গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত চলছে। রাজ্যকে না জানিয়েই একাধিক অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস, আর তা নিয়েই শুরু বিতর্ক। এবার আগুনে পড়ল আরও ঘি। ১৫ জন রেজিস্ট্রারকে শো-কজের সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের। বিকাশ ভবনে এই সংক্রান্ত বৈঠকে যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদেরকেই শো-কাজের সিদ্ধান্ত।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে শুক্রবার বিকাশভবনে একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে রেজিস্ট্রারদের গরহাজিরা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। এদিকে রাজ্যপালের তরফে চিঠি দিয়ে এই বৈঠকে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা ছিল রেজিস্ট্রারদের কাছে। সব মিলিয়ে তথৈবচ অবস্থা। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় শিগগিরিই তাঁদের কাছে শো-কোজ নোটিস পৌঁছে যাবে বলে খবর।
শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় রাজভবনের উত্তর গেটের কাছে ধরনায় বসেন শাসকদল ঘনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক থেকে প্রাক্তন উপাচার্যরা। রাজ্যপালের ভূমিকায় সরব হন অন্যান্য অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপাচার্যরাও। তাঁদের দাবি, সংবিধান মেনে চলুন রাজ্যপাল। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। এমনকি রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা যায় শিক্ষাবিদদের। এদিনের ধরনা কর্মসূচির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ৰাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, কবি সুবোধ সরকার, অধ্যাপক উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সুবোধ সরকার বলেন, রাজ্যপাল বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শক্ত ঘাঁটি। পরে মিছিল করে রাজভবনের মেইন গেটের দিকে যান তাঁরা। সেখানে পুলিসি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ছিল আগে থেকেই। সেখানেই রাজ্যপালের প্রতিনিধির হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁরা।
রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত এবার নেমে এল রাস্তায়। রাজভবনের বিবৃতির বিরোধিতা করে এবার রাজভবনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করলেন প্রাক্তন উপাচার্যদের সংগঠন 'দ্য এডুকেশনিস্ট'স ফোরাম'। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালনা প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যপাল মিথ্যে কথা বলেছেন।
রাজভবনকে কেন্দ্র করে সংঘাত, দ্বন্দ্ব চলছিলই। ইদানিং রাজ্য-রাজভবনের মধ্যে ফাটল আরও চওড়া হল। এই আবহেই কার্যত রাজভবনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা রাজ্যের শাসক শিবিরের। শুরুটা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক দিবসে রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন তিনি। একদিকে রাজভবনের কথামত অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যদের বেতন বন্ধের হুমকি, আবার অন্যদিকে রাজভবনে একের পর এক বিল আটকে রাখার অভিযোগ তুলে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন,প্রত্যেকটা বিল আটকে রেখে এভাবে কারোর অধিকার কেড়ে নিলে তিনি রাজভবনের সামনে ধরনা দিতে বাধ্য হবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনা হুঁশিয়ারির পালটা বৃহস্পতিবার মুখ খোলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বলেন, বাইরে নয়, মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনের ভিতরে আসুন। তিনি জোড়হাতে তাকে স্বাগত জানাবেন।
'ধরণা দিতে চান, রাজভবনে ভিতরে আসুন।' মমতার পাল্টা কটাক্ষ রাজ্যপাল বোসের গলায়। শিক্ষক দিবসের দিন রাজভবনের সামনে ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই হুঙ্কারের দু’দিনের মাথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার আন্দোলনে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল বোস। ফলে শিক্ষায় রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে এবার নয়া মোড় দেখা গেল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের পাল্টা মুখ খুললেন এবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন যাওয়ার পূর্বে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোড় করে বলেন, “আমার সাংবিধানিক সহকর্মী মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত তাঁর প্রতিবাদ আন্দোলনের জন্য। করজোড়ে রাজভবনের ভেতরেই তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
রাজ্য শিক্ষাদফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল বোস। এই নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন চরমে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে বিঁধেছেন। কখনও পাঙ্গা না নেওয়ার হুঁশিয়ারি তো কখনও রাজ্যপাল কর্তৃক উপাচার্যদের বেতন বন্ধের হুঙ্কার দিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন কোনও রকম রাখঢাক না করেই কার্যত সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা। বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে প্রয়োজনে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসব।” মুখ্যমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ার পর কেটেছে দুটো দিন। আজ রাজ্যপাল ফিরেছেন কলকাতায়। আর বঙ্গে এসে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা দেওয়ার হুঁশিয়ারিকে কার্যত হাসিমুখে স্বাগত জানাতে দেখা গেল তাঁকে।
উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালই উপাচার্য এই ঘোষণার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে সব মহলেই। যা নিয়ে এবার রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত এবার তুঙ্গে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে আবারও আইনি পদক্ষেপের পথে রাজ্য। কোন আইনের বলে আচার্য উপাচার্যের পদ সামলাতে পারেন? সেই প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আইনি পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তিনি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। এবার রাজ্য যে সেই পথেই হাঁটছে, তা তিনি শুক্রবার স্পষ্ট করে দিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আমি সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য। কোন আইনের বলে এটা করলেন, আমার মাথায় ঢুকছে না। আমরা আইনি পদক্ষেপ করব বলে ভাবছি।”
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক স্তরে যে টানাপোড়েন চলছে, তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গনে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময়ে রাজভবন থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, রাজ্যে বর্তমানে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। রাজ্যের যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেখানে আচার্য তথা রাজ্যপাল তাঁর নিজ ক্ষমতাবলে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। যাতে বিভিন্ন শংসাপত্র, নথি ও অন্যান্য সুবিধা পেতে ছাত্রছাত্রীদের কোনও সমস্যা না হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, ছাত্রছাত্রীরা চাইলে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই বিজ্ঞপ্তি একেবারে সরাসরিই রাজ্য শিক্ষা দফতরকে চ্যালেঞ্জ করছে। তারপরই শিক্ষা দফতরের তরফে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবে। শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে।
উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে এবার বড় ঘোষণা রাজ্যপালের। রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিসির দায়িত্ব পালন করবেন রাজ্যপাল। পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত বলে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে। যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নেই সেইগুলিতে পড়ুয়াদের সার্টিফিকেট বা অন্য তথ্যাদি পেতে যাতে অসুবিধা মুখে পড়তে হচ্ছে। এবার সেই সমস্যা এড়াতেই আচার্যই সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কও শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাবলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। সম্প্রতি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজপাল সংঘাত ক্রমশ চওড়া হয়েছে। রাজ্যপালের অনেক সিদ্ধান্তে খুশি হয়নি রাজ্য সরকার। মাঠে নেমে তোপ দেগেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সুর চড়িয়েছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, গৌতম পালের মতো শিক্ষাবিদেরা। অন্যদিকে ছেড়ে কথা বলেননি রাজ্যপালও। বিতর্কের মধ্যেই রাশ রেখেছেন নিজের হাতেই। চাপানউতর চলছিলই, তারমধ্যেই জানা গেল সমস্ত উপাচার্যহীন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিসির দায়িত্ব সামলাবেন খোদ রাজ্যপাল। যা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে শিক্ষামহলে।
অন্যদিকে এদিনই আবার ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। নতুন উপচার্য হয়েছেন রাজকুমার কোঠারি। অন্যদিকে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে বিতর্কের মধ্যে কয়েকদিন আগে যাদবপুরের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল।
বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কিন্তু রেজিস্ট্রার ও উপাচার্য নেই। ঝাড়গ্রামে এই অভিযোগ পেতেই এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তীব্র সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে মমতার চ্যালেঞ্জ সাহস থাকলে বিধানসভায় পাশ হওয়া আচার্য বিলে সই করে দেখান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ভিসি করতে গেলে তিনটে নাম পাঠাতে হয়। যদি আপনার সৎসাহস থাকে, অ্যাসেম্বলিতে যে বিলটা পাশ হয়েছে, যে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারপার্সন হবেন, চ্যান্সেলর হবেন। সেই বিলটা আপনি সই করে দিন। ইংরেজ আমলে একটা আইন ছিল। তখন মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।'
পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, রাজভবনে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল। তাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের সুপারিশকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। বসানো হচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠদের। মূলত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকে উদাহরণকে সামনে রেখে এদিন রাজ্যপালকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, রাজভবনে থেকে সংবিধানকে তোয়াক্কা করছেন না রাজ্যপাল। বরং মুখ্যমন্ত্রীর মতো কাজ করতে চাইছেন।
আর এই কারণেই রাজ্যপালকে ভোটে দাঁড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হতে। যদিও দাবি করেছেন, বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। এদিন ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিলতা কাটাতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দ্রুত একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পড়ুয়ারা যাতে দ্রুত শংসাপত্র পেতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার জাল ওষুধ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে অসাধু ওষুধ চক্র। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই বক্তব্যের পর শুরু হয়েছে চাপানউতোর। রাজ্যপালের ওই মন্তব্যের পর রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের উপর লেবেল লাগিয়ে ফের বিক্রি করা হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার অসাধু চক্র এই কাজে সক্রিয় বলে অভিযোগ তাঁর।
রাজ্যপালের এই দাবির পর তীব্র রাজনৈতিক চাপানোতর তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে সিপিএম, বিজেপি। তাদের অভিযোগ, গোটা রাজ্যে অসাধু কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ করে তারা
