
জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। বান্ধবী তথা ক্রিকেটার উৎকর্ষা পাওয়ারের সঙ্গে শনিবার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) এই ব্যাটার।
শনিবার মহাবালেশ্বরে রুতুরাজ এবং উৎকর্ষার চার হাত এক হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিয়ের একাধিক ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন এই ওপেনিং ব্যাটার। লিখেছেন, 'পিচ থেকে বিয়ের মণ্ডপ, পর্যন্ত আমাদের যাত্রা শুরু।'
সতীর্থর বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন শিবম দুবে, প্রশান্ত সোলাঙ্কির মতো একাধিক ক্রিকেটার। উপস্থিত না থাকলেও রুতুরাজকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়স আয়ার, রশিদ খান, উমরান মালিক, মাহিশ থিকসানা, বেঙ্কটেশ আয়ারেরা।
বিয়ে করছেন চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) তারকা ক্রিকেটার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। ৩ জুন বান্ধবী উৎকর্ষা পওয়ারের (Utkarsha Power) সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন তিনি। সম্প্রতি, আইপিএল ফাইনালে স্টেডিয়ামে রুতুরাজের হয়ে, চেন্নাইয়ের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ম্যাচের পর সাজঘরে ধোনি ও রুতুরাজের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গিয়েছে উৎকর্ষাকে। সেসব ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কিন্তু কে এই উৎকর্ষা? জানা গিয়েছে, রুতুরাজের হবু স্ত্রীও নাকি ক্রিকেটার।
১৯৯৮ সালের ১৩ অক্টোবর জন্ম উৎকর্ষার। মহারাষ্ট্রের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন। অলরাউন্ডার ছিলেন। দেড় বছর আগে শেষবার রাজ্যের হয়ে খেলেছেন তিনি। ২০২১ সালে মহিলাদের একদিনের ট্রফিতে তিনি পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। এখন ক্রিকেট ছেড়ে পুনের একটি বেসরকারি সংস্থায় পড়াশোনা করছেন তিনি।
অবসর যে নিচ্ছেন না সেটা আগেই জানিয়েছিল চেন্নাই (CSK) অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (MSD)। পঞ্চমবার আইপিএল জিতে মাঠে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তারপরেও মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর চেন্নাই দলে বদলে যেতে পারে তাঁর ভূমিকা। কারণ, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে পারেন ধোনি। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাঁকে কতদিনের বিশ্রামের কথা বলবেন, মূলত তার উপরেই নির্ভর করছে ধোনির মাঠে ফেরা। যদিও ধোনি নিজে দাবি করেছেন, তাঁর হাতে এখনও আট থেকে নয় মাস সময় আছে। তবুও, আগামী বছর মাঠ না ডাগআউট, কোথায় থাকবেন ধোনি, সেই আগ্রহ এখন থেকেই তৈরি হল।
হাঁটুর ব্যথা নিয়ে এই মরশুমে পুরো আইপিএল খেলছেন ধোনি। একবারের জন্য বুঝতে দেন চোটের কথা। তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, বারবার তা সুকৌশলে এড়িয়েছেন ধোনি। তবে ফাইনালের দিন সবাইকে চমকে দিয়ে হঠাৎ করেই চার নম্বরে ব্যাট করতে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। আমেদাবাদের ৭৫ হাজার দর্শক কার্যত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। শূন্য করলেও, দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ধোনির সংস্থা থেকেই দাবি করা হয়েছে, আর নয়। এবার সত্যিই হাঁটুর চিকিৎসা করাবেন ধোনি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই মুম্বইয়ে হতে পারে তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার। তারপরেই ঠিক হবে মাঠ না মাঠের বাইরে কোথায় দেখা যাবে ধোনিকে।
বৃষ্টির জন্য রবিরার ভেস্তে গিয়েছিল আইপিএল-এর ফাইনাল ম্যাচ (IPL Final Match)। ফলে সোমবার গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) ও চেন্নাই সুপার কিং-এর (Chennai Super King) খেলা দেখতে মুখিয়ে বসেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এরপর অবশেষে সোমবার ধোনি ও পান্ডিয়ার খেলা দেখতে পারলেন ভারতবাসী। কিন্তু এই খেলা দেখার মধ্যেই আরও এক কাণ্ড ঘটে গেল, যা নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। সোমবার ম্যাচ চলাকালীন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সুইগি এমন এক মজাদার টুইট করেছে, যা এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। 'সুইগি' থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচের দিন যেমন বিক্রি হয়েছে বিরিয়ানি (Biryani), তেমনি দেদার বিক্রি হয়েছে কন্ডোম। ফলে সমাজমাধ্যমে ঠাট্টা-মশকরা করে নেটিজেনরা বলছেন, 'প্রকৃতপক্ষে কে জিতল ধোনি না বিরিয়ানি?'
