করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে নির্বীজকরণ বা এনএসভি করানোর অভিযোগ স্থানীয় দু'জন আশা কর্মী ও ফুলিয়া প্রাথমিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার চাঁদরা রায়পাড়া এলাকায়। ইতিমধ্যে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার ২৭ নভেম্বর মাধব রায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনএসভি করানো হয়। পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেই তাঁকে বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সারাদিন পেরিয়ে গেলেও ঠিক সন্ধের আগে পরিবারের লোকজন খবর পান রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছেন মাধব রায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পরিবারের লোকেরা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। এরপর কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরিবারের সদস্যদের কাছে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় মাধব রায়ের এনএসভি অপারেশন করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে এই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকারই দু'জন আশা কর্মী এবং ফুলিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, পরিবারের তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মাধব রায়ের রোগের কর্ম ক্ষমতা হারানোর। চিন্তায় ভেঙে পড়ছেন মাধব রায়ের স্ত্রী মেনকা রায়। পরিবারের তরফ থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
ফের নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করনোর (CoronaVirus) নতুন রূপ। নয়া রূপে ফিরে আসছে কোভিড (Covid19)। সম্প্রতি বিএ.২.৮৬ (BA.2.86) নামের এই ভাইরাসের অস্তিত্বের সন্ধান পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation)। নতুন এই প্রজাতির ভাইরাস 'ওমিক্রন'-এরই আরেক রূপ। জানা গিয়েছে, নতুন এই 'ভ্যারিয়েন্ট'-এর নাম দেওয়া হয়েছে 'পিরোলা' (Pirola)। সূত্রের খবর, ডেনমার্ক, ইজরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন সহ মোট ছটি দেশে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের হদিশ এবং উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে।
Yale Medicine Report-এর প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, বিশ্বের একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই করোনার 'পিরোলা' রূপের সন্ধান মিলেছে। করোনার ওমিক্রনের এক্সবিবি.১.৫ (XBB.1.5) রূপের সঙ্গেও যদি তুলনা করা হয়, সেই নিরিখেও পিরোলার স্পাইক প্রোটিন কমপক্ষে ৩০ বার চরিত্র বদল করেছে। জানা গিয়েছে, এর আগে করোনার এই রূপ আমেরিকায় দাপট দেখিয়েছে। তাই করোনার পিরোলা রূপকে ঘিরেও নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পিরোলা সম্পর্কে এখনও সম্পূর্ণ তথ্য জানা বাকি। এছাড়াও কতটা ক্ষতিকারক এই ভাইরাস, তা এখনও বোঝা যায়নি। ফলে করোনার এই রূপ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
রবিবার ছিল ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের (King Charles III) রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান। সারা দেশ থেকে একাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তবে বলিউড থেকে একমাত্র আমন্ত্রিত ছিলেন বলি অভিনেত্রী সোনম কাপুর (Sonam Kapoor)। শুধুমাত্র তাই নয়, ব্রিটেনের (Britain) রাজার করোনেশন কনসার্টে বক্তব্য রাখতেও দেখা যায় তাঁকে। আর বক্তব্য দিতে গিয়েই প্রথমেই সোনমের মুখে হিন্দিতে শোনা গেল 'নমস্তে'। বিদেশের মাটিতে মঞ্চে উঠে নায়িকা নিজের বক্তব্য শুরু করলেন 'নমস্তে' দিয়ে। মেয়ের সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন গর্বিত মা সুনিতা কাপুর। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেওয়ায় নেটিজেনরা যেমন প্রশংসা করেছেন সোনমের। অন্যদিকে এই বক্তব্যের জন্য ধেয়ে এসেছে কটাক্ষও।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রয়াত হন ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ। তাঁর পরে রাজা হিসাবে সিংহাসনে বসেন রাজা তৃতীয় চার্লস। ফলে সমস্ত কিছু সামলানোর দায়ভার এখন তাঁর উপর। গতবছর তাঁকে রাজা হিসাবে ঘোষণা করা হলেও ৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজার অভিষেক করা হয়। আর ৭ মে ছিল করোনেশন কনসার্ট। সেখানেই বক্তৃতা রাখেন সোনম কাপুর। তবে তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকে যেমন তাঁর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া ও এমন বক্তব্য রাখার জন্য তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। তেমনি অনেকে ভারতীয়দের কাছে এটি 'গর্বের মুহূর্ত' বলে উল্লেখ করেছেন।
রাজ্যে করোনায় (Corona) মৃত্যু (Death) মিছিল অব্যাহত। নতুন বছরের জনুয়ারি মাস থেকে মে মাস অবধি এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনায় যাঁদের মৃত্য়ু হয়েছে তাঁদের সকলের বয়স ৬০-এর ঊর্ধ্বে। এছাড়া করোনা আক্রান্তে (Affected) মৃতদের অনেকেরই বয়স কিন্তু ৭০ ছাড়িয়েছে।
