সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের জমি দখলের তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। বুধবার এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে নথি-সহ সিবিআই দফতরে আসেন ৩ ব্যক্তি। অভিযোগকারীদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফে খোলা হয়েছে ইমেল আইডি।
সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে এই বিষয়টির তদন্ত করছে সিবিআই। অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফে খোলা হয়েছে ইমেল আইডি। সন্দেশখালির বাসিন্দারা সেখানে নির্দ্বিধায় জানিয়েছিল, তাঁদের উপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ। এ নিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।
গত মঙ্গলবারও অভিযোগকারী ১৬ জনকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। এই অবস্থায় বুধবার সন্দেশখালির সুন্দরীখালি এলাকা থেকে নথি-সহ সিবিআই-এর সদর দফতর নিজাম প্যালেসে এলেন ৩ ব্যক্তি। অভিযোগ, তাঁদের জমি জোর করে দখল করেছিল শেখ শাহজাহান। বিষয়টি নিয়ে সিবিআই-এর কাছে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই প্রেক্ষিতেই বুধবার নথি সমেত সিবিআই দফতরে হাজির হন ৩ ব্যক্তি।
এদিকে, বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ডের কাজ। এরপর এই বয়ানের কপি জমা করা হবে কলকাতা হাইকোর্টে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই সক্রিয়তায় সন্দেশখালির মানুষরা তাদের হারানো জমি ফিরে পান কিনা, সেটাই এখন দেখার।
'সন্দেশখালির বাঘ'-এর চোখে জল। একসময় যাঁর দাপটে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত, আজ সে নিজের অশ্রু আর ধরে রাখতে পারলেন না। মেয়ের 'আব্বা' ডাক আর স্ত্রীয়ের কান্না শুনে একেবারে মুষড়ে পড়লেন বেতাজ বাদশাহ শেখ শাহজাহান। মুখ ঘুরিয়ে চোখের জল মোছার আগে স্ত্রীকে 'আল্লাহর কাছে দোঁহা' করার কথা বলেন। সোমবার বসিরহাট মহকুমা আদালতের বাইরে এক অন্য রূপ দেখা গেল শাহজাহানের।
সোমবার শাহজাহান, আলমগীর, শিবু হাজরা, মাফুজার মোল্লা, জিয়াউদ্দিন, দিদার-সহ মোট ১২ জনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ। সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতাকে যখন প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর স্ত্রী তসলিমা বিবি, মেয়ে ও পরিবারের কয়েকজন। তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে এমন বিরল মুহূর্ত।
সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সেখানে অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা। উত্তর ২৪ পরগণার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চিঠি সিবিআইয়ের।
সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের জমি দখলের ভুরিভুরি অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফে খোলা হয়েছে ইমেল আইডি। সন্দেশখালির বাসিন্দারা সেখানে নির্দ্বিধায় জানিয়েছিল, তাঁদের উপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ। তথ্যপ্রমাণ-সহ সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সেখানে জমি দখলের অভিযোগ খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর, তাঁদের বয়ানও নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই প্রেক্ষিতে একাধিক বিষয় জানতে চেয়ে উত্তর ২৪ পরগনার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চিঠি দেওয়া হয় সিবিআই-এর তরফে। সূত্রের খবর, চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, এই জমিগুলির আসল চরিত্র কী ছিল? কবে চরিত্র বদলানো হয়েছিল? জমির প্রকৃত মালিক কে? এমনকি বিডিও দফতর থেকেও তথ্য চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, রেজিস্ট্রি অফিস থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে যে, জমি রেজিস্ট্রি হয়ে থাকলে, সেই সময় জমির মালিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিনা? সিবিআই-এর এই সক্রিয়তায় জমি দখল সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্য উঠে আগামী দিনে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।
সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে এই বিষয়টির তদন্ত করছে সিবিআই। শনিবার বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় যান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। শনিবার তাঁরা মাঝের সরবেড়িয়া এলাকার শ্যামল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছন। সেখানে তাঁরা শ্যামল ঘোষের জমি সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি, দখল হয়ে যাওয়া জমিটিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
