গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় ওমর শেখকে (Omar Shiekh) তলব ইডির (ED)। ইডির চার্জশিটে আগেই নাম ছিল এই ওমর শেখের। বোলপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধান ওমর শেখ অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। গরু পাচার মামলায় পূর্বেই অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও হিসাব রক্ষক মনীশ কোঠারীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে তাঁরা তিহার জেলে বন্দী।
এবার গরু পাচার মামলায় আরও এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে তলবা করলো ইডি। একদিকে যখন অনুব্রতর গড় বীরভূমের অনুব্রত নেই, সে সময় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙ্গন ইত্যাদি দলের চিন্তার কারণ বটে। সেই ভাঙ্গন, গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে দলের তরফে মলয় ঘটক, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক ও ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁরা নিজেরাও অবশ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে আছেন। বেশ কিছুদিন আগে গরু পাচার মামলাতেই বারবার দিল্লি থেকে ডাক আসছিল সিউড়ির আইসি মোহাম্মদ আলির, তাঁর সম্পত্তি, ও বিভিন্ন নথি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে চেয়ে তাঁকে বারবার তলব করা হয়। এবার গরু পাচারের বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধানকে তলব করা হয়েছে।
কয়লা পাচার (Cow Smuggling) মামলায় এবার বিপাকে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে আগেই বিএসএফ (BSF) কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই (CBI)। তখনই নাম উঠে এসেছিল আরও কিছু বিএসএফ আধিকারিকের নাম উঠে এসেছিল। এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও দুই কর্তা।
সিবিআই সূত্রের খবর, এই প্রথম সিআইএসএফের কোনো ইনস্পেক্টরকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতার করা হয়েছে ইসিএলের এক প্রাক্তন আধিকারিককেও। সিবিআই জানিয়েছে, প্রাক্তন ইসিএল কর্তার নাম সুনীল কুমার ঝা। পাশাপাশি আরও খবর, গ্রেফতার হওয়া সিআইএসএফ কর্তার নাম আনন্দ সিং।
সিবিআই সূত্রে খবর, এই দুই অভিযুক্ত ইসিলের প্রাক্তন কর্তা ও একজন সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর দুজনেই টাকার বিনিময়ে পাচারকারীদের সাহায্য করেছিলেন।
গরু (Cow) ও মহিষ পাচার (Trafficking) ইদানিং বেড়েই চলেছে। কয়েক দিন ধরে বাগডোগরা থানার পুলিস, খড়িবাড়ি থানার পুলিস ও বিধান নগর থানার পুলিস লাগাতার অভিযান চালিয়ে পাচারের আগেই বেশ কিছু জায়গা থেকে গরু ও মহিষ উদ্ধার (Rescue) করেছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার ফের গরু পাচার রুখলো এস এস বি। নকশালবাড়ির ভারত নেপাল সীমান্তের মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লালজি জোতে পাচার রুখল এসএসবির জওয়ানরা। এসএসবি দেখেই গরু ছেড়ে নেপালে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। ঘটনায় ৭টি গরু উদ্ধার করেছে এসএসবি। এরপরে উদ্ধার করা গরু নকশালবাড়ি পুলিসের হাতে তুলে দেয় এসএসবি। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিস। উদ্ধার গরু নকশালবাড়ি খোয়াড়ে পাঠানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে খড়িবাড়ি, বাগডোগরা ও বিধাননগরে মোট ১৪৫টি মহিষ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। তবে কি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নিয়মিতভাবে গরু ও মহিষ পাচার করা হচ্ছে। তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছে পুলিস প্রশাসন।
গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলে যাওয়ার শখে জল ঢেলেছে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট। ইতিমধ্যে ওই কোর্টেই গরু পাচার (Cow Smuggling) কাণ্ডের চার্জশিট (Charge Sheet) দিয়েছে ইডি (ED)। বাবা ও মেয়েকে পূর্বেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। এবার গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযু্ক্ত হিসাবে তিন জনেরই নাম রয়েছে চার্জশিটে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিরও।
ইডির চার্জশিটে রয়েছে ভোলেব্যোম রাইস মিল, শিবশম্ভু রাইস মিল, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড সার্ভিস লিমিটেডের কথাও। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন অনুব্রত। সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুকন্যা। ভোলেব্যোম রাইস মিলের অংশীদারও ছিলেন তিনি।
অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশ— তিন জনই এখন গরু পাচারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। গত ২৬ এপ্রিল ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেছিলেন। তার পরেই ওই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় সাড়ে আট মাস আগে, গত বছরের ১১ অগস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। তাঁকে তখন গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তিনি ইডির হাতে গ্রেফতার হন।
গত বছরের অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই সময় বিপুল সম্পত্তি নিয়ে কেষ্ট-কন্যাকে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তদন্তকারীদের তিনি সদুত্তর দেননি। জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশই দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, ওই কারণেই অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভেবেছে ইডি।
গরুপাচারকাণ্ডে (Cow smuggling Case) ফের তলব চালকল ব্যবসায়ীকে। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই চালকল ব্যবসায়ী রবিন টিব্রেওয়ালকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা। ব্যবসায়ীর সঙ্গে এনামুল হকের সংস্থার আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন ফের তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রবিন টিব্রেওয়ালকে তলব করল সিবিআই। এর আগেরবার তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করে সন্তুষ্ট হননি গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন এনামুল হকের সংস্থা হক ইন্ডাস্ট্রির থেকে প্রচুর টাকা এই চালকল ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সেই টাকা আবার বেরিয়েও গিয়েছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হক ইন্ডাস্ট্রির মাধ্য়মে বাংলাদেশেও চাল পাঠিয়েছিলেন রবিন টিব্রেওয়াল। কীভাবে রবিনের সঙ্গে এনামুল হকের পরিচয়? এত টাকা কীভাবে চালকল ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে এল? এই সংক্রান্ত সবটাই জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই।
সিবিআই-এর ধারণা, হক ইন্ডাস্ট্রির থেকে চালকল ব্যবসায়ীর কাছে যে টাকা গিয়েছে তা গরু পাচারের টাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। এনামুল হক নিজের কালো টাকা সাদা করতেই এই চালকল মালিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর, আর কিছু সময় পরই রবিন টিব্রেওয়াল হাজিরা দেবেন নিজাম প্যালেসে। এদিন, তাঁকে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বলে খবর।
ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় বেশ কয়েকবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত কন্যাকে। কিন্তু বিভিন্ন অছিলায় বারবার হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। এবার বুধবার ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গত বছর ১১ই আগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বাবার গ্রেফতারির ৮ মাসের মাথায় গ্রেফতার অনুব্রতর মেয়ে। ইতিমধ্যে তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত।
আসানসোল জেলে ফিরে আসার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের অনুব্রতর আবেদন নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বুধবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। তাঁকে দফায় দফায় জেরার পরেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
বনে-জঙ্গলে বাঘেরা (Tiger) শিকার করার জন্য অন্যান্য প্রাণীর উপরে হামলা করে। এতে এমন কিছু নতুন নেই। কিন্তু এবারে বাঘ দেখা গেল এক মাঠে, আর সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক গরু। আর সেখানেই গরুর পিছনে তাড়া করল বাঘ। কিন্তু এরপর যা ঘটল, তা দেখে অবাক হবেন আপনিও।
দেখা গিয়েছে, অনেকক্ষণ ধরেই একটি বাঘ মাঠে থাকা গরুগুলোর উপর হামলা করার চেষ্টা করছে। গরুগুলোর উপর আক্রমণ করার সুযোগ না পেলে একটি বাছুরকেই ধরে ফেলে বাঘটি। কিন্তু এরপরেই ঘটে গেল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাছুরটিকে ধরতেই একটি গরু শিং উঁচিয়ে এসে এমন তাড়া দেয় বাঘকে, সে বাধ্য হয়ে লেজ তুলে পালাতে শুরু করে। গরুর তাড়া খেয়েই কালঘাম ছুটে যায় বাঘ বাবাজির। বাছুরটিকে তো ছেড়ে দিয়েছেই, আবার নিজে বাঁচতে এক দৌড় লাগায় বাঘটি। এমনকি এক দৌড়ে সেই মাঠ ছেড়েই পালিয়ে যায় সে।
এই ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্য়মে দিতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। এতে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষের বেশি ভিউ এসেছে। ভিডিও-র নীচে কমেন্টে ভরে গিয়েছে। নেটিজেনরাও অবাক, তাঁদের প্রশ্ন, 'এও সম্ভব!'
