
সোমবার ছত্তিশগড় সফরে গিয়ে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস ন্যায় যোজনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
মূলত গ্রামীণ পরিবারগুলির জন্য উপযুক্ত বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তা দিতেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫০০জন আবেদনকারীকে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লাখ টাকা করে দেবে ছত্তিশগড় সরকার। এবিষয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল আগেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অতি দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলিকে বাড়ি তৈরির সহায়তা করা। তবে কেন্দ্রের তরফে কোনও সহায়তা না এলে রাজ্য সরকারই তাদের সহায়তা করবে।
এছাড়াও একাধিক যোজনার উদ্বোধন করেন রাহুল গান্ধি। গ্রামীণ মানুষদের সহায়তায় ওই প্রকল্পগুলি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসার জন্য মেয়ের বাড়িতে এসে খুন হলেন তৃণমূল সমস্যার মা৷ রবিবার ভোররাতে দত্তপুকুর থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম বেবি রানি সর্দার। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃতার মেয়ে অর্থাৎ দেবযানী সর্দার দত্তপুকুর ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। স্বভাবতই এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে দেবযানী সর্দারের মা বেবি রানি সর্দার রাতের খাওয়া সেরে শুতে যান ৷ এরপর রবিবার ভোরে বাড়ির লোকজনেরা দেখেন তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তিনি কলকাতা থেকে চিকিৎসার জন্য মেয়ে দেবযানী সর্দারের কাছে এসে থাকছিলেন৷ রবিবার এ বিষয়ে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান দেবযানী সর্দার বলেন, 'এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত৷ আমি কোনওদিন কারও ক্ষতি করিনি৷' তিনি জানান, এই ঘটনার সময় তিনি ও তাঁর স্বামী পাশের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন৷ তাঁরা কিছু টের পাননি। দেবযানী সন্দেহ করছেন, হয়তো তাঁকেই খুন করতে এসে তাঁর মাকে হত্যা করে চলে গিয়েছেন দুষ্কৃতীরা৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, পুরোটাই তদন্তসাপেক্ষ৷
তিনি আরও বলেন, 'মেয়ে মায়ের পাশে শুয়েছিল৷ ও ভয়ে চোখ বন্ধ করেছিল৷ মেয়ের বয়ান অনুযায়ী ভোর সাড়ে ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছিল।' দেবযানী সর্দারের অনুমান, দুষ্কৃতীরা সিঁড়ি দিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকেছিল৷ তাঁর মা যে ঘরে শুয়েছিলেন, সেই ঘরের দরজাটি ভেজানো ছিল। এই ঘটনায় হতবাক পঞ্চায়েত সদস্য অমলকুমার বিষ্ণু বলেন, 'দত্তপুকুরের মানুষের কাছে এটা আশ্চর্যের ব্যাপার৷ তিনি ৭-৮ মাস এখানে এসেছেন চিকিৎসার জন্য৷ এই ঘটনা কীভাবে হল, কেন হল তা প্রশাসনই বলতে পারবে৷ তাঁর পাশে মেয়ের মেয়ে শুয়েছিল৷ তাঁর বক্তব্য, রাত ৩টে থেকে সাড়ে ৩টে নাগাদ এই খুন হয়েছে। সে ভয়ে চোখ বুজে ছিল।' পঞ্চায়েত সদস্যেরও প্রশ্ন, কোনও রাজনৈতিক কারণে খুন কিনা, তা বোঝা যাচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, প্রৌঢ়ার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷ দত্তপুকুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাড়িটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ৷
লোকসভায় (Lok Sabha) পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill), ফলে খুশির মেজাজ মহিলা মহলে। লোকসভা ভোটের আগেই মোদী সরকার হাসিমুখে ৪৫৪ টি ভোটে পাশ করিয়ে নিলেন বহু প্রতীক্ষিত বিল। এবারে এই বিল রাজ্যসভাতেও পাশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) এক বিশেষ উদ্যোগ নিলেন। সূত্রের খবর, আগামী শনিবার বারাণসীর কাশীতে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে একটি জনসভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, আগামী শনিবার অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর বারাণসীতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার বারণসীতে প্রধানমন্ত্রীর সফর পূর্বনির্ধারিতই ছিল। কারণ আগামী শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের কাশীর বারাণসীতে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করতে চলেছেন তিনি। আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি করা হচ্ছে এটি। আর এই স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ছাড়াও আরও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই কর্মসূচির সঙ্গেই মহিলাদের নিয়ে পৃথক সভা করার কর্মসূচি যুক্ত করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, এই সভায় অংশ নেবেন শুধুমাত্র মহিলারাই। পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। সভামঞ্চে থাকবেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
নিপা ভাইরাস (Nipah virus) নিয়ে বড়সড় সতর্কবার্তা দিল কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারের তুলনায় নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি।