সোমবার ম্যাচ চলাকালীন সুইগি টুইট করে জানিয়েছে, 'এই মরশুমে সবথেকে বেশি অর্ডার করা খাবারের মধ্যে ট্রফি জিতেছে বিরিয়ানি। প্রতি মিনিটে ২১২ টি প্লেট অর্ডার করা হয়েছে বিরিয়ানি। মোট ১২ মিলিয়নের মতো বিরিয়ানি প্লেটের অর্ডার এসেছে।' আবার সুইগি থেকে আরও একটি টুইট করা হয়েছে, যেখানে লেখা রয়েছে, '২৪২৩ টি কন্ডোম সুইগির মাধ্যমে ডেলিভার করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, আজকের এই ২২ জন খেলোয়াড় ছাড়াও আরও অনেক খেলোয়াড় রয়েছে।' আর এই টুইট নেটাগরিকদের নজরে আসতেই ঠাট্টা-মশকরায় মেতেছে নেটিজেনরা।
নো-ইউ টার্ন। অর্থাৎ পিছনে ফিরে তাকানোর কিছু নেই। রবিবার তখন আমেদাবাদ বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে। এমন সময়েই আইপিএলকে (IPL) বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছিলেন আম্বাতি রায়ডু (Raydu)। সোমবার মধ্যরাতে চেন্নাইয়ের (CSK) হয়ে তিনি যখন ট্রফি নিলেন, তখন শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ছ বার আইপিএল জেতার নজির গড়লেন হায়দরাবাদের এই ক্রিকেটার। তিনবার জিতেছেন মুম্বইয়ের হয়ে, তিনবার চেন্নাইয়ের হয়ে। এই কৃতিত্ব এতদিন একজনের ছিল। তিনি রোহিত শর্মা। প্রথম আইপিএল জিতেছিলেন তৎকালীন ডেকান চার্জাসের হয়ে। আর পাঁচটি জয় মু্ম্বইয়ের হয়ে। স্বপ্নের মতো লাগছে। ম্যাচ শেষে এইটুকুই জানিয়ে গেলেন রায়ডু।
ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে তারকা হয়ে উঠে আসা। একসময় নিয়মিত ছিলেন ভারতীয় দলে। বছরের শুরুতেই অবসর ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছিলেন। এ ভাবেই নিজের ক্রিকেট জীবনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন রায়ডু। ম্যাচ শেষে বন্ধু ধোনি জানালেন, একসঙ্গে তাঁদের কেরিয়ার শুরুর কথা। মাহির মতে, তাঁর দেখা প্রথম ব্যাটার যিনি একসঙ্গে পেস এবং স্পিন দুটোই খেলতে পারেন। কিন্তু রায়ডুকে দলে রাখা মানে অধিনায়ক কোনও দিন ফেয়ার প্লে জিততে পারবেন না। কারণ, হঠাৎ হঠাৎ মাথা গরম করে সেই সুযোগ হাতছাড়া করে দেবেন রায়ডু।
ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আবেগঘন আম্বাতি। প্রায় তিরিশ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ার। স্বল্পভাষী এই হায়দরাবাদির মতে, ঠিক যেন ফেইরিটেল মনে হচ্ছে।
এ যেন এক স্বপ্নে লেখা ইতিহাস। শেষ বলে চার, তার আগের বলে ছয় মেরে হার্দিকের মুখ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে এনে ধোনির হাতে তুলে দিল জাদেজা। শেষ ওভারে গুজরাতের মোহিত শর্মা তার আগের চারটি বলে মাত্র ৩ রান দিয়েছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা গুজরাত টাইটান্সের। মাঠে দাঁড়িয়ে হেসে ফেলেন হার্দিক পাণ্ড্যও। কিন্তু শেষ ২ বলে বদলে গেল খেলার ছবি। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মারলেন রবীন্দ্র জাডেজা। শেষ বলে চার মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন জাডেজা। পঞ্চম বারের জন্য আইপিএল (IPL) চ্যাম্পিয়ন হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)।
প্রথম ইনিংসে সুদর্শন, ঋদ্ধিদের দাপট দেখে মনে হয়েছিল আইপিএল চ্যাম্পিয়ন বোধহয় গুজরাত টাইটান্স। কিন্ত ২ ঘণ্টা বৃষ্টির পরে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই বুঝিয়ে দিয়েছিল দিল্লি কিন্তু দূরই আছে। যদিও ম্যাচ জিততে তৎপর ছিল হার্দিকরা। বৃষ্টির দাপটে ২০ ওভারের খেলা কমে দাঁড়ায় ১৫ ওভারে। লক্ষ্য কমে হয় ১৭১। সেই লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় চেন্নাই।