২০২২ সালের রাশিয়া ও ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ এখনও চলছে। তারপর থেকে একাধিক বার গোলাবর্ষণে কেঁপেছে রাশিয়ার (Russia) সীমান্তবর্তী শহর বেলগোরোদ। যতবার গোলাবর্ষণ হয়েছে, ততবার আঙুল উঠেছে ইউক্রেনের দিকে। তবে এবার বেলগোরোদ কাঁপল রুশ বোমার আঘাতে।
পূর্বের ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এই বেলগোরোদ। জানা গিয়েছে, এর আগে বেশ কয়েকবার বোমাবর্ষণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বৃহস্পতিবার যে বোমাবর্ষণ হয়েছে, তা আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এই নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হতেই রুশ সেনা জানিয়ে দেয়, তাদের এসইউ-৩৪ যুদ্ধবিমানটি বেলগোরোদ শহরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বোমা তখন কোনোভাবে ভুলবশত পড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।
এই বোমা বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে শহরের গভর্নর ভিয়াচ্যালেসলভ গ্যাডকভ জানান, 'যে এলাকায় বোমাটি পড়েছে, তার আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনও বাড়িরও বিশেষ ক্ষতি হয়নি।'
রেললাইনে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার খেসারত। ট্রেনে ধাক্কা খাওয়া গরু ঘাড়ে এসে পড়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু এক বৃদ্ধের। মর্মান্তিক এই ঘটনা রাজস্থানের আলওয়ারে। জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে ধাক্কা লাগে একটি গরুর। সেই গরুর দেহাংশ প্রস্রাবরত ওই বৃদ্ধের ঘাড়ে এসে পড়াতেই এই বিপত্তি। মৃত বৃদ্ধের নাম শিবদয়াল শর্মা। তিনি ভারতীয় রেলেরই প্রাক্তন কর্মী। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কালীমোরি গেট ছেড়ে বেরিয়ে আসছিল বন্দে ভারত ট্রেনটি। সেই সময় হঠাৎই একটি গরু রেললাইনে চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় গরুর শরীরের একটি অংশ ৩০ মিটার দূরে থাকা শিবদয়ালের ঘাড়ে ওপর এসে পড়ে। গরুটি ঘাড়ে এসে পড়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গরুর সঙ্গে বন্দে ভারতের সংঘর্ষ এই প্রথম নয়। এর আগে এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রুটে গবাদি পশুকে ধাক্কা মারার নজির রয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই শিবদয়ালের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গরু পাচারের পর এবার মহিষ পাচারে (Buffalo Trafficking) সক্রিয়তা বেড়েছে। পাচারের আগে একটি ১৪ চাকা ও একটি ৬ চাকা গাড়ি থেকে ৩৫টি মহিষ আটকালো বিধাননগর থানার পুলিস (Bidhannagar police station)। বিধাননগর থানার পুলিস রাতে টহলদারি দেওয়ার সময় মঙ্গলবার ভোরে একটি ১৪ চাকার ট্রাক এবং বুধবার সকালে একটি ছয় চাকা গাড়ি আটক করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের সদরগছ এলাকায় অভিযান চালায় বিধাননগর থানার পুলিস।
এরপর সেখানে একটি ১৪ চাকার ট্রাক আটক করে। অপরদিকে, মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টের সামনে নাকা চেকিং করার সময় একটি ৬ চাকা ট্রাক আটক করে। পুলিস চালকের কাছে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি গাড়ি চালক। অবশেষে নাকা চেকিং-এর ওখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মুরালিগঞ্জে ৬ চাকা গাড়িটিকে আটক করে এবং গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। অবশেষে দুটি গাড়ির ভিতর থেকে ৩৫টি মহিষ উদ্ধার করে বিধাননগর থানা পুলিস। দুটি গাড়ির চালককেই গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষগুলি উত্তর দিনাজপুরের দিক থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতদের নাম এমডি মুজামিল (২২) ও মহম্মদ আজমল (৩২)। দু'জনই বিহারের বাসিন্দা। দু'জনকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তবে এই মহিষ পাচারের সঙ্গে স্থানীয় কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর থানার পুলিস। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে গরু পাচারের পর এবার মহিষ পাচারে ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠছে। তবে এই মহিষগুলি উত্তর দিনাজপুরের পান্জিপারা থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাচার করা হতো।
রবিবার সকাল থেকে সিবিআই (CBI) তল্লাশি (Raid) রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায়। গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় রাজ্যের তিন জেলায় তল্লাশি চালালো সিবিআই। সূত্রের খবর, রবিবার গরু পাচারকাণ্ডের মূল পান্ডা, এনামুল হকের সহযোগী ৫ জন কাস্টমস অফিসারের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সিবিআইয়ের বেশ কিছু আধিকারিকরা সকাল থেকেই নেমে পড়েন তল্লাশি অভিযানে।
সিবিআই সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, কলকাতায়, কিছু নির্দিষ্ট কাস্টমস অফিসারদের বাড়িতে চলে তল্লাশি। সূত্রের খবর, মোট ৬ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে, এনামুল ঘনিষ্ঠ কাস্টমস অফিসারদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের অনুমতি নিয়ে, রবিবার রাজ্যের তিন জেলার, ৬ জায়গায় কাস্টমস অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্র গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার(Cow Sumggling)! পুলিস ধাওয়া করতেই লাইট পোস্টে ধাক্কা গাড়ির। ঘটনায় আহত গাড়ির চালক। গাড়ির চালককে উদ্ধার করে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার(South 24 Parganas)সোনারপুর মোড় এলাকায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোনারপুর থানার(Sonarpur Police) পুলিস। গাড়িতে থাকা আর দুই ব্যক্তি পালতক। গাড়ির ভিতর থেকে তিনটি গরুকে উদ্ধার করে পুলিস। তিনটি গরুর মধ্যে একটির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি ইনোভা গাড়ি সোনারপুর মোড় থেকে রাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। সোনারপুর থানার পিসি পার্টির সন্দেহ হওয়ায় ওই গাড়িকে ধাওয়া করে। পুলিসের গাড়ি ধাওয়া করছে দেখে সোনারপুরের বারেন্দ্রপাড়া শনি মন্দিরের কাছে একটি ইলেকট্রিক পোস্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইনোভা গাড়ির পিছনের সিট খুলে গরু পাচারের কাজ চলছে। গাড়িটিতে মোট তিনটি গরু ছিল। দুর্ঘটনায় একটি গরু ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে, পুলিস সুত্রে খবর। বাকি দুটি গরুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিসের অনুমান, পুলিসের সন্দেহ এড়াতেই ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার করা হচ্ছিল।
ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি (ED)। সেই জিজ্ঞসাবাদ পর্বের মধ্যেই সন্ধ্যার দিকে গ্রেফতার করা হয় মণীশকে (Manish Kothari)। এদিন জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। মণীশ কোঠারিকে বসানো হয় অনুব্রতর মুখোমুখি। কিন্তু তাও সঠিক তথ্য তাঁর থেকে না পাওয়ায় গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যে গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বুধবার দিল্লির ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। তাঁকেও বীরভূম তৃণমূল সভাপতির সামনে বসাতে পারে ইডি। গত সপ্তাহেই আইনি জট কাটিয়ে আসানসোল থেকে দিল্লিতে আনা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। প্রথম দফায় ৩ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ১১ দিন ইডি হেফাজতে অনুব্রত। এই হেফাজতে থাকা অবস্থায় গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রতর ভূমিকা যাচাই করে নিতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই মামলায় এযাবৎকাল একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। এঁদের প্রশ্ন করে বিশেষ করে মূল পাণ্ডা এনামূল হকের মুখে উঠে আসে অনুব্রতর নাম।