অন্যদিকে, শনিবারই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে সন্দেশখালির খুলনার ১০ নং পাড়ার সমীর মণ্ডলের বাড়িতে যান সিবিআই-এর ছয় সদস্যের একটি টিম। অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালিয়েছিল শাহজাহান বাহিনী। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই শনিবার তাঁর বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা সমীর মণ্ডলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর পাশাপাশি, মহন্ত সর্দারের বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মহন্ত সর্দারের অভিযোগ ছিল, মূলত শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরের বিরুদ্ধে। মহন্ত সর্দারের জমি আলমগীর দখল করেছিল বলে অভিযোগ। এ নিয়ে সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ করেছিলেন মহন্ত সর্দার। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই শনিবার মহন্ত সর্দারের বাড়িতে যান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সিবিআই-এর এই তৎপরতায় জমি দখল সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্য আগামী দিনে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।
শাহজাহান এবং তাঁর সাগরেদ মিলে সন্দেশখালি জুড়ে ভয়াবহ অত্যাচার চালিয়েছে, তা এতদিনে রাজ্যবাসী শুনেছে। তবে বিচারপ্রক্রিয়া এখনও চলছে। তাই সেসব পদক্ষেপ মেনেই কড়া হাতে সিবিআই সন্দেশখালির সব মামলার তদন্ত করছে। সম্প্রতি সিবিআইকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সন্দেশখালির সমস্ত বাসিন্দাদের অভিযোগ নিতে এক ওয়েবসাইট বা ইমেইল খোলার। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের তৈরি সেই ইমেলে জমা পড়েছে প্রায় ৬৫০-রও বেশি অভিযোগ। এবার সেই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ড করতে ১০ জনের এক টিম গঠন করেছে সিবিআই। সন্দেশখালিতে অভিযোগকারীদের কাছে পৌঁছে তাঁরা রেকর্ড করবে সবটা।
কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২ মে। এখন দেখার নতুন করে উঠে আসা অভিযোগে যাচাই করে, সন্দেশখালির অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন কঠিন পদক্ষেপ নেয় আদালত।
সিবিআই তদন্ত হলে ভালই হবে। ইডি দফতর থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথাই বললেন সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে। হঠাৎ করে শেখ শাহজাহানের এই সুর বদলে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে।
যদিও শাহজাহান এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে মেডিকেল চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। ইডি দফতর থেকে বেরোনোর সময় শেখ শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হয় যে এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়, উত্তরে শাহজাহান বলে সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভালো হবে। প্রশ্ন করা হয় ইডি ও তদন্ত করছে উত্তরে বলেন সবটাই ভালো হবে।
হঠাৎ করে শেখ শাহজাহানের এই সুর বদলে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে, শেখ শাহজাহান বুঝে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সেকারণেই এখন সিবিআইয়ের হয়ে কথা বলছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকালই সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে। এবং সন্দেশখালির বাসিন্দারা সরাসরি সিবিআইকে অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেই সঙ্গে সন্দেশখালিকতে স্পর্শ কাতর এলাকায় সিসিটিভি এবং বড় আলো বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সন্দেশখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চের নির্দেশ, এব্যাপারে রাজ্যকে সব রকম সাহায্য করতে হবে। সেখানকার মানুষ তাদের অভিযোগ সরাসরি সিবিআইকে জানাতে পারবে। এজন্য সিবিআইকে আলাদা পোর্টাল তৈরি করতে হবে। জমি দখল, ধর্ষণ, চাষের জমিকে ভেড়িতে পরিবর্তন করা সহ সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। স্পর্শকাতর এলাকায় ১৫ দিনের মধ্যে সিসিটিভি বসাতে হবে। বসাতে হবে এলইডি আলো। সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া আদালত যে কোনও পদমর্যাদার যেকোন ব্যক্তিকে তদন্তের স্বার্থে ডেকে পাঠাতে পারবে সিবিআই। ২ মে পরবর্তী শুনানির দিন তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দেবে সিবিআই।
এর আগে গত পাঁচ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই আধিকারিকরা তদন্ত করতে সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এদিন আদেশ দিতে গিয়ে আদালত বলেছে, সন্দেশখালির ঘটনার কথা বিবেচনা করে আদালত মনে করে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। তাই আদালত মনে করে যে এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হোক, সরকারকে তাঁকে যথাযথ সহায়তা করতে হবে। আদালতের তরফে আদেশে বলা হয়েছে, অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি পোর্টাল ও ইমেল আইডি চাবলু করতে হবে। জেলাশাসককে এব্যাপারে তারিখ উল্লেখ করে পর্যাপ্ত প্রচার চালাতে হবে। আদালত বলেছে, সিবিআই জমি দখলের অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করবে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও সরকারি, বেসরকারি যে কোনও ব্যক্তি কিংবা সংস্থার (এনজিও) কর্তাব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে আদালত পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
