সারা দেশজুড়ে ফের করোনার (Coronavirus) চোখরাঙানি। ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে কোভিড। এবারে একদিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে ১০ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৮ জন। বুধবার করোনায় (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭ হাজার ৮৩০ জন। আর একদিনের মধ্যেই একধাক্কায় ১০ হাজারের গন্ডিও ছাপিয়ে গিয়েছে।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গত আট মাসে দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হল ৪৪ হাজার ৯৯৮। দৈনিক সংক্রমণের পজিটিভিটি রেট বেড়ে হল ৪.৪২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞারা জানিয়েছেন, আগামী ১০-১২ দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। তাই এই ১০-১২ দিন দেশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশে ফের মহামারী ফিরে আসতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তবে তাঁদের পরামর্শ, যাতে দেশে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ ভয়াল রূপ নিতে না পারে, তার জন্য এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে।
ক্রমশ দেশে বাড়ছে কোভিড (Covid) সংক্রণ এবং তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলেছে করোনা রোগীর(Corona Patient) সংখ্যাও। তার ফলে মৃত্যুর হারও কিন্তু বাড়ছে। মঙ্গলবার, দেশের মোট আটটি রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে প্রায় আট হাজার ভারতীয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ২১৫ জন। মঙ্গলবার দেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫৬৭৬ জন। তারপরেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। করোনা রোগীদের মধ্যে অনেকেরই নমুনা পরীক্ষা করে ওমিক্রন উপরূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ১২-ই এপ্রিল বুধবারের হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত রাজ্য কেরল। মঙ্গলবার কেরলের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৮১ জন। পরের স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একদিনে ৯১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের একদিনে আক্রান্তর সংখ্যা ৫৯ জন। এছাড়া দিল্লি, পঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশে ২ জন করে এবং গুজরাত, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের ১ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর।
কোভিডের (Covid 19) গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। রবিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৫৭ জন। আর সোমবারেই একধাক্কায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৮৮০। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৬ হাজারের গন্ডি পেরোতে চলেছে। এর ফলে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ হাজার ১৯৯। করোনার এই বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। ফলে ১০ ও ১১ এপ্রিল পুরো দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মক ড্রিল (Mock Drill)। দেশের হাসপাতালগুলি করোনার মোকাবিলার জন্য কতটা প্রস্তুত, তাই দেখা হবে মক ড্রিলে। আবার হঠাৎ কেন নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, তার কারণ জানাল আইএমএ (Indian Medical Association)।
আইএমএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল কোভিড বিধি না মেনে চলা। এছাড়াও করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন প্রজাতি এক্সবিবি.১.১৬-এর কারণেই করোনা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আইএমএ-এর মতে, এই প্রজাতি আগের সব প্রজাতি থেকে বেশি সংক্রামক।
করোনার বাড়বাড়ন্তকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তার একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে আইএমএ। প্রথমত, জ্বর, সর্দি, কাশি বা করোনার কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। বারবার হাত ধোঁয়ার কথা বলা হয়েছে। কাশি হলে হাত ভাঁজ করে বা হাঁচির সময় মুখে টিস্যু চেপে ধরতে হবে। এরপর সেই টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। বুস্টার ডোজ নিতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কোনও কোনও রাজ্যে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দেশে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা (Covid)। দিন দিন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার নয়া নির্দেশিকা উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের। রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ১৯২। তাই সংক্রমণের বৃদ্ধি কম করতে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমনকি উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬,১৫৫ জন। সংক্রমণের হার ৫.৬৩ শতাংশ।
শুক্রবারই দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। তিনি রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোভিড হটস্পটগুলিকে দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া কোভিড পরীক্ষা, টিকাকরণের উপর আরও জোর দিতে হবে, বলেছেন তিনি। তাই আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল সমস্ত হাসপাতালে মক ড্রিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এমনকি আগামী ৮ এবং ৯ এপ্রিল জনস্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আলোচনা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের।
দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus), ক্রমেই বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ (Daily Infection)। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র। সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই বৈঠকে করোনা পরীক্ষায় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তেমনই হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোর দিতে বলা হয়েছে জিনোম বিন্যাসে। আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল সমস্ত হাসপাতালে মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত কয়েক দিন ধরেই দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার এই সংখ্যা ৬ হাজার পার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৫০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। দেশের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি। এই আবহে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে ছিলেন বাংলার স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। ওই বৈঠক থেকেই সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে একাধিক পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মনসুখ মান্ডব্য।