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) গণনার দিনেও গ্রাউন্ড জিরোয় রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (C.V. Anand Bose)। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে বেলাগাম সন্ত্রাসের খবর পেয়ে জেলায় জেলায় ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল, দেখা করেছিলেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে। দিল্লি থেকে ফিরেই বেড়িয়ে পড়েছেন তিনি। সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একাধিক এলাকায় ঘুরছেন তিনি। সকালেই বিমানবন্দর থেকে নেমে চলে যান ঘটকপুর বাজারে। সেখান থেকে ভাঙড়ের (Bhangar) বিজয়গঞ্জ বাজারে।
ভোটের মনোনয়ন জমার দিন থেকেই ভাঙড়ে বিজয়গঞ্জ বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। মুড়ি-মড়কির মতো বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল ভাঙড়ে। সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। তার পরেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কথা বলেছিলেন বাসিন্দাদের সঙ্গে। গণনার দিনেও তিনি সেই ভাঙড়ে হাজির হয়েছেন।
ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে নেমে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাজ্যবাসীকে নিরাপত্তা দেবই। কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এর আগে ভোট শুরুর আগের দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তিনি। কমিশনের কারণেই পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে এতোজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার দায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকেই নিতে হবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের দিন হিংসা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপরেই তিনি উড়ে গিয়েছিলেন রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তার পরে ফিরে এসেই ফের পরিদর্শনে বেরিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল বসিরহাট থেকে দেগঙ্গা হয়ে কলকাতা ফিরবেন। ঝামেলা প্রবণ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সবকিছুই ঘুরে দেখছেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (PanchayatElection) পরদিনই দিল্লি (Delhi) রওনা রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose)। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। রাজভবন সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় ঘুরেছেন রাজ্যপাল। হিংসায় আক্রান্ত পরিবারদের সঙ্গে নিজেও সাক্ষাৎ করেছেন। গ্রাউন্ড জিরোর সেই রিপোর্ট এবার তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দেবেন বলে খবর।
কখনও ভাঙড়, ক্যানিং। আবার কখনও অশান্ত কোচবিহার বা মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত অঞ্চল। সব জেলায় ঘুরেছেন, দল নির্বিশেষে কথা বলেছেন আক্রান্তদের সঙ্গে। পরিবারকে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। ভোটের দিন সকালেও সক্রিয় ছিলেন। এরপরও ভোটের দিন রাজ্যে ১৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। রবিবারও অশান্ত হয়েছে একাধিক এলাকা। ভোট শেষের পর রাজ্যপাল জানান, তাঁর যা করণীয় করবেন। এবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন তিনি।
নির্বাচনের দুদিন আগেও নির্বাচন কমিশনারকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যপাল। একটি মুখবন্ধ খাম কমিশনে জমা করেছিলেন। রাজভবনে তলবও করেছিলেন নির্বাচন কমিশনারকে। কিছুই কাজে দেয়নি। রাজ্যে নির্বাচনে হিংসা আটকানো যায়নি।
মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরে গিয়ে নিহত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মীর বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তারপর খড়গ্রামের নিহত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতেও যান।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই খবরের শীর্ষে মুর্শিদাবাদ। একাধিক হিংসার ঘটনার অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে মুর্শিদাবাদ পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যপাল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখান থেকে তিনি চলে যান নবগ্রামের নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে। গত ১৫ জুন তাঁকে খুন করার অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, নিহত কর্মীদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সেই দিনের ঘটনার কথা জানতে চান। এখন কোনও আতঙ্ক রয়েছে কি না সে বিষয়েও রাজ্যপাল প্রশ্ন করেন।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মুখে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose) বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তৃণমূলের। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাল তৃণমূল। একইসঙ্গে রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল। ভোটের মুখে রাজ্যের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যপালের রাজ্য সফর নিয়ে আগেই সরব হয়েছে শাসক দল। এবার সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ করা হল কমিশনে।
চিঠিতে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। সেগুলি হল,রাজ্যে চালু আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন রাজ্যপাল। সরকারি বাসভবন, সার্কিট হাউসে থেকে তিনি বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। যা একেবারেই নিয়মের বাইরে। এছাড়া নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। নির্বাচন কমিশনের কর্মপদ্ধতি, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকি করার জন্য রাজভবনে ‘কন্ট্রোল রুম’ স্থাপন করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিডিওর সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করছেন। যা 'অনধিকার চর্চা' বলে মনে করছে তৃণমূল। এছাড়া, রাজ্য ও কমিশনকে অন্ধকারে রেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক, কেন্দ্রের বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গেও বৈঠক করছেন রাজ্যপাল। এই অভিযোগগুলি চিঠিতে লিখে দলের সহ-সভাপতি সুব্রত বক্সী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রাজ্যে হিংসার ঘটনায় সক্রিয় রাজ্যপাল। হিংসা কবলিত এলাকায় যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে পরিদর্শন করেছেন। সম্প্রতি, কোচবিহার ও দিনহাটাও যান তিনি। গাড়িতে যেতে যেতেই নিজে ফোনে সব অভিযোগ শুনে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার কলকাতা ফিরেই রাজভবনে না এসে বাসন্তীদের উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের এই 'সক্রিয়তা'-র বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে তৃণমূল। এবার সরাসরি অভিযোগ আনা হল নির্বাচন কমিশনে।