ইতিমধ্যেই শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করেছে ইডি। অন্যদিকে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় হাত গুটিয়ে বসে নেই সিবিআই। একদিকে যখন আর্থিক দুর্নীতি, মাদক যোগ, জমি কেলেঙ্কারি, কিংবা মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাহজাহানের ঠিক তখনই ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় সিবিআইয়ের সক্রিয়তা ঘুম, উড়েছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার। সিবিআই সূত্রের খবর, ইডির ওপরে হামলার ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সিবিআই এর পক্ষ থেকে ফের সমন করা হলো একাধিক ব্যক্তিকে। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক নতুন নাম খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। এবার সেই সমস্ত ব্যক্তিকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সাবাই আধিকারিকেরা। ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাদেরকে সমন করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্র মারফত খবর।
ওদিকে গ্রেফতারির পর ইডির কাছে নত স্বীকার করল শেখ শাহজাহান। সূত্রের খবর, গত পাঁচই জানুয়ারিতে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান। ইডিকে দেওয়া বয়ানে তিনি জানিয়েছেন হঠাৎ করেই ইডির তল্লাশিতে ভয় পেয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারের ভয় পেয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। সেক্ষেত্রে তিনি তার অনুগামীদের ফোন করে তাদের সাহায্য নেন।
ইতিমধ্যে জমি দখল মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত তার ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্স। ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন কম করে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি করেছে শেখ শাহজাহান। শুধুমাত্র জমি দখল নয় একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শাহজাহান। মাত্র কয়েক বছরে বিপুল পরিমান সম্পত্তির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি। সূত্রের খবর, ইডির জেরায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিষয় স্বীকারোক্তি করলেও সম্পত্তির উৎস কোথায় জানতে চাইলে মুখে কুলুপ শেখ শাহজাহানের।
আবারও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে নারদাকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। ৪ঠা এপ্রিল সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে তলব সংবাদমাধ্যম তেহলকার প্রাক্তন সম্পাদককে। ষড়যন্ত্র, নাকি দুর্নীতি, উত্তর কি সামনে আসবে এবার? ইমেল মারফত তাঁকে সিবিআই ডেকে পাঠালেও পাল্টা জবাব দেন ম্যাথু।
সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে স্যামুয়েল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এটা একটা রাজনৈতিক নাটকে পরিণত হয়েছে, পাল্টা জবাব তাঁর। দুই মাস আগেও এমন একটা চিঠি পেয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁর জবাবে বলা ছিল, তিনি এখন বেঙ্গালুরুতে থাকেন আর এত কম সময়ে কলকাতা আসতে পারবেন না। তাঁকে যাতায়াত এবং থাকার খরচ দিতে হবে। গোটা ঘটনায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চান। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, কলকাতায় আসা-যাওয়ার খরচও জোগাতে হবে সিবিআইকে। ২০১৬ সাল থেকে সিবিআই এই মামলার তদন্ত করলেও এখনও রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ তারা। এদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তৎপর দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও সিবিআই। ফের নির্বাচনের আগে নারদ-কাণ্ড নিয়ে তৎপর সিবিআই। কিন্তু কে এই ম্যাথু স্যামুয়েল? কীভাবে তিনি যুক্ত নারদা-কাণ্ডের সঙ্গে।