ফের কোভিড (Covid) সংক্রমণ। কোভিড আক্রান্তর সংখ্য়া বাড়তেই চিন্তিত সরকার। সেই কারণে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, সব রাজ্য় এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে (Meeting) বসছেন। বেশ কিছুদিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমে বেড়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার সর্বাধিক কোভিড আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৫,৩৩৫। শুক্রবার তা বেড়ে হয়েছে ৬,০৫০। বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হচ্ছে না।
এই কারণে কোভিড সংক্রমণের থেকে রেহাই পেতে আবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে সওয়াল করেন দিল্লির কোভিড বিশেষজ্ঞ সুনীলা গর্গ। দেশে কোভিড সংক্রমণ বাড়তেই তৎপর হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ২২শে মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। সরকারি সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে মাস্ক ব্য়বহার-সহ বিভিন্ন করোনাবিধি চালু করা এবং পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা হল ৫,৩০,৯৪৩। দু’জন করে মারা গিয়েছেন কর্নাটক এবং রাজস্থানে। এক জন করে মারা গিয়েছেন দিল্লি, হরিয়ানা, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে।
দিল্লির করোনা (Delhi Corona) সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, উত্তরের এই রাজ্যের নতুন কোভিড আক্রান্তদের (Corona infection) ৯৮ শতাংশ করোনার XBB.1.16 উপরূপে আক্রান্ত। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার পর এমনটাই জানা গিয়েছে বলে দাবি আইএলবিএস-এর অধিকর্তা এসকে সারিনের। তিনি জানান, এই উপরূপের খুব দ্রুত এক শরীর থেকে অপর শরীরে ছড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। যদিও করোনার এই উপরূপ খুব একটা প্রাণঘাতী নয়, এমনটাও জানান তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ৫০৯ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত। আর এই সারিনের মতো মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ এই দাবি করেন। এনডিটিভিকে চিকিৎসক সারিন বলেন, 'সংক্রমিতর সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু মৃত্যু সেভাবে হয়নি। XBB.1.16 উপরূপে আক্রান্তদের মধ্যে সর্দি-কাশির মতো সাধারণ লক্ষণ লক্ষ্য করা গিয়েছে।'
তবে করোনা নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করায়, বিশেষ কিছু মানুষকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মূলত কোমর্বিডিটি এবং স্থূল ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সাবধানতা বজায় রাখা উচিৎ।
ঝিমিয়ে থাকার পর দেশে ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ (Corona Infection)। দৈনিক আক্রান্ত বিচার করে এই অশনি সংকেত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই পরিবেশে সংক্রমণ রোধে আইনজীবীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) অনুমতি দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি চলবে, এমনটা জানান তিনি।
দেশে একদিনে করোনা সংক্রমণের হিসাব, ৪ হাজার ৪৩৫ জন। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৪৬ শতাংশ বেশি। গত কয়েক দিন দেশে করোনা রোগীর সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এই আবহে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসাবে চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন প্রধান বিচারপতি।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রকাশ্য বা জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরতে ইতিমধ্যে বেসরকারি তরফে ঘোষণা হয়েছে। শুধু করোনা না, বিশেষ ইনফ্লুয়েঞ্জার হাত থেকে বাঁচতে কিছু বিধি মেনে চলা এই মুহূর্তে আবশ্যিক। এমনটাই বারবার প্রচার করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা (CoronaVirus)। এবারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৩৫ জন। এই মুহূর্তে গোটা দেশে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ৯১ জন।
মঙ্গলবারই একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারের একটু বেশি ছিল। আর পরের দিনই একধাক্কায় বাড়ল করোনা রোগীর সংখ্যা। নতুন করে করোনার চোখরাঙানিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। করোনা উদ্বেগের মধ্যেই 'হু' জানিয়ে দিল, ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মার্চের ভারতের করোনা-তথ্য যাচাই করে তারা দেখেছে, ভারতে এই মুহূর্তে করোনায় 'হাইয়েস্ট প্রোপোরশনাল ইনক্রিজ' চলছে।
অন্যদিকে গুঞ্জন রটেছে, ফের দেশে মাস্ক বাধ্য়তামূলক হতে চলেছে কিনা। তবে অসামরিক বিমান মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভিকে সিং জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকার মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কথা না ভাবলেও বিমানযাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্যর বার্তা, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম। তবে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। অন্যদিকে সুস্থতার হারও বেড়েছে। তাই করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্য়েও কিছুটা স্বস্তি সাধারণ মানুষের।
ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে আবার অশনি সংকেত বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank)। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিকবৃদ্ধির (Economic Growth) হার ৬.৩ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে সাম্প্রতিক রিপোর্টে উল্লেখ। যা কমার ইঙ্গিত, দাবি অর্থনীতিবিদদের। এর আগে প্রকাশিত রিপোর্টে যা ৬.৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস ছিল। এদিকে, অতিমারির (Corona Virus) ‘ক্ষত’ এখনও পুরোপুরি সারেনি। উনোর মধ্যে ধুনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চিন-তাইওয়ান সংঘাত। যার প্রভাব পড়েছে মূল্যবৃদ্ধিতে।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিতে ইতিবাচক সম্ভাবনা রয়েছে বলে চলতি বছরের গোড়ায় জানিয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। কিন্তু বৃদ্ধির সম্ভাবনা ছাঁটাই করে কার্যত সেই আশায় জল ঢেলে দেওয়া হল। এমনটাই দাবি আর্থিক বিশেষজ্ঞদের।
আগামী জুন মাসে গ্লোবাল ইকনমিক প্রসপেক্টস সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেখানে চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও কমানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঊর্ধ্বমুখী করোনার (Covid19) গ্রাফ। বাড়ছে উদ্বেগ। করোনা ফের ভয়াল রূপ নিতে চলেছে কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে কোভিড উদ্বেগের মাঝেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya) জানিয়েছেন, করোনা নতুন করে দাপট দেখাতে শুরু করলেও ভয় পাওয়ার কারণ নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্যই ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীরও বক্তব্য, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট তেমন শক্তিশালী নয়, ফলে হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কম।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরে রিপোর্ট অনুসারে, সোমবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৪১ জন। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ২১৯-এ। আবার মহারাষ্ট্রে ৩ জন, দিল্লি, রাজস্থান, কর্নাটকে ১ জন ও কেরলে ৪ জন মারা গিয়েছে কোভিডে।
