
প্রসূন গুপ্ত: প্রায় ২৫ বছর ধরে বেসরকারি চ্যানেলে কোনও রাজ্য বা দেশের ভোটের আগে পরে ওপিনিয়ন পোল বা ভোটের আগের সমীক্ষা এবং ভোট শেষ হলেই এক্সিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষা তুলে ধরা হয়। এখন প্রশ্ন থাকে কি করে এই আগাম ফলের চিত্র চ্যানেলগুলি তুলে ধরছে? জানা যায় যে, ভোটদানের পরে নাকি নানান প্রশ্ন করে ভোটদাতাদের কাছ থেকেই এর উত্তর পাওয়া যায়। এবারে ফল জানাতে গিয়ে অনেকটা শেয়ার বাজারের মতো তারা বলে যে, এই ফলাফল সর্বদা যে সঠিক হবে এমন গ্যারান্টি নেই। তা যাই হোক না কেন কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অনেক সময়েই এই আগাম ফল বাস্তবে পরিণত হয়েছে, আবার তাদের সকলকেই বোকা হতেও হয়েছে। একেবারে উল্টো ফল হয়েছে। তবে মনে করি সারা ভারতে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায় এই এক্সিট পোল। কারণ আমাদের রাজ্যে সেই বাম আমল থেকে ভোটারদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সরকারের প্রতি দীর্ঘসূত্রী আনুগত্য যা বামেরা পেয়েছে এবং সরকার বিরোধী ভোট। ব্যতিক্রম হয়েছিল ২০১১-তে যেবার মমতা ক্ষমতায় এসেছিলেন।
ইদানিং মোদী জমানায় দেশের সিংহভাগ চ্যানেল তাদের আনুগত্য কেন্দ্রের প্রতি রেখে খবর কর। কাজেই গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই এক্সিট পোল সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। এইতো এ বছরের গোড়ায় কর্ণাটক নির্বাচনে অনেকেই কংগ্রেসকে কিছুটা এগিয়েও জনতা দল (এস) ফ্যাক্টর হবে জানিয়েছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেলো বিপুল আসন পেয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলো এবং জনতা দল প্রায় নিঃশেষিত হয় গেলো। এবারে মানুষের নজরে ছিল সদ্য সমাপ্ত হওয়া ৫ রাজ্যের এক্সিট পোলের দিকে। বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানার ভোটপর্ব শেষ হতেই আধা ডজন ন্যাশনাল চ্যানেল এক্সিট পোল বের করলো। কিন্তু অদ্ভুতুড়ে এই ফলের নমুনা। একেক চ্যানেল একেক রকম ফল দেখাচ্ছে। কোথাও ছত্রিশগড়ে দেখাচ্ছে ফের কংগ্রেস আসছে আবার কেউ দাবি করছে বিজেপি ০.৫ শতাংশ ভোট এদিক ওদিক হলে ক্ষমতায় চলে আসবে। মধ্যপ্রদেশ নিয়েও একই মত। দুটি সংস্থা দাবি করছে বিজেপির বিপুল জয়, আবার ৪টি সংস্থা বলছে না কংগ্রেস কোনওক্রমে চলে আসবে। একই হিসাব রাজস্থান নিয়েও। ৪টি সংস্থা দেখাচ্ছে বিজেপি আসছে আবার দুটি সংস্থা বলছে কংগ্রেস শেষ মুহূর্তে বাজিমাত করবে। কাকে ভরসা করবে মানুষ?
