অভিনেতা এবং পরিচালক তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের (Tathagata Chatterjee) পরের ছবি পারিয়া (Pariah), এই খবর সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই জানেন। এবার সেই ছবি মুক্তির আগেই শুরু হল চর্চা। তথাগত সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ছবির পোস্টার চুরির অভিযোগ তুলেছেন। তাও আবার বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুরের ছবির পোস্টার ঘিরেই এই বিতর্ক। রণবীরের পরের ছবি 'এনিমল', তাও অনেকেই জানেন। এবার পারিয়ার সঙ্গে সংঘাত শুরু হল এই ছবির।
তথাগত সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করে লিখেছেন, 'ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল। বিক্রমের শরীরে রনবীরের মাথা, পোস্টার পারিয়ার, নাম এনিম্যাল নামের হিন্দি সিনেমার, শুধু বিক্রমের মাথাটা আর সিনেমার নামটা পালটে দেওয়া হয়েছে। একটা সো কলড ভেরিফায়েড এওয়ার্ড পেজ থেকে যারা এই বালখিল্যতাটা করছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। অন্তত ফোটোশপের কাজটা ভাল প্রত্যাশা করেছিলাম।'
পরিচালক এই লেখার সঙ্গে পারিয়া এবং ফটোশপ করা এনিমেল ছবির পোস্টারের ছবিও আপলোড করেছেন। এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল এই ছবির পোস্টার হুবুহ নকল করা হয়েছে দক্ষিণী ছবির পোস্টারে। তবে এইবার এনিমল ছবির অফিশিয়াল পোস্টার না পেয়ে নিম্নমানের ফটোশপ করা হল পারিয়ার পোস্টারে।
তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম। আবারও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্য সমরে পাকিস্তান-ভারত। বিবাদের কেন্দ্রবিন্ধু শাহরুখ খান (Shahrukh khan)। ঘটনার সূত্রপাত করেছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী মাহনূর বালোচ (Mahnoor Baloch)। পাকিস্তানের এক টক শোতে অভিনেত্রী শাহরুখ সম্বন্ধে বলেছেন, 'তাঁর ব্যক্তিত্ব খুবই ভালো। কিন্তু তাঁকে যদি সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা হয় তাহলে যথার্থ হ্যান্ডসাম বলতে যা বোঝায় তা তিনি নয়।'
অভিনেত্রী আরও বলেছেন, 'শাহরুখ খান অভিনয় জানেন না। যদিও তিনি ভালো ব্যবসায়ী তাই ভালো করেই জানেন নিজেকে কীভাবে বাজারজাত করতে হয়।' মাহনূর আরও বলেন, 'শাহরুখের ভক্তরা আমাকে সম্মতি জানাতে না পারেন। তাও মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু এমন অনেক অভিনেতা রয়েছেনা যারা খুবই ভালো কিন্তু সফল নয়।'
ভিনদেশি অভিনেত্রীর মুখে এমন কথা শুনে কী বাদশার ভক্তরা চুপ থাকতে পারেন। এক শাহরুখ ভক্ত সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'কি যা তা বলছেন, শাহরুখ খান একজন গুণী অভিনেতা এবং লেজেন্ড। তিনি এক্সপ্রেশনের রাজা। আমার মনে হচ্ছে তিনি শাহরুখ খানের নাম উল্লেখ করে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন।' কিং খানের অন্যান্য ভক্তরাও একই সুরে মাহনূরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন।
সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন (Rajeev Sen) এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী চারু আসোপা (Charu Asopa) আবারও চর্চায়। নেট দুনিয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তাঁরা কী সত্যিই প্রাক্তন? ২০১৯ সালে গোয়ায় সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন দু'জনে। কিন্তু সংসার যাপন নাকি সুখের হয়নি। সাংসারিক অশান্তিতে নাকি জেরবার হয়ে গিয়েছিল তাঁদের জীবন। অবশেষে ২০২২ সালে বিচ্ছেদের আবেদন করেন দু'জনে। এদিকে চারু বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্বা। তাই