ম্যাথু স্যামুয়েল একজন সাংবাদিক। তিনি সংবাদমাধ্যম তেহলকার প্রাক্তন সম্পাদকও। তিনিই নারদ ‘স্টিং অপারেশন’ চালিয়েছিলেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বাছাই করা কিছু নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ২০১৪ সালে হওয়া এই অভিযানে ক্যামেরার সামনেই টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল বাংলার শাসক দলের একাধিক সাংসদ, মন্ত্রীকে। অভিযোগ, তোয়ালে মুড়ে টাকা নিতে দেখা যায় তৎকালীন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে উত্থানও এই ২০১৪ সাল থেকেই। বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় এই সমস্ত নেতাদের সঙ্গে অভিষেকের সখ্যতা খুব একটা মধুর ছিল না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বারবার বলতে শোনা যায়, “এটি দুর্নীতি ছিল না, এটি ছিল ষড়যন্ত্র। কনস্পিরেসি মেড বাই ভাইপো। যাদের সহ্য করতে পারত না, যাদের মনে করত আগামী দিনে বাধা হতে পারে, তাদের বিরুদ্ধেই ম্যাথুকে কেডি সিং-এর মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়েছিল।" যদিও আট বছর পরেও এখনও অধরা নারদা রহস্য!
তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের লোকসভার প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা। শনিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লি থেকে সিবিআই-এর একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাটে এসে পৌঁছয়। সেখানেই থাকেন মহুয়া মৈত্রের বাবা এবং মা। তবে সিবিআই আধিকারিকরা যখন সেখানে এসে পৌঁছন সেই সময় তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। সিবিআই আসার খবর পেয়ে সেখানে এসে পৌঁছন মহুয়া মৈত্রর মা মঞ্জু মৈত্র।
এর আগে গত সোমবার ক্যাশ ফর কোয়ারি কাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। পাশাপাশি, এই মামলায় ৬ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্যও বলা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপর শনিবার মহুয়া মৈত্রর ফ্ল্যাট সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটে থাকা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শেষ কবে মহুয়া মৈত্র বিদেশ সফর করেছিলেন, প্রায় সাত ঘণ্টা সেখানে তল্লাশি চালানোর পর বেলা ২টো নাগাদ ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, মহুয়ার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই সংসদে প্রশ্নগুলি করেছিলেন মহুয়া। এই ঘটনায় মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে চিঠি লিখেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার এথিক্স কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। কমিটি নিশিকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মহুয়াকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে মহুয়া ওই কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপরই সাংসদ পদ থেকে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছিল এথিক্স কমিটি। সেই সুপারিশ মোতাবেক মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করেন লোকসভার অধ্যক্ষ। লোকসভা ভোটের মুখে সিবিআই-এর এই তৎপরতায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।
ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার আরও ৩। গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ছাড়াও মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা। ইডির উপরে হামলার ঘটনায় এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেইমত নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হয় শেখ আলমগীর। গত বৃহস্পতিবার তাকে তলব করা হলেও হাজিরা এড়িয়ে যায় আলমগীর।
তারপর ফের শনিবার তাকে তলব করে সিবিআই। আর তার সঙ্গেই তলব করা হয় সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাফুজার মোল্লা ও অপর তৃণমূল নেতা সিরাজুল মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে। টানা ৯ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। আর তারপরই গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর। ইডির ওপর হামলার ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শেখ আলমগীর। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শেখ আলমগীরকে গ্রেফতার করে সিবিআই।পাশাপাশি গ্রেফতার অপর ২ তৃণমূল নেতা মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা।
আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বেশ কয়েকবার সন্দেশখালি গিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে তলবের নোটিস দিয়ে এসেছেন। শাহজাহানের ভাই আলমগীরের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তের জন্য শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু শাহজাহানের অনুগামীদের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। মারধর করার অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকে শাহজাহান নিখোঁজ ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পুলিস গ্রেফতার করে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ১৪ মার্চ শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকে আরও আট দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এবার সিবিআইয়ের জালে তার ভাই আলমগীরও।