শনিবার, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে সকাল আটটা পাঁচ নাগাদ মৃত্যু হয় ৭০ বছরের বৃদ্ধ কাজী লুৎফার রহমানের। হাওড়ার বাইনানের বাসিন্দা তিনি। গত ৫ মে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন ৭০ বছরের এই বৃদ্ধ। পাশাপাশি নদীয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা মৃগাঙ্ক চক্রবর্তী (৭৪) করোনা আক্রান্তে মৃত্যু হয়। গত ৪ মে গভীর রাতে ১.০৫ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। ২৮ শে এপ্রিল তাঁকে বেলেঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়ছিল। ফের ২ মে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাটুলির এক বাসিন্দার।
৭২ বছরের অরুন কান্তি দাসের মৃত্যু হয়েছে। ২৬শে এপ্রিল তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে।
ফের নতুন করে করোনা (CoronaVirus) মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১২ হাজার ৫৯১ জন। যা গত আট মাসে দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ছিল। তবে আজ ফের করোনা আক্রান্তের (Covid-19) সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৯২ জন। কোভিডে মৃতের (Death) সংখ্যা ২৮ জন। এর পাশাপাশি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬ হাজার ১৭০।
তথ্য অনুসারে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে কিছুটা কমতে শুরু করেছিল করোনা সংক্রমণ। কিন্তু বৃহস্পতিবার একধাক্কায় গত আট মাসের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ সংক্রমণ হয়। প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল করোনা সংক্রমণের হার। আর আজ, শুক্রবার করোনা সংক্রমণ বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। ফলে করোনায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪.৪৮ কোটি। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষের বেশি।
করোনা (Covid) সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একদিনে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেল করোনার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, বুধবার ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ১২,৫৯১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু (Death) হয়েছে ২৯ জনের। বৃহস্পতিবার, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পর বর্তমানে দেশে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৬৫,২৮৬ জন হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ৪ কোটি ৪২ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৭৬ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বুধবার দেশে ১০,৫৪২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এক ধাক্কায় সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২,৫৯১ হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত এই ভাবে ধাপে-ধাপে বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে কোভিড নিয়ে আবার আতঙ্কিত তৈরি হয়েছে।
সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি কোভিডের প্রয়োজনীয় নিয়ম-নীতি মেনে চলার এবং বুস্টার টিকা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের অনুমান করোনা ফের ওমিক্রন রূপে দেশজুড়ে আবার নতুন করে প্রভাব তৈরি করতে চলেছে।
বিপুল পরিমাণের অর্থ লাভ ভারতীয় রেলের (Indian Rail)। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রেলের সর্বস্ব আয় হয়েছে ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা। সোমবার, এই তথ্য জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পণ্য পরিবহণ খাতে রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৬২ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় যা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। দেশে যাত্রী পরিষেবা আয় বৃদ্ধি হয়েছে ৬১ শতাংশ। এবার যাত্রী পরিষেবায় বিপুল টাকা আয় করে নজির গড়ল ভারতীয় রেল। যা সর্বকালীন নজির বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই খাতে আয় হয়েছে ৬৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
গত অর্থবর্ষে রেলের অন্যান্য খাতে আয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই অঙ্কটা ছিল ৬ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। করোনা সময়কালীন লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা। তারপর সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে দেশ। ফের চালু হয়েছে রেল পরিষেবা। আর তারপর থেকেই যাত্রী পরিষেবা-সহ অন্যান্য খাতে বিপুল অর্থ আয় করল ভারতীয় রেল।
বর্তমানে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষের গড় আয়ু কমে হয়েছে ৭২.৩ বছর। একটি সমীক্ষায় উঠে এল এমনই এক তথ্য। তবে আগের সমীক্ষা অনুযায়ী গড় আয়ু (Average Age) ছিল ৭২.৮ বছর। তবে এই সমীক্ষায় প্রায় ০.৫ বছর করে কমেছে গড় আয়ু। সোমবার ঢাকার (Dhaka) পরিসংখ্যান ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১-এর এই সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এমনকি পরিসংখ্যান এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন এবং বিবিএসের ডিরেক্টর মতিয়ার রহমানও এই ভবনে উপস্থিত ছিলেন। মূলত কোভিডের কারণেই গড় আয়ু কমতে পারে, মনে করছেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা। তবে গড় আয়ু কমে যাওয়ার বিষয়টি খুব একটা চিন্তার নয়, এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারি তরফে।