লোকসভা ভোটের আগে পাহাড় রাজনীতিতে ফের রং বদল। রবিবার কালিপঙে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা বিনয় তামাং। এদিন স্থানীয় টাউন হলে বিনয়ের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী লোকসভা ভোটে পাহাড়ে বিনয়ের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হল। বিনয়ের সঙ্গেই এদিন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন হরকা বাহাদুর ছেত্রীও।
জিটিএ তৈরি হওয়ার পর বিনয়ই ছিলেন তার প্রথম চেয়ারম্যান। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে তৃণমূলেও যোগ দিয়েছিলেন। গত বিধানসভা ভোটে পাহাড়ে তৃণমূলের হয়ে প্রচারও করেছিলেন। সেই বিনয়কে দলে টেনে লোকসভার আগে চমক দেওয়ার চেষ্টা করল কংগ্রেস।
নতুন রাজনৈতির কেরিয়ার শুরু করে অবশ্য মুখ খোলেননি বিনয়। বরং পাহাড় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিনয়ের পাশে থেকে আগামী দিনে পাহাড়ে কতজন কংগ্রেসের যোগ দেবেন, তা দেখার বিষয় হতে চলেছে। কারণ, সুবাস ঘিসিং থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাজনৈতিক জীবনে সবার হাতই ধরা হয়ে গিয়েছিল বিনয়ের। বাকি ছিল অধীরের। সেটাও রবিবার ধরে ফেললেন।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই ভোট শুরু হল ২০০ আসনের রাজস্থানে। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই রাজ্যে পালাবদলের দস্তুর। তাই রাজনৈতিক মহল, এবারও তাকিয়ে মরুরাজ্যের দিকে। লোকসভা ভোটের আগে এই রাজ্য চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে। চ্যালেঞ্জ কংগ্রেসের কাছেও। পাঁচ বছর আগে ১০০ আসন জিতে জয়পুরে মসনদের বসেছিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান অশোক গেহলট। এবার তাঁর দিকেই তাকিয়ে দিল্লি।
২০০ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের প্রার্থী ১৯৮ জন। বিজেপি এবার প্রার্থী দিয়েছে ১৯৯ আসনে। ভোটের আগে বেশ কিছু জনমত সমীক্ষায় পালাবদলের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ঝালরাপাটন কেন্দ্রে বিজেপির মুখ বসুন্ধরা রাজে। এছাড়া বেশ কয়েক সাংসদকেও বিধানসভার ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর।
গত বছর হিমাচলে ক্ষমতায় থেকেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। এবার রাজস্থানে কংগ্রেসের ভাগ্য সেইদিকে বাঁক খাবে ? ডিসেম্বর মাসের তিন তারিখ ইভিএমের বাক্স খুললে সেটা বোঝা যাবে। তার আগে কড়া নিরাপত্তায় ভোট চলছে রাজস্থানে।
এর আগেও একাধিকবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। এবারে ফের তাঁকে কড়া জবাব দিল বিজেপি। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের নেপথ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এমনটাই দাবি করেছিলেন রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয়, তাঁকে 'অপয়া' তকমাও দিয়েছিলেন। এবারে এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিল বিজেপি। এবারে রাহুলকে 'টিউবলাইট' (Tubelight) বলে আখ্যা দিল গেরুয়া শিবির।
Fuse Tubelight pic.twitter.com/SQax9wdZhQ
— BJP (@BJP4India) November 24, 2023
শুক্রবার বিজেপ তাদের এক্স হ্যান্ডেলে সলমান খানের এক ছবির পোস্টার পোস্ট করেন, তবে সেখানে সলমানের বদলে মুখ রয়েছে রাহুল গান্ধীর। ছবিতে লেখা 'ইন অ্যান্ড অ্যাজ টিউবলাইট'। শুধু তাই নয়, পোস্টারে আবার লেখাও রয়েছে, 'মেড ইন চায়না'। পোস্টের ক্যাপশনে আবার লেখা,'ফিউজ টিউবলাইট'।
বিশ্বকাপে ভারতের হারের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করে চলেছেন রাহুল গান্ধী। অপয়া মন্তব্য করতেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও নেয় নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস নেতাকে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এর পর বিজেপির তরফ থেকেই তাঁকে এই ছবি পোস্ট করে কটাক্ষ করতে দেখা গেল।
প্রসূন গুপ্ত: বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা। সকাল থেকেই কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ অবধি বিভিন্ন স্তরের নেতা মন্ত্রী ও কর্মীদের ভিড় লক্ষ করার মতোই ছিল। পুজোর দিনগুলি শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও বাণিজ্য মেলা কখনও দলের সর্বোচ্চ নেত্রী হিসাবে জনসভা করা শুরু করে দিয়েছেন। মঙ্গল ও বুধবার ছিল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। দেশ বিদেশের ব্যবসায়ী , শিল্পপতিদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এই শিল্পমেলায় প্রধান আকর্ষণ ছিলেন দেশের সবচাইতে বড় বাণিজ্যপতি মুকেশ আম্বানি। আগামীতে তিনি যে পশ্চিমবঙ্গে কয়েক হাজার কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আজ সেই প্রতিশ্রুতিই তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরলেন মমতা।