বাসন্তীতে (Basanti) নিহত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সোমবার সকালে কলকাতা পৌঁছে সরাসরি বাসন্তীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। রবিবার রাতে বাসন্তীর মালঞ্চ চাতরাখালি এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জিয়ারুল মোল্লার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই বাসন্তী যাচ্ছেন রাজ্যপাল।
জানা গিয়েছে, জিয়ারুল তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে পরিবারের অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা। এলাকাবাসীদের দাবি, যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আমারুল লস্কর ঘনিষ্ঠ নেতা ছিলেন জিয়ারুল। পুলিশ জানিয়েছে, জিয়ারুলের মাথা ও পেটে গুলি লেগেছে। এবং দুটি গুলিই ভিন্ন ধরনের। সেকারণে পুলিশের প্রাথমিক অনুমাণ দুটি ভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করা হয়েছে জিয়ারুলকে।
ইতিমধ্যে নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মোবাইল ফোনটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার দিন কে কে ফোন করেছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে পুলিশের সন্দেহভাজনের যে তালিকা তৈরি করেছে সেখানে একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে। এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে নজরে রাখার পরেই জিয়ারুলকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
উত্তপ্ত কোচবিহারে (Cooch Behar) আহত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) অঞ্চল সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। রবিবার সকালেই হাসপাতালে পৌঁছে যান তিনি। পাশাপাশি গীতালদহে খুন হওয়া অপর এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে শনিবার রাতেই ফোনে কথা বলেন।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির অভিযোগ এসেছে। সেই সব এলাকায় ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। রবিবার সকালে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছে আহত তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলেন। যদিও রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ নিয়ে আগেই অনেক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যপাল শুধু বিরোধীদের সঙ্গেই দেখা করছেন। শাসক দলের আহতদের সঙ্গে কথা বলছেন না তিনি।
পাশাপাশি রাজ্যপালের কাজকর্ম নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল বিজেপির ক্যাডারের মতো হয়ে কাজ করছে।দিন কয়েক আগে কোচবিহারের গীতালদহে খুন হন এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাঁর নাম বাবু হক। শনিবার রাতে মৃতের পরিবারের সঙ্গে ফোন করে কথা বলেন তিনি।
রাজ্যপালের সফরের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে আহতদের দেখতেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে রয়েছেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সেখান থেকেই 'গ্রাউন্ড জিরো' রাজ্যপাল হওয়ার কাজ শুরু করে দিলেন সিভি আনন্দ বোস। গাড়ি করে যেতে যেতেই ফোনে মারধরের অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিলেন রাজ্যপাল। সোজা ফোন করলেন নির্বাচন কমিশনে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যভবনের তরফে রাজ্যপালের সেই অ্যাকশনের ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জোর চর্চা চলছে নানা মহলে।
পঞ্চায়েতে অশান্তি নিয়ে রাজ্যপালকে এবার সরাসরি ফোন করা যাবে। রাজ্যপাল নিজে সেই অভিযোগ শুনবেন। ঠিক যেমনভাবে এদিন কোচবিহার যাওয়ার পথে অভিযোগ শুনলেন আক্রান্তের। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাজভবনের অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি সন্দীপ সিংয়ের কাছে একটি ফোন আসে। কোনও এক জনৈক ব্যক্তি ফোনে জানান, তাঁকে মারধর করা হচ্ছে। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। এরপরই রাজ্যপাল নিজে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তাঁর অভিযোগ শোনেন। এরপরই সন্দীপবাবুকে নির্দেশ দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ফোন করতে। ফোন যায় নির্বাচন কমিশনে। রাজ্যপাল দ্রুত অ্যাকশন নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের দাবিতে রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose) সঙ্গে দেখা করলেন পাহাড়ে তৃণমূল মহাজোটের নেতারা। বৃহস্পতিবার সকালেই বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার নেতৃত্বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জি এন এল এফ সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা একজোট হয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন।
পাহাড়েও এবার দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্প্রতি তৃণমূল বিরোধী মহাজোট করে এক ছাতার তলায় এসেছেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ডরা। আর তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছে বিজেপি। এমনই মত রাজনৈতিক মহলের। তারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল বৃহস্পতিবার সকালে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তার দাবিতে একসুর পাহাড়ের তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।