
আদালত অবমাননা মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে উত্তর দেওয়ার আরও সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের করা মামলায় আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে রাজীব সিনহার (Rajiv Sinha) বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশ না মেনে অবমাননা করা হয়েছে বলেই পর্যবেক্ষণ ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে রুল জারি হয় ও আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ আদালত অবমাননার রুলের উত্তর দিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিল রাজীবকে।
আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ২৪শে নভেম্বর সশরীরে হাজিরা দিয়ে আদালত অবমাননার বিষয়টি ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু এদিন অর্থাৎ শুনানির দিন রুলের উত্তর দেওয়ার জন্য সময়ের আর্জি জানালে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তাঁকে সময় দেয়। এছাড়াও জানানো হয়েছে, হলফনামার মাধ্যমে তাঁকে দিতে হবে উত্তর।
এদিন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রুলের উত্তর দিতে আরও সময় দেওয়া হল নির্বাচন কমিশনারকে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হল কমিশনারকে। তার মধ্যে তাঁকে উত্তর দিতে হবে। ৮ জানুয়ারির মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে। ওই দিন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে প্রয়োজনে ফের তাঁকে হাইকোর্টে ডাকা হতে পারে এমনটাই জানিয়েছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থেকে আদালতের একাধিক নির্দেশ অবমাননা করেছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বিরুদ্ধে এমনটা দাবি করেই আদালতে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী নেতারা আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলেই পর্যবেক্ষণ ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
কামদুনি কাণ্ডে (Kamduni Case) 'সুবিচার' পেতে দিল্লি এসেছেন মৌসুমী-টুম্পা সহ প্রতিবাদীরা, সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। বুধবার দিল্লি (Delhi) পৌঁছনোর পরই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় জাতীয় মহিলা কমিশনের অফিস যান তাঁরা। সেখানে গিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনারের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, রেখা শর্মা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন যে, পুজোর পর তিনি কামদুনি যাবেন ও জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফেও প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে সেখানে। এছাড়াও সেখানকার মহিলাদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পরই নির্ভয়ার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। এর পরই আজ যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেছেন নির্যাতিতার পরিবার।
বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার সঙ্গে দেখা করেন মৌসুমী, টুম্পারা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। জাতীয় মহিলা কমিশনে স্মারকলিপি জমা করেন প্রতিবাদীরা। তাতে জানানো হয়, কীভাবে ২০১৩ সালে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এর পর দোষীদের কলকাতা হাইকোর্টে খালাস করে দেওয়া হয়। এসব সমস্ত কিছু লেখা রয়েছে স্মারকলিপিতে। এর পরই সাক্ষাৎ হয় নির্ভয়ার মায়ের সঙ্গেও। 'কামদুনি যাতে বিচার পায়, সেজন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করব। জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছেও অনুরোধ করব', আশ্বাস নির্ভয়ার মায়ের।
ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এদিন রাজ্য সরকার এবং সিআইডি-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। দ্রুত শুনানির জন্য আজ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটি মেনশন করা হবে বলে সূত্রের খবর।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরাম রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দিল্লির নির্বাচন সদনে সাংবাঠিক বৈঠক করে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। রাজ্যগুলির মধ্যে মিজ়োরাম বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ১৭ ডিসেম্বর। বাকি রাজ্যগুলিতে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে জানুয়ারিতে।
১৭ নভেম্বর এক দফায় ভোট গ্রহণ মধ্যপ্রদেশে। রাজস্থানেও এক দফায় ২৩ নভেম্বর ভোট গ্রহণ। তেলঙ্গানায় ভোট হবে ৩০ নভেম্বর। মিজ়োরামেও এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে ৭ নভেম্বর। ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মধ্যে কেবল ছত্রিশগড়ে হবে দু’দফায় ভোট। ৭ নভেম্বর এবং ১৭ নভেম্বর। সব রাজ্যের ভোটের ফলঘোষণা হবে ৩ ডিসেম্বর। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে ভোটপ্রক্রিয়া।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ রাজ্যের মোট ৬৭৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এ বার নতুন ভোটারের সংখ্যা ৬০ লক্ষ। মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬.১ কোটি। কমিশনার জানিয়েছেন, পাঁচ রাজ্যেই নারী-পুরুষ লিঙ্গ অনুপাত ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। পাঁচ রাজ্যের প্রতিটিতে ক’জন মহিলা প্রার্থী রয়েছেন, তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে সাংবাদিক বৈঠকে। নির্বাচনী প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে পাঁচটি রাজ্যে গিয়েই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। বেড়েছে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও। মিজ়োরামে থাকছে ১,২৭৬টি ভোটকেন্দ্র। ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং তেলঙ্গানায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা যথাক্রমে ২৪,১০৯, ৬৪,৫২৩, ৫১,৭৫৬, ৩৫,৩৫৬।
খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার খুনের ঘটনার পর ক্রমেই বাড়ছে বিতর্ক। যার জেরে বাড়ছে ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার অভিযোগ। এবার তার আঁচ ব্রিটেনেও।
স্কটল্যান্ডের গুরুদ্বারে প্রবেশের মুখে খালিস্তানিদের বাধার মুখে পড়লেন গ্রেট ব্রিটেনের ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। যা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এমনকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতীয় হাইকমিশনারের অনুষ্ঠানও।
জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের স্কটল্যান্ডের একটি গুরুদ্বারে আমন্ত্রিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। কিন্তু সেখানে পৌঁছতেই উপস্থিত কয়েকজন খালিস্তানি সমর্থকরা তাঁকে থামিয়ে দেয়। দেওয়া হয় স্লোগানও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর জেলাশাসক এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) ও তাঁর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা কমিশনের প্রতিনিধিদলের। রবিবার থেকেই কমিশনের সদস্যরা আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই শহরে এসে পৌঁছেছেন সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার বা উপনির্বাচন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মা। তিনিই এই প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন। সঙ্গে থাকার কথা আরও তিন উপনির্বাচন কমিশনারের। তার মধ্যে থাকবেন এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপনির্বাচন কমিশনার নীতিন ব্যাসও।
বৈঠকে আরও চারজন কমিশনের কর্তারও হাজির থাকার কথা। জোনাল সেক্রেটারি রাকেশ কুমার, ভোটার তালিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বটুলিয়া-সহ আরও দুই শীর্ষস্তরের আধিকারিকের থাকার কথা।
ভোটার তালিকার কাজের কেমন অগ্রগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কীভাবে হবে ‘অশান্ত’ এলাকার ম্যাপিং, ইভিএম-ভিভিপ্যাটগুলির পরীক্ষানিরীক্ষা কেমন এগোচ্ছে সবকিছুই এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে সোমবার দীর্ঘ সময় ধরে এই বৈঠক হবে, তেমনই স্থির রয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন কমিশনের কর্তারা।
লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। রবিবারই তারা রাজ্যে আসবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। ওই দলে থাকবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার নীতেশ ভ্যাস এবং ধর্মেন্দ্র শর্মা। আগামী সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ কমিশনের অন্য অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা।
এর আগেও ২২ জুলাই রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। কলকাতার একটি হোটেলে সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আগামী সোমবারের বৈঠকে ভোটার তালিকায় নাম সংযুক্তিকরণ এবং বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী নীতিশ কুমারের গলাতেও একই সুর শোনা গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা দেখে রাজনৈতিক মহলের ধারণা অন্য বারের তুলনায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সময় পরিবর্তন করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেকাণেই এত দ্রুত তৎপরতা শুরু হয়েছে।
যদিও কমিশনের অন্য একটি সূত্রের দাবি, নির্বাচন কমিশনের এই সফর সম্পূর্ণ রুটিন মাফিক হচ্ছে। এর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার যে জল্পনা উঠেছে তার কোনও সম্পর্ক নেই।
দেশকে বাঁচানোর জন্য বিচার ব্যবস্থার কাছে কাতর আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত একটি টুইট করেন তিনি। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার সংক্রান্ত বিলের কড়া সমালোচনা করেন।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় পেশ হয়েছে নির্বাচন কমিশনার সংক্রান্ত বিল। ওই বিল অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির কোনও ভূমিকা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন গঠিত প্যানেলের সুপারিশ সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। টুইটারে এই বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার করা টুইটে তিনি লেখেন, 'নৈরাজ্যের কাছে মাথা নত করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।' জাতীয় নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচারপতির ভূমিকা যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ বলেও টুইটারে লেখেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ভোটে কারচুপি করতে যাতে না সমস্যা হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এর পরেই কাতর আর্জি জানান বিচার ব্যবস্থার কাছে। তিনি লেখেন, বিচার ব্যবস্থার কাছে কাতর আর্জি জানাচ্ছি, মাই লর্ড, আমাদের দেশকে বাঁচান।"
রাজ্যসভায় (RajyaSabha) পেশ করা হল আরও এক বিল। এবার থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner) ও নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের ক্ষেত্রে তিন সদস্যের প্যানেলে থাকবে না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice)। এবারে এই বিষয়েই লোকসভায় পেশ করা হল বিল। অর্থাৎ আজ সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ করা হল 'নির্বাশন কমিশনার বিল ২০২৩'। এই বিল পাশ হয়ে গেলেই এটি আইনে পরিণত হবে।
গত মার্চ মাসেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় দেওয়া হয়েছিল যে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাছাই করার ক্ষেত্রে একটি প্যানেল গঠন করা হবে। আর সেই প্যানেলে থাকবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও প্রধান বিচারপতি। কিন্তু এবারে সেটিই পরিবর্তিত হয়ে গেল। রাজ্য়সভায় এই বিলের প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কমিশনারদের নাম সুপারিশ করবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত একটি প্যানেল। সেই সুপারিশ মেনে রাষ্ট্রপতি তাঁদের নিয়োগ করবেন।
বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি থাকবে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত মন্ত্রী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা। মোট তিনজন সদস্যের প্যানেল হবে এটি। তবে এই প্রস্তাবে বিরোধীরা এই প্রতিবাদ করেছে। এছাড়াও এই বিল পাশ হয়ে আইন হলে পরবর্তীতে বিচারব্যবস্থা ও দেশের সরকারের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
পঞ্চায়েত ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে কলকাতায় এসেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। শনিবার শহরের একটি অভিজাত হোটেলে রাজ্যের সব জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রাথমিক পর্যায়ের একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়।
সূত্রের খবর এরপর ১৯ অগাস্ট রাজ্যে আসবে নির্বাচন কমিশনের ৩ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্বে থাকবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার নীতীশ ব্যাস। তবে শুধু এরাজ্য নয়, সব রাজ্যেই প্রতিনিধি দল যাবে বলে জানা গিয়েছে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তারপর বিভিন্ন জেলায় জেলায় সমীক্ষা এবং ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হবে।
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৪ সালের ১৬ মে। তার আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। বিভিন্ন সূত্রের খবর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। বিরোধীদের অভিযোগ, তারা প্রায় ৬ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সেসব আসনে ফের ভোট নেওয়া হয়নি। এবার বিরোধীদের জমা দেওয়া সেই তালিকা জেলাশাসকদের পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবং ওই তালিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোট চলাকালীন রাজনৈতিক হিংসায় বহিয়া ভোট কেন্দ্রে ভোট বাতিল হয়, সে জন্য ফের ১১ তারিখ রাজ্যের ৬৯৬টি আসনে পুনঃরায় ভোট নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, বাংলায় ফের পুনর্নির্বাচন হতে পারে। ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের একটি করে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিজেপির জমা দেওয়া বুথের তালিকাগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই বুথগুলিতে কোনও অশান্তি হয়েছে কিনা বা কেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হল তা জানাতে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জেলাশাসকদের পাঠানো রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই রিপোর্টে জেলাসাসকদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এবং প্রয়োজনে সেই রিপোর্টে র ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফের রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গণনা পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও ফের ১৫টি বুথে নির্বাচনের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার। হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে ফের নির্বাচন হবে। ওই ১৫টি বুথের গণনাকে কার্যত বাতিল ঘোষণা করেছে কমিশন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন, ভোটগ্রহণ ও গণনা, তিন পর্যায়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গণনার দিন সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়। গণনার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। সাঁকরাইলে তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের বিরুদ্ধে ব্যালট লুঠের অভিযোগ ওঠে।
পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার দুটি বুথ ও হুগলির সিঙ্গুরেও পুনর্নির্বাচন হবে। সাঁকরাইলের ২৪৭-২৫৪ নম্বর, মোট ৯টি বুথ, সারেঙ্গার ২৬৭, ২৬৮, ২৭১ ও ২৭৭ নম্বর বুথেও নির্বাচন বাতিলের নির্দেশ। সিঙ্গুরের বেরাবেরির ১৩ নম্বর বুথে ফের নির্বাচন হবে। হাবড়া ২-এর ভুরকুন্ডার ১৮ নম্বর বুথ, ৩১ নম্বর বুথ, ও গুমা পঞ্চায়েত কেন্দ্রের ১২০ নম্বর বুথেও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কমিশনের।
ভোটের গণনার দিনই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ল রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফতর। সোমবার দুপুর ৩টে ১৮ মিনিট নাগাদ লোডশেডিং হয়। ফলে কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন জেলা থেকে গণনা সম্পর্কিত যে সব তথ্য আসছিল, তা থমকে যায়। অফিসার এবং কর্মীদের কম্পিউটারে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। মিনিট ১৫ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল কমিশন। কী কারণে আচমকা লোডশেডিং হল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে গুরুত্বপূর্ণ দিনে প্রায় ১৫ মিনিট কমিশনের কাজ থমকে যাওয়ায় কর্মীদের মধ্যেই চাপানউতর শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ৩টে ৩৬ মিনিট নাগাদ আবার স্বাভাবিক হয়েছে কাজকর্ম।
শনিবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোট ছিল। বেশ কয়েক’টি বুথে অশান্তি হয়। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুনঃনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৬৯৬টি বুথে। কমিশন জানায় মঙ্গলবার মোট ৩৩৯টি কেন্দ্রে ভোটের গণনা চলছে। হাতেগোনা কয়েকটি বুথে গণনা শুরু হতে দেরি হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে রাজ্য পুলিশের শতাধিক কর্মী। গণনাও শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে। পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন সকালে কমিশনের অফিস থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজীব। তিনি জানান, ভোটে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, যে ক’টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।’
মণি ভট্টাচার্য: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) অশান্তি ও হিংসায় প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিস প্রশাসন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দিকেই আঙ্গুল তুলছে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু এর মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ারকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করাকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, রাজ্যের বহু বুথে সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা গেছে রীতিমত পুলিশের ভূমিকায়। কোথাও সিভিক ভলান্টিয়ার লাইন সামলাচ্ছেন, কোথাও সামলাচ্ছেন ঝামেলা। কিংবা কোথাও বুথ পাহাড়ার কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। এখন প্রশ্ন উঠছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সিভিক ভলান্টিয়ারকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা হল কেন?
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিল, কোনোভাবেই নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার করা যাবেনা। এছাড়া সম্প্রতি রাজ্য পুলিস প্রশাসনের তরফে একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা যাবে না। তা সত্ত্বেও কেন এই নিয়ম মানা হলো না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের তাবেদারি করছে সে কারণেই বহু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার না করে সিভিক ভলেন্টিয়ার কে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করছে। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে গতকাল অর্থাৎ শনিবার বিরোধীরা সব পক্ষই কমিশনের বিরোধিতা করে জানিয়েছিল। নির্বাচন সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ করার কোনো ইচ্ছেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ছিলনা। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন নিয়েও জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
সূত্রের খবর এখনও অবধি হওয়া হিংসায় রাজ্যে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সে বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা শনিবারই জানিয়েছিলেন ভোট শান্তিপূর্ণ করা রাজ্য পুলিস ও প্রশাসনের দায়িত্ব। কোনোভাবেই সেই দায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর বর্তায় না এবং রবিবার সকালে তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দিন ঘোষণার পর থেকেই একের পর হিংসার ছবি রাজ্যের (Bengal) সর্বত্র। ভোটের দিনও সেই একই ছবি। কোথাও বাম পোলিং এজেন্ট বা কোথাও বাম প্রার্থী আক্রান্ত। কোথাও বা খুন বিজেপি (BJP) নেতা, কিংবা কোথাও খুন বিজেপির পোলিং এজেন্ট। সূত্রের খবর, রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হবার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অর্থাৎ রাজীব সিনহাকে তুলনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে গেটে তালা ঝোলালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দফায় দফায় আক্রান্ত বাম সমর্থকরা। আর সেই ইস্যুতে শনিবার কলকাতার রাজপথে নামলেন বাম নেতা-কর্মীরা। প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবন থেকে মিছিল শুরু হয়। পৌঁছয় নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে। এদিন মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমের মতো নেতারা।
সকাল থেকে দুপুর, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট শুরু হতেই লাগামহীন অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। প্রতি মুহূর্তে প্রতিটি অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। রাজ্যের প্রতিটি কোণ থেকে হিংসার এই অভিযোগে কার্যত বিরক্ত কমিশনের আধিকারিকরাও। অবশেষে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে বেশ কিছু বুথে পুননির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেন রাজীব সিনহা। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার দাবি করেছেন, সরকারি ভাবে ভোট শেষ হলে তবেই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, 'সাতটি খুন এগুলি স্টেটের বিরুদ্ধে ক্রাইম। পুলিস ব্যবস্থা নেবে। ১২০০-১৩০০ বুথে গণ্ডগোলের মধ্যে ৬০০ সমাধান হয়েছে। যা অভিযোগ এসেছে সব জেলাশাসকদের পাঠানো হয়েছে। শান্তি বা অশান্তি বলা উচিৎ হবে না। কারণ প্রচুর অশান্তির খবর আসছে কমিশনের কাছে। সব কিছু শান্তিপূর্ণ হয়েছে যেমন বলা সম্ভব নয় তেমন অশান্তি হয়েছে এটাও বলা সম্ভব নয়। ১৫ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। সব স্পর্শকাতর বুথেও বাহিনী মোতায়েন আছে। ফোর্স আসার সঙ্গে সঙ্গেই মোতায়েন হয়েছে'।
ভোটগ্রহণের দিন সকাল থেকেই একাধিক আশান্তির অভিযোগ এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে। মৃতের সংখ্যা ১০ ছাড়িয়েছে। যদিও এই পরিস্থিতিতে ভোট শান্তিপূর্ণ কিনা তা জানাননি রাজীব সিনহা।
ভোটগ্রহণ পর্বে সকাল থেকে উত্তপ্ত বিভিন্ন এলাকা। বোমা ও গুলি চলেছে একাধিক জায়গায়। ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনেরও বেশি। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশনার। একইসঙ্গে কমিশনারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাড়াটে খুনি বলেও কটাক্ষ করেন।