেলও খাটতে হয়েছিল কাজীরুলকে। খুন না আত্মহত্য়া তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।