খেলা শুরু হওয়ার পরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। তাঁরা জানতেন প্রতি ওভারে ১২ রান করে তুলতে হবে তাঁদের। খেলা ১৫ ওভারের হওয়ায় পাওয়ার প্লে-ও কমে হয় ৪ ওভার। পাওয়ার প্লে-তে ৫২ রান করেন দুই ওপেনার। বড় শট খেলা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের। ৬ ওভারে ওঠে ৭২ রান।
জেতার জন্য ৯ ওভারে ৯৯ রান করতে হত চেন্নাইকে। লক্ষ্য কঠিন ছিল। ভাল বল করছিলেন গুজরাতের স্পিনার নুর আহমেদ। এক ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে চেন্নাইকে বড় ধাক্কা দেন তিনি। প্রথমে ২৬ রানের মাথায় গায়কোয়াড় ও পরে ৪৭ রানের মাথায় কনওয়েকে ফেরান তিনি। এক ওভারেই চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন।
প্রতি ওভারে জরুরি রানরেট বাড়ছিল চেন্নাইয়ের। সেই পরিস্থিতি থেকে দলকে টানলেন শিবম দুবে, অজিঙ্ক রাহানে ও অম্বাতি রায়ডু। বিশেষ করে রাহানে ও রায়ডু ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। রাহানের ২৭ ও রায়ডুর ১৯ দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। ফাইনালে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ধোনি। প্রথম বলেই আউট হয়ে যান তিনি। শেষ ওভারে জিততে দরকার ছিল ১৩ রান। জাডেজার ব্যাটে সেই রান তাড়া করে জিতে যায় চেন্নাই।
বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল আইপিএল ফাইনাল (IPL Final)। রাত ১০টা ৫২ মিনিটে ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন, খেলা শুরু হওয়া সম্ভব নয়। কাট-অফ টাইম ছিল রাত ১২টা ০৬ মিনিট। কিন্তু পৌনে ১১টা থেকে ফের বৃষ্টি নামায়, ফাইনাল বাতিল ঘোষণা করল আইপিএল কর্তৃপক্ষ। সোমবার রিজার্ভ ডে-তে ফের নামবে চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাত টাইটান্স।
সন্ধে ৭টার সময় টস হওয়ার কথা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি। তার আগে ভেস্তে যায় সমাপ্তি অনুষ্ঠানও। সাড়ে ৭টার সময় জানানো হয়, ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাতে পারে। কাট-অফ টাইম হবে ১২টা ০৬ মিনিট। রাতে একবার বৃষ্টি কমলে আশা করা হয়েছিল, খেলা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ রেফারি।
সোমবার একই সময় খেলা শুরু হবে। সাড়ে সাতটা থেকে। সোমবারও আকাশের মুখ ভার থাকবে। যদি দুই টিম না নামতে পারে, তা হলে আইপিএলে নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে গুজরাত টাইটান্সকে।
রবিবার আইপিএলের (IPL) মেগা ফাইনাল (Final)। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) ও গুজরাট টাইটান্স (GT)। ধোনির অভিজ্ঞতা বনাম হার্দিকের সাফল্যের ধারাবাহিকতা। ফাইনালে জিতবে কোন দল ? অপেক্ষার প্রহর গুনছে ক্রিকেট বিশ্ব। এদিকে, মেগা ফাইনালে আহমেদাবাদে কিন্তু বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকছে। ফলে ভেস্তে যেতে পারে ফাইনাল ম্যাচ। কী বলছে আজ আহমেদাবাদে সন্ধ্যার আবহাওয়া ?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার সন্ধেবেলায় আহমেদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে প্রায় ৪০ শতাংশ। টানা দু'ঘণ্টা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আহমেদাবাদের আকাশ সারাদিন মেঘলা থাকবে। তবে, ভারী নয়, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাই থাকছে এদিন। বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচ ভেস্তে গেলে কোন দলকে কীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে, এখন সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, কোনও ওভার খেলা না গেল আইপিএল পয়েন্ট টেবিলের উপরে চোখ রাখা হবে। যে দল সবথেকে বেশি পয়েন্ট পেয়েছে, সেই দলকেই শেষপর্যন্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