বাংলাদেশের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমীক্ষায় উঠে এসেছে ২০২১ সালের হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ২৭ লক্ষ। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৪ লক্ষ এবং মহিলা ৮ কোটি ১৩ লক্ষ। প্রতিবছর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
করোনা (CoronaVirus) আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। ক্রমেই ভয়াল রূপ নিতে শুরু করেছে কোভিড (Covid19)। তবে এবারে কিছুটা হলেও স্বস্তিও খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজারও ছাপিয়ে গিয়েছিল। তবে এবারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১১১ জন। রবিরার এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৯৩ জন। ফলে কিছুটা হলেও দৈনিক সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে।
তবে এই নতুন আক্রান্তের পাশাপাশি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজারের গন্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে। তথ্য অনুসারে, মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হয়েছে ৬০ হাজার ৩১৩ জন। ফলে দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমতে শুরু করলেও অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৬০হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি দৈনিক পজিটিভিটি রেট ও সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট যথাক্রমে ৮.৪০ শতাংশ ও ৪.৯৪ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন ও করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩১৩ জন।
দেশজুড়ে করোনার (CoronaVirus) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বৃদ্ধির পিছনে নতুন ভ্যারিয়েন্ট XBB.1.16-এই নতুন রূপটিকেই দায়ী করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি কোভিডের নতুন উপসর্গও লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতদিন কোভিড হলে তীব্র জ্বর, সর্দি-কাশি এইসব উপসর্গ সবার মধ্যে দেখা যেত। এবারে দেখা গিয়েছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে মানুষের চোখের উপরেও প্রভাব ফেলছে এই ভাইরাস।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে মূলত কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চোখ জ্বালা, চোখ ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে জল পড়া ইত্যাদি। শুধু বড়দের নয়, ছোটদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে কোভিডের এই উপসর্গ। যে কারণে তা চিকিৎসকদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে এই ভ্যারিয়েন্ট বেশি ছোঁয়াচে, যার জন্য খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তবে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থতার কোনও লক্ষণ নেই। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ, এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। করোনার বিভিন্ন নির্দেশিকা যেমন- মাস্ক ব্যবহার করা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ইত্যাদি মেনে চলতে হবে।
ফের রাজ্য়ে কোভিডের (Covid) হামলা। প্রতিদিন রাজ্য়ে কেউ না কেউ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দৈনন্দিন পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে শনিবার, পয়লা বৈশাখের দিন রাজ্যে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্য়া ৫৫১ জন।
প্রতিটি রাজ্যেই কমবেশি সংক্রমণের বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে স্থানীয় প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, এখনই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। পাশাপাশি জানানো হয়েছে আগামী ১০ থেকে ১২ দিনে সংক্রমণের হার আরও বাড়তে পারে। চিকিৎসকদের কোভিড মোকাবিলায় ফের মাস্ক পরা এবং পরিষ্কারভাবে হাত ধোঁয়ার উপর জোর দিতে বলছেন। দেশে অবশ্য করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ১০,০৯৩ জন। শুক্রবার এই সংখ্যাটাই ছিল ১০,৭৪৭। তবে টানা ৪ দিন ধরে দেশে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ১০ হাজারের উপর ছিল। শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid 19)। সংক্রমণ এখনও ১০ হাজারের নীচে নামেনি। করোনার এই পরিসংখ্যান দেখে উদ্বেগে বিশেষজ্ঞেরাও। শুক্রবারের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে শনিবার। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৭৫৩ জন। গত ২ দিনের তুলনায় যা একটু কম। তবে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ৭২০ জন। দৈনিক সংক্রমণের হার ৬.৭৮ শতাংশ ছুঁয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Health Ministry) মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছিলেন, দেশজুড়ে আগামী আট-দশ দিন সংক্রমণ বাড়লেও কিছুদিন পরে তা আবার কমতে শুরু করবে। স্বাস্থ্যকর্তাদেরও দাবি, আগামী মাস থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করবে। এমনকি চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, করোনা এখন আর অতিমারির পর্যায়ে নেই। তবে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং করোনা পরীক্ষা করানোর মতো বিধি নিষেধের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন তাঁরা। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
