ফের বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে শোড়গোল। ভরতপুর (Bharatpur) এলাকায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir)। তাঁর মন্তব্য ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে বিতর্ক।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুর এলাকায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন বিধায়ক। এদিন ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবির বলেন, "ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজার বর্তমানে কোনও পুলিসের সিকিউরিটি পাবেন না, তাই তিনি বোম বেঁধেছিলেন। সালার থানার পুলিস সেই বোমগুলি উজুনিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে এবং তদন্ত শুরু করে।"
যদিও ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে নিজের দলেরই প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ভরতপুর বিধানসভার বিধায়কের এমন বিস্ফোরক মন্তব্যে জেলার রাজনীতিতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
গরু চুরির(cow smuggling) পর এবার জমি(land) চুরির অভিযোগ। ফের দুর্নীতির অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের বিরুদ্ধে। জোর করে জমি দখলের অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের দাদা সুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বোলপুরের বল্লভপুর মৌজায় তিন বিঘা জমি জাল দলিল(fake deed) বানিয়ে হাত বদলের অভিযোগ। ২০১৮ সালে জমি হাত বদলের কথা জানতে পারে জমির মালিক মজুমদার পরিবার। জমির মালিক অনন্তময়ী মজুমদার। সোনাঝুরি হাট থেকে কিছুটা দূরে বল্লভপুর মৌজায় এই জমি রয়েছে। জমির মালিক অনন্তময়ী মজুমদারের মেয়ে শুক্লা মজুমদার জানান, বোলপুর ভূমি সংস্কার দফতরে জানান হলেও কোনও লাভ হয়নি । এমনকী তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বোলপুর থানায়(Bolpur police station) এফআইআর দায়ের করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি বলেন,তাঁর মা কাউকে জমি বিক্রিও করেননি ও জমি দানও করেননি। অদ্ভুতভাবে হাত বদল হয়ে যায় এই জমির। যদিও তাঁদের কাছেই ভুমিসংস্কার দফতরে জমি রেকর্ড করার আসল নথি আছে।
শুক্লা মজুমদার বলেন, তারা জানতে পারেন ভূমি সংস্কার দফতরে বলরাম ভট্টাচার্য, কৃষ্ণরায় ভট্টাচার্য, বামাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ও ভৃগুরাম ভট্টাচার্যর নামে এই জমি রেকর্ড করানো আছে। যা আসল নয়। তবে এই চারজনের অস্তিত্ব আদৌ আছে কীনা তা প্রশ্নের মুখে। জমি ফেরত পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে মামলা চলছে। জানা গেছে গত দুবছর আগে অনন্নময়ী মজুমদার মারা যান। এখন জমি কবে ফিরে পান তার অপেক্ষায় দিন গুনছে মজুমদার পরিবার।
ঠিকাদারদের(contractor) কাছ থেকে তোলা(money) তুলে না দেওয়ায় অনুব্রত মণ্ডল জেল(jail) খাটিয়েছিলেন তৃণমূল নেতাকেই । এবারে প্রকাশ্যে এল সেই সত্য। যিনি সামনে আনলেন তিনি বোলপুর মহকুমার অন্তর্গত রূপপুর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি কাজি নুরুল হুদা। এই নেতাকেই অনুব্রত মণ্ডল জেল খাটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোলা তুলতে চাপ দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বীরভূমেরই তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি।
কাজি নুরুল হুদা জানিয়েছেন, একদিন বৈঠক চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডল তাকে বলেন পঞ্চায়েতে যে কাজ হচ্ছে সেই কাজের ১৩ শতাংশ টাকা সরিয়ে ৪ শতাংশ পার্টি অফিসে, ৬ শতাংশ পঞ্চায়েত সদস্যদের এবং বাকি তিন শতাংশ নিজে রাখার জন্য। কিন্তু এই প্রস্তাবে কাজি নুরুল হুদা রাজি হননি এবং তিনি অনুব্রত মণ্ডলের থেকে বারবার এইভাবে চাপ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্চল সভাপতি পদ ছেড়ে দেন। অঞ্চল সভাপতি পদ ছেড়ে দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তার বাড়িতে বিশাল পুলিস পাঠানো হয় এবং তাকে ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি তাঁর।
আরও জানান,তাদের মাদক সংক্রান্ত একটি মামলা দেওয়া হয় । এই ঘটনায় এক বছর তারা দুজনে জেল খাটেন বলে জানিয়েছেন এবং তারপর জেল থেকে বেরিয়ে এলেও এখন বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। এই কাজি নুরুল হুদাই দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রথম দিকে তিনি কংগ্রেস করতেন এবং পরে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকার অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২১ অবধি শান্তিনিকেতনের রূপপুরের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন কাজি নুরুল হুদা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি।
অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিলের প্রতিবাদে অবরোধ করতে গিয়ে পুলিসের হাতে আক্রান্ত সুন্দরবনের মানুষ । পুলিশের লাঠিচার্জে (lathicharge) গুরুতর জখম মহিলা ও বৃদ্ধরা।