সন্দেশখালিতে রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে শাহজাহান অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। গত ৫ জানুয়ারির ওই ঘটনার মূল চক্রী শেখ শাহজাহান ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। হামলার ওই ঘটনায় কারা কারা যুক্ত ছিল, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সম্প্রতি ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই আবহে শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর সহ ১০ জনকে তলব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বৃহস্পতিবারই নিজাম প্যালেসে তাদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে হাজির হন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ২ ব্যক্তি।
সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার রহস্যভেদে ততপর সিবিআই। আগামী দিনে তদন্তে কোনও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআইএর হাতে গ্রেফতার ৪ জন। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। এই ৭ জন হলেন আলী হোসেন ঘরামী, সঞ্জয় মন্ডল, সুকমল সদ্দার, মেহেবুব মোল্লা, আমিনুর শেখ, এনামুল শেখ এবং আইজুল শেখ।
এই ৭ জনকে এবার নিজেদের হেফাজতে চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই। এ বিষয়ে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন সিবিআইয়ের। বুধবার বসিরহাট মহাকুমা আদালত চত্বরে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সিবিআই প্রতিনিধি দল সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ সন্দেশখালি কেসের তদন্তে ও নথি সংগ্রহ করতে বসিরহাট আদালতে তারা আসেন বলেই সিবিআই সূত্রে খবর৷ পাশাপাশি শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ফারুক আকুঞ্জিকেও মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।
ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় ৫৫ দিন পর গ্রেফতার হয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। কোথায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি? সিবিআই সূত্রে খবর, একদিকে যখন তাঁর ফাঁসির দাবিতে সরব ছিল সন্দেশখালি, তখন তিনি ছায়াসঙ্গী ফারুক আকুঞ্জির বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। সেকারণেই সমগ্র বিষয়ে এই ঘটনায় জড়িতদের নিজেদের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এখন এই সন্দেশখালি কাণ্ডের জল কতদূর গড়ায়, আর কোন কোন ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার ওয়াকিবহাল মহল।
ইডির উপর হামলার ঘটনায় তিনজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতারির পর তাঁদের নিজাম প্য়ালেসেই রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে জিয়াউদ্দিন মোল্লা, দিদার বক্স মোল্লা ও ফারুক আকুঞ্জিকে নিজাম প্যালেস থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল বসিরহাট আদালতের উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি মঙ্গলবার আরও তিনজনকে তলব করল সিবিআই। তাঁরা হলেন সিদ্দিক মোল্লা, আবিবুর রহমান, রহমান আকুঞ্জি।
সিবিআইয়ের একটি সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বেড়মজুরে সিদ্দিক মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সেখানেই জানা গিয়েছে, সিদ্দিক মোল্লা হলেন বেড়মজুরের পঞ্চায়েত প্রধান। গত ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত প্রধানকে এদিন কলকাতার সিবিআই দফতরে আসতে বলা হয়েছে।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার ইডির উপর হামলার ঘটনায় তদন্তে নেমে সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। ন্যাজাট থানার অধীনস্থ ফাঁড়িতেও তদন্তের প্রয়োজনে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ধৃত শাহজাহান শেখের এক প্রতিবেশীর বাড়িতেও যান। রহমান আকুঞ্জি নামে এক ব্যক্তির খোঁজ না পেয়ে তাঁর বাড়ির এক সদস্যের হাতে নোটিশ দেন সিবিআই। কিন্তু রহমানের সৎ মা সিবিআইয়ের সামনেই তাঁদের দেওয়া নোটিশ ছিঁড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডির উপর হামলার ঘটনায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তিনজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এর মধ্য়ে রয়েছেন জিয়াউদ্দিন মোল্লা, শাহজাহানের ডান হাত হিসেবে তাঁর এলাকায় পরিচিত। আর বাকি দুই জন হলেন ফারুক আকুঞ্জি এবং দিদার বক্স মোল্লা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে। ঘটনার তদন্তে নেমে শাহজাহান শেখের কললিস্টে জিয়াউদ্দিন মোল্লার নাম দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে তলব সিবিআই এর।
সোমবার জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজাম প্য়ালেস থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে বলে সূত্রের খবর।