অনলাইনে (Online Ticket Booking) ট্রেনের টিকিট বুক করতে গিয়ে ভুল অ্যাপ ব্যবহার করায় দেড়-লক্ষ টাকা খোয়ালেন মুম্বইয়ের এক ব্যাবসায়ী। সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী।
জানা গিয়েছে, ২৪ শে জানুয়ারি ওই ব্যবসায়ী তাঁর পরিবারের সদস্যের জন্য মুম্বই থেকে অমৃতসর যাওয়ার একটি দূরপাল্লার ট্রেনের আসন বুকিং করার জন্য অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু টিকিট কাটার দু-মাস পরেও ওই অ্যাপে বুকিং করা আসনের কোনও লিস্ট পাননি। সেইকারণে অ্যাপের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেন তিনি, সেখান থেকে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলানোর নাম করে আরও দুটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে ওই ব্যবসায়ীকে। এমনকি তাদের কথা অনুযায়ী, এটিএম কার্ডের পিন নম্বর পর্যন্ত দিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী।
অভিযোগ, কিছুসময় পর ওই ব্যবসায়ী মেসেজে জানতে পারলেন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা তোলা হয়। পরে ওই ব্যবসায়ীকে একটি নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, কোনও ভাবে ভুল করে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়। ওই ব্যবসায়ীর বুকিং করা আসন ও টাকা ফেরত দেওয়ারর মিথ্যে প্রতিশুতি দেয়।
ব্যবসায়াীর অভিযোগ,বুকিং করা টিকিট ও উধাও হওয়া টাকা কোনোটাই পাননি তিনি।বরং ধাপে ধাপে প্রায় দেড়-লক্ষ টাকা গায়েব হয় তাঁর। সাইবার প্রতারণার ভিত্তিতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ক্যুরিয়ার অফিসে কর্মরত এক ব্যক্তির পাঠানো লিঙ্ক ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই উধাও হয়ে গেলো কয়েক হাজার টাকা। ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) সংস্কৃতিমন্ত্রী অমরজিৎ ভগতের ওএসডি অতুল শেঠ সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) শিকার হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে দাবী করেন। গত ১৩ই মার্চ সোমবার ক্যুরিয়ার অফিস থেকে তাঁর বাড়িতে একটি ডেলিভারি (Online Delivery) আসার কথা ছিলো। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় ডেলিভারি বয়টি ফিরে যান।ইন্টারনেট থেকে খুঁজে ওই ক্যুরিয়ার অফিসের কাস্টমার কেয়ার (Customer Care) নম্বর জোগাড় করে ফোন করেন তিনি। এক ব্যক্তি ফোন ধরে নিজেকে ক্যুরিয়ার অফিসের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার বিকেল চারটের সময় ডেলিভারি পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু সে জন্য তাঁকে অনলাইনে দু-টাকা ডেলিভারি ফি দিতে হবে। তাতে রাজি হলে তাঁর মোবাইলে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। সেই লিঙ্কে ক্লিক করতেই চোখের পলকে হাজার হাজার টাকা উধাও হয়ে যায় তাঁর।
শুক্রবার সাইবার প্রতারণার অভিযোগে রাইপুরের তেলীবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করেন অতুল শেঠ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে চারটি কিস্তিতে মোট ৯৯,৯৯৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছে, সাইবার প্রতারণায় অভিযুক্ত পশ্চিমের বাসিন্দা। তাছাড়া ইন্টারনেটের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরটিও ভুয়ো (Fake Call)। যেকারণে লিঙ্কে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে অতুল শেঠের যাবতীয় তথ্য পেয়ে যায় এবং টাকা-পয়সা নিমেষে হাতিয়ে নেয়। অভিযুক্তের খোঁজ ইতিমধ্যে শুরু করেছেন পুলিস।
সৌমেন সুর: ১৮৯৭ সালের জানুয়ারী মাস, রাইটার্স বিল্ডিং তখন ইংরেজদের হেড অফিস। এখানেই প্রথম ফিংগারপ্রিন্টের কার্যালয় স্থাপিত হয়। তবে এখনও পর্যন্ত এফবিআই-এর এডগার নূভারের কর্মশালাটি পৃথিবীর বৃহত্তম সংগ্রহশালা। এই সংস্থার বিপুল ফিংগারপ্রিন্ট সংগ্রহের জন্য আমেরিকায় আজও কোনও অবাঞ্ছিত ব্যক্তি সরকারি চাকরি, মর্যাদাপূর্ন পদ, গুরুত্বপূ্র্ন পদে ঢুকতে পারে না। এভাবেই ওরা নিজেদের দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ফিংগারপ্রিন্টকে বেছে নিয়েছে।
ফিংগারপ্রিন্ট নিয়ে নানা ঘটনা আজও অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বর্ধমানের নিরুদ্দেশ রাজকুমার প্রতাপচাঁদের পরিচয় দিয়ে এক সন্ন্যাসী ১৪ বছর পরে ফিরে আসে। এই ঘটনা নিয়ো হুগলি আদালতে মামলা হয়। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের বড়দা সঞ্জীবচন্দ্রের বর্ণনায় দেখি-- রাজার এক দুষ্ট আত্মীয় নিজের ছেলেকে বৃদ্ধ রাজার দত্তকরুপে গ্রহণ করেছে বলে নিজে বর্ধমান জমিদারির পুরোটাই কৌশলে হস্তগত করে।