রাজনৈতিক মঞ্চে তাঁর রীতি অনুযায়ী ঝোড়ো বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজকে যথারীতি তাঁকে ২১ জুলাইয়ের মুডে পাওয়া গেলো।অনুষ্ঠানে বক্তা হয়তো অনেকেই ছিলেন কিন্তু মূল আকর্ষণ যে তিনি এবং তাঁর উপস্থিতির কারণেই যে প্রবল ভিড় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কিছু নতুন মোড়কে পুরোনো বাম আক্রমন ছিল লক্ষণীয়। মমতা বিলক্ষণ জানেন যে আজকের বিরোধী বলতে যে বিজেপি এবং তাদের বিধায়ক সংখ্যা তা আদতে সিপিএমের ভোট। কিন্তু বিরোধিতায় থাকায় গত কয়েক বছর তাঁর ভাষণের মূল আক্রমণ থাকতো বিজেপিই। তিনি বললেন ও বিস্তর। ১০০ দিনের কাজ থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি তো ছিলই , যুক্ত করলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ। জানালেন, মিডিয়া থেকে বিরোধীদের ভয়ে রেখেছে বিজেপি। তিনি বললেন যে, দেশের বিরোধীদের চোর বানানোর পরিকল্পনা চলেছে যদিও কয়লা থেকে গরু পাচারের টাকা যাচ্ছে বিজেপির প্রশাসনের হাতেই। ওদিকে এদিন ইন্ডোরের সভা থেকেই মহুয়া প্রঙ্গে মুখ খুলে একার্থে কৃষ্ণনগরের সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা।
তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো, আজকের ভাষণে তিনি নিয়ে আসলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হেনস্তা করার ঘটনা। নিয়ে আসলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ তাদের মতোই অশোক গেহেলত সহ বিভিন্ন কংগ্রেস নেতাদের হেনস্তার ঘটনা। এরপরেই তুমুল সমালোচনা করলেন সিপিএমের। শুনে মনে হচ্ছিলো মমতা ফিরে গিয়েছেন ২০১১ র আগের মুডে। তুলোধনা করলেন সিপিএমকে। এর অবিশ্যি অন্য কারণ, তাঁর দলের সমর্থক কর্মীরা সোশ্যাল নেটে যে ভাবে সিপিএমকে আক্রমণ করে তা পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন না মমতা। দেখার বিষয় আসন্ন লোকসভায় কে থাকবে তাঁর জোটসঙ্গী।
আগামী ৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) বিধানসভা নির্বাচন। ফলে ভোটমুখী রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের বিজ্ঞাপনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানকে। ফলে কংগ্রেসের বিজ্ঞাপনের ভিডিওতে কার্তিককে দেখেই জল্পনা তুঙ্গে। তিনি কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করছেন কিনা, সেই নিয়েই একাধিক প্রশ্ন কার্তিক অনুরাগীদের মনে। তবে এই নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেতা।
Famous Bollywood actor Kartik Aryan extends his support to Congress in Madhya Pradesh assembly election.#KartikAryan #kamalnath #Congress #MPElection2023 #PriyankaChopra #ShameOnYouZaka #SalmanKhan pic.twitter.com/hJC5gRtG5V
— know the Unknown (@imurpartha) October 30, 2023
কমলনাথের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বিজ্ঞাপনে দেখা যায় 'ভুলভুলাইয়া টু'-র নায়ক কার্তিককে। এইভাবে কোনও বলিউড তারকাকে দিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রচার করতে দেখা যায়নি কোনও দলকে। ফলে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় জল্পনা। ভিডিওতে উঠে এসেছে কংগ্রেসের বেশ কিছু জনমুখী প্রকল্পের কথা। কার্তিক আরিয়ান এই বিজ্ঞাপনে নিজেকে কংগ্রেসি বলেও পরিচয় দিতে দেখা গিয়েছে। কৃষকদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব, ২ লক্ষ সরকারী চাকরি, মহিলাদের প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা ভাতা, বয়স্ক-আদিবাসীদের জন্য বিশেষ সুবিধার কথা কংগ্রেসের এই বিজ্ঞাপনে তুলে ধরা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের শেষে বলা হয়েছে, দুঃখের দিন এবার শেষ হবে, কারণ ৩ ডিসেম্বর কমলনাথই আসবেন।
কিন্তু কার্তিককে নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই অবশেষে এই রহস্যের সমাধান করলেন তিনি। তিনি ভিডিওকে একেবারেই ভুয়ো বলে ব্যাখ্যা করলেন। কার্তিক তাঁর এক্স হ্য়ান্ডেলে আসল ভিডিও শেয়ার করে বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেসের ভিডিওটিতে তাঁর এক অন্য বিজ্ঞাপনী ভিডিওর কিছুর অংশ এডিট করা হয়েছে। ডিজনি-হটস্টারের সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন কার্তিক।
কেন্দ্রীয় সংস্থার জালে শাসকদলের আরও এক মন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর গ্রেফতার হন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুর রহমান নামে এক রেশন ডিলার গ্রেফতার হওয়ার পরই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নাম সামনে আসে।তারপরই কার্যত নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারীকরা।