এমনকি চিকিৎসকরা জানায়, সম্প্রতি করোনার যে প্রজাতি হুড়হুড়িয়ে বাড়ছে, তার নাম এক্সবিবি.১.১৬। এটি ওমিক্রনেরই একটি উপরূপ।
ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা (CoronaVirus)। কোভিডের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এরই মধ্যে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। মে মাসে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ৫০ হাজারের গন্ডি। এই তথ্য দিয়েছেন আইআইটি কানপুর (IIT Kanpur) অধ্যাপক ড. মাহিন্দ্র আগরওয়াল। শুক্রবারই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ১০৯, যা গত সাত মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল। ফলে করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে এই তথ্য নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে এই ভাইরাস।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড সংক্রমণের পরিসংখ্যান ১০ হাজার ৭৫৩। শুক্রবারের থেকে এই সংখ্যা কিছুটা কমলেও ভয় থেকেই যাচ্ছে। এর ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩ হাজার ৭২০। একদিনে করোনায় মৃত ২৭ জন। এছাড়াও মাহিন্দ্র আগরওয়ালের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, এখন দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের কাছাকাছি থাকলেও মে মাসের মাঝ বরাবর তা ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজারে পৌঁছে যাবে।
তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, ঠিক কতটা পরিমাণে বাড়তে পারে কোভিড আক্রান্তর সংখ্যা তা আরও এক সপ্তাহ পর ভালোভাবে অনুমান করা যাবে। তবে তিনি এই নিয়ে বেশি ভয় পেতে না করেছেন। কারণ তিনি জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এর দাপট সেই মাত্রায় নেই। বেশি কিছু সমস্যা না দেখে এখন বাড়িতেই করোনার চিকিৎসা করা যাচ্ছে, তবে সতর্ক থাকতে হবে।
দেশে ক্রমশ ভয়াল রূপ নিয়েই চলেছে করোনাভাইরাস (CoronaVirus)। গত আট মাসে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। আর আজ শুক্রবার নতুন করে কোভিডে (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১০৯ জন। একলাফে ১১ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক আক্রান্তের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ। এর পাশাপাশি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৯ হাজার ৬২২ জন।
তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন। এর ফলে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৪ জন। কোভিডে মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৭১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের আগামী ১০-১২ দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
দেশের মধ্যে মুম্বই, দিল্লিত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক। কারণ এই দুই রাজ্যেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৫২৭ জন ও মুম্বইয়ে ৪২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সুস্থতার হার স্বস্তিতে রাখলেও ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে।
ফের দেশ-বিদেশে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। তার মধ্যে আবার নয়া ভাইরাসের খোঁজ! তাও আবার কিনা চিনের (China) মাটিতেই। শুধু তাই নয়, H3N8 অর্থাৎ বার্ড ফ্লু'য়ের মতো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে সে দেশে। আর এই মৃত্যুকে ঘিরেই আতঙ্ক। ফের কি বিপদের মুখে বিশ্ব? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু বলছে, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে এটাই বিশ্বের প্রথম মৃত্যু। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয়েছে এমন কোনও রেকর্ড নেই।
ফলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মহিলার মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, এই স্ট্রেন মানুষের মধ্যে খুব একটা সংক্রমক নয়। ফলে এখনই এত আতঙ্কের কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এমনকি এই স্ট্রেন খুব একটা মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় না বলেও জানানো হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, চিনের মাটিতে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তাঁর বয়স ৫৬ বছর। দক্ষিণে গুয়াংডং প্রদেশে ওই মহিলা থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। হু-এর তথ্য অনুযায়ী, আরও দুই ব্যক্তিকে আক্রান্ত করেছে H3N8 অর্থাৎ বার্ড ফ্লু। চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানাচ্ছে, মৃত ওই মহিলা গত মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও ওই মহিলার মৃত্যু নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে ওই মহিলা আরও বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।