এর বহুদিন পর রাজকুমার সন্ন্যাসীরুপে ফিরে এলে বর্ধমানের জমিদার ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাহায্যে তাঁকে জেলে পাঠায়। শেষ জীবনটা সন্ন্যাসীকে খুব দুখ কষ্টের মধ্যে কাটাতে হয়। সেইসময় ফিংগারপ্রিন্ট সংগ্রহ ও শনাক্তকরন পদ্ধতি চালু থাকলে রাজকুমারকে এভাবে কেউ বিতাড়িত করতে পারতে না। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই এখন নিজস্ব ব্যক্তিগত পরিচয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ফিংগারপ্রিন্টের সাহায্য গ্রহণ করে। এটা অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার যে, আজ থেকে একশো বছর আগে মহাকরনের একটি অংশ যে গবেষনা ও কর্মদ্যোগের সূচনা হয়েছিল, আজ তা বৃহৎ কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। সারা পৃথিবীর অপরাধ বিজ্ঞানীরা এই বিজ্ঞানের উদ্ভাবনের জন্য ভারত তথা বাংলার কাছে ঋণ স্বীকার করেন।
তথ্যঋন: বিশ্বজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়
সাইবার ক্রাইম(Cyber Crime) অফিসারের নাম করে হুমকি ও টাকা তোলার অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার ৪ জন। নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করেছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস(Cyber Crime Police)। শুক্রবার ধৃতদের বিধান নগর কোর্টে তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
অভিযোগকারী প্রিয়াঙ্কা দাস জানান, একটি অজানা নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। ট্রু কলারে ওই নম্বটি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার নাম দেখায়। অভিযুক্তরা ফোন করে জানায়, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা থেকেই কল করছেন। এমনকি তাঁকে এক ফাইন্যান্স সংস্থার থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ পরিশোধ করার কথা জানিয়ে গ্রেফতার করার হুমকিও দেওয়া হয়। ফলে তিনি ভয় পেয়ে দুষ্কৃতীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার ২৩৩ টাকা ট্রান্সফার করেন।
পরে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির নামে দুষ্কৃতীরা তাঁর থেকে ৫৫ হাজার টাকা চায়। তখনই বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপরই ওই মহিলা বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নেমে ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে গোসাবা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কচুখালী থেকে মিঠুন মণ্ডল নামের ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এমনকি ৯ দিনের জন্য পিসিতেও নেওয়া হয়েছিল মিঠুনকে। মিঠুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাগেরবাজার থানা এলাকা থেকে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এমনকি শুক্রবার তাঁদের বিধাননগর কোর্টে তোলা হয়েছে।
মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কন্ট্রোভার্সি কুইন (Bollywood Drama-Queen) রাখি সাওয়ান্ত (Rakhi Sawant)। সম্প্রতি আবারও বিতর্কে তিনি। জানুয়ারি মাসে রাখি জানিয়েছিলেন, প্রেমিক আদিল খান দুরানিকে (Adil Durrani Khan) সাত মাস আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি স্বামীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনেন বলিউডের এই পরিচিত মুখ। তিনি বধূ নির্যাতন এবং পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। রাখির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার আদিল। ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার আরও গুরুতর অভিযোগ করেন রাখি।
আদিলের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'স্বামী তাঁর নিরাবরণ মুহূর্তের ভিডিও করেছেন। আর সেই ভিডিও বাজারে বিক্রি করে টাকা রোজগার করছেন।' এই অভিযোগ তুলে সাইবার ক্রাইম শাখার দারস্থ রাখি। সেখানেও অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রাখি দাবি করেন, আদিলের সবসময় প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। ফলে টাকার জন্য যেকোনও পর্যায়ে চলে যেত আদিল। আর সে কারণেই রাখির নিরাবরণ ভিডিও বিক্রি করেন।
সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে আদিলকে স্বীকার করতে শোনা গিয়েছে তিনি রাখির থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়েছেন। রাখি সেই টাকা কবে ফেরত দেবে জিজ্ঞাসা করলে আদিল বলেন, চার মাসের মধ্যে সেই টাকা দিয়ে দেবেন। রাখির জীবনের বিভিন্ন চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষীই বারবার থেকেছে বিনোদন জগৎ।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা নতুন বছরের শুরুতেই। রবিবার সকালে দিল্লির (Delhi) এক তরুণীর স্কুটিতে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে টানতে টানতে গাড়ি ছুটেছে কয়েক কিমি। এর ফলে মৃত্যু (Death) হয় ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীর। সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) দেখা যাচ্ছে, গাড়িটি কানঝাওয়ালা এলাকায় ইউ-টার্ন করছে। গাড়ির নিচে রয়েছে তরুণীর দেহ। যদিও এই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী বাড়ি ফেরার পথে রবিবার ভোরে স্কুটিতে চড়েছিলেন। এরপর গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুলতানপুরি থেকে দিল্লির কানঝাওয়ালা পর্যন্ত প্রায় কয়েক কিলোমিটার গাড়িটি টেনে নিয়ে গিয়েছিল৷
ওই ঘটনাস্থলে স্থানীয় যুবক দীপক দাহিয়ার একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। তিনি জানান, রাত ৩.২০ নাগাদ দোকান থেকে ১০০ মিটার দূরে এক বিকট শব্দ শুনতে পান। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন, গাড়ির চাকা ফেটে গিয়েছে। কিন্তু পরে দেখলেন, এক তরুণীর দেহ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিসে খবর দেন।
Exclusive #CCTVFootage of #Delhiaccident not even clothes on the girl's body she died after being dragged by a car in #Delhi In #Kanjhawala dragged the girl for 4 km in the car #KanjhawalaCase #DelhiPolice #Accident #DelhiCrime #KanjhawalaAccident pic.twitter.com/g0OGmX9QYZ
— the khabari club (@club_khabari) January 1, 2023
পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। পরে ভোর ৪টের দিকে পুলিসের কাছে আরেকটি ফোন আসে। বলা হয়, তরুণীর নগ্ন দেহ রাস্তায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে। এছাড়া ক্রাইম টিমও এসেছিল ঘটনাস্থলে। মৃতদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলপুরীর এসজিএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিস। গাড়ির তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির মালিককে খুঁজে বের করে পাঁচজনকে ইতিমধ্যে আটক করেছে। ধৃতরা হলেন দীপক খান্না (২৬), অমিত খান্না (২৫), কৃষাণ (২৭), মিঠুন (২৬) এবং মনোজ মিত্তাল (২৭)৷ পুলিস গাড়িটি জব্দ করেছে এবং দুর্ঘটনার সময় তাঁরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য তাঁদের নমুনাও নিয়েছে।
লোন অ্যাপ প্রতারণা (Loan App Fraud) চক্রের মাস্টারমাইন্ড এক মহিলাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। গত ৬ মাস দুবাইতে ছিলেন সোনিয়া খারতমল নামে ওই অভিযুক্ত, আদতে তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিসের (kolkata Police) সাইবার শাখার (Cyber Crime) অনুরোধে তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল মুম্বই পুলিস। বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই থেকে মুম্বই নামতেই ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। আন্ধেরির এক আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতা নিওয়ে আসা হবে।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের জুনে এক প্রতারিতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখা। জানা গিয়েছে, লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের শিকার ওই ব্যক্তিকে হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। লোন অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগকারীর ফোনের একাধিক তথ্য প্রতারণা চক্রের হাতে পৌঁছে যায়। অর্থ না দিলে সেই তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া হবে। এই হুমকি চলতে থাকে। তারপরেই কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রতারিত ব্যক্তি।
অভিযোগের তদন্ত নেমে এক বড় প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় কলকাতা পুলিস। বাংলা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের একাধিক রাজ্য থেকে থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা। তারপরেই উঠে আসে সোনিয়ার নাম।