এবার আইপিএলে কিন্তু সেই চেনা ছন্দে নেই চেন্নাই সুপার কিংস। অধিনায়ক ধোনির ক্ষুরধার মস্তিষ্কে হারছে বিপক্ষ। সৌরভও প্রশংসা করেছেন ধোনির নেতৃত্বের। এবার জিতলে রোহিত শর্মার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন মাহি। দলকে পঞ্চমবার খেতাব এনে দেবেন তিনি। অন্যদিকে, গুজরাট আর একটা ম্যাচ জিতলে চেন্নাই, মুম্বইয়ের সঙ্গে একই আসনে উঠে যাবে। পরপর দুই বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই দুই টিমই।
রবিবার আইপিএলের (IPL) মেগা ফাইনাল। দেড় মাসের টুর্নামেন্টের যবনিকা পতন। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নামছে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) ও গুজরাত টাইটান্স (GT)। ম্যাচে কে জিতবে, আগে থেকেই অনুমান করতে রাজি নন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও।
রবিবার আইপিএলের মেগা ফাইনাল। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলতে নামবেন জাদেজা। তাই প্রত্যাশা কিছুটা বেশি। চেন্নাই টিমে দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রুতুরাজ গাইকোয়াড় ফর্মে আছেন। আহমেদাবাদেও এই দুইয়ের উপরই ব্যাটিংয়ে ভরসা রাখছেন ধোনি। টুর্নামেন্টের মাঝের অংশে ভাল ফর্মে ছিলেন অজিঙ্কা রাহানে ও শিবম দুবে।
ফাইনালে তাঁদের ব্যাটের উপরও তাকিয়ে থাকবে টিম। মইন আলি গোটা টুর্নামেন্টে সেভাবে সফল হতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার দুই বোলার থিকসানা ও পাথিরানা। এই দুই বোলারকে নিজের হাতে ঘষেমেজে নিয়েছেন মাহি। গুজরাতের ব্যাটিংকে ভাঙার জন্য ফাইনালে তারাই হয়ে উঠতে পারেন চেন্নাইয়ের আসল অস্ত্র।
রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) পাঁচবার আইপিএল (IPL) জিতে ফেলেছে। এবার আইপিএল জিতলে রোহিতের রেকর্ড স্পর্শ করে ফেলবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MSD) ও চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। এই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অনেক কৃতিত্ব রেখেছেন শ্রীলঙ্কান পেসার মাথিসা পাথিরানা।
গত মরশুমে মাত্র ২টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এই মরশুমে ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন। গড় ১৯.২৪। ফাইনালের আগে পাথিরানার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মাহি। তাঁর বোন ইনস্টাগ্রামে ধোনির সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন। ধোনিকে নিয়ে লেখা কিছু লাইন মন জিতে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন, "মালিকে নিয়ে এবার আমরা নিশ্চিন্ত। থালা বলল, ওকে নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। ও সব সময় আমার সঙ্গেই থাকে। এই মুহূর্তগুলো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।"
২০ বছরের পাথিরানার সামনে এবার চেন্নাইয়ের হয়ে প্রথম আইপিএল জেতার সুযোগ রয়েছে। রবিবার আহমেদাবাদে ফাইনাল খেলতে নামবে চেন্নাই সুপার কিংস।
চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) অধিনায়ক (Captain) মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি আইপিএলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে চেন্নাই সুপার কিংস। এবার পঞ্চমবার আইপিএল জেতার সুযোগ রয়েছে ধোনিদের সামনে। নেতা হিসেবে তিনি কতটা দক্ষ, তা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন ধোনি। একই সুর দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর তথা প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলাতেও। ধোনির প্রশংসায় ফের পঞ্চমুখ সৌরভ।
সৌরভ এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'চেন্নাই সুপার কিংস এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এ মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। আর ধোনির অধিনায়কত্বের তো তুলনাই হবে না। কীভাবে বড় ম্যাচ জিততে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন।' ধোনি ছাড়া এবারের আইপিএল মরসুমে নজরকাড়া আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের নাম উল্লেখ করেছেন সৌরভ । সেই তালিকায় রয়েছে যশস্বী জয়সওয়াল, ধ্রুব জুরেল, রিংকু সিংরা।
চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) সঙ্গে নাকি ঝামেলায় জড়িয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা (Rabindra Jadeja)। প্লে-অফের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। প্লে-অফে ম্যাচের পর বিশেষ সম্মান পাওয়ার পর টুইটে মুখ খুললেন জাদেজা।
বেশ কিছুদিন আগে জাদেজা জানান, সাত নম্বরে তিনি ব্যাট করতে আসলে, সমর্থকরা হতাশ হয়ে যান। কারণ, ওই ৭ নম্বরে তাঁরা ধোনিকে দেখতে চান। প্লে-অফের আগে তাঁর একটি টুইট নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। দিল্লির বিরুদ্ধে জিতেও মাঠে ধোনি ও জাদেজাকে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। মনে করা হয়, অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়েছে। এই ম্যাচে জিতে জাদেজা লেখেন, তিনি যে দলের সেরা সম্পদ, সেটা কিছু সমর্থক জানেন না।
প্লে-অফে জাদেজার ব্যাট থেকে ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংস আসে। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি।
ঠিক হয়ে গেল আইপিএলের (IPL) প্লে-অফের লাইনআপ। নিয়ম অনুযায়ী, একের প্রতিপক্ষ দুই। তিনের প্রতিপক্ষ চার। সেইমতো, গুজরাত খেলবে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে। লখনউ খেলবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ২৩ মে মুখোমুখি হবে গুজরাত ও চেন্নাই। এই ম্যাচ যে জিতবে, তারাই সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। বুধবার ২৪ তারিখ চিপকেই মুখোমুখি হবে লখনউ এবং মুম্বই। এই ম্যাচে যারা হারবে, তারা সরাসরি ছিটকে যাবে টুর্নামেন্ট থেকে। শুক্রবার ২৬ তারিখ প্রথম ম্যাচের পরাজিত দল এবং দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ী দল মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচ থেকে যারা জিতবে, তারা ফাইনালে উঠবে। আক্ষরিক ভাবে রবিবার আইপিএল ফাইনালের আগে শুক্রবার হতে চলেছে আইপিএলের আসল সেমিফাইনাল।
এই আইপিএলে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই প্লে-অফে উঠেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দল হিসাবে প্লে-অফ খেলবে চার বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই ও লখনউ সুপার জায়েন্টস। আরসিবির হারে বরাত খুলেছে গত পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসাবে তারা প্লে-অফ খেলার যোগ্যতা পেয়েছে।
এখনও পর্যন্ত এই আইপিএলে ১৪ ম্যাচ খেলে অরেঞ্জ ক্যাপ নিজের মাথায় রেখেছেন আরসিবি অধিনায়ক ফাপ ডুপ্লেসি। তিনি রান করেছেন ৭৩০। দু নম্বরে গুজরাতের শুভমন গিল এবং তিন নম্বরে আরসিবির বিরাট কোহলি। তাঁদের রান ৬৮০ এবং ৬৩৯। ২৪ উইকেট নিয়ে পার্পেল ক্যাম্প গুজরাতের মহম্মদ সামির মাথায়। সমসংখ্যক উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় গুজরাতের রশিদ খান। ২১ উইকেট নিয়ে তৃতীয় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া গতবারের রানার্স রাজস্থানের যজুবেন্দ্র চাহাল।
দিল্লিকে (DC) রীতিমত দুরমুশ করে নিজেদের প্লেঅফ কার্যত নিশ্চিত করল ধোনিবাহিনী (CSK)। চেন্নাইয়ের বড় রানের সামনে কার্যত ভেঙে পড়ে দিল্লির দল। শেষে দিল্লিকে ৭৭ রানে হারাল চেন্নাই। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কনওয়ে (Conway) ও ঋতুরাজের (Ruturaj) দাপটে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে চেন্নাই। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে দিল্লি।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সিএসকে অধিনায়ক ধোনি। ডেভন কনওয়ে ও ঋতুরাজ গাইকোয়াডের দুর্ধর্ষ পার্টনারশিপ। শনিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লিকে ২২৪ রানের লক্ষ্য দিল চেন্নাই সুপার কিংস। ৫০ বলে ৭৯ রান করলেন গাইকোয়াড। ৫২ বলে ৮৭ রান এল কনওয়ের ব্যাট থেকে।
এদিন দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামের গ্যালারিও ছিল হলুদ। ধোনিকে শ্রদ্ধা জানাল রাজধানী দিল্লিও। দিল্লির বোলারদের বিরুদ্ধে ৮৭ বলে ১৪১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ করেন কনওয়ে ও গাইকোয়াড়। ৯ বলে ২২ রান করে ফেরেন শিবম দুবে। ৭ বলে ২০ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে সিএসকে।
শেষ ওভারে ধোনির ব্যাটে ছয় প্রত্যাশা করেছিল গোটা স্টেডিয়াম। শেষ বল নো হওয়ার পর ফ্রি-হিটও পায় চেন্নাই। স্ট্রাইকে ছিলেন ধোনি। কিন্তু একটি সিঙ্গল নিয়েই খেলা শেষ করেন মাহি।
এরপরে বিরাট রানের চাপ নিয়ে খেলতে নেমে একাই লড়লেন ওয়ার্নার, বাকি দল কার্যত দেখলেন ওয়ার্নার কে। ওয়ার্নার একাই ৫৮ বলে ৮৬ রান করে। এছাড়া গোটা দলে অক্ষর ও ধুল ছাড়া কেউই দুই অঙ্কে রান করতে পারেন নি।
দিল্লির সঙ্গে মরণ বাচন ম্যাচ চেন্নাইয়ের (CSK)। আপাতত চেন্নাই লীগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ১৩ টি ম্যাচ খেলে তাঁদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। আপাতত দিল্লির (DC) প্লেঅফের কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও দিল্লির সঙ্গে এই ম্যাচ চেন্নাইয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় স্থানে থাকতে গেলে চেন্নাইকে এই দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করতেই হবে। তবেই তাঁরা প্লেঅফ এবং লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। নচেৎ বিদায় নিতে পারে চেন্নাই।
পাশাপাশি চেন্নাইয়ের ঘাড়ে নিঃস্বাস ফেলছে লখনউ এবং ব্যাঙ্গালোর। যদিও একই ম্যাচ খেলে একই পয়েন্ট নিয়ে লখনউ ৩ নম্বরে রয়েছে। তারা আজ কলকাতার সঙ্গে খেলতে নামবে ইডেনে। ওদিকে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। প্রথম পাওয়ার প্লেতে চেন্নাইয়ের দাপট বজায় আছে। ৬ ওভারে তাঁদের সংগ্রহ ৫২ রান। এখনও কোনও উইকেট তাঁরা হারান নি। কনওয়ে খেলছেন ২৮ রানে, ও ঋতুরাজ ২২ রানে খেলছেন।