রাজ্যপালের (Governer) উপাচার্য (Chancellor) নিয়োগের সিদ্ধান্ত বৈধ। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose)সিদ্ধান্তেই সায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মামলায় হাই কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এ ক্ষেত্রে, বুধবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ। তিনি যে অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন, তাঁদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা দিতে হবে রাজ্যকে।
গত ৫ জুন রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা দায়ের করেন এক অধ্যাপক। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে বুধবার এই রায় দিয়েছে আদালত। রাজ্যপালের এই নিয়োগে সায় ছিল না রাজ্যের। শিক্ষা দফতরের তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যপাল রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ না করেই উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন। ‘একতরফা’ নিয়োগের অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি ঘোষণা করেছিলেন, শিক্ষা দফতর এই উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। তিনি ওই ১১ জনের কাছে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে ‘সসম্মান অনুরোধ’ জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা যেন পদ প্রত্যাহার করেন। যদিও তাঁর অনুরোধ কার্যত বিফলে যায়। ১১ জনের মধ্যে ১০ জনই আচার্যের দেওয়া পদ গ্রহণ করেছিলেন। এক জন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিয়োগ গ্রহণ করেননি।
দার্জিলিং (Darjeeling) যাওয়ার পথে হঠাৎই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (North Bengal University) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। উপাচার্যের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বেরোনোর সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর সেখান থেকে দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ২৮ জুন ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকই বানচাল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে। বৈঠকে আসতে বাধার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী, উপাচার্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করারও অভিযোগ উঠছিল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, নিজেই সেসব খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রাজ্যপাল।
নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) রাজীব সিনহাকে (Rajiva Sinha) নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। রবিবার বিকালে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে।
রবিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই বৈঠক শেষ হয়। সূত্রের খবর, কোনও রাজনৈতিক দল না দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও সঠিক ভাবে ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যপালের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কমিশনারের জয়েনিং লেটারেও সই না করে ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের সঙ্গে কমিশনারের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা যদিও রাজভবন সূত্রে খবর, রবিবারের বৈঠকের জন্য কমিশনারকে ডেকে পাঠাননি রাজ্যপাল। উলটে রাজ্যপালই দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
পাটনার (Patna) বিরোধী বৈঠকেও বাংলার পঞ্চায়েতের (Panchayat) কথা। ম্যারাথন বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গই তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, শাসনের নামে অপশাসন চালাচ্ছে বিজেপি (BJP)। যার উদাহরণ এখন পশ্চিমবঙ্গ। যেখানে সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজভবনকে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত তৈরি হয়েছিল। সেই ইস্যুও এদিন পাটনায় খুঁচিয়ে তুললেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বেকারত্ব, মণিপুর নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না। কিন্তু কবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস, তা একতরফা ভাব পালন করে বিজেপি। এই ব্যাপারে চিঠি লিখে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে উৎসব পালন না করার জন্যই আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই বিষয়টিও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
মমতা জানান, হাইকোর্টের গুটিকয়েক আইনজীবীকে জড়ো করেছে বিজেপি। রোজ তাঁদের নিয়ে আদালতে গিয়ে জড়ো করে সরকারের পিছনে সিবিআই লাগানোর চক্রান্ত করছে। পঞ্চায়েত ভোটেও সিবিআই দাবি করা হয়েছে। বিজেপি এখনও সবাইকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বধ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী।