এবিষয়ে আইসিএমআর এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব বহল শুক্রবার জানিয়েছেন, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রায় ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে কোভিডের ক্ষেত্রে সেই হার ছিল মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কেরল সরকারের তরফে। কোঝিকোড়ে হাই অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেরলের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাকর্মীর দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, নিহত পুলিস কর্মীর নাম ইসরাফিল সাহাজি (৩০)। কল্যাণী ব্লকের মদনপুর জঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা। কল্যাণী হাউজিং-এর পুলিস কোয়ার্টারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন।
পরিবারের দাবি, তিনি বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ হাঁটতে বের হন ইসরাফিল। কিন্তু রাত দশটার বেশি বেজে গেলেও তিনি বাড়ি ফেরেন না। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ শুরু করে। বারবার ফোন করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ফোন বেজে গেলেও কেউ তোলেননি। অবশেষে রাত বারোটা নাগাদ কল্যাণী মেনস্টেশনে কর্মরত রেলের এক আধিকারিক ফোনটি তোলেন। এরপরেই এই দুঃসংবাদ জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। ওই রেল আধিকারিক জানান, কল্যাণী সাহেব বাগান সংলগ্ন রেল লাইনের ধারে পুলিস কর্মীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
কল্যাণী মেন স্টেশনে যাওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন রেলের আধিকারিকেরা এবং মোবাইলে ছবি দেখানো হয়। জানানো হয় তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে রানাঘাটে।
পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারছেন না, আদৌ কি আত্মঘাতী হয়েছেন ইসরাফিল? নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিস। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। কাজের ক্ষেত্রে কোথাও কোনও সমস্যা ছিল নাকি ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সমস্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ইউরোপের সফরসঙ্গী হওয়ার অনুমতি পেল কুনাল ঘোষ। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কুনাল ঘোষের আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অনুমতি দেয়। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী নির্দেশ দেয় কুনাল ঘোষ ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর অবধি ইউরোপে থাকতে পারবেন। সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ও বিচারাধীন আসামি হওয়ায় তাঁর বিদেশ যাত্রায় জট তৈরী হয়। এরপর মমতার সঙ্গে স্পেনে অর্থাৎ ইউরোপ মহাদেশে যেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল মুখপাত্র।
সূত্রের খবর, স্পেনে একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দোপাধ্যায়য়ের সঙ্গে আমন্ত্রণ পান কুনাল ঘোষ। এরপরেই কুনাল ঘোষ স্পেনে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। ওদিকে বিচারাধীন আসামি হওয়ার দরুন নিন্ম আদালতে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখা ছিল। স্পেনে যাওয়ার অনুমতির পাশাপাশি ওই পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার জন্যও আবেদন করেন তিনি। আবেদনে কুনাল ঘোষ জানান, এরপূর্বে তিনি বিচারাধীন আসামি হওয়া সত্ত্বেও সিঙ্গাপুর যাওয়ার আবেদন করেছিল, অনুমতি নিয়ে সেই যাত্রা সম্পূর্ণ করে আবার ফিরেও আসেন, তবে এখন কেন অনুমতি পাবেন না? সূত্রের খবর, তিনি ওই আবেদনে আরও জানান, তিনি একজন সাংবাদিক ছিলেন, তিনি সিঙ্গাপুর ঘুরে আবার ফিরেও এসেছেন। সেসময় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার অনুমতি দেন।
এবারও মমতার ইউরোপের সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য কুনাল ঘোষ হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানায়, সেই আবেদন মঞ্জুর করা হল। এবং এদিন জয়মাল্য বাগচী নির্দেশ দেয় কুনাল ঘোষকে তাঁর পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে হবে, পাশাপাশি ২৩ তারিখের পর ফিরে ওই পাসপোর্ট কুনাল ঘোষকে ফের জমা দিয়ে দিতে হবে।
দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। এ ঘটনায় রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিস ও শাসক দলের নেতাদের দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে রাজ্য পুলিসের ডিজিকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায়, ডিজি মনোজ মালব্য ছাড়াও এ বৈঠকে ছিলেন রাজ্যসচিব ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
চলতি বছরেই এগরার পর মহেশতলা, একের পর এক বাজি কারখানা বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাজি কারখানা বন্ধে কড়া হতে বলেন রাজ্য পুলিসকে। সেসময় রাজ্য পুলিসকে কড়া হাতে বাজি কারখানা বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয় নবান্ন। তার ঠিক ৩ মাস পর দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জের মোচপোলে এমন বিস্ফোরণে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। এ ঘটনায় স্বাভবিকভাবেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