যে মামলায় তিনি গ্রেফতার, সেই গরু পাচার মামলার (Cow Smuggling Case) মূল পাণ্ডা এনামুল হককে চেনেন না অনুব্রত মণ্ডল। ইডি জেরায় এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি (Anubrata Mondal)। যদিও ইডি সূত্রে খবর, এনামুল (Enamul Haque) জেরায় অনুব্রত মণ্ডলের নাম বলেছে। কিন্তু অনুব্রত সেই এনামুলকে চেনেন না বলে দাবি করেন ইডি (ED Investigastion) কর্তাদের সামনে।
এনামুল অনুব্রতকে প্রোটেকশন মানি ও পাচারের কমিশন দিয়েছেন বলে ইডিকে জানিয়েছিল। সেই বিষয়ে রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলেই এনামুলকে চেনেন না বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি তিনি কারও থেকে টাকা নেয়নি বলেও দাবি করেন অনুব্রত। তাহলে সায়গল ৫ কোটি টাকা প্রোটেকশন মানি দিতেন, সেটা কীসের টাকা? কেন সায়গল সেই টাকা দিতেন? সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি অনুব্রত।
এদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির নজরে এবার সমবায় ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। কালো টাকা সাদা করতে সমবায় ব্যাংকে যে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে ইডি। খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের যোগাযোগে সমবায় ব্যাংকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কালো টাকা সাদা করেছেন অনুব্রত। এই অভিযোগ তুলে সেই বিষয়ে ইডি আধিকারিকরা অনুব্রতকে জেরা করতে চলেছে।
আগামি সপ্তাহেই দিল্লিতে তলব করা হতে পারে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal) এবং মণীশ কোঠারিকে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এই দু'জনের কাছে ফোন গিয়েছে। আগামি সপ্তাহেই তাঁদের হাজির হতে হবে দিল্লির ইডি দফতরে। এই মর্মে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও হাজিরার তারিখ ও সময় একদিন আগে জানিয়ে দেবে ইডি বলে জানা গিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ইডির (ED) নির্দেশ, 'আগে যেসব নথি জমা দিয়েছেন, সেই নথি নিয়ে হাজির হতে হবে দিল্লি।'
জানা গিয়েছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে তৃণমূল নেতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে তালিকা তৈরি করেছে ইডি। সেই তালিকায় রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল-সহ মণীশ কোঠারি, তৃণমূল নেতা রাজীব ভট্টাচার্য, ব্যাবসায়ী মলয় পিট, সুকন্যার গাড়ির চালক তুফান মিদ্দা রয়েছেন। এছাড়াও তালিকাভুক্ত অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কৃপাময় ঘোষ এবং তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।
সম্ভবত আগামী সপ্তাহের শুরুতে এদের তলব করা হবে। প্রত্যেকের সঙ্গে অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে ইডি। এমনটাই কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ইডি। যেখানে অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচারকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। শনিবার জেরায় সেই সূত্র ধরে অনুব্রতকে জেরা করছে ইডি বলে খবর।