প্রশ্নের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার (Rajiva Sinha) কমিশনার (Commissioner) পদ। সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাজীব সিনহার জয়নিং লেটার ফেরালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। এর পূর্বে রাজ্যপালই রাজীব সিনহাকে কমিশনার পদে নিয়োগের সিলমোহর দেন। তবে কি এবার রাজীব সিনহা নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন! এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, এ সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্তরে সাংবাদিকদের রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তেমন কোনও প্রশ্নই ওঠে না। প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নেতৃত্বে এখনও অবধি পঞ্চায়েত ঘোষণা, মনোনয়ন পর্ব, প্রাথমিক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বদল হবে কিনা তা নিয়ে একটা সংশয় দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বদলে পিছিয়ে যেতে পারে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং একাধিক সমস্যাও হতে পারে।
এই মুহূর্তে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে কি বদল করা সম্ভব? এ বিষয়ে আইনজীবী মহল মনে করছে কোনও ভাবেই এখন রাজ্যপাল অর্থাৎ সিভি আনন্দ তাঁর জয়েনিং আটকাতে পারেন না। নিয়ম অনুযায়ী, তার নিয়োগে স্বীকৃতি দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যপাল। ফলে রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই নির্বাচন কমিশনার বদল সম্ভব নয়। যদিও নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই জয়েনিং লেটার যদি কোনও ভাবে রাজ্যপাল না নেন বা ফেরত দেন, সেক্ষেত্রে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। যদিও এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, এখনও তাঁর কাছে জয়নিং লেটার ফেরত সংক্রান্ত কোনো তথ্য এসে পৌঁছায়নি।
রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস। রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) উপস্থিতিতে এনসিসি প্রতিনিধিরা প্যারেড করে ওই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। যদিও রাজভবনে ওই অনুষ্ঠানে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গ দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে একাধিক স্কুলের পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিল সেখানে। বসে আঁকো সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর শুভেচ্ছাবার্তা পড়ে শোনান রাজ্যপাল।
রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন না করার জন্য রাজ্যপালকে সোমবারই চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও রাজ্যপালের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হচ্ছে। ফলে এই ঘটনাকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এবিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, সব রাজ্য তৈরি হওয়ার পিছনে একটা নির্দিষ্ট দিন রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো বিষয়টিকে ঘেঁটে দিতে চাইছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
ভাঙড়ের (Bhangar) পর এবার ক্যানিং (Canning) পরিদর্শনে রাজ্যপাল (Governer) সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের মতো সংবাদ শিরোনামে এসেছিল ক্যানিং-ও। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ভাঙড় পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। এবার ওই আবহেই শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, শনিবারই তাঁর রাজ্যের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে ক্যানিংয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
গত বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। বাসন্তী হাইওয়েতে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে সুনীল হালদার নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে ক্যানিংয়ের জোড়াফুল শিবিরের একটি অংশের তরফে দাবি করা হয়। তবে পুলিস জানায়, দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সংঘর্ষে। ক্যানিংয়ের এসডিপিও-সহ কয়েক জন পুলিস কর্মীও ওই সংঘর্ষে জখম হন। এর প্রতিবাদে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করা হয়। ক্যানিং তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা যায়, এলাকার ব্লক সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়কের গোষ্ঠীর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে বুধবার ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এই আবহে ক্যানিং শহরে সিপিএমের একটা অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য যে, শুক্রবার রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত ভাঙড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানকার বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন তিনি। তার পর যান ভাঙড় ১ এবং ২ নম্বর ব্লক অফিসে। সেখানে কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে। তার আগে স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ভাঙড়ে দাঁড়িয়েই হিংসার বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিক ভাবে হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।'
রাজ্যের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। আর তা রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই। তারপরে টুইট করে নিয়োগ হওয়া উপাচার্যদের পদদ্যাগ করতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার টুইট করে তিনি রাজ্যপালের এই নিয়োগ বেআইনি বলেও দাবি করেন।