দত্তপুকুরের বাজি কারখানা বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, 'এটি বড় ঘটনা, এটা কাম্য নয়। পুলিস অপরাধীদের যোগ্য সাজা দেবে।' পাশাপাশি এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এ ঘটনায় আজ অর্থাৎ সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে নারীদের (Women) প্রতি অন্যায় (Crime Against) রুখতে নয়া পদক্ষেপ নিলেন ছত্তীসগঢ় (Chhattisgarh) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) ভূপেশ বঘেল। শিশু ও মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধ রুখতেই তিনি এই নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এই বিষয়ে একটি বক্তব্যও পেশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ রাজ্যে মহিলাদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষা করাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে আমাদের সরকার। শিশুকন্যা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা এবং অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের উপর সরকারি চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’’ এমনকি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বঘেল।
যদিও ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশের মধ্যে এই রাজ্য পঞ্চম স্থানে ছিল। তবে ২০২১ সালে সেই নিরিখে ছত্তীসগঢ় ১১তম স্থানে নেমেছে।
আগের থেকে এমনিতে অনেকটাই ভাল আছেন। কিন্তু ছুটি পাবেন কি? কারণ গত সোমবারের পর থেকেই বাড়ি ফেরার জন্য তাঁর চিকিৎসকদের কাছে বারবার অনুরোধ করেছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে কিনা, তা ঠিক হয়ে যেতে পারে আজ শনিবার।
গত মঙ্গলবার থেকে চিন্তার মেঘ অনেকটাই কেটে গিয়েছে। চিকিৎসকরাও দাবি করেছেন, অনেকটাই ভালর দিকেই রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তখনও বাড়ি ফেরার মতো পরিস্থিতি ছিল না। কারণ, দফায় দফায় তাঁর পরীক্ষা চলছিল। দেখা হচ্ছিল ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা।
শুক্রবার তাঁকে স্যুপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি মুখ দিয়ে তা খেতে পারেন কীনা, তাও দেখা হয়েছিল। কারণ চিকিৎসকরা চাইছেন, ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে দুপুরেই হয়তো তাঁর ছুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
আগের থেকে এখন ভাল আছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, নিশ্বাস ঠিক রাখতে রাতেই তাঁকে পালমোনারি ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া হচ্ছে ইনস্যুলিনও।
সোমবার পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর দুপুরেই ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। বেশ রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন তাঁর মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তাঁরাই পালমোনারি ফিজিওথেরাপি করার সিদ্ধান্ত নেন।
এর পাশাপাশি কড়া অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত সুস্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অ্যান্টিবায়োটিক তাঁর কিডনির যাতে কোনও ক্ষতি না করে, সেই ব্যাপারে কড়া নজর রয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকদের। তবে, ভেন্টিলেশন থেকে বার করার পর আর কোনও অবনতি হয়নি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে।
২১ জুলাইয়ের সভার আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে পাকড়াও নূর আমিন নামে এক যুবক। পুলিশের প্রাথমিক জেরায় নূর জানিয়েছেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তাঁকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন। সতর্ক করতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন তিনি।
নূরের স্ত্রী পুনম বিবি শুক্রবারই জানান, মানসিক অসুস্থতা আছে তাঁর স্বামীর। পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর মানসিক রোগের চিকিৎসাও চলছে। তাঁর গাড়ি থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র আসল নয় বলেও দাবি করেছেন নূরের স্ত্রী। তবে তাঁর গাড়িতে বিএসএফ, আইবি-সহ একাধিক নিরাপত্তা সংস্থার ভুয়ো পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। আইপিএস লেখা বেল্টও পাওয়া গিয়েছে। কী কারণে এসব রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ, হাজরা রোডের উপর কালো গাড়ি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশকর্মীদের। নূরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথমে নিজেকে বিএসএফের ডিজি বলে পরিচয় দেন। একটি ভোজালি, একটি কলকে ভর্তি গাঁজা, দুটি ভুয়ো পরিচয়পত্র, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি আইপিএল লেখা বেল্ট উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই কালীঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আই-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠকে দুঃখপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, হিংসা চাননি, তবু বহু মানুষ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। অশান্তির যাবতীয় দায় চাপিয়েছেন বিরোধীদের কাঁধে। বললেন, 'আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা।'
পঞ্চায়েত ভোট এবং গণনাকে কেন্দ্র করে কার্যত বোমা-বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা বাংলা। লাগাতার বোমাবাজি, গুলি চলছ। ভোটের দিনে প্রাণ গিয়েছে ২০ জনের। তবে মনোনয়ন ও ভোট পরবর্তীতে মোট মৃতের সংখ্যা ৫০-এরও বেশি।