তবে কোভিডের টিকা নেওয়ার পরেও কেন মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে চিকিৎসক জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যাকসিন নিলে যে করোনায় আক্রান্ত হবেন না, এমনটা বলা হয়নি। বলা হয়েছে যে, টিকা নিলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমবে। তবে সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন গাইডলাইন মেনে চলতে হবে ও পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে।
২০২২ সালে শেষ করোনার ভয়াবহ রূপ দেখা গিয়েছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের নতুন রূপে হাজির হচ্ছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। এবারে এক সপ্তাহের মধ্যেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। যার ফলে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।
জানা গিয়েছে, ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের ফলেই ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে কোভিড। আর এই ভ্যারিয়েন্টের দাপটেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, অসুস্থ হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। শনিবারই নতুন করে করোনায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জন, যা গত ছয় মাসে দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ। ভারতে ২৬ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা ১ সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে কেরল, গোয়া, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানায়। তবে স্বস্তির খবর যে, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে, অন্যদিকে মৃত্যু সংখ্যাও কম। গত সপ্তাহে অর্থাৎ ২৯ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। যদিও বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার তত কারণ নেই। তাঁদের মতে, বর্তমানে ওমিক্রনের যে প্রজাতিটির জন্য সংক্রমণ ঘটছে সেটি তেমন শক্তিশালী নয়। তবে তাঁরা কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন।
দেশে করোনা (Corona) সংক্রমণের হার ফের ঊর্ধ্বমুখী। দিনের পর দিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজারের গন্ডি পেরিয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ছাড়া অযথা অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic) খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরের বেশি ক্ষতি করতে পারে।
মানুষের মধ্যে প্রথম থেকেই প্রবণতা থাকে জ্বর, সর্দি-কাশি হলেই প্রথম থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া। তবে এমনটা করা উচিত নয় বলে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। যদি কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন না হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কোভিডের পাশাপাশি অন্য রোগও রোগীর শরীরে বাসা বাঁধছে। সেক্ষেত্রে স্টেরয়েডের ব্যবহার কম করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে।
যদিও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে চলেছে, তবে স্বস্তির খবর, আগের বারের থেকে এবারে হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। অর্থাৎ এবারে কোভিডের তেমন দাপট দেখা যাচ্ছে না। শেষ রিপোর্টের তথ্য অনুসারে, শনিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৪ জন। আবার করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৯। কেরল, কর্নাটক, দিল্লি ও পঞ্জাবে ২ জন ও গুজরাতে ১ জন মারা গিয়েছেন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৫৪ জন। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
করোনার (Covid19) গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে করোনা ভাইরাস। শুক্রবারই রিপোর্টের ভিত্তিতে তথ্য এসেছিল যে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩হাজার ৯৫ জন। চলতি বছরে এটিই দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ। আর পরের দিন শনিবার জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৪ জন। এর ফলে সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩৫৪-এ। দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। তবে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত বৃদ্ধির কী কারণ, এই নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতে বর্তমান সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ওমিক্রনের XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট। হু-র তরফে বলা হয়েছে, ২২টি দেশ থেকে ওমিক্রনের XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্টের প্রায় ৮০০ জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভারতের। সেখানে দেখা গিয়েছে, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট অন্যগুলির থেকে এগিয়ে রয়েছে। হু-র তরফে বলা হয়েছে, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে XBB.1.5 ভ্যারিয়েন্ট-এর অনেকাংশে মিল রয়েছে। ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্ট আগেরটির থেকেও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে হু।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়লেও তেমন ভয়ের কোনও কারণ নেই। ফের সতর্ক হলেই বা করোনার একাধিক নির্দেশিকা মেনে চললেই আক্রান্ত হওয়ার থেকে দূরে থাকতে পারবেন। ফের মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া, জনবহুল জায়গা এড়িয়ে চলা, এসব মেনে চললেই করোনার সংক্রমণ কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
ফের দেশে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়চ্ছে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। বৃহস্পতিবার নতুন করে দেশে ভাইরাসে (Covid-19) সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬ জন। গত ৬ মাসের নিরিখে যা সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, দেশের মধ্যে দিল্লিতে সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।
জানা গিয়েছে, বুধবার দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০০। ভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৫০৯। অর্থাৎ সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার ১.৭১ শতাংশ। বুধবার দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৫১। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের গণ্ডি পার করল। তবে দিল্লির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯৪ জন।
এই পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। বৈঠক তিনি বলেছিলেন, যাঁদের করোনার উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এই নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।