আপাতত টুইট থেকেই স্পষ্ট, রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করছে রাজ্য। রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল, তা বলাই যায়। বৃহস্পতিবারই ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী টুইটে দাবি করেছেন, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন তিনি। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যে কোনও আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, বর্তমানে রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে, এই নিয়োগ তার পরিপন্থী ও বেআইনি। এই নিয়োগের বিষয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষা দফতর কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য।
একইসঙ্গে যে সব অধ্যাপকদের এদিন উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের সেই নিয়োগ প্রত্যাখান করার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “উচ্চশিক্ষা বিভাগের তরফ থেকে সসম্মান অনুরোধ থাকবে, তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।”
সাপ্তাহিক কাজের হিসাব না পাওয়ায় কড়া পদক্ষেপ রাজভবনের (Raj Bhavan)। রাজ্য ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Cv Anand Bose)।
মঙ্গলবার রাজভবনের চিঠি যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠানের আচার্য হিসাবে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সাপ্তাহিক কাজের একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আরও সহজ করা এবং ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর স্বার্থেই এই রিপোর্ট তলব। কিন্তু তেমন কোনও হিসাব রাজ্যপালকে পাঠাননি উপাচার্য। কেন আচার্যের নির্দেশ মানা হল না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সেই কারণ জানাতে বলেছে রাজভবন।
রাজভবন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ মোট ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা রাজ্যপালের এই শো-কজ চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে তাঁদের রিপোর্ট না পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এই চিঠি পেতে পারে।
সম্প্রতি রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন রাজভবন এখন থেকে 'জন রাজভবন'। আজ অর্থাৎ নববর্ষের শুরুর দিন থেকেই জন সাধারণের জন্য খুলে গেল রাজভবনের গেট। আজ অর্থাৎ শনিবা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাধারণের জন্য খুলে গিয়েছে রাজভবনের গেট। সেই মত বাংলা নববর্ষের সকালে সেজে উঠল রাজভবন চত্বর। সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বাংলা ভাষাতেই শুভেচ্ছাবার্তা জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিলেন শান্তির বার্তাও।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাজভবন থেকে শান্তি মিছিল এবং সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। রেড রোড পর্যন্ত যায় এই শান্তি মিছিল। সেখান থেকে মিছিল ফিরে আসে রাজভবনেই। শনিবার সকালে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত শান্তি মিছিলের সূচনা করতে এসে প্রথমেই স্পষ্ট বাংলায় শুভেচ্ছাবার্তা দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ।’ এরপর রাজ্যবাসী এবং যুবসমাজের উদ্দেশে শান্তির বার্তা দেন তিনি।
নববর্ষ উপলক্ষে রাজভবনে দিনভর অনুষ্ঠান চলবে। সকাল সাড়ে ১০টায় সূচনা হবে ‘হেরিটেজ ওয়াক’-এর। এই ‘হেরিটেজ ওয়াক’-এ রাজভবনের ভিতরে ও বাইরে পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। পরে বিকেল ৫টা থেকে নাচ-গান-আবৃত্তি-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকছে রাজভবনে। বাংলার সংস্কৃতিকে উদ্যাপন করতে কলা ক্রান্তি মিশনের উদ্বোধন করা হবে। থাকবে রাজ্যপালের নিজস্ব ভাবনায় তৈরি ‘আনন্দ ধারা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানও। সন্ধ্যা ৬টায় রাজ্যপাল আবার বাংলায় ভাষণ দেবেন। রাজভবন জানিয়েছে, সব মিলিয়ে বাংলার ‘জন রাজভবন’ বাংলার নববর্ষকে সাড়ম্বরে স্বাগত জানাবে এ বছর।
প্রসূন গুপ্ত: রাজ্যপালের দায়িত্বে এসে প্রজাতন্ত্র দিবস বেশ ভালোই কেটেছে সিভি আনন্দ বোসের। সকালে রেড রোডের কুচকাওয়াজে প্রথা মেনেই অভিবাদন নিয়েছেন তিনি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কুশল বিনিময়ে হয়েছে। গোটা দিন যারপরনাই তিনি খুশিই ছিলেন। বিকেলে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ছিল তাঁর 'হাতেখড়ি'। অভিনব ঘটনাই বটে, মনে হতেই পারে উচ্চশিক্ষিত পিএইচডি প্রাপক রাজ্যপালের হাতেখড়ির প্রয়োজন কী? আগেই জানিয়েছিলাম যে এটি লেখক আনন্দ বোসের জেদ, যে রবীন্দ্রনাথকে বাংলায় পড়তে হবে। বাংলায় সাহিত্যচর্চা করতে হবে। সর্বোপরি তিনি লেখক, কাজেই এ রাজ্যে থেকে বাংলায় লেখালেখি করতে হবে। তাঁর একান্ত ইচ্ছা, বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে আগামি ৫ বছরের মধ্যে বাংলা ভাষা শিখে, সেই ভাষায় বাংলায় বই লেখা। কোনওরকম অনুলিখনে বিশ্বাসী নয় তিনি। তাই বাংলায় হাতেখড়ি।
এক শিশুকন্যা তাঁর হাতেখড়ি দেয়, এই শিশুই তাঁর শিক্ষাগুরু। গুরুদক্ষিণা দেন তিনি। উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে প্রবীণ বাম নেতা বিমান বসু। ছিলেন বিজেপির তথাগত রায় প্রমুখরা।
এই হাতেখড়ির আগে চা চক্রের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে নানা গল্পে সময় কাটান। কিন্তু তারপরই জানান যে তাঁকে দিল্লিতে যেতে হচ্ছে।