অ্যান্টি ক্রাইম নাকার (Anti crime naka) নামে বিভিন্ন জায়গায় সোনার গয়না (gold) লুঠের চেষ্টা-সহ জাল নোট (Fake note) কারবারে অভিযোগ ওঠে পুরুলিয়া (Purulia) শহরে। এই সমস্ত অবৈধ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার (arrest) করে পুরুলিয়া জেলা পুলিস। গত কয়েক দিনে হোটেল, লজ-সহ অন্য জায়গায় পুলিসের রুটিন তল্লাশি চলছিল। তারই মধ্যে দু'জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে তাঁদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপরই জানা যায়, এফআইসিএন র্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত ওই দুজন। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত দুজনেই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। ধৃতদের নাম আলী রেজা এবং তানভীর হোসেন। পুলিস ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার করেছে।
পাশাপাশি পুলিসি জেরায় উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, আলী রেজা এবং তানভীর হোসেনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও তিনজন। তাঁদের নাম কাশেম, সাদিক ও তাকদির। প্রথম ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, বাকি দুজন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। এই পাঁচজন অন্যান্য অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গেও জড়িত। অ্যান্টি ক্রাইম নাকার নাম করে পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় সোনা গয়না লুঠ করে এরা। পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মূলত শহরের ঢোকার মুখে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিংয়ের নামে পুলিসের সিভিল টিমের সদস্য পরিচয় দিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর বয়স্ক বা সরল মনের মানুষ দেখলেই ফাঁদ পাতে। চুরি বা ডাকাতি হতে পারে মানুষের মনে এমন আতঙ্ক তৈরি করে পরনের সোনা গয়না সব খুলে ফেলতে বলা হয় সেসব সোনা গয়না। এরপর নিজেরাই সেই গহনা হাতিয়ে নিয়ে নকল সোনা গয়না দিয়ে দিত। এভাবেই চলতে থাকত অপরাধ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বুধবার পুরুলিয়া জেলা পুলিস যোগাযোগ করে জামশেদপুর পুলিসের সঙ্গে। এরপরই এই দলের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করে এই চক্রের সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করবে পুলিস।
আজকাল আগ্নেয়াস্ত্র (Gun) থাকা যেন কোনও ব্যাপারই নয়। ছোট থেকে বড় সকলের কাছেই এখন আগ্নেয়াস্ত্র। এমনকি স্কুল ছাত্রের (School Student) কাছেও। আর তার পরিণতি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা শুক্রবারে রাজস্থানের (Rajasthan) ঢোলপুরের ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে স্পষ্ট।
স্কুলের মধ্যে চলল গুলি। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত নবম শ্রেণির এক ছাত্র। এই গুলি চলার ঘটনায় আহত সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই কিশোর সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঢোলপুর জেলার মৌরলি গ্রামের ওই সরকারি স্কুলের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক। আহত ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, স্কুলের মধ্যে বন্দুক এলো কোথা থেকে? একজন স্কুল ছাত্র বন্দুকটি পেল কীভাবে? এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ইতিমধ্যে আহত ছাত্রের পরিবার, অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। কী নিয়ে ওই দুই ছাত্রের মধ্যে ঝামেলা তা জানার চেষ্টা করছে। ঝামেলার জেরে এত বড় দুর্ঘটনা? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সব রাজ্যে এনআইএ-র (NIA) দফতর খোলা হবে। সাইবার ক্রাইম, সন্ত্রাস, মাদক পাচারের মতো অপরাধের (Organised Crime) ক্ষেত্রে রাজ্যের পাশাপাশি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই কারণে আগামী দিনে এ ধরনের অপরাধ রুখতে রাজ্যগুলিকে এনআইএ-র সঙ্গে বোঝাপড়া করে এগোনোর পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah)।
ফরিদাবাদের সুরজকুণ্ডে দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা নিয়ে দু’দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কর্তা, গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান, আধাসামরিক বাহিনীর ডিজি-র উপস্থিতিতে ওই সম্মেলনে এমনটা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সম্মেলনে বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সম্মেলনে যাননি মুখ্যমন্ত্রী।
