গুলাম নবি আজাদের (Gulam Nabi Azad) পথে হেঁটেই এবার কংগ্রেসের (Congress) গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়লেন আনন্দ শর্মা। সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) পর্যবেক্ষক কমিটির প্রধানের পদ ছাড়লেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দিন কয়েক আগে একইভাবে পদত্যাগ করেছেন গুলাম নবি আজাদ। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রচার কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সভানেত্রীকে চিঠিতে আনন্দ শর্মা লেখেন, তাঁকে না জানিয়েই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এতে আহত হয়েছে তাঁর আত্মসম্মান।
চলতি বছর অক্টোবরে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ২৬ এপ্রিল হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক কমিটির প্রধান পদে বসানো হয় আনন্দ শর্মাকে। ওই রাজ্যে কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা তিনি। ১৯৮২ সালে বিধানসভা ভোটে প্রথম বার জিতেছিলেন। ১৯৮৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। সেই থেকেই রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শর্মা।
এদিকে, বছরের শেষে জম্মু কাশ্মীরে ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। নির্বাচন প্রচার কমিটির সভাপতি পদ ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ। মঙ্গলবার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইস্তফা দিলেন আজাদ। আর আজাদের এই পদক্ষেপের পরেই ইস্তফার হিড়িক জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে। আজাদ অনুগামী হিসেবে উপত্যকায় পরিচিত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন বিধায়ক হাজি আব্দুল রশিদ দারের মতো নেতারা বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। এই সম্ভাবনা উসকে দিয়ে আসন পুনর্বিন্যাস চলছে উপত্যকায়। আর জম্মু-কাশ্মীরের একদা শাসক দল কংগ্রেস সেখানে নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। সেই উদ্দেশে সাত বছর প্রদেশ সভাপতির পদে থাকা মীর জুলাইয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর জায়গার ভিকর রসুল ওয়ানিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করেছেন সোনিয়া গান্ধী।
বছরের শেষে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir Vote) ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। নির্বাচন প্রচার কমিটির সভাপতি পদ ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad)। মঙ্গলবার প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সাংসদকে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইস্তফা দিলেন আজাদ। আর আজাদের এই পদক্ষেপের পরেই ইস্তফার হিড়িক জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে। আজাদ অনুগামী হিসেবে উপত্যকায় পরিচিত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন বিধায়ক হাজি আব্দুল রশিদ দারের মতো নেতারা বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। এই সম্ভাবনা উসকে দিয়ে আসন পুনর্বিন্যাস চলছে উপত্যকায়। আর জম্মু-কাশ্মীরের একদা শাসক দল কংগ্রেস সেখানে নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। সেই উদ্দেশে সাত বছর প্রদেশ সভাপতির পদে থাকা মীর জুলাইয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর জায়গার ভিকর রসুল ওয়ানিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করেছেন সোনিয়া গান্ধী। আর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবিকে দেওয়া হয় নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।
এদিকে, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য গুলাম নবি আজাদ। বহুবার সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের আবেদন করেছেন আজাদ। সেই আবেদন পত্রে সই ছিল বাকি বিক্ষুব্ধ নেতাদের। একটা সময় গুঞ্জন রটেছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গুলাম নবি আজাদকে প্রার্থী করতে পারে এনডিএ শিবির।
কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থীপদ এবং জয়লাভ।
আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পর্বে। এবার উৎসবের মেজাজ দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু ব্যাপক আয়োজনে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই দায়িত্ব নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আবেদনে। দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় পতাকা ঝলমল করছে। ব্যতিক্রম নয় এই রাজ্যও| এজেন্সির চাপ যতই থাক রেড রোড সেজে উঠছে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে। অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রধানমন্ত্রী গোড়ার দিন থেকে লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে থাকেন। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু থেকে এই ট্র্যাডিশন সামনে চলে এসেছে। এবার পালা ফের নরেন্দ্র মোদীর। শোনা যাচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের দিন নাকি অনেক চমক থাকবে লালকেল্লায়| আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিদেশী বহু অতিথিকে। তেরঙ্গায় মুড়ে ফেলা হয়েছে আলোর ঝলকানিতে লালকেল্লা।
স্বাধীনতা দিবসে দীর্ঘদিন কংগ্রেসের একটা ভূমিকা ছিল কারণ মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বকে আজও সম্মান জানানো হয়ে থাকে। প্রথম মন্ত্রিসভায় দু-একজন বাদ দিয়ে জওহরলাল সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন। ইন্দিরা জমানা অবধি সেই ট্র্যাডিশন বজায় ছিল। অবশ্য তারপর বেশিরভাগ নেতাই প্রয়াত হয়েছিলেন বয়সজনিত কারণে।
১৯৭২-এ স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছিল ধুমধাম করে। কারণ তখন সদ্য পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ গঠন করার অন্যতম কারিগর ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সরিয়ে এ রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। কিন্তু এরপর স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনের সরকারি দায়িত্বে ছিল না কংগ্রেসের। কারণ সেই সময় কেন্দ্রে প্রধান শাসক দল হাত শিবির নয়। এবারও কংগ্রেসের ভূমিকা থাকছে না, দায়িত্বে যেহেতু বিজেপি সরকার।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কমিউনিস্টরা ছাড়া আর কারও উৎসব পালনে আপত্তি ছিল না। বামেরা মনে করতো এই স্বাধীনতা মিথ্যা, তারা বলে ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়। আজ অবশ্য বিভিন্ন বামপন্থীরাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন স্কুলে এবার আবার ৭৫ বছর উপলক্ষে বড় করে অনুষ্ঠান হচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে ইন্টারনেটের যুগেও স্বাধীনতা, পূর্ণ স্বরাজ, মাত্রভূমি এবং দেশ মানে নিজের সবকিছু এসব মনে করিয়ে দেওয়ার একমাত্র গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারের।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর কাণ্ডের ছায়া এবার গুজরাতের (Gujarat) আনন্দ জেলায়। অভিযুক্ত কংগ্রেস বিধায়কের জামাই। তাঁর এসইউভি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ছয় জনের। মৃতদের মধ্যে তিন জন মহিলা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। ঘটনার পর কংগ্রেস নেতার (Congress Leader) জামাইকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। ঘাতক গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছেন তাঁরা।
চলতি বছরেই রয়েছে গুজরাতের বিধানসভা ভোট। ফলে এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে গুজরাতের রাজনীতি। পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনন্দ শহরের রাজ্য সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিন কংগ্রেস বিধায়ক পুনমভাই মাধবভাই পারমারের জামাই কেতন পাধিয়ারের গাড়ি বেপরোয়া গতিতে আসছিল। তারপরই একটি অটো ও বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই বাইকে থাকা দু’জন এবং অটো রিকশয় থাকা চারজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন গাড়ির চালক। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃতরা সকলেই সোজিত্রা ও বোরিয়াভি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্ত জামাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। কেতন পাধিয়ারের গাড়ির নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছর ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর গ্রেফতারিকে (Anubrata Arrest) স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বলেন, 'সিবিআইয়ের দেশে গরিমা আছে। তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলছিল মানুষ। তাই সিবিআই সঠিক কাজ করেছে। আইনের আওতায় এনে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাবে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata) প্রশ্রয়ে-আশ্রয়ে একজন মুদির দোকানি থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক।'
এদিন সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'বিড়াল যদি বলে মাছ খাব না, তাহলে কে বিশ্বাস করবে? কয়লা পাচার-কাণ্ডে নাম না জড়ালে কেউ নাম জানত অভিষেকের। আর ওই বৈভবের টাকায় তো শহরজোড়া হোর্ডিং।'
শুধু বিজেপি বাম-নয় সরব ছিল কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'বাংলার এই দুর্নীতি নিয়ে আমরা আগেও বলেছি। এখন যেটা দেখছেন সেটা হিমশৈলের চূড়া।' দেখুন আর কী বললো বাম-বিজেপি-কংগ্রেস।
এদিকে, কোনও অনৈতিক কাজ এবং দুর্নীতিকে তৃণমূল প্রশ্রয় দেয় না। দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দলের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার শাসক শিবিরের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Minister Chandrima Bhattacharya) এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। চন্দ্রিমাদেবী জানান, দলনেত্রী-সহ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর বা মানুষকে যদি কেউ ঠকায়, সেই কাজকে দল সমর্থন করে না। আগে এবং আজও তৃণমূলের এই বিষয়ে অবস্থান একই। মানুষের সমর্থনে তিন বার তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাই মানুষের আশীর্বাদ ছাড়া কোনও সম্পদে তৃণমূলের আর কোনও আগ্রহ নেই।
নেতামন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় বিরোধীদের তরফে কাঠগড়ায় তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রী (TMC Leaders)। এবার সেই আক্রমণ ভোঁতা করতে পাল্টা আসরে রাজ্যের শাসক দল। এই জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্ট (Pil in High court) রায়ের অর্ধেক অংশ তুলে ধরা হচ্ছে প্রচার মাধ্যমে। পুরো কোর্ট অর্ডারে উল্লেখ আছে, বাম-কংগ্রেস (Left-Congress) নেতাদের নামও। যাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও পর্যবেক্ষণ রয়েছে হাইকোর্টের। আর সেই তালিকায় নাম আছে সূর্যকান্ত মিশ্র, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য এবং অধীর চৌধুরীর মতো বিরোধী দলের নেতারা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
যদিও তৃণমূলের তরফে তোলা এই অভিযোগ খণ্ডন করেছেন অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা পার্টিকে বেতনের টাকা দিই, তার বিনিময়ে পার্টি আমাদের একটা লেভি দেয়। আমাদের ব্যক্তিগত কোনও রোজগার নেই। আর ওরা একটা সিআইডি তদন্ত করুক, তাতেই বেড়িয়ে যাবে আমার কত সম্পত্তি বেড়েছে। ব্রাত্য বসু একদম নতুন ওর অনেক আয়ের উৎস।'
তিনি জানান, তৃণমূল মানে সবাই চোর। পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোর। বাম জমানার অপর এক মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব, 'কোর্ট কি এই নামগুলো বলেছে? তাহলে চোরেদের পার্টি কী অভিযোগ করল, তার জবাব কেন দেব? সিপিএম পার্টি সেই ধাতুতে গড়া নয়।'
তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আরও আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে আরও যা নাম আছে কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রধান আরও যারা নেতা আছে ওদের তাঁদের নাম দেব। আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়লাম ব্রাত্য বসুকে। সূর্যকান্ত মিশ্র, জ্যোতি বসু এঁদের নাম নিচ্ছেন, ওরা কোর্টে গিয়ে হলফনামা দিয়ে সিপিএম নেতাদের সম্পত্তি খুঁজতে ইডিকে পার্টি করুন। সাহস আছে, ইডিকে পার্টি করার? কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। রায়ে ওদের ১৯ জনের নাম আছে, রায় আর পিটিশনের তফাৎ বুঝতে হবে।'
যদিও এই বিষয় বিচারাধীন বলে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিজেপি।
পাঁচ বছরে নেতা-মন্ত্রীদের ব্যাপক সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset) কীভাবে? এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে (ED) যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই নেতা-মন্ত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে শুধু তৃণমূলের (TMC) ১৯ জনের। এই প্রচার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক-সহ ওই ১৯ জন। এবার বিরোধীদের আক্রমণ ভোঁতা করতে আসরে শাসক শিবির। বুধবার বিধানসভায় একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, শিউলি সাহা প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের একটা অংশ তুলে ধরা হচ্ছে। বাকিটা সামনে আসছে না। বুধবার মহামান্য প্রধান বিচারপতির সেই রায়ের কপি আপলোড করেছে। সেই কপি দেখেই এই সাংবাদিক বৈঠক। তাঁদের দাবি, 'সম্পত্তিবৃদ্ধির নিরিখে শুধু শাসক দল নয়, বাম, কংগ্রেস নেতাদের নাম রয়েছে আদালতের কপিতে।'
এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'চক্রান্ত করে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। আমি ছোটবেলা থেকে ব্যবসা করছি, সেই টাকা দিয়ে মানুষের কাজ করেছি এবং তার থেকেই ব্যক্তিগত সম্পত্তি করেছি। অনেকে রোজগারের টাকায় করে, আমি ব্যবসা করে করেছি। এতে অন্যায়ের কী আছে? মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে।'
তিনি জানান, একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি নাকি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? তাহলে তো আয়কর দফতর ধরতে পারতো। অদ্ভুত লাগে এই মামলায় কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে অর্ধসত্য প্রকাশিত হচ্ছে।
সূর্যকান্তবাবুকে বলছি। জ্যোতি বসু আসার আগে চন্দন বসুর নাম শুনিনি। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। অমিত শাহর ছেলে জয় সাহা আছেন।
ব্যবসা করছেন, সম্পত্তি বেড়েছে। আমি সুজনবাবুকে বলি, সিপিএম-এর ছেলেদের জিজ্ঞাসা করুন চেতলায় আমার নামে কোনও অভিযোগ আছে কি না? শুধু তৃণমূলের নেতাদের নাম নেবেন। আর কারও নাম নেবেন না, সেটা ঠিক নয়।
এই জনস্বার্থ মামলায় সম্পত্তিবৃদ্ধির তালিকায় নাম এসেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও। এদিন তিনিও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোর্ট পর্যবেক্ষণের একটা অংশ তোলা হচ্ছে। পুরো কোর্টের রায় আমরা তুলে ধরছি। নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে যে মামলা, সেই তালিকায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য,
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, তরুণকান্তি ঘোষ,
চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতদের। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল প্রত্যেকের নাম আছে। কিন্তু সিপিএম, কংগ্রেস টানা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করে যাচ্ছে। এটা ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনীতিবিদ মানে সমাজের কাছে ভিলেন, মানুষের শত্রু, এমন উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে। এর শেষ কোথায়?'
ব্রাত্য বসু জানান, আমরা দলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবো। ২০১৬ সালে বিরোধীদের এমন কোনও প্রার্থী নেই, যিনি ২০২১-এ জিতেছেন। এঁরা যদি আবার ২০২৬-এ লড়েন, সে সময় তাঁদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হোক। আমরা নজর রাখবো।
রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, 'এই মামলাতে আয়কর দফতরের একটা ফাঁক আছে। আমাদের এখন যা সম্পত্তি আছে, তার মূল্য দিনের পর দিন বাড়বে।
রাষ্ট্রপতি হোক বা কেন্দ্রীয় সংস্থা, প্রত্যেককে বিজেপি ব্যবহার করছে।
এখানেই থামেননি তৃণমূল ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমরা। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এসব নিয়ে কুৎসা করব না, আবার গান্ধীগিরিও করব না। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।