কিন্তু হঠাৎ কেন দিল্লিতে? ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যার বিমানে তিনি দিল্লি চলে যান। গুঞ্জনে জানা যাচ্ছে, বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী নাকি বর্তমান রাজ্যপালের কাজে ভীষণ অখুশি। এই কারণে তিনি আমন্ত্রিত থাকা সত্বেও রাজভবনে আসেননি। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, নবান্ন-রাজভবনের 'সখ্যতা'কে কটাক্ষ করেছেন। ফলে তাই কি দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ডেকে পাঠান বোসকে, এই প্রশ্নই উঠছে।
শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে, আগেই বাংলার রাজ্যপালের দিল্লি যাত্রা চূড়ান্ত ছিল। শুক্রবার অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক রুটিন মাফিক। এ ছাড়াও রাজ্যপাল আরও অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। দিদির 'পছন্দের' বর্তমান রাজ্যপাল, তাঁর হাতেখড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে অমিত শাহ কড়া ভূমিকা নেবেন, এমন বার্তা জাতীয় রাজনীতির অন্দরে এই মুহূর্তে নেই।
প্রসূন গুপ্ত: সিভি আনন্দ বোস, নতুন রাজ্যপালের তাই নাম। জানা গেলো সিভি আনন্দ অবধি ঠিক আছে। কিন্তু দক্ষিণ ভারতীয় বিশেষ করে কেরালা ও তামিলনাডুর অধিবাসীরা নেতাজি সুভাষকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করেন। ফলে অনেকেরই নাম সুভাষ বা বোস। রাজ্যপালের নাম ওভাবেই এসেছে। আনন্দ বোস একেবারেই ব্যতিক্রমী চরিত্র। উচ্চ শিক্ষিত, বহু বিষয়ে বিস্তর পড়াশুনো এবং দেশের প্রশাসনিক বিষয়ে বহু দায়িত্ব সামলেছেন। বোসের লেখা বহু বই আছে যা কিনা দেশের সম্পদ মনে করেন অনেকেই।
রাজ্যপাল প্রচারের আলোর বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। যা কিনা প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনকরের একেবারেই উল্টো পথ। তিনি মনে করেন সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে যখন দায়িত্ব পেয়েছেন, তখন সেই কাজ নিপুনভাবে করা উচিত। এই রাজ্যপাল নিয়োগের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে না জানিয়ে কেন বারবার রাজ্যপাল নিয়োগ করা হচ্ছে। অমিত বুদ্ধিদীপ্ত ভঙ্গিতে মমতাকে জানিয়েছিলেন, ইনি অত্যন্ত কাজের মানুষ এবং প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করে চলতে ভালোবাসেন, দিদির নিশ্চয় পছন্দ হবে।
বাস্তবিক আপাতত তাই সত্যি হয়েছে। রাজ্যপাল যেমন খুশি এ রাজ্যে এসে, তেমন মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে পেয়ে আনন্দিত। যা কিনা তিনি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি শিক্ষাবিদ ও সিস্টার নিবেদিতার আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীর আমন্ত্রণে গত ২৫ ডিসেম্বর তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিষয় নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্যের শতবর্ষ। সেদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলার তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্ব, কিন্তু শেষ বক্তা হিসাবে রাজ্যপাল মানুষের মন জয় করে নিলেন। তিনি বলেছিলেন, সাহিত্য জানতে গেলে রবীন্দ্রনাথকে জানতে হবে। রবি ঠাকুরের কাবুলিওয়ালার 'মিনি'-কে জেনে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তাঁর পরিবারের কাছে।
তিনি বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র না পড়লে ভারতীয় সাহিত্য অসম্পূর্ণ থাকবে। তিনি জানান, তিনি বাংলা সাহিত্য পড়েছেন ইংরেজি অনুবাদে। কিন্তু আসন্ন ৫ বছরে তিনি বাংলা শিখে তাঁর বহু লেখা বইয়ের মতো বাংলাতেও বই লিখবেন। তিনি আবেদন করেন তাঁকে বাংলা শিখতে এবং বুঝতে সহযোগিতা করতে।
অবশেষে তাঁর সেই প্রচেষ্টা বাস্তবের দিকেই যাচ্ছে। আজ সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় তিনি কোনও পণ্ডিতের কাছে বাংলার 'হাতেখড়ি' নেবেন। অর্থাৎ লক্ষ্য তাঁর বাংলা শিক্ষার দিকে। তাঁর এই অনুষ্ঠানে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য এবং বিদ্বজন। মমতা অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন সপার্ষদ। উপস্থিত থাকবেন বিজেপি, বাম, কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিরা বলে আপাতত সংবাদ। কিন্তু থাকবেন না বলে খবর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভ কাজে রাজনীতি থাকছেই, এই প্রশ্ন এখন ঘুরেফিরে আসছে।
বুধবার রাজ ভবনে নবনিযুক্ত রাজ্যপাল (Bengal Governor) সিভি আনন্দ বোসের শপথ অনুষ্ঠান (Oath Taking Ceremony) বয়কট করেন শুভেন্দু আধিকারী। কেন এই সিদ্ধান্ত, প্রথমে ট্যুইট করে জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। পাশাপাশি বিধানসভাতেও সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। এদিন ট্যুইটে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, 'রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আসন বরাদ্দ করা হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। যারা বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে দল বদলে এখন তৃণমূল (TMC) করছেন। দলত্যাগ আইনে এঁদের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানি চলছে।'
Heartiest Congratulations to Dr CV Ananda Bose as he takes oath as the Governor of West Bengal.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 23, 2022
The Information & Cultural Affairs Dept; WB Govt has made the arrangements for the oath taking ceremony.