শুক্রবার কাকভোরে ইডির হাতে গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয়। আর তারপর থেকেই উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। সোমবার খাদ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে দক্ষিণ কলকাতা কংগ্রেস। তাদের দাবি শুধু জ্যোতিপ্রিয় নয়, এবার এই চক্রে আরও যারা যারা যুক্ত আছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। এটি একটি সংগঠিত অপরাধ। অনেকেই এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। বিক্ষোভস্থল থেকে আওয়াজ তোলেন কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়।
লোকসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ার জন্য বিরোধী জোটের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কংগ্রেসের কাছে এই বিষয়টি চূড়ান্ত করা নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু তৃণমূলই নয়, এখনই আসন বণ্টনের বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাইছে জেডিইউ, আর জে ডি এবং আপও।
যে রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে খুব একটা জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই সেই রাজ্যগুলিতে আসন রফার বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। সেক্ষেত্রে প্রায় ৩০০টি আসন সমঝোতা সম্ভব হবে। এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বাকি আসনগুলির ক্ষেত্রেও রফা করে নেওয়া হবে।
গত মাসে কেন্দ্রের বিরোধী রাজনৈতিক জোট মঞ্চ ইন্ডিয়ার বৈঠক হয়। সেখানে স্থির হয়েছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। কিন্তু সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরের মাঝামাঝি হয়ে গেলেও এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিরোধীরা।
এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে কী হতে পারে?
সিপিএম এবং কংগ্রেস বিরোধী জোট মঞ্চে থাকলেও এরাজ্যে সবথেকে শক্তিশালী দল হিসেবে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে বাংলায় আসন সমঝোতার দায়িত্ব তৃণমূলের উপরেই বর্তাচ্ছে। এর আগে একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাবার্তায় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, সর্বোচ্চ দুটি আসন ছাড়া হতে পারে বিরোধীদের। যদিও এত সহজে চিড়ে ভিজবে বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মাদক মামলায় (Drug Case) গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক (Congress MLA) সুখপাল সিং খইরা (Sukhpal Singh Khaira)। বৃহস্পতিবার সকালে চণ্ডিগড়ের সেক্টর ৫-এর বাংলোতে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর তাঁকে আজ গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিস। জানা গিয়েছে, পুরনো এক মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেই নারকোটিক্স অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনে মামলা ছিল। ওই পুরনো মামলার সূত্র ধরেই এ দিন সকালে জালালাবাদ পুলিস তাঁর বাংলোতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন সুখপাল সিং খইরার বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় ফেসবুকে লাইভ করেন তিনি। সেই ভিডিও-তে দেখা যায়, তিনি পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গ্রেফতারির কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন জালালাবাদের ডিএসপিকে বলতে শোনা যায়, মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সুখপাল দাবি করেন, এই মামলা অনেকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তাহলে গ্রেফতারি কীভাবে সম্ভব? এর পর তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তিনি আরও জানান, তাঁর এই গ্রেফতারির পিছনে 'রাজনৈতিক স্বার্থ' জড়িয়ে রয়েছে।
কখনও সবজি মান্ডিতে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কখনও মোটর মেকানিকের দোকানে গিয়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে গাড়ি সারাতে বসেছেন, আবার কখনও বাইক নিয়ে লাদাখে গিয়ে সেখানকার জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। হ্যাঁ, কথা বলা হচ্ছে, কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিয়ে। 'ভারত জোড়ো যাত্রা' দিয়ে শুরু, এর পর থেকে তাঁকে একাধিক জায়গায় গিয়ে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে। আর এবারে সরাসরি উঠে পড়লেন ট্রেনের (Train) জেনারেল কামরায়। শুধু ট্রেনে চাপেননি, ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে পাশাপাশি বসে কথাও বলেছেন রাহুল। তাঁর ছবি কংগ্রেসের তরফে শেয়ার করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সূত্রের খবর,দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাহুল গান্ধী বর্তমানে ছত্তিশগড়ে। কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে 'আওয়াস ন্যায় সম্মেলন' উদ্বোধনের পর সোমবার ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর থেকেই বিলাসপুর-ইটওয়ারি ইন্টারসিটি ট্রেনে সওয়ার হয়ে রাজধানী রায়পুর যান রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল-সহ রাজ্য কংগ্রেসের ইন-চার্জ কুমারী সেলজা ও রাজ্য ইউনিট চিফ দীপক বৈজ।
কংগ্রেসের তরফে যে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের জেনারেল কামরায় উঠে পড়েছেন রাহুল। এর পর তাঁকে যাত্রীদের সঙ্গে একই আসনে বসে যেতে দেখা যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে, এমনকি তাঁদের অটোগ্রাফ দিতেও দেখা যায়। আবার ট্রেনের যে কামরায় রাহুল ছিলেন, সেখানে রাজনন্দগাঁওয়ের কয়েকজন মহিলা হকি খেলোয়াড়ও ছিলেন। ফলে তাঁরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন। এককথায় রাহুল গান্ধীকে ফের জনগণের সঙ্গে সাধারণ মানুষের মতো মিশে যেতে দেখা যায়।
প্রসূন গুপ্তঃ অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন তাঁদের 'ইন্ডিয়া' জোটের অন্যতম সঙ্গী কংগ্রেসকে লোকসভা নির্বাচনে সঙ্গী হিসাবে চান। পরিষ্কার বার্তা এটাই যে, জোট ফর্মুলা মেনে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাথী হিসাবে চান কিন্তু কোনও ভাবেই সিপিএমকে নয়। এবারে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতেই পারে যে সিপিএমও তো জোটের বিভিন্ন বৈঠকে গিয়েছে তবে কেন ছুৎমার্গ? অভিষেক এই বিষয়ে একটি কথায় জোর দিয়েছেন যে কংগ্রেসকে নিয়ে তাঁদের কোনও ছুৎমার্গ নেই, কিন্তু সিপিএমের সঙ্গেও জোট করার প্রশ্ন নেই।
অভিষেক এখন মোটামুটি তৃণমূল দলের দায়িত্বে আছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর কথাই চূড়ান্ত হিসাবে গ্রহণীয় তা দলের কর্মী নেতাদের কাছে পরিষ্কার। পাঠকদের নিশ্চই মনে আছে মুম্বই বৈঠকের আগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একেবারে ভোরে তাঁর দিল্লিতে বৈঠক হয়েছিল ১০ নম্বর জনপথে। বৈঠকের সারাংশ নানান মিডিয়া নানান ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। অতি সক্রিয় কিছু পোর্টাল বা কংগ্রেসের কিছু বামঘেঁষা নেতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল যে, নেহাতই অভিষেকের আবেদনে রাহুল সারা দিয়েছেন। আদত ঘটনা তা মোটেই ছিল না। রাহুল এবং অভিষেক গোপন বৈঠকে জোট পদ্ধতি বা কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ ইত্যাদি নিয়েই কথা বলেছিলেন। পরে তা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গের প্রেস বৈঠকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
এটা আমাদের আগের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল যে, সিপিএম তৃণমূলের জোট হওয়া অসম্ভব এবং ক্ষেত্র বিশেষে কংগ্রেসের সঙ্গেও জোট সম্ভব নয়। এরপরেই ঝোলা থেকে বিড়াল বের করে সিপিএম জানালো যে, তারা জোটের সমন্বয় কমিটিতে থাকছে না। শেষ বক্তব্যে বাকি শরিকরা যে বিরক্ত তা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের একটা অংশ মনে করে সিপিএমের বর্তমান রাজনৈতিক শক্তি একেবারেই নামমাত্র। যতটুকু যা অবশিষ্ট তা রয়েছে কেরালায়। কাজেই পশ্চিমবঙ্গে খামোকা তাদের সাথে থেকে লাভ কি বরং তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে বিজেপির আসন কমবে এবং কংগ্রেসের আসন আসতে পারে অতএব সিপিএমের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াও। অবিশ্যি রাজ্য কংগ্রেসে কৌস্তভ বাগচীর মতো কেউ কেউ আছেন যাঁরা মোটেই তৃণমূলের জোট চান না। কার্যক্ষেত্রে কৌস্তভেরই ডানা ছাটা পড়েছে। বার্তা অবশ্যই দিল্লির হাইকমান্ডের।
কোন ফর্মূলা এবং কত আসন নিয়ে ইন্ডিয়া জোট আগামী লোকসভা ভোটে লড়াই করবে, তা ঠিক হয়ে যাবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই। এমনটাই ইঙ্গিত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে পাঁচ রাজ্যে ভোট। সেই ভোটেও লড়াই করবে ইন্ডিয়া জোট।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা যেমন চলছে, তেমনই চলবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ইস্যুতে এখনও অনড় কংগ্রেস। তাই আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ইন্ডিয়া। অভিষেকের দাবি, ঠিক সময়ে রফা সূত্র বেরিয়ে আসবে।
আগামী বছর মার্চ মাসের আগেই হয়তো ঘোষণা হতে পারে লোকসভা ভোটের দিন। বিরোধীদের আশঙ্কা, ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের পরেই দেশে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে। কারণ, বিজেপি চাইবে রামমন্দির উদ্বোধনের ফায়দা তুলতে। অভিষেক মনে করেন, বিজেপি এই পথে হাঁটতে তাতে ইন্ডিয়া জোটের সুবিধা হবে।
ওবিসিকে তালিকা ভুক্ত করে অতি দ্রুত মহিলা সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ সনিয়া গান্ধী। বুধবার লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রাক্তন সভানেত্রী। সনিয়ার দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই বিল নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। এবার সময় এসেছে, এই বিলকে আইনে পরিণত করা।
এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসলেন সনিয়া। তিনি জানান, ভারতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্বামী রাজীব গান্ধী। কিন্তু রাজ্যসভায় সাত ভোটে হেরে গিয়ে সেই বিল আটকে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই বিল আইনে পাস করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস এখনও এই বিলকে সমর্থন করে বলেও জানান সনিয়া গান্ধী। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁর অনুরোধ আর দেরি না করে এই বিল আইনে পরিণত করার সময় এসেছে। সনিয়ার পর এই বিলকে দ্রুত আইনে পাস করাতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝিও।
চলতি মাসের ১৯ তারিখ নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন। তার জন্য সংসদের কর্মীদের জন্য পদ্ম ফুলের নকশা দেওয়া বিশেষ পোশাক তৈরি করা হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। কংগ্রেসের অভিযোগ, সংসদ ভবনের পোশাক তৈরির ক্ষেত্রেও নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করেছে বিজেপি।
নয়া সংসদ ভবনের কর্মীদের জন্য পোশাক তৈরি করেছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি। নেহেরু জ্যাকেট এবং খাকি রঙের প্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। গোলাপি রঙের পোশাকে রয়েছে পদ্মফুলের নকশা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পাশাপাশি বদল করা হয়েছে মর্শালদের পোশাকও।
পোশাক বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুরের বক্তব্য, সংসদের পোশাকে বাঘ বা ময়ূরের বদলে পদ্মফুলকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। বিজেপির প্রতীকের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
কখনও অপহরণ, কখনও হুমকি বা খুন। কংগ্রেস কর্মীরা বাধ্য হচ্ছে তৃণমূলে যোগ দিতে। এমনই অভিযোগ করে, পরিস্থিতি বদলানোর দাবি জানিয়ে মমতাকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী বিরোধী সদস্যদের বিশেষ করে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের কখনও অপহরণ করা হচ্ছে বা কখনও খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ এমনকী পুলিশ দিয়েও নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। এই পরিস্থিতির বদলাতে মমতার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রবিবারের চিঠিতে একইসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী লিখেছেন, 'এই ভয়-ভীতি এবং হুমকির সম্মুখীন হয়ে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন।'
চিঠিতে অধীরের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের সময় থেকে ভোটের সময় এবং ভোটের পরে বাংলায় সন্ত্রাস ও রক্তক্ষয়ের ঘটনা সকলের জানা। কিন্তু নির্বাচনের পর ফলাফল ঘোষণার পরে যখন বোর্ড গঠনের সময় আসছে তখনও একই ধরনের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছে এই রাজ্যে। সে সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সম্মানীয় সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
চিঠিতে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, "এক দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও এই রাজ্যে আপনার দল যেভাবে নির্বাচনে জেতার পথ অবলম্বন করছে, তা কি কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে উপযুক্ত? " এর পাশাপাশি তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, "এক দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও এই রাজ্যে আপনার দল যেভাবে নির্বাচনে জিততে যে ধরণের পথ অবলম্বন করছে, তা কি কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে উপযুক্ত?" অধীরবাবু এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যেভাবে সম্পত্তি ও প্রাণহানির ভয় দেখিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের দ্বারা চাপ সৃষ্টি করে, খুনের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলে যোগদানে বাধ্য করার অপচেষ্টা চলছে সে বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন তাঁর চিঠিতে।