যেহেতু বদলাচ্ছে অপরাধের সংজ্ঞা এবং সীমানা, আগামী দিনে এ ধরনের অপরাধ রুখতে রাজ্যগুলিকে এনআইএ-র সঙ্গে বোঝাপড়া করে এগোনোর পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ এ দিন জানান, রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা বিধিবদ্ধ করতে প্রয়োজনে আইনও আনতে পারেন তাঁরা। সে সঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে বেশ কিছু সংস্কারের পথেও হাঁটছে কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, '২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সব রাজ্যে এনআইএ-র দফতর খোলা হবে।' এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে রাজ্যে ঘটে যাওয়া অপরাধের তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার শুরু হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধী দলগুলো। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ বলে সরব তৃণমূল, সিপিএম।
এবার কানাডা।ফের সামনে এল প্রকাশ্যে ছুরি নিয়ে দুই যুবকের হামলার ঘটনা। অতর্কিত এই হামলায় অন্ততপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুই যুবক ফেরার। তাদের সন্ধানে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় জোরদার চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।দুই যুবকের নাম ডেমিয়েন ও মাইলস স্যান্ডারসন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হামলা চালায় বহু সময় ধরে। তারপর কালো রঙের গাড়িতে করে ফেরার হয়। রবিবার কানাডার দুটি জায়গায় ছুরি নিয়ে আচমকাই হামলা চালায় ওই দুই যুবক।
এই ঘটনায় আনুমানিক ১০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে। পুলিশি সূত্রে খবর, রবিবার জেমস স্মিথ ক্রি নেশান ও সাচকাচুয়ানের ওয়েল্ডনের কাছে ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রোনডা ব্ল্যাকমোর জানিয়েছেন, হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেছেন,'ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল আমাদের দেশে'।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় গাঁজা এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে।এবার গাঁজা উদ্ধার হল জলপাইগুড়ি থেকে।
শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস আধিকারিকরা একটি অপরেশন চালান।তাতেই ভিনদেশি একটি লরি থেকে গাঁজা উদ্ধার হয়।জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন জাতীয় সড়কের ৩১ নং ওয়ার্ডের হাইরোডে একটি মাল বোঝাই লরি পুলিসের স্পেশাল অফিসাররা আটক করেন। লরিটির ভিতরে একটি গুপ্ত খুপরির মধ্যে ২০০ কেজি গাঁজা লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল।যার আনুমানিক বাজারদর প্রায় দুই কোটি টাকা।
তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিস।তারা হল হৃষি কুমার(২৫),সুমন মণ্ডল(১৯),অরণ্যজেব আলম(১৯)।ওই তিনজনই বিহারের বাসিন্দা।
পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ধৃতরা গাঁজা পাচারের চেষ্টা করছিল। ত্রিপুরা থেকে বিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা। আরও জানা গেছে,ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মামলাতেই তাদের রবিবার জলপাইগুড়ি বিশেষ আদালতে তোলা হবে।
দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের (Safest City) তকমা পেল কলকাতা (Kolkata)। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা এনসিআরবি (NCRB) রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে এই দাবি করেছে। তিলোত্তমার পরেই অপরাধের নিরিখে নিরাপদ শহর পুনে, হায়দরাবাদ, কানপুর, বেঙ্গালুরু, মুম্বই। জানা গিয়েছে, পরপর দু'বছর অর্থাৎ ২০২০ এবং ২০২১ সালের নিরিখে দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতাই। এর আগে ২০১৮ সালে সেরার তকমা পেয়েছিল সিটি অফ জয়। যদিও এনসিআরবি দাবি করেছে তাদের কাছে কলকাতার ২০১৯-র কোনও তথ্য নেই। তবে গত ৪ বছরের হিসেবে মোট তিনবার দেশের নিরাপদ শহর হিসেবে শীর্ষে গঙ্গার পূর্বপাড়ের এই শহর।
এনসিআরবি সূত্রে খবর, দেশের যে শহরগুলোর জনসংখ্যা ২০ লক্ষের বেশি, তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এনসিআরবি এই তালিকা বানায়। কলকাতায় প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় নথিভুক্ত অপরাধ ১০৩ আর পুনেরর ২৫৬। ২০২০-তে প্রতি লক্ষে কলকাতায় নথিভুক্ত অপরাধ ছিল ১২৯। এনসিআরবির দাবি, গত ৬ বছরে কলকাতার বুকে অপরাধ ক্রমেই কমছে। এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব কলকাতা পুলিসের কঠোর পরিশ্রম এবং জনগণের সহযোগিতার।
জানা গিয়েছে, নারী নির্যাতনঘটিত অপরাধও কমেছে কলকাতায়। বিশেষ করে ধর্ষণ ১১টি এবং খুন ৪৫টি গত এক বছরে নথিভুক্ত হয়েছে। পথ দুর্ঘটনা এবং ধর্ষণের নিরিখে একদম উপরের সারিতে রয়েছে দিল্লি।