Seating arrangements as per the Minister in Charge @MamataOfficial's whim: pic.twitter.com/ovbTMqGsif
পাশাপাশি তিনি নবনিযুক্ত রাজ্যপালকে শপথ গ্রহণের শুভেচ্ছা জানিয়ে এই আসন বিতর্কের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য এবং সম্প্রচার দফতরকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এই দফতরের দায়িত্বে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, 'শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে আমি এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি কার্যত রাজ ভবনের গেট থেকে ফিরে এসেছি। আমরা সাড়ে ১০টার মধ্যে কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। কেন এই সিদ্ধান্ত, তার জন্য একটি ট্যুইট করেছি। যাতে কোনওভাবে ভুল বার্তা না ছড়ায় এবং সত্য উদ্ঘাটিত হয়।'
তাঁর খোঁচা, 'আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি থেকে, বসার ব্যবস্থাপনা, এসব কিছু কোম্পানির মালিক করেছেন। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক অনুষ্ঠান। কোনও রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতি নেই। এই অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষ, তিন-চার জন মন্ত্রী আমন্ত্রিত ছিলেন। তার বাইরে দু'জন বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এঁরা কারা, নাম বলতে চাই না। বিজেপির টিকিটে ভোটে জিতে বিধানসভায় বিজেপি এবং বিধানসভার বাইরে তৃণমূল। তাঁদের মধ্যে একজন লজ্জা ছেড়ে আবার বনগাঁ তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। এঁদের কোন প্রোটোকলে ডাকা হয়েছে? যদি ধরে নিতাম ২৯৪ জন বিধায়ক আমন্ত্রিত তাহলে এই প্রশ্ন করতাম না। এই নিকৃষ্ট রাজনীতির সাক্ষী থাকল বাংলা।'
এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আসন বরাদ্দ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'এই অনুষ্ঠানে কলকাতার লোকসভা এবং রাজ্যসভার একাধিক সাংসদকে সামনের সারিতে বসানো হয়েছে। সেখানে বালুরঘাটের সাংসদ মাননীয় ডক্টর সুকান্ত মজুমদারকে পিছনের সারিতে বসতে দেওয়া হয়েছে। পিছনের সারিতে বসেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। যদি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হন, মালা রায় সাংসদ হন, ডেরেক ও ব্রায়েন সাংসদ হন, তাহলে ডক্টর সুকান্ত মজুমদারও সাংসদ।'
নির্ঘণ্ট মেনেই বুধবার রাজভবনে (Raj Bhawan) শপথ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Dr CV Anand Bose)। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাম নেতা বিমান বসু। ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা।
নতুন রাজ্যপালকে অভ্যর্থনা জানাতে ইতিমধ্যে নীল হাড়িতে সাদা রসগোল্লা পাঠিয়েছে নবান্ন। তবে আসন বিতর্কে এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট করে সেই শপথ বয়কটের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক দলও। তবে সাড়ে ৫ মাস পর স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা। রাষ্ট্রপতি ভবনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, যেদিন শপথ নেবেন, সেদিন থেকেই রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হবেন আনন্দ বোস। তাঁর পূর্বসূরি বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত সর্বজনবিদিত।
সেই সংঘাতের পরিবেশ বর্তমান আমলেও থাকবে কিনা, সেই দেখার অপেক্ষায় বাংলায় রাজনৈতিক মহল।