ভাঙড় ও মুর্শিদাবাদের অশান্তির দায় বিরোধীদের কাঁধে চাপিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। তবে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে আমাদের কর্মীর। ১৯ জনের প্রাণ গিয়েছে।' পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিজেপি ও সমস্ত বিরোধী দল গুলিকে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কটাক্ষ করেছেন এবং দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার।
বিজেপির প্ররোচনায় পা না দিয়ে সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অস্ত্রোপচার (Operation) হতে পারে। এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন তিনি। গাড়িতেই তিনি উডবার্ন ওয়ার্ডে যান। কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে আসেন মমতা। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই হাসপাতালের মধ্যে যান তিনি। সামান্য খোঁড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। গত সোমবারই দুবরাজপুরে মোবাইল ভাষণে নিজের অস্ত্রোপচারের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, ডাক্তার রাজেশ প্রামাণিক এবং তাঁর টিমের অধীনেই মুখ্যমন্ত্রীর অস্ত্রোপচার হতে পারে। ইতিমধ্যেই সিটি স্ক্যান করা হয়েছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। বাকি রোগীদের চিকিৎসায় যাতে ব্যাঘাত না হয়, তাই মুখ্যমন্ত্রীকে উডবার্ন ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। যদি অস্ত্রোপচার হয়, তাহলে তাঁকে হাসপাতালে রাখা হবে নাকি, ছেড়ে দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পঞ্চায়েতের প্রচারে উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পথে খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাঁর হেলিকপ্টারের জরুরী অবতরণ হতেছিল। সেই ঘটনায় বাঁ পায়ে এবং কোমরে চোট পেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর লিগামেন্টে আঘাত লেগেছিল। গত সোমবারই নিজেই অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী
অবশেষে সমস্ত জল্পনার শেষে এনসিপি (NCP) ছেড়ে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি (ShivSena-BJP) জোট সরকারে যোগ দিলেন অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)। আজ, রবিবার তিনি শপথও নিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী (Deputy CM) হিসাবে। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে শিন্ডে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন এনসিপির আরও আটজন বিধায়ক (MLA)।
এদিন সকাল থেকেই মহারাষ্ট্রে এনসিপির মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েই চলছিল। বেশ কয়েকজন দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন অজিত পাওয়ার। সূত্রের খবর, এই সম্পর্কে শরদ পাওয়ার কোনও কিছু জানতেন না। এরপর এই বৈঠক শেষেই অজিত পাওয়ার তাঁর সমর্থক বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিছুক্ষণ পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, ডেপুটি সিএম দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বং অন্যান্য বিজেপি নেতা ও বিধায়করাও রাজভবনে পৌঁছন। আর এরপরেই শুরু হয় শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি। অবশেষে রাজ্যপাল অজিত পাওয়ারকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান। ফলে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের পাশাপাশি দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী পেল মহারাষ্ট্র।
এদিন অজিত পাওয়ারের পাশাপাশি এনসিপির আরও আটজন বিধায়ক তাঁদের দল ছেড়ে শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দিয়েছেন। তাঁরাও শিন্ডে সরকারের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। এদিন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অদিতি ঠাকরে, ধনঞ্জয় মুন্ডে, হসান মুশরিফ, ধর্মরাও বাবা আতরাম, অনিল পাতিল, সঞ্জয় ভোঁসদে।
আগের তুলনায় ভাল আছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। পায়ের ব্যথা অনেকটা কমেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বাস্থ্য নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন এসএসকেএম (SSKM) এর ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধেবেলা মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিরক অবস্থা খতিয়ে দেখতে তাঁর কালীঘাটের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরোনোর সময় তিনি জানান, দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের চিকিৎসা কাজ করছে। ফিজিওথেরাপি চালিয়ে যেতে হবে।
পায়ে চোট পাওয়ার পর থেকে বাড়িতেই রয়েছেন মমতা। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে আবার কবে থেকে তিনি বাইরে বেরোতে পারবেন? সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে. মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে রাইস থেরাপিতে। এই থেরাপি হল চারটে পদ্ধতি। অর্থাৎ R হল রেস্ট, হল আইস-প্যাক, C হল কমপ্রেসন, আর E হল ইলিভেশন। এই চার পদ্ধতিতেই চিকিৎসা চলছে মুখ্যমন্ত্রীর। আপাতত আগামী ১৫ দিন মমতাকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে বলেছেন এসএকেএমের চিকিৎসকেরা। জলপাইগুড়ি থেকে ফেরার সময় কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে হিপ জয়েন্টের লিগামেন্টে ও বাঁ হাঁটুর লিগামেন্টে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।