বিদ্যুতের অস্বাভাবিক বিলের(abnormal electricity bill) প্রতিবাদে(protest) অবরোধ চলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। আর সেই অবরোধ না তোলায় পুলিসের হাতে মার খেতে হল সুন্দরবনের খেটে খাওয়া সাধারণ অবরোধকারীদের। দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল আসার ফলে প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে পড়ছিলেন সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের কয়েকশো পরিবার। তারই প্রতিবাদে বসিরহাটের (Basirhat)সুন্দরবনের ন্যাজাট থানার সরবেড়িয়ায় বাসন্তী হাইওয়ে (রাজ্য সড়ক ৩এ) তে শান্তিপূর্ণ অবরোধ করছিলেন সন্দেশখালি দুটি ব্লকের কয়েকশো পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ। সকাল থেকেই সেই অবরোধ চলছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তোলার জন্য পৌঁছয় ন্যাজাট থানার পুলিস। সেখানে গিয়ে হঠাৎই অবরোধ করা মহিলা ও পুরুষের উপরে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে উর্দিধারীদের বিরুদ্ধে। বেধড়ক মারধর করা হয় অবরোধকারীদের। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছাড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। সাধারণ মানুষজনের অভিযোগ তারা শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে অবরোধ করছিলেন। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করলেও মেটেনি সমস্যা। এরপরই কোনও সুরাহা না মেলায় তারা অবরোধ করেন। অবরোধ হঠাতে পুলিসের এই লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও পুলিসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনওরকম বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চুরির মিথ্যে অপবাদ মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী (suicide) এক শ্রমিক। গোটা ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বুদবুদ (Budbud) থানার অন্তর্গত কোটা চণ্ডীপুর গ্রাম এলাকায়। কারখানার গেটের সামনে বুধবার সকাল থেকে তুমুল বিক্ষোভ (protest) শুরু করে দেয় মৃতের পরিবার।
বাবা মারা যাওয়ার পর বিধবা মাকে নিয়ে একাই থাকতেন দুর্গাপুরের (Durgapur) কোটা চণ্ডীপুর গ্রামের বছর ২৬-এর মিঠুন ঘড়ুই। কোটা শিল্পতালুকে একটি মদের কারখানায় কাজ করতেন মিঠুন। কিন্তু মঙ্গলবার মদ চুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মিঠুনকে কারখানার গেট থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষ বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর সমাজে সম্মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই শ্রমিক। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মিঠুনের মা ও তাঁর পরিবার পড়শিরা।
খবর চাউর হতেই মিঠুনের সহ কর্মীরা কোটা শিল্পতালুকে থাকা ওই মদের কারখানার গেটের সামনে এসে ভাঙচুর শুরু করে। বুধবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। কারখানার গেটের সামনে উত্তেজিত শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে এদিন কর্তৃপক্ষ কারখানায় ঢুকতে বাঁধা দেয় কর্মীদের। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিস ঘটনাস্থলে এলে বুদবুদ থানার পুলিসকে ঘিরে ধরে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, এর আগেও এইরকম মিথ্যে অভিযোগ করে শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই অন্যায় কর্মকান্ডের কোনও বিচার হয়নি। এই ঘটনার পেছনে কারখানার নিরাপত্তারক্ষিরাও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ লাগছে।
ভালোবাসার অপরাধে বেধড়ক মারধর করে বিষ খাইয়ে প্রেমিককে খুন (murder) করার অভিযোগ প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। এমনই এক নৃশংস খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাড়োয়া থানার মেটোআইট গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাড়োয়া থানা এলাকার বাসিন্দা বছর ২০ এর মহাসিন মোল্লা, শাসন থানা এলাকার একটি যুবতীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে জুলাই মাসের ২৩ তারিখে একবার দেখা করতেও গিয়েছিলেন। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি, একেবারে পরিকল্পিতভাবে মহাসিনকে বেধড়ক মারধর করে এবং জলের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়ে দেয় প্রেমিকার পরিবার এমনটাই অভিযোগ।
খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital) নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা। সেখানে দীর্ঘ ২৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল তাঁর মৃত্যু (death) হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে শাসন থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি হাড়োয়া থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে শাসন এবং হাড়োয়া থানার পুলিস ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে।
তৃণমূলের (TMC) সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো (Shoe) তৈরি হবে। সেইদিনের জন্য অপেক্ষা করুন। রবিবার কামারহাটির (Kamarhati) এক জনসভায় এমনই মন্তব্য করলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)।
তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ছিল, আছে এবং থাকবে। পশ্চিমবাংলার মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা ২০২৬ পর্যন্ত ম্যানডেট পেয়েছি, আমাদেরই সরকার চলবে। আর যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, এরপর আমি বলব, তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে।
তাই আজ থেকে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করুন। দল যে সব প্রোগ্রাম দেবে, সেইসব অনুসরণ করে চলুন।
এবার নিজের কানে শুনুন, সৌগত রায়ের সেই মন্তব্য।
সৌগত রায়ের মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রবীণ সাংসদের বিতর্কিত ওই মন্তব্য। তিনি এদিন আরও বলেন, তৃণমূল কিন্তু রাস্তায় আছে। আমরা কোনও দোষ করিনি যে আমাদের ঘরে ঢুকে যেতে হবে। বিজেপি, সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, কামারহাটিতে তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেব যে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে। সাবধান থাকবেন।
সামনের বার অধীরের বিজেপি ছাড়া আর কোথাও যাবার জায়গা নেই। বিজেপিতে গিয়েও অধীর চৌধুরী জিতবেন না। শুভেন্দু অধিকারী নাম নারদ কেলেঙ্কারিতে ছিল। অথচ একবারও শুভেন্দুকে ডাকেনি সিবিআই।
সৌগত বলেন, দুর্নীতি থেকে আমরা দলকে আলাদা করছি। কিন্তু নিরোপেক্ষ তদন্ত যদি না হয়, শাসকদল আবার রাস্তায় নামবে। ইডি-সিবিআইয়ের কলকাতার অফিস অবরুদ্ধ করে দেব।
প্রেমিকের (Lover) সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন মহিলা। কয়েকমাস পর বুধবার ফিরে এলেন স্বামীর ঘরে। আর তার শাস্তিস্বরূপ সেই মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের (beaten) অভিযোগ উঠল প্রেমিক মুকেশের বিরুদ্ধে, অভিযুক্ত আরও ৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ঝাঝুয়া জেলার রূপারেল গ্রামে।
পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কয়েকমাস ধরে স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গেই থাকছিলেন মহিলা। বুধবার শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন মহিলা। আর তাতেই রেগে যান প্রেমিক। গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে এসে মহিলার শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন। এমনকি মহিলার স্বামীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
এরপর মহিলাটিকে টেনে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে গিয়ে নগ্ন করে মারধর করেন প্রেমিক এবং তাঁর সঙ্গীরা। গ্রামবাসীরা ছুটে এসে মহিলাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হননি তাঁরা। এরপর পুলিস এসে মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে মুকেশ এবং তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
দক্ষিণ দমদমে (South Dumdum) তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম করে এবার পড়লো পোস্টার (poster)। সেই পোস্টারে লেখা টেটে (TET) চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আর্থিক প্রতারণা বরুণ নন্দী দূর হাটো। কিন্তু কেন পড়ল এই পোস্টার? কী আসল ঘটনা?
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাগান (Laalbagan) এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর বরুণ নন্দীর নামে তাঁর ওয়ার্ড অফিস এবং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে পোস্টার, পোস্টারে লেখা আছে টেটে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপে অভিযুক্ত বরুণ নন্দী দুর হটো। এর আগেও দেখা গিয়েছিল বরুণ নন্দীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বেশ কিছু মানুষজন চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করার। তারপর ফের একই পোস্টার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই পোস্টার বরুণ নন্দীর ওয়ার্ড অফিস এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় ফেলল এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
যদিও তৃণমূল কাউন্সিলর বরুণ নন্দী এই বিষয়ে জানান, "কী পোস্টার পড়েছে আমি জানিনা, জিনিসটা পুরোপুরি মিথ্যা যে বা যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তাঁদের বিরুদ্ধে আমিও প্রচুর অভিযোগ করতে পারি। গৌতম সাহা মণ্ডল আগে টিভিতে যে মন্তব্য করেছিল আমি তাঁর সুস্থতা কামনা করে বলি, তাঁর একটা ক্ষোভ আমার বিরুদ্ধে থাকবেই। ২০১৫ সালে দলের টিকিট পাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু প্রথম কথা তিনি কোন দল করে এখনও বুঝতে পারলাম না। এর আগে আমার বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে হেরেছে। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। আমার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। গৌতম সাহা মণ্ডল এখন বিজেপি করছে তিনি এই সমস্ত কিছু করছেন এবং আমি মানহানির মামলা করেছে।
যদিও এ বিষয়ে বিজেপি নেতা বিমল শংকর নন্দ জানান, তৃণমূল নেতারা নিজেরা ঠোগী। তাই সব কিছুতে তাঁরা ষড়যন্ত্র দেখে। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন তিনি বিগত ৭-৮ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছে তিনি কী করে পোস্টার মারবেন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।