মেয়ের জন্য সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীবের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন চারু। অবশেষে চলতি বছরের ৮ জুন আইনি বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে চারু সামাজিক মাধ্যমে কিছু না বললেও রাজীব বলেন, 'বিচ্ছেদ হলেও ভালোবাসা থাকবে। তবে তাঁরা বোধহয় আবারও কাছে আসছেন। সম্প্রতি রাজীব তাঁর সঙ্গে চারুর একটু নিজস্বী সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করলে, চারদিকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
নিজস্বীটি দেখে নেট মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, তাঁরা যেন সমস্যা মিটিয়ে নিয়ে আবারও কাছাকাছি আসেন। আবার অনেকে বলছেন, তাঁদের মধ্যে না কী বিচ্ছেদ হয়নি। হাতে কাজ নেই তাই নাকি তাঁরা জনপ্রিয়তার জন্য এই পাবলিসিটি স্টান্ট নিচ্ছেন।
১৬ জুন সারা ভারতের সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছিল বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা আদিপুরুষ (Adipurush)। হিন্দু পুরাণ রামায়ণ এই গল্পের বিষয়বস্তু। তাই দর্শকদের অনেক প্রত্যাশা ছিল এই সিনেমাটি নিয়ে। সিনেমা মুক্তির আগেই প্রি-বুকিং করেছিলেন দর্শকেরা। কিন্তু সিনেমাহলে গিয়ে সেই আগ্রহে জল পরে। নিম্নমানের গ্রাফিক্স, ততোধিক খারাপ সংলাপ শুনে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয় দর্শকদের। এদিকে ধর্মীয় চরিত্রের সংলাপ শুনে দেদার সমালোচনা শুরু হয় চারদিকে।
হিন্দু অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র শিশির চতুর্বেদী উত্তরপ্রদেশের হজরতগঞ্জ থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে আদিপুরুষে হিন্দু দেবদেবীর ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। যে সংলাপ নিয়ে এত বিতর্ক, সেই সংলাপ বদলানোর আবেদনও করা হয়েছিল। অবশেষে এমন চাপের মুখে পিছু হটতে হল আদিপুরুষ নির্মাতাদের। বিতর্কিত সংলাপ বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনেমা নির্মাতা।
সিনেমার সংলাপের লেখক মনোজ মুন্তাসির সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'আমি এই সিনেমার জন্য চার হাজার সংলাপ লিখেছি। তার মধ্যে থেকে মাত্র কয়েকটি সংলাপের সমালোচনা হচ্ছে। আমি আমার লেখা সংলাপের পক্ষে অগুনতি যুক্তি দিতে পারি। তবে আমি এবং সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক সংলাপ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সপ্তাহ থেকেই সিনেমাহলে নতুন সংলাপ শোনা যাবে।'
প্রাচীন পুকুর ভরাটের (Pond Fill Up) অভিযোগে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এমনকি পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে যশোর রোডে প্রতীকি নিয়ে অবরোধ বিজেপির (BJP)। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার (Gaighata) বকচরা ১ নম্বর টালিভাটা এলাকায়। তবে বৃহস্পতিবার সকালেও সেই বিক্ষোভ জারি রেখেছে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা৷
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটা ব্লকের বকচরায় কয়েক বিঘা জায়গা নিয়ে একটি পুকুরকে ভরাট করছে প্রোমোটার, তেমনই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপি সদস্যদের দাবি, পুকুর ভরাট করে এখানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে তেমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষেকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন এই প্রোমটার। কিন্তু এই পুকুর ভরাট হলে বকচরা এলাকার সাধারণ মানুষ আগামী দিনে বেশ সমস্যায় পড়বেন। তাই সেই কারণেই বুধবার বিকেল যশোর রোডের বকচরাতে রাস্তা অবরোধ করেছে বিরোধী দলের নেতারা। এমনকি প্রতীকি নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ করার পর পুলিস সেই অবরোধ তুলে দেয়। তবে তাতেও থেমে নেই তাঁরা। তাই পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে ফের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের তালিকায় থাকা গোবিন্দ হালদার নামে এক ব্যক্তি জানান, এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মতামত নিয়েই এই পুকুর ভরাট করা হয়েছে। পুকুরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু জায়গাও রাখা হয়েছে। এলাকার উন্নয়নের জন্যই একটি হাসপাতাল নির্মাণ করার কারণেই পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে। আর যাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছে তাঁরা এই এলাকার সাধারণ মানুষ নয়। এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে মতামত নিলে তাঁরাই সঠিক সিদ্ধান্ত জানাবে।
অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা 'অভিমান'-এ গায়িকা হিসেবে ডেবিউ করেছিলেন গায়িকা অনুরাধা পারোয়াল (Anuradha Paudwal)। ১৯৮০ থেকে ৯০ এর দশকের প্রথম সারির গায়িকা ছিলেন অনুরাধা। সম্প্রতি রিমিক্স গান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন। উল্লেখ্য, 'হেট স্টোরি ২' সিনেমার 'আজ ফির তুমপে' গানটি ১৯৮৮ সালের 'দয়াবান' সিনেমায় গেয়েছিলেন খোদ অনুরাধা। একসময় তাঁরই গাওয়া গানটির রিমিক্স শুনে তেমন ভালো লাগেনি অনুরাধার।
অনুরাধা বলেছিলেন, 'এক ব্যক্তি আমাকে অরিজিতের গান পাঠিয়ে বলেছিলেন এটি হিট ট্র্যাক। গানটি শোনার পর আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। আমি সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবে গিয়ে আমার আসল গানটি বেশ কয়েকবার শুনি। তারপরে আমি শান্তি পাই।' এরপরেই নেট মাধ্যমে ঝড় ওঠে। অরিজিতের কণ্ঠে রিমিক্স গানটি বর্তমান প্রজন্মের খুব পছন্দ। তাই অনুরাধার বিপক্ষে মন্তব্যে ছয়লাপ হয়েছিল নেট মাধ্যম।
শেষে অনুরাধা নিজের বক্তব্য আরও স্পষ্ট করে বলেন, 'আজ ফির তুমপে প্রসঙ্গে আমি রিমিক্স নিয়ে কথা বলেছি। গায়ককে নিয়ে কথা বলিনি। রিমিক্স গান কতটা আসল গানের সঙ্গে বিচার করতে পারছে তা বুঝতে হবে। আমরাও পুরোনো গান রিমেক করেছিলাম, কিন্তু শোভনতার সঙ্গে।' একইসঙ্গে তিনি মিডিয়াকে অনুরোধ করেছিলেন রং চড়িয়ে খবর না করতে। কিন্তু যা কিছু নেট মাধ্যমে চর্চায় তা এড়ানো কি অত সহজ !
টলি অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) মানেই বিতর্ক। একসময় তাঁকে নিয়ে চর্চা হলেও বিতর্ক হয়নি। কিন্তু প্রথম স্বামী নিখিলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরেই নুসরাতের জীবন যেন বিতর্কময় হয়ে উঠেছে। আচমকাই নেটিজেনরা জানতে পারেন নুসরাত সন্তানসম্ভবা। কিন্তু সন্তানের বাবা কে? এই নিয়ে তখন ছয়লাপ নেট দুনিয়া। এমন সময় রেস্তোরাঁ কিংবা রাস্তায় একাধিকবার অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর (Yash Dashgupta) সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হন অভিনেত্রী। এরপর জানা যায়, নুসরাতের সন্তানের বাবা যশ।
নুসরাত জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রাক্তন স্বামী নিখিলের সঙ্গে যখন তাঁর সম্পর্ক অবনতির দিকে ছিল, তখন তাঁর হাত ধরেছিলেন যশ। অভিনেতা নাকি নুসরাতের হাত ধরে তাঁকে খারাপ সময় থেকে বের করেছিলেন। গোপনেই এগিয়েছে তাঁদের সম্পর্ক। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর, দুই তারকা জনসমক্ষে প্রেমের কথা ঘোষণা করেন। বিয়ে করেননি দু'জনে। কিন্তু একসঙ্গে বড় করছেন সন্তানকে। নেটিজেনরা এরপরেও বিতর্কে বিদ্ধ করেছেন নুসরাতকে।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত। ছবিতে দেখা গিয়েছে, বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। পশ্চিমি পোশাক পরেছিলেন। তবে মাথায় স্পষ্ঠ সিঁদুর। এই দেখেই রেগে গিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীর পোস্টের কমেন্টে লিখেছেন, আপনি তো বিয়ে করেননি, তাহলে মাথায় সিঁদুর পরেছেন কেন?' যদিও এর জবাব দেননি অভিনেত্রী।
শনিবারে হঠাৎই সরগরম হয়ে উঠেছিল সামাজিক মাধ্যম। কলকাতার একটি জনপ্রিয় সম্মাননা অনুষ্ঠানের মনোনয়নপত্র ঘুরেছে নেট দুনিয়ায়। সেই পোস্টে দেখা গিয়েছে, মনোনয়ন গীতিকার শ্রীজাত বন্দোপাধ্যায়ের নামে। বিষয়টি এতটুকু হলে হয়তো এই নিয়ে কোনও কথা হত না। কিন্তু মনোনয়নের বিষয় দেখে একপ্রকার আঁতকে ওঠেন নেটিজেনরা। সেখানে লেখা 'মন রে কৃষিকাজ জানো না' গানটি লেখার জন্য শ্রীজাতকে (Srijato Bandopadhyay) মনোনয়ন করেছেন তাঁরা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে।
'মন রে কৃষিকাজ জানো না' গানটি সাধক রামপ্রসাদ সেনের লেখা এবং সুর করা, সেই স্থানে শ্রীজাতর নাম দেখে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা নেটিজেনদের। প্রসঙ্গত, শ্রীজাত পরিচালিত প্রথম সিনেমা মানবজমিনে অরিজিৎ সিং রামপ্রসাদী এই গানটি গেয়েছিলেন। সেই থেকেই হয়তো মনোনয়ন কর্তৃপক্ষের ভ্রান্ত ধারণা থেকেই এই অঘটন। কিন্তু নেট মাধ্যমে শনিবার অবাধ সমালোচনা হয়েছে এই নিয়ে। তাঁদের সমস্ত রাগ ধেয়ে গিয়েছে শ্রীজাতর দিকে। কিন্তু যাঁকে ঘিরে এই এতো আলোচনা তিনি নীরব ছিলেন।
শনিবার পেরিয়ে রবিবারে মুখ খুললেন শ্রীজাত। রবিবার নিজের সামাজিক মাধ্যমে শ্রীজাত লিখেছেন, ‘মন রে, কৃষিকাজ জানো না – টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ডস-এর তরফে এই গানটির জন্য সেরা গীতিকারের মনোনয়নপত্রটি যখন আমার ফোনে আসে, তখন আমি একটি বিজ্ঞাপনের কাজে ভীষণ ব্যস্ত। তাই খুলে দেখা হয়নি। পরে চিঠির প্রতিলিপি খুলে তুমুল অঘটনটি দেখামাত্র আমি চেষ্টা করি কোনওভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা জানাতে। আমাদের ছবির প্রযোজক রানা সরকার মারফত আমার সঙ্গে কথা হয় সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মৃন্ময় কাঞ্জিলালের। তাঁকে আমি স্পষ্টতই জানাই, বিরাট আকারের এক ভ্রান্তি হয়ে গিয়েছে তাঁদের তরফে এবং পুরস্কার তো অনেক পরের কথা, এই মনোনয়ন মেনে নেওয়াই আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সব শুনে তিনি ভুল স্বীকার করেন এবং জানান যে যত দ্রুত সম্ভব এই ত্রুটি সংশোধন করে নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত স্তরে এই ঘটনার জন্য তিনি আমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি ছড়িয়ে পড়েছে হু হু ক’রে।'
সমালোচক নেটিজেনদের উদ্দেশে শ্রীজাত লিখেছেন, 'রামপ্রসাদ সেনের গানের জন্য আমাকে মনোনীত করা যেমন বিস্ময়কর অজ্ঞানতা বা অসাবধানতার পরিচায়ক, তেমনই এই মনোনয়নের জন্য আমাকে আক্রমণ করাও অশিক্ষা ও অভব্যতার সামিল। প্রথমত, অনেকেই দেখলাম ধরে নিয়েছেন যে, এই পুরস্কার আমি পাচ্ছি ও গ্রহণ করছি। তাঁরা সম্ভবত মনোনয়ন এবং পুরস্কারের তফাতটুকুও জানেন না। এই দুয়ের মধ্যে কতগুলো পর্যায় আছে বা থাকতে পারে, তাও তাঁদের জানা নেই।'
এই ভুলে শ্রীজাতর ভূমিকা কোথায়? তাও স্পষ্ট করে দিয়ে শ্রীজাত লিখেছেন, 'মনোনয়ন ব্যক্তি-মানুষের গ্রহণ বর্জনের বাইরে। গ্রহণ বা বর্জনের বিষয় তখনই আসে, যখন কেউ পুরস্কৃত হন। নইলে নয়। তাই আমি কেন এই মনোনয়ন গ্রহণ করলাম, এ-প্রশ্ন ভিত্তিহীন। কিন্তু এই মনোনয়নের বিরোধ নিশ্চয়ই করা উচিত, যা আমি যথাস্থানে করেওছি।'
যদিও শ্রীজাতর লেখা পোস্টে তিনি সমালোচকদের উদ্দেশে আরও কড়া কথা শুনিয়ে লিখেছেন, 'যাঁরা যে-কোনও বিষয়ের কারিগরি দিকগুলি বিচার না-করেই ময়দানে নেমে পড়েন, তাঁদের নিয়ে ভাবার সময় আমার নেই। যেমন খতিয়ে দেখা বা পড়ার মতো বাজে সময় তাঁদেরও নেই, বদলে খেউড়ে অংশ নেবার মতো মহান কাজে নিবিষ্ট থাকতে হয়। দ্বিতীয়ত, বহু মানুষ, হয়তো ইচ্ছাকৃত ভাবেই, এই ঘটনার জন্য আমাকে দায়ী করছেন। এখন, দায়ী করলেই কেউ দায়ী হয়ে যায় না। সে তো মাঝেমধ্যে সিরিয়ায় বোম পড়ার জন্যেও ফেসবুকে আমিই দায়ী থাকি। সেটা কথা নয়। এতে বরং অভিযোগকারীদের অশিক্ষা ও উদ্দেশ্যই প্রকাশ পায়।'
মনি ভট্টাচার্য: ঘূর্ণিঘড় 'মোখা'র মোকাবিলায় সক্রিয় কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, এ সংক্রান্ত মোকাবিলায় লালবাজারে (Lalbazar) খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম (Control Room)। কীভাবে 'মোখা'র মোকাবিলায় সহায় হবে লালবাজার! সিএন ডিজিটালকে বিস্তারিত জানালেন কলকাতা পুলিসের টেকনিক্যাল বিভাগের এক অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার। লালবাজারের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিসের ওই এসিপি জানালেন, ডিএমডি, কেএমসি, সিইএএসসি ইত্যাদি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে এই কন্ট্রোল রুমের। কোনো ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই থানা ভিত্তিক এলাকাগুলিতে পুলিস বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরের বাহিনী পাঠিয়ে মোকাবিলা করা হবে।
সরকারের তরফে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র মোকাবিলায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। শনিবার নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলার কথাও জানানো হয়েছিল। কথামতো 'মোখা'র মোকাবিলায় নবান্নে শনিবারই কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি 'মোখা'র মোকাবিলায় এবার কলকাতা পুলিসের তরফেও খোলা হয়েছে হেল্পলাইন। রবিবার সকাল ৭ টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিসের কন্ট্রোল রুম।
লালবাজার সূত্রে খবর, রবিবার থেকেই দিনে ৩ শিফটে ওই কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে ডিএমডি, কেএমসি, সিইএসসি দফতরের একজন আধিকারিক থাকবেন। তাদের সাহায্যেই প্রতিটি থানা এলাকায় সংশ্লিষ্ট দফতরের বাহিনী পাঠানো হবে।
লালবাজার সূত্রে খবর, ওই কন্ট্রোলরুম গুলির কয়েকটি নম্বর চালু করা হয়েছে। যাতে বিপদের সম্মুখীন হলেও ওই কন্ট্রোল রুমের সাহায্য নিতে পারে মানুষ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর থেকেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যদি শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে এটিই হবে চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে, আগামী ৮ মে এই ঘূর্ণাবর্তটি একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর ৯ মে এটি বঙ্গোপসাগর থেকে আরও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেভাগেই লালবাজারের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যেখানে একটি হোয়াটস অ্যাপ নম্বরও খোলা হয়েছে। নম্বরগুলি হলো, ২২১২ ১৮৯০, ২২৫০ ৫০৩৩, ২২৫০ ৫০৪৪, ২২৫০ ৫১৪৬। এর পাশাপাশি লালবাজারের কন্ট্রোল রুমের হোয়াটস অ্যাপ নম্বর ৯৪৩২৬১০৪৫০।
বাংলাদেশী গায়ক মইনুল আহসান নোবেল মানেই একসময় ছিল গান। আর বর্তমানে নোবেল মানেই বিতর্ক। জীবন থেকে যেন দূরে সরে গিয়েছেন নোবেল। সামাজিক মাধ্যমে কিংবা জনসমক্ষে এমন কাজ করে বসছেন, যে নিজেই নিজের জনপ্রিয়তা ধ্বংস করছেন দু'হাতে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইবার কথা ছিল নোবেলের। সময়ের থেকে আরও অনেকটা দেরিতে মঞ্চে উঠেছিলেন নোবেল। মদ্যপ, বেসামাল অবস্থায়। তাঁর অনিয়ন্ত্রিত দেহভঙ্গি, জড়িয়ে যাওয়া কথাবার্তা, দর্শকদের উদ্দেশে করা মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে দুই বাংলায়। সেই ঘটনার সাফাই দিতেই নোবেল এবার এমন মন্তব্য করলেন, যা শুনে আরও রেগে গেলেন দর্শক।
বাংলাদেশের এক সাংবাদিকের সঙ্গে অডিও সাক্ষাৎকারে নোবেলকে বলতে শোনা গিয়েছে ,'আমি বাংলাদেশের দুই তিনটে ক্লাবের সদস্য। আমার কাছে মদ খাওয়ার লাইসেন্স রয়েছে। গান গাওয়ার আগে ফিলিংস আনার জন্য মদ খাওয়ার দরকার পড়ে। শুধুমাত্র গলা ভেজানোর জন্যই মদ খেয়েছিলাম। কোনও কারণে বেসামাল হয়ে পড়ি। বাংলাদেশের শ্রোতারা আমার বডি ল্যাঙ্গুয়েজে কষ্ট পেয়েছেন, আমি তাঁদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি।'
প্রসঙ্গত সেইদিনের অনুষ্ঠানে নোবেলের অঙ্গভঙ্গি দেখে একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে যান দর্শকেরা। বোতল, জুতো হাতের কাছে যা পেয়েছেন তাই ছুড়ে মেরেছিলেন গায়কের দিকে। নোবেলের সাক্ষাৎকারের অডিও ক্লিপ বর্তমানে ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। নোবেলের যুক্তিতে আরও রেগে গিয়েছেন নেটিজেনরা।
দুটি বিয়ে করার দাবি নিয়ে থানায় হাজির এক মহিলা। কান্নায় ভেঙে পুলিসের পায়ে পড়লেন ওই মহিলা। সম্প্রতি এমন এক ভিডিও ভাইরাল(Viral video) হয় সমাজমাধ্য়মে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, নববধূর বেশে থানায় হাজির হয় এক মহিলা। তাঁর একটাই দাবি, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। কান্নাকাটি করে নববধূ বলেন, 'দুটো বিয়ে করব, দুটো বিয়ে।' জানা গিয়েছে, ওই মহিলা প্রেমিককে বিয়ে করতে চান। কিন্তু তাঁর স্বামীকে তিনি ছাড়তে রাজি নন। মহিলার এই দাবি শুনে থানার পুলিসকর্মীরা তাঁকে থানা থেকে বেরিয়ে যেতে বললে তাতে আরও খেপে যান তিনি। রাগের বশে পুলিসের হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে আছাড় মারেন তিনি।
"Do shaadi karenge Do Shaadi"
— Deepika Narayan Bhardwaj (@DeepikaBhardwaj) March 30, 2023
Woman demands marriage with lover soon after her wedding with a man
Police watches as mute spectators
Feeling so bad for her Husband
EQUALITY ! pic.twitter.com/S6zbiqE731
মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, স্ত্রীর নাম কাজল শর্মা। বিয়ের পর থেকেই প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে বলেন, 'প্রেমিককে বিয়ে করতে চান। একসঙ্গে দু’জনের সঙ্গেই সংসার করতে ইচ্ছুক তিনি।' প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানিয়েছেন, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন।
প্রসূন গুপ্ত: শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। নিয়োগ বিতর্ক ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তুলকালাম চলছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে বন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ আরও অনেক কেষ্টবিষ্টু। নিয়মিত মিডিয়া জগতে এই খবরের প্রাধান্য। এমন অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে যারা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বা দলের পদাধিকারী। এই ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে বিরোধী বিজেপি-বাম আন্দোলনের পথে। ঠিক এই সময়েই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন বাম আমলে কারা চাকরি পেয়েছে এবং তাদের নিয়োগ সঠিক পথে হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। দায়িত্ব বর্তেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর। এরপরেই চিত্র পরিবর্তন হয়েছে এবং 'চিরকুটে চাকরি' নামক কটাক্ষ স্থান পেয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
এক সময়ে বামফ্রন্টের মন্ত্রী তথা বহু যুদ্ধের নেতা সুভাষ চক্রবর্তী বলেছিলেন, 'ভুকা পেটে বিপ্লব আসে না'। দেখা গিয়েছিলো ১৯৮২-র আগে অবধি যারা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন, তাঁদের লড়াই-সংগ্রামে বামেরা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু এই পট পরিবর্তিত হতে শুরু হয় দ্বিতীয় বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর ১৯৮২-তে। ক্ষমতায় আসার আগে এক ধরণের আন্দোলনের ভূমিকা থাকে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর সমস্ত দলের মধ্যে কী দিলাম আর কী পেলামের প্রাবল্য বাড়ে। এরপর সরকারি স্কুল বা কলেজের বেতন বাড়ে কারণ সমস্ত খরচের দায়িত্ব নেয় সরকার নিজেই। অন্য সরকারি বেতন অনেকটাই বেড়ে যায়।
ওই সময় থেকে ২০০৯ অবধি যত সরকারি চাকরি হয়েছে তা পেয়েছে দলের কর্মী নেতা বা তাদের পরিবারের কেউ বলেই তীব্র দাবি তৃণমূলের। অবশ্য এই দাবি এক সময় ছিল কংগ্রেস বা বিজেপিরও। এবার ওই চাকুরিপ্রাপ্তদের নিয়োগের কাগজ খোলা শুরু করেছে বর্তমান সরকার। তাতেই উঠে এসেছে বহু নামের সঙ্গে এক সময়ের সাংসদ-বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলির নাম। যদিও সিপিএম থেকে বলা হয়েছে তাঁকে সঠিক ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি নাকি পরীক্ষা দেননি এবং তার কোনও প্রমাণ নেই বলছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে এমন অনেক প্রাক্তন বাম নেতা জানাচ্ছেন যে আগে চিরকুট দিয়েই কমরেডরা চাকরি পেয়েছেন। যারা পার্টি হোলটাইমার ছিল তাদের পরিবারের অন্য কেউ চাকরি পেয়েছেন। সুজন তাদের অন্যতম জানাচ্ছেন একদা সিপিএম নেতা তথা পিডিএস প্রধান সমীর পুতুতুণ্ডু।
সমীরবাবু জানাচ্ছেন, তিনি নিজেই নাকি সুজন-মিলির বিয়ের এবং চাকরির সাক্ষী। কার্যত কাঁদা ছোড়াছুড়ি শুরু। এনজয় করছে বিজেপি কারণ সামনেই পঞ্চায়েত ভোট।
পোশাকের নিচে স্পষ্ট অন্তর্বাস, সমালোচিত হিনা খান (Hina Khan)। 'ইয়ে রিশতা ক্যায়া কেহেলাতা হ্যায়' ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে জনপ্রিয়তা পান অভিনেত্রী হিনা খান। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। হিনা সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) ছবি আপলোড করলেই, ভক্তরা প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন। কিন্তু বর্তমানে সেই ভক্তরাই তাঁর সমালোচনা শুরু করেছেন। সম্প্রতি মক্কায় উমরাহ করতে গিয়েছিলেন হিনা। সেই ছবিগুলিই বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, তাও আবার জীবনে প্রথমবার এই সফর। একাধিক ছবি দিয়েছেন নেট মাধ্যমে। সেই ছবিতে হিনার পোশাক দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন নেটিজেনরা। ছবিতে দেখা গিয়েছে, সাদা সালোয়ার পরেছেন হিনা। মাথায় পরেছেন সাদা হিজাব।
হিনার পোশাক নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক। তাঁর পোশাক সামান্য পাতলা। পোশাক পরার সময় কেন সতর্ক ছিলেন না হিনা, সেই নিয়েই নেট নাগরিকরা প্রশ্ন তুলেছেন।
শব্দ দূষণ (Sound Pollution) নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ প্রশাসনের? রাজ্য সরকার (Mamata Government) এবং পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (Pollution Control Board) কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মর্মে করা জনস্বার্থ মামলায় এই রিপোর্ট তলব আদালতের। জানা গিয়েছে, এই জনস্বার্থ মামলায় উল্লেখ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের গাইডলাইন এবং পরিবেশ আদালতের নির্দেশকেও মানা হচ্ছে না। বেপরোয়াভাবে চলছে শব্দ দূষণ। এই বিধিভঙ্গে রাজ্য সরকার এবং পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড কী পদক্ষেপ নিয়েছে? সেই মর্মেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের।
মামলায় অভিযোগ, 'কেন্দ্র, রাজ্য এবং সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন এবং পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যজুড়ে যথেচ্ছ ভাবে বাজানো হচ্ছে ডিজে, লাউড স্পিকার, মাইক্রোফোন ইত্যাদি।' এই মামলার প্রেক্ষিতেই আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার এবং পালিউশন কন্ট্রোল বোর্ডকে হলফনামা জমা দিয়ে জানাবে কী কী পদক্ষেপ এযাবৎকাল গ্রহণ করা হয়েছে। কীভাবে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ-সহ কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি কার্যকর করেছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সুপ্রিম কোর্টের ২০০৫ সালে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি ২০০০ সালে লাগু হয়েছে। এই মর্মে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি আছে ২০০৯ সালে।
এবার হাইকোর্টের নির্দেশ, রাজ্যকে জানাতে হবে কলকাতা পুরসভা এলাকায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কতগুলো অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিস কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেটাও হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে। ৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্লাস্টিক (Plastic) সমাজের শত্রু। বারেবারে এই নিয়ে প্রচার থেকে অভিযান, সবই করা হয়েছে কিন্তু ফল তাতেও মেলেনি। সম্প্রতি, প্লাস্টিক ব্যবহারে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। প্লাস্টিক বন্ধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আইন করে জরিমানা (penalty) ধার্যও করা হয়েছে। তা সত্ত্বে এখনও বহু মানুষ অনেকটাই অসচেতন। এমতাবস্থায় উত্তর দমদম (North Dumdum) পুর এলাকায় মানুষ কতটা সচেতন এবং প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে কীভাবে পুরসভা ব্যবস্থা নিচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে বাজারে ঘুরে দেখলেন কেন্দ্র ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অধিকারিকেরা।
এদিন বাজারে ক্রেতা বা বিক্রেতারা ব্যাগ না প্লাস্টিক ব্যবহার করছেন তা খতিয়ে দেখা হয়। বেশ কিছু সময় তা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে প্লাস্টিক নিয়ে পুরসভার ভূমিকার প্রশংসা করেন। উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান জানান, মানুষ প্লাস্টিক নিয়ে বর্তমানে যথেষ্টই সচেতন। তাঁরা আশা করছেন এই পুর-এলাকা কিছু দিনের মধ্যে গ্রিনজোন হিসেবে ঘোষিত হবে।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক শিশির মণ্ডল জানান, আগেই তাঁদের কাছে খবর ছিল প্লাস্টিক বর্জনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে উত্তর দমদম পুরসভা। সোমবার বাজারগুলি ঘুরে তাঁরা সেটাই পর্যবেক্ষণ করেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথেষ্ট সন্তুষ্ট তাঁরা। তাঁরা আশাবাদী আগামীদিনে প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে।