প্রধানমন্ত্রীর ছত্তিশগড় সফরের মধ্যেই খুন রাজ্যের এক বিজেপি নেতা। তাও নির্বাচনের ঠিক বাহাত্তর ঘণ্টা আগে। অভিযোগ মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে মাওবাদী উপদ্রুত বলে পরিচিত নারায়ণপুর জেলায় স্থানীয় কৌলনরে প্রচার করছিলেন রতন দুবে। সেইসময় তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রতন জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি ছিলেন। এমনকী তিনি ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ পিকে জানিয়েছেন, ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশের একটি বড় দল। আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খুনের নেপথ্যে কে বা কারা যুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ছত্তীশগড়ে প্রথম দফার ভোট। ভোট হবে ২০টি আসনে। তারমধ্যে ১২টি মাওবাদী উপদ্রুত এলাকার অন্তর্গত। দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে বাকি ৭০টি আসনে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩ ডিসেম্বর।
মাস পেরোলেই ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বিধানসভা নির্বাচন। ফলে ভোটমুখী ছত্তিশগড়ে গিয়ে এক বড়সড় প্রতিশ্রুতি দিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সে রাজ্যে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার পাশাপাশি পড়ুয়াদের স্কুল ও কলেজে বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার ছত্তিশগড়ের কঙ্কের জেলার ভানুপ্রতাপপুর বিধানসভায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, "আমরা একটা বড় পদক্ষেপ করতে চলেছি। একে কেজি টু পিজি বলা হচ্ছে। এই উদ্যোগে কিন্ডারগার্ডেন থেকে স্নাতকোত্তর অবধি সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। লেখাপড়ার জন্য এক টাকাও দিতে হবে না।"
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, কংগ্রেস ফের ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের শাসকদলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছু করেননি। আমি আপনাদের কাছে কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেব না। আমি যা বলি, তা করিও।"
দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেলেও উৎসবের মরশুম এখনও শেষ হয়নি। কিছুদিন পরই শুরু হবে দীপাবলি, ছটপুজো ইত্যাদি। আর এই উৎসবের মরশুমে বাজি ফাটানো হবে না, এমনটা হতেই পারে না। কিন্তু এবারে এই বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রেই সময় বেঁধে দিল ছত্তিশগড় সরকার। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, সে রাজ্যে দীপাবলিতে মাত্র দু'ঘণ্টার জন্য বাজি ফাটানো যাবে। এর অন্যথা হলেই কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
ছত্তিশগড় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, দিওয়ালি, ছটপুজো থেকে বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের দিন বাজি ফাটানোর নির্দিষ্ট সময় স্থির করে দিয়েছে ছত্তিশগড় সরকার। যেমন দিওয়ালিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। ছটপুজোয় সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। বাজি ফাটানোর অনুমতি দিলেও শব্দবাজি ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ছত্তিশগড় সরকার।
কখনও সবজি মান্ডিতে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কখনও মোটর মেকানিকের দোকানে গিয়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে গাড়ি সারাতে বসেছেন, আবার কখনও বাইক নিয়ে লাদাখে গিয়ে সেখানকার জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। হ্যাঁ, কথা বলা হচ্ছে, কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিয়ে। 'ভারত জোড়ো যাত্রা' দিয়ে শুরু, এর পর থেকে তাঁকে একাধিক জায়গায় গিয়ে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে। আর এবারে সরাসরি উঠে পড়লেন ট্রেনের (Train) জেনারেল কামরায়। শুধু ট্রেনে চাপেননি, ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে পাশাপাশি বসে কথাও বলেছেন রাহুল। তাঁর ছবি কংগ্রেসের তরফে শেয়ার করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সূত্রের খবর,দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাহুল গান্ধী বর্তমানে ছত্তিশগড়ে। কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে 'আওয়াস ন্যায় সম্মেলন' উদ্বোধনের পর সোমবার ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর থেকেই বিলাসপুর-ইটওয়ারি ইন্টারসিটি ট্রেনে সওয়ার হয়ে রাজধানী রায়পুর যান রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল-সহ রাজ্য কংগ্রেসের ইন-চার্জ কুমারী সেলজা ও রাজ্য ইউনিট চিফ দীপক বৈজ।
কংগ্রেসের তরফে যে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের জেনারেল কামরায় উঠে পড়েছেন রাহুল। এর পর তাঁকে যাত্রীদের সঙ্গে একই আসনে বসে যেতে দেখা যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে, এমনকি তাঁদের অটোগ্রাফ দিতেও দেখা যায়। আবার ট্রেনের যে কামরায় রাহুল ছিলেন, সেখানে রাজনন্দগাঁওয়ের কয়েকজন মহিলা হকি খেলোয়াড়ও ছিলেন। ফলে তাঁরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন। এককথায় রাহুল গান্ধীকে ফের জনগণের সঙ্গে সাধারণ মানুষের মতো মিশে যেতে দেখা যায়।
৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে নারীদের (Women) প্রতি অন্যায় (Crime Against) রুখতে নয়া পদক্ষেপ নিলেন ছত্তীসগঢ় (Chhattisgarh) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) ভূপেশ বঘেল। শিশু ও মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধ রুখতেই তিনি এই নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এই বিষয়ে একটি বক্তব্যও পেশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ রাজ্যে মহিলাদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষা করাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে আমাদের সরকার। শিশুকন্যা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা এবং অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের উপর সরকারি চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’’ এমনকি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বঘেল।
যদিও ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশের মধ্যে এই রাজ্য পঞ্চম স্থানে ছিল। তবে ২০২১ সালে সেই নিরিখে ছত্তীসগঢ় ১১তম স্থানে নেমেছে।
প্রেম-ভালোবাসায় পড়লে মানুষ কি না করেন! যেমন সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, প্রেমিকের ভালোবাসার টানে সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে এসেছেন একাধিক মহিলা। তবে এবারে কেউ কোনও দেশ থেকে পালিয়ে আসেননি। প্রেমিকের উপর রাগ-অভিমান করে এমন এক কাণ্ড করে বসেছেন এক তরুণী, যা দেখে চোখ কপালে উঠল প্রত্যেকের। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে রাগ করে উঠে পড়েছেন ৮০ ফুট উঁচু বিদ্যুতের টাওয়ারে (Tower)। আর তাঁর রাগ ভাঙাতে পিছনে ছুটলেন প্রেমিকও। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) গোরেলা পেন্দ্রা মারওয়াহি জেলার ঘটনা।
পুলিস সূত্রে খবর, ছত্তিশগড়ের মারওয়াহি জেলার ওই তরুণী পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও কারণে ঝগড়া হয়। প্রায় ১-২ ঘণ্টা তাঁদের ফোনে ঝগড়া হয়। এরপরই নাকি তরুণী রাগ করে উঠে পড়েন ৮০ ফুট উঁচু বিদ্যুতের টাওয়ারে। এরপর তাঁর পিছন পিছন ছোটেন তাঁর প্রেমিকও।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, যুবক ও তরুণীর এমন কাণ্ড দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিস স্টেশনে। পুলিসও সেখানে গিয়ে পৌঁছয়। এরপর তাঁদের দু'জনের সঙ্গে কথা বলে, ভালোভাবে বুঝিয়ে তাঁদের নীচে নামিয়ে আনা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হয়নি বলে খবর। তবে তাঁদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমনটা কখনও তাঁরা না করেন।
এলাকায় কাজ নেই। পেটের টানে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে মৃত্যু (Death) হল যুবকের। রবিবার, ছত্রিশগড়ে (Chhattisgarh) এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম রমজান খান (২২)। মালদহ জেলার চাঁচল ১ নং ব্লকের কলিগ্রামের শহরবাগের বাসিন্দা। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার ও এলাকায়।
বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা। সংসারের হাল ধরতে রমজান পাড়ি দিয়েছিলেন ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে তিনি ভিন রাজ্যে ফলসেলিং-এর কাজ করতেন। পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভোটও দিতে এসেছিলেন বাড়িতে। ভোট দিয়ে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতে যান ছত্রিশগড়ে। বাড়িতে বলে গিয়েছিল এক মাস কাজ করে আবার মহরমে আসবেন। কিন্তু আর ফেরা হল না রমজানের। রবিবার রাত ন'টায় বাড়িতে ফোন আসে ফল সিলিং-এ কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে রমজানের। রমজানের চার দাদা থাকলেও তারা প্রত্যেকেই বিবাহিত। দিনমজুরের কাজ করে কোনক্রমে নিজেদের সংসার চালায়। তাই বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেখভালের দায়িত্ব ছিল রমজানের উপরেই। বাবা মা যাতে একটু ভালো থাকে তাই ভিন রাজ্যে কাজ করতেন রমজান।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এলাকায় কর্মসংস্থান না থাকার কারণেই পেটের টানে বাইরে যেতে হচ্ছে এলাকার যুবকদের।ভিন রাজ্য থেকে দেহ নিয়ে আসার খরচ কিভাবে জোগাবে তাই ভেবে পাচ্ছে না পরিবার। সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন পরিবার পরিজনদের। রমজানের বাবা একলাকুল খান বলেন, এখানে তেমন কোনো কাজ নেই। তাই ছেলেটা সংসার চালানোর জন্য বাইরে কাজ করত। ভোট দিতে এসে বলেছিল ঠিকাদার ডেকেছে। কাজ সেরে আবার মহরমে আসব। কিন্তু ছেলেটা আমার চলে গেল। ওই আমাদের সব ছিল। সরকারের কাছে আবেদন যাতে আমার ছেলের দেহ আনার ব্যবস্থা হয়। আর কিছু যদি ক্ষতিপূরণ পাই।
এলাকায় কোনও কর্মসংস্থান নেই, যার কারণে ভিন রাজ্যে পাড়ি আর কাজ করতে গিয়ে ঘটেছে এই মৃত্যু বলে অভিযোগ স্থানীয়দেরও।
প্রসূন গুপ্ত: এই বছরের শেষে ৪ রাজ্যের নির্বাচন। মধ্যপ্রদেশ , ছত্রিশগড় , রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানা। এর মধ্যে ছত্রিশগড় ও রাজস্থান কংগ্রেসের দখলে। ৫ বছর আগে মধ্যপ্রদেশেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কমলনাথের নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী না হতে পেরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে এক ঝাঁক বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলে ফের ক্ষমতা দখল করে গেরুয়া শিবির। কিন্তু ছত্রিশগড়ে দুর্দান্ত ফল করেছিল কংগ্রেস। ৯০ আসনের মধ্যে তাদের দখলে আসে ৭১টি আসন, বিজেপি পায় ১৪ টি এবং অন্যান্য দল পায় ৫টি কাজেই এ ক্ষেত্রে ঘোড়া কেনাবেঁচা কঠিন থাকার ফলে ভুপেশ বাঘেলের নেতৃত্বে কংগ্রেস দিব্বি ৫টি বছর চালিয়ে গিয়েছে। একটি বাস্তব ঘটনা এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু বাঘেল। রাজ্যের অধিবাসীরাও এখনও খুশি বাঘেলের কাজে। অনেকগুলি ওপিনিয়ন পোলে ভূপেশের ফের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। কিন্তু ইতিমধ্যে দুটি ঘটনা ঘটেছে যা ফের আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে বাঘেল সরকার।
প্রথমত মনিপুরের সংকট নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি নিন্দা করেছিলেন এবং বর্ষাকালীন সংসদ শুরুর আগেই মিডিয়ার সামনে এসেছিলেন। সেখানে মোদী বলেন যে , মনিপুর , রাজস্থান এবং ছত্রিশগড়ে মহিলাদের উপর অত্যাচার চলেছে। পরদিনই প্রতিবাদ করেন বাঘেল এবং জানান যে, যাই ঘটুক না কেন ৭২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপর শুক্রবার বিরোধী বিজেপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, কেলেঙ্কারি এবং দুর্নীতির অভিযোগ এনে 'অনাস্থা প্রস্তাব' আনে। বিশেষজ্ঞরা বলেছে যে , সামনেই নির্বাচন তাই কেন্দ্র বারবার তাদের চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। দীর্ঘ সময়ে ধরে ছত্রিশগড় বিধানসভায় তর্ক বিতর্ক চলে। রাত ১ টার পর ভোটাভুটি হয় এবং ধোনি ভোটে ক্ষমতা নিশ্চিন্ত করেন বাঘেল। ৭১ - ১৩ ভোটে বিজেপির আবেদন খারিজ হয় যায়। আসন্ন নির্বাচনের আগে সময় পেয়ে গেলেন কংগ্রেস সরকার।
ফের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৩ জনের। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) রায়পুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জনসভা ছিল। সেই জনসভায় যেতে গিয়েই পথ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন বিজেপির সমর্থকরা। একটি বাসে করে তাঁরা সেই জনসভায় যাচ্ছিলেন। আর সেসময়েই এক ট্রাকের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায় বাসটি। এতেই প্রাণ হারান তিন জন ও গুরুতর আহত হন ৬ জন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর জেলার বেলতার গ্রামে।
পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার সময় একটি বাসে করে ৪০ জন বিজেপি সমর্থক যাচ্ছিলেন। তাঁরা অম্বিকাপুর থেকে রায়পুর যাচ্ছিলেন। আর তখন মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। ফলে বৃষ্টির কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না বলে সূত্রের খবর। এমনকি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিকেও দেখতে পাননি বাস চালক। ফলে বাসটি যাওয়ার সময় হঠাৎ তাতে সজোরে ধাক্কা মারে। আর এর জেরেই মৃত্যু হয় ৩ জনের। তাঁরা হলেন সজন (৩০), রুকদেব (৪৫) ও আক্রম রাজা (২৮)। এছাড়াও জানা গিয়েছে, বিজেপির দুই সমর্থক লিলু গুপ্তা ও ভীষম্বর যাদব গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের বিলাসপুর হাসপাতালে স্থানাস্তরিত করা হয়েছে। আর বাকি চারজনকে ছত্তিশগড় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাস দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিনি নিহতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
নিজের মনস্কামনা পূরণের জন্য মন্দিরে বলি দিয়েছিলেন ছাগল (Goat), কিন্তু সেই ছাগলের মাংস খেতে গিয়েই প্রাণ হারালেন এক ৫০ বছরের ব্যক্তি। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুরজপুর (Surajpur) জেলার।
জানা গিয়েছে, সুরজপুরের মদনপুর গ্রামের বাগার সাই নামের ব্যক্তি খোপা ধামের মন্দিরে মানত করেছিলেন যে, তাঁর ইচ্ছাপূরণ হলেই মন্দিরে তিনি পাঠা বলি দেবেন। এরপর তাঁর মনস্কামনা পূরণ হওয়ায় তিনি রবিরার মন্দিরে বলি দেন। সেটার মাংস রান্না করে ভোগ দেওয়ার পর গ্রামবাসীরা প্রসাদ হিসাবে খেতেও যান। কিন্তু এরপরেই ঘটে দুর্ঘটনা। বাগার সাই সেই মাংস খেতে গিয়ে তাঁর পাতে পড়ে বলি দেওয়া ছাগলের চোখ। সেটা খেতে গিয়েই গলায় আটকে যায় ছাগলের চোখ। এরপর তিনি শ্বাস নিতেও পারছিলেন না। ফলে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। গলায় চোখ আটকে গিয়ে শ্বাসরোধ করেই মারা যান তিনি।
এক হাতে স্টিয়ারিং (steering), অন্য হাতে ফোন। বাস (Bus) চালানোর সময় ফোনে কথা বলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাসচালক। ফলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার (Accident) মুখে পড়ে বাসটি। ঘটনায় আহত ২৬ জন বাসযাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্রিশগড়ের (Chhattisgarh) রায়গড় জেলার ঘরঘোড়া এলাকার।
জানা গিয়েছে, সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাসচালক। এরপর সেতুর ধারে রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খায় যাত্রী বোঝাই ওই বাসটি।
ঘটনায় বাসের সামনের দিকের বেশ খানিকটা অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় কারও কোনও মৃত্যু হয়নি। আহতদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাঁরা গুরুতর আহত হননি, তাঁদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছে পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, চালকের গাফিলতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাস চালাতে চালাতে তিনি ফোনে কথা বলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তখন বাসটি বেঁকে গিয়ে সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা খায়। এইরকম দুর্ঘটনা নতুন নয়। তবে গাড়ি হোক কিংবা বাস চালনোর সময় কখনই ফোনে কথা বলা উচিত নয়।
বিয়ের (Wedding) অনুষ্ঠানে ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে স্ত্রীকে নাচ করতে দেখে তেড়ে গেলেন এক 'মদ্যপ' স্বামী (Husband)। এরপর সেই ব্যক্তিকে তার ভাইরা বাধা দিলে উল্টে তাঁদেরই কুপিয়ে খুন করল সে। এমনটাই অভিযোগ উঠছে সেই 'মদ্যপ' ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh)।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম টিনহা বেগা। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ে কবীরধাম জেলায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে স্ত্রীকে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নাচতে দেখায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যায় স্বামী। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাদ শুরু হলে, অন্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। যাঁরা মদ্যপ ভাইকে থামাতে আসেন, তাঁদের দেখেও তেড়ে যায় ওই ব্যক্তি। এরপর তাকে থামানোর চেষ্টা করায় পরপর দুই ভাইকে খুন করে সে। এরপর তার শ্যালকও তাকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও আঘাত করে সেই ব্যক্তি। এরপর কোনওমতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পরিবারের লোকজন থামিয়ে, তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, নিহতদের মৃৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর গুরুতর আহত শ্যালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
একেবারেই অভিনব ঘটনা। ধরা পড়ার ভয়ে চুরি (Theft) করা টাকা ফেরত দিয়ে গিয়েছে চোর। প্রায় এক লক্ষ টাকা চুরি করেছিল এক দল চোর। এমনই এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh)। জানা গিয়েছে, গত ২৭ মার্চ শোভারাম খোসালে নামে এক ব্যক্তি রোহিত যাদবের কাছে জমি বিক্রি করেছিলেন। সেই ব্যক্তি খোসালেকে নগদে দিয়েছিলেন ৯৫ হাজার টাকা ও চেকেও কিছু টাকা দিয়েছিলেন।
তবে ৩১ মার্চ খোসালের ঘর থেকে চুরি হয়ে যায় ওই নগদ ৯৫ হাজার টাকা। এমনকি চুরি করার পর খোসালের উপর নজরও রাখছিল চোরেরা। তাই চুরির ঘটনায় খোসালে ১ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জেনেই ২ এপ্রিল বাড়ির উঠোনে টাকা ফেরত দিয়ে যায় চোরেরা। তবে এই ঘটনা নিয়ে এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, টাকা চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের শীঘ্রই খুঁজে বার করা হবে।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের ধারণা, খোসালের পরিচিত কেউই এই চুরির সঙ্গে জড়িত। তাই ধরা পড়ার ভয়ে তড়িঘড়ি সেই টাকাটা ফেরত দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
যাত্রীদের বাস (Bus) থেকে নামিয়ে, আগুন (Fire) ধরিয়ে দিল মাওবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দন্তেওয়াড়ারায়। মাওবাদীদের খোঁজে পুলিস (Police)।
দন্তেওয়াড়ার পুলিস সুপার আরকে বর্মণ জানান, শনিবার সকালে নারায়নপুর টাউন থেকে দন্তেওয়াড়ার দিকে যাচ্ছিল ওই বাসটি। মালেওয়াহি এবং বোদলি পুলিস শিবিরের মাঝে বেসরকারি ওই যাত্রীবাহী বাসটিকে দাঁড় করায় মাওবাদীরা। তারা বাসের সকল যাত্রীদের বাস থেকে নামতে বলেন। তারপর বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাসে আগুন ধরানোর এই খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।
পুলিস সূত্রে খবর, চব্বিশ জনের মতো মাওবাদী ছিল সেই দলে। তাদের অনেকেরই হাতে অস্ত্র ছিলো। তবে কোনও যাত্রীর উপর আক্রমণ কিংবা হামলা চালায়নি তারা। এমনকি অতিরিক্ত পুলিস সুপার জানিয়েছেন, কোনো যাত্রীর কোনোরকম ক্ষতি হয়নি।ইতিমধ্য়ে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন পুলিস। যাত্রীদের নিরাপত্তার সঙ্গে তাঁদের গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।
ক্যুরিয়ার অফিসে কর্মরত এক ব্যক্তির পাঠানো লিঙ্ক ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই উধাও হয়ে গেলো কয়েক হাজার টাকা। ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) সংস্কৃতিমন্ত্রী অমরজিৎ ভগতের ওএসডি অতুল শেঠ সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) শিকার হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে দাবী করেন। গত ১৩ই মার্চ সোমবার ক্যুরিয়ার অফিস থেকে তাঁর বাড়িতে একটি ডেলিভারি (Online Delivery) আসার কথা ছিলো। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় ডেলিভারি বয়টি ফিরে যান।ইন্টারনেট থেকে খুঁজে ওই ক্যুরিয়ার অফিসের কাস্টমার কেয়ার (Customer Care) নম্বর জোগাড় করে ফোন করেন তিনি। এক ব্যক্তি ফোন ধরে নিজেকে ক্যুরিয়ার অফিসের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার বিকেল চারটের সময় ডেলিভারি পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু সে জন্য তাঁকে অনলাইনে দু-টাকা ডেলিভারি ফি দিতে হবে। তাতে রাজি হলে তাঁর মোবাইলে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। সেই লিঙ্কে ক্লিক করতেই চোখের পলকে হাজার হাজার টাকা উধাও হয়ে যায় তাঁর।
শুক্রবার সাইবার প্রতারণার অভিযোগে রাইপুরের তেলীবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করেন অতুল শেঠ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে চারটি কিস্তিতে মোট ৯৯,৯৯৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছে, সাইবার প্রতারণায় অভিযুক্ত পশ্চিমের বাসিন্দা। তাছাড়া ইন্টারনেটের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরটিও ভুয়ো (Fake Call)। যেকারণে লিঙ্কে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে অতুল শেঠের যাবতীয় তথ্য পেয়ে যায় এবং টাকা-পয়সা নিমেষে হাতিয়ে নেয়। অভিযুক্তের খোঁজ ইতিমধ্যে শুরু